নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহজাহান এবং শাহজাহানের স্ত্রী বা আমার প্রেমিকা এবং আমি

২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ২:০৪

কোনো এক সময়ে আমার যে-কোনো লেখার প্রথম পাঠিকা ছিল আমার হবু প্রেমিকা। গল্পের নায়িকা কলাপাতারং শাড়ি পরলে হবুকে দেখতাম ঐ রঙের শাড়ি পরছে। কবিতার মেয়ে যখন গালে হাত দিয়ে মোহনীয় ভঙ্গিতে নীলাকাশ দেখতো, আমি দেখতাম আমার হবু প্রেমিকা আমার পড়ার টেবিলের জানালা বরাবর ছাদে গিয়ে প্লাস্টিকের একটা ছোটো চৌকিতে বসে আকাশ দেখছে; আমি তাকে দেখছি কী না সে বার বার আড় চোখে পরখ করতো; কিন্তু আমি বিটকেলি করতাম, ওর দিকে তাকাতাম না। একদিন এসে আমার খাতাপত্র ছিঁড়ে ফেললো, আর কবিতার ডায়েরিটা জানালা দিয়ে নিচে ফেলে দিল। আমি হেসে দিয়ে বললাম, ‘আজকাল কেউ ডায়েরিতে কবিতা পোষে? ওগুলো তো আমার ল্যাপটপে।’ বলে একটা মুচকি হাসি দিতেই বললো, ‘আমি তোর ল্যাপটপ ভেঙে গুঁড়ো করবো, বদমাইশ কোথাকার।’



হবু প্রেমিকা একদিন কনফার্ম্‌ড প্রেমিকা হলো। কিন্তু কবিতার নারী হয়ে উঠলো তার চক্ষুশূল। বলে, ‘আমি কি তোর কুঁড়েঘরে এসে চুল এলিয়ে বসি?’ আমি বলি, ‘ওটা ফ্যান্টাসি।’ ‘তোর ফ্যান্টাসির নিকুচি করি।’ সে রাগে গজগজ করতে করতে বলে, ‘আর কোনো প্রেমের কবিতা লিখবি না বলে দিলাম। কেন, দেশ নিয়া, শান্তি নিয়া লিখতে পারিস না?’ বছর তিনেক প্রেম করার পর প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেলো। আমার অবয়ব শ্মশ্রুমণ্ডিত হতে থাকলো ধীরে ধীরে; আমি কবিতা লিখতে থাকি। আমার সত্যিকার প্রেমিকা যেভাবে বিগতা হয়েছে, বিগতা হবার পর সে যা যা যে-যেভাবে করে, কবিতায় তাই উঠে আসে আমার অজান্তে। কিন্তু এ কবিতা আমি ছাড়া আর কেউ নেই পড়বার।



আমার দ্বিতীয় বইটাও একটা উপন্যাস ছিল- ‘অন্তরবাসিনী’। আমাদের স্কুলজীবনের পটভূমিকায় লিখা হয়েছে গল্প। আমি তখন বিচ্ছেদকাতর, বেদনাক্রান্ত ব্যাচেলর। কোনোরকমে টিউশনি করে পেট চালাই, ফাঁকে ফাঁকে লিখি। কিন্তু পত্রিকাঅলারা লেখা ছাপেন না। তবে আমি উদ্যম হারাই না, কারণ, আমি আমার দুজন ভক্ত পাঠক পেয়ে গেছি- একজন আমার স্কুলজীবনের ক্লাসমেট শাহজাহান, আরেকজন হলো ওর অর্ধাঙ্গিনী। আমি দুদিন পর পর ১৫-২০ পৃষ্ঠা লিখে ঝকঝকে ছাপায় প্রিন্ট করে সন্ধ্যায় ওর বাসায় চলে যাই। শাহজাহান ওর প্রাইভেট পড়ুয়া এক দঙ্গল ছাত্রছাত্রী ফেলে আমার পাশে এসে বসে। ‘নে, পড় পড়। পরবর্তী আকর্ষণ কী কী আছে শোনা দেখি।’ হাসতে হাসতে শাহজাহান এ কথা বলতো। আমি পড়তাম আর ওরা স্বামী-স্ত্রী তন্ময় হয়ে শুনতো। সবাই নিজের কথাই শুনতে চায় অন্যের মুখে। ভাবী কান খাড়া করে থাকতেন- পারুল বা বীনার সাথে শাহজাহানের কোনো সম্পর্ক সংঘটিত হয়েছিল কিনা তা জানার জন্য। গল্প দ্রুতবেগে এগিয়ে চলে- ওরা দুজন গল্পের ভেতরে ডুবে যায়। কিন্তু এ গল্প শাহজাহানকে নিয়ে নয়, এ হলো স্বয়ং সোনাবীজের রগরগে প্রণয়কাহিনি। স্কুলজীবনে সায়ন্তনির সাথে আমার প্রেম তীব্র হয়েছিল। কাহিনির পরতে পরতে সেই প্রেমের মারাত্মক রসঘন বর্ণনা।



এইসব পাণ্ডুলিপি শাহজাহানের ঘরে ফেলে যাই বরাবরই। উদ্দেশ্য, ওর ছাত্রছাত্রীরা এগুলো পড়ে কী বলে তা জানা। এ ছাত্রছাত্রীদের কোনো লেখকের সাথে কোনোদিন সামনাসামনি কথা বলার সুযোগ হয় নি। আমাকে ওরা অনেক বড় একজন লেখক মনে করে। এটা আমাকে নির্মল আনন্দ দেয়, এবং অহংকারী করে তোলে। আমি কোনো তারকা লেখক নই, সেটা আমার চেয়ে আর কেউ ভালো জানেন না। কিন্তু ওদের কাছ থেকে আমি যা পাচ্ছি, তা থেকে আমার যে আনন্দ হয় তা একজন তারকা লেখকের প্রাপ্তির চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।



একদিন বাসায় এসে বসতেই ছাত্রছাত্রীরা আমাকে ঘিরে ধরলো। ভাবী এসে মিটিমিটি হাসছেন। ‘ব্যাপার কী?’ জিজ্ঞাসা করি। ওরা বলে, ‘আপনাদের স্কুল লাইফটা খুব ইভেন্টফুল ছিল।’ ‘কে বলেছে?’ ‘এই তো, এই কাগজে পড়লাম।’ বলেই ওরা আমার ‘অন্তরবাসিনী’র পাণ্ডুলিপি বের করে ধরে। ভাবী বলেন, ‘আপনি নাকি খুব ফাজিল আছিলেন স্কুলে?’ ‘ধূর, কী বলছেন এসব?’ ছাত্ররা সমস্বরে বলে ওঠে, ‘আমরা সব জেনেছি। সব জেনেছি।’ ‘আরেন্নাহ, ওসব তো গল্প। বানিয়ে বানিয়ে লেখা।’ ওদেরকে কিছুতেই বোঝানো গেলো না যে, এগুলো সত্যি নয়, বানানো গল্প।



শাহজাহান ওদেরকে ধমক দিয়ে পড়ার ঘরে চলে যেতে বললো। আমি বলি, ‘এসব কি তুই বলেছিস যে গল্পের সব কিছুই সত্য কাহিনি?’ ‘বলার কী আছে, সত্যই তো!’ আমি হেসে বলি, ‘মনে করিস না যে সবই বানিয়ে বলছি, এর অন্তত ১০ ভাগ ঘটনা সত্য।’ শাহজাহানের কণ্ঠস্বর হঠাৎ একটু চড়ে যায়। বলে, ‘তুই কি আমাগো আবাল পাইছস? সায়ন্তনিরে কতোবার জঙ্গলে নিয়া করছস তা কি আমরা জানি না ভাবতেছস?’ আমি ভাবীর সামনে ওর কথায় চরম বিব্রত হই। ওর মুখ খুলে গেলে সেই মুখে আর কিছুই আটকায় না- ভাষার শ্রী তখন আর দেখে কে। বললাম, ‘দোস্ত প্লিজ প্লিজ, মাইন্ড ইয়োর ল্যাঙ্গুয়েজ।’ ‘আরে ফাক ইয়োর ল্যাঙ্গুয়েজ। তুই বনেজঙ্গলে নিয়া মাইয়াগো বাঙ্গি ফাডাবি, আর আমরা কইতে পারুম না, এইডা কুন বালের কতা কইতেছস?’ ভাবী উঠে চলে গেছেন। সুশিক্ষিতা, ভদ্র মহিলা। আমি শাহজাহানকে বলি, ‘স্টুপিডের মতো কথা বলছিস কেন?’ ও ধমকে ওঠে, ‘শাটাপ। সত্য না হইলে এইসব লিখলি ক্যামনে?’ আমি বলি, ‘দোস্ত, শান্ত হ, শান্ত হ। এটা একটা গল্প। গল্পে সুড়সুড়ি না থাকলে কেউ খাবে, তুই-ই বল না? এ গল্পের এক ছটাকও সত্য না, সব বানানো। তুই আমারে চিনস না?’ ‘রাখ তর বালের চিনাচিনি। তরে আমি অনেক আগে থেকেই চিন্যা ফালাইছি।’ সরকারী হাই স্কুলের ইংলিশ টিচার মোঃ শাহজাহান মিয়া রাগে কাঁপতে কাঁপতে ছাত্রছাত্রীদের রুমে চলে যায়। আমি ভাবীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসি।



হাইস্কুলে মেয়েদের সাথে পড়তে থাকা অবস্থায় ক্লাস সিক্সেই আমাদের পোলাপানের ইঁচড় পেকে লোহা হয়ে গিয়েছিল। শাহজাহান আমাদের মধ্যে সবচেয়ে সেয়ানা ছিল, যেমন ছিল সে সবচেয়ে সুদর্শন বালক। ছেলেদের মধ্যে ক্লাসের ফার্স্ট বয় শাহজাহান, মেয়েদের মধ্যে সায়ন্তনি; সায়ন্তনির মেধার চেয়ে রূপের ঝাঁঝ সাতগুণ বেশি ছিল। শাহজাহান কেমন করে যেন সায়ন্তনির প্রেমে পড়ে গেলো। আমি আজকের মতোই তখনও ক্লাসের নিরীহতম ছাত্র ছিলাম, আর ছিলাম ক্লাসের সেকেন্ড বয়। নবম শ্রেণীতে উঠবার পর জানতে পেলাম শাহজাহান ক্রমাগত ‘ছ্যাঁকা’ খেতে খেতে তামা হয়ে গেছে; এটা আবার আমি জানলাম কীভাবে- স্বয়ং সায়ন্তনি একদিন আমার কবিখ্যাতির কথা জানতে পেরে কবিতার খাতাটি দেখতে চাইলে আমি যখন কৃত্রিম অথচ আপাত-সহজাত রাগ প্রকাশের মাধ্যমে কোনো কবিতাই অবৈধ কাউকে দেখানো সম্ভব নয় জানিয়ে আমার ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করছিলাম, তখন আচমকা পুরো ক্লাসের সামনে আমার গালে একটা মস্ত কামড় বসিয়ে সায়ন্তনি বলেছিল, ‘তর কবিতার খ্যাতা পুড়ি।’ তারপর পুরো একবছর সে আমার সাথে কথা বলে নি। ক্লাসের দুষ্টের শিরোমণি ছেলেগুলো আমাকে ‘কাপুরুষ’ বলে খেপাতো, যেহেতু আমি সায়ন্তনির শরীরের কোনো মোক্ষম স্থানে অনুরূপ কোনো দংশন বা মর্দন করি নি। ও আরেকটা কথা, আমি অষ্টম শ্রেণীতে বার্ষিক পরীক্ষায় ফার্স্ট হলাম, শাহজাহান প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়ে পরীক্ষায় স্মরণকালের ভয়াবহতম খারাপ নম্বর পেয়ে অনেক পেছনে চলে গেলে ওর জন্য আমার প্রচুর মায়া হচ্ছিল। এরপর প্রেমের অমোঘ বিধান মতে যা হবার তাই হলো- আমার আর সায়ন্তনির মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য প্রেমের জন্ম হলো। আমরা হাবুডুবু খেতে খেতে অকূল সমুদ্রে ভাসতে লাগলাম। প্রত্যাখ্যাত হয়ে শাহজাহান কী যে যন্ত্রণার মধ্যে ছিল, যারা ভুক্তভোগী কেবল তারাই জানেন।



‘অন্তরবাসিনী’র রসাত্মক প্রেমকাহিনি শুনতে শুনতে শাহজাহান পুড়ে যাচ্ছিল। সায়ন্তনির কথা তুলতেই যেন আগুনে কেরোসিন ঢালার মতো ঘটনা ঘটে গেলো। নিজের আরাধ্য প্রেমিকা ধরা না দিয়ে অন্যের কব্জাগত হলে সেই কাহিনি শুনতে কারই বা সহ্য হয়? শাহজাহানের হৃদয় তো আর পাথরে গড়া নয়।



ঐদিন রাত একটার সময় শাহজাহানের কল পাই। যেন কিছুই হয় নি, এমন ভাবে বলে, ‘কী রে, তুই কই থাকস? বাসায় থেইকা চইলা গেলি ক্যান?’ শাহজাহান আমার ঘনিষ্ঠতম বন্ধু। ও আমার সাথে রাগ করে এমনটা আমি কখনো ভাবি না। কিশোর বয়সের সেই উদ্দাম প্রেম কৈশোরেই নিভে পানি হয়ে গিয়েছিল; তা মনে রেখে রূপবতী স্ত্রীর সামনে এভাবে বিস্ফোরিত হওয়া মোটেই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল না। কিন্তু আমি ওর বাসা থেকে চলে আসার পর হয় ভাবীর ভর্ত্‌সনায়, অথবা নিজের বিবেকের তাড়নায় শাহজাহান নিজের ভুল বুঝতে সক্ষম হয় এবং আমার সাথে স্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে।



‘তর নভেল শেষ করবি কবে?’ শাহজাহান জানতে চায়।

‘আরও কয়েকদিন লাগবে, কেবল তো মাঝপথে।’ আমি বলি।

‘জলদি শেষ কর। পুরা কাহিনি পড়ার জন্য ছটফট করতেছি।’

আচ্ছা, এই যে আমি প্রায়ই বলে থাকি আমি খুব নিরীহ, গোবেচারা টাইপের মানুষ, কথাটা মনে হয় ঠিক না। মাঝে মাঝে আমার ত্যাঁদড়ামি দেখে আমি নিজেই অবাক হয়ে যাই- এ কাজ কি সত্যিই আমি করেছি, নাকি আমার মগজে ঢুকে পড়া জনৈক বাঁদরের কাজ এগুলো?



তিন দিনের মাথায় বড় একটা অধ্যায় সম্পূর্ণ করে খুশিতে নাচতে নাচতে শাহজাহানের বাসায় উপস্থিত হলাম। ভাবী এসে একটা ভুবনমোহিনী হাসি ছড়িয়ে সামনে দাঁড়ালে মনে হলো, আমি নেই। শাহজাহান স্কুল থেকে ফিরে নি, ওর দুই বাচ্চার ছুটি হবে মনে হয় আরও অনেক পরে। নির্জন দুপুরে একলা ঘরে এই প্রচণ্ড রূপবতী নারী যখন হাসিমুখে আমার থেকে মাত্র ১২ আঙ্গুল দূরে খাটিয়ার উপর পা দুলিয়ে বসে পড়লেন, মনে হলো আমি নেই- না, আমার তখন সর্বাঙ্গ কাঁপছে- ভাবীর মনের গোপন ইচ্ছেটা মনে হয় আমি টের পেয়েছি। ১২ বছরের ক্ষুধার্ত বাঘ সামনে শিকার পেলে শক্তিতে দুর্দমনীয় হয়ে পড়ে। আমি আলগোছে একটা হাত উঠিয়ে ভাবীর শরীরে স্থাপন করবো, এমন সময়ে ভাবী নিজেই একটু এগিয়ে এসে আমার কপালে হাত রাখলেন। ‘এ কী, শরীরে এতো জ্বর কেন?’ বলে বুকের বোতাম খুলে হাত ঢুকিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপলেন। ভাবী জানেন না আমার বুকে তখন কী ঝড়। আমি মোলায়েম ভাবে বাম হাত বাড়িয়ে তার কোমর জড়িয়ে ধরলে ভাবী বলেন, ‘কী বাচ্চা পোলাপানরে বাবা, এতো অল্পতেই ভাইঙ্গা পড়ন লাগে? হাঁইটা আসলেন কেমনে? হ্যাঁ, হ্যাঁ, শক্ত কইরা ধইরা দাঁড়ান। খাটের এই কিনারটায় শুয়ে পড়ুন। আমি বালতি নিয়ে আসছি মাথা ধুয়াইয়া দিতে।’ আমি চিৎ হয়ে সটান শুয়ে আছি। ভাবী আমার মাথায় পানি ঢেলে দিচ্ছেন। শান্ত শরীরের তখন কোনো উত্তাপ বা উত্তেজনা নেই; চোখ দুটো যেন অবশ হয়ে আসছে। আমি যখন সাত-আট বছরের বালক, জ্বর হলে আমার মা এভাবে খাটিয়ায় শুইয়ে আমার মাথায় পানি ঢালতো। আমি অনুভব করলাম, ৩০ বছর আগে মৃত্যুবরণকারিণী আমার মা অদৃশ্য থেকে নেমে এসে আমার মাথায় পানি ঢালছে। ‘হইছে ভাবী, আর না।’ বলেই আমি শোয়া থেকে উঠে পড়ে মাথা মুছে ভাবীকে বলি, ভাবী, আমার মাথায় একটু হাত রাখুন তো। ‘কী হইছে’ বলে ভাবী তার ডান হাতটা আমার মাথায় রেখে আলতো করে চুলে বিলি কাটেন, আমি চোখ বন্ধ করে তার পেটের মধ্যে মাথা লুকোই- দ্রুত ছুটে চলছে এক টগবগে ঘোড়া- দীর্ঘ কদম ফেলে- অনেক দূরের পথ পেরিয়ে নির্জন এক বৃক্ষের তলায় আমার মা জননী মাথা নিচু করে বসে আছে। আমি ৩ বছরের শিশুর মতো লাফ দিয়ে মায়ের কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ি।





ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার সত্যিই জ্বর উঠেছে। ভাবী আর শাহজাহান আমার পাশে বসে কথা বলছে। আমি উঠে বসতেই দুজনে আমার দিকে ফিরে তাকায়। ‘একটা প্যারাসিটামল খাবি?’ শাহজাহান এ কথা বলতে বলতে হাত দিয়ে আমার গায়ের তাপমাত্রা দেখে। আমি এক লাফে খাট থেকে নেমে হড়হড় করে দরজা খুলে নিচে নেমে এসে একটা রিকশা নিয়ে সোজা বাসস্ট্যান্ডে চলে যাই। পেছন থেকে বহুদূর অব্দি শুনতে পেলাম শাহজাহান ডাকছে, ‘আরে ঐ ছ্যামড়া, শোন শোন, এই জ্বরের মধ্যে কেওই এইভাবে যায়?.....’



২৭ অগস্ট ২০১৩

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৪ ভোর ৪:০১

নূর আদনান বলেছেন: প্রথম তো ভাবলাম এটা সত্য ঘটনা, পরে বুঝলাম গল্প

২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সত্য ঘটনা, বা গল্প- যাই ভাবুন না কেন, দীর্ঘ পোস্টটির ১ম কমেন্টদাতা হিসাবে আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।

আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।

শুভেচ্ছা।

২| ২৪ শে মে, ২০১৪ ভোর ৪:৪২

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
সত্যির মত গল্প, নাকি গল্পর মত সত্যি!!

অন্যধাচের লেখাটি উপস্থাপনায় ভিন্ন, ভাললাগা সেখানে।
আপনার জন্য শুভেচ্ছা!!

২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:



সত্যির মত গল্প, নাকি গল্পর মত সত্যি!!


রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে। জানি না, কেন রবিকাকার লাইন তুলে দিলাম ;)

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি। আপনার জন্যও শুভেচ্ছা।

৩| ২৪ শে মে, ২০১৪ ভোর ৬:৩১

মামুন রশিদ বলেছেন: লেখার ধাঁচটা অন্য রকম, শেষ পর্যন্ত না পড়লে বুঝাই যাবে না এটা গল্প । আর শেষটা সত্যি অসাধারন ।


গল্পে ভালোলাগা ।

২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

দ্রুত ছুটে চলছে এক টগবগে ঘোড়া- দীর্ঘ কদম ফেলে- অনেক দূরের পথ পেরিয়ে নির্জন এক বৃক্ষের তলায় আমার মা জননী মাথা নিচু করে বসে আছে। আমি ৩ বছরের শিশুর মতো লাফ দিয়ে মায়ের কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ি।

নিজের লেখা লাইনগুলো- তবু পড়তে পড়তে কেমন উদাস আর বিষণ্ণ হয়ে যাই।

অনেক ধন্যবাদ মামুন রশিদ ভাই।

ফেইসবুকে কি আপনি নেই? ইনবক্সে মেসেজ দিয়েছি ;)

শুভেচ্ছা জানবেন।

৪| ২৪ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:০৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সোনাবীজ ভাই, পড়লাম আপনার গল্প।

হবুর সাথে আর শাহজাহানের সাথে কথোপকথনগুলো খুব উপভোগ করলাম।


সত্য মিথ্যা আপনি জানেন ;) B-)

২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

সত্যি-মিথ্যা আপনি জানেন ;) ;)


চরিত্রগুলো সবই বাস্তব।

শাহজাহান আমার স্কুলজীবনের ক্লাসমেট। লক্ষ্মীবাজারে থাকতো। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের ডাকসাইটে ইংলিশ টিচার। ওর বাসায় আমার বেশ কয়েকটা বইয়ের জন্ম হয়েছে। বাংলাবাজার, বিউটি বোর্ডিং, শাহজাহানের বাসা, বইমেলা- একসময় আমাদের আড্ডার এতগুলো জায়গা ছিল।

আমার সবগুলো বই ছাপা হবার আগে কমপক্ষে তিনবার পড়েছে শাহজাহান- ১ম বার কিস্তি আকারে একেক অংশ লিখতাম, আর ওকে পড়তে দিতাম। ২য় বার পুরো বই লেখা শেষ হলে। ৩য় বার- ওর কমেন্ট অনুযায়ী পরিমার্জন, পরিবর্ধন সম্পন্ন করা হলে।

শেষমেষ কী হয়েছে- আমার গোটা তিনেক বইয়ে সে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দাঁড়িয়ে গেছে ;)

প্রসঙ্গ ‘অন্তরবাসিনী।’ এটি আমার ২য় উপন্যাস। আমাদের স্কুলজীবনের কাহিনি নিয়ে লেখা। অবধারিতভাবে শাহজাহান সেখানে স্বমূর্তিতে উজ্জ্বল।

১ম পর্ব লিখে ওকে পড়তে দিলাম। ২য়, ৩য়, ৪র্থ পর্ব দিলাম। শাহজাহান পড়ে, ওর বউ পড়।

ওর বাসায় গেলেই ওর ছাত্রছাত্রীরা উঁকিঝুঁকি দিয়ে আমাকে দেখে আর কিটকিট করে হাসে। ব্যাপার কী? তখনই জানতে পারি, আমার এ রচনা শুধু শাহজাহান আর ওর বউই পড়ে না, ওর একদঙ্গল ছাত্রছাত্রীও পড়ে। এই কয়েক পর্বে নায়কের কিশোর প্রেমের রসাত্মক বর্ণনা রয়েছে। আমার কাঁচা উপন্যাস পড়লে তো আমার খুশিই হওয়ার কথা। কিন্তু ঝামেলা হলো, শাহজাহান আর ওর বউ ছাত্রছাত্রীদের জানিয়েছে যে, এ বইয়ের সব কথাই সত্য। আমার প্রেমের যে রসঘন বর্ণনা রয়েছে, তা সত্য সত্যই আমার ক্লাসজীবনে ঘটেছে। আমি তাহলে এতোখানি ইঁচড়ে পাকা!!!

৫ম পর্ব থেকে প্লটে পরিবর্তন আসে। কয়েক পর্ব একসাথে লিখে ওর বাসায় রেখে আসলাম- খুব কৌশলে, যাতে শাহজাহান বা ওর বউ পড়ার আগেই ওর ছাত্রছাত্রীরা তা পড়ে নেয়।

ছাত্রছাত্রীরা এবার দেখতে পেলো- শাহজাহান এক কৃষ্ণকালো মেয়ের প্রেমে পড়েছে। ৯ম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় তাদের বিয়ে হয়। এসএসসি পরীক্ষার সময় শাহজাহান এক ছেলে আর এক মেয়ের বাপ ;) ছাত্রছাত্রীরা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ওদের স্যারকে এসব জিজ্ঞাসা করে। আর চোখের সামনে শাহজাহানের চার-চারটি ছেলেমেয়েকে দেখতে পেয়ে ওরা বুঝে নেয়- ক্লাসলাইফে স্যারের ঘটনা খুব ভয়াবহ ছিল ;) শাহজাহান ওর ছাত্রছাত্রীদের বুঝাতে চেষ্টা করেছিল যে, বইয়ের এই অংশ বানানো; কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা ওদের মনোভাব বদলেছিল কিনা আমার জানা নেই।


ভালো থাকবেন প্রিয় মাঈনউদ্দিন ভাই।

৫| ২৪ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:০৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: অসাধারন গল্প।

২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়।

৬| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গল্প গল্প খেলা
গপ ছেড়েছেন মেলা।

প্রিয় কবি কবিতার মত লাগলো।


২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই।


ফেইসবুকে আপনাকে মেসেজ পাঠিয়েছি ;)

৭| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৬

সুমন কর বলেছেন: লেখার ধরণ ভালো লাগল। গুছিয়ে, সুন্দর করে সহজভাবে লেখা।

শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাঠক ধরে রাখতে সক্ষম। আর গল্প সর্ম্পকে বলতে গেলে, শেষে অনেকগুলো ছোট ছোট ট্রান আছে, ভাল লাগল।

২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সুমন কর। ভালো থাকবেন।

৮| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১১

তুষার মানব বলেছেন: সুন্দর গল্প

২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ তুষার মানব। শুভেচ্ছা।

৯| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ক্রমাগত ‘ছ্যাঁকা’ খেতে খেতে তামা হয়ে গেছে
হাহ হাহ হা। সাধারণ কথামালা সরল প্রকাশ ...
স্বচ্ছন্দ গতিতে উপভোগ্য ছোটোগল্প।

শুভ কামনা, সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই।
লিখুন আপনার রাফখাতায় নিজের মতো করে ...

২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু।

ফেইসবুকে আপনাকে মেসেজ পাঠিয়েছি। খুলে দেখবেন?


শুভেচ্ছা।

১০| ২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আমার যদি একটা শাহজাহান থাকত ! :( :(
বিনে পয়সায় শ্রোতা / পেলে কার না ভাল লাগে । :D :D

বই না পড়েই মনে হচ্ছে - বইইয়ের ঘটনা সবই সত্যি - লেখক
সত্য ঘটনাকেই উপন্যাসে রুপ দিয়েছেন - গল্পে এমনই আভাস পাচ্ছি
;) ;)

যদিও শাহজাহান ভাইয়ের বলার পর নিঃসন্দেহ না হয়ে পারা যায় না
:P :P

গল্পটা দারূণ - আনন্দ পেয়েছি । শাহজাহান ভাই - আসলেই অসাম B-)

আপনার লেখায় সবসময় পারফেকশন থাকে - আমির খানের মত আপ্নিও পারফেকশনিস্ট ।

সাথে মাইনুল ভাইয়ের কমেন্টে
রস বেশি থাকলে মাত্রাটা আরেকটু বাড়ত ।

আপনার উপন্যাস পড়তে চাই !

ভাল থাকুন প্রিয় ছাই ভাই । মজা করে উত্তর দিতে হবে কিন্তু ;)

০৩ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে আমি গলে গেলাম। এতখানি গলে গিয়েছি যে এখন জবাব দিতে পারছি না :(

আমার ‘খ্যাতির লাগিয়া’ নামক একটা উপন্যাস আছে। আমার বিচারে এটা আমার শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ;)

তো, শাহজাহানের বাসায় আড্ডা হচ্ছে। শাহজাহানদের কাছে আমার বা আমার পরিবারের কোনো কিছুই অজানা, বা গোপন নেই- ওরা আমার জীবনের সবকিছুই জানে। খুব সাদামাটা, প্রেমহীন, রসহীন জীবন আমার। ওরা ঐ উপন্যাস সম্পর্কে অনেক কিছু আলোচনা করছিল। একসময় খেয়াল করলাম ওরা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কয়েকটা নারী ক্যারেক্টারের ব্যাপারে আমাকে জেরা করছে। এবং শেষ পর্যন্ত বললো- ‘গোপনে গোপনে এইসব কইরা বেড়াইছস এতদিন? আমাগো এত আবাল ভাবিস না। আমরা সব বুঝি।’ তারপর ওরা হিসাব করে বের করলো কোন্‌ মেয়ের সাথে আমার কবে, কোথায় প্রেম হয়েছিল ;)

আমার উপন্যাস সম্পর্কে শাহজাহান বা ওর বউয়েরই কিছু লাফালাফি মাতামাতি একটু বেশি ছিল। এগুলো মূলত আমার বন্ধুবান্ধবদেরকে উপজীব্য করে ওদের জন্যই লেখা। আহামরি কিছু না যে, আপনাকে পড়তে দিব ;)

ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই।

১১| ২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়লে এই জালা -
অনেক লাইন মাথায় আসলেও লেখার সময় মনে থাকে না ।

আচ্ছা রবি আঙ্কেল এত দুষ্টু কেন ? আপনার কি মনে হয় ?
পুরাই বিশ্বদুষ্টু :P

( এটাই মশকারা করে লিখতে চাইছিলাম - আঙ্কেল লিখলে যদি
আবার ব্লগে ধোলাই খাই :( :( ( অনেকে কিন্তু মাইন্ড খায় :( )

তবে আপনার কাকা সম্বোধনে সাহস করেই ফেললাম । B-)
আচ্ছা কাকার চেয়ে কাকু সম্বোধন আরেক টু আদুরে লাগে না ?

০৩ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার দুটো প্রিয় সম্বোধন আছে- দুখুমামা এবং রবিকাকা। আরেকটা সম্বোধন আছে- জসীম ভাই, যদিও জসীম ভাইয়ের কোথাও কোনো উল্লেখ করি নি।

রবিকাকা খুব দুষ্টু ছিলেন। খুব দুষ্টু ছিলেন বলেই তিনি বিশ্ব জয় করতে পেরেছিলেন। দুষ্টুরা খুব মেধাবী হয়। যে শিশু যত দুষ্টু, সে তত মেধাবী। এ মেধার স্ফূরণ সঠিকভাবে ঘটলো কিনা তা ডিপেন্ড করে মা-বাবার উপরে। রবিকাকার মেধার দ্যুতি কার কারণে প্রকাশ পেয়েছিল তা আন্দাজ করে দেখুন ;)

ভালো থাকুন মাহমুদ ভাই।

১২| ২৫ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
সত্যির মত গল্প, নাকি গল্পর মত সত্যি!!

অন্যধাচের লেখাটি উপস্থাপনায় ভিন্ন, ভাললাগা সেখানে।
আপনার জন্য শুভেচ্ছা!!



এর বেশী কিছু বলার নেই ভাইয়া !

০৩ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বেশি কিছু না বলেই বরং অনেক কিছু বলে গেলেন। সোনালী ডানার চিল এবং আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১৪

এহসান সাবির বলেছেন: গল্পের শেষে নাটয়কীয়তা গল্পটির অন্য রকম মাত্র দিয়েছে।


শুভেচ্ছা।

০৩ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় এহসান সাবির ভাই।

১৪| ২৭ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: সোনা বীজের রগরগে প্রেম কাহিনী :)

ভাল লাগছে।

০৩ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সোনাবীজের রগরগে প্রেমকাহিনি ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলুম ;) ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ২৯ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: শেষ পর্যন্ত না পড়লে বুঝাই যাবে না এটা গল্প । ভাল লাগছে।

০৩ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শেষ পর্যন্ত আপনিও যে শাহজাহানের মতো বলেন নি যে, সবই সত্য কাহিনি- এটা দেখেই আমি খুব সন্তুষ্ট ;) ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬| ০৩ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২২

কন্সট্যান্ট শেখ বলেছেন: সত্যিই অনেক উপভোগ্য গল্প।

০৩ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কন্সট্যান্ট শেখ।

১৭| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ সকাল ৯:২০

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন: মাঝে মাঝে আত্মজীবনী মাঝে মাঝে গল্প মনে হয় ৷ তবে এটুকু পড়ে পাঠককে ধরে রাখার মত ভাল লাগল ৷

০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আলজাহাঙ্গীর ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.