নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
দুর্বোধ্য
প্রতি উইক-এন্ডে আসে, উইক-এন্ড শেষে ফিরে যায়। যৌবনের তীব্র আবেগ নেই। কিন্তু রাতভর গল্প আছে, পুরোনো গল্প- কীভাবে প্রথম যৌবনে তারা রাত কাটিয়ে দিত- এসব।
সে চলে যাচ্ছে।
‘কেন মিছেমিছি আসো এতদূর? কত কষ্ট!’
লোকটা এ প্রশ্নের কোনো উত্তর খুঁজে পায় না। মৈথুন, কিংবা সম্ভোগই কি পরম তৃষ্ণা? তাহলে চোখ? দেহের ভিতরে একটা মন আছে- মনের কি কোনো তৃষ্ণা নেই? কাউকে না দেখে কতদিন থাকা যায়?
কাউকে বোঝানো যায় না- শরীর মরে গেলেও মন খুড়ো হয় না।
সে চলে যাচ্ছে। আরেক উইক-এন্ডে আবার আসবে। ফিরে যাবে। আবার আসবে।
৪ জুলাই ২০১৪
আত্মজ
জনৈকা স্ত্রী তার দু বছরের সন্তান ও স্বামী ফেলে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেলো। তিন দিনের মাথায় স্বামীর মোবাইলে স্ত্রীর এসএমএস:
‘বাবুর কাগজপাতিগুলো ড্রেসিং টেবিলের ভিতর। চাবি ওয়ার্ড ড্রপের উপর পর্দার নীচে।’
৪ জুলাই ২০১৪
অপমৃত্যু
৮ বছর বয়সী মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বললো, ‘তাঁদের হাতে ধারালো ছুরি ছিল। আম্মু আর আব্বুকে খুন করে তারা জানালার শিক গলে বেরিয়ে আসমানে উড়ে গেলো।’
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত আদালত প্রতিবেদন পেশ করলো- ‘জোড়া খুনের আসামি একজোড়া জিন ছিল। জিন ভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়াতে এ খুন অপমৃত্যু হিসাবে গণ্য করা হোক।’
১০ জুলাই ২০১৪
সরল অঙ্ক
রাহেলার বিয়ে হয়েছে ৫ বছর। ৩ বছরের শিশুটি নানির কোলে বড় হচ্ছে। খালা আর মামাদের অতি আদরের ভাগ্নে। দু-চার মাসে এক-আধবার শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে যায়। সেখানে রাহেলার মন টেকে না। দু-একদিন বাদেই বাপের বাড়ি ফিরে আসে।
নাতিকে না দেখতে পেয়ে দাদিরও বুক ছটফট করে। বিয়াইনের সাথে এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা কম হয় নি। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িই হলো মেয়েদের আসল বাড়ি। কিন্তু রাহেলার মা কিছুতেই মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি থাকতে দেবেন না। মেয়ে আর নাতিকে না দেখে তিনি একদম বাঁচতে পারেন না।
রাহেলার বড় ভাই বিয়ে করলো। বৌভাতের ৩তিন পর বউ শাশুড়িকে সাফ জানিয়ে দিল, সে এখন থেকে বাপের বাড়িতেই থাকবে।
১১ জুলাই ২০১৪
২৫ বছরের মৃতদেহ
একদা আমি তাকে ভালোবাসতাম। তাকে কাল আবার নতুন করে ভালোবাসতে গেলে আন্তরিক হাসিযোগে আমাকে গ্রহণ করলো। অন্তরঙ্গ আতিথেয়তা শেষে সে বললো, তোমাকে অভিবাদন, আজ আমার ২৫তম মৃত্যুদিবস।
১৫ মার্চ ২০১১
দ্বিতীয় বিয়ে
‘অনুগ্রহ করে আমাকে আরেকবার বিয়ে করে দেখো, আগের চেয়ে অনেক বেশিই সুখে থাকবে। আমরা একটা বাংলো বানাবো বলে যেটুকু জায়গা কিনেছিলাম, যাতে কয়েকটা বিম প্রোথিত হয়েছিল, তুমি আসবার পর ওগুলো সমাপ্ত করবো। আমাদের এবারের সংসার আমরা কীভাবে সাজাবো তার একটা দীর্ঘ ইশতেহার ইতোমধ্যে বার-বাড়ির বারান্দায় টাঙিয়ে দিয়েছি। চারদিকে এতো গান, এতো সুর, এতো আনন্দ, এতো সুখ দেখে তুমি মূর্ছা যাবে।’
যার নিগ্রহ ও জ্বালাতনে অতিষ্ঠ হয়ে চার বছরের এক বউ পালিয়ে জীবন বাঁচিয়েছিল, সেই স্ত্রীর প্রতি স্বামীর এই দৈন্যগ্রস্ত আরজ দেখে পাড়াপড়শি তেড়ে এসে বললো, ‘ঐ থামলি? তোর ফাঁকা বুলি বন্ধ কর।’
ঢাকপেটানো জামাইটা এবার হাতে মাইক তুলে নিল- ‘আমি কথা দিচ্ছি- আরেকবার আমাকে স্বামী হবার সুযোগ দাও- তোমার সমস্ত অসমাপ্ত সাধ-আহ্লাদ ষোলো আনা পূরণ করে দিব। আর যদি অন্য কাউকে পাণিদান করো, মনে রেখো, সে তোমাকে তিলে তিলে মারবে, তোমাকে বিষ খাইয়ে মারবে। তখন হাড়ে হাড়ে টের পাবে- জামাই কাকে বলে!’
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩
কাল ভোরে ঘুম থেকে জেগে
আমরা কোথায় যেন বেড়াতে গিয়ে তোমাকে হারিয়ে ফেলি; তারপর যখন খুঁজে পাই, তখন নির্জন গাছের নিচে শুয়ে থাকা সদ্যমৃত লোকটির কাছে গিয়ে দেখি- ওটি আমি। নিজ হাতে নিজের কবর খুঁড়ে আলগোছে নিজেকে সঁপে দিই মমতাময়ী কবরের গর্ভে; আমাকে হারানোর বেদনায় কেঁদে বুক ভাসাচ্ছ তুমি, আমিও ডুকরে কাঁদতে কাঁদতে কবরে ঘুমিয়ে পড়ি- আমাদের শেষদেখা শেষবারের মতো শেষ হয়ে যায়।
কাল ভোরে ঘুম থেকে জেগে আজ রাতে যেসব স্বপ্ন দেখেছি একটি একটি করে তোমাকে বলবো আর তুমি চমকে উঠে জ্ঞান হারাবে রোজকার মতো।
২৩ অক্টোবর ২০১৩
আমাকে খুঁজতে এক রাতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়লাম
ভুলে গেছি, কবে, কোন্ ঘরে আমার সর্বশেষ নিবাস ছিল, কী কারণে রোজ রাতে নেমে পড়ি নগরীর রাস্তায়। আমাকে খুঁজতে এক রাতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়লাম। বহুপথ ঘুরে অবশেষে দূর থেকে আবছা ছায়ার মতো আমাকে দেখি; আমার পৃষ্ঠদেশে পরিভ্রমণের কোনো বর্তিকা জ্বলে না, অস্পষ্ট পদছাপ খুঁজে খুঁজে আমি তার পিছু পিছু হাঁটি। শহরের পুষ্পোদ্যান পার হয়ে ঘিঞ্জি অলিগলিতে সে ঢুকে পড়ে। কখনো অস্থির, উদাসীন গতিবিধি তার, কখনো ধীর সৌম্য কদমে ফুটপাত ধরে হেঁটে হেঁটে গলিত জোছনা মেখে নেয় সমগ্র শরীরে। হঠাৎ হঠাৎ সে কোথায় হারিয়ে যায়, উদ্ভ্রান্তের মতো তাকে খুঁজতেই অকস্মাৎ মুখোমুখি। এভাবে সারারাত শহরের উত্তর-দক্ষিণ পার হয়ে ঘরের দরজায় এসে দাঁড়ালে পুনর্বার মুখোমুখি হতেই সে চমকে ওঠে। মনে হয় আমাকে সে চিনতে পেরেছে, অথবা আমারই ভ্রম হয়- আমি তাকে চিনতে পারি নি।
৯ অক্টোবর ২০১৩
কী কী কারণে বউ বা প্রেমিকাকে ভালোবাসেন
বউ বা প্রেমিকাকে কেন ভালোবাসেন তার একহাজারটা কারণ খাতায় লিখে ফেলা সম্ভব। এটা করবেন না দয়া করে, তাতে আপনার ভালোবাসা বা ভালোলাগার কারণগুলো খুব সীমিত হয়ে গেলো। ভালোলাগার কারণগুলোকে সংখ্যায়িত করা যায় না; কোনো নির্দিষ্ট কারণে ভালোবাসেন না কাউকে; ভালোলাগার মূল কারণগুলো অনেক সময় খুঁজেও পাওয়া যায় না, এতোটা অজ্ঞাতবাসী।
‘তোকে ছাড়া আমি বাঁচবো না’, অহনা একদিবসে এ-কথাটা আমায় একশত বার বলতো। ‘কেন আমায় এতো ভালোবাসিস, তার তিনটি কারণ আমায় বল্ তো সোনা’, আমি খুব উদ্গ্রীব হয়ে ওর কাছে একদিবসে একশত বার এর উত্তর জানতে চাইতাম। জানার জন্য আমি যতই অস্থির হয়ে উঠতাম, অহনা ততই শান্তসৌম্য ভাব নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো।
তিন বছরের মাথায় অহনা ওর এই ‘ভালোবাসা-দর্শন’ আমাকে জানালো; তারপর আমাকে পাগলের মতো এতো ভালোবাসার একটা কারণও না জানিয়ে চলে গেলো।
১৮ জানুয়ারি ২০০৯
১১ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিশদ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সাইফুল ভাই।
একটা লেখা- কখনো মনে হয় গল্প, কখনো কবিতা। একটা গল্পে যেমন কাব্যরস বিদ্যমান থাকা সম্ভব, একটা কবিতায়ও আমরা অহরহই গল্প বলে থাকি অনায়াসে। এ ধরনের ফিউশনকে কী নাম দেয়া যায় তা ভাবছি অনেকদিন ধরে।
‘গল্পকণিকা’ থেকে বোঝা যায় এগুলো ক্ষুদ্রাকৃতির গল্প, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের ‘গল্প-সংকেত’ নয়, কারণ এগুলো স্বয়ং সম্পূর্ণ। এ নামটা আমি ব্যবহার করছি। এ ধরণের ‘গল্পকণিকা’ এর আগেও এ ব্লগে পোস্ট করেছি, যদিও মাত্র একটা পোস্ট খুঁজে পেলাম। ছোটো পোস্ট, ঘুরে আসা যায়
কিন্তু ট্যাগ থেকে বোঝা যায় এগুলো কবিতাও হতে পারে। কেউ কেউ এসব গল্পকণিকাকে কবিতাও বললেও ভুল করবেন না, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই এভাবে ট্যাগিং করা হয়েছে।
একটা আম মুখে দিয়ে হঠাৎ করে তাতে আনারসের স্বাদ পেলে আমরা হয়তো চমকে ওঠে তা মুখ উগড়ে ফেলে দিতে উপক্রম হবো। কারণ, আমাদের জিহ্বা আম খাবার জন্য প্রস্তুত ছিল। কোনো লেখার বেলায়ও মনে হয় এটা খাটে। পড়ার আগেই যদি আমরা বুঝতে পারি এটা গল্প কিংবা কবিতা, তাহলে পাঠে রস আস্বাদন সহজতর হয় মনে হয়।
‘গল্পকণিকা’র একটা ধারণা সবাইকে জানানোর জন্য আপনার কমেন্টেই এ কথাগুলো লিখে দিলাম।
ভালো থাকুন সাইফুল ভাই।
২| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: সবগুলোই খুব ভাল লাগলো ভাইয়া। কিন্তু ২৫ বছরের মৃতদেহটা বুঝিনি।
১১ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ার জন্য। ‘২৫ বছরের মৃতদেহ’ সম্পর্কে কিছু বলতে চাইছি না খোলসা করে, কারণ, এতে ভাবনার স্তরটা থেমে যেতে পারে। এরকম রহস্য উন্মোচন করে দেয়ার জন্য অতীতে অনেকবার আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছিল
এভাবে কি ধরে নেয়া যায়, একজোড়া অতীত প্রেমিক-প্রেমিকার একটা সাক্ষাৎদৃশ্য এটি? তবে এ ক্ষুদ্র লেখাটার কথা ভুলে গেলেই সবচেয়ে ভালো হয় আপু
আবারও ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১০
সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: দারুন !
১১ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সুকান্ত কুমার সাহা।
৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১১
সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: দারুন !
১২ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৬
মামুন রশিদ বলেছেন: সবগুলোই ভালো হয়েছে । কিন্তু প্রথম দুটো- 'দুর্বোধ্য' আর 'আত্মজ' অসাধারণ ! '২৫ বছরের মৃতদেহ' গভীর ভালোবাসার বিমূর্ত প্রকাশ, তাই কিছুটা অস্পষ্ট ।
গল্পকণিকায় ভালোলাগা++
১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই। শুভকামনা থাকলো।
৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৪
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: দুর্বোধ্য
খুব বেশি নয় হয়তো। এই আসা যাওয়ার মাঝে একটি প্রতীক্ষা থাকে। যে প্রতীক্ষায়, মৈথুন, সম্ভোগ, মান-অভিমান সব কিছুর বাইরেও একটি বাড়তি দশা, সেটাই প্রতীক্ষা। আমার জন্য যার প্রতীক্ষা আছে সেই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতীক্ষা আছে বলেই আমিও গুরুত্বপূর্ণ তার কাছে। যেখানে নিজের গুরুত্ব নাই, সেখানে নিজের অস্তিত্ব জাহির না করাই উত্তম।
বেশ লাগলো এটি। মাঝখানে সপ্তাহের ভেতর কতগুলো গল্প সবই প্রতীক্ষা কেন্দ্রিক।
২৫বছর ধরে তারা একটি মৃত সম্পর্ককে বয়ে বেড়াচ্ছে বলেই, বর্ষপূর্তি তার কাছে আনন্দময় হতে পারে না। কিন্তু ভালোবাসাহীন দীর্ঘ দাম্পত্যের কি কোনো প্রয়োজন আছে? তবু মানুষ আঁকড়ে ধরে রাখে, অনেক সময় বাধ্য করে।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ‘দুর্বোধ্য’ এবং ‘২৫ বছরের মৃতদেহ’ যেভাবে ব্যাখ্যা করলেন, তা পড়ে আমি অভিভূত। আমার নিজেরও এভাবে ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা নেই।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জুলিয়ান ভাই। ভালো থাকবেন।
৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩১
ডি মুন বলেছেন: কোনটা থুয়ে কোনটার কথা বলি !!!
সবগুলোই সুন্দর। বেদনা জাগানিয়া।
সে চলে যাচ্ছে। আরেক উইক-এন্ডে আবার আসবে। ফিরে যাবে। আবার আসবে।
কিংবা, যদি বলি একদম শেষেরটার কথা,
তিন বছরের মাথায় অহনা ওর এই ‘ভালোবাসা-দর্শন’ আমাকে জানালো; তারপর আমাকে পাগলের মতো এতো ভালোবাসার একটা কারণও না জানিয়ে চলে গেলো।
দারুণ। শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
কোনটা থুয়ে কোনটার কথা বলি !!! এ কথা দিয়ে আসলে সবগুলোর কথাই বলে গেলেন। আমি মুগ্ধ।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ডি মুন। ভালো থাকবেন।
৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৪
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
প্রিয় সোনাবীজ,
আশা করি ভালোই আছেন !
ইদানিং একটা শব্দ মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে,
"ক্রান্তিকাল"
শব্দটা নিয়ে আপনার অভিমত/অনুভূতি/অভিজ্ঞতাসহ
বিশদ ব্যাখ্যা চাই ! (বড় অস্থির সময়,মাতাল অদৃষ্ট)
আপনার লেখায় বুকটা হাহাকার করে উঠল !
তিন বছরের মাথায় অহনা ওর এই ‘ভালোবাসা-দর্শন’ আমাকে জানালো; তারপর আমাকে পাগলের মতো এতো ভালোবাসার একটা কারণও না জানিয়ে চলে গেলো।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সমগ্র বিশ্ব এখন একটা ক্রান্তিকালের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে। নাইন ইলেভেনের পর থেকে মনে হয় পৃথিবী সবচেয়ে বেশি অস্থির সময় পার করছে। একটা ঘটনা আরেকটার সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত মনে হয়। এর সাথে যোগ হলো সাম্প্রতিক ফিলিস্তিনের ঘটনা।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আর কী বলা যায়- আমরা সবাই সেটা জানি।
চারদিকে এতো হত্যা, এতো পৈশাচিকতা, অরাজকতা, আতঙ্ক- মাথায় ‘ক্রান্তিকাল’ শব্দটা যে ঘুরপাক খেতেই থাকবে তা খুব স্বাভাবিক।
আমার একটা প্রিয় লাইন আপনি উদ্ধৃত করেছেন, যার গভীরে অনেক হাহাকার আর বেদনা লুকিয়ে আছে।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় স্বপ্নচারী গ্রানমা। শুভকামনা।
৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৫৩
জাফরুল মবীন বলেছেন: “৮ বছর বয়সী মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বললো, ‘তাঁদের হাতে ধারালো ছুরি ছিল। আম্মু আর আব্বুকে খুন করে তারা জানালার শিক গলে বেরিয়ে আসমানে উড়ে গেলো।’
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত আদালত প্রতিবেদন পেশ করলো- ‘জোড়া খুনের আসামি একজোড়া জিন ছিল। জিন ভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়াতে এ খুন অপমৃত্যু হিসাবে গণ্য করা হোক।” আপনার এই গল্প কনিকা ৮৮৩ দিন যাবৎ ঝুলে থাকা একটা ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিল।
আমার কাছে এগুলোকে শুধুই গল্প মনে হলো না;প্রায় প্রত্যেকটিতেই মনে হলো ইঙ্গিতপূর্ণ ম্যাসেজ আছে।অনেক শুভকামনা জানবেন।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আপনার এই গল্প কনিকা ৮৮৩ দিন যাবৎ ঝুলে থাকা একটা ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিল। আপনার চিন্তাশক্তির প্রশংসা না করলে অন্যায় হবে। এ গল্পটার পটভূমিকা ঠিক ওটাই, আপনার যে ঘটনার কথা মনে পড়েছে। খোলসা করে দিলাম তো, আরেকবার পড়ে দেখুন- এতে প্রকৃত ইতিহাস আর স্যাটায়ার কীভাবে গায়ে গায়ে মিশে আছে। যে খুনের পেছনে কোনো খুনিকে খুঁজে পাওয়া গেলো না, সে খুনটি ঘটিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ নিজ হাতে, গভীর রাতে ঘরের ভিতর একজোড়া গায়েবি জিন পাঠিয়ে- এটা নিঃসন্দেহ।
ধন্যবাদ জাফরুল মবীন ভাই। ভালো থাকবেন।
১০| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পকণিকার অনুভূতি একেকটা একেক ধরণের। সরল অংকটায় মজা পেলাম!
সময় পেলে কিছু কিছু বিস্তারিত লিখে ফেলুন ভাইয়া।
শুভকামনা রইলো
১২ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ধন্যবাদ আপু। ‘সরল অঙ্ক’টায় মজা পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ‘দ্বিতীয় বিয়ে’?
সময় পেলে কিছু কিছু বিস্তারিত লিখে ফেলুন ভাইয়া। এ ব্যাপারে প্রথম কমেন্টের উত্তরে হাইলাইট করেছি আপু। এগুলো ক্ষুদ্রাকৃতির গল্প; কিংবা কবিতা; অথবা গল্প ও কবিতার ফিউশন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক ‘গল্প-সংকেত’ রয়েছে, এগুলো সেরূপ গল্প-সংকেতও নয়- স্বয়ং-সম্পূর্ণ গল্প। তাই এগুলোকে আর সম্প্রসারণের কোনো সুযোগ রাখি নি
ভালো থাকবেন আপু।
১১| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩১
মদন বলেছেন: ++++++++++++++++++++
১২ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এত্তগুলো প্লাস!!!!!!!! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১২| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩৮
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: সাজানোর ধরণটি অভিনব। বলার ভঙ্গীটি সহজ।
শুভেচ্ছা।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার। শুভকামনা।
১৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৫
এহসান সাবির বলেছেন: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত আদালত প্রতিবেদন পেশ করলো- ‘জোড়া খুনের আসামি একজোড়া জিন ছিল। জিন ভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়াতে এ খুন অপমৃত্যু হিসাবে গণ্য করা হোক।’
২৪ ঘন্টা শেষ হলে জোড়া খুনের আসামি একজোড়া জিন ছিল বলে রায় দেওয়া হবে।
তবে আমি বেঁচে থাকাকালিন ২৪ ঘন্টা শেষ হবে বলে মনে হয় না.........!!
চমৎকার পোস্ট।
১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তবে আমি বেঁচে থাকাকালিন ২৪ ঘন্টা শেষ হবে বলে মনে হয় না.........!! উপরের কমেন্টে দেখুন জাফরুল মবীন ভাই হিসাব করে বের করেছেন- ৮৮৩ ঘণ্টা অলরেডি অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। হয়তো কোনো এককালে এটি একটা সত্যজিনের গল্প হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাবে- জিন কর্তৃক জোড়া খুন!
ধন্যবাদ এহসান সাবির ভাই।
১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:২৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: যত ছোট তত গভীর !
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর কমেন্ট। ধন্যবাদ অভি ভাই। শুভেচ্ছা।
১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪০
সায়েম মুন বলেছেন: প্রতিটিই আলাদাভাবে সুন্দর এবং চিন্তাদায়ক। কোনটা দুঃখ, কোনটা কষ্ট, কেনটাবা প্রতীক্ষা বা অবিচারের। বেশ ভাল লাগলো এই নতুন আইডিয়া---
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সংক্ষেপে গভীর বিশ্লেষণের জন্য। ভালো থাকুন কবি সায়েম মুন।
১৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২১
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ডি মুন বলেছেন: কোনটা থুয়ে কোনটার কথা বলি !!!
সবগুলোই সুন্দর। বেদনা জাগানিয়া।
সে চলে যাচ্ছে। আরেক উইক-এন্ডে আবার আসবে। ফিরে যাবে। আবার আসবে।
কিংবা, যদি বলি একদম শেষেরটার কথা,
তিন বছরের মাথায় অহনা ওর এই ‘ভালোবাসা-দর্শন’ আমাকে জানালো; তারপর আমাকে পাগলের মতো এতো ভালোবাসার একটা কারণও না জানিয়ে চলে গেলো।
দারুণ। শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভ কামনা থাকলো।
১৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৪
চড়ুই বলেছেন: ভালো।
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।
১৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গল্পকনিকা ভাল লেগেছে। ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের বিষয়ের আর বৈচিত্রের।সুন্দর ।
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কবি সেলিম আনোয়ার ভাই। ভালো থাকবেন।
১৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:১৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বৈচিত্র্যপূর্ণ টুকরা টুকরা ছবি। সবগুলোই চমৎকার।
ধন্যবাদ, লেখক।
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আশরাফুল ভাই। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
২০| ১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
নানান দিকে চিন্তায় নাড়া দিয়ে যায় ৷ সব মিলে একটাই মন্তব্য - প্রতীক্ষা পরতে পরতে ৷
১৪ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জাহাঙ্গীর ভাই। আমার ব্লগে স্বাগতম। শুভেচ্ছা জানবেন।
২১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪৯
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: গুনে গুনে +
+
+
+
+
+
+
+
+ ----- এইটা বোনাস + এতো গুলো শক্তিশালী বাস্তব গল্প কে ক্ষুদ্র কণায় সুন্দর উপস্থাপন এর সফলতায়
( অপমৃত্যু নিয়ে যে মন্তব্য করতে চেয়েছিলাম একজন করে ফেলেছে তাকে মাইনাস )
১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এতগুলো প্লাস পেয়ে তো আপ্লুত হয়ে গেলাম। সাথে একটা বোনাসও। ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করা যাচ্ছে না, তারপরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
‘অপমৃত্যু’র রহস্য ফাস করে দেয়ায় জাফরুল মবীন ভাইকে তাঁর পোস্টে গিয়ে আপনার পক্ষে একটা মাইনাস দিয়ে আসবো নে
শুভকামনা আপু।
২২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪
সোনালী ডানার চিল বলেছেন: অপমৃত্যু লেখার সময় নিশ্চয় আমি যা এখন ভাবছি আপনি তাই ভেবেছিলেন!
দারুন কিছু কনিকাগল্প পড়া হলো, কবিতার মত শব্দচয়ন এখানে ভিন্নতা এনেছে, তবে সবগুলো গল্পই আলাদা এবং কমপ্লিট!
বনফুলের কিছু গল্প এমন আছে, যার আমি খুব শক্ত ভক্ত, আপনার এ সিরিজ চললে হয়ত বনফুলকে ভুলে যেতে পারি!!
শুভকামনা ভালো থাকুন সবসময়--
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নিশ্চয়ই, ‘অপমৃত্যু’ নিয়ে আপনি এখন যা ভাবছেন, ওটি লেখার সময় আমিও তাই ভেবেছিলাম।
এরপর কণিকাগল্পের ব্যাপারে যা বললেন, তা আমার জন্য অসামান্য কমপ্লিমেন্ট।
বনফুলের কথা পেড়ে নস্টালজিক করে দিলেন। তাঁর এক পৃষ্ঠা বা হাফ পৃষ্ঠার গল্পগুলো একসময়ে বুঁদ হয়ে পড়েছিলাম। অত সহজ ও সাবলীল ভাষায় লিখবার ক্ষমতা আল্লাহ সবাইকে দেন নি।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি। ভালো থাকুন সবসময়।
২৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: হেহে... মিস হইয়া যাবেটা কই!? এইতো পাইয়া ফেলসি ...
দুই পিস পড়াও শেষ ...
অক্ষনি বাকিগুলাও শেষ করতেছি ওয়েইটটটট....
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহা। অভিনন্দন আপনারই প্রাপ্য। এরই মধ্যে দুই পিস ফেলায় ধন্যবাদের বন্যা বইয়ে দিলাম
ভালো থাকুন নাসিফ ভাই।
২৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮
জুন বলেছেন: -ছাই ভাই সবগুলো গল্প কনিকাই পড়েছি । কনিকা হলেও এর স্রোত কিন্ত যথেষ্ট তীব্র। ভালোলাগলো সবই ।
+
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
কনিকা হলেও এর স্রোত কিন্ত যথেষ্ট তীব্র। এরকম সার্টিফিকেট আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। অনেক ধন্যবাদ দেশি আপু।
২৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২
আকিব আরিয়ান বলেছেন: মুগ্ধ করার মতো। প্রথমটা খুব বেশি
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কমেন্টও আমাকে অনেক মুগ্ধ করলো।
ধন্যবাদ আকিব ভাই। শুভেচ্ছা।
২৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৯
পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: প্রত্যেকটাই এক একটা দৃশ্যকল্প হিসেবে কল্পনা করলাম । অুনভূতিগুলোকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলাম ।
অসাধারন আরেকটা পোস্ট । +++++
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কমেন্টটি আমার জন্য খুব উৎসাহব্যঞ্জক। অসংখ্য ধন্যবাদ পুরোনো পোস্ট টি পড়ার জন্য। ভালো থাকুন।
২৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২১
বৃষ্টিধারা বলেছেন: মিস ইউ
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার না দেখলে সবকিছু খালি খালি লাগে।
২৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৮
বৃষ্টিধারা বলেছেন: আমার ও কলিজা কেমন জানি করে
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মাঝে মাঝে বুকটা ফাইট্টা যায়।
২৯| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫৪
মুদ্দাকির বলেছেন: অসাধারন ++
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মুদ্দাকির ভাই। শুভেচ্ছা।
৩০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৪৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: দুর্বোধ্য কি আসলেই দুর্বোধ্য ? নাকি বুঝেও বুঝতে না চাওয়ার ছলনা ?
অপমৃত্যু বলার কিছু নাই । প্রশাসনিকভাবে বলা যায় - -আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছে ।
সরল অঙ্ক - এটা সরল !! তাহলে গরল গন্ধ আসছে
কোথা হতে ?
দ্বিতীয় বিয়ে র ব্যাপারে এই লিঙ্কটি দেখুন কাজে লাগতে পারে গুলজারের বিয়ের স্বপ্ন কি স্বপ্নই থেকে যাবে?
শেষ তিনটা পুরাই অসাম
আমরা কোথায় যেন বেড়াতে গিয়ে তোমাকে হারিয়ে ফেলি; তারপর যখন খুঁজে পাই, তখন নির্জন গাছের নিচে শুয়ে থাকা সদ্যমৃত লোকটির কাছে গিয়ে দেখি- ওটি আমি বাক্যটি খুব পছন্দ হয়েছে ।
মনে হয় আমাকে সে চিনতে পেরেছে, অথবা আমারই ভ্রম হয়- আমি তাকে চিনতে পারি নি। - এইসব ব্যাপার আমাকে খুব ভাবায় । মানুষ কি নিজেকে শেষ পর্যন্ত নিজে চিনতে পায় ? সবকিছুর উরধে যে আমিটা থাকে তাকে ? '''
কাল ভোরে ঘুম থেকে জেগে
আমরা কোথায় যেন বেড়াতে গিয়ে তোমাকে হারিয়ে ফেলি; তারপর যখন খুঁজে পাই, তখন নির্জন গাছের নিচে শুয়ে থাকা সদ্যমৃত লোকটির কাছে গিয়ে দেখি- ওটি আমি। নিজ হাতে নিজের কবর খুঁড়ে আলগোছে নিজেকে সঁপে দিই মমতাময়ী কবরের গর্ভে; আমাকে হারানোর বেদনায় কেঁদে বুক ভাসাচ্ছ তুমি, আমিও ডুকরে কাঁদতে কাঁদতে কবরে ঘুমিয়ে পড়ি- আমাদের শেষদেখা শেষবারের মতো শেষ হয়ে যায়।
কাল ভোরে ঘুম থেকে জেগে আজ রাতে যেসব স্বপ্ন দেখেছি একটি একটি করে তোমাকে বলবো আর তুমি চমকে উঠে জ্ঞান হারাবে রোজকার মতো - ভেতরে অনেক তোলপাড় হচ্ছে । আপনি এখন যে বয়সে আছেন এইসব বয়সে এই টাইপ কথা কিন্তু বেশ দোলা দেয় । নানা মূর্তিতে ঘুরে ফিরে আসে ।
কবরকে - মমতাময়ী বলার কারণ কি ?
আর শেষটা সম্পর্কে বলতে হয় -
এমন বউ ভাগ্য যেন মোর নাহি হয় !
ভাল থাকুন প্রিয় ছাই ভাই ।
অনেক অনেক শুভকামনা ।
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে আনন্দ ও বিস্ময়ে বাকহারা হয়ে পড়েছিলাম। অসাধারণ কমেন্ট।
‘দুর্বোধ্য’। যে-কোনো অর্থে গল্পটা দুর্বোধ্য। আমি কী প্রকাশ করতে চেয়েছি, পাঠকের কাছে সেটিই ধরা পড়লো, নাকি ফোকাস অন্যত্র চলে গেলো, এটা একটা। জীবনের গূঢ় রহস্য আমাদের কাছে আরও গভীর, আরও বেশি দুর্বোধ্য। যে বিষয়টাকে ফোকাস করতে চেয়েছি, ওটা একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ, কিন্তু এর আড়ালে যে আরও হৃদয়স্পর্শী কোনো ব্যাপার-স্যাপার থাকতে পারে, তা সচরাচর আমাদের অজ্ঞাতেই থেকে যায়। এই তো গেলো আরেকটা। মন। মানুষের মনের কথা ভাবুন। দুটো জীবন পাশাপাশি বয়ে চলে। এক-মনের খবর অন্য-মন কতখানিই বা জানতে পারে। প্রকৃত ভালোবাসার অস্তিত্ব যে কোথায়, কী কারণে, তা আসলে চিরদিনই আমাদের স্পর্শের অতীত থেকে যায়। এভাবেই প্রথম গল্পটা সর্বাঙ্গীনভাবেই ‘দুর্বোধ্য।’ এই ব্যাখ্যাটা দেয়ার পর কোনো কোনো পাঠকের কাছে গল্পটা আরও দুর্বোধ্য হয়ে উঠতে পারে- কারণ, তাঁরা ভেবেছিলেন হয়তো অন্য কিছু, যে সম্পর্কে আমি কোনো আলোকপাত করি নি। এভাবে গল্পটার বহুবিধ অর্থময়তার সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য এটাকে কবিতা হিসাবেও ট্যাগ করা হয়েছে। তবে গল্পটা এতো আহামরি গোছের কিছু না।
‘অপমৃত্যু’, ‘সরল অঙ্ক’র ব্যাপারে আর কীই বা বলবো, আপনিই ভালো বলেছেন।
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ‘দ্বিতীয় বিয়ে’ গল্পটার অর্থ খুব মজার। নিম্নবিত্ত কিংবা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে স্বামীরা সচরাচর এমনই হয়। তারা বউ ধরে আর ছাড়ে। বউ ছেড়ে দেবার পর পুনরায় ধরার জন্য এরকম ফাঁকি বুলি ঝেড়ে থাকে। নিম্নমধ্যবিত্তদের অবস্থা বুঝবার জন্য এ গল্পটা বেশ ভালোই, আমি এটি লিখে আনন্দ পেয়েছি।
কিন্তু আমার আনন্দের কারণ অন্যখানে। এটি ফেইসবুকে স্টেটাস আকারে দিয়েছিলাম। সবাই এ স্টেটাসের সাধারণ ও প্রচলিত অর্থ বের করলেও শুধু শাহেদ ভাই বুলে হিট করেছিলেন
আমি কী অর্থে লিখেছিলাম সেটা বড় না, পাঠক কী অর্থে সেটা হৃদয়ঙ্গম করলেন, শেষ পর্যন্ত সেটিই সার কথা।
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার কাছে কবরকে সবচেয়ে ‘মমতাময়ী’ মনে হয়। মায়ের চেয়েও বেশি মমতাময়ী। শেষ পর্যন্ত এ মমতাময়ীই আমাদেরকে পরম স্নেহে বুকে ধারণ করবে। যেখানে, যে-আবস্থায়ই থাকি না কেন, মমতাময়ী, জননী-কবরই আমাদেরকে কাছে টেনে নেবে। তার কোল ছাড়া আমাদের গত্যন্তর নেই।
বাকি কথা যা বলেছেন, খুব সুন্দর বলেছেন।
এত বিশদ ও মহৎ মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রিয় মাহমুদ ভাই।
৩১| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৯
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অসাধারণ।
আলাদা করে কি বলব, সবগুলোই ভাবনা জাগানিয়া। বিনা কথায় প্রিয়তে নিয়ে নিলাম।
২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর শঙ্কু। আশা করি এতদিন ভালো ছিলেন।
শুভেচ্ছা থাকলো।
৩২| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০২
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
অদ্ভুত! অদ্ভুত!
দ্বিতীয় বিয়ে আমার হতে পারতো
২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহা আমি তো ধরেই নিয়েছিলাম এটি আমার লেখা নয়, আপনারই হবে হয়তো হলে খুব ভালো হতো।
অনেক ধন্যবাদ আলাউদ্দিন ভাই। ভালো থাকবেন।
৩৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৮
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: অসাধারণ লাগলো। একেকটা একেকরকম। খুবই ইন্টারেস্টিং
২৫ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার আগ্রহ আমাকে খুব উজ্জীবিত করছে। অনেক ধন্যবাদ ফ্রাসটেটেড।
৩৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: ++++
ভালো লেগেছে , অল্প কথায় এত বিষদ ভাবের গল্প , চমৎকার লেগেছে ।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মন্তব্য অনেক ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।
ইদ মোবারক।
৩৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবোধ্যে নিষ্কাম প্রকৃতের প্রেমের "আহ"পরিষ্ফুট! চলমানতায় যেখানে দেহ-কামে প্রেম লন্ডভন্ড তারপর সব মিটে গেলে আবারও সেই "আহা" টুকু রয়েই যায়.......
্আত্মজেতেও যেন একই স্বপ্ন দেহ দূরে নিলেও আত্মা আপনের নিকটেই রয়ে যায়..
আবারও ইউনিক প্রেমেরই জয়..
অপমৃতূর সবতো উপরে বলাই হয়ে গেছে..
সরল অংকের সরল ফল- টিট ফর টেট..
২৫ বছরের মৃতদেহ একেবারে কাঁপিয়ে দিয়েছে।! কোথায় যেন কাকে হারানোর বেদনাটা উথলে উঠল সেও যদি এমনি করে এসে বলে
বাপরে.. আর পারিনা...
..
এগুলো ক্ষুদ্রাকৃতির গল্প; কিংবা কবিতা; অথবা গল্প ও কবিতার ফিউশন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক ‘গল্প-সংকেত’ রয়েছে, এগুলো সেরূপ গল্প-সংকেতও নয়- স্বয়ং-সম্পূর্ণ গল্প। যা বলেছেন এরপরে আর কি বলার থাকে?
দারুন এক্সপেরিমেন্ট। সফলও বটে
০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রতিটা গল্প ধরে ধরে বিশ্লেষণ করলেন। আমি মুগ্ধ হলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: প্রতিটি গল্পই ভালো লেগেছে। বিষয় ও ধরণে বৈচিত্র্য রয়েছে। সৃজনশীলতার ক্ষেত্রে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাংলায় গল্প, বড়োগল্প, ছোটগল্প আর অনুগল্প চালু আছে। আপনি বলছেন গল্পকণিকা। আমি কিছুদিন মিনিপ্যাক গল্প ব্যবহার করেছি। শেষ পর্যন্ত অনুগল্পেই ঈমান রাখলাম।
২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পগুলো পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মোস্তফা কামাল ভাই। এতদিন পর এ পোস্টে এলাম, আর আপনার কমেন্ট চোখে পড়লো।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৩
শান্তির দেবদূত বলেছেন: মাথা ঝিমঝিম করছে! একেকটা কবিতা, ছোটগল্প যে মাথার মধ্যে বর্শার মত বিধঁছিল! মাথার মধ্যে গ্রামোফোনের পিন আটকে যাওয়ার মত করে বারবার "আমাদের শেষদেখা শেষবারের মতো শেষ হয়ে যায়। " - এই লাইনটা ঘুরছে!
সরল অংকটায় মজা পেলাম, হা হা হা।
"২৫ বছরের মৃতদেহ" - এটা ঠিকমতন বুঝি নাই। এখানে কি ২৫তম বিবাহবার্ষিকীকে বুঝিয়েছেন?
কি কারনে ভালোবাসি? এটা নাড়া দিয়ে গেল ভীষণভাবে। আসলেই কোন উত্তর পেলাম না! জটিল লিখেছেন বস, জটিল!