নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
যে কোনো টুর্নামেন্টের ড্র ও ফিকশ্চার তৈরি করে আমি প্রচুর আনন্দ পেয়ে থাকি। আগের দিনে ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল ড্র-এর আগে আমি আমার নিজস্ব ড্র করে ২৪ বা ৩২ টিমের গ্রুপিং তৈরি করতাম। ফাইনাল ড্র-এর সাথে মিল-অমিলের তালিকা বানিয়েও অনেক মজা পেতাম।
গোটা পাঁচেক ফুটবল, হকি ও ভলিবল টুর্নামেন্টের ড্র পরিচালনা ও খেলা আয়োজনের অভিজ্ঞতা আমার ঝুলিতে জমা রয়েছে, যেখানে ২২ থেকে ২৯টা দলকে ৬ থেকে ৮টা দলে ভাগ করে গ্রুপিং করা হয়েছে। এ নিয়ে আমি যেমন গর্ব করি, খানিকটা অহংকারও করি মাঝে মাঝে
ড্র-য়ের মূলসূত্র হলো- একই গ্রুপের দুটি দল লিগ পর্যায়ের পর ফাইনালের আগে আর মুখোমুখি হবে না। কিন্তু মনে করে দেখুন, ২০০২ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল আর টার্কি একই গ্রুপে ছিল, আবার তারা সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। এটা কীভাবে সম্ভব? সেবার পুরো ৩২টা দলকে আগেই নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে দুইভাগে ভাগ করে ফেলা হয়েছিল। প্রতি ভাগের চ্যাম্পিয়ন ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়েছিল। যে-ভাগে ব্রাজিল ও টার্কি ছিল, ভেবে দেখুন, ব্রাজিল ও টার্কি ঐ ভাগের ফাইনালের আগে কিন্তু আর মুখোমুখি হয় নি।
বর্তমান বিশ্বকাপের ড্র ৬ ডিসেম্বর ২০১৩-তে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ ড্র কীভাবে করা হয়েছিল, চলুন, সংক্ষেপে তা আলোচনা করা যাক।
অক্টোবর ২০১৩ মাসে ফিফা র্যাঙ্কিঙের শীর্ষ ৭ দল এবং স্বাগতিক ব্রাজিলসহ মোট ৮টি দলকে গ্রুপ শীর্ষদল বা ‘সিড’ (Seed) হিসাবে নির্বাচন করা হয়। ১ম ৭টি দল ছিল যথাক্রমে স্পেন, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, বেলজিয়াম, উরুগুয়ে ও সুইজারল্যান্ড। ফিফা র্যাঙ্কিঙে ১১ নম্বরে থাকা ব্রাজিলকে নিয়মানুযায়ী ১ নম্বর ‘সিড’ হিসাবে ধরা হয় (স্বাগতিক হিসাবে)।
৩২টি দলকে সমান ৮ ভাগে ভাগ করে ৮টি পাত্র বা কাচের জার বা বৈয়ামে রাখা হয়।
১। সিডভুক্ত ৮টি দলকে রাখা হয় ১ম বৈয়ামে।
২। আফ্রিকা ও সাউথ আমেরিকার ৭টি দল, যথাক্রমে আলজেরিয়া, ক্যামেরুন, অইভরি কোস্ট, ঘানা, নাইজেরিয়া, চিলি ও ইকুয়েডরকে রাখা হয় ২য় পাত্র বা বৈয়ামে। ৪ নম্বর বৈয়ামে ছিল ইউরোপের ৯টি দল। সেখান থেকে এ্যাট র্যানডম তুলে আনা হয় একটি দলকে (ইটালি) এবং সেটিকে রাখা হয় ২ নম্বর বৈয়ামে। তাহলে ২ নম্বর বৈয়ামে মোট ৮টি দল হলো।
৩। ৩ নম্বর বৈয়ামে এশিয়া ও নর্থ আমেরিকার ৮টি দলকে ফেলা হয়। দলগুলো হলোঃ
Australia
Iran
Japan
South Korea
Costa Rica
Honduras
Mexico
United States
৪। ৪ নম্বর বৈয়ামে ইউরোপের ৮টি দল থাকে (১টি দলকে উঠিয়ে ২ নম্বর বৈয়ামে রাখা হয়েছে- ইটালি)। দলগুলো হলোঃ
Bosnia and Herzegovina
Croatia
England
France
Greece
Netherlands
Portugal
Russia
দলগুলো যাতে প্রতি মহাদেশের দলগুলোর সাথে যথাসম্ভব সমভাবে ভাগ হয়ে মিশ্রিত হয়, সেই চেষ্টা করা হয়, এবং একই গ্রুপে যাতে ইউরোপের ৩টি দেশ না পড়ে তার জন্যও বিশেষ কৌশল অবলম্বন করা হয়।
লক্ষ করে দেখুন, সিডভুক্ত ৮টি দলের মধ্যে ৪টি সাউথ আমেরিকা এবং বাকি ৪টি ইউরোপের দল।
৮টি সিড টিমের মধ্যে ব্রাজিলকে গ্রুপ ‘এ’-তে রাখা হয়। এরপর ১ নম্বর বৈয়াম থেকে একে একে বাকি ৭টি টিমকে তুলে যথাক্রমে বি, সি, ডি, ই, এফ, জি ও এইচ গ্রুপের শীর্ষ দল হিসাবে রাখা হয়।
এ- ব্রাজিল
বি- স্পেন
সি- কলম্বিয়া
ডি- উরুগুয়ে, ইটালি*
ই-সুইজারল্যান্ড
এফ- আর্জেন্টিনা
জি- জার্মানি
এইচ- বেলজিয়াম
(*সিডভুক্ত ৪টি সাউথ আমেরিকার দলকে আবার আরেকটি বৈয়ামে রাখা হয়। তা থেকে লটারি করে একটি দেশের নাম তোলা হয়। তাতে বের হয়ে আসে উরুগুয়ে। এই উরুগুয়ের সাথে ২ নম্বর বৈয়ামে রাখা ইউরোপিয়ান দল ইটালিকে রাখা হয়।)
এরপর ২ নম্বর বৈয়ামের ৭টি দলকে লটারি করে একে একে তোলা হয়। ১মটি তুলে এ গ্রুপে, ২য়টি বি গ্রুপে, এভাবে ৮ নম্বরটি এইচ গ্রুপে রাখা হয়। (ইটালিকে আগেই উরুগুয়ের গ্রুপে ফেলা হয়েছিল)।
একইভাবে ৩ ও ৪ নম্বর বৈয়াম থেকে ক্রমিকভাবে দলগুলো তুলে ‘এ’ থেক ‘এইচ’ গ্রুপে তোলা হয়।
গ্রুপের লটারি এভাবেই শেষ হলো।
কাজ আরেকটু বাকি ছিল।
প্রতি গ্রুপের সিডভুক্ত দলটি টিম-১ হবে। প্রতি গ্রুপের বাকি ৩টি টিমের মধ্যে ড্র করে অবস্থান নির্ণয় করা হয়। উদাহরণ স্বরূপ, গ্রুপ এ-এর শীর্ষ দল ব্রাজিল, এ-১। এ গ্রুপে ড্র-র ১ম দলটি হবে এ-২, পরেরটি এ-৩ এবং শেষেরটি এ-৪।
এভাবে বাকিদলগুলোর মধ্যকার পজিশন নির্ণয় করা হয়।
ধাঁধা ও অংকে যারা মজা পান তারা এ সকল ড্র বা ফিকশ্চার করেও খুব মজা পাবেন বলে আমার ধারণা।
ফিকশ্চার তৈরি
এবার ফিকশ্চার কীভাবে তৈরি হয় তার উপর সংক্ষেপে আলোকপাত করছি। ড্র-এর আগেই ফিকশ্চার তৈরি করে নিতে হবে। ড্র-এর পর ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী দলগুলোর নাম নির্দিষ্ট বক্সে বা বৈয়ামে ফেলে দিতে হবে।
৩২-দল টুর্নামেন্টের জন্য ৮টি গ্রুপ করাই উত্তম, অন্যথায় খেলার সংখ্যা বেড়ে যাবে। ১ম গ্রুপকে এ গ্রুপ, ২য় গ্রুপকে বি গ্রুপ, এভাবে বাকি গ্রুপগুলোকে যথাক্রমে সি থেকে এইচ পর্যন্ত চিহ্নিত করতে হবে। আবার একই গ্রুপের ভিতর শীর্ষ বাছাইকে ১ নম্বর (এ গ্রুপের হলে এ-১, বি গ্রুপের হলে বি-১, ইত্যাদি) এবং বাকিগুলোকে যথাক্রমে ২, ৩ ও ৪ নম্বর দল হিসাবে চিহ্নিত করতে হবে (এ গ্রুপের ক্ষেত্রে এ-১, এ-২, এ-৩ ও এ-৪। বাকিগুলোও এভাবেই হবে)।
ফিকশ্চার তৈরির জন্য অনেক পদ্ধতি আছে। একটি পদ্ধতি আলোচনা করছি। এ পদ্ধতির মূলসূত্র হলো গ্রুপ লিগের পরে ফাইনাল খেলা ছাড়া একই গ্রুপের দলগুলোর মধ্যে মাঝপথে আর মুখোমুখি হবার সম্ভাবনা থাকবে না। ব্যতিক্রম হিসাবে শুরুতেই আমি ২০০২ বিশ্বকাপের কথা উল্লেখ করেছি।
ধরে নিই প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার-আপ দল ২য় রাউন্ডে যাবে। এ প্রসঙ্গে আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিই আগের দিনের কথা যখন ২৪টি দল খেলতো। ঐ সময়ে ২৪টি দলকে ৬ গ্রুপে ভাগ করা হতো, ১৬টি দল ২য় রাউন্ডে উঠতো। প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার মিলে হতো ১২টি দল, আর ৬টি ৩য় স্থান লাভকারী দলের মধ্য থেকে সেরা ৪টি ২য় স্থান লাভকারী দল ২য় রাউন্ডে উঠবার সুযোগ পেতো। ঐ ফিকশ্চার তৈরি বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি জটিল ছিল। তবে গ্রুপ অব ডেথ তখন বর্তমানের মতো এত ভয়ংকর ছিল না, কেননা কোনো শক্তিশালী দল দুর্ভাগ্যক্রমে গ্রুপে ৩য় স্থান লাভ করলেও সেরা ৪টি ৩য় স্থান লাভকারী হবার আশায় শেষ পর্যন্ত খেলা ধরে রাখতো।
২য় রাউন্ডের জন্য এবার ফিকশ্চার নীচের মতো করে সাজানঃ
এ-১ বনাম বি-২
সি-১ বনাম ডি-২
ই-১ বনাম এফ-২
জি-১ বনাম এইচ-২
লক্ষ করুন, উপরে কোনো গ্রুপ থেকেই একটির বেশি দল উঠে আসে নি। এবার ১ম ম্যাচবিজয়ী বনাম ২য় ম্যাচবিজয়ী এবং ৩য় ম্যাচবিজয়ী বনাম ৪র্থ ম্যাচবিজয়ী ৩য় রাউন্ডে (কোয়ার্টার ফাইনাল) খেলবে। দুই কোয়ার্টার ফাইনাল বিজয়ী খেলবে সেমি-ফাইনাল। সেমি-ফাইনাল বিজয়ী খেলবে ফাইনালে। তাহলে দেখুন, এখানকার কোনো গ্রুপের অপর দলের সাথেই ফাইনালের আগে আর মুখোমুখি হবার সুযোগ থাকছে না।
চলুন দেখা যাক বাকি দলগুলোর ফিকশ্চার।
এ-২ বনাম বি-১
সি-২ বনাম ডি-১
ই-২ বনাম এফ-১
জি-২ বনাম এএইচ-১
এখান থেকেও উপরের নিয়মে কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমি ফাইনাল খেলার পর বিজয়ী দলটি ফাইনালে উত্তীর্ণ হবে।
এ তো গেলো ২য় রাউন্ডের ফিকশ্চার। ২য় রাউন্ডে উঠবার আগে একই গ্রুপের ফিকশ্চার কীভাবে করা হয় চলুন তা জেনে নিই। অনেক ভাবেই করা যেতে পারে, তবে সহজ পন্থাটি বলি। আগেই বলেই দলগুলোকে যথাক্রমে এ-১, এ-২, এ-৩ ও এ-৪, এভাবে সাজানো হয়।
এ-১ বনাম এ-২
এ-৩ বনাম এ-৪
এ-১ বনাম এ-৩
এ-২ বনাম এ-৪
এ-১ বনাম এ-৩
এভাবে বাকি গ্রুপের ফিকশ্চার সম্পন্ন করা হয়।
উপরোক্ত ফিকশ্চার হলো একটা সেট ফরম্যাট। প্রতিটা ম্যাচ কোন মাঠে কবে অনুষ্ঠিত হবে তা ড্র-এর আগেই ঠিক করে রাখা হয়; ড্র-এর সময় কেবল দলগুলো বসিয়ে দেয়া হয় জায়গামতো (শুরুতে যা বর্ণনা করা হয়েছে)। কখনো কখনো দর্শক চাহিদা, হোম গ্রাউন্ড ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে কোনো কোনো ম্যাচের মাঠ ও সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপে এ ফ্যাক্টরগুলো বেশি বিবেচনা করা হয়।
এ ছিল ড্র ও ফিকশ্চার সংক্রান্ত বিষয়গুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ। এ বিষয়গুলো বুঝবার জন্য যাদের আগ্রহ আছে কিন্তু আগে জানতেন না, তারা এটা পড়ে খুব মজা পাবেন। যাদের আগ্রহ আছে এবং এ ব্যাপারে বিশদ জ্ঞান রাখেন, তারা এর উপর আরও অপশন কী কী হতে পারে তা খতিয়ে দেখবেন।
তবে অনেকের কাছেই এ ব্যাপারটা জটিল মনে হতে পারে। সেটা মাথায় রেখেই যথাসম্ভব সহজ নিয়মে ড্র আর ফিকশ্চার তৈরি করার পদ্ধতি বর্ণনা করলাম। কারো যদি একটুখানি ভালো লাগে, আমি খুশি হবো।
বর্তমান বিশ্বকাপের ড্র যেভাবে হয়েছিল, তার সংক্ষিপ্ত ভিডিওটি দেখুন। ইউটিউবে সার্চ দিলে পূর্ণাঙ্গ ভিডিও পাওয়া যাবে।
২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দয়া করে বিমর্ষ হবেন না
২| ২৭ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: জেনে খুব ভালো লাগলো !
প্রক্রিয়া যথেষ্ট স্বচ্ছ , নিরপেক্ষ ।
২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ অভি ভাই।
৩| ২৭ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪
আহসানের ব্লগ বলেছেন: ধন্যবাদ
২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯
সুমন কর বলেছেন: অনেক কিছুই জানতাম না। আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পাড়লাম। ধন্যবাদ। ফুটবল নিয়ে যতগুলো পোস্ট এসেছে, তারমধ্যে এটি আমার কাছে বেস্ট মনে হলো। শেখার আছে।
২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো সুমন ভাই। ভালো থাকবেন।
৫| ২৭ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
পড়ে মজা পাইছি।
২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মজা পাওয়ায় ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
৬| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৬
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বাহ! চমৎকার জিনিস তো!!
জানতাম না সত্যি!
আজকে জানলাম, আসলে ঘাটিনাই সেভাবে...
ভালোলাগলো ...
২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভবিষ্যতে এ জিনিসটা ঘাঁটাঘাটি করার একটা ইচ্ছে আপনার মধ্যে জেগে উঠতে পারে
ভালো লাগলো বলে আমারও ভালো লাগছে।
ধন্যবাদ।
৭| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৫৯
সাদরিল বলেছেন: গ্রুপ সি গ্রুপ ই আর গ্রুপ এইচ এর ড্র জগন্য হয়েছে। আমি ভাবছিলাম এভাবে ড্র হলো কীভাবে। এই পোস্ট পড়ে পুরো প্রক্রিয়া পরিস্কার হলো। ধন্যবাদ জানানোর জন্য।
২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ড্র হলো ভাগ্য। আর এ ভাগ্য গড়ার কাজ করতে হয় নিজেদেরকেই। ড্র-এর সময় দলগুলোর অবস্থান ভালো হলে শক্তিশালী দলগুলোর একই গ্রুপে পড়ার সম্ভাবনা কমে যায়, যেহেতু শক্তিশালী দলগুলো ‘সিড’ হিসাবে নির্বাচিত হয়ে থাকে।
ধন্যবাদ সাদরিল ভাই।
৮| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:১২
রাকীব হাসান বলেছেন: ফুটবল নিয়ে যতগুলো পোস্ট এসেছে, তারমধ্যে এটি আমার কাছে বেস্ট মনে হলো।
২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এই জটিল হিসাব-নিকাশ খুব নীরস মনে হতে পারে- আমার এমন আশঙ্কা ছিল। তবে এতে যে অনেকেরই খুব আগ্রহ আছে তা জানতে পেরে এখন খুব আনন্দ হচ্ছে।
ধন্যবাদ রাকীব ভাই। ভালো থাকবেন।
৯| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:২৩
আরজু পনি বলেছেন:
ওররে বাব্বা!
জানতামনা কিছুই
পোস্ট প্রিয়তে নিলাম গো...
২৮ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
১০| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো অনেক। অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ
২৮ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
১১| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +
২৮ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই।
১২| ২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:১৮
অদৃশ্য পথিক ০০৭ বলেছেন: অনেক ভাল লাগছে
২৮ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ অদৃশ্য পথিক ০০৭।
১৩| ২৮ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৩৬
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক জটিল ।
২৮ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ধন্যবাদ মামুন ভাই।
১৪| ২৮ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৫৮
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
অজানা ছিল জানতে পেরে ভাল লাগল।
ধণ্যবাদ আপনাকে।
২৮ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়।
১৫| ২৮ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৭
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: দীর্ঘ প্রক্রিয়া।
উপভোগ্য হোক বিশ্বকাপ।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার।
১৬| ২৯ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১
খাটাস বলেছেন: বাপরে অনেক তথ্যমুলক পোস্ট। পরিশ্রম করে মাথা খাটানোয় প্লাস। শুভেচ্ছা জানবেন।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় খাটাস।
১৭| ৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:০৫
এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
এত কিছু জানতাম না।
০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান ভাই।
১৮| ৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:১২
ইফতেকার অনিক বলেছেন: সুন্দর
০২ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ইফতেখার অনিক ভাই।
১৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮
মুদ্দাকির বলেছেন: কিছুই জানা ছিলনা !!
০৫ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মুদ্দাকির ভাই।
২০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ওয়াও! জটিল একটা জিনিস জানলাম! আমি তো ভাবতাম এমনি সব গুলো দেশের মধ্যে সরল প্রকৃতির লটারির মাধ্যমে সবকিছু নির্ধারন করা হয়। আসলেই অনেক জটিল একটা জিনিস জানলাম।
একটা ব্যাপার ক্লিয়ার করেন তো, ইউরোপ থেলে একই গ্রুপে তিনটি দেশ যাতে না পরে সেটা ফিফা কেন বিবেচনা করে? এটা কি অফিসিয়ালিই করে না কি অলিখিত নিয়ম ?
০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেকদিন পর সাইফুল ভাইকে দেখে খুব ভালো লাগলো।
একটা গ্রুপে ৩টা ইউরোপীয় দেশ না থাকার ব্যাপারটা হলো ম্যাথমেটিক্যাল। এই প্রশ্নটা উঠতো না যদি বাছাই টিম নির্বাচনের পর আফ্রিকা ও সাউথ আমেরিকার দেশের সংখ্যা ৮ হতো (২০১৪ সালে ৭) এবং ইউরোপীয় দেশের সংখ্যাও ৮ হতো (২০১৪ সালে ৯)। ৩২টা দেশকে শুরুতেই ৪ ভাগে ভাগ করে ৪টি পাত্রে রাখা হয় (যা টেক্সটে বলেছি)। ১ম পাত্রে ৮টি বাছাই টিম। ২য় পাত্রে আফ্রিকা ও সাউথ আমেরিকার ৭টি দেশ। এখানে যদি দেশের সংখ্যা ৮টি হতো তাহলে ঝামেলা চুকে যেতো; কারণ, প্রতি পাত্র থেকে ১টি করে দেশ নিয়ে ৪ পাত্র থেকে ৪টা দেশ নিয়ে ১টি গ্রুপ করা হয়। ৩য় গ্রুপে থাকে এশিয়া এবং নর্থ আমেরিকার ৮টি দেশ। ৪র্থ পাত্রে ইউরোপের ৯টি দেশ। এবার ধরুন, ২য় পাত্র থেকে নেয়া হলো আফ্রিকা বা সাউথ আমেরিকার ১টি দেশ, ৩য় পাত্র থেকে এশিয়া বা নর্থ আমেরিকার একটি দেশ, আর ৪র্থ পাত্র থেকে ইউরোপের একটি দেশ। তাহলে দেখুন ৩ অঞ্চলের ৩টি দেশের মিক্সচার হলো একটা গ্রুপে। এবার এদের সাথে যদি ১ম পট থেকে একটা দেশ নেয়া হয় তাহলে সেটা যে-কোনো মহাদেশেরই হোক না কেন, সব মিলিয়ে একটা গ্রুপে সর্বাধিক দুই মহাদেশের ২টি দেশ থাকবে। কিন্তু ঝামেলা হয়ে গেছে পাত্র নম্বর ৪ নিয়ে, যেখানে ইউরোপিয়ান দেশ রয়েছে, যাদের সংখ্যা ৯। এখান থেকে একটি দেশ সরিয়ে নিয়ে এ পাত্রের দেশের সংখ্যা করা হয় ৮, এবং এটি ২ নম্বর পাত্রে রেখে ২ নং পাত্রের দেশের সংখ্যা ৭ থেকে বাড়িয়ে ৮ করা হয়। এরপর যেভাবে ড্র করা হয় তা তো উপরে বুঝেছেনই।
এখন এই যে একটা গ্রুপে ৩টা ইউরোপিয়ান দেশ না রাখার সিদ্ধান্ত, এটা ফিফা তাদের মিটিঙে নিয়ে থাকে। মূল সূত্র হলো- এক গ্রুপে যথাসম্ভব সর্বাধিক মহাদেশের সম্মিলন ঘটানো। আর এটা ডিপেন্ড করে ইউরোপিয়ান দেশের সংখ্যার উপর। বাছাই টিমের পর ইউরোপিয়ান টিমের সংখ্যা ৮ হলে আর কোনো সমস্যা হয় না, ৮-এর চেয়ে বেশি বা কম হলেই ড্র-এর ব্যাপার জটিল হয়ে যায়। বাছাই টিম নির্বাচনের জন্য ফিফা একেক সময়ে একেক নিয়ম অনুসরণ করেছে। যেমন এবার ড্র-এর সময় কোয়ালিফাই করা দেশগুলোর ফিফা র্যাঙ্কিং।
কতটুকু বোঝাতে পারলাম জানি না। তবে বিস্তারিত বুঝবার জন্য এ লিংকটা ঘেঁটে দেখতে পারেন। en.wikipedia.org/wikamar._FIFA_World_Cup_seeding
ভালো থাকবেন সাইফুল ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:১৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: