নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
হ্যালো সোমা, আমি তোমার নামে এক মেয়েকে খুঁজছি,
হয়তো সে-মেয়ে তুমি নও,
হয়তো সে তুমিই
অথবা আমাকে আরও কাঁদাবে বলে বহু আগেই সে-মেয়ে
পৃথিবীর মাটিতে মিশে গেছে
তার সাথে প্রায় এক যুগ আগে অন্তর্জালে আমার দেখা হয়েছিল
লিটল ম্যাগের জন্য লেখা চেয়ে বিজ্ঞপ্তি ছেড়ে দিলে
‘সাদাপাতা’ ভর্তি একগুচ্ছ শুভ্র কবিতা পাঠিয়েছিল সোমা।
তাকে বই পাঠিয়েছিলাম
তার উজ্জ্বল মুখ ও মননের মতো ঝকঝকে ছাপা আর
চমৎকার প্রচ্ছদে বইটি দেখতে অসাধারণ হয়েছিল।
সোমা বই পেয়েছিল, জানিয়েছিল মেইলে
তার বাবা অধ্যাপক, মা একজন এ্যাডভোকেট
সোমা কলকাতার মেয়ে। তার বাবার জন্ম সিলেটে, ময়মনসিংহে মায়ের বাড়ি।
বাংলাদেশের মাটিতেই তার শিকড়- এ কথা জানবার পর
মুহূর্তে সে আমার আত্মীয় হয়ে যায়।
হ্যালো সোমা, আমি কি তোমাকেই খুঁজছি?
যদি সেই সোমা হয়ে থাকো, তাহলে জলদি বলো, এই যে তুমি বেঁচে আছো-
এ কোনো স্বপ্ন নয়। জলদি বলো- তুমি খুব ভালো ছিলে। সুস্থ ছিলে।
এরপর শোনো, তোমাকে এতোদিন হন্যে হয়ে খুঁজেছি।
তুমি বেঁচে আছো- শুধু এটুকু জানতেই আমার মন সারাক্ষণ ছটফট করেছে।
বলো সোমা- তুমি কি বেঁচে নেই?
তুমি কি সত্যিই বেঁচে নেই?
একটা জীবন্ত সম্পর্ক মরে যেতে পারে না,
তোমাকে, বা তোমার ফসিল আমি খুঁজছি।
তাহলে, অন্য যে-সোমাই তুমি হও না কেন,
তুমি ভালো থাকো- ভালো থেকো।
যদি দৈবাৎ সেই সোমা তুমি না হয়ে থাকো, তবে
আমার সোমার জন্য প্রার্থনা কোরো- যেন সোমা বেঁচে থাকে,
যেন সুখে থাকে, সোমা যেন নিরাপদে থাকে।
এরপর কোনোদিন যদি আমার সোমাকে তুমি খুঁজে পাও,
তাকে বোলো, ‘বাংলাদেশের এক অজগ্রাম থেকে
তোমাকে খুঁজছিল তোমার জন্মগ্রন্থিত ভাই,
যে তোমাকে আজও খুঁজছে, হয়তোবা তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে
এতোদিনে সীমান্ত ছুঁয়েছে, হয়তোবা এমনও হতে পারে-
সীমান্ত পেরিয়ে এখন সে নিজেই নিখোঁজ হয়েছে।’
১৫ মে ২০১৪
পাদটীকা
আমার গত পোস্টেও এ ছবিটা দেয়া হয়েছিল। ছবির মেয়েটা কে- এ প্রশ্ন ছিল অনেকের। মেয়েটার নাম সোমা। সে কবিতা লেখে, গল্প বা আর্টিকেল লেখে। আবৃত্তি করে, অভিনয় করে। শিল্পের অনন্য কলাগুলো তার মুখস্থ। আমি তার ঠিকানা জানি, পরিচয় জানি। কিন্তু তাকে আমি খুঁজে পাই না।
সে বেঁচে আছে- এটাই আমার সবচেয়ে বড় চাওয়া।
উৎসর্গ
আমার গত পোস্টটি যাঁরা পড়েছেন, তাঁদের সবাইকে।
১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সত্যিই খুঁজে পেতে চাইলে কলকাতার কাগজে বিজ্ঞাপন দিন।
হাহাহাহাহাহা দারুণ আইডিয়া দিয়েছেন অভি ভাই
এখানে একটা বিষয় উহ্য আছে- ‘হ্যালো সোমা’ সম্বোধনে আমি কি সোমার সাথে ফোনে কথা বলছি? নাকি চিঠি লিখছি? নাকি মেইল লিখছি? নাকি ব্লগ বা ফেইসবুকে বা পত্রিকায় খোলা চিঠি পাবলিশ করছি? এটা পাঠকের উপর ছেড়ে দিয়েছি। এর বাইরেও কিছু হতে পারে।
কবিতা মুক্তমঞ্চে একবার এ নামে একজনকে দেখেই নক করি। সে কোন্ সোমা উর্ধ্বশ্বাসে তাঁর কাছে তা জানতে চাইলে তিনি হাসিমুখে বলেছিলেন- আমি যাঁকে খুঁজছি তিনি সেই সোমা নন এরপর পরিচিত-অপরিচিত অনেকের সাথেই ব্যাপারটা শেয়ার করেছি। কিন্তু কোনো হদিশ পাওয়া যায় নি। সোমার সাথে ঐ সময়ে নিয়মিত মেইল আদান-প্রদান হতো। সে একবার গুরুতর অসুখে পড়েছিল, এবং তা কাটিয়ে সুস্থ হয়েছিল। এরপর অনেকদিন ওর সাথে যোগাযোগ নেই। সর্বশেষ যে মেইলগুলো আমি পাঠিয়েছিলাম তার কোনো উত্তর আসে নি। সোমার কাছ থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়াটাই হলো আমার দুশ্চিন্তার একমাত্র কারণ। সোমার তাহলে কী হলো?
পাঠ ও প্লাস দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় অভি ভাই।
শুছেচ্ছা।
২| ১৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ব্লগে পোস্ট করলে পাবলিক প্রপার্টি হয়ে যায় । আর তাই নির্দ্বিধায় আপনার ভালো লাগা কোন মানুষকে আমাদের ভালো লাগা অন্যায্য কিছু নয় ।
হিংসা! হিংসা!!
১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সোমা কলকাতার মেয়ে। তার উত্তরসূরিরা কুমিল্লায় থাকতেন।
বাংলাদেশের মাটিতেই তার শিকড়- এ কথা জানবার পর
মুহূর্তে সে আমার আত্মীয় হয়ে যায়।
সোমা কি শুধু আমারই আত্মীয়? না। সোমা আমাদের সবার হয়ে গেছে। হেলেনের জন্য ট্রয় নগরী পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সুমনার জন্য শত্রু হয়ে যেতে পারে বন্ধু, একটা যুদ্ধ থেমে যেতে পারে সোমার কারণে। সোমা বৃহত্তর বন্ধনের যোগসূত্র হতে পারে। সোমা সেজন্য আমাদের সকলের হয়ে গেছে।
আপনার হিংসা দেখে আমি কিন্তু কলার ঝাঁকি দিয়েছি
ধন্যবাদ মামুন রশিদ ভাই। ভালো থাকবেন।
৩| ১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: আমাকে বলেন আমি খুঁজে দিই! বছর খানেক লাগবে!
১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিক আছে, খুঁজে দিন
শুভ কামনা থাকলো আপনার জন্য।
৪| ১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭
সকাল রয় বলেছেন:
এই কবিতাগুলো ভালো লাগে খুব।
ধন্যবাদ কবি
১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ‘এই কবিতাগুলো ভালো লাগে খুব।’ আপনার এ কথা আমাকে পাগল করে দিল আসলে আমার নিজেরও এভাবে লিখতে ভালো লাগে, তাই এরকমই লিখা হয়ে যায়, আর এরকম লেখা আমারও অনেক ভালো লাগে।
ধন্যবাদ কবি সকাল রয়।
৫| ১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২২
পার্থ তালুকদার বলেছেন: হৃদয়ে শিহরন অনুভব করেছি !
১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।
৬| ১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: সোমাকে খুঁজে পাইলে একটা মিসকল দিয়েন ভাইয়া
১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি আপু, সোমাকে খুঁজে পেলে আপনাকে কল করে জানাবো
এতক্ষণ পুরোনো মেইল দেখলাম। ২৯/০১/২০০৫ তারিখে সোমার সর্বশেষ মেইল পেয়েছিলাম। ৩০/০১/২০০৫ তারিখে ঐ মেইলের জবাব দেয়ার পর ১৫/১০/২০০৬ তারিখে সোমাকে আরেকটা মেইল পাঠিয়েছিলাম।
আমি তোমাকে খুঁজছি
তুমি কোথায়? বেঁচে আছো? আমি তোমার কোনো উত্তর পাচ্ছি নাকেন? তোমার কী হয়েছে? বড় ধরনের কোনো অসুখ?
৭| ১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭
সুমন কর বলেছেন: প্রথমে ছবি ও নাম দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম ! একটু চেনা চেনা ! যা হোক কবিতা পড়ে সব জানা গেল, আমার ধারণা ভুল ছিল।
কবিতায় ভাল লাগা।
১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে কিন্তু আমিও ভয় পেয়ে গিয়েছিলুম যা হোক, আমার ধারণাও ভুল ছিল
সোমার একটা কবিতা পড়ুন।
৮| ১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার উৎসর্গ দেখে প্রথমে হাতের ডানপাশে চোখ রাখলুম -আগের পোস্টখানাতে ছিলাম ত ? দেখার পর শান্তি পেলুম
ভারসাম্য বলেছেন:সত্যিই খুঁজে পেতে চাইলে কলকাতার কাগজে বিজ্ঞাপন দিন।
না চাইলে, তাকে খুঁজে খুঁজে আরো কয়েকটা কবিতা লিখুন।
না চাওয়াটাই লাভজনক, আমাদের কাছে। আগের কবিতাখানা তো সেইরকম ভাল লেগেছিল। এটায়ও +++
হাহহা , উনার মন্তব্যে ঝাঝা আমিও উনার সাথে .........
মাইনুল ভাই অহনো আহে নাই ক্যারে ? তারে মিসাই !!
আ[প্নার কবিতার হ্যালো শন্দটাও খুব ভাল লেগেছে - এটার আবেদন টা বাংলা শব্দে আসে না ।
ভাল থাকুন প্রিয় ছাই ভাই
১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আগের পোস্টে আপনি বহাল তবিয়তেই ছিলেন। একটা অসাধারণ কবিতাও উপহার দিয়েছিলেন ঐ পোস্টে।
যে হারিয়ে যায়, তার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি বোঝা যায়- অন্তরে, বেদনায়। গত পোস্টের কোনো এক জায়গায় সোমার উল্লেখ ছিল- পোস্ট বড় হওয়ার কারণে সোমা নামটি চোখ এড়িয়ে গেছে।
সিঁথিকে কোনোদিন পাওয়া যাবে না, তাই সিঁথির জন্য কবিতা লিখি।
সোমার জন্য কবিতা লিখি- সোমা হারিয়ে গেছে।
এতো বড় পোস্টে মাত্র একবার সোমা উচ্চারণেই সোমার ছবি টাঙিয়ে দিলাম? ঠিক তাই। হারিয়ে যাওয়া মানুষের উপস্থিতিটা বাইরে বোঝা যায় না, বোঝা যায় ভিতরে। সোমাকে এবার ভিতর থেকে বাইরে নিয়ে এলাম।
মাঈনউদ্দিন ভাইয়ের বিশেষজ্ঞ মতামতের জন্য আমিও অধীরভাবে অপেক্ষা করছি।
‘হ্যালো’ শব্দের প্রয়োগ সার্থক হয়েছে জেনে ভালো লাগছে। ‘হ্যালো’ বসাবার আগে অনেক ভেবেছিলাম অবশ্য।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মাহমুদ ভাই।
৯| ১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১২
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
সোমা ভালো থাকুক। সোমার সাথে আপনার দেখা হয়ে যাক।
প্রার্থনা থাকলো।
কবিতা ভাল্লাগছে।
১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সোমার সাথে আপনার দেখা হয়ে যাক। প্রার্থনা থাকলো।
দেখা হয়ে যাক, এটা অবশ্য কোনো প্রার্থনা নয়, সোমা যে বেঁচে আছে, ভালো আছে, এ খবরটা আমার কাছে এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে মনে হয়েছে, সে হঠাৎ নীরব হয়ে গেছে। কারণ কী হতে পারে?
ধন্যবাদ আশরাফুল ভাই। ভালো থাকবেন। সোমার একটা কবিতা দিলাম নিচে।
১০| ১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭
শায়মা বলেছেন: সোমাকে অনেক অনেক ভালো লাগছে। চোখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে বুদ্ধিদীপ্ত চোখ।
১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মানুষ পড়ার দারুণ ক্ষমতা আপনার। প্রশংসা করলাম।
সোমাকে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। কবিতা?
ধন্যবাদ আপু।
১১| ১৭ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬
আমি চাই বলেছেন: ভাই আমার তো মনে হয় আপুর চুল এখন বড় হয়েছে তাই আপনি চিনতে পারছেন না :/ :p
১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন তো! কিন্তু তার চুল বড় বা ছোটো, তা-ই বা আমি জানবো বা দেখবো কীভাবে? তার লেটেস্ট ফটোগ্রাফ আমার কাছে নেই, তাকে তো দেখছিই না গত প্রায় এক দশক হয়ে গেলো।
ধন্যবাদ।
১২| ১৭ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫
ডি মুন বলেছেন: তুমি কি সত্যিই বেঁচে নেই?
একটা জীবন্ত সম্পর্ক মরে যেতে পারে না,
তোমাকে, বা তোমার ফসিল আমি খুঁজছি।
খুঁজে যান। হয়তো একসময় পেয়ে যেতেও পারেন। আর না পেলেও তো ক্ষতি নেই। কবিতা তো রইলোই।
শুভেচ্ছা
১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সোমা কি আর হারিয়ে যেতে পারে?
ধন্যবাদ ডি মুন।
১৩| ১৭ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯
ডট কম ০০৯ বলেছেন: দারুন কমন পড়ছে!!
আমার জীবনে পঠিত সেরা কবিতার একটা হয়ে থাকল।
যদি দৈবাৎ সেই সোমা তুমি না হয়ে থাকো, তবে
আমার সোমার জন্য প্রার্থনা কোরো- যেন সোমা বেঁচে থাকে,
১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার পঠিত সেরা কবিতার একটা! আনন্দে বুক ফেটে যাচ্ছে দেখি বিরাট কমপ্লিমেন্ট আমার জন্য। ধন্যবাদ আরমান ভাই।
শুভেচ্ছা।
১৪| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।
সোমাকে খুঁজে পান। এই কামনা থাকলো ।সোমা কিন্তু ঠিকই কবিতায় স্থান করে নিয়েছে।
দারুন লিখেছেন কবি ।
১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন- সোমা ঠিকই কবিতায় স্থান করে নিয়েছে।
ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই। শুভেচ্ছা।
১৫| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪২
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: দারুণ ভালো লাগলো কবিতাটি।
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। আশা করি ভালো আছেন ভাইয়া।
ভালো থাকুন ভাইয়া। শুভকামনা রইল
১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, আমাদের দেখাও হলো অনেকদিন পর। আমি ভালো আছি। আশা করি আপনিও।
কবিতা ভালো লাগলো জেনে ভালো লাগছে।
অনেক ধন্যবাদ কবিতা পড়ার জন্য।
শুভেচ্ছা।
১৬| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:২৭
রাতুল_শাহ বলেছেন: সুন্দর, পড়ে ভালো লাগলো।
১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ রাতুল ভাই।
১৭| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৫১
ভারসাম্য বলেছেন: আমার কিন্তু 'সোমা' নামটি চোখ এড়ায় নি গত পোস্টেও।
কবিতা হোক আরও।
১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সোমা আপনার চোখ এড়ায় নি- এটা জেনে ভালো লাগছে অভি ভাই। ধন্যবাদ আবার এসে এ খবরটা জানানোর জন্য।
১৮| ১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮
সোহানী বলেছেন: আরে এতো অসাধারন কবিতা.... আপনার বা সোমার.......
সোমা আপনার মাঝে ফিরে আসুক এ কামনায়!!!!
১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আরে এতো অসাধারন কবিতা.... আপনার বা সোমার.......
ভালো বলেছেন
পাঠ ও শুভ কামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৯| ১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:১২
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
‘বাংলাদেশের এক অজগ্রাম থেকে
তোমাকে খুঁজছিল তোমার জন্মগ্রন্থিত ভাই,--- ভাই লিখে দিলেন তো ঝামেলা লাগিয়ে
আপনার কবিতাটা এখানেও রক্তক্ষরণ করে ছাড়লো
আপনার সোমা আর আমার________ (থাক নাম না বলি) যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক
১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হয়তো ঝামেলা পাকিয়ে ফেলেছি, কিন্তু কবিতার ভিতর আমি যেখানে সবচেয়ে বেশি দরদ অনুভব করেছি, আপনি তা থেকে দুটো লাইন উদ্ধৃত করেছেন। সোমার সাথে একটা সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা আছে এখানে। সোমা আর আমার শিকড় একই মাটিতে গ্রোথিত। একটা আত্মজ সম্পর্ক রয়েছে জন্মসূত্রেই। তার প্রতি রয়েছে সুগভীর মমত্ব, তার বেঁচে থাকার খবরই কেবল প্রাণের আকুলতাকে লাঘব করতে পারে।
কিন্তু সম্পর্কটা এর বাইরেও হতে পারে। আরও অসীমের দিকে।
আপনার ____ও ভালো থাকুন। আমিন।
ধন্যবাদ আলাউদ্দিন ভাই।
ফেইসবুকে আপনাকে পাচ্ছি না কেন?
২০| ১৮ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: ভাল্লাগসে ভাই । কবিতাও ভাল্লাগসে, পেছনের ইতিহাস আরও বেশি
২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সবকিছু ভালো লেগেছে জেনে অনেক আনন্দিত, আদনান ভাই। ধন্যবাদ ও শুভ কামনা আপনার জন্য।
২১| ১৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:০৯
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
একফালি ঘাস ধূসর থেকে সবুজ হয়ে ওঠে !!
খুব ছুঁয়ে গেল আপনার ও সোমার কবিতা !
সোমা সবুজ হয়ে উঠুক আপনার ধূসর/তৃষিত জীবনে ।
২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
একফালি ঘাস ধূসর থেকে সবুজ হয়ে ওঠে!
চমৎকার একটা কথা বলেছেন তো! এক্লাইনেই এক কবিতা! দারুণ।
ধন্যবাদ স্বপ্নচারী গ্রানমা।
২২| ১৯ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: হয়তোবা এমনও হতে পারে-
সীমান্ত পেরিয়ে এখন সে নিজেই নিখোঁজ হয়েছে।’
সোমার জন্য শুভকামনা!
২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
‘বাংলাদেশের এক অজগ্রাম থেকে
তোমাকে খুঁজছিল তোমার জন্মগ্রন্থিত ভাই,
যে তোমাকে আজও খুঁজছে, হয়তোবা তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে
এতোদিনে সীমান্ত ছুঁয়েছে, হয়তোবা এমনও হতে পারে-
সীমান্ত পেরিয়ে এখন সে নিজেই নিখোঁজ হয়েছে।’
অনেকবার এডিট করা হয়েছে এ লাইনগুলো, এডিটিং এখনও চলছে- মনের ভিতরে যে অতৃপ্তি, কীভাবে প্রকাশ করলে তা নিবারিত হবে, কেবল তার সন্ধানেই ক্রমাগত এডিট করে যাচ্ছি। কবিতার আবেদনের অনেকখানিই আমি এখানে ঢেলে দিতে চাইছি- কখনো মনে হয় কিছুটা পেরেছি, কখনো মনে হয়, হয় নি।
তো, আমার প্রিয় পঙ্ক্তিগুলো থেকে আপনিও উদ্ধৃতি দিয়েছেন দেখে ভালো লাগছে।
ধন্যবাদ ইফতি ভাই। ভালো থাকবেন।
২৩| ১৯ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
কবিতা ভালো লাগে নাই।
সোনাবীজের সবচেয়ে বড় চাওয়ায় শুভ কামনা রইলো।
২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার বা অন্য যে-কোনো পাঠকের যাতে ভালো লাগে, এমন কবিতা লিখবার জন্য আমার সাধনা অব্যাহত থাকবে।
ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু, কবিতা পাঠ ও শুভ কামনার জন্য।
২৪| ১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:২৪
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
ফেবু থেকে অবশর নিলাম অনির্দিষ্টকালের জন্য! এই অনির্দিষ্টকাল ১দিনও হতে পারে আবার বছরও হতে পারে
কবিতা প্রসঙ্গে আমার একটা ভাবনা দাঁড়িয়েছে গত একবছরে। সেটা হলো যে কবিতায় আবেগ খুব কাজ করে সেই কবিতা কিছুটা হলেও আরোপিত মনে হয়। আপনার কাছেও কি তাই মনে হয়?
সোমারা ভালো থাকুক।
শুভকামনা রইল প্রিয় কবি।
২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ফেইসবুকের কোনো একটা স্টেটাসে আপনাকে খুঁজছিলাম, কিন্তু ট্যাগ দিতে যেয়ে আপনাকে আর পাচ্ছিলাম না ঘটনা গুরুটর কিছু নয়
কবিতা প্রসঙ্গে আমার একটা ভাবনা দাঁড়িয়েছে গত একবছরে। সেটা হলো যে কবিতায় আবেগ খুব কাজ করে সেই কবিতা কিছুটা হলেও আরোপিত মনে হয়। আপনার কাছেও কি তাই মনে হয়?
এ ব্যাপারে আমার ভাবনা বা ধারণা কিন্তু সম্পূর্ণ উলটো আলাউদ্দিন ভাই। আবেগ কখনো আর্টিফিশিয়াল হতে পারে না। এজন্য আবেগ থেকে উৎসারিত যে-কোনো প্রকাশই হয়ে থাকে সহজাত বা ন্যাচারাল। যন্ত্রণার কান্না, মৃত্যুশোকে বিলাপ, ইত্যাদি যেমন আর্টিফিশিয়াল হতে পারে না, তেমনই আবেগতাড়িত প্রকাশও আর্টিফিশিয়াল হবার সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না। তবে লোকদেখানো কান্না বা মায়াকান্নার কথা আলাদা। লোকদেখানো কান্না বা মায়াকান্না হলো আর্টিফিশিয়াল। এজন্য, যেখানে আবেগ সৃষ্টির কোনো উপলক্ষ নেই, সেখানে আবেগ সৃষ্টির চেষ্টা মায়াকান্নার মতো। ঐখানে আবেগ সৃষ্টি করা হয় আরোপণের মাধ্যমে। সেটা যে আরোপিত তা খুব সহজেই ধরা পড়ে। তাই দাগী কবিতা বা পোড়খাওয়া কবিতাগুলো খুব সহজে পাঠকের মন নাড়া দেয়।
কবিতার অপর নাম আমার কাছে আবেগই বলে মনে হয়। যে-কবিতায় আবেগ থাকবে না তা প্লেইন টেকস্টের মতো হয়ে যেতে পারে। তবে এ আবেগের প্রকাশ যত সংযত হয়, কবিতার ভিত ও গতর তত সংহত ও সুন্দর হয় বলে আমি মনে করি। আর এই আবেগ যদি আরোপিত, বা লোকদেখানো হয়ে থাকে, আবেগের প্রকাশটাও আরোপিত হয়ে উঠতে পারে বলে আমি মনে করি।
আমি জানি না আমার মনোভাব আপনাকে বোঝাতে পারলাম কিনা।
ভালো থাকুন প্রিয় আলাউদ্দিন ভাই।
২৫| ২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:২৩
এহসান সাবির বলেছেন: হুম!!
২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কী খবর এহসান ভাই? আছেন তো ভালো?
২৬| ২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
লজ্জায় ফেলে দিলেন সোনাবীজ,
আন্ডারলাইনকৃত ঐ লাইনটাতো আমার লেখা নয় !!
সেটা আপনার সোমার "তুমি নেই" কবিতার ৬ষ্ঠ লাইন ।
অনেক ভালোলাগা রইল ।
২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
যাই হোক, লজ্জার কিছু নেই। এরকম লাইন বা কবিতা, বা এর চেয়েও ভালো লাইন বা কবিতা আপনি লিখে থাকেন বলেই ওটা আপনার বলেই মনে হয়েছে।
আপনার ‘গ্রানমা’ হয়তো ‘গ্রান্ড মা’র সংক্ষিপ্ত রূপ, বা ভুলে হয়তো ‘গ্রান্ডমা’র বদলে ‘গ্রানমা’ হয়ে গেছে, আমি প্রথমদিকে তাই মনে করতাম। পরে অন্য একটা পোস্টে জানতে পারলাম এতে গভীরতর কোনো কাহিনি লুকিয়ে আছে। গ্রানমা সার্চ করে কিছু তথ্য পেলাম। একটা চাইনিজ ফার্নিচার কোম্পানির নাম গ্রানমা। আর মেক্সিকো থেকে কিউবায় বহনকারী বোটের নাম গ্রানমা। আপনি মনে হয় এই বোটটাকেই টার্গেট করেছেন।
‘গ্রানমা’র মালিকের দাদির নামানুসারে (বা সম্বোধন অর্থে হয়তোবা) বোটের নাম গ্রান্ডমাদার, সংক্ষেপে ‘গ্রানমা’ রাখা হয়েছিল।
এবার বলুন, আপনার গ্রানমা’র পেছনে সত্যিকার ইতিহাস কী?
২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
Granma is the yacht that was used to transport 82 fighters of the Cuban Revolution from Mexico to Cuba in November 1956 for the purpose of overthrowing the regime of Fulgencio Batista. The 60-foot (18 m) diesel-powered cabin cruiser was built in 1943 and designed to accommodate 12 people. "Granma", in English, is an affectionate term for a grandmother; the yacht is said to have been named for the original owner's grandmother.
২৭| ২০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৪
হামিদ আহসান বলেছেন: চমৎকার একটি কবিতা পড়লাম.................
২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ।
২৮| ২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:১৬
রাহি বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে। যেন কোনো এক চাপা সমূদ্রের ব্যক্তিগত আলাপ।
২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ রাহি ভাই। অনেকদিন পর দেখলাম। আশা করি ভালো আছেন।
২৯| ২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
কবিতাটা যদি সত্যিই আমার হতো
|| দ্বিতীয় বিয়ে ||
‘অনুগ্রহ করে আমাকে আরেকবার বিয়ে করে দেখো, আগের চেয়ে অনেক বেশিই সুখে থাকবে। আমরা একটা বাংলো বানাবো বলে যেটুকু জায়গা কিনেছিলাম, যাতে কয়েকটা বিম প্রোথিত হয়েছিল, তুমি আসবার পর ওগুলো সমাপ্ত করবো। আমাদের এবারের সংসার আমরা কীভাবে সাজাবো তার একটা দীর্ঘ ইশতেহার ইতোমধ্যে বার-বাড়ির বারান্দায় টাঙিয়ে দিয়েছি। চারদিকে এতো গান, এতো সুর, এতো আনন্দ, এতো সুখ দেখে তুমি মূর্ছা যাবে।’
যার নিগ্রহ ও জ্বালাতনে অতিষ্ঠ হয়ে চার বছরের বউ পালিয়ে জীবন বাঁচিয়েছিল, সেই স্ত্রীর প্রতি তার এই দৈন্যগ্রস্ত আরজ দেখে পাড়াপড়শি তেড়ে এসে বললো, ‘ঐ থামলি? তোর ফাঁকা বুলি বন্ধ কর।’
ঢাকপেটানো জামাইটা এবার হাতে মাইক তুলে নিল- ‘আমি কথা দিচ্ছি- আরেকবার আমাকে স্বামী হবার সুযোগ দাও- তোমার সমস্ত অসমাপ্ত সাধ-আহ্লাদ ষোলো আনা পূরণ করে দিব। আর যদি অন্য কাউকে পাণিদান করো, মনে রেখো, সে তোমাকে তিলে তিলে মারবে, তোমাকে বিষ খাইয়ে মারবে। তখন হাড়ে হাড়ে টের পাবে- জামাই কাকে বলে!’
আপনার বক্তব্য বুঝতে পারছি। আমিও তাই জানতাম। কিন্তু ইদানিং এই ভাবনায় ছেদ পড়েছে। এর কারণ হলো আমরা যখন ভেবে কবিতা লিখি তখন দেখা যায় ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা অনিচ্ছাকৃতভাবে ব্যক্তিগত কোন ঘটনা প্রবাহ ঢুকিয়ে দেই অথবা ঢুকে যায় কবিতায়। তখন কবিতাটা আরো অনেক বেশি আবেগঘন হয়ে উঠে। আমার খটকা লাগছে এখানেই। মনে হয় স্বপ্রনোদিত হয়ে যে কবিতা ধরা দেয় তার সাথে এই কবিতার তুলনা চলে আসলে তা আরোপিত ছাড়া কিছু মনে হয় না।
এইবার একটা কবিতা পড়েন এবং এটা সম্পর্কে আপনার মতামত কি জানিয়েন।
দু'টো চোখ
অন্ধকারের অবগাহনে কিছু কুয়াশা
নিরিবিলি বৃষ্টি কয়েক ফোঁটা, টুপটাপ।
একজোড়া চোখ; জলে টইটুম্বর
ফোঁটা ফোঁটা জল, নোনাজলের ধারা
গন্ডদেশ ছাড়িয়ে... নিরিবিলি
ছুটছে জল অবিরাম। কেবল ও দু'চোখে নয়,
এখানেও। খুব ভিতরে, খুব সংগোপনে
কেউ দেখে না, কেউ জানে না।
বয়ে যায় অবিরাম, তবু ক্লান্ত হয় না
থামে না এতোটুকু। আমাকে ঘুমোতে দ্যায় না।
বসন্তের মাতাল দিন, রঙের ফানুস
ইথারে ডাক, নির্ঝঞ্ঝাট। আমাকে ডেকে নিয়ে যায়
সেই দিনগুলোতে। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে থাকি।
দু'টো চোখ; ফোঁটা ফোঁটা জল।
আমাকে ঘুমোতে দ্যায় না।
খেতে দ্যায় না, পড়তে দ্যায় না।
পরানের গহীনে ব্যাথা কাউকে দেখাতেও পারি না।
অসময়ের ডাকে মুঠোফোনে দিয়েছিলে চিঠি
ক্ষুদ্রবার্তার টেক্সট এসেছিলো
ডাকবিভাগের অনুমোদন ছিলো না বোধ হয়
তাই কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে
ঠিক বুকের মধ্যখানে, যা কেউ দেখে না
দেখতে পারে না।
শুনেছি আজকাল মেডিক্যাল সায়েন্সের উন্নতি হয়েছে অনেক
ওপেন হার্ট সার্জারীতে খরচ কম,
জীবন দেয়া নেয়ার ঝক্কি কম
তবুও আমি প্যালিকনের চঞ্চু ছোঁয়াতে পারি না
বের করে আনতে পারি না সে কাঁটা।
সময়ের স্রোতে পলি জমে না
কমে না ব্যাথা এতোটুকু। দু'টো চোখ; অশ্রু টলোমল
আমাকে ঘুমোতে দ্যায় না।
অ্যাসোসিয়েটিভ ডিজঅর্ডারে পড়ে থাকি
নিঃশ্বাস দূরত্বে স্মৃতি, স্মৃতির দংশন।
ফোঁটাফোঁটা জল, দু'টো চোখ,
জলের ধারা; আমাকে, আমিতে থাকতে দ্যায় না।
পুরুষ আমি। মোহনীয় হাসি অথবা ছল
এড়াতে জানতে হয়। পুরুষালী আচরণে হতে হয় বাস্তবিক!
অথচ শিথানের বালিশ, বেড কাভারের রঙছটা ফুলে
মাথা গুঁজে পড়ে থাকি!
মৃগনাভী ঘ্রাণ; কিন্নরী আওয়াজ তুলে যাওয়া কষ্ঠস্বর
হাওয়ায় রাখালী বাঁশি,
সহস্র জনস্রোতে একটি কন্ঠস্বর
তীব্রভাবে জড়িয়ে থাকা কিছুটা অনুমোদনহীন
সময়, একটি মনভালো করা হাসির মুহুর্ত,
চায়ের পাতিলে কতোটুকু পাতা আর জলের
মিশ্রণ হলে ফুলকুমারীর গল্প শোনা যায়!
ইট কনক্রিটের দেয়ালে
সেঁটে রাখা যায় একটি প্রতিবিম্বের প্রতিছবি
আলো আঁধারীর ধূম্রজালে!
দু’টো চোখ; পাতা ফেলতে চায়
ঘুমোতে চায়, ঘুমোতে চায়
কিছুটা ইন্টার্ভাল চায় নির্ঘুমের পদচারনা থেকে
একটু স্বপ্ন দেখতে চায়, ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে
অনেক তো সহ্য করলো এ দু’টো চোখ
জলের পিপে ভরে দিলো নোনাজলে!
জলের পিপিতে আজ আবাশ গেড়েছে হাঙর
হা করে থাকে; আরো জল চায়,
আরো জল চায়। অথচ, সে জানে না
স্মৃতিতে কেবলই দু’টো চোখ;
জলের ধারা, চোখের নিচে কালো দাগ;
ক্ষতচিহ্নের মতো বয়ে বেড়াচ্ছি
আমাকে ঘুমোতে দ্যায় না
ঘুমোতে পারি না।
২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
‘দ্বিতীয় বিয়ে’র জন্য ধন্যবাদ আলাউদ্দিন ভাই
আপনার বক্তব্য যদি আমি ভালোভাবে বুঝে থাকি তাহলে বলবো, আপনি যেখানে ‘সহজাত’ বা ‘আবেগঘন’ কথা দুটোকে ‘স্বপ্রণোদিত’ থেকে আলাদা করে দেখেছেন, আমি বলতে চাই যে- এরা আলাদা নয়। যা সহজাত, তা-ই স্বপ্রণোদিত; সহজাত বা স্বপ্রণোদনা আবেগের সাথেও সম্পর্কিত। আপনার কথা থেকে আরো যেটা বুঝবার চেষ্টা করলাম তা হলো, আপনি মনে হয় ভেবে ভেবে লেখা কবিতায় নিজের ঘটনা ঢুকে যাওয়াকে ‘আরোপিত’ বলছেন, যেহেতু এতে অনেক বেশি আবেগ সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ থাকে। আমি ‘আরোপিত’ অর্থের ব্যাখ্যা অন্যরকমভাবে জানি। যা ‘স্বপ্রণোদিত’, তা-ই সহজাত, বা স্বভাবজাত, বা প্রাকৃতিক বা ন্যাচারাল। নিজের লেখায় নিজ জীবনের ঘটনার বর্ণনা চলে আসা ‘আরোপিত’ নয়। ‘আরোপিত’ হলো সেই বিষয়, যেখানে আবেগ নেই, থাকলেও খুব কম, অথবা আবেগের ‘ভান’ করা হয়। একটা শব্দ বা লাইনের প্রয়োজন নেই, অহেতুক জোর করে কিছু শব্দ ঢোকানো হচ্ছে, বা জোর করে কিছু লাইন যুক্ত করা হচ্ছে। অথবা ঘটনাটা এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে তা ন্যাচারাল মনে হয় না, অবিশ্বাস্য মনে হয়। আরোপিত হলো চাপিয়ে দেয়া, কোনো কিছু আরোপ করা। যা পড়লে ন্যাচারাল মনে হয় না, তা-ই আরোপিত, বা আর্টিফিশিয়াল।
আমরা যখন ভেবে কবিতা লিখি
কবিতা তো ভেবেই লেখা হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে, এজন্য আমার মনে হয় ভেবে-লেখা কবিতা অধিকতর শুদ্ধ বা নিঁখুত হয়ে থাকে। আপনি এখানে ব্যক্তিগত ঘটনার অনুপ্রবেশকে আবেগঘন বা আরোপিত বলেছেন। আমার বক্তব্য এখানেই ভিন্ন। যে-কবিতা স্বপ্রণোদিত বা সহজাত, তা ভেবে ভেবে লিখা যায় না, কারণ ভাববার আগেই তা প্রকাশিত হয়ে পড়ে। এই ভেবে ভেবে লেখা কবিতায় (যদিও তা অধিকতর নিখুঁত বা বিশুদ্ধ হতে পারে) আবেগের উপস্থিতিও প্রত্যাশিত মাত্রায় বিদ্যমান থাকা খুব সম্ভব বলে আমার মনে হয় না। আর ব্যক্তিগত ঘটনার অনুপ্রবেশ কিন্তু কবিতার ত্রুটি হিসাবে আমি মনে করি না, এবং ব্যক্তিগত ঘটনা থাকলেই সেখানে আবেগ এসে ঢুকে পড়বে, ব্যাপারটা তা না-ও হতে পারে। ব্যক্তিগত ঘটনার বা ব্যক্তি কেন্দ্রিক অনেক কবিতা দেখা যায়, যাতে আবেগ থাকে না, অথবা আবেগের ভান থাকে, অনেক সময় জোর করে অপ্রয়োজনীয় শব্দাবলি টেনে আনা হয়- সেগুলো ‘আরোপিত’। কবির ব্যক্তিগত ঘটনা যখন পাঠকের ব্যক্তিগত ঘটনা বা ভাবনা বা অনুভূতির সাথে মিলে যায়, তখন কবিতাটা আর ব্যক্তিগত থাকে না, ওটা সবার হয়ে যায়। জ্বলন্ত উদাহরণ হলো তসলিমা নাসরিনের কবিতা। তসলিমা নাসরিনের কবিতা পড়লেই মনে হয় এটা তাঁর রক্তক্ষরণের কবিতা। কতো স্বাভাবিকভাবে তিনি লিখে গেছেন! আমি তাঁর কবিতা যা পড়েছি (যদিও তাঁর আচরণ বা চরিত্র আমি পছন্দ করি না), কোথাও একটা লাইন বা শব্দ আমার কাছে আনন্যাচারাল মনে হয় নি। নজরুলও খুব ভেবে কবিতা লিখতেন বলে আমার মনে হয় না। আরেকটা ব্যাপার হলো, ভেবে না লিখলেই যে তা ডাহা ন্যাচারাল হবে, তাও মনে করি না। ভিতরে কবিত্ব থাকতে হবে। কবিত্ব না থাকলে ভেবে বা না-ভেবে যা-ই লেখা হোক না কিন্তু, হয় তা কবিতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হবে, অথবা তা হবে আরোপিত।
যখন আবেগ খুব বেশি কাজ করে, তখন ভেবে কবিতা লেখা সম্ভব নয়। তখন ভাববার আগেই কলম (কি-বোর্ড) ছুটে চলে, নিজের অবচেতনে যা সক্রিয় ছিল, ভাবনা বা মনকে ডিঙ্গিয়ে তা বাইরে বেরিয়ে পড়ে। কলম তখন মনের নিয়ন্ত্রণ মানে না। এজন্য, আবেগঘন কবিতা কখনো আরোপিত হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, আবেগ ব্যাপারটাই হলো ন্যাচারাল, জোর করে আবেগ সৃষ্টি করা যায় না।
আরেকটা ব্যাপার হলো, আবেগ কেবল ব্যক্তিগত ঘটনার সাথেই জড়িত নয়। আমি আপনার বক্তব্য থেকে এটা অনুমান করছি যে আপনি মনে হয় বলতে চাইছেন ব্যক্তিগত ঘটনার বর্ণনায় আবেগের প্রকাশ খুব বেশি হয়ে থাকে, আর সেটাই ‘আরোপিত’। আমি অবশ্য এভাবে ভাবি না। ব্যক্তিগত ঘটনার বর্ণনাও কাঠখোট্টা হতে পারে। বিশেষ করে, যে ঘটনাগুলো জীবনে ঘটে নি, কিন্তু কোনো মর্মান্তিক ঘটনা কল্পনা করেছি- সেটার বর্ণনা করতে গেলেই সমূহ বিপদের সম্ভাবনা- কবির হাত নিপুণ না হলে আবেগ ঘনীভূত হবে না- কিছু শব্দ বা বাক্য জোর করে বসিয়ে জোর করে আবেগ সৃষ্টির চেষ্টা চলবে। আমি মনে করি ‘আরোপিত’ হলো সেটা।
বিশেষ পরিস্থিতিতে আবেগের সৃষ্টি হয়, আর সেই আবেগ থেকেই কবিতার সৃষ্টি (বা অন্য যে-কোনো সাহিত্যই হতে পারে)। এই আবেগ ব্যক্তির মনের ভিতরকার ব্যাপার হলেও সব আবেগই ব্যক্তির নিজস্ব ঘটনা হবে না- এর বাইরে কিছু হবে দেশকে নিয়ে, কিছু মাকে নিয়ে, ভাই-বোনকে নিয়ে, প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিয়ে। এই আবেগ প্রকাশে যে-রস বা স্বাদ বা অনুভূতি সৃষ্টি হয়, কাব্যগবেষকগণ দেখেছেন যে, তা মোটামুটি ৯/১০টি- আদি বা মধুর বা শৃঙ্গার রস, বীর রস, করুণ রস, অদ্ভুত রস, হাস্য রস, বীভৎস রস, ভয়ানক রস, রৌদ্র রস, শান্ত রস এবং বাৎসল্য রস। অর্থাৎ, নিজের ঘটনা ছাড়াও আবেগের সৃষ্টি হতে পারে, আরও বেশি আবেগ তৈরি হতে পারে।
সহজাত বা ন্যাচারাল কবিতাগুলো খুব সহজেই কবির আবেগের সাথে পাঠককে একাত্ম করে ফেলে। আমার আবেগ যদি আমার পাঠকের মনকে প্রভাবিত করতে ব্যর্থ হয়, তখন আমার কবিতাটিও ব্যর্থ, আর তখনই আমার আবেগের প্রকাশকে ‘আরোপিত’ মনে হবার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়- আর এর জন্য দায়ী আমার দুর্বল প্রকাশক্ষমতা। সাবলীলতা বা প্রাঞ্জল্য সৃষ্টির দক্ষতা আমার না থাকলে আমার বেদনা আমার পাঠকের মনকে নাড়া দিবে না। দেখা যাবে, কবিতা কান্নাকাটিতে ভরপুর, কিন্তু পাঠকের মন ছুঁতে পারছে না। হাস্যরস সৃষ্টির প্রাণান্তকর চেষ্টা, কিন্তু হাসির উদ্রেক হচ্ছে না।
সুনীলের ‘কেউ কথা রাখে নি’ যখন পড়ি, মনে হয় এগুলো আমার জীবনে ঘটে যাওয়া কাহিনি। অতএব, কবিতাটা মনে হয় আমিই লিখতে পারতাম। আর কবিতাটা সুনীলের জীবনের ছবি। অথচ এ কবিতাটা একটা অত্যন্ত জনপ্রিয় কবিতা- অর্থাৎ এটি এখন যে কোনো পাঠকেরই জীবনের কথা বলে।
কবিতা সম্পর্কিত আমার ভাবনার সাথে আপনার বা অন্য কারো ভাবনার মিল হবে, কবিতা-বোদ্ধারা তা মনে করেন না। প্রত্যেকেই তাঁর নিজের মতো করে ভাবেন, গড়েনও নিজের মতো করে। এটাই স্বকীয়তা।
একজন লেখক যা লিখেন, তার সবকিছুতেই তাঁর বাস্তব জীবনের ছায়া প্রচ্ছন্ন থাকে। আর কবিতা হলো কবির জীবন ও মননের বৃত্তান্ত। এর ব্যতিক্রম তো থাকতেই পারে।
***
আপনার ‘দুটো চোখ’ অন্য কোথায় যেন পড়েছি- আমার এমন মনে হচ্ছিল। ফেইসবুক বা অন্য কোনো ব্লগে কি পোস্ট করেছিলেন?
কবিতাটা পড়ে বোঝা যায়, একটা অসহ্য কষ্টকে বুকে ধারণ করে বয়ে বেড়াচ্ছেন কবি, যা তাকে ঘুমাতে দেয় না।
অসময়ের ডাকে মুঠোফোনে দিয়েছিলে চিঠি
ক্ষুদ্রবার্তার টেক্সট এসেছিলো
ডাকবিভাগের অনুমোদন ছিলো না বোধ হয়
তাই কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে
ঠিক বুকের মধ্যখানে, যা কেউ দেখে না
দেখতে পারে না।
এ কয় লাইনের ব্যাখ্যা আমি কোথায় যেন পড়েছি, মনে পড়ছে না।
দু'টো চোখ; ফোঁটা ফোঁটা জল।
আমাকে ঘুমোতে দ্যায় না।
এই দীর্ঘ কবিতায় সবচেয়ে সাবলীল আর তাৎপর্যপূর্ণ লাইন আমার কাছে এ দু লাইন।
আপনি যেভাবে বিষাদ অনুভব করছেন, সমভাবাপন্ন পাঠক মাত্রেই এতে আক্রান্ত হবেন। যাঁরা আপনার মতো ভাবছেন, তাঁরা এ কবিতা পাঠমাত্র আপনার আবেগকে ছুঁয়ে ফেলবেন।
আমার পোস্টে আপনার কবিতার জন্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা প্রিয় আলাউদ্দিন ভাই।
৩০| ২১ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:০৩
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
সোনাভাই, আপনি কি জানেন আপনি আমাকে একটা ডিলেমা থেকে উদ্ধার করছেন। গত একবছরে যখনি কিছু লিখতে গেছি তখন আবেগ সংক্রান্ত আমার মনোভাবের কারণে অনেক লেখা অঙ্কুরেই হারিয়ে গেছে বা লেখা থামিয়ে দিয়েছি। জানেনই একটা লেখা মাঝ পথে ছেড়ে দেওয়ার কষ্ট। যাক এখন বাঁচা গেলো। আমি আমার ধারণা থেকে বের হতে পারলাম।
সেদিন আপনার পোষ্টেই কমেন্টে লিখছিলাম ''কিছুদিন আগে একটা লেখা পড়ে নিজের জন্য মায়া হচ্ছিলো। এই হলো সেই কবিতাটা। যাতে নিপাট আবেগ আছে। এর বেশি কিছু নেই। হয়তো কোন বিষণ্ন মানুষের কাছে কবিতাটা ভালো লাগবে কিন্তু আপাদ দৃষ্টিতে এটা কোন কবিতাই হয় নাই ( অন্তত আমার কাছে তা-ই মনে হয় )।
এই কবিতাটা বছরখানেক আগে ব্লগে শেয়ার করছিলাম। আপনি সেই সময় ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আপনি খুব ব্যস্ত ছিলেন তাই হয়তো কমেন্ট করেন নি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সোনাভাই।
শুভ রাত্রি!
২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নিজের মায়ালাগানো এরকম কিছু কবিতা, কিছু পঙ্ক্তি বোধ হয় সবারই আছে।
ধন্যবাদ আলাউদ্দইন ভাই।
সংকলন পোস্টের জন্য এখনো কবিতা দেন নি- এঁদের সংখ্যা একান্তই অপ্রতুল। আপনার ঐ কবিতাটার এডিটিং শেষ হলে জানাবেন।
৩১| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কবিতা এবং পেছনের ইতিহাস তো বটেই, সেই সাথে কমেন্টগুলোও ভীষণ ইন্টারেস্টিং! ধরে ধরে পড়ছি।
২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ প্রোফেসর সাহবে। শুভ কামনা।
৩২| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
আহসানের ব্লগ বলেছেন: পড়েছিলাম হয়তো গত পোস্ট টা ।
২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, পড়েছিলেন। ধন্যবাদ।
৩৩| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আপনার মেইল চেক করুন
শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইল সোনাভাই।
০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আলাউদ্দিন ভাই।
৩৪| ০৩ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১০
তাসজিদ বলেছেন: ঠোটে হাসি, কিন্তু চোখে বিষণ্ণতা
০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো পর্যবেক্ষণ তো!
ধন্যবাদ তাসজিদ ভাই।
৩৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৮
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: কাহিনী টা এত সুন্দর , কিন্তু হারিয়ে যাবে তাই এটাকে বাঁচিয়ে রাখার
জন্য আপনি একটা সিনেমা অথব নাটক লেখার চেষ্টা করতে পারেন, শ্রদ্ধেয়
ছোট ভাইয়া ।দুদেশের মানুষের ডিজিটাল বন্ধুত্বের , আন্তরিকতার সুন্দর
একটা চিত্র ভেসে উঠবে । ভাল থাকুন সব সময় ।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার আইডিয়াটা দারুণ। কিন্তু সব আইডিয়া তো আর বাস্তবায়িত করা যায় না, আপনি জানেন।
আপনার কমেন্টটিও খুব সুন্দর। তবে এটি পড়ে আমার মন নস্টালজিক ও উদাস হয়ে গেছে। সোমার সাথে কোনো প্রেম বা ভালোবাসার টান নয়, একটা অদৃশ্য শিকড়ের বন্ধন অনুভব করি, যা খুব সুদৃঢ় ও সাবলীল। হয়তো সেটা প্রেমের চেয়েও গভীর কোনো প্রেম।
ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্টের জন্য, স্নেহের বড় ভাইয়া/আপু। ভালো থাকবেন।
৩৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: //মামুন রশিদ বলেছেন: ব্লগে পোস্ট করলে পাবলিক প্রপার্টি হয়ে যায় । আর তাই নির্দ্বিধায় আপনার ভালো লাগা কোন মানুষকে আমাদের ভালো লাগা অন্যায্য কিছু নয়।//
২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহহাহাহআহাহাহাহাহাহাহহআহাহাহাহাহাহহআহাহাহাহাহাহহা
হাসতে হাসতে মাথা গরম হয়ে গেলো দেখি
এতোদিন পর আপনি কোথা থেকে এ কবিতাটি পড়তে পেলেন তা আমার কাছে একটা বড় বিস্ময় হিসাবে দেখা দিল
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮
ভারসাম্য বলেছেন: আচ্ছা! আগের লেখায় যে ছবিটি দেয়া হয়েছিল, ইনিই সেই অথবা সে নয়?
সত্যিই খুঁজে পেতে চাইলে কলকাতার কাগজে বিজ্ঞাপন দিন।
না চাইলে, তাকে খুঁজে খুঁজে আরো কয়েকটা কবিতা লিখুন।
না চাওয়াটাই লাভজনক, আমাদের কাছে। আগের কবিতাখানা তো সেইরকম ভাল লেগেছিল। এটায়ও +++