নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাখি ও জীবন

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩



আমাদের পাখিগুলো উড়ে যেতে যেতে একবারও ফিরে তাকায় নি, আমরা ওদের জন্য কাঁদছিলাম



২০০৫ সালের এপ্রিল বা মে মাস। আমরা সৈয়দপুরে।



একদিন সৈয়দপুর শহরে ঢুকবার মুখেই পাখির দোকান দেখে পাইলট আর ঐশী বায়না ধরলো, ওদের অনেকগুলো পাখি চাই, ওরা পুষবে।



ওদের জন্য কয়েকটা পাখি ও পাখিদেরর জন্য একটা খাঁচা কিনলাম। পাইলট আর ঐশী খুশিতে আটখানা। আমি আর আমার স্ত্রীও ওদের সাথে পাখিদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।



কিন্তু খাঁচাটা খুব ছোট্ট। আমরা ছোট্ট খাঁচা ছেড়ে ঘরের একটা বারান্দাকেই খাঁচা বানিয়ে ফেললাম। মুনিয়া, লাভ বার্ড, ইত্যাদি বেশ ক’টা পাখি। আমি, ঐশী আর পাইলটকে নিয়ে পাখিদের পরিচর্যা করি। আমার পরিচর্যা এমন পর্যায়ে পৌঁছুলো যে, মনে হতে লাগলো, ঐশী বা পাইলটের জন্য নয়, আমার জন্যই পাখিগুলো শখ করে কিনেছি।



কিন্তু পাখিগুলো দিনে দিনে শুকিয়ে যাচ্ছিল, কারণ, ওরা কোনো খাবার খাচ্ছিল না। পাখিদের দোকান থেকে সব ধরনের খাবার আনলাম, কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না।



একদিন সকালে দেখি একটা পাখি মরে মাটিতে পড়ে আছে। আমার চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো। পাইলট আর ঐশীর চেহারাও কাঁদো-কাঁদো। পাখিগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে আমি অস্থির হয়ে পড়ি। কিন্তু হায়, তার পরের দিন আরও একটা পাখি মারা যায়। আমি কালবিলম্ব না করে পাখিগুলো বাইরে নিয়ে আকাশে উড়িয়ে দিই- ওরা দুর্বল ডানায় ভর করে খুব কষ্টে গাছের ডালে গিয়ে বসে। ওদের দিকে আমি চেয়ে থাকি- আমার বুক ছিঁড়ে যেতে থাকে। আমি বেশ কিছুক্ষণ ওদের চোখে চোখে রাখি। ভয় হচ্ছিল, যদি কোনো পাখি উড়তে না পেরে মাটিতে পড়ে যায়! এভাবে অনেকক্ষণ বসে থেকে আমি ঘরে ফিরে যাই- পাখিগুলো তখনও আশপাশের গাছগুলোতে বসে ছিল।



কেন যেন আমার মনে একটা সূক্ষ্ম আসা উঁকি দিচ্ছিল। পোষা প্রাণীরা মনিবের কাছে বার বার ফিরে আসে। বিড়ালের বেলায় এসব ঘটে থাকে। কুকুরের বেলায় ঘটে। অনেককে চিল, ঘুঘুপাখি পুষতে দেখি- ওরা মনিবের মাথায়, হাতে ভর করে মনিবের সাথে সাথে ঘুরতে থাকে। গাছে উড়ে যায়, আবার মনিবের কোলে ফিরে আসে। হাঁসমুরগিরা সকালে কুলায় ছেড়ে বের হয়, সন্ধ্যায় গৃহিনীর নীড়ে আপনআপনিই ফিরে আসে। আমাদের পাখিগুলোও হয়তো, হয়তোবা দিনশেষে ঘরে ফিরে আসলেও আসতে পারে। বারান্দার নেটের কাছে এসে ভিতরে ঢুকবার জন্য ওরা ডানা ঝাপটাবে- আমরা অধীর উল্লাসে ছুটে গিয়ে ওদেরকে বরণ করে নিয়ে আসবো।



ঘণ্টাখানেক পর ঘরের বাইরে এসে পাখিগুলোকে খুঁজি। ওরা নেই। ওরা সন্ধ্যায় আমাদের বারান্দায় ফিরে এসে ডানা ঝাপটালো না। ওরা চিরতরে ওদের রাজ্যে হারিয়ে গেছে।



পাখিগুলোকে এত যত্ন দিলাম, ওরা কীভাবে আমাকে ছেড়ে হারিয়ে যেতে পারলো? আমার হাত থেকে ছাড়া পেয়ে যখন ওরা উড়ে যাচ্ছিল, ‘হে বন্ধু, বিদায়’ স্বরূপ একবারও ওরা আমার দিকে ফিরে তাকালো না! হায় নিষ্ঠুর পাখি! হায় নিষ্ঠুর মুনিয়া!



পাখিদের জন্য আমার মন আজও কাঁদে।



১০ মার্চ ২০১৪





কৃতজ্ঞতা



আমার ধুলোপড়া চিঠি পোস্টের ১৪ নম্বর কমেন্টের উত্তরে আমি যা লিখি, তার সম্প্রসারিত রূপ এটি। এ কাহিনিটা আমার বুকে একটা ক্ষত সৃষ্টি করেছে। আমার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, কলিগদের সাথে এটা অনেক শেয়ার করেছি। ফেইসবুক বা ব্লগের অন্য কোথাও এর আগে এ ঘটনাটার উল্লেখ করেছি, কিন্তু কবে, কোন্‌খানে তা মনে পড়ে না। কিন্তু সাম্প্রতিকতম প্রকাশ হলো আমার উল্লেখিত পোস্টটি, আর ঐ কমেন্টটি যিনি করেছিলেন তিনি আমাদের প্রিয় ব্লগার মাঈনউদ্দিন মইনুল। তাই মাঈনউদ্দিন ভাইয়ের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।







চলো, জীবনকে খুঁড়ে দেখি



যখন রাত চিবিয়ে খাই, আর ঘুম গুঁড়ো করে পাথরে সোনাবীজ বুনি, একগুচ্ছ অলকের ঘ্রাণ সজীব পাথারে পাক খেতে খেতে অদৃশ্যে আছড়ে পড়ে- মনে হয়, চলো- জীবনকে খুঁড়ে দেখি, কোন্‌ মায়াময় আধারে নিত্য মন্থন শেষে কোথায় ফেলে যায় নিপুণ নির্যাস



জীবন- যতদূর চোখ যায়- আলো শেষ হতে হতে মিশে যায় নিগূঢ় অন্ধকারে- ঐখানে ধ্যানমগ্ন স্বপ্নভ্রমর, হয়তো এক উদাসীন কবির মতো সেও ভুলে গেছে- জীবনের নেই কোনো মানে- সে শুধু কাঁদাতেই জানে



চলো, এইবার জীবনকে খুঁড়ে দেখি- হীরে ও মুক্তোর খনি কোন্‌ গহিনে, কতখানি দূরে



১৩ মার্চ ২০১৪

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯

বেলা শেষে বলেছেন: পাখিদের জন্য আমার মন আজও কাঁদে।
Good & touchable writing...

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ বেলা শেষে। ব্লগ পাঠে আপনার উদ্যম অনুসরণীয়।

শুভেচ্ছা জানবেন।

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: হৃদয় ছোঁয়ার মত বর্ণনা!

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঘটনাটা আমার বুখের ভিতর গেঁথে আছে।

ধন্যবাদ ইসহাক ভাই।

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১

জুন বলেছেন: ওরা চলে যায়নি ছাই ভাই। খাচার পাখীদের কাছে বাইরের পৃথিবীর রীতিনীতিগুলো ভীষন অচেনা এবং নিষ্ঠুর। খাচার ছোট্ট পরিসরে থাকতে থাকতে ওদের ডানায় উড়ে যাবার শক্তি থাকে না। তাই খাচায় পোষা পাখী ছেড়ে দিলে কাক, চিলরা ধরে খেয়ে ফেলে। অত্যন্ত করুন তাদের জীবন।
সুন্দর লিখেছেন ।
+

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার উপলব্ধি খুব ভালো লাগলো আপু। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা আপনার জন্য।

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০

রাতুল_শাহ বলেছেন: ছোট বেলায় আমারও পাখি পোষার ইচ্ছে হত, কয়েটা পাখি ধরেও ছিলাম, কিন্তু আব্বা সেগুলোকে ছেড়ে দিতেন।
বলতেন- ওর মা তাকে খুঁজছে।
মন খারাপ করতাম, আব্বা পকেট থেকে কিছু কিনে খাওয়ার জন্য ২টাকা বের করে দিতেন।

পাখি যদি খাঁচায় থাকে, নীল আকাশে উড়বে কারা?

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছোটোদের ক্লাসে ‘চয়নিকা’ সংযোজিত হয়েছিল ৮০ সালের দিকে। কোনো এক ক্লাসের চয়নিকা’তে নজরুলের একটা কবিতা ছিল পাখিকে নিয়ে। একটা ডানাভাঙ্গা পাখি, কীভাবে যেন বাসা থেকে মাটিতে পড়ে যায়। দুস্টু ছেলেরা সেই আহত পাখিটাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করে, খেলা করে, হাস্যোল্লাসে ওরা ফেটে পড়ে। তখন অনেকগুলো পাখি মাথার উপর উড়ছিল, আর ওদের বাসায় আর্তনাদ করছিল। একটা ছেলে সেই পাখিটাকে দুষ্টুদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পাখির বাসায় রেখে আসে। বহুদিন হলো এই ছেলেটার মা মারা গেছে। পাখির দুঃখে ওর অন্তর বিদীর্ণ হচ্ছিল।

নজরুলের ঐ কবিতা বা ছড়াটার নাম ভুলে গেছি। কিন্তু ঐ লেখাটাও আমার মন নাড়া দিয়েছিল, এখনও মনে পড়ে।

আপনার আব্বুর প্রতি শ্রদ্ধা। তিনি সংবেদনশীল হৃদয়ের অধিকারী, অন্যজীবদের প্রতি তার মমত্ববোধ থেকেই তা স্পষ্ট।

ধন্যবাদ রাতুল ভাই। ভালো থাকুন।

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:০৮

সৈকত মিত্র বড়ুয়া বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন। ভাল লাগল।

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সৈকত মিত্র বড়ুয়া। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চমৎকার। মন ছুঁয়ে যাওয়া ভাললাগা।

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কবি সেলিম আনোয়ার ভাই। ভালো থাকবেন।

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারন বর্ননা। আমার খুব পাখি পোষার ইচ্ছে ছিল কিন্তু আম্মু কখনই দেন নি। কাউকে বন্দী করার ক্ষমতা আমাদের দেয়া হয় নাই।

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার আম্মু আপনাকে পাখি পুষতে না দিয়ে খুব ভালো কাজ করেছেন। ঠিকই বলেছেন- কাউকে বন্দী করার ক্ষমতা আমাদের দেয়া হয় নাই। তাছাড়া, ঐ বন্দি অবস্থায় পাখি মারা গেলে তার দহন চিরকাল আপনাকে পোড়াতো, যেমন আমাকে পোড়াচ্ছে।

ধন্যবাদ মোজাদ্দিদ ভাই। ভালো লাগলো।

৮| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪

উদাস কিশোর বলেছেন: মন ছুয়ে গেল ।
চমত্‍কার লিখেছেন

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ উদাস কিশোর।

৯| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: পাখির ঘটনাটা খুবই বেদনার্ত। কষ্ট লাগারই কথা। সামান্য পাখির মায়ায়ই আমরা কত কাতর হয়ে পড়ি। এটা থেকে ধারণা করা যায় জীবন থেকে যখন প্রিয় মানুষগুলো চলে, তখন কতটা ক্ষত সৃষ্টি করে। আর যখন নিজের সন্তানরা চলে যায়, তখন বুকটা ভেঙে পড়ার দশা হওয়ার কথা।
তারপরও জীবন চলে যায় জীবনের নিয়মে। তাই যেটুকু সময় হাতে পাওয়া যায়, সেটাকে পূর্ণ ভাবে উপভোগ করাই শ্রেয়। জীবনের অলিতে গলিতে হেঁটে বেড়ানোই বুদ্ধিমানের কাজ। তখন অযাচিত ভালো কিছু পেয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
প্রিয় মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাইকে অভিনন্দন। ধন্যবাদ সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই।

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

সামান্য পাখির মায়ায়ই আমরা কত কাতর হয়ে পড়ি। এটা থেকে ধারণা করা যায় জীবন থেকে যখন প্রিয় মানুষগুলো চলে যায়, তখন কতটা ক্ষত সৃষ্টি করে। আর যখন নিজের সন্তানরা চলে যায়, তখন বুকটা ভেঙে পড়ার দশা হওয়ার কথা। এটাই হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নিষ্ঠুরতা।


তারপরও জীবন চলে যায় জীবনের নিয়মে। তাই যেটুকু সময় হাতে পাওয়া যায়, সেটাকে পূর্ণ ভাবে উপভোগ করাই শ্রেয়। জীবনের অলিতে গলিতে হেঁটে বেড়ানোই বুদ্ধিমানের কাজ। তখন অযাচিত ভালো কিছু পেয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ---- চমৎকার কথা বলেছেন। অনেক ভালো লাগলো।

অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী বাঙালী। শুভেচ্ছা।

১০| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: সাবলিল বর্ননা।

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়।

১১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭

মামুন রশিদ বলেছেন: ছুঁয়ে গেল আপনার অনুভূতি । আমার মেয়ের জন্য একবার একটা পাখি কিনেছিলাম, আপনার মতোই যত্ন নিতাম । একদিন পাখিটা মরে গেল । আমার ছোট মেয়েটা তেমন কিছুই বুঝেনি, কিন্তু আমি কেঁদেছিলাম ।

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পাখি পুষবার অভিজ্ঞতা সবার ক্ষেত্রে প্রায় একই- পাখি হয় মরে যায়, অথবা ছেড়ে দেয়া হয়- সেই পাখির জন্য কষ্টে বুক ভেঙে যায়। এর নাম মায়া ছাড়া আর কী! মায়ার বন্ধন আছে বলেই পৃথিবীতে এত আবেগ, আত কান্না- আর এত সুখ- যেজন্য মন কেঁদে উঠে বলে- ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে।’

অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই।

১২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: নানু বাড়িতে টিকু নামে একটা ময়না ছিল! আমি তখন ক্লাস ৫ এ পড়ি , আমার খালাতো ভাই ইকরাম আর নানু অনেক আদর যত্ন করতো ময়নাকে। বেড়াতে গেলে আমাদের আনন্দ আর বিনোদনের অনেকটাই টিকুকে ঘিরেই ছিল। কিছুদিনের ভিতরেই কথা বলা শিখে গিয়েছিল , অকরাম ভাইকে দেখলেই " ইকু ইকু " বলে ডাকাডাকি করতো।
তার খাবারের জন্য কতশত আয়োজন , ছোট ছোট ফল (নাম মনে নেই , লাল রঙের) অনেক প্রিয় ছিল।
একবার এমন অসুস্থ হয়ে পড়াতে নানু খাঁচা থেকে ছেড়ে দিল , ওকে ডাক্তার ও দেখানো হয়েছিল । শেষমেশ মনে হলো ছেড়ে দিলেই বেঁচে যাবে ।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে ২ মাস পরে আবার ফিরে এলো!
খালি খাঁচার উপরে বসে ছিল আর ইকু ইকু ডাকছিল ( সৌভাগ্য বশত আমি তখন গরমের ছুটিতে নানু বাড়ি তাই এই দুর্লভ দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল )
তার মাস ছয়েক পর আরেকবার সে চলে যায় , তারপর আর ফিরে আসেনি!
মায়ার বাঁধন বড় নিষ্টুর ভাইয়া !

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: টিকুর ঘটনাটা অদ্ভুত। শুধু যে মানুষই প্রাণীদের মায়ায় পড়ে না, অবুঝ পাখিরাও মানুষের মায়ায় জড়িয়ে যায়- টিকু তার প্রমাণ।

কিন্তু একটা বিষয় আমি বুঝতে পারি নি। টিকু ২ মাস পর ফেরত এলে তাকে কি খাঁচায় রাখা হয়েছিল পরবর্তী ৬ মাস?

মায়ার বাঁধন বড়ই নিষ্ঠুর- কঠিন সত্য কথা বলেছেন অভি ভাই।

মন্তব্যে অনেক ভালো লাগা। শুভেচ্ছা।

১৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

সুমন কর বলেছেন: ছোটবেলা যখন, ক্লাস টু’তে পড়ি তখন, বাবা টিয়ে পাখি কিনে দিয়েছিল। মা-বোন-আমি মিলে পাখিকে খাবার দিতাম। বেশ লাগত। কিন্তু বেশিদিন বাঁচেনি। তখন খুব খারাপ লেগেছিল।

আপনার লেখা পড়ে, মনে পড়ল। আবেগী লেখা। ভাল লাগল।

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার টিয়েটিও মারা গিয়েছিল!! পাখি পুষবার অভিজ্ঞতা এমনই করুণ।

ধন্যবাদ সুমন ভাই। শুভেচ্ছা।

১৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১

বটবৃক্ষ~ বলেছেন:


মায়া বড্ড কষ্ট দেয়।।.... সেটা মানুসের জন্যেই হোক কিংবা পাখিদের জন্যে.....
:(

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মায়া বড্ড কষ্ট দেয়।। খুব খাঁটি কথা বলেছেন বটবৃক্ষ।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:১৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কুকুর নিয়ে প্রায় একই রকমের অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে স্কুল জীবনে। আপনার মতো বর্ণনা করার ইচ্ছা যদি আমার কখনও হয়, তবে শেয়ার করবো। আপনার প্রতি-মন্তব্যটি সেদিন পড়ে ভীষণভাবে আলোড়িত হয়েছিলাম। মানব মন কে ‘বুঝিতে’ পারে!

অনেক ধন্যবাদ। আমাকে স্মরণ করার জন্য বিনীত কৃতজ্ঞতা।

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কুকুর নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতাটা নিশ্চয়ই একদিন ব্লগে শেয়ার করবেন, আশা করছি। আমিও আলোড়িত হচ্ছি এই ভেবে যে আমার রিপ্লাইটি পড়ে আপনি আলোড়িত হয়েছিলেন। মানব মন কে ‘বুঝিতে’ পারে!

আপনাকে ধন্যবাদ, এবং আমিও বিনীত কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, প্রিয় মাঈনউদ্দিন ভাই।

১৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৭

এহসান সাবির বলেছেন: আমাদের বাসায় আগে চড়াই পাখি বাসা বাঁধত, আমার আম্মা চাল কিংবা খুদ ছড়িয়ে রাখতেন.. পাখিরা আসত আর মুখে নিয়ে উড়ে যেত... এই দৃশ্য দেখবার জন্য আমরা ভাই বোনেরা ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতাম... পাখি ডিম দিলে আমি গুনতাম কতগুলো ডিম হলো... যখন বাচ্চা হত তখন সারাদিন পাহারা দিতাম বিড়াল যেন না খেয়ে যায়... পাখির বাসার ভিতেরই আমি চাল ছড়িয়ে রাখতাম.... কিন্তু বিড়াল রাতের বেলা ঠিকই খেয়ে যেত... খুব মন খারাপ হতো তখন... দু একটা টিকেও যেত...

আপনার লেখা পড়ে অনেক দিন পর স্মৃতি গুলো মনে পড়ল তাই লিখলাম।

আপনার লেখাট চমৎকা.

শুভকামনা।

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো কথা মনে করিয়ে দিলেন। আমাদের টিনের ঘরের চালের কোনায় চড়ুই বাসা বাঁধতো। কী যে কিচিরমিচির করতো! তখন আমি অবশ্য খুব ছোটো ছিলাম।

আপনাদের অভিজ্ঞতা যেমন মধুর, তেমনি করুণও- বাচ্চাগুলোকে বিড়াল খেয়ে ফেলতো।

ধন্যবাদ এহসান ভাই। ভালো থাকুন।

১৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দারুণ একটা লেখা পড়লাম।

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কাণ্ডারি ভাই। শুভেচ্ছা।

১৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন:
খাঁচায় পাখি পোষা কেন যেন আমাকে অনেক পীড়া দেয়। ছোট বেলায় অনেকের বাসায় পাখি দেখে আমারও ইচ্ছা হত, কিন্তু আম্মু কখনও পাখি পুষতে দেয়নি।

তবে কুকুর, বিড়াল, খরগোশ পুষেছিলাম; অভিজ্ঞতা খুবই মর্মান্তিক; সময় নিয়ে একটা পোষ্ট দেওয়ার ইচ্ছা আছে। আপনি কি "হাচিকো" মুভিটা দেখেছেন? আমার অভিজ্ঞতা প্রায় এই মুভিটার মত। আসলে পোষা পশু এক সময় আর পশু থাকে না পরিবারের একটা অংশ হয়ে যায়।

পাখি নিয়ে আপনার চিন্তা ভালো লেগেছে। জীবন খোঁড়া কবিতাটা অনেক ভালো হয়েছে। শুভেচ্ছা।

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সাইফুল ভাই, আপনার কমেন্টে কবিতাটার কথা শুনে খুব ভালো লাগলো। এ পোস্টের মূল অংশ হলো কবিতাটা। চলো, জীবনকে খুঁড়ে দেখি- মাঝে মধ্যেই হুট করে মনের ভেতর এ কথাটা খোঁচা দেয়। জীবনকে খুঁড়ে খুঁড়ে যা পাই, তা হলো সঘন বেদনা; কিন্তু জীবনের যেই আধারে বেদনা যত তীব্র, সেখান থেকে বোধনও তত মধুর ও উপভোগ্য- তা-ই যেন জীবনকে ক্রমশ একটা সুফলাসম্ভব পরিণতির দিকে ধাবিত করতে থাকে।

ছোটোবেলায় প্রতিবেশি সিনিয়রদের ঘুঘু, কবুতর পুষতে দেখেছি। আমার খুব ইচ্ছে হতো, কিন্তু ওরকম বিলাসিতা করার সামর্থ্য আমার ছিল না। তবে পাখির বাসায় ছোঁ মারা, পাখির পেছনে উড়তে চেষ্টা করা- সবার মতো আমারও এসব করেই বাল্যকাল কেটেছে।

বিড়াল ছিল বাসায়। শীতের রাতে বিড়াল বুকের ভিতর শুয়ে যে ওম দিত, তা ভোলা যায় না। কুকুর ছিল গৃহপোষা কমন প্রাণী। কিন্তু এখন ওসবের কিছুই নেই। ওরা সত্যিই আমাদের পরিবারের অংশ ছিল। খেতে বসলেই ওরা ছুটে এসে কাছে বসে পড়তো। এ কথাটা লিখতে গিয়ে এখন খুব কষ্ট হচ্ছে। আমরা খাচ্ছি- পাশের বাসার একটা ক্ষুধার্ত বাচ্চা পাতের কাছে বসে ফ্যাল ফ্যাল করে খাবারের দিকে তাকিয়ে আছি, কিন্তু আমরা কী নিষ্ঠুর, ওকে এক লোকমা খাবারও সাধছি না! কুকুরগুলোও খুব কাতর চোখে ওভাবে বসে থাকতো, কখন এক লোকমা ভাত ওর সামনে ছুঁড়ে মারি। বিড়ালগুলো বসে থাকতো মাছের হাড় খাবার জন্য। ঐ বয়সে এই ব্যাপারটা এত গভীরভাবে নাড়া দেয় নি, কিন্তু আজ লিখতে বসে মনে হচ্ছে, কত নিষ্ঠুরই না ছিল এ ঘটনাগুলো।

আমি ‘হাচিকো’ দেখি নি ভাই। দেখি, ইউটিউবে একটা সার্চ দিব, সময় করে দেখার চেষ্টা করবো।

ভালো থাকুন সাইফুল ভাই, শান্তির দূত হয়ে।

১৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৬

নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: আমার খালাতো বোনের একটা টিয়া ছিল। টুকটাক কথা বলতো। একদিন কিভাবে যেন মারা গেল। আর পরে তার কি কান্না। আসলে অনেকদিন থেকে পুষে রাখলে এক মায়ার বন্ধন তৈরি হয়। যা সহজে ছাড়ে না।

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পাখি মরে যাওয়ার কথা শুনে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে।

ধন্যবাদ নাহিদ রুদ্রনীল। শুভেচ্ছা।

২০| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:১২

নিশাত তাসনিম বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাই এর পোস্ট এবং মন্তব্য দিনের পর দিন অসাধারণ থেকে অসাধারণ হচ্ছে ।

পাখি ও জীবন নিয়ে লেখা পোস্টটি ভালো লাগলো ।

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মাঈনউদ্দিন ভাইয়ের ব্যাপারে আপনার সাথে আমি শতভাগ একমত।

আপনাকে ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।

২১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭

একলা ফড়িং বলেছেন: পাখি কখনো পোষা হয়নি তবে খরগোশ আর বিড়াল পুষতাম, একুরিয়ামে মাছ ছিল, এত মায়া এত ভালবাসা শেষমেষ শুধুই কষ্ট। শেষ বিড়ালটা মারা যাওয়ার পর ঠিক করলাম আর কখনই কোনো পোষা প্রাণী রাখব না বাসায়।

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এসবে শুধুই মায়া, আর ওরা খুব নিষ্ঠুরভাবে ছেড়ে যায়। খুব কষ্ট।

ধন্যবাদ একলা ফড়িং। ভালো থাকবেন।

২২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: না , তাকে পরে আর খাচায় রাখা হয়নি , আশেপাশে ঘুরাঘুরি করতো !
খুব অবাক হতাম দেখে !

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব অবাক হবার মতোই ঘটনাটা। পাখিরাও মানুষের মায়ায় আটকে পড়ে যায়- তাই ওরা ফিরে আসে।

ধন্যবাদ অভি ভাই।

২৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০১

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রথম ঘটনাটি হৃদয়ছোঁয়া। আর গদ্যপদ্যটি শক্তিশালী শব্দবিন্যাস। পড়তে ভাল লেগেছে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর সাহেব।

২৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৭

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: পাখিদের প্রতি আমার চির আকর্ষণ কিন্তু খাচায় বন্দী পাখি আমার ভালো লাগে না । আমি দাদি বাড়িতে গেলে জঙ্গলে ঘুরতাম পাখি দেখতে । রাজশাহী ইউনিভারসিটির নির্জন জায়গাগুলোতে বসে থাকতাম পাখির ডাক শুনবো বলে । আর আমার নির্জন চিলেকোঠায় ঘুম ভাঙ্গত পাখির ডাক শুনে । আমাদের প্রায় নিসচুপ পাড়া আর প্রচুর গাছ গাছালির কারনে সারাদিনই কাটতো পাখির ডাকে । এমন গভীর রাতেও শুনতাম নাম না জানা পাখির ডাক । এতো বিষণ্ণ সেসব ডাক ! এখন অবশ্য এইসব থেকে অনেক দূরে , বড় হতে চাওয়ার প্রয়োজনে এমন এক শহরে যেখানে ইট ভাঙ্গানোর শব্দে ঘুম ভাংগে আর সারাদিন কাটে গাড়ির হর্নের শব্দে । তবে এই শহরে থাকবো না । আমার এতটা বড় হওয়ার প্রয়োজন নেই যার জন্য আমার হৃদয় উৎসর্গ করে দিবো ।

আপনার লেখা স্পর্শ করে গেলো, অনেক স্মৃতি কাতর করে দিলো । +++++++++++

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পাখিদের প্রতি সব মানুষেরই একটা মায়া জন্মায় বোধ হয়। পাখিদের জন্য আমাদের মন কাঁদে।

আপনিও আমাকে বেদনার্ত করে দিলেন আদনান ভাই।

ভালো থাকুন।

২৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪২

নুসরাতসুলতানা বলেছেন: "পাখিদের জন্য আমার মন আজও কাঁদে"---- শৈশবের কথা মনে পড়ে গেলো।


"চলো, এইবার জীবনকে খুঁড়ে দেখি- হীরে ও মুক্তোর খনি কোন্‌ গহিনে, কতখানি দূরে"----চমৎকার ।

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। মনে হয় অনেকদিন পর ব্লগে এলেন। আশা করি ভালো ছিলেন।

শুভেচ্ছা।

২৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:০৭

রাসেলহাসান বলেছেন: পাখিদের জন্য মায়া হচ্ছে! :(
সুন্দর বর্ণনা। কবিতাটিও ছিল চমৎকার!

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ রাসেল হাসান ভাই। ভালো থাকবেন।

২৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:২২

অদৃশ্য বলেছেন:






পাখিদের প্রতি ভালোবাসার খুব সুন্দর প্রকাশ আপনি করলেন খলিল ভাই... সত্য সবসময়ই সুন্দর... আমি বুঝতে পারছি যে কতোটা ব্যথা পেয়েছিলেন ওই সময়টুকুতে...

আপনার এই ঘটনাটির পর আমার বড় আপার দুটি ঘটনা না বললে শান্তিই পাচ্ছিনা...

আপার টিয়ে খুব পছন্দ... সে বাড়ি থেকে একটি বাচ্চা টিয়া নিয়ে এসে অনেকদিন লালন পালন করলো... তার আদর যত্ন খাওয়া দাওয়া দেখলে মাঝে মাঝে আমারই হিংসা হতো... মনে হতো ওটা জেন পাখিনা অন্যকিছু... এর পর হলো আরো মজার ঘটনা... টিয়াটা কথা বলা শিখে ফেললো... কয়েকটি কথাতো সে খুব সুন্দর ও স্পস্টভাবেই বলতে পারতো... এখন বোঝেন তার কদর কতো আর আদর কতো... এলাকার লোকজন সব টিয়ার কথা শুনতে আসে... প্রশংসা শুনতে শুনতে আপার কানতো ঝালাপালা...
এরপর আপা যেটা করলো সেটা আরও মজার... টিয়াটা এতোদিন খাঁচাতেই ছিলো, দিনে দু'একবার হয়তো বাইরে বের করা হয়েছে... কিন্তু আপা ভাবলো যে সে টিয়াটাকে একদম পোষ মানাবে তাই সে পাখিটার পাখার পালক তুলে বাসার মধ্যে ছেড়ে দিয়ে রাখলো আর খেয়াল করতে লাগলো... এভাবেও অনেকদিন গেলো... আর বিস্ময়ের সাথে দেখলাম যে পাখিটা এই ব্যাপারটাও মেনে নিচ্ছে... সে মুক্ত অবস্থাতেও নিয়ন্ত্রণে থাকার জন্য প্রস্তুত... তাকে ডাকার সাথে সাথে সাড়া দেয়... আপা যে ঘরে থাকে সেখানে পিছে পিছে যায়... যা খুবই মজার ব্যাপার...

আমরাও বিশ্বাস করলাম যে পাখিটা পোষ মেনেছে... এই যে পাখিটার ছোট থেকে বড় হওয়া ও পোষ মানানোর সময়টুকুতে পাখিটা কিন্তু সম্পূর্ণ মুক্ত হতে পারেনি কখনোই... সে প্রথমে খাঁচাতে ছিলো... পরে সে একটি বাসা পেয়েছি যা কিনা সবসময়ই আবদ্ধ থাকতো... জানালাতে নেট আর দরজা সবসময় বাহিরের দরজা সবস সময় বন্ধ...

একদিন কোন কারনে পাখিটা বারান্দার দরজা খোলা পেলো... সে ওদিক দিয়ে বারান্দাতে গেলো এবং গ্রিলের উপর উঠে দাড়ালো (তখন তার পাখাগুলো স্বাভাবিক) আর ডাকাডাকি শুরু করে দিলো... আপা ওর ডাক শুনে গিয়ে দেখে যে সেটা বারান্দাতে... আপা ওকে ডাকতে ডাকতে যখন ভেতরে নেবার জন্য ধরতে গেলো ওমনি পাখিটা গ্রিল পার হয়ে পাশের একটি গাছে উড়ে চলে গেলো... আর এর পর সম্ববত পাখিটার ওড়া আর থামেনি...

আপা প্রায় সপ্তাহ খানেক মহাশোকে ছিলেন... খাওয়া দাওয়া প্রায় বন্ধ...কান্নাকাটি হুলস্থুল কান্ড বাধিয়ে রাখতেন... আমরা পরের কয়েকদিন পাখিটাকে আশাপাশের বাসাবাড়ি আর গাছ বাগান গুলোতে খুজেছিলাম... কিন্তু সেটাকে আর পাওয়া যায়নি...

আপার মতো আমরা কাছের কয়েকজন খাওয়াদাওয়া বন্ধ না করলেও মনে খুব ব্যাথা পেয়েছিলাম...

খলিল ভাই একটি ঘটনাতেই শেষ করছি... পরেরটাও আরেকটা টিয়ার আর এটাও মজার ও কষ্টের...


শেষের কবিতাটি খুব সুন্দর হয়েছে...

শুভকামনা...

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপার পাখির ঘটনাটা খুবই মর্মস্পর্শী। খাঁচার পাখি খোলা আকাশ পেয়েই উড়াল দিল, কিন্তু যে তাকে এত আদর আর ভালোবাসা দিয়েছিল, তাকে ছেড়ে যাবার সময় সেই মায়া তাকে আটকাতে পারলো না। পাখিরা সত্যিই নিষ্ঠুর।

আরেকটা টিয়ে পাখির কাহিনি শুনবার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকলাম।

অদৃশ্য’র জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা, আর চমৎকার কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৩

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: পাখির জন্য মন খারাপ হল :(

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুম ভাই। শুভেচ্ছা নিন।

২৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪

ডট কম ০০৯ বলেছেন: চলো, এইবার জীবনকে খুঁড়ে দেখি- হীরে ও মুক্তোর খনি কোন্‌ গহিনে, কতখানি দূরে

খুড়তে খুড়তে বুড়ো হয়ে গেলাম হীরে মুক্তা তো দূরের কথা লোহাও তো খুজে পাইলাম না।

জীবনের সবচেয়ে বড় আফসুস।

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ ভালোই বললেন আরমান ভাই। তবে আমি বিশ্বাস করি, যাঁরা জীবনকে খুঁড়তে জানেন, তাঁরাই জানেন খনির সন্ধান। জীবন তাঁদের কাছে খুব অর্থময়, আনন্দময়।

ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা আরমান ভাই।

৩০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২২

ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: তুমি আর কেঁদো না...

এমন একটি গান লিখতে পারলে ভালো হতো।
অচিন পাখি, হলুদিয়া পাখি বা পরাণ পাখি সবাই উড়ে যায়।
হয়তো এটাই প্রকৃতি আর পাখিদের নিয়ম।
হৃদয় স্পর্শী লেখা।

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তোমার সান্ত্বনাবাণীর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এমন একটা গান তো মহাকবি জসীমউদ্‌দীনই লিখে গেছেন- আমার সোনার ময়না পাখি------

ভালো থেকো। ধন্যবাদ।

৩১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ,



খুব অবাক হয়েছি গতকালের লেখাটি " আমাদের পাখি" এখানে দেখছিনে বলে । অনেক সুন্দর আবেগময় ছিলো লেখাটি । গতরাতেই দেখেছিলুম । গুছিয়ে মন্তব্যকরার মতো সময় হাতে ছিলোনা বলে আজকে সময় বরাদ্দ করে রেখেছিলুম , যে ঘরে ফিরে প্রথমেই আপনার পোষ্টে মন্তব্য করবো । হতাশ হলুম । খারাপ লাগছে ...

হয়েছে কি আসলে, দিন দুয়েক আগে হঠাৎ এই ঢাকা শহরে কোকিলের ডাক শুনলুম । মনে পড়ে গেল, বসন্ত তো চলে গেছে । এখোন তো চৈত্র মাস উঁকি দিয়েছে মাত্র । এই পোড়ার শহরে কোকিল কোত্থেকে এলো ! সকালের রোদে দাঁড়িয়ে খুব ভালো লাগছিলো কোকিলের সেই ডাক । কতোদিন কোকিলের ডাক শুনিনি !
আর কাল রাতে আপনার "আমাদের পাখি" পোষ্টে ঘুঘুর ডাক দেখতে পেয়ে মনে হলো টেলিপ‌্যাথি ঘটে গেলো কিনা !

জানিনে, ওরকম একটা গাঢ় আবেগময় লেখার ভাগ্যে কি ঘটেছে ! আপনার মুনিয়া পাখিটার মতো আমারও মরন হলো যে.........


শুভেচ্ছা জানবেন ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই,

আপনার কমেন্ট পড়ে যেমন মুগ্ধ ও অভিভূত হলাম, তেমনি লজ্জিত ও বিব্রত বোধ করছি। একটা বিশেষ কারণে পোস্টটি ড্রাফটে নেয়া হয়েছে। পোস্টটা পাবলিশ করার পরই খুব দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ি- একই বিষয়ে পর পর দুটি পোস্ট পাবলিশ করা হলো বলে। শেষমেষ সিদ্ধান্তটি নিয়েই ফেললাম- ড্রাফটেড। ততক্ষণে আরো ৩টা কমেন্ট পড়ে ঐ পোস্টে- আমি ঐ কমেন্টদাতাদের প্রতি ক্ষমাপ্রার্থী।

জানিনে, ওরকম একটা গাঢ় আবেগময় লেখার ভাগ্যে কি ঘটেছে ! আপনার মুনিয়া পাখিটার মতো আমারও মরন হলো যে.........

আপনার আবেগ আমাকে নাড়িয়ে গেলো আহমেদ জী এস ভাই।

তবে কথা দিচ্ছি, ড্রাফটেড পোস্ট অবশ্যই মুক্ত করা হবে।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

চানাচুর বলেছেন: ভালো লাগলো ভাবনা।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.