নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
আত্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে নয়, অন্য কেউ হয়তো অনুপ্রাণিত হবেন, এ আশায় শুরুতেই আমার একটা ভালো কাজের কথা আপনাদের বলছি। আমার পরিচিত এক দরিদ্র লোকের মেয়ে এবার কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে (কমার্স) ভর্তি হয়েছে। সেই মেয়ের জন্য ১ম বর্ষের একসেট বই কিনে দিলাম। জীবনে যত বড় বড় আনন্দ লাভ করেছি, ক্ষুদ্র এ কাজটি করতে পেরে আমি তেমন বড় মাপের আনন্দ পাচ্ছি।
আমরা যে-কেউ এরকম কাজ করতে পারি। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যাঁরা বেশ সচ্ছল, এবং নিয়মিত দরিদ্রগণকে সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছেন। তাঁদের জন্য আমি আরও কিছু উদাহরণ নীচে তুলে ধরলামঃ
১। আপনার গাঁয়ের বা মহল্লার একজন দরিদ্র লোককে একটা রিকশা কিনে দিতে পারেন। শুধু খেয়াল রাখবেন, লোকটি যেন তড়িঘড়ি রিকশাটি বিক্রি না করে দেয়। এটা নিশ্চিত করার জন্য একটা শর্ত আরোপ করে দিতে পারেন, যেমন, প্রতিদিন আপনাকে ১০ টাকা করে জমা দিতে হবে। এ টাকাটা তার জন্যই রেখে দিন। পরবর্তীতে কোনো এক সময় তার জমা-করা সমুদয় টাকা ফেরত দিন। লোকটি বিস্ময়ে হতবাক হবে, আপনি অনেক বেশি আনন্দ লাভ করবেন।
২। দরিদ্র কৃষককে একটা গাভী বা হালের গরু কিনে দিতে পারেন।
৩। দরিদ্র বিধবাকে কিছু হাঁসমুরগি বা ছাগল কিনে দিতে পারেন।
৪। একজন দরিদ্র মাঝিকে একটা নৌকা কিনে দিতে পারেন।
৫। জেলেকে জাল কিনে দিতে পারেন।
৬। যার মজা পুকুর আছে, সংস্কার করে মাছ চাষের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন।
৭। কিছু ফলের চারা, সবজির বীজ কিনে দিতে পারেন। আজকাল হোমবেস্ড চাষাবাদ করার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। উঠোনের পাশে, ঘরের কোনায় ফলফলাদি ও সবজি চাষ করা যায়, উত্সাহিত করুন গরীব মানুষকে।
৮। কাউকে এক বান্ডিল টিন কিনে দিতে পারেন ঘরের চালার জন্য।
৯। আপনার পুরোনো কাপড়চোপড়গুলো আর বাসায় না রেখে বিলিয়ে দিতে পারেন দরিদ্রদের মাঝে।
১০। একজন দরিদ্র মেধাবী ছাত্রের সারাবছরের পড়ালেখার টাকাটা দিয়ে দিতে পারেন।
১১। আরও কতো কিছু আপনি করতে পারেন।
আপনি যদি সরল মনে এ কাজগুলো করেন, কোনোরূপ স্বার্থসিদ্ধির ধান্দা না করে, তাহলে দেখবেন, প্রকৃত আত্মসন্তুষ্টি ও নির্মল আনন্দে আপনি উদ্বেলিত হচ্ছেন। আপনি নিজের অজান্তে অপার আনন্দে গেয়ে উঠবেন : সার্থক জনম আমার.....
এই যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজগুলো আপনি করছেন, এগুলো আসলে ক্ষুদ্র নয়, খুব বড় এবং মহান। দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে সেবার মধ্যে শুধু মানবিক বোধই নয়, দেশসেবার অনুষঙ্গও বিদ্যমান। আপনাকে যে একজন মহান রাজনৈতিক নেতা কিংবা প্রাজ্ঞ বুদ্ধিজীবী হতেই হবে, দেশসেবার জন্য এটা কোনো জরুরি শর্ত নয়।
প্রকৃত দেশসেবকদের প্রতি যথাযথ ও অকৃত্রিম শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমাদের অনেকেই দেশসেবার নামে মুখে বড় বড় বুলি আওড়ে থাকেন, জনহিতার্থে তাঁদের অবদান কতখানি তা ঢাকঢোল পিটিয়ে জাহির করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আমরা অনেকেই হয়তো কখনোই জানতে পারি না এর পেছনে তাঁদের কতখানি স্বার্থ জড়িত ছিল, কী ছিল না।
কেউ কেউ আছেন- তাঁরা শুধু হা-হতোস্মি করেন, দেশের জন্য কোনো কিছু করতে পারলেন না বলে, যদিও করার ছিল/আছে অনেক কিছু।
বিত্তবান না হয়েও আপনি দেশ ও সমাজসেবায় প্রকৃত অবদান রাখতে পারেন। সেজন্য আপনাকে হৃদয়বান হতে হবে, মানুষকে ভালোবাসার মতো মহৎ উদ্দেশ্য আপনার ভেতর থাকতে হবে। এ কাজটা করার জন্য আপনাকে অনেক বড় কিছু করার দরকার নেই, অনেক অর্থকড়িও হয়তো খরচ করতে হবে না। দেশসেবার মহান ব্রত মাথায় রেখে আপনাকে শুধু একটু প্রচারবিমুখ হতে হবে। প্রচারই যদি আপনার আসল উদ্দেশ্য হয়, দেশসেবা হয়তো হবে না।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজের ভেতর দিয়েই আপনার দেশসেবার বীজ বোনা হয়। যাঁরা সচ্ছল, তাঁরা হয়তো উপরে বর্ণিত তালিকার অনুরূপ সাহায্য-সহযোগিতা করে থাকবেন। আপনার সেই সামর্থ্য যদি না থাকে, তাহলে অন্তত নীচের কাজ তিনটি করুনঃ
১। সবার আগে আপনি প্রতিজ্ঞা করুন, আজ সারাদিন আপনার দ্বারা একটি লোকও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না, মর্মাহত হবেন না।
২। তারপর প্রতিজ্ঞা করুন, আজ সারাদিন আপনি একটা মিথ্যা কথাও বলবেন না।
৩। আরও প্রতিজ্ঞা করুন, আজ সারাদিনে আপনি অন্তত একটা ভালো কাজ করবেন, যার দ্বারা অন্তত একজন লোক উপকৃত হয় (এমন কাজ যেখানে আপনার অর্থকড়ি খরচ হবে না)।
উপরের তিনটা কাজ খুব মামুলি নয় কি? আপনি যে পরিবারের সদস্য, সেখানে প্রত্যেকেই যদি কাজ তিনটা অনুসরণ করেন, ভেবে দেখুন মাত্র একটা পরিবার থেকেই কতগুলো ভালো কাজ সম্পন্ন হতে পারে।
আমরা এভাবেই দরিদ্রসেবা ও দেশসেবায় অংশগ্রহণ করতে পারি। আর এ থেকে লাভ করতে পারি প্রকৃত ও প্রভূত আত্মসন্তুষ্টি।
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথাটি শেয়ার করার জন্য।
২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬
পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগলো ভাই ।
আমার বাসা দিনাজপুরে । প্রায় দু'বছর আগে সেখানকার একটা গুচ্ছগ্রাম নিয়ে একটা সংগঠন থেকে আমরা একটা বিগ প্লান নিয়ে মাঠে নামি । ইচ্ছে ছিলো গ্রামটাকে একটা মডেল হিসেবে উপস্থাপন করার । সেখানে প্রায় ১৮০টা পরিবার এবং ৫০০+ সদস্য আছে । শুরুটা করি ১০টা ভ্যান আর ১০ টা রিকশা দিয়ে । যেহেতু এটা কোন লাভজনক খাত নয় তাই চেষ্টা ছিলো তারা যেন সেগুলো বিক্রী না করেন । শর্ত ছিল প্রতিদিন তারা কিছূ টাকা জমা করবেন যেটা দিয়ে তাদের পরিবারের মহিলা সদস্যরা পশূপালন করবে । চাইলে কুটির শিল্পের চর্চাও করতে পারে ।
১ বছর পার হয়েছে, মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে আমরা অনেকটাই সফল । এবারের ঈদে আরো কিছু রিকশা কেনার প্লান চলছে, লোকবাছাই প্রক্রিয়াও শেষ ।
জীবনে প্রচুর আনন্দ পাবার মত কাজ করেছি তবে এইকাজ করতে গিয়ে যে শ্রম-অর্থ দিয়েছি তারচাইতেও আনন্দ পেয়েছি বহুগুন ।
আপনার পোস্ট দেখে কিছুটা শেয়ার করার ইচ্ছে হলো ।
ধন্যবাদ ভাই ।
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। বিরাট বড় কাজ করছেন আপনারা। স্যালুট থাকলো আপনাদের প্রতি। এবং আপনাদের চূড়ান্ত সাফল্য কামনা করছি।
৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: খেদমতে খোদা মেলে এবদতে জান্নাত।তাই সেবাতে শুধু মানুষের উপকার নিহিত নয় স্রষ্টার সন্তুষ্টিও নিহিত আছে। :#>
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন আনোয়ার ভাই। জীবে দয়া করিছে যেজন, সেজন সেবিছে ঈশ্বর।
ভালো থাকুন।
৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫
রাজিব বলেছেন: এক বার পরিচিত একটা গরিব ছেলেকে গাড়ি (প্রাইভেট কার/ট্যাক্সি) চালানোর ট্রেনিং এর জন্য কয়েক হাজার টাঁকা দিয়েছিলাম। ট্রেনিং এর পর সে ড্রাইভার এর চাকরি পায় এবং এখন বিয়ে করে মোটামুটি ভালই আছে।
গত এক বছরে গ্রামের একটা গরীব ছেলেকে ইংরেজি ও কম্পিউটার শেখার ব্যাবস্থা করে দিয়েছি। গত মাসে ছেলেটি নিজেই আমাকে বলে যে আগামীকালও যদি গ্রামে চলে যায় তাহলে সে গ্রামের বাচ্চাদের ইংরেজি, অংক ও কম্পিউটার শিখিয়ে মোটামুটি আয় করতে পারবে। অথচ এক বছর আগে কৃষক বা রিক্সা চালক, বা দোকান দার হওয়া ছাড়া তার আর কোন সপ্ন ছিল না।
তবে আমার মনে হয় যে আমরা যারা শিক্ষিত এবং বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষিত তারা যদি নিজের মনে শপথ নেই ঠিক মত লেখাপড়া করে সৎ ও দক্ষ অফিসার হবো, উদ্যোক্তা হবো তাহলে দেশের সবচেয়ে বেশি উপকার হবে।
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কন্ট্রিবিউশনের কথা শুনে মুগ্ধ হলাম। একটা পরিবারের কর্মসংস্থাপনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। অনেক বড় কাজ করেছেন।
শুভ কামনা থাকলো আপনার জন্য।
৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯
আরিফ রুবেল বলেছেন: মানুষের সেবা করতে অনেক টাকা পয়সার মালিক হতে হয় না, তবে সদিচ্ছা থাকতে হয়। যে ব্যাপারটা ভালো লাগল আপনি শুধু সহযোগীতা করেই থেমে যেতে বলছেন না, সহযোগীতাটা সঠিকভাবে কাজে লাগছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলছেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধরেন আমি ঋনগ্রস্থ কোন আত্মীয়কে সহায়তা করলাম ঋনমুক্ত হওয়ার জন্য আর টাকাটা পেয়ে সে যাচ্ছেতাইভাবে খরচ করল। এতে উপকার তো হলই না বরং আপনার কষ্টার্জিত অর্থের অপচয় হল। কাজেই, সহায়তা করেই থেমে গেলে চলবে না, সঠিকভাবে সহায়তা করতে হবে।
আর পরে যে তিনটি কাজের কথা বলেছেন সেগুলো যদি কেউ আসলেই নিয়মিত করতে পারে তাহলে সে যে মানসিক শান্তিতে থাকবে সেটা কোটি কোটি টাকার মালিকের মনেও থাকে না। কিন্তু এগুলো করতে পারা অনেক কঠিন। তবে চেষ্টা করব যতটুকু সম্ভব পালন করার, হয়ত পারব না, তবে চেষ্টা করতে দোষ কি ?
অনেক ধন্যবাদ চমৎকার একটি পোস্টের জন্য
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যটি খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২
মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার এই পোস্টের জন্য ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই ।
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মামুন ভাই। ভালো থাকবেন।
৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
সুমন কর বলেছেন: সেজন্য আপনাকে হৃদয়বান হতে হবে, মানুষকে ভালোবাসার মতো মহৎ উদ্দেশ্য আপনার ভেতর থাকতে হবে। এ কাজটা করার জন্য আপনাকে অনেক বড় কিছু করার দরকার নেই, অনেক অর্থকড়িও হয়তো খরচ করতে হবে না। দেশসেবার মহান ব্রত মাথায় রেখে আপনাকে শুধু একটু প্রচারবিমুখ হতে হবে। প্রচারই যদি আপনার আসল উদ্দেশ্য হয়, দেশসেবা হয়তো হবে না। .................
প্রতিটি পয়েন্ট দারুণ। চমৎকার পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুমন ভাই। ভালো থাকবেন।
৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫০
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আমাদের বিত্তবান মানুষ নয়, হৃদয়বান মানুষ চাই, এই চাওয়াটা আমাদের নিজেদেরকেই আগে হৃদয়বান হয়ে প্রমান করতে হবে!
বই কিনে দেওয়াটা অসাধারণ ছিল, ভাল কাজের নিখাদ আনন্দটাই আসলে প্রাপ্তি!
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের বিত্তবান মানুষ নয়, হৃদয়বান মানুষ চাই, এই চাওয়াটা আমাদের নিজেদেরকেই আগে হৃদয়বান হয়ে প্রমান করতে হবে! ঠিক বলেছেন ইফতি ভাই।
অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্চা।
৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
উপরের ১১টি কাজ করা যাবে... দু’একটা করার চেষ্টাও করছি
১১ দুগুণে ২২টাও করবার পারুম... কথা দিলাম
কিন্তু নিচের ৩টা করবার পারুম না, আগেই কইয়া দিলাম
সোনাবীজ ভাইকে একটা কামের পোস্ট দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
খুব ভাও কথা বলেছেন মাঈনউদ্দিন ভাই। কিন্তু দেখুন, ঐ তিনটা কাজ করার জন্য আমাদের কোনো কানা কড়িও লাগে না। অথচ ঐ তিনটি কাজ করতেই আমাদের সবচেয়ে বেশি কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়, ঠিক বলেছি না?
ধন্যবাদ মাঈনউদ্দিন ভাই। ভালো থাকবেন।
১০| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১২
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: আশা করি আমরা সবাই এথেকে উদ্বুদ্ধ হব।
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায়। ভালো থাকবেন।
১১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: আপনার পোষ্টে আমার পারিবারিক কিছু কথা চলে আসবে, যেটা সম্ভবত বলা উচিত নয়, তারপরও বলতে ইচ্ছা করছে।
২ বছর আগে এক রমজানের ঈদে, আব্বা কয়েক হাজার টাকা দিলেন, মসজিদে দেওয়ার জন্য।
আম্মা সেটা না করে করলেন কি, একজনের ঘরের টিন কিনে দিলেন, আম্মার অসুখের সময় যারা, আম্মাকে সহযোগিতা করেন, তাদের শাড়ি আর কিছু টাকা দিলেন, আরো কোথায় কোথায় যেন দিলেন।
এই ব্যাপারে আব্বা ছাড়া আমরা সবাই আম্মাকে সমর্থন দিলাম। কারণ মসজিদে টাইলস দিয়ে চকচকে ঝকঝকে করলাম ঠিকই, কিন্তু নিজেদের মনকে কি করছি?
আমার চারপাশের মানুষ যদি একটু সুখে থাকে তাহলে চারপাশ সুখে থাকবে, থাকবো আমি, মহান আল্লাহও সন্তুষ্ট হবেন।
মানুষের কল্যাণ সাধিত হলে, ধর্ম পালন হবে। শুধু মসজিদে টাইলসের জন্য দান করলে ধর্ম পালন হবে না।
যাহোক পোষ্ট ভাল লাগা রইলো
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার আম্মু নিশ্চয়ই একটা ভালো কাজ করেছেন।
তবে, মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানায় সহযোগিতা করার জন্য আমি নিরুৎসাহিত করছি না। আমিও এলাকার মসজিদ বা মাদরাসায় সহযোগিতা করে থাকি। ইদগাহ তৈরিতে অংশগ্রহণ করি। এসব প্রতিষ্ঠান সাধারণত এলাকার মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিচালিত হয়। ঐখানেও যতখানি সম্ভব সহযোগিতা করা উচিত।
ধন্যবাদ রাতুল ভাই পারিবারিক অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
১২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি সবসময় চেষ্টা করি কারও উপকার করতে না পারলেও যেন আমার দ্বারা কারও কোন ক্ষতি না হয়।
সুন্দর একটা পোস্ট +++
০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কারও অপকার না করার অর্থই আপনি অজান্তে অপরের উপকার করে যাচ্ছেন। কারণ, আপনার দ্বারা কেউ উপদ্রুত হচ্ছে না, এটা নিশ্চিত।
ভালো লাগলো কাণ্ডারি ভাই। শুভেচ্ছা।
১৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৬
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
এই যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজগুলো আপনি করছেন, এগুলো আসলে ক্ষুদ্র নয়, খুব বড় এবং মহান। দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে সেবার মধ্যে শুধু মানবিক বোধই নয়, দেশসেবার অনুষঙ্গও বিদ্যমান।
আমাদের অনেকেরই ইচ্ছে থাকলেও
সম্ভবত প্রচেষ্টার অভাবে অনেক ভালো কাজ
করা হয়ে ওঠে না ।
আপনার পোস্টটি দারুণ আর ইন্সপাইরিং ! ধন্যবাদ ।
০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আমাদের অনেকেরই ইচ্ছে থাকলেও
সম্ভবত প্রচেষ্টার অভাবে অনেক ভালো কাজ
করা হয়ে ওঠে না।
আমার মনে হয় মূল কথা এটাই। অনেকে যে-কোনো কল্যাণমূলক কাজে হয়তো সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন, কিন্তু ব্যাপারটা হয়তো মনেই পড়ে না। আশা করি, এ ধরনের মানুষ যাঁরা, তাঁরা এ পোস্টটি দেখে আগ্রহী হবেন।
ধন্যবাদ স্বপ্নচারী।
১৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৩
বোকামানুষ বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা পোস্ট সেই সাথে মন্তব্যের ঘরে সবার অভিজ্ঞতাও অনেক ভাল লাগলো
আমাদের মধ্যে যাদের সামর্থ্য আছে তাদের একটু চেষ্টা অনেক মানুষের জীবন পরিবর্তনের উছিলা হতে পারে
০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বোকামানুষ। শুভেচ্ছা।
১৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ২:২৪
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
সুন্দর পোষ্ট!!!
সুন্দর ভাবে সুকাজে উদ্ভুদ্ধ করলেন।
ধন্যবাদ!!!
০৮ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন ভাই।
১৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:১০
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। সবাইকে উৎসাহ যোগানোর জন্য ধন্যবাদ। পোস্টে + দিলাম।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলাকায় একটা পিচ্চি থাকতো (এখনো থাকে কিনা জানি না) পলাশ নামে। সবাই চিনতো ছেলেটাকে। চকলেট বিক্রি করতো। একবার ঈদের সময় ওকে একটা নতুন কাপড় আর একটা ফুটবল কিনে দিয়েছিলাম। আপনার এই পোস্টটা দেখে ওর কথা মনে পড়লো।
০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছেলেটার ঘটনা আমার মনে বিশেষ একটা দাগ ফেললো। এরকম আমারও কিছু ছোটো ছোটো স্মৃতি আছে। একবার খুব সাধারণ মানের একটা হোটেলে খেতে ঢুকলাম। একটা ডাইনিং টেবিলের একপাশে আমি আর আমার বড় ছেলে, অন্য পাশে একজন দরিদ্র দোকানদার, তার পাশে তার ৮/১০ বছর বয়সী এক ছেলে। তারা অলরেডি খাওয়া শুরু করেছে। পাউরুটি আর ডাল দিয়ে তারা খাচ্ছে। আমরা পরোটা আর ডাল নিলাম, এবং অতিরিক্ত একটা করে ডিম পোজ। ছেলেটা খুব মলিন ভাবে খাচ্ছে, ওর চেহারা ওর বাবার চেয়েও মলিন। টেবিলের দুইপাশে দুইজোড়া পিতাপুত্র। আমাদের মধ্যে সচ্ছলতার ছাপ স্পষ্ট, তাদের মধ্যে প্রকট দারিদ্র্য। ছেলেটাকে বললাম, ‘তোমাকে একটা ডিম দিই?’ ছেলেটা ওর বাবার অনুমতির অপেক্ষা না করেই মাথা কাত করে সায় দিল, লোকটাও ম্লান মুখে মেনে নিল। আমি লোকটাকেও ডিম দিতে চাইলাম, চা খাওয়াতে চাইলাম। কিন্তু সে রাজি হলো না। লোকটা ঢাকা শহরে আমের কারবার করে। তার সাথে থাকে এই ছোটো ছেলেটি। আমার ছোটো ছেলেটার কথা তখন খুব মনে পড়তে লাগলো। এই ছেলেটা বাবার সাথে রাতদিন পথে পড়ে থাকে, নাওয়া-খাওয়ার হিসাব নেই, আমার ছেলেটি টিভি, ল্যাপটপ, পড়ালেখা, খেলনা- কত কিছু। আমার ছেলেকে কিছুই খাওয়ানো যায় না, কারণ, খাবারের কোনো অভাব নেই। আর এ ছেলেটি খেতে পায় না, পরতে পায় না, পড়ালেখারও সুযোগ নেই।
পথেঘাটে কত অনাথ শিশুরা না খেয়ে কাঁদে, বাঁচবার জন্য জনে জনে ছোটাছুটি করে। ওদের জন্য আমরা আসলে কিছুই করতে পারি না।
১৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৩৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ছাই ভাই আপ[নাকে যতই জানছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি । এই মুগ্ধতার যেন শেষ না হয় । আপনার মনের আনন্দের রাফখাতা এবং দয়ামায়াময়
জীবন দর্শনচর্চা এভাবেই চলতে থাকুক । সেলুট টু ইউ ।
আপনার ব্লগে আসলে আমার সবসময়েই অন্যরকম এক্তা অনুভূতি হয় ।
০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রত্যেক মানুষের ভিতরেই একজন খাঁটি মানুষ বাস করে। মানবতার জন্য সেই খাঁটি মানুষটার মন সব সময় কাঁদে।
আপনার কমেন্টেও সব সময় বিশেষ কিছু থাকে যা ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মাহমুদ ভাই।
১৮| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:১১
জাফরুল মবীন বলেছেন: রমজান মাসে এই অসাধারণ পোষ্টটা আমার মনে হয় অনেকের মনেই নাড়া দেবে।আপনি যে কথাগুলো বলেছেন তা আমি আমার ক্ষুদ্র সামর্থ্যের মধ্যে থেকেই মানতে চেষ্টা করি।দোয়া করবেন আল্লাহ যেন অামার সামর্থ্য আরও বাড়িয়ে দেন।অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার এটা দেখে খুব ভালো লাগছে যে পোস্টটা সবার মনকেই নাড়া দিয়েছে। সবাই যে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী মানবতার হাত বাড়িয়ে থাকেন, সে জিনিসটাও বেরিয়ে এসেছে বিভিন্ন জনের কমেন্ট থেকে।
আল্লাহ আমাদের সামর্থ্য আরও বাড়িয়ে দিন, সেই দোয়া থাকলো।
ধন্যবাদ জাফরুল মবীন ভাই।
১৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০২
ডি মুন বলেছেন: বাহ, দারুণ কিছু কথা বলেছেন।
এমন ছোট ছোট কিছু কাজ করলে আমাদের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। অথচ যার জন্য করবো তার অনেকটা উপকার হবে।
এমন একটি পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক কৃতজ্ঞতা।
০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
এমন ছোট ছোট কিছু কাজ করলে আমাদের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। অথচ যার জন্য করবো তার অনেকটা উপকার হবে।
খুব সুন্দর কথা বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ ডি মুন ভাই। শুভেচ্ছা।
২০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫৬
এহসান সাবির বলেছেন: আমরা অনেক কিছুই করতে পারি............
সুন্দর পোস্টে ভালোলাগা।
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান সাবির ভাই।
২১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৯
নূর আদনান বলেছেন: রাজিব বলেছেন:
তবে আমার মনে হয় যে আমরা যারা শিক্ষিত এবং বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষিত তারা যদি নিজের মনে শপথ নেই ঠিক মত লেখাপড়া করে সৎ ও দক্ষ অফিসার হবো, উদ্যোক্তা হবো তাহলে দেশের সবচেয়ে বেশি উপকার হবে।
এই কথাটা আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। তবে সদিচ্ছা থাকলে আমরা অনেক কিছুই করতে পারি
আমার মনে হয় এমনটিও করা যায় যে, আপনি প্রতি মাসে যা উপার্জন করেন তার একটা পার্সেনটেন্স দান করে দিতে পারেন, সেটা হতে পারে ১০% বা ৫% বা তার কম অথবা তার বেশিও হতে পারে। এটা আপনার ইচ্ছা এবং সামর্থের উপর নির্ভর করবে।
আর আপনার এই পোষ্টে মাধ্যমে যে অনেকেই মহৎ কাজে অনুপ্রাণিত হবে তা বলাই বাহুল্য।
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার প্রস্তাবটা খুব সুন্দর। এ সূত্র ধরে আরও কিছু কথা আমার মাথায় আসলো।
ক) গ্রামের নিঃস্ব বিধবা বা বৃদ্ধকে প্রতি মাসে একটা নির্দিষ্ট অংকের টাকা দেয়া যায়।
খ) গ্রামের ভাঙা রাস্তাঘাট, যা কোনোদিন চেয়ারম্যান বা মেম্বারের নজরে আসে না, মেরামত করে দেয়া যায়। একটা সাঁকো গড়ে দেয়া যায়।
গ) দরিদ্র ছাত্রগণকে বইখাতা কিনে দেয়া যায়।
ঘ) স্থানীয় লাইব্রেরিতে বই কিনে দেয়া যায়।
ঙ) নিজের স্কুল বা কলেজের দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রদেরকে এককালীন বা মাসিক ভিত্তিতে কিছু টাকা দেয়া যায়।
চ) বাসায় কাজের বুয়া বা লোক থাকলে তাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করার ব্যবস্থা করে দেয়া যায়।
আমার এলাকায় একটা ইদগাহ ময়দানের অভাব ছিল। ওটি তৈরি করার জন্য প্রচুর টাকার দরকার পড়ে। গ্রামের লোকজনকে নিয়ে আমি সেই ইদগাহ ময়দানটি সম্পন্ন করতে পেরেছি। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী মোটামুটি একটা ভালো অংকের টাকা দান করার জন্য আল্লাহ আমাকে তওফিক দিয়েছিলেন।
আসলে ভালো কাজগুলোর তালিকা করে শেষ করা যাবে না। নীচের কমেন্টে তোমোদাচি ভাইও অনেক কার্যকরী পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন দেখতে পাচ্ছি। আমরা এরূপ আরও অসংখ্য পন্থা অনুসরণ করতে পারি।
ধন্যবাদ নূর আদনান ভাই। ভালো থাকবেন।
২২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:১৯
তোমোদাচি বলেছেন: ভাল লাগল কিছু সমমনা মানুষ্কে এখানে পেয়ে...
আমি সামান্য কিছু চেষ্টা করছি।
গত ৩ বছর ধরে আমার গ্রামের কিছু গরীব ছেলেমেয়েকে পড়াশুনার পুরা খরচ দিচ্ছি; এ বছর বৃত্তি প্রাপ্তদের সংখা ১৫।
বছর খানিক আগে থেকে বিনা সুদে ঋণ দেওয়া সুরু করেছি, আপাতত ৫ জন কে দিতে পেরেছি।
আরো কিছু করার ইচ্ছা আছে, কিন্তু ঠিক চ্যারিটি নয়, সামাজিক ব্যবসা টাইপের কিছু করতে চাচ্ছি; প্রাতিষ্ঠানিক কিছু কিন্তু উপযুক্ত আইডিয়া পাচ্ছি না।
কোন আইডিয়া থাকলে শেয়ার করলে খুশি হব
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কাজগুলোর ধরণ দেখে শ্রদ্ধায় অবনত হচ্ছি। আমি শুধু আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, আল্লাহ যেন আপনার মতো এরূপ কাজ করার ক্ষমতা আমাকে দান করেন।
আমার ও-রকম কোনো আইডিয়া নেই। তবে, যাদের বাড়িতে পুকুর আছে তাদেরকে মাছ চাষ করার জন্য বিনা সুদে অর্থলগ্নি অথবা অর্থ দান করতে পারেন। দরিদ্র পুরুষদের জন্য গরুর খামার বা পোলট্রি ফার্ম করে দিতে পারেন। দরিদ্র তাঁতীদেরকে অর্থলগ্নি করতে পারেন। একটা সমবায় সমিতি গড়ে তুলতে পারেন জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য।
ইনস্ট্যান্টলি এ কথাগুলোই আমার মনে আসলো।
ধন্যবাদ তোমোদাচি ভাই। ভালো থাকবেন।
২৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০৫
আবু শাকিল বলেছেন: চেস্টা করি নিজের সাধ্যমত কিছু ভাল কাজ করতে।
অনেক ভাল লাগার অসাধারন পোস্ট ।
১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ আবু শাকিল ভাই। শুভেচ্ছা।
২৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২০
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: ভাল পোস্টের জন্য ++++++++++++++ ।শুভ কামনা সবসময় ।
১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ দৃষ্টিসীমানা।
২৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:০০
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: আমার ব্লগ বাড়িতে আপনার পদ ধুলি চাই ।ভাল থাকুন সব সময় ।
১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি, আপনার ব্লগবাড়ি ঘুরে এলুম। আপনি তো দেখি একজন চিফ শেফ
২৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:২৪
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ভাল লাগল সোনাবীজ ভাই, এভাবে সমাজের সবাই চিন্তা করলে আজ আমাদের দেশের চেহারাটাই পালটে যেত। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
১১ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সাইফুল ভাই। আপনার নতুন পোস্ট কোথায়?
২৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
শান্তির দেবদূত বলেছেন: একটা অনাকাঙ্খিত ঝামেলায় পড়েছিলাম; গত কয়েক মাস এটা নিয়ে ব্যাতিব্যস্ত থাকতে হয়েছে। আশা করছি আবার রেগুলার হয়ে যাব কিছুদিনের মধ্যেই।
১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যাক, আপনি ঝামেলামুক্ত হতে পেরেছেন সেটাই মঙ্গল। আপনার নিয়মিত হবার অপেক্ষায় থাকলাম। শুভেচ্ছা থাকলো।
২৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি যদি সরল মনে এ কাজগুলো করেন, কোনোরূপ স্বার্থসিদ্ধির ধান্দা না করে, তাহলে দেখবেন, প্রকৃত আত্মসন্তুষ্টি ও নির্মল আনন্দে আপনি উদ্বেলিত হচ্ছেন। আপনি নিজের অজান্তে অপার আনন্দে গেয়ে উঠবেন : সার্থক জনম আমার..
স্যালুট টু ইউ।
আমার ছোট্ট একটা প্রচেষ্ট গত রমজানে একা একা করেছি, এইবার সকলের জন্য ধারনা টুকু শেয়ার করেছি,.....
সিয়াম ব্যাংক! আমার রমজানের উদ্যোগ-তাদের জন্য যারা অসহায়, প্রার্থী, কারো কাছে চাইতে পারেনা!
আপনার মতামত পেলে খুশি হতাম। এইবারও করছি। আর আরো ৪-৫জন মৌখিম প্রতুশ্রুত দিয়েছেন ফান্ডে অংশ নিতে। সেরকমটা হলে আশা করছি অন্তত ৪-৫ টি পরিবারকে ঈদের আনন্দে শরীক করা যাবে। বাকী আল্লাহর ইচ্ছা।
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ‘সিয়াম ব্যাংক’- নামটা যেমন সুন্দর, আইডিয়াটাও দারুণ। এটা যিনি করবেন, তিনি সংযমের পবিত্র রমজান মাসে একটা শ্রেষ্ঠ উদাহরণ সৃষ্টি করবেন।
যারা কলেজ-ভার্সিটিতে পড়েন, মোটামুটি সচ্ছল পরিবারের ছেলে, তারা ইচ্ছে করলে সারাবছরই এ মহৎ কাজটি করতে পারেন। তাদের পকেট খরচ থেকে সপ্তাহ, ১৫ দিনে বা ১ মাসে কিছু টাকা সঞ্চয় করে কোনো দুঃখিনী নারী বা অনাথ কিশোরকে একবেলা খাবার, একটা জামা বা একটা কাপড় কিনে দিতে পারেন। এতে যেমন দরিদ্রদেরকে সহায়তা করা হলো, ছাত্রজীবনেই সঞ্চয় করার একটা ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার চর্চাও হয়ে গেলো।
আপনার উদ্যোগ খুব মহৎ। আশা করি সফল হবেন।
ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু।
২৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১৭
গৃহ বন্দিনী বলেছেন: আপনার পোস্টটা পড়ে খুবই ভাল লাগল । অনুপ্রানিত বোধ করছি । অযথা সস্তা আবেগের বশে কাউকে টাকা দিয়ে সাহায্য না করে বরং তাকে একটা স্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়াই তার জন্য আসল উপকার । যেটা যাকাত দেওয়ারও মূল উদ্দেশ্য ।
কিন্তু খুব আফসোসের ব্যাপার হল , কিছু দুষ্ট লোক আছে যারা এটাকে ব্যাবসা হিসেবে নেয় । আবেগের ব্যাবসা । যেমন , একজনকে চাষে গরু কিনে দিলেন , কয়েক দিন পর দেখবেন এটা সেটার অভাবের কথা বলে গরু বিক্রি করে দিয়েছে । তারপর আবার যেই কপাল সেই মাথা । আপনার কষ্টের টাকাগুলো শুধু শুধু পানিতে ফেলা হল । কাজের কাজ কিছুই হল না।
তাই যাকে সাহায্য করা হচ্ছে তার অবস্থা পরিস্থিতি বুঝে সাহায্য করা উচিত । অন্ধ আবেগে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়।
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আপনি ঠিকই বলেছেন- যাকে সাহায্য করা হচ্ছে তার অবস্থা পরিস্থিতি বুঝে সাহায্য করা উচিত । অন্ধ আবেগে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। কিছু অলস প্রকৃতির ধান্দাবাজ লোক অবশ্যই থাকবে। সেজন্যই বলেছি, কাউকে সাহায্য করার পর খোঁজ রাখতে হবে- লোকটা টাকা কাজে লাগাচ্ছে, নাকি নয়ছয় করে ফেলছে।
অনেক ধন্যবাদ গৃহ বন্দিনী। শুভেচ্ছা থাকলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০০
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: কিছু ছোট্ট ছোট্ট ভাল কাজের মধ্যে অন্যরকম আনন্দ পাওয়া যায়, আসে এক ধরনের তৃপ্তি ! ভাল লাগলো ! আশা করছি আপনার মত আমরা সবাই অনুপ্রাণিত হয়ে এ ধরনের কাজ করবো! ( যদিও আমার বেলায় আমি/আমার পরিবার আমাদের সাধ্যমত এ রকম অনেক কিছু করে থাকি)