নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন মানুষ যেভাবে কবি হয়ে ওঠেন; কেন কবিতা লিখি

১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৬





আমার মনে পড়ে, যখন আমাদের পেটে ভালোমতো দানাপানি পড়তো না, নিরন্তর ক্ষুধার ভেতর ঘুমও কোনো সুখ দিত না, মা-বাবার খিটখিটে মেজাজের সামনে আমাদের বয়স খুঁড়িয়ে হাঁটতো, আর আমার ধণাঢ্য বন্ধুরা মোটাতাজা দেহে তরতরিয়ে ছুটে বেড়াতো- ওদের প্রতি কারণে-অকারণে ক্ষোভ হতো; আমি তখন কবিতা লিখতে শুরু করি;



ক্লাসের সুন্দরী মেয়েরা আমার মেধার ভূয়সী প্রসংশা করতো; উচ্চনম্বরের গ্যারান্টি সমেত আমি ওদের উন্নত জাতের নোট করে দিতাম; বিনিময়ে একটা ‘শুষ্ক ধন্যবাদ’ ছাড়া আর কিছুই ওরা আমাকে দেয় নি; আমার কঙ্কালসার শরীর আর ছেঁড়া পোশাকে দারিদ্র্যের চিহ্ন সুস্পষ্ট ছিল; আমার প্রিয় বন্ধুরা প্রায়ই ওদের হাত ধরতো, ওরা খলখল করে হাসতো; ও-সময়ে আমি বোধনের কবিতা লিখেছিলাম; বান্ধবীরা ভাবতো- বড় হয়ে আমি কবিতা লিখেই খাবো; বস্তুত, কবিতা ছাড়া কবির কোনো ধন নেই; কবিতা খাওয়া যায় না;



আমার প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেলো; কবিদের ভবিষ্যত নেই; তাঁরা টিউশনিও করতে পারেন না; তখন আমি আরও কিছু গভীর কবিতা লিখতে পেরেছিলাম বলে মনে করি;



শীতাতপনিয়ন্ত্রিত শয়নকক্ষে কবিতা লিখতে বসে দেখি- এখন আমার কবিতা লেখার একদম প্রয়োজন নেই; সময়ের অপচয়, ব্রেইনের ক্ষয় ছাড়া এটা অন্য কিছু নয় একেবারেই;



মূলত হতদরিদ্র হলেই কবিতা লেখা হয়, অ-দরিদ্রগণের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে; হাতে প্রচুর অর্থকড়ি এলেও কবিতা লেখা হয়ে থাকে; স্বমস্তিষ্কপ্রসূত, অথবা কেনা কবিতা পত্রিকার পাতায় ছাপা হতে দেখা যায়;



একজন দরিদ্র কবি সারাজীবন ধনবতী রূপসীর পাণিপ্রার্থনা করে অসফল হোন; কবিতায় কিছুটা মন গললেও কবিতা খেয়ে জীবনধারণ হয় না; তাই কবিতা ধনবতী নারীকে খুব একটা আকৃষ্ট করতে পারে না- আর যাই হোক, কবিতা ফ্যাশনেবল কোনো সামগ্রী নয়; ধনবতী নারীরাও অবশ্য কখনো সখনো কবিদের ভালোবেসে ফেলেন, সেটা ঝোঁকের মাথায়; কোনো কোনো নারীর কাছে কবিদের সাথে প্রেম এক ধরনের বিলাসিতা;



আমি দেখেছি, উঠতি বালকেরা কবিরোগে আক্রান্ত হয় ব্যাপক; এটা টিন-এজ সময়ের দোষ কিংবা যুগের চাহিদা;



একটা পত্রিকার মালিক হতে পারলে, কিংবা সম্পাদক, কিংবা সাহিত্যের পাতা নিজের দখলে থাকলে কবিতা লিখতে ও ছাপতে বেজায় সুবিধা পাওয়া যায় সম্ভবত; ইন্টারনেট সুবিধা থাকলেও ওয়েব্লগে কবিতা লেখার চর্চা করা যায় দিনরাত, অফিসের কাজ বাদ দিয়ে হলেও;



বঞ্চিতরা কবিতা লিখে বিপ্লব সংগঠন করেন, কবিতা তখন স্লোগান; তখন কবিতার অপর নাম আন্দোলন; কবিতা তখন প্রতিবাদের ভাষা; সমাজ সংগঠনের জন্য, কিংবা স্বাধিকার অর্জনের জন্য কবিতা কখনো কখনো হাতিয়ারের রূপ পরিগ্রহ করে;



যাঁরা দুর্বলচিত্ত, শোষকের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে অপারগ, তাঁরাও কখনো কখনো কবিতার আশ্রয় গ্রহণ করেন; পরোক্ষভাবে শাসকের বুক বরাবর কবিতার তির ছুঁড়ে মেরে কবি তখন জীবনের ভয়ে পালিয়ে বেড়ান; জীবনের মূল্য কবিতার চেয়ে অনেক বেশি; একটা জীবনের সাথে অনেকগুলো জীবন জড়িত থাকে;



আবেগতাড়িত না হলে কবিতা লেখা যায় না; সুখে, দুঃখে, বিজয়ে, পরাজয়ে, হর্ষ ও বিষাদে, প্রাপ্তিতে কিংবা প্রিয় কিছু হারিয়ে গেলে আবেগের জন্ম হয়, অর্থাৎ আমরা তখন কবিতার উন্মেষ ঘটতে দেখি;



সিনিয়র জর্জ বুশ, মার্গারেট থ্যাচার কি কোনোদিন কবিতা লিখেছেন? রাষ্ট্রপতিগণও মাঝেমধ্যে কবিতা লিখে থাকেন বটে; সুন্দরী নারীরা কোনোদিন কবিতা লেখেন না, যদ্যপি লেখেন, বুঝবেন তাঁদের কিছু নিদারুণ ঘা রয়েছে; প্রিন্সেস ডায়ানা কবিতা লেখেন নি; ঐশ্বরিয়া রাইকে কোনোদিন কবিতা লিখতে হবে না- বিশ্বের তাবত কবিপুরুষ তাঁর বন্দনায় মশগুল; তিনি অবশ্য কোনোদিন খোঁজও নেবেন না, পদতলে কারা রেখে গেলো এতো এতো কবিতা ও অর্ঘ্য;



সত্যিকারের দায়বদ্ধতা থেকে কবিতা লেখেন অনেকে; দেশের প্রতি, সমাজের প্রতি, মানুষের প্রতি অপরিসীম মমতায় কবিতা লেখেন প্রকৃত কবি; কেউ কেউ দেশ-জাতি-শিল্প-সাহিত্যকে ‘উদ্ধার’ করার মানসে কবিতা লেখেন; লোক-দেখানো দেশপ্রেম ফুটে উঠতে পারে কারো কারো কবিতায়;



কবিতা লিখতে লিখতে কারো কারো আঙুলে দাগ পড়ে যায়, এবং হৃৎপিণ্ডে এক ধরনের ছারপোকা বাসা বাঁধে; কারো কারো অসুখ হয়, যার নিরাময় শুধু কবিতায়;



কবিতা না লিখলে কারো কারো দম বন্ধ হয়ে আসে; কবিতা না লিখে থাকা যায় না বলেই অনেকে ক্রমাগত কবিতা লেখেন; জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, পানসে, একঘেঁয়ে হয়ে যায় কবিতা না লিখলে; বেঁচে থাকবার জন্য কবিতায় নেশাগ্রস্ত হোন অনেকেই; কবিতার চেয়ে বড় নেশা খুব কম দেখা যায়;



কেউ কেউ এমনি এমনি কবি হয়ে উঠতে পারেন, কোনো কারণ ছাড়াই; মনের আনন্দে কবিতা লেখেন, কেউবা অবসর যাপনের জন্যও লেখেন কবিতা; যন্ত্রণা ও প্রবঞ্চনায়, ব্যর্থতা বা প্রতারণার ঘাতে কবিতা লেখেন অনেকে; অনেকে ঈশ্বর থেকে অলৌকিক ধী-শক্তি প্রাপ্ত হয়ে থাকেন, এবং প্রভূত জ্ঞানের কবিতা লেখেন; তিনি স্বভাব-কবি, কবিতা লেখা তাঁর জন্মগত অভ্যাস; তবে কবিতা লিখবার জন্য প্রতিভা অপরিহার্য নয়- কিছুই না বুঝেও কেউ কেউ কবিতা লিখে থাকবেন, হয়তোবা;



জীবিকার জন্য কবিতা লিখতে হয় কাউকে; কবিতা লিখতে লিখতে ক্রমশ নিঃস্ব, ক্ষয় ও প্রয়াত হোন কেউ কেউ; কোনো কোনো কবি জন্মান মুখে দিয়ে সোনার চামচ, সোনার কলমে লেখেন যুগবিজয়ী, কালোত্তীর্ণ কবিতা;



ভালো না লাগলে কবিতা লিখি, ভাল লাগলেও লিখি।

প্রেমে পড়লে কবিতা লিখি, প্রেম হারিয়ে গেলেও লিখি।

সিঁথিকে কোনোদিন পাওয়া যাবে না, তাই সিঁথির জন্য কবিতা লিখি।

সোমার জন্য কবিতা লিখি- সোমা হারিয়ে গেছে।

মায়ের জন্য কবিতা লিখি; বাবার জন্য, বোনের জন্য, ভাইয়ের জন্য কবিতা লিখি।

প্রিয়তমা স্ত্রীর জন্য, সন্তানের জন্য কবিতা লিখি।

দেশের জন্য, মানুষের জন্য কবিতা লিখি।

গানের জন্য, গল্প বা কবিতার জন্য কবিতা লিখি।

অমর হবার বাসনায় কবিতা লিখি।

কবিতা না লিখলে মরে যাবো, তাই কবিতা লিখি।

অনেক সময় কোনো কারণই খুঁজে পাই না, কেন একটা কবিতা লেখা হয়ে গেলো।



আরও কতো কতো কারণে কবিতা রচিত হতে পারে; কখনো কখনো ইতিহাস হবার জন্যই একটা কবিতার জন্ম হয়; সেটা খুব অক্ষয় কবিতা; যার প্রতিটা চরণ সোনার হরফে ক্ষোদিত হয় কালের পাতায়; সেই কবিকে তখন আর দরিদ্র কবি বলা যায় না কোনোভাবেই।



১৮ এপ্রিল ২০১০ রাত ১০:৪৫

মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

শায়মা বলেছেন: হায় হায়!
সুন্দরী রমণীরা কবিতা লেখেনা!:(

আমি ভাবতাম আমি বুঝি ......:(:(:(








:P :P :P

১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

সুন্দরী নারীরা কোনোদিন কবিতা লেখেন না, যদ্যপি লেখেন, বুঝবেন তাঁদের কিছু নিদারুণ ঘা রয়েছে;

=p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

২| ১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তোমাকে অনেক অনেক জানি,অনেকদিন ধরেই জানি, এটাও জানি তোমার রক্তের ভেতর কবিতা মিশে গেছে!

তুমি আমার কাছে সেরা কবিদের একজন!

১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটা আমার জন্য একটা সেরা কমপ্লিমেন্ট। হয়তো কিছুই হয় না; তবুও কখনো কখনো এমন কিছু কমেন্টের জন্যই কবিতা লিখি ;)

৩| ১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:১১

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দরী নারীরা কোনোদিন কবিতা লেখেন না, যদ্যপি লেখেন, বুঝবেন তাঁদের কিছু নিদারুণ ঘা রয়েছে;


আমার তো মনে হয় এটা সব কবির জন্যই সত্যি ।

কবির দুঃখ, কবিতার উৎস- ভালো লেগেছে ।

১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

সুন্দরী নারীরা কোনোদিন কবিতা লেখেন না, যদ্যপি লেখেন, বুঝবেন তাঁদের কিছু নিদারুণ ঘা রয়েছে;


আমার তো মনে হয় এটা সব কবির জন্যই সত্যি ।

এই তো, প্যাঁঁচে ফেলে দিলেন মামুন ভাই ;) থাক ওসব, আপনার জন্য আরো দুটো কবিতা; যথারীতি পুরোনো ;)


***

সুন্দরীদের কবিতা

সুন্দরীরা কবিতা পড়েন না, কবিতা ভালোবাসেন না,
তাঁরা কবিতা লিখতেও জানেন না;

তুমি বললে, ‘শুধু পড়েনই না, সুন্দরীরা লেখেনও অনবদ্য।’

যেদিন সুন্দরীরাও কবিতা লিখবেন, সেদিন গোলাপ ঝরে যাবে সুন্দরীদের দুঃখে। রাজপথের পিচগলা বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়বে সমগ্র নগরে। হায়, কী এমন দুঃখ পুণ্যবতী ললনাগণের, তাদেরও সোনার পালঙ্কে শুয়ে কবিতা লিখতে হলো?

সুন্দরী, প্রিয় উর্বশিনী, তোমরা কবিতা লিখো না; তোমাদের পাষাণ হৃদয়ে দুঃখ দেবে এমন সাধ্য কি বিধাতারও ছিল?


***

সম্প্রদান কারক

আলেয়া আপুর পা ছুঁয়ে যেদিন বললে, ‘আমাকে তোমার সঙ্গিনী করো, দিদি’, আপু হাসলেন। তারপর তোমার চোখে কালোফ্রেম চশমা, লালপেড়ে সাদা শাড়ি পরনে, বুকের কাছে বই- একদিন আলেয়া আপুকে ছাড়িয়ে হয়ে উঠলে ‘বেগম রোকেয়া’।

তোমার ছুঁচো প্রেমিক সরদার মাখন সাত হালি সার্থক প্রেম শেষে বিয়ে করেছে বেপারি বাড়ির নায়লাকে। তাঁরা গাড়ি চড়ে, এরোপ্লেনে দেশ-বিদেশে ঘোরে।

ক্লাসের সুন্দরী মেয়েরা সুদর্শন বর পেয়ে উড়ে যায় সীমান্ত পেরিয়ে। আমাদের অলাস্যময়ী দরিদ্র বুবুদের কানাখুড়াও যখন জোটে না, তাঁরা চিরকেলে শিক্ষিকা-ব্রতেই অবশেষে যৌবন সম্প্রদান করেন।

৪| ১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:০০

শায়মা বলেছেন: সুন্দরী নারীরা কোনোদিন কবিতা লেখেন না, যদ্যপি লেখেন, বুঝবেন তাঁদের কিছু নিদারুণ ঘা রয়েছে;

হায় হায় এখন আবার ঘা!!!
:( :( :(


তারা বুঝি আনন্দের কবিতা লেখেনা ???



আচ্ছা যাইহোক সুন্দর কবিদের উদাহরণ দাও ভাইয়া। দেখি কোন কোন কবি দেখতে সুন্দর ছিলো.....:)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাদে অন্য কবিদের মাঝে কারা কারা সুন্দর জানতে চাই।:)

১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বেশিদূর গেলাম না, সুকান্ত থেকে এ পর্যন্ত যত কবি জন্মেছেন, তাঁরা সবাই সুদর্শন, বড় জোর একজন ছাড়া :( কাজেই, নরের ক্ষেত্রে সুন্দর-অসুন্দর কথাটা প্রযোজ্য না ;)

৫| ১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

সোহরাব সুমন বলেছেন: তার পরও কবিতা কবিতাই
কে লিখলো, কে লিখলো না; কে পড়ল, কে পড়লো না; ব্যাপার না !

১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সোহরাব সুমন ভাই। শুভেচ্ছা।

৬| ১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
‘তবে তো কবি হলেই ভালো হতো’ শিরোনামে আমার কিছু ভাবনা নথিভুক্ত করে রাখতে চেয়েছিলাম। সেগুলোর অধিকাংশই মিলে গেলো, শুধু ভাষাগত ব্যবধান ছাড়া....

তবে লেখায় আপনার নিজস্বতাকে অস্বীকার করার কায়দা নেই। সেটি আমার খুবই পছন্দ :)

শুভেচ্ছা জানবেন, সোনাবীজ ভাই :)

১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
‘তবে তো কবি হলেই ভালো হতো’ শিরোনামযুক্ত আপনার ভাবনাগুলো পড়বার খুব ইচ্ছে হচ্ছে। কবে পাচ্ছি তাই বলুন মাঈনউদ্দিন ভাই।

লেখায় আমার নিজস্বতার ব্যাপারে যা বললেন, সেটিও আমার জন্য একটা অতি বড় কমপ্লিমেন্ট। সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আপনার জন্যও অনেক শুভেচ্ছা থাকলো প্রিয় মাঈনউদ্দিন ভাই।

৭| ১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: //বঞ্চিতরা কবিতা লিখে বিপ্লব সংগঠন করেন, কবিতা তখন স্লোগান; তখন কবিতার অপর নাম আন্দোলন; কবিতা তখন প্রতিবাদের ভাষা; সমাজ সংগঠনের জন্য, কিংবা স্বাধিকার অর্জনের জন্য কবিতা কখনো কখনো হাতিয়ারের রূপ পরিগ্রহ করে;//

১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ মাঈনউদ্দিন ভাই।

৮| ১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

জেরিফ বলেছেন: কবিতায় হয়ত অনেক প্রেমিকা অপেক্ষা করে , তারা আপনার না কবিতার প্রেমিকা । তাদের অপেক্ষা শুধু আপনার কবিতার জন্য , এটাই বাস্তবতা ।

কবি গুরু বলে গেছেন তার "সোনার তরী" কবিতার মাধ্যমে ।
ভালো লাগা থেকে মানুষ লেখালেখি করে ,হয়ত দু একজন আলাদা ।

ভালো লাগলো আপনার পিছনের গল্প টা , এগিয়ে চলুন যত দূর বিস্তৃত আপনার খোলা মাঠ ।

ভালো থাকুন , সুস্থ থাকুন । উপহার দিন আমাদের আপনার শ্রেষ্ট সৃষ্টি ।

১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

কবিতায় হয়ত অনেক প্রেমিকা অপেক্ষা করে, তারা আপনার না, কবিতার প্রেমিকা। তাদের অপেক্ষা শুধু আপনার কবিতার জন্য।

হায়, এমন যদি হতো! এমন হয় না কেন? অথচ প্রতিটা কবির মনেই এই সুপ্ত বাসনা নিরন্তর ঢেউ খেলে।

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জেরিফ। আমার মনে পড়ে না এর আগে আমার ব্লগে আপনার পদধূলি পড়েছিল কিনা। যাই হোক, সবকিছুর জন্যই অনেক ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

৯| ১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মাঝে মাঝে আমিও কবিতা লিখি , নিজের জন্য ।
জানি ওসব খুবই দুর্বল , কবিতার জাতেও পরে না । তবু মনের
কথাটুকূ অবিকল ওইভাবে প্রকাশ করতে চাই বলে লিখি ।

২০১৩ সালে লিখেছিলাম

আত্মকথন

কতো রাত কেটেছে
ঘুম হয়নি
রাত শেষ হয়ে
ভোর হবে কবে ?
অপেক্ষায় থেকেছি ।
যেন ভোর হওয়াটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু ।

যদি মারা যাই
কোন এক অনির্দিষ্ট রাতে
কি - ই বা এসে যাবে রাতের তারার ?

ভোরের মোরগ
মাধবীলতা
রঙধনু
জুইফুল
কারো ত কিছু আসে - যায় না !

আমেরিকা , রাশিয়া , বাংলাদেশ
হাসিনা - খালেদা - এরশাদ
মেম্বার - চেয়ারম্যান
সংবাদপত্র
টিভি চ্যানেল , ব্লগ , ফেসবুক , টুইটার
কোথাও কারো সমস্যা
কি স্বস্তি
কখনোই হবে না ।

সেকেন্ড , মিনিট , ঘন্টা , আজ , কাল , পরশু
দিন , মাস , বছর , শতাব্দী সভ্যতা
টের ই পাবে না
আমার অর্থহীন চলে যাওয়া ।।


তবু
কতো মূল্যবান
নিজের কাছে - জীবন্ত অথর্ব প্রাণ
আমায় ঘিরে থাকা উচ্ছল কিছু প্রাণের -
দুরন্ত উল্লাস;
মায়াভরা চোখের টান , মমতাময়ী হাসি
ভয়াবহ সুন্দর জীবননাট্যে
কপট অভিনয় করে বেচে থাকার জন্যই
আমার যত গ্লানি ।


মাঝে মাঝে নিজেই বুঝিনা ,। কেন লিখি ।
মাঝে মাঝে এটাকে পাগলামি ছাড়া কিছু মনে হয় না ।
তবে জগতে পাগলামির কিছুটা ঠাই আছে - এই যা ভরসা !


আপনার মা বিষয়ক কবিতাটি আমাকে খুবই স্পর্শ করেছে , ছাই ভাই । বার বার পরেছি ।

এই পোষ্টের সব শব্দএ অনেক অনেক ভাল লাগা থাকল । এই ধরনের পোস্ট অনেক ভাল লাগে ।

হাহাহ , অনেক আউল - ফাউল বাতচিত করে গেলাম । এবার যাই ।
ভাল থাকুন প্রিয় ছাই ভাই ।




আর হ্যা - একটু আগে গুনটার গ্রাসের সাক্ষাতকার পড় ছিলাম


আপনার জন্য এই অংশটা হাদিয়া দিলাম :)


INTERVIEWER

Writing is so unpleasant and painful?

GRASS

It’s a bit like sculpting. With sculpture, you have to work from every side. If you change something here, you have to change something there. Suddenly you change one plane . . . and the sculpture becomes something! There is some music in it. The same can happen with a piece of writing. I can work for days on the first or second or third draft, or on a long sentence, or just one period. I like periods, as you know. I work and I work and it’s all right. Everything’s in there, but there’s something heavy about it. Then I make a few changes, which I don’t think are very important, and it works! This is what I understand happiness to be, something like happiness. It lasts for two or three seconds. Then I look ahead to the next period, and it’s gone.

১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

কত রাত কেটেছে
ঘুম হয় নি
রাত শেষ হয়ে
ভোর হবে কবে?
অপেক্ষায় থেকেছি।
যেন ভোর হওয়াটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু।

যদি মারা যাই
কোনো এক অনির্দিষ্ট রাতে
কি-ই বা এসে যাবে রাতের তারার?

ভোরের মোরগ
মাধবীলতা
রঙধনু
জুঁইফুল
কারো তো কিছু আসে-যায় না!

আমেরিকা, রাশিয়া, বাংলাদেশ
হাসিনা - খালেদা - এরশাদ
মেম্বার - চেয়ারম্যান
সংবাদপত্র
টিভি চ্যানেল, ব্লগ, ফেসবুক, টুইটার
কোথাও কারো সমস্যা
কী স্বস্তি
কখনোই হবে না।

সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টা, আজ, কাল, পরশু
দিন, মাস, বছর, শতাব্দী সভ্যতা
টেরই পাবে না
আমার অর্থহীন চলে যাওয়া।


তবু
কত মূল্যবান
নিজের কাছে - জীবন্ত অথর্ব প্রাণ
আমায় ঘিরে থাকা উচ্ছল কিছু প্রাণের-
দূরন্ত উল্লাস;
মায়াভরা চোখের টান, মমতাময়ী হাসি
ভয়াবহ সুন্দর জীবননাট্যে
কপট অভিনয় করে বেঁচে থাকার জন্যই
আমার যত গ্লানি।


মাঝে মাঝে নিজেই বুঝি না, কেন লিখি।
মাঝে মাঝে এটাকে পাগলামি ছাড়া কিছু মনে হয় না।
তবে জগতে পাগলামির কিছুটা ঠাঁই আছে - এই যা ভরসা!



অসাধারণ লিখেছেন মাহমুদ ভাই। আমি শুধু কবিতার শরীরটা একটু গুছিয়ে লিখেছি আর কী ;)

আমি নিশ্চিত নই, তবু মনে হচ্ছে আপনি ‘আমরা খুব গরীব ছিলাম’ কবিতাটার কথাই বলছেন। ওটা আমার নিজের কাছেও অনেক প্রিয়। এটার উল্লেখে খুব ভালো লাগছে।

কবিতা লিখা বেদনাময় কিনা এ প্রশ্নের জবাবে গুন্টার গ্রাস যা বলেছেন, আসলে সব কবির মনের কথাই তিনি বলেছেন। অর্থাৎ, কবিরা এভাবেই প্লট নির্মাণ করেন, তার সৌন্দর্য ও কারুকার্য বৃদ্ধি করেন। রবীন্দ্রনাথ মনে হয় সবচেয়ে বেশি পরিমার্জন করতেন। সময় পেলেই পুরোনো কবিতা তিনি পরিমার্জন করতেন। পরিমার্জন করতে করতে কবিতার ভাব ও আদলও বদলে যেতে দেখা গেছে। এটা সব কবি বা লেখকেরই স্বভাব।

কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় মাহমুদ ভাই।

১০| ১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭

কয়েস সামী বলেছেন: পড়লাম। ভাল লাগল জেনে কেন কবিতা লেখা হয়। তবে ছবিটা কেন দিলেন?

১৩ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার।

ছবিটা কেন দিলাম? হ্যাঁ, ছবির প্রসঙ্গটা তো দেখছি আপনিই প্রথম তুললেন ;) ছবিটা গৌণ নয়, আবার মুখ্যও নয়। ছবিটা কেন দিলাম কেউ কেউ হয়তো জেনে থাকবেন, এবং কোনো এক কমেন্টে হয়তো সেটা বেরিয়েও আসতে পারে ;)

১১| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩

তিরোহিত ধানিকা বলেছেন: :)

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ তিরোহিত ধানিকা।

১২| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
লেখাটা মন ছুয়ে গেছে, মনে হচ্ছে কবিতা পড়ছি।


আর কথাগুলো কিন্তু সত্য।

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ একজন ঘূণপোকা। শুভেচ্ছা।

১৩| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কবিরা আদতে সব চেয়ে ধনী তা না হলে সেক্সপিয়র কিং অব অল কিংস হলেন কিভাবে? বিজ্ঞানী নিউটনকে বিশাল ব্যাবধানে পরাস্ত করে।
সর্বকালের সেরা বাঙালীর তালিকায়ও কবিদের অবস্থান অনেক ভাল। তাই রাজনীতিবিদ বিজ্ঞানীদের পেছণে ফেলে হয়েছেনে রাজার রাজা্ ।

তবে কবিতা বিভিন্ন কারণে লেখা হতে পারে কারণ গুলো দিয়ে দারুন কবিতা লিখেছেন।পড়ে ভাল লেগেছে।চমৎকার মজাদার পোস্ট অথচ দারুণ বিশ্লেষণধর্মী।

প্রেম থেকে নিঃসৃত কবিতা সেরা কবিতা ।সেটা দেশের প্রেমে হো্ক অথবা নারীর প্রেমে।
এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত অভিমত।

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিরা আদতে সবচেয়ে ধনী- সুন্দর কথা বলেছেন সেলিম আনোয়ার ভাই। এ ব্যাপারে আপনার বিশ্লেষণও সুন্দর।

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা।
ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।


অনেক ভালো থাকুন, প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই।

১৪| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২

ভারসাম্য বলেছেন: সব আসলে বয়সের দোষ, না হয় অভাবের গুণ। ঠিকই বলেছেন। কবিতা-টবিতা কিছু না।

কবিতা দিয়ে কবির পেট ভরে না, সোমার মনও গলে না। তবে আরেক অভাবীর মন ভরে। ভাল লাগলো এই কবিতা।

১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

কবিতা দিয়ে কবির পেট ভরে না, সোমার মনও গলে না। তবে আরেক অভাবীর মন ভরে।

ভালো বলেছেন অভি ভাই।

অনেকদিন পর আপনি কবিতা পোস্ট করেছেন। ভালো লেগেছে তা দেখে। কবিতা অসাধারণ।

এই কবিতাটি ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগছে আমার।

ভালো থাকুন প্রিয় অভি আসলাম ভাই। শুভেচ্ছা।

১৫| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:১০

শামীম সুজায়েত বলেছেন: সম্ভাবত যখন বুঝতে পারলাম, ভালবাসাটা ছিল, ওয়ান সাইড লাভ, তখন ছ্যাকা খাওয়ার যন্ত্রণা অনুভব করে ভেতর থেকেই বেরিয়ে এসেছিল কিছু কবিতা।

সময়ের ব্যবধানে সেই দু:খবোধ মিলিয়ে গেলো,
কবিবোধটাও হারিয়ে গেলো।

আবার যখন মনের ভেতর কাউকে না কাউকে ভাল লাগা শুরু হলো, আবার দেখলাম রোমান্টিক সব কবিতা বের হতে শুরু করেছে।

বাস্তবতা হলো, সত্যিকার অর্থে প্রেম বলতে যেটা বোঝায়, তা কখনও আসেনি আমার জীবনে। তাই বোধ হয় কবিও হয়ে ওঠা হয়নি।

অনেকদিন পর পেলাম আপনার লেখা। এটির প্রেক্ষিতে নিজেকে নিয়ে ভাবলাম কিছুক্ষণ। সেকথা গুলোই গেজিয়ে গেলাম।

ভাল থাকবেন।

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকেও অনেকদিন পর ব্লগে পেলাম শামীম সুজায়েত ভাই। আমার এ লেখা থেকে উৎসারিত আপনার অভিজ্ঞতা বা ভাবনাগুলো জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো।

আপনিও ভালো থাকবেন। পোস্ট পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৬| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:১১

সায়েম মুন বলেছেন: আমার মনে হয় কবিরা নিঃসঙ্গ। এক পরাবাস্তব জগৎ নিয়ে থাকতে পছন্দ করেন। সেখানে সুন্দরী নারী বা প্রেমিকার অভাব হয় না। কিংবা কবিতার উপাদানের অভাব হয় না। যারা বাস্তবতা নিয়ে বেজায় ব্যস্ত তারা কবিতা লেখার অবকাশ পান না। বাস্তবের বেদনায় কোমায় চলে গিয়ে কবি কবিতা লেখেন। ক্রমশ ব্যথা বেদনা বাড়তে থাকলে কবিতার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। আনন্দ বেদনার প্রকাশ ঘটান কবিতার মাধ্যমে। #:-S

আর সুন্দরী নারীরা কবিতা কি লিখবেন তারা তো নিজেই হাজার কবিতার সম্মিলন। ;)

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতা ব্যাপারটাই হলো কল্পনার। কিন্তু এ কল্পনার জন্ম যদি বাস্তব থেকে বা জীবন থেকে নেয়া হয়ে থাকে, তাহলে তা থেকে সৃষ্ট কবিতা হৃদয়গ্রাহী হবে। যে লেখায় জীবনঘনিষ্ঠতা নেই, পরাবাস্তবের প্রেমিক বা প্রেমিকারা কাঁদে বা হাসে, সে-ধরনের লেখা ঠুনকো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

যেসব কবিরা বাস্তব জীবনে বেশি ব্যস্ত থাকেন, নানা ঘাত-প্রতিঘাতে জীবন বইয়ে নেন, তাঁদের কবিতাই সত্যিকারের কবিতা হয়ে ওঠে।

ঐশ্বরিয়া রাইকে কোনোদিন কবিতা লিখতে হবে না- বিশ্বের তাবত কবিপুরুষ তাঁর বন্দনায় মশগুল; তিনি অবশ্য কোনোদিন খোঁজও নেবেন না, পদতলে কারা রেখে গেলো এতো এতো কবিতা ও অর্ঘ্য;


বিনীত ধন্যবাদ প্রিয় কবি সায়েম মুন।

১৭| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

রিফাত ২০১০ বলেছেন: আমি জীবনে অনেক দুঃখ কষ্ট পেয়েছি । একবার প্রেমিকার সাথে সম্পর্কও ভেঙ্গে যায়। অন্যায় ভাবে চাকুরী চলে যায় দুইবার। এমন অনেক সময় গেছে সিগারেট কিনার জন্য ৫ টাকাও পকেটে ছিলোনা।

কিন্তু কখনো কবিতা লিখতে ইচ্ছা করেনাই। আল্লাহর কাছে দোয়া করছি ও সাহায্য চেয়েছি।

আলহামদুলিল্লাহ আমি যখনই আল্লাহকে ডেকেছি এবং তাঁর উপর ভরসা করছি তিনি আমার জন্য যথেষ্ট হয়ে গিয়েছেন। আমি প্রায় সব চেষ্টা করার পরও যখন ব্যর্থ হই তখন আল্লাহর সাহায্য চেয়ে দোয়া করি। আলহমাদুল্লিলাহ আল্লাহ আমার ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্কও জোড়া লাগিয়ে দিয়েছেন। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া এই সম্পর্ক আর কারও পক্ষে জোড়া লাগানো সম্ভব ছিলোনা। আল্লাহ পবিত্র এবং সর্বশক্তিমান। এবং আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ থাকার প্রশ্নই আসেনা।

তাই দুঃখ কষ্টে কবিতা না লিখে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।

কবিতা দিয়ে দুঃখকে সুন্দরভাবে প্রকাশ করা যায় । কিন্তু দোয়া দুঃখ গুলো দূর করে নিজেকে সুখী করার নিশ্চয়তা দেয়।

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
‘তাই দুঃখ কষ্টে কবিতা না লিখে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।’
চমৎকার উপদেশের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু দোয়ার বাণীগুলো কি কবিতা হতে পারে না?

নিচের সুরা দুটো খুব খেয়াল করে আবৃত্তি করুন।

১। সুরা আল-ইখলাস।

কুলহু আল্লাহু আহাদ
আল্লাহুস সামাদ
লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ
ওয়া লাম ইয়া কুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ


২। সুরা আল-কাউসার।

ইন্না আতইনা কাল কাউসার
ফাসাল্লিলি রাব্বিকা ওয়ানহার
ইন্না শানিয়াকা হুয়াল আবতার


দেখুন, আল্লাহর আরশ থেকে আগত মহাবিশ্বের পবিত্রতম ও উৎকৃষ্টতম কবিতা। আমরা পবিত্র কোরান শরীফ পাঠ করি না, আবৃত্তি করি। এ বিষয়ে আমার জ্ঞান নগণ্য, কিন্তু যতটুকু জানি তা হলো এই যে, পবিত্র কোরানের আয়াতগুলো হলো কবিতার মত, এজন্য আমরা কোরান শরীফ পাঠ না করে আবৃত্তি করে থাকি।

এ কথাগুলো বলার উদ্দেশ্য হলো, কবিতা লেখার সাথে আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনার কোনো বিরোধ নেই, যদিও কোরানে সে-যুগের কিছু কবির উল্লেখ আছে বলে আমি জানি, যাঁরা উদ্‌ভ্রান্ত ছিলেন। একজন কবি কীভাবে ধীরে ধীরে কবি হয়ে উঠেছেন, বা কবিতা কী কী কারণে লেখা হয়ে থাকে- এ পোস্টে তার কিছু সাধারণ ধারণা তুলে ধরা হয়েছে।

আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কবিতা লিখি
আমি রাসূলের সন্তুষ্টির জন্য কবিতা লিখি
আমি আল্লহকে পেতে চাই, তাঁর রাসূলকে পেতে চাই
নিভৃতে আমার বক্ষে পবিত্র কা’বা গড়ে ওঠে
আমি মদিনার পথে পথে, নবীজির চরণচিহ্নে চুম্বন মাখতে মাখতে কবিতা লিখি
আমি আমার আল্লাহ ও রাসূলকে পাবার জন্য আমরণ কবিতা লিখি।


সময় পেলে এ দীর্ঘ পোস্টটি আবার পড়বেন। লেখাগুলো খুব সরল, সহজবোধ্য।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮| ১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: একটা দীর্ঘশ্বাস কবিতা লিখতে পারি না, অথচ কত কিছুই তো বলা ছিল। আপনার লেখাটা অনেক ভালো লেগেছে। অসাধারন আপনার লেখার স্টাইল ভাই! চমৎকার।

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার কমপ্লিমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মোজাদ্দিদ ভাই। শুভেচ্ছা জানবেন।

১৯| ১৩ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: হুম ভালো বলেছেন
কিছু কথা আছে, পরে বলে যাবো সময় করে
আপাতত উঠতে হচ্ছে

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ২:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আশা করি পরে কোনো একসময় এসে কথাগুলো বলে যাবেন। ধন্যবাদ।

২০| ১৩ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

ডট কম ০০৯ বলেছেন: আপনার কবিতাও একদিন সোনার অক্ষরে লেখা হোক!!

এই কামনা রইল।

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ২:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আপনার কবিতাও একদিন সোনার অক্ষরে লেখা হোক!!

এই কামনা রইল।

২১| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:২৯

ডি মুন বলেছেন: আপনার বাক্য গঠন অসাধারণ।

ভালো লাগলো :)

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ২:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ডি মুন।

২২| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৬

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: লেখা ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++ অনেক ভালো লাগছে সত্যি ভাই

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ২:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পুরো একলাইন প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নাজমুল হাসান মজুমদার ভাই। ভালো থাকবেন।

২৩| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:০৬

তারছেড়া লিমন বলেছেন: ভাই আপনার লেখনী টা অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। আসলে কি জানেন পাঠক কবিতা গ্রহন করে কবি কে না। জীবনের প্রতিটি বাকে পোড় খেয়ে কবি উগলে দেয় আশার বাণী, কালের নির্মম পরিহাসে তার প্রেয়সি ও ছেড়ে চলে যায় অনাবীল সুখের টানে।তার পর আবার একাকিত্ব ........

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ২:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

পাঠক কবিতা গ্রহন করে কবি কে না। চমৎকার বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ।

২৪| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:০৯

সকাল রয় বলেছেন:

প্রেমিকা নেই কিন্তু প্রেম আছে বলে কবিতা লিখতে পারছি কেননা বিরহ আমার আজন্ম বন্ধু

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ২:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিরহ আপনার আজন্ম বন্ধু বলেই আপনার কাছ থেকে আমরা কবিতা পাচ্ছি। আপনার বিরহকে সাধুবাদ জানাচ্ছি ;)

ধন্যবাদ কবি সকাল রয়। শুভেচ্ছা।

২৫| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১৮

দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: আপনার লেখায় পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা প্রবল ভাবে আছে।
+++

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ২:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এভাবে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দ্য ইলিউশনিস্ট। শুভেচ্ছা।

২৬| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:০২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আমরা কালিদাসের-মধুসূদনের যুগ পেরিয়ে এসেছি বহু বহু কাল আগে, কিন্তু এখন মনে হয়, এই পরিস্থিতিতে তাদের মত করে দীর্ঘশ্বাসে মনের কথা বলার সুচারু ক্ষমতাকে পুনর্জীবিত করার সময় এসেছে।

উপভোগ করলাম পুরোটাই, প্রিয় সোনাবীজ।

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ২:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন প্রোফেসর সাহেব। উপভোগ করেছেন জেনে ভালো লাগলো। বিনীত ধন্যবাদ ও শুভ কামনা থাকলো।

২৭| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১৮

এহসান সাবির বলেছেন: লেখা পড়লাম,

অন্যদের মন্তব্যও পড়লাম।

বেশ!



আবার আসবো।

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ২:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার পুনরাগমনের অপেক্ষায় থাকলাম এহসান ভাই।

২৮| ১৪ ই মে, ২০১৪ ভোর ৫:৩৭

সোহরাব সুমন বলেছেন: প্রত্রিকা ওয়ালারা না ছাপুক তাতেও কোন অসুবিধা নাই, এখন অনেক মাধ্যম, প্রকাশ করা যেতে পারে যখন তখন, পাঠকও নেহাত কম না। তাই পত্রিকাতে কবিতা পাঠানো হয় না। যেহেতু তারা মেইল পর্যন্ত খুলে দেখে বলে নিশ্চিত হতে পারিনি।


আমার কবিতা পড়ার আমন্ত্রণ রইল এই ফেইসবুক পেইজে: https://www.facebook.com/sohrabsumonme

১৫ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিক বলেছেন। এই যুগে পত্রিকার সাহিত্যের চেয়ে ব্লগ বা ফেইসবুক সাহিত্যের পাঠকের সংখ্যা নেহায়েত কম না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো বেশিও হয়ে থাকতে পারে।

ফেইসবুক ওপেন হচ্ছে না এখন। কারণ জানি না। তবে আপনার ভুবনে অবশ্যই যাবো, ফেইসবুক ওপেন হোক দেখি।

ধন্যবাদ সোহরাব সুমন ভাই।

২৯| ১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ৮:০৪

বৃতি বলেছেন: কবিদের ব্যবচ্ছেদ কি সুন্দর করে করলেন ভাইয়া! কবিরা সবটুকু মানবে কি না কে জানে! শায়মা আপু তো অলরেডি আপত্তি জানিয়েছেন :) :) যাইহোক, আপনার লেখার স্টাইলটা চমৎকার! কবিতাটাও সুন্দর।

ছবিটা কার বা কেন- বুঝতে পারলাম না।

১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শায়মা আপুর আপত্তির কথা বললেন, কিন্তু আপনি কতটুকু মানলেন তা জানা গেলো না ;)

লেখার স্টাইল আর কবিতা সুন্দর বলার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এ পোস্ট দেয়ার পর থেকেই মনে হচ্ছিল এ থেকে আরেকটা লেখার জন্ম হতে যাচ্ছে। তার কিছু অংশ অবশ্য এ পোস্ট লেখার দিনই লেখা হয়ে গিয়েছিল, তার সমাপ্তি হলো আজ। আপনার কারণে। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

***

হ্যালো সোমা

হ্যালো সোমা, আমি তোমার নামে এক মেয়েকে খুঁজছি,
হয়তো সে-মেয়ে তুমি নও,
হয়তো সে তুমিই
অথবা আমাকে আরও কাঁদাবে বলে বহু আগেই সে-মেয়ে
পৃথিবীর মাটিতে মিশে গেছে

তার সাথে প্রায় এক যুগ আগে আমার দেখা হয়েছিল, ইন্টারনেটে।
লিটল ম্যাগের জন্য লেখা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি ছেড়ে দিলে
‘সাদা পাতা’ ভর্তি একগুচ্ছ শুভ্র কবিতা পাঠিয়েছিল সোমা।
তাকে বই পাঠানো হয়েছিল।
তার উজ্জ্বল মুখ ও মননের মতো ঝকঝকে ছাপা আর
চমৎকার বাঁধাইয়ে বইটি দেখতে অসাধারণ হয়েছিল।
সে বই পেয়েছিল, জানিয়েছিল মেইলে।
তার বাবা একজন অধ্যাপক, মা এ্যাডভোকেট।

সে কলকাতার মেয়ে। তাঁর উত্তরসূরিরা কুমিল্লায় থাকতেন।
বাংলাদেশের মাটিতেই তার শিকড়- এ কথা জানবার পর
মুহূর্তে সে আমার আত্মীয় হয়ে যায়।

হ্যালো সোমা, আমি কি তোমাকেই খুঁজছি?
যদি সেই সোমা হয়ে থাকো, তাহলে বলো, কেমন আছো?
এরপর শোনো, তোমাকে এতোদিন হন্যে হয়ে খুঁজেছি।
তুমি বেঁচে আছো- শুধু এটুকু জানতেই আমার মন সারাক্ষণ ছটফট করেছে।
বলো সোমা- তুমি কি বেঁচে নেই?

তুমি কি সত্যিই বেঁচে নেই?
একটা জীবন্ত সম্পর্ক মরে যেতে পারে না,
তোমাকে, বা তোমার ফসিল আমি খুঁজছি।
তাহলে, অন্য যে-সোমাই তুমি হও না কেন,
তুমি ভালো থাকো- ভালো থেকো।

যদি দৈবাৎ সেই সোমা তুমি না হয়ে থাকো, তবে
আমার সোমার জন্য প্রার্থনা কোরো- যেন সোমা বেঁচে থাকে,
সুখে থাকে, নিরাপদে থাকে।
এরপর কোনোদিন যদি আমার সোমাকে তুমি খুঁজে পাও,
তাকে বোলো, ‘বাংলাদেশের এক অজগ্রাম থেকে
তোমাকে খুঁজছিল তোমার জন্মগ্রন্থিত ভাই,
যে তোমাকে আজও খুঁজছে, হয়তোবা তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে
পৃথিবী পাড়ি দিয়ে অনেক আগেই চলে গেছে দূরের ভুবনে।’

১৫ মে ২০১৪

৩০| ১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪১

অদৃশ্য বলেছেন:






কথা হলো যে ব্যাথা/কষ্ট পেলে শব্দগুলো ধারালো হয়... আর তা ধারালো হলেই তো অন্যরা ক্ষতবিক্ষত হয়...

কবি হবার অনেক কারন দেখতে পেলাম যা আপনি আপন মাধুরী মিশিয়ে লিখেছে... তা প্রায় সবটাই সত্য...

আমার কাছে সরল কবি বা জটিল কবি সব কবিদেরই ভালো লাগে তাদের অসাধারণ ভাবনা ও তার প্রকাশের জন্য... কবিদের ধনী হবার প্রয়োজন নেই... পৃথিবীর সেরা অনুভূতিপ্রবণ মানুষরা হলেন কবি... আর একজন মানুষের জন্য মূল কথাটিই হলো ফিলিংস... না অর্থ না সম্পদ না সুন্দরী নারী...

যারা বুঝবে তারা বুঝবে আর যারা বুঝবে না বা বুঝতে পারবে না তারা চেষ্টা করুক অথবা না বুঝুক...

আপনার লিখা মানেই বিশেষ কিছু...
শুভকামনা...

১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

কবিদের ধনী হবার প্রয়োজন নেই... পৃথিবীর সেরা অনুভূতিপ্রবণ মানুষরা হলেন কবি... আর একজন মানুষের জন্য মূল কথাটিই হলো ফিলিংস... না অর্থ না সম্পদ না সুন্দরী নারী...

বাহ, চমৎকার বলেছেন।


যারা বুঝবে তারা বুঝবে
আর যারা বুঝবে না
বা বুঝতে পারবে না
তারা চেষ্টা করুক
অথবা না বুঝুক...


এটাও খুব অমূল্য কথা বলেছেন।

এ ছাড়া বাকি যা বলেছেন, তার সবই প্রণিধানযোগ্য।

অনেক ধন্যবাদ এবং অদৃশ্য’র জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

৩১| ১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


হে কবি! নীরব কেন-ফাল্গুন যে এসেছে ধরায়, বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?" কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি- "দখিন দুয়ার গেছে খুলি? বাতাবী নেবুর ফুল ফুটেছে কি? ফুটেছে কি আমের মুকুল? দখিনা সমীর তার গন্ধে গন্ধে হয়েছে কি অধীর আকুল?" "এখনো দেখনি তুমি?" কহিলাম "কেন কবি আজ এমন উন্মনা তুমি?

---- সুফিয়া কামাল

আপনার এই চমৎকার পোস্টটা পড়ে কেন জানি এই কবিতাটা মনে পরে গেল ভাই।

শুভেচ্ছা রইল।

১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বেগম সুফিয়া কামালের নাম দেখেই তাঁর আরেকটা বিখ্যাত কবিতার কথা মনে পড়ে গেলো- ‘পল্লীস্মৃতি।’ কবিতাটা পড়তে খুব ইচ্ছে করছে, কিন্তু ইন্টারনেটে খুঁজে পেলাম না।

আপনার প্রতিও অনেক শুভেচ্ছা থাকলো।

৩২| ১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১

এরিস বলেছেন: অনেক সময় কোনো কারণই খুঁজে পাই না, কেন একটা কবিতা লেখা হয়ে গেলো।

কোন কারণ খুঁজে না পাওয়াটাই হয়তো কবিতা লেখার আরও একটি উপলক্ষ তৈরি করে।
খুব সুন্দর লেখা। একটু আগে বৃতি আপার একটা লেখা পড়লাম একটি কবিতার জন্ম নিয়ে।
আমার কলম বন্ধ্যা হয়ে জন্মেছে। শব্দেরা অধরা থেকে যায়!!

১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মাঝে মাঝে কলম থেমে যায়, আরও দুর্বার হয়ে উঠবার জন্য। আপনি এমনিতেই খুব সাবলীল, বন্ধ্যাত্বের পর যা আসছে তা চারদিক গুঁড়িয়ে দিবে।

পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ,
আর এরিসের জন্য অনেক শুভ কামনা।

৩৩| ১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩

এরিস বলেছেন: সুন্দর ছবিটি কার?

১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর ছবিটা সোমার।

সোমা কে?

বৃতি’র কমেন্টের জবাব দেখুন ;)

৩৪| ১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
কবিতা কেন লিখি কিংবা পড়ি এর উত্তর হয়তো আমার প্রথম কবিতা লেখার পেছনের ঘটনা। আপনি জানেন তাই নতুন করে না বললেও হবে।

তবে একটা বিষয় কি জানেন ব্যক্তিগত দুঃখবোধ থেকে কবিতা লেখা হলে সেই কবিতা যদি অনেকদিন পর পড়েন তবে দেখবেন নিজের জন্য কেমন করুণা হচ্ছে! কিছুদিন আগে এই ব্যাপারটা উপলব্ধি করলাম নিজের লেখা একটা অং বং পড়ে :P

কবিতা হলো কোন এক মুহূর্তের পরিমিত বহিঃপ্রকাশ, তরকারীতে যেমন মশলা পরিমিত হতে হয় তেমনি কবিতাও পরিমিত শব্দের হতে হবে, কম বেশি হলে একেবারে ছারখার।

আপনার পোষ্টের বিপক্ষে বলার সুযোগ রাখেন নাই, আমার কথাগুলোই লিখে ফেলেছেন! ;)

১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জবাব দিতে একটু বেশি সময় নিয়ে ফেলেছি আলাউদ্দিন ভাই, আশা করি ক্ষমা করবেন।

হ্যাঁ, আপনার কবিতা লেখার পটভূমিকা আমার আগের পোস্টেই বলেছেন।

কারো জীবনের লক্ষ্য কোনোদিন ‘কবি হওয়া’ হতে পারে না, কারণ, কবি হওয়া যায় বলে আমি মনে করি না। একজন কবি কীভাবে কবি হয়ে ওঠেন তা হয়তো তিনি নিজেও টের পান না। কবিত্ব একটা সত্তার নাম। এটা একটা সহজাত সত্তা। বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতে, বা হর্ষ-উল্লাসে এ সত্তার উন্মেষ ও বিকাশ ঘটে; এরপর চর্চা বা অধ্যয়নে সেই সত্তা পূর্ণতার দিকে ধাবিত হতে থাকে।

আপনার কথাগুলো খুব মনে ধরেছে। আসলে কবিতা তো সচরাচর ব্যক্তিকই হয়ে থাকে, আর সেগুলো যদি নিজ জীবনের বেদনা থেকে উৎসারিত হয়ে থাকে তবে কালে কালে সেগুলো নিজেকে নাড়া দিবেই। এ ব্যাপারটা আমার ক্ষেত্রে অনেক বেশি ঘটে থাকে। কিন্তু এ কথাটা কেউ কোনোদিন আপনার মতো এভাবে বলেছেন, এমনটা জানাও নেই, পড়াও হয় নি। কিছু কিছু কবিতা, এমনকি খুব মামুলি কিছু লাইন, যা হয়তো কোনো পাঠকের চোখ সহজেই এড়িয়ে যাবে, অথচ আমি জানি তার ভিতরে কী লুকিয়ে আছে- আমি যখনই পড়ি, আমার চোখ ঝাঁপসা হয়ে আসে, বুক ছটফট করে- এই হাহাকার কোনোদিন কোনো পাঠককে হয়তো ছুঁতেও পারবে না।

কবিতা হলো কোন এক মুহূর্তের পরিমিত বহিঃপ্রকাশ, তরকারীতে যেমন মশলা পরিমিত হতে হয় তেমনি কবিতাও পরিমিত শব্দের হতে হবে, কম বেশি হলে একেবারে ছারখার। এ কথাটাও খুব চমৎকার বলেছেন।

অনেক ধন্যবাদ আলাউদ্দিন ভাই, সুন্দর কমেন্টের জন্য।

শুভেচ্ছা।

৩৫| ১৬ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: দুঃখী বা রঙিলা মনেই কবিতা লিখতে হবে বা কাব্য স্ফূরিত হবে তাও হয়তো আংশিক সত্য; সবচেয়ে বড় কথা কবিতার জন্য একটা কবি মন থাকা চাই। কখনো কাকতালীয় ভাবেও কবিতা লেখা হয়ে যায়। কারো প্রভাব থাকতে পারে আবার বিনা কারণেও লেখা হয়ে যেতে পারে একটি কবিতা।

আমি বলতে চাই না যে, কবি হতে হলে একটা পোড়া কলিজা হতে হবে। যদিও দেখা যায় বেশিরভাগ কবিতাতেই লেপ্টে থাকে কলিজা পোড়া গন্ধ বা পোড়া কলিজার বাষ্প।

আবার শব্দের পর শব্দ সাজিয়েও কবিতার মতো ভালো কিছু একটা হয়ে যায়। পাঠক তা নিয়েও নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

তবে আপনার সঙ্গে শতভাগ সহমত যে, যার অপ্রাপ্তি নাই তার ভাবনাতেও কাব্য নাই। তাই হয়তো খুব সুন্দর নারী-পুরুষ বা ধনাঢ্য মানুষ কবিতার ধারে কাছে যাবার সময় পায় না। বিশেষ করে কাব্য চর্চার জন্যে প্রয়োজন বেশ কিছু মুক্ত সময়। ওই দুই শ্রেণির সে সময় কোথায়?

১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জুলিয়ান ভাই, আপনি অনেক দিন বাঁচবেন ইনশাল্লাহ। আজ ফেইসবুকের পুরোনো স্টেটাসগুলো ঘাঁটছিলাম একটা বিশেষ কারণে। সেখানে আপনার কমেন্ট পড়তে গিয়েই মনে পড়লো ব্লগে বা ফেইসবুকে বহুদিন হলো আপনার সাথে কোনো সাক্ষাৎ নেই। এখন ব্লগে এসেই আপনাকে পেলাম। ভালো লাগছে। আশা করি ভালো আছেন।

এই ফাঁকে আপনার ব্লগও ঘুরে এলাম- ১০ জানুয়ারি ২০১৪-তে আপনার সর্বশেষ গল্প ‘যুদ্ধ ও মানসাঙ্কের গল্প’, এরপর আর কোনো পোস্টে নেই :(

যাই হোক, ধরে নিচ্ছি খুব ব্যস্ত ছিলেন/আছেন, তাই এদিকে কম আসছেন। আশা করি ব্যস্ততা কমে আসবে, আপনি আগের মতো রেগুলার হবেন।

এরপর কবিতা বা কবিতা লেখার ব্যাপারে যা বললেন, তার উপর আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা থাকলো। প্রত্যেকেই নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্লেষণ করে থাকেন, কখনো তা সবার সাথে মিলে যায়, কখনো বেশিরভাগ, কখনোবা সামান্য। আপনার মতামতের সাথে আমার যতটুকু মিলেছে তাতেই আমি সন্তুষ্ট, বাকিটুকু আত্মস্থ করতে চেষ্টা করবো।

শীঘ্রই আপনার নতুন পোস্ট পাবো- এই আশা থাকলো।

ভালো থাকুন প্রিয় জুলিয়ান ভাই।

৩৬| ১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
কবিতা পাঠে আনন্দ পাই।
আর এ কারনে মাঝে মাঝেই মনে হয়, নিজেই একটা কবিতা লিখে ফেলবো।
কবিতার মতো কবিতা, যেরকম কবিতায় মুগ্ধ হই। :)

পারিনা। কবিরা কেমনে যে পারেন।

২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আশরাফুল ভাই।

৩৭| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:২২

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: খুবই ভালো লেগেছে ভাই । খুবই । আজ সুন্দর সুন্দর সব কবিতা পড়ছি সব!

২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আদনান ভাই।

৩৮| ২২ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫২

সোমহেপি বলেছেন: অনেক তৃপ্তি পেলাম খলিল ভাই। আপনার নামটা অনেক পুরোনো হয়ে গেছে পাল্টান। কবিদের নাম সবকালের সেরা আপডেটেটড নাম থাকতে হয়।

কবিরোগে ' ?

২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তৃপ্তি পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।

আমার কোন্‌ নামটা বদলাবো? ওরিজিন্যালটা, নাকি নিকনেইমটা? ;)


আপনাকে হারিকেন দিয়ে খুঁজছি, কোথায় আপনি?

৩৯| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫২

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আপনার আরও উন্নতি কামনা করি । :)

২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৪০| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৭

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
ঠিকানা দিয়েছি,

রিকোয়েস্ট পাঠান ।

কেন কবিতা লিখি তা পরে না হয় আরেকদিন বলা যাবে !

২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ;)


ধন্যবাদ।

৪১| ৩১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:০২

স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: কবিতা ভাল লেগেছে কবি হবার কারনগুলো সুন্দর ও সাবলীল ভাবে তুলে ধরেছেন.
আপনার এই ছবির রহস্য ও অতি শিঘ্রই উন্মোচন করুন কৌতুহল কাজ করছে|

৩১ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

ছবির রহস্য এখানে পাবেন, যদিও এ পোস্টেও কিছুটা ক্লু দেয়া ছিল ;)

৪২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:



ভাবনার সাগরে ফেলে দিলেন । ভাবছি আমি কেন কবিতা লিখি !

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভাবনায় পড়ে গেলেন নাকি? বলেই ফেলুন, কবিতা কেন লেখেন। :)

৪৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

বিদগ্ধ বলেছেন:


কবিতা না লেখলে হয়তো দুর্ধর্ষ খুনী হয়ে যেতাম এতদিনে। কাকের চেয়ে খুনী কিন্তু ভালো না।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কাকের চেয়ে এদেশে কবির সংখ্যা বেশি- এটি একটি নিকৃষ্ট উপমা। যারা এটা বলেন তারা কবিদের প্রতি খুব অসূয়াপ্রসূত হয়েই বলেন। অন্যদিকে, কাককে আমরা যত কুৎসিতই বলি না কেন, কাক আর শকুন হলো সবচেয়ে উপকারী পাখি, যেগুলো পঁচা-নোংরা খেয়ে আমাদের পরিবেশ সুন্দর রাখে।

যাই হোক, আপনার কথাটা দারুণ। কবিতা না লিখলে আপনি একজন সন্ত্রাসী, ডাকাতও হয়ে উঠতে পারতেন। কবিতার আশীর্বাদেই আপনি কবি হয়ে গেছেন। অভিনন্দন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.