নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
সতীপর্দা
২৭৬ জন কিশোরীকে তারা অপহরণ করলো। ওরা সে-সময়ে স্কুলে পরীক্ষা দিচ্ছিল। অপহৃতদের কেউ কেউ পালাতে সক্ষম হলেও প্রায় ২০০ জন কিশোরী অপহরণকারীদের কব্জায় রয়ে গেলো।
দেশের শীর্ষ পপ-তারকা, লাবণ্যময়ী সুন্দরী ঘোষণা করলেন, ‘আমি আমার ২৩ বছরের ভার্জিনিটি উৎসর্গ করবো এই ২০০ কিশোরীর মুক্তির বিনিময়ে। ওদের ছেড়ে দিন। ওরা অবুঝ কিশোরী। ওদের বয়স ১২ থেকে ১৫ বছর। আমি পরিণত এবং অভিজ্ঞ। আপনারা প্রতিরাতে ১০ থেকে ১২জন আমাকে ভোগ করুন, কিচ্ছু যায় আসে না। এরপরও ওদের ছেড়ে দিন, ওরা ওদের প্রিয় মা-বাবার কাছে ফিরে যাক।’
অপহরণকারীরা রাজি হলো। উর্বশী গায়িকা সুরম্য প্রাসাদে সতীত্ব বিসর্জেনর জন্য অপেক্ষায় থাকলেন। রাত পার হয়ে যায়। শুরু হলো আরব্য রজনির আধুনিক ইতিহাস।
অপহরণকারীদের শীর্ষ নেতা খুন হলেন প্রথম রাতেই। সতীত্ব ছেদনের লোভ যুদ্ধ জয়ের চেয়েও বড়। নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে নিজেরাই একে একে খুন হতে থাকলেন।
১৪ জুলাই ২০১৪
মাতৃপক্ষ
আমার সোনার সংসারে দুটি ছেলে আর একটি মেয়ে সারাক্ষণ ঘর আর মন আলোকিত করে রাখে। ওদের চঞ্চলতা আমাকে প্রভূত আনন্দ দেয়। যে-কোনো বিষয়ে ওদের বিস্ময় আর উচ্ছ্বাস আমাকে উদ্বেলিত করে। ওরা যখন ছোটো ছিল, আমার বুকের উপর চড়ে লাফাতো, কাঁধে বসে চুল ধরে সজোরে মাথা ঝাঁকাতো। ঘরের এক কোনা থেকে আরেক কোনায় গেলে ওরা দৌড়ে আমার পিছে-পিছে, আগে-আগে ছুটতো। আমি বাসা থেকে বাইরে গেলে ‘আমিও যাবো’ বলে ভীষণ গোঁ ধরতো। ওদের প্রতিটি মুহূর্ত কাটতো আমাকে নিয়ে।
আমি যেদিন বাসা থেকে বাইরে থাকতাম, ওদের মা বলতো, সারা ওরা সারা দিনমান আমার জন্য মনমরা হয়ে ঘরের এখানে-সেখানে অনাথের মতো পড়ে থাকতো, আমার জন্য ঘুরে-ফিরে কাঁদতো। আমার কাছে ওদের নিয়ে আসার জন্য ওদের মায়ের সাথে ওরা খুব জিদ করতো। তারপর যখন বাসায় ফিরতাম, যেন অনেক যুগ পর ওরা আমায় ফিরে পেয়েছে, এভাবে ছুটে এসে আমার কোলে ঝাঁপিয়ে পড়তো। গলা ধরে ঝুলে থাকতো। কখনোবা অতি আবেগে কেঁদে ফেলতো। এরপর আমার অনুপস্থিতিতে বাসায় যা যা ঘটে গেছে, যেমন, ওদের মা ওদের কখন-কখন, কী কী কারণে বকা দিয়েছে, কতবার জোর করে খাবার খাইয়েছে, কতবার ‘টম অ্যান্ড জেরি’ দেখতে না দিয়ে ধমকাধমকি করে ঘুম পাড়িয়েছে, প্রতিটি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ঘটনা সবিস্তারে বর্ণনা করে আমাকে বুঝিয়ে দিত যে, আমার অনুপস্থিতিতে ওদের সময়টা মায়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। আমি অতিশয় মনোযোগ সহকারে সবকিছু শুনে যখন বলতাম ‘এবার আমি এসে পড়েছি না? দেখে নিব কে তোমাদের জ্বালাতন করে’, ওরা তখন স্বস্তিতে আমার বুকে লেপ্টে পড়তো।
ওরা বড় হবার পর ওদের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠলাম আমি। খাবার টেবিলে, পড়ার টেবিলে, টিভি দেখার সময়ে আমাদের আড্ডা সবচেয়ে বেশি জমতো। ওরা স্কুল বা কলেজ থেকে বাসায় ফিরে এসে অধীরভাবে অপেক্ষা করতো আমি কখন অফিস থেকে ফিরবো। ওদের কোন টিচার আজ খুব ভালো অঙ্ক করিয়েছে, কোন টিচার কেমিস্ট্রিতে কাঁচা, কোন ক্লাসমেট পা পিছলে আছাড় খেয়ে পায়ের গোড়ালি মচকেছে- এসব ওদের পেটের ভিতর আটকে থাকতো, আর আমাকে পাওয়ামাত্র উপযুক্ত রসযোগে তা আমার কাছে পরিবেশন করতো। কখনোবা একযোগে হাসতে হাসতে আমাদের চোখ গলে পানি বেরিয়ে পড়তো।
ফুটবল বিশ্বকাপে আমরা রাত জেগে খেলা দেখেছি। প্রিয় দল ও প্রিয় খেলোয়াড়দের প্রতিটা খেলা আমরা চুলচেরা বিশ্লেষণ করতাম। আমাদের হাড্ডাহাড্ডি ডিবেট হতো। খেলা দেখতে দেখতে কোনো কারণে আমি মুহূর্তকালের জন্য ঘুমিয়ে পড়লে সজোরে ধাক্কা দিয়ে ঘুম ভাঙিয়ে আলোচনায় মশগুল হতো। আমার উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ ছাড়া ওদের সব আনন্দ মাটি হয়ে যায়।
আমার সংসারটা সত্যিই একটা চাঁদের হাট। এমন সংসারে যুগ যুগ বেঁচে থাকতে সাধ হয়।
কিন্তু এমন সংসারে হঠাৎ করেই ঝড় শুরু হয়ে গেলো একদিন। ওদের মা খুব নগণ্য একটা কারণে আমার সাথে বিতণ্ডায় লিপ্ত হলেন। সেই বিতণ্ডায় আমি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি নি, এবং আমি শতভাগ নিশ্চিত, এ অনাকঙ্ক্ষিত বিতণ্ডার মূল কারণ আমি নই, ওদের মা। ওদের মা ক্রমশ অগ্নিমূর্তি হয়ে উঠলেন। আমার সংসার একটা দুর্বিষহ বন্দিশালা, আমার মতো অমানুষ এ পৃথিবীতে আর একটিও নেই, ইত্যাকার অভিধায় আমাকে মাটিতে মিশিয়ে ফেললেন।
আমি যখন পরাজিত ও পর্যুদস্ত হয়ে মনের ফাঁপর খালাস করার জন্য ছেলেমেয়েদের সান্নিধ্য কামনা করছিলাম, সেই মুহূর্তে ওরা তিন ভাইবোন আমার কক্ষে প্রবেশ করলো। কিন্তু ওরা আমার পাশে এসে বসে পড়ে আমাকে কোনো সান্ত্বনা দিল না। দরজার পাশে দাঁড়িয়ে ওরা কঠোর চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো, ‘আপনি একটা পশু। আপনি আমাদের মাকে কুৎসিত ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। আমরা আর আপনার সাথে কোনো কথা বলবো না।’
ওদের অভিযোগ অসত্য। আমি গালিগালাজ করতে পারি না। রেগে গেলে বড়জোর বলতে পারি- ‘আমার চোখের সামনে থেকে সরো।’ আমি যে এসব পারি না তা আমার চেয়ে ওরাই ভালো জানে।
ওদের আচরণ আমাকে মর্মাহত করলো। ওরা কোনোদিন আমার সাথে কটু ভাষায় কথা বলতে পারে এটা আমি সাত জনমেও ভাবি নি। ওরা আমাকে ‘পশু’ বলতে পারে, আমার মধ্যে যেমন এ স্বভাব আছে বলে আমি মনে করি না, তেমনি ওরা এত সহজে এ শব্দটা উচ্চারণ করবে, এমন শিক্ষাও ওরা পেয়েছে বলে আমার মনে হয় না।
ওদের আচরণে সত্যিই আমি মুষড়ে পড়লাম। আশৈশব ওদের প্রাণের বন্ধু, সারাবেলার খেলার সাথি, আর ভাব বিনিময়ের একমাত্র ব্যক্তি আমি। ওদের মা কেবল নীরব দর্শকের মতো পাশে বসে এসব দেখেছে, হাসিতে যোগ দিয়েছে, এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। ওদের সাথে আমার যে ভাব, ওদের মাকে যদি আমি কেটে ৭ টুকরো করে নদীতে ভাসিয়েও দিই, আমার বিপক্ষে ওরা কথা বলবে কোনোদিনই আমার এমনটা মনে হয় নি।
এই যে ওদের অন্তরের গভীরে এতদিন আমার জন্য এত বড় একটা জায়গা ছিল, আজ মুহূর্তে তা দপ করে বন্ধ হয়ে গেলো! আমি ওদের কেউ না!
‘আপনি একটা জঘন্য মানুষ। আপনাকে বাবা বলতেও খুব ঘৃণা হচ্ছে।’ খুব তীক্ষ্ণ ও কর্কস স্বরে এ কথাগুলো বলে ওরা একযোগে আমার কক্ষ থেকে বের হয়ে গেলো।
আমার মাথায় তখন ঘাম। চোখে অন্ধকার। পৃথিবীতে আত্মীয়তার বন্ধন খুব ঠুনকো। বেডে গা এলিয়ে শুয়ে পড়লাম। শোক, কিংবা কষ্ট। চোখ মুদে আসছে। এই পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই বয়সে মাকে খুব মনে পড়লো। কবে যেন মাকে হারিয়েছি! হ্যাঁ, আমার যখন ১৩ বছর বয়স, তখন আমার মা মারা যায়। মায়ের মুখটা ভেসে উঠলো। যে-কোনো মুহূর্তে মায়ের মুখটাই হলো সকল প্রশান্তির মূল। সকল আগুনে শেষ আশ্রয়ের নাম মা।
মা, আমাকে একটু কোলে নে, মা...
১৬ জুলাই ২০১৪
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুনতাসির নাসিফ ভাই।
হ্যাঁ, প্রথম পর্বটা বিশ্বকাপের ডামাডোলে চলে গেছে। যাক, আশা করি তা নিয়ে কোনো আফসোস করবেন না
ভালো থকুন।
২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩
দিপ্২৪ বলেছেন: কি মন্তব্য করব বুঝতেছি না।
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যা মন্তব্য করেছেন, তার পুরোটাই বুঝেছি। ধন্যবাদ দিপ্২৪।
৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫
আকিব আরিয়ান বলেছেন: ভাল্লাগছে অনেক। প্রথমটা মজার, দ্বিতীয়টা চিন্তার
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথমটা মজার। মজারই মনে হয়। তবে কিছুটা পটভূমিকা আছে। দ্বিতীয়টা চিন্তার- একমত।
ধন্যবাদ আকিব ভাই।
৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দুটো গল্পই ছুঁয়ে থাকবে বিশেষ করে মা'কে নিয়ে ভাবনা টা ।
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
মাকে নিয়ে লেখা গল্পটা খুবই তাৎক্ষণিক। এটিতে এখনও আমার কিছু অতৃপ্তি রয়ে গেছে। কারণ, যে ভাবটি আমি প্রকাশ করতে চেয়েছি, পাঠকের কাছে সেটিই পৌঁছলো, নাকি ভিন্নার্থ গ্রহণ করলো, তা নিয়ে একটু দ্বিধায় আছি। দেখি, পাঠকের মন্তব্য থেকেই সেটা আঁচ করা যাবে হয়তো।
শুভেচ্ছা থাকলো।
৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২
জাফরুল মবীন বলেছেন: সতীপর্দার প্রেক্ষাপট নাইজেরিয়া।তবে মাতৃপক্ষের প্রেক্ষাপট অ্যান্টিনার উপর দিয়ে গেছে।সময় নিয়ে অ্যান্টিনা অ্যাডজাস্ট করে দেখতে হবে।অনেক ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম সোনা ভাই।
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পের শুরুটা ওখান থেকেই নেয়া হয়েছে। কিন্তু গল্পের পরিণাম কাল্পনিক, যা দ্বারা বিশেষ দানবীয় বৈশিষ্ট্যের প্রতি ইঙ্গিত করার চেষ্টা করেছি।
পরের গল্পটা খুব সাধারণ ভাবে ভাবলেই হলো। খুব গভীর যে কিছু আছে, তা না। আপনি সব সময় খুব উচ্চমার্গীয় চিন্তাভাবনা করেন, তাই ভেবেছিলেন এটাও সেই গোছের কিছু হবে এজন্য এ্যান্টিনার অনেক নিচ দিয়ে (উপর দিয়ে নয়) চলে গেছে গল্পটা
ধন্যবাদ জাফরুল মবীন ভাই। ভালো থাকবেন সবসময়।
৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মাতৃপক্ষের বিপক্ষের কোন পক্ষের করুন পরিণতি হওয়াই স্বাভাবিক।
সুপ্রিয় কবি এবার হলো্।
দুটোই ভাললেগেছে ।
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মাতৃপক্ষটাই সহজাত পক্ষ। যে-বাবা আফসোসে ফেটে পড়েন, হায়, ছেলেমেয়েগুলো বাবার কথা বলে না, মায়ের কথা বলে, কাঁদতে কাঁদতে সেই বাবাও শেষ পর্যন্ত তাঁর মায়ের নামই উচ্চারণ করেন; তাঁর বাবাও তাঁর থেকে দূরে ও আড়ালে পড়ে থাকেন।
ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই।
৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: অসাধারণ!
মায়ের স্থান টা আসলে কেউ নিতে পারে বলে আমার মনে হয়না|বাবাকে ও অনেক ভালবাসি তারপর ও কেন জানি মায়ের মুখটা বেশি মনে পড়ে|
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছোটোবেলায় বাবা আমাদের সবচেয়ে বেশি আদর করতো। বাবা ছিল মায়ের কাছ থেকে রক্ষা পাবার একমাত্র আশ্রয়স্থল। বাবা যতক্ষণ বাড়িতে থাকতো, মনে হতো শরীরে একটা টোকা দেবার জন্যও পৃথিবীতে কারো সাহস নেই (বিশেষ করে মায়ের)। কিন্তু আশ্চর্য, মা-বাবার মধ্যে কোনোরূপ খুনসুটি, বাকবিতণ্ডা হলে সুড়সুড় করে আমরা মায়ের আঁচলে গিয়ে জড়ো হতাম। বাবাকে তখন খুব দূরের মানুষ মনে হতো।
আপনি ঠিকই বলেছেন, পৃথিবীতে মায়ের আসন হলো শক্ত ও স্থায়ী, ওটা অন্য কিছু দ্বারা প্রতিস্থাপনযোগ্য নয়।
ধন্যবাদ স্বপ্নছোঁয়া। শুভেচ্ছা নিন।
৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বাবারা সব সময়ই সেকেন্ড হবে কেন? এমন হলে কেম্নে হবে? সবাই না সমান!
আমি সত্যি বাবাদের জন্য অনেক দঃখ অনুভব করি (ফ্রম দ্যা বটম অফ মাই হার্ট)।
শুভকামনা জানবেন ভাইয়া।
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যে বাবারা সেকেন্ড হলেন বলে মর্মযন্ত্রণায় কাতর হোন, সেই বাবারাই কিন্তু মনের অজান্তে তাঁদের মায়ের নাম বলে ওঠেন। এটাই বোধ হয় প্রকৃতির বিধান।
আমি সত্যি বাবাদের জন্য অনেক দঃখ অনুভব করি (ফ্রম দ্যা বটম অফ মাই হার্ট)। আমিও।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: চমতকার ।+++
আর কিছু বলতে পারছি না।
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অল্পতেই অনেক বলেছেন, আমি আপ্লুত। অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
১০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮
পার্সিয়াস রিবর্ণ বলেছেন: প্রথম গল্পের সমাপ্তিটা অসাধারন টেনেছেন । " সতীত্ব ছেদনের লোভ যুদ্ধ জয়ের চেয়েও বড় " এই লোভটাই সমাজে সংক্রামক হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে ।
মাতৃপক্ষ সবসময়ই ভয়ানক রকমের শক্তিশালী । যেমনি 'মাতৃত্ব' একজন নারীর সবচেয়ে মর্যাদাকর পরিচয় । সম্ভবত নারীজন্মের মাহাত্ব্য এই এক পরিচয়েই লুকিয়ে আছে । বাবারা পরিবারে সবসময়ই সেকেন্ড পারসন প্লুরাল নাম্বার ।
অসাধারন ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম ।
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার প্রিয় লাইনের উদ্ধৃতি দেখে ভালো লাগছে। এ ব্যাপারে আপনার মতের সাথে আমি একমত।
মাতৃপক্ষ সম্পর্কে তো গল্পের সারমর্মটাই তুলে ধরেছেন স্বল্প কথায়। ভালো লাগলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
১১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২
সুমন কর বলেছেন: মা, মা’ই !! কোন তুলনায় নেই। শেষ পর্যন্ত সব সন্তান মায়ের আঁচলে মুখ গুজবে, সেটাই স্বাভাবিক। সন্তানদের বাবারা যতই সময় দিয়ে থাকুক না কেন, তারা মা’র দলই সার্পোট করবে।
দু’টোই ভাল লাগল।
যে-কোনো মুহূর্তে মায়ের মুখটাই হলো সকল প্রশান্তির মূল।
মা, আমাকে একটু কোলে নে, মা...
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা কমেন্ট করেছেন সুমন ভাই। ২য় গল্পটা নিয়ে আমার অনেক দ্বিধা ছিল যে, আমি যা প্রকাশ করতে চেয়েছি পাঠকের কাছে সেটি পৌঁছুলো কিনা। এখন খুব ভালো লাগছে এবং নিজেকে সার্থক মনে করছি।
মন্তব্যে অনেক ভালো লাগা।
শুভেচ্ছা জানবেন।
১২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৫৩
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: প্রথম গল্পটা পড়ে অনেকগুলো ভাবনা একসাথে খেলে গেল মাথায়। আত্মত্যাগ, মনুষ্যত্ব, পশুত্য, নির্বিকারতা অনেকগুলো ব্যাপার কাজ করছে গল্পটাকে ঘিরে। (সহজ একটা গল্পকে অনেক জটিল করে চিন্তা করে ফেললাম কিনা জানি না।)
দ্বিতীয়টায় কঠিন একটা বাস্তবতাকে তুলে ধরেছেন। ভাবনার বিষয়। নিজের জীবনের সাথে মিলিয়ে দেখলাম খানিকটা। নিজেকে সন্তানদের একজন ভেবে চিন্তা করতে গিয়েই কিছু মিল পেয়ে হঠাৎ মনটা বিষণ্ণ হয়ে গেল।
অনেক কঠিন কঠিন কথা লিখে ফেললাম। এতো কঠিন কথা আমার সাথে যায় না। যাক, গল্প ২টাই ভাল লেগেছে। ২টাতেই প্লাস। (আফসোস, ২টা প্লাস দেয়ার কোন অপশন নাই।)
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার। খুব চমৎকার। দুটি গল্পের মূলভাব খুব সংক্ষেপে কিন্তু সাবলীলভাবে তুলে ধরেছেন। মুগ্ধ হলাম। আর ২টি প্লাস দেয়ার আইডিয়াটা ইউনিক। এতেও মুগ্ধ
অনেক ধন্যবাদ আপু। শুভেচ্ছা জানবেন।
১৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৩১
নীল সুমন বলেছেন: কি জানি ভালো লাগল কিনা!!
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কমেন্ট থেকে ধরে নিচ্ছি ভালো লাগে নি। আরও ভালো গল্প উপহার দেবার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। শুভেচ্ছা।
১৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০২
মামুন রশিদ বলেছেন: প্রথম গল্পটায় সম্প্রতি নাইজেরিয়ায় ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার ইঙ্গিত দেয় । যদিও শেষটা কবিকল্পনা । তবু অমঙলের বিপরীতে সত্য সুন্দর সর্বদাই শক্তিশালী ।
দ্বিতীয় গল্পটায় সেই চিরায়ত আকুতি, সন্তান বুড়ো হলেও বিপদে মায়ের আঁচলে স্বস্তি খুঁজে বেড়ায় ।
গল্পকণিকা২ এ ভালোলাগা ।
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথম গল্পটার ইঙ্গিত ওটাই। কিন্তু, ঐ ঘটনার পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো দর্শন দেয়ার চেষ্টা করি নি। ঐ ঘটনা থেকেও একটা মিনি গল্প তৈরি করা যায় কিনা তা ভাবতে ভাবতেই গল্পটা লিখে ফেলি। নিউজটা এখানে পাওয়া যবে।
২য় গল্পটার ব্যাপারেও আপনার মনোভাব খুব সুন্দর।
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মামুন ভাই। ভালো থাকবেন।
১৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫৬
রুপ।ই বলেছেন: ১ম গল্পটার প্লট ভাল ছিল কিন্তু অসমপূর্ন লেগেছে, ২য় টা ভাল লেগেছে ।
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ১ম গল্পটার ব্যাপারে ভেবে দেখবো, সম্পূর্ণ করা যায় কিনা। ২য়টা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ রুপ।ই
জসীম উদ্দীনের কোনো কবিতার রিভিউ করেছিলেন আপনি? ওটা পাচ্ছি না এখন।
ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩০
সায়েম মুন বলেছেন: যে-কোনো মুহূর্তে মায়ের মুখটাই হলো সকল প্রশান্তির মূল। এটাই আসল কথা!! গল্প খুব ভাল লেগেছে। ভাল লেগেছে প্রথমটিও।
১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি সায়েম মুন ভাই। ভালো থাকবেন।
১৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৩৫
ডট কম ০০৯ বলেছেন: দুটো লেখাতেই ভাব বার মত উপাদান আছে।
সাহসী উচ্চারণ।
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আরমান ভাই। ভালো থাকবেন।
১৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪৭
মুদ্দাকির বলেছেন:
দুইটাই সুন্দর!! আসলেই মা সব সময়ই জিতে যায় ! কখন কখন বাবারও জেতা উচিৎ।
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কখনো কখনো হয়তো বাবারা জিতেন, কিন্তু সেটা আমাদের অজানাই থেকে যায়। যে বাবা জিতে যান, উল্লাসে তিনিও মাকেই ডেকে ওঠেন।
ধন্যবাদ মুদ্দাকির ভাই।
১৯| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪৫
শুঁটকি মাছ বলেছেন: দ্বিতীয় গল্পটা কি যে অসাধারণ!!
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শুঁটকি মাছ। ভালো লাগলো।
২০| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৫৬
নিয়েল হিমু বলেছেন: দুই মেরুর দুইটা গল্প ভাল বেশি লেগেছে দ্বীতিয়টা
অঃটঃ প্রথমটা কি গল্প না সত্যি ?!!
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, দুই মেরুর দুইটা, কিংবা বলা যায়- একটার সাথে আরেকটার কোনো সম্পর্কই নেই।
প্রথমটার ব্যাপারে উপরে মামুন ভাইয়ের কমেন্টের উত্তরে লিখেছি। কিছু পরিসংখ্যান সত্য, একটা সত্য ঘটনা থেকে গল্পটার সূত্র, কিন্তু থিমের সাথে ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই।
ধন্যবাদ নিয়েল হিমু। শুভেচ্ছা।
২১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অসাধারণ ভাইয়া !
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অভি ভাই। ভালো থাকবেন।
২২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:০২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনি সব সময় খুব উচ্চমার্গীয় চিন্তাভাবনা করেন, তাই ভেবেছিলেন এটাও সেই গোছের কিছু হবে এজন্য এ্যান্টিনার অনেক নিচ দিয়ে (উপর দিয়ে নয়) চলে গেছে গল্পটা - হাহাহ এত হিউমার নিয়ে ঘুমান ক্যাম্নে ?
২ নংটার অবশ্যই কোন তুলনা নেই । এবং এটা একটা জীবনের
কাঠিন্য রস দ্বারা জারিত সত্য ।
এই পৃথিবীতে একমাত্র স্বার্থহীন ভালবাসার মানুষ মা /
এই জায়গাটা আপনার সন্তান স্ত্রী নিতে পারবে না । স্বামী - স্ত্রীর একটা
পারস্পরিক নিরভরশিলতা সম্পর্কে এগিয়ে নেয় , কিন্তু দেখবেন
খুব কঠিন সমস্যায় মাকেই বেশি পড়ে মনে ।
পরিণত বয়সে( ৪০ - ৫০ ) মাকে পাওয়া এবং এই বয়সে তার পরামর্শ পাওয়া অনেক অনেক সউভাগ্যের ব্যাপার ।
ভাল থাকবেন প্রিয় ছাই ভাই ।
' শুভকামনা রইল ।
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জাফরুল মবীন ভাই খাদ্যে ফরমালিন, ইত্যাদি জটিল বিষয়-আশয় নিয়ে খুব গভীর চিন্তায় সদা-মগ্ন, এজন্য ভেবেছিলেন ‘মাতৃপক্ষ’ও বোধহয় দুর্বোধ্য কোনো গল্পই হবে। যাই হোক, পরে এসে যখন দেখবেন যে, এ এক মামুলি সরল গল্প, তখন তিনি হেসে খুন হবেন।
‘মাতৃপক্ষ’ গল্পটা নিয়ে আমার দ্বিধার কথাটা উপরে কোনো কমেন্টে লিখেছি। পাঠকের কমেন্ট পড়ে এখন খুব স্বস্তি বোধ হচ্ছে, এবং কৃতার্থ মনে হচ্ছে নিজেকে। কবিতা বা গল্পে যা বলতে চাই, পাঠকের কাছে সেটি না পৌঁছুলে খুব যন্ত্রণা বোধ করি।
সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মাহমুদ ভাই।
২৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:৪০
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: প্রথমটা কিন্তু একটা আইডিয়াতেই সীমাবদ্ধ থাকলো। সেটা পরিপূর্ণ রহস্য গল্প হয়ে উঠতে পারে সময়-সুযোগে। একবার চেষ্টা করবেন নাকি?
আমার সংসারটা সত্যিই একটা চাঁদের হাট। এমন সংসারে যুগ যুগ বেঁচে থাকতে সাধ হয়।
পৃথিবীতে আত্মীয়তার বন্ধন খুব ঠুনকো।
-এই দুটো বোধ খুবই স্পর্শকাতর। সংসার জীবনে এই দুটো ব্যাপার কখনো কখনো হানা দেবে না, এমন সংসার ভাগ্য তো সবার হয় না। অনেক যত্ন করে ধরে রাখা সম্পর্কটিও আঙুলের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায় তরল হয়ে- উপলব্ধি করবার আগেই।
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আমার সংসারটা সত্যিই একটা চাঁদের হাট। এমন সংসারে যুগ যুগ বেঁচে থাকতে সাধ হয়।
পৃথিবীতে আত্মীয়তার বন্ধন খুব ঠুনকো।
-এই দুটো বোধ খুবই স্পর্শকাতর। সংসার জীবনে এই দুটো ব্যাপার কখনো কখনো হানা দেবে না, এমন সংসার ভাগ্য তো সবার হয় না। অনেক যত্ন করে ধরে রাখা সম্পর্কটিও আঙুলের ফাঁক গলে বেরিয়ে যায় তরল হয়ে- উপলব্ধি করবার আগেই।
খুব মূল্যবান কথা বলেছেন জুলিয়ান ভাই। মনে গেঁথে গেলো।
প্রথমটা তাহলে আইডিয়াতেই সীমাবদ্ধ থাক কি-বোর্ড চেপে আঙুলকে ব্যথা দিতে মন সায় দিচ্ছে না। একটুখানি আলস্যও আছে।
ভালো থাকুন প্রিয় জুলিয়ান ভাই।
২৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮
আবু শাকিল বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ।
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আবু শাকিল ভাই।
২৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পৃথিবীতে আত্মীয়তার বন্ধন খুব ঠুনকো।
যে-কোনো মুহূর্তে মায়ের মুখটাই হলো সকল প্রশান্তির মূল। সকল আগুনে শেষ আশ্রয়ের নাম মা।
দুটোই জীবেনর চিরন্তন সত্য।
আমরা মিথ্যা আর মূখোশের আড়ালেই বেঁচে থাকি.....কতনা কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে!! যার নাম সং-সার
বিজ্ঞরা বলেন- সং সাজাই যেখানে সার বা মূল!!!!!
++
২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আমরা মিথ্যা আর মুখোশের আড়ালেই বেঁচে থাকি.....কত না কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে!! যার নাম সং-সার। বিজ্ঞরা বলেন- সং সাজাই যেখানে সার বা মূল!!!!
খুব সুন্দর কথা বলেছেন বিদ্রোহী ভৃগু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা।
২৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আপনার লেখনী এক কথায় অসাধারন
ভাললাগা +
২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার পরিবেশ বন্ধু। ভালো থাকুন।
২৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভালো লাগলো।
বোকা হারেম একটা কলংক যোগ করে দিলো।
এইসব সাম্প্রদায়িক সহিংসদের বিনাশ কবে হবে!
২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বোকা হারেমের কাজটা সত্যিই একটা কলঙ্ক। এসব অপকর্মের বিনাশ জরুরি।
ধন্যবাদ আশরাফুল ভাই। শুভেচ্ছা।
২৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০৭
আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
প্রথমটা নাইজিরিয়ার একটা সংবাদে সীমাবদ্ধ থাকেনি, কারণ এখানেও মা চলে এসেছে।
আর দ্বিতীয়টা নিছক গল্প নয়। এতো ধ্রুব সত্য।
২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দুটো গল্পের ব্যাপারে আপনার কমেন্ট খুব মূল্যবান। ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আলাউদ্দিন ভাই।
২৯| ২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৮
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দ্বিতীয়টা ছুঁয়ে গেল।
আর প্রথমটায় আপনার হিউমার পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ পাচ্ছে। আরও ঘন ঘন গল্পকনিকা চাই।
২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কমেন্টে খুব উচ্ছ্বসিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ প্রিয় গল্পকার। ভালো থাকবেন।
৩০| ২৫ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ক্লাসিক একটা লেখা পড়লাম। আপনার এই সিরিজের সেরা লেখা এটি।
২৫ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। খুব উৎসাহিত বোধ করছি। শুভেচ্ছা।
৩১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২
ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: অস্থির। প্রথমটায় মানুষ আছে, আছে অকৃত্রিম প্রতিযোগিতাও।
দ্বিতীয়টা নিয়ে বলার কিছু পাচ্ছি না। আনফেয়ার, কিন্তু সবাই এখানে কাবু।
২৫ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ ফ্রাস্টেটেড।
৩২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:৪৯
জুন বলেছেন: শেষ গল্প কনিকাটি মনে হয় দুনিয়ার সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ছাইভাই এক আমি ছাড়া । আমার সন্তান সব সময় তার বাবার পক্ষে । কারন পৃথিবীর সব খারাপ কাজগুলোই আমাকে করতে হয় । যেমন 'পড়তে বসো , এত টিভি বা গেমস খেলোনা, এবার কম্পিউটার বন্ধ করো, গোসলে যাও, এখনো ভাত খেতে বসলে না ইত্যাদি । বাবাতো মরে গেলেও এই সব বাজে কথা বলে না
পড়তে খুব ভালোলাগছে আপনার এসব গল্প কনিকা ।
+
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপু, গল্পের যে বাবা, তারও কিন্তু একই ধারণা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সন্তানগুলো মায়ের পক্ষেই চলে গেলো। মজাটা এখানেই- বাবা খুব মনোকষ্টে যখন হতাশায় নিমজ্জিত, তখন কিন্তু সে তার ‘বাবা’কে স্মরণ করলো না- মা, মা বলে কেঁদে উঠলো।
মাতৃপক্ষ হলো সহজাত। অতএব, আপনার ভয় নেই আপু, আপনার ছেলেরা আপনার পক্ষ থেকে বাবার পক্ষে থাকলেও তাদের নাড়ি কিন্তু আপনার কাছেই। কৌশলী ও বন্ধুবৎসল বাবারা সবসময়ই সন্তানদের সাথে বন্ধুর মতো আচরণ করেন। মাকে অপ্রিয় কাজগুলো করতে হয়। বাবাকে এ অপ্রিয় কাজগুলো করতে হলে বাবা অনেক দূরে চলে যাবে। কিন্তু সন্তানরা কোনোদিন মাকে ছেড়ে দূরে যেতে পারবে না।
ধন্যবাদ আপু।
৩৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৪৭
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ফেইসবুক এর কমেন্ট এর সুত্র ধরে এখানে চলে এলাম।
আসল কথায় আসা যাক, উপরে অনেকেই মন্তব্য করেছেন সন্তানেরা সবসময়ই মাতৃপক্ষ সমর্থন করে।
কিন্তু কারণ কি? কারণ এক নয়,বহু। রাস্তায় দুটি গাড়ি এক্সিডেন্টে করলে সাধারণত আমরা কোন গাড়িটার পক্ষে কথা বলি? বেশিরভাগ সময় ছোট গাড়িটার পক্ষে। কারণ কি? দুর্বল এবং ভিক্টিম এর প্রতি আমাদের সিমপ্যাথি বেশি কাজ করে। এটা সাইকোলজি।
পৃথিবীতে আসার পরে সর্বপ্রথম আমরা মাতৃদুগ্ধ পান করি, মা আমাদের প্রথম বন্ধু।
পৃথিবীতে আসার আগে মাতৃগর্ভে মায়ের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় খাদ্য পুষ্টি গ্রহন করে আমরা বেড়ে উঠি। এর বিপরীতে বাবা কি দিয়েছেন? এক বিন্দু শুক্রাণু। তাও সবক্ষেত্রে সচেতন ভাবে নয়,বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাময়িক আনন্দ আর উত্তেজনার ফলশ্রুতিতে।
আপনি ভাবুক মানুষ আপনি হয়তো আরও অনেক পয়েন্ট যুক্ত করতে পারবেন। এবার আপনিই বলেন, পাল্লা কোনদিকে ভারী?
০১ লা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মল্লিক ভাই, প্রথমেই শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ, ফেইসবুক স্টেটাসের সূত্র ধরে এ গল্পে এসে এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য। আপনার কথাগুলো খুবই যৌক্তিক। আপনি যদি আগে খেয়াল করে না থাকেন, তাহলে আবার খেয়াল করে দেখুন, গল্পের লাস্ট লাইনটা - মা, আমাকে একটু কোলে নে মা। আমি এ গল্পে যে মেসেজটা দিতে চেয়েছি, আপনার কমেন্ট আমার সেই মেসেজটাকে শতভাগ সাপোর্ট করেছে। মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মায়ের আশ্রয়ই খোঁজে। গল্পে দেখানো হয়েছে, স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে ঝগড়া হলে সন্তানরা সবাই বাবাকে এসে ভর্ৎসনা করে, তারপর মায়ের পক্ষে চলে যায়। অথচ এই সন্তানদের জন্য সবসময়ই বাবা ছিল অনেক বেশি অন্তপ্রাণ ও আন্তরিক। সন্তানদের এই আচরণ তাকে খুব মর্মাহত এবং ব্যথিত করে। সে বেদনায় মুষড়ে পড়ার পর তার মুখ দিয়েও যে শব্দটা বের হয়ে আসে, সেটা হলো 'মা।' লক্ষ করার বিষয় হলো, তার নিজের মুখ থেকে 'বাবা' শব্দটা বের হয় নি। অর্থাৎ, পৃথিবীর তাবত মানুষ শেষ পর্যন্ত মায়ের পক্ষেই অবস্থান নিয়ে থাকে, যার কারণগুলোও আপনি সুন্দরভাবে উল্লেখ করেছেন।
কিন্তু অপর পক্ষে বাবাও তো একজন মানুষ। সে 'বাবা' হিসাবে কিন্তু একাই রয়ে গেল, তার পক্ষে কাউকে পাচ্ছে না পাশে থাকার জন্য। ফেইসবুক স্টেটাসে সেটাই বলতে চেয়েছি।
৩৪| ০১ লা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আর একটা পয়েন্ট বাদ পরেছে, দুনিয়ার সবচাইতে বড় ব্রহ্মাস্ত্রের নাম কি জানেন? চোখের জল। নারী যদি এই অব্যর্থ জলাস্ত্র ব্যবহার করে ফেলেন তাহলে আপনার আর রক্ষে নাই। আপনাকে আর কেউ বাঁচাতে পারবে না। আপনি নিশ্চিত ধরাশায়ী হবেন। সুতরাং, সাধু সাবধান, ভাবি সাহেবা যদি আপনার এই পোস্ট দেখে ফেলেন তবে নিশ্চিত আপনি জলাস্ত্র এর আঘাতে কুপোকাত হবার সমূহ সম্ভাবনা।
০১ লা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহা। ভালো বলেছেন এটাও।
আমার কোনো গল্প বা ফেইসবুক পোস্ট বান্ধবীর অপঠিত থাকে বলে মনে হয় না, ফেইসবুকে তিনি খুবই অ্যাক্টিভ
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: চমৎকার সোনাবীজ ভাই...
প্রথম পর্ব মিসাইসি দেখা যায় ...