নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন অধ্যায়

২৯ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯

রুমা ইদের শপিং করছে। ব্যস্ত শপিং মল। সময় নিয়ে একেকটা শপিং মলে যায়। মায়ের জন্য, তিন বোনের জন্য, ভাগ্নে-ভাগ্নি, ভাতিজা-ভাতিজি সবার জন্য কেনাকাটা না করে তার শান্তি নেই। ইদের মরশুমে সবাইকে গিফট করা তার পবিত্র কর্তব্য। ভাইবোনেরা তাকে সবার উপরে স্থান দিয়ে থাকে।



কেনাকাটা শেষে বাসায় ফেরার পথে উৎস বলে, মা-বাবার জন্য কিছু কেনার দরকার না? রুমা লজ্জিত হয়। মৃদু ভর্ৎসনা করে বলে, বড্ড ভুলোমনা তুমি। একটু মনে করিয়ে দিবে না?



আবার মার্কেটে ফিরে যায়। সারাদিনের ধকলে শরীর খুব ক্লান্ত। বেশি দুরে নয়, ঢাকা কলেজের উলটো দিকের মার্কেটে ঢোকে তারা। রুমার জন্য আরও কিছু লজ্জার বিষয় ছিল। টাকা প্রায় শেষের দিকে। এ টাকায় ভালো কিছু পাওয়া সম্ভব নয়। কী করা যায়, রুমা মনে মনে ভাবতে থাকে। বুড়ো মানুষ। তারা তো আর নতুন জামা পরে বাচ্চাদের মতো নাচানাচি করবে না। শরীর ঢাকতে পারলেই যথেষ্ট। তা ছাড়া, তাদের জামা তো আছেই। গত বছর শ্বশুরকে কিনে দেয়া পাঞ্জাবিটা এখনও ঝকঝকে নতুনের মতো। শুধু শাশুড়ির জন্য একটা কাপড় না কিনলেই নয়। তাকে আনেকদিন কোনো পরনের কাপড় দেয়া হয় নি।









বসুন্ধরা শপিং মল। ইদের শপিং করতে এসেছে সালেহা। একের পর এক দোকান ঘুরে জামাকাপড়, কসমেটিকস, ইত্যাদি কিনলো। তারপর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে আসরের একটু পরে সে বাসায় ফিরলো। ইফতারি বানালো, যথাসময়ে ইফতার করলো তারপর শাশুড়িকে নিয়ে কেনাকাটা দেখতে বসলো।



দেবর, ননদ, সবার পোশাক দেখানোর পর সবচেয়ে অভিজাত ও দামি শাড়িটা শাশুড়ির হাতে দিয়ে বললো, 'মা, এটা হলো আপনার। পছন্দ হয়েছে কিনা বলুন। পছন্দ না হলে পালটে আনা যাবে।'



মিসেস রুমা বেগম কাপড়টি হাতে নিয়ে বউয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। সে একটু অস্বস্তি বোধ করে।

'তোমার মায়ের জন্য কিনো নাই?' অস্ফুট স্বরে রুমা বেগম বলে। সালেহা শুনতে পায় না। সে বলে, 'কী মা, তাকিয়ে আছেন কেন? পছন্দ হয় নি?'

রুমা বেগমের গলা ধরে আসে। সে যখন কথাগুলো বলতে থাকে, তার কণ্ঠ কাঁপতে থাকে। 'তোমার মা আর বাবার কাপড় কই?' সালেহা ফিক করে হেসে দেয়। বলে, 'কী যে বলেন না মা, আমার মা আর বাবা তো আপনিই। নাকি আমাকে পরের মেয়ে মনে করেন?'

রুমা বেগম মাথা নীচু করে থাকে। সালেহা বলতে থাকে, 'আমার ভাইয়েরা আছে না? আমার চার ভাই যে কাপড়-চোপড় কিনবে, তার উপর আমার মা আর বাবা জাজিম বানিয়ে শুতে পারবে।'



রুমা বেগমের চোখ ভিজে ওঠে। সে বউয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে কিছু একটা বলবে সেই শক্তি খুঁজে পায় না।







গল্পের দ্বিতীয় অংশটুকু নিছক কল্পনা, যাকে উইশফুল থিঙ্কিং বলা যেতে পারে। আদতে নতুন অধ্যায়ে নিয়মানুযায়ী যা হবার কথা ছিল, হয়েছিল ঠিক তাই।



ছেলেকে বিয়ে করানোর পর রুমা বেগমের জীবনটা পালটে যেতে থাকলো। কোনোকিছুই তার নিজের ইচ্ছেতে বা নিজের ইচ্ছেমতো হয় না। নিজের ছেলে মায়ের নাম ভুলে যেতে বসেছে। স্ত্রৈণ বলতে যা বোঝায়, ছেলেটা পুরোপুরি তা হয়ে গেছে।



ইদের কাপড়চোপড় কিনে আনার পর নিজের ভাইবোনদের জন্য ভাগ-বাটোয়ারা শেষে শাশুড়ির হাতে একটা অতি সাধারণ মানের পরনের কাপড় ধরিয়ে দিয়ে বললো, 'মা, কাপড়টা কিন্তু খুব দামি। ইদের দিন পরবেন।'



রুমা বেগমের যদি সেই তেজ আর শক্তি থাকতো, তাহলে এই কাপড়খানা সালেহার মুখ বরাবর ছুঁড়ে মেরে বলতো, 'আমি কি তোর কাজের বুয়া যে, আমাকে তোর খয়রাতি কাপড় পরতে হবে?'



জীবনচক্র এমনই। এ চক্র ছিন্ন করে নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করবে এমন সদাশয়া কে আছে?



মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮

মামুন রশিদ বলেছেন: বাস্তবতা অতীব করুণ । উপরে ছোড়া তীর নিজের দিকেই ফিরে আসে । তবু আশাবাদিতা বেঁচে থাক ।

ঈদের শুভেচ্ছা সোনাবীজ ভাই ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিকই বলেছেন মামুন ভাই- উপরে ছোড়া তীর নিজের দিকেই ফিরে আসে।

ইদের শুভেচ্ছা আপনাকেও। ভালো থাকবেন।

২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯

ভারসাম্য বলেছেন: দির্ঘশ্বাস! জিবনের ভুল সমীকরণ। তবে রুমা বেগমের সালেহার মত কোন মেয়ে থাকলে, ভুলে ভুলে কাটাকাটি হয়ে যেত। সেরকম হচ্ছেও বটে। সেজন্যই হয়তো ভুলগুলো দুর হচ্ছে না।

+++

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কনসেপ্টের সাথে মিল আছে এমন একটা গল্পকণিকা ‘সরল অঙ্ক’ রয়েছে প্রথম পর্বে। কিছু কিছু মহিলাকে দেখি- ছেলের বউকে খুব কড়া শাসনের মধ্যে রাখেন, অন্যদিকে নিজের মেয়েকে খুব প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন। শ্বশুর বাড়িতে নিজের মেয়ের উপরে অনুরূপ হুকুমদারি তাঁরা মেনে নিতে পারেন না। তাঁরা এক-চোখা। এরূপ একচোখা জননী বা শাশুড়িদের কারণে মেয়েদের স্বামীর সংসার ভাঙনের মুখে পড়ে।

ধন্যবাদ অভী ভাই। ভালো থাকবেন।

ইদ মোবারক।

৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কঠিন বাস্তবতা! ঈদের অনেক শুভেচ্ছা রইল সোনাবীজ ভাই!

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ জাদিদ ভাই। আপনাকেও ইদের শুভেচ্ছা।

৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: জীবনচক্র এমনই। (নহে।)
ব্যতিক্রম আছে। কিন্তু সেটা সমুদ্রে শিশিরের মতন। দশজনের ভেতর একজন চোর থাকলে সে ও ভালো মানুষ হিসেবে গণ্য হয়।

আচ্ছা বউগুলা তো সবাই একদিন শাশুড়ি হয়, আগে থাকতেই কেন মানুষ না হয়ে বউ হয়েই বুড়ি হইবার চায়? এই ক্রম ভাঙতে কি তাদের আগ্রহ নাই? নাকি আজকাল বৃদ্ধাশ্রম আছে বইল্যাই অতটা দুর্ভাবনা তাদের নাই?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা, ভালো পয়েন্ট- বৃদ্ধাশ্রম। হয়তো সেজন্যই তারা বৃদ্ধকালে কী হবে তার কোনো তোয়াক্কা করেন না। অতীতে অবশ্য বউঝিরা শাশুড়িদের দ্বারা খুব নির্যাতিত হতো। এখন সেটা নেই বললেই চলে।

ধন্যবাদ জুলিয়ান ভাই। ইদের শুভেচ্ছা।

৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: :(
ঈদ মোবারক ভাইয়া

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইদ মোবারক অভি ভাই।

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪

কলমের কালি শেষ বলেছেন: এইসব নিঃশব্দ দুঃখ নিঃশ্বাস এর সমাধান আছে বলে মনে হয় না । এইটা চক্রাকারে চলতেই থাকবে । সালেহার জন্যও হয়তোবা এইরকম একজনই জুটবে ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সালেহার জন্যও এমনটাই ঘটবে। কারণ, সেটাই পরিণতি।

ধন্যবাদ কলমের কালি। ইদের শুভেচ্ছা রইল।

৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ++++++
আপনাকেও ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভ্রাতা :)

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্লাসের জন্য। ইদের শুভেচ্ছা আপনাকেও।

৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:২৭

ভারসাম্য বলেছেন: আমার উপরের মন্তব্যে একটু বানান ভুল আছে। জিবনের ভুল সমিকরন হবে। ;)

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা। ঐ ভুলটা আমার চোখ এড়ায় নি ;)

৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ঈদমোবারক সোনাবীজ ভাই। শুভকামনা থাকলো । মায়ের কথা অনেকেই মনে রাখেন না স্ত্রৈন হয়ে যান । দারুন একটা ব্যাপার নিয়ে লিখেছেন ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই। ইদের শুভেচ্ছা জানবেন।

১০| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৪৪

টুম্পা মনি বলেছেন: বাস্তবতা! চমৎকার লেখা। ঈদের শুভেচ্ছা।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ টুম্পা মনি। আপনার জন্যও ইদের শুভেচ্ছা থাকলো।

১১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৭

পার্থ তালুকদার বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ভাই।
এই বউরা তো আমাদেরই আত্মীয়। হয়তো বোন, নয়তো ভাতিজি ....

তবে সবার পরিবার থেকেই একটু শিক্ষা দেওয়া ঊচিত।
ধন্যবাদ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পরিবার থেকে আসলে আমরা শিক্ষা দিই না, কুশিক্ষা দিই। যে-মা তাঁর মেয়েকে শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হলো, তাঁর মেয়ে যেমন অন্যের ঘরে বউ হয়ে শাশুড়িকে যন্ত্রণা দেয়, তেমনি তাঁর ঘরে যখন ছেলের বউ আসে, তখন তিনি নিজেই অনুরূপ যন্ত্রণার শিকার হন। তবু আমাদের শিক্ষা হয় না।

১২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:০৯

শান্তির দেবদূত বলেছেন: what goes around comes around - চমৎকার করে এই মূলনীতিটা গল্পের আকারে ফুটিয়ে তুলেছেন।

একটা খটকা লাগছে, আমি বরাবরই বাংলা বানানে কাচা অপর দিকে আপনি বানানের দিকে খুব যত্নশীল; তাই খটকাটা একটু বেশিই লাগছে, "ঈদ " এর বানান "ইদ" এভাবে লেখার কারন কী? টাইপিং মিসটেক না নিশ্চিত; কারন ৩/৪ জায়গায় একইভাবে লিখেছেন। নতুন বানান রীতি?

ঈদের শুভেচ্ছা রইল।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

২.০১ ই ঈ উ ঊ

সকল অ-তত্সম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশী, বিদেশী, মিশ্র শব্দে কেবল ই এবং উ এবং এদের-কার চিহ্ন ই-কার উ-কার ব্যবহৃত হবে। এমনকি স্ত্রীবাচক ও জাতিবাচক ইত্যাদি শব্দের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। যেমন গাড়ি, চুরি, দাড়ি, বাড়ি, ভারি (অত্যন্ত অর্থে), শাড়ি, তরকারি, বোমাবাজি, দাবি, হাতি, বেশি, খুশি, হিজরি, আরবি, ফারসি, ফরাসি, বাঙালি, ইংরেজি, জাপানি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, সিন্ধি, ফিরিঙ্গি, সিঙ্গি, ছুরি, টুপি, সরকারি, মাস্টারি, মালি, পাগলামি, পাগলি, দিঘি, কেরামতি, রেশমি, পশমি, পাখি, ফরিয়াদি, আসামি, বে-আইনি, ছড়ি, কুমির, নানি, দাদি, বিবি, মামি, চাচি, মাসি, পিসি, দিদি, বুড়ি, ছুঁড়ি, নিচ, নিচু, ইমান, চুন, পুব, ভুখা, মুলা, পুজো, উনিশ, উনচল্লিশ।

অনুরূপভাবে- আলি প্রত্যয়যুক্ত শব্দে ই-কার হবে। যেমন : খেয়ালি, বর্ণালি, মিতালি, সোনালি, হেঁয়ালি।

তবে কোনো কোনো স্ত্রীবাচক শব্দের শেষে ঈ-কার দেওয়া যেতে পারে। যেমন : রানী, পরী, গাভী।


বাংলা বানানের প্রমিত নিয়মের এই সূত্রানুযায়ী ‘ইদ’ বানানটি শুদ্ধ, যেহেতু এটি বিদেশি শব্দ। ‘ইদ’ বানানটি সঙ্গততর, কিন্তু অপ্রচলিত। ‘ঈদ’ বানানটি প্রচলিত হলেও প্রমিত নিয়মানুযায়ী শুদ্ধ নয়।

বিস্তারিত জানতে চাইলে আমার ক্লোন থেকে পাবলিশ করা বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম দেখতে পারেন।

ধন্যবাদ সাইফুল ভাই। ভালো থাকবেন।

১৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:২২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ঈদের শুভেচ্ছা রইল।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকেও ইদের শুভেচ্ছা প্রিয় ব্লগার।

১৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭

নাহিদ শামস্‌ ইমু বলেছেন: বাস্তবতাই ফুটিয়ে তুলেছেন গল্পটিতে।
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো......

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ নাহিদ ভাই। আপনাকেও ইদের শুভেচ্ছা।

১৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:২১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কারোরই উত্তর না দেখে ভরষা পেলাম না কিছু লিখতে।।
ঈদ মুবারক।।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :) :) :)

নেট না থাকায় উত্তর দিতে পারি নি :(

এখন কি উত্তরগুলো দেখতে পাচ্ছেন? এখন কি ভরসা করা যায়? :) :)

ইদের শুভেচ্ছা আপনাকেও।

১৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৫:৩৮

রাজিব বলেছেন: শুভ জন্মদিন।
আমাদের সব গল্প, নাটক আর সিনেমাতে শাশুড়ি ভাল আর ছেলের বউ খারাপ। কিন্তু বাস্তব দেখে আমার মনে হয়েছে যে অনেক ক্ষেত্রে বিয়ের পর নতুন বউয়ের সঙ্গে শাশুড়ি, দেবর ননদ সবাই মিলে ভেজাল করে এবং অনেক ছেলের বউ চরম কষ্টের মধ্য দিয়ে দিন পার করে।
আমি এমন এক পরিবারের কথা জানি যেখানে কাজের লোক রাখা হয়না ছেলের বৌকে আরাম দেয়া যাবে না এই দর্শন থেকে।
আরেক পরিবারের কথা জানি যেখানে মেয়েকে দেখতে গিয়ে ছেলের মা সরাসরি বলেছে যে বিয়ের পর লেখাপড়া বাদ দিয়ে মেয়েকে ঘরের সব কাজ করতে হবে।
আরেক পরিবারকে দেখেছি ছেলে মারা যাবার পর নাতনীকে ছেলের বউ এর কাছে দিবেনা এই যুক্তিতে- তুমি তো আর কয়দিন পর বিয়ে করবে তাই আমাদের নাতনী আমাদের কাছে থাকবে।
আর ছেলের বউরা রান্না জানে না, আজকালকার মেয়েদের এই ভালো না, সেই ভাল না। আমাদের যুগে এমন ছিল তেমন ছিলনা এইসব তো অহরহই বলে শাশুড়িরা।
আর কখনো সরাসরি আবার কখনো আকার ইঙ্গিতে নিজের পরিবার খারাপ, গরীব, ছোটলোক এমন অনেক কটু কথা শুনতে হয়। আমি ছেলের বউদের পক্ষ নিচ্ছিনা। শুধু জীবন থেকে কিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরলাম।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি পারিবারিক জীবনের আরেকটা পিঠ তুলে ধরেছেন। তবে এরূপ চিত্র আগের দিনে দেখা যেত বেশি। তখন নারীরা নীরবে মুখ বুজে শাশুড়ি ও ননদের গঞ্জনা সহ্য করতো। দিনে দিনে শিক্ষার হার বেড়েছে, আইন প্রণীত হয়েছে, মেয়েপক্ষ থেকে মামলা করার রেওয়াজ শুরু হয়েছে। মেয়েরা শিক্ষিত হয়েছে, মা-বাবার আহ্লাদিত কন্যা হিসাবে শ্বশুর বাড়িতে যায়। পরের ঘটনাই হলো এ গল্পের বিষয়বস্তু।

নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজে অবশ্য পূর্বের অবস্থা প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে।

ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

১৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: Laptop er charger nosto hoie geche. khub somossay achi. 6 ba 7 tarikher age charger pawa jabe na. comment er reply na dite parar jonyo dukkhito.

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইদ মোবারক।

১৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৩২

চড়ুই বলেছেন: শুভ জন্মদিন।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকে ইদের শুভেচ্ছা।

১৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫

অপ্‌সরা বলেছেন: শুভ জন্মদিন ভাইয়া:)

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। ইদের শুভেচ্ছা।

২০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: শুভ জন্মদিন প্রিয় সোনাবীজ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রোফেসর সাহেব। আপনাকেও ইদের শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।

২১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

জাফরুল মবীন বলেছেন: শুভ জন্মদিন

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ জাফরুল মবীন ভাই। ইদ মোবারক।

২২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৫১

এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল।

শুভ জন্মদিন।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান সাবির ভাই। ইদ মোবারক।

২৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:০৩

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
ঈদের শুভেচ্ছা, জন্মদিনের শুভেচ্ছা- সব একসাথে দিলাম!

চমৎকার লেখার জন্য থ্যাংকস।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একসাথে এতগুলো শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ কামরুল বসির ভাই। ভালো থাকবেন।

২৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: এই চক্রের অবসান ঘটুক এই কামনা করি।

ভাল থাকুন। শুভ কামনা রইল।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায়। ইদ মোবারক।

২৫| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:১৫

ডি মুন বলেছেন: "জীবনচক্র এমনই। এ চক্র ছিন্ন করে নতুন অধ্যায়
সৃষ্টি করবে এমন সদাশয়া কে আছে?"

চক্র ছিন্ন হোক। পারস্পরিক মধুময় সহাবস্থানে আনন্দ বিরাজ করুক সব ঘরে ঘরে। কলুষতা, মানসিক দৈন্যতা দূরীভূত হোক। ... এমনটাই প্রত্যাশা।

শুভ জন্মদিন

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ডি মুন। ইদের শুভেচ্ছা নিন।

২৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৭

সায়েম মুন বলেছেন: চক্রটা যাদের হাতে তাদের মতিগতির পরিবর্তন হলে চক্রগতি সরলগতির হতো। কিন্তু তারা তা বুঝে না। একদিন সবাইকে স্থান পরিবর্তন করতে হয় এ কথা আর কারো মাথায় থাকে না।
ঈদ শুভেচ্ছা রইলো। :)

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার বলেছেন সায়েম মুন ভাই। তাদের মতিগতির পরিবর্তন হোক, এটাই চাই।

আপনাকেও ইদের শুভেচ্ছা।

২৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ,




জন্মদিনটি আপনার স্মরনীয় হয়ে থাকুক , ব্লগে মনোযোগ দিতে পারছি না; লিখবার ধৈর্য্য নেই, পড়তে বিরক্ত লাগে। এতোসব এর পরেও আপনি সেই দিনটিতে জীবনের আলেখ্য লিখেছেন বলে। ভালোবাসা থেকে আপনি যেমোন আমাদেরকে ছেড়ে যেতে পারেন নি তেমনি আমরাও ।

এই ভালোবাসা হোক আপনার জন্মদিনটির শুভশক্তি....

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই।


একটা সময় ছিল, বিশেষ করে ২০১৩ সালের গোড়ার দিকে, যখন কাজে খুব ব্যস্ত ছিলাম, ব্লগ থেকেও অনেক দূরে ছিলাম। ব্লগের উপরের লেখাগুলো তখন লিখেছিলাম ;) ধীরে ধীরে ব্লগে পুরোপুরি চলে এলেও কথাগুলো ছাঁটা হয় নি ;) আজ ছেঁটে দিলাম ;)

ভালো থাকুন।

২৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০৫

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভালো লাগলো। ঈদ শুভেচ্ছা :)

০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আশরাফুল ভাই। আপনাকেও ইদের শুভেচ্ছা।

২৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২২

অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: আমার পরিবারে আমি আবার দেখি ভিন্ন চিত্র। আমার দাদিকে তার ছেলের বউরা যত দামি শাড়িই দিক না কেন, তার কোনটাই পছন্দ হয় না। একটা না একটা খুঁত বের করবেনই তিনি সেই শাড়ির। আর তার মেয়েরা যদি একটা ত্যানা ধরনের শাড়িও দেয়, তাও সেটা অনেক সুন্দর আর দামি শাড়ি হয়ে যায়। এবার ঈদে মাকে তাই বলেছিলাম দাদিকে সাথে নিয়ে শাড়ি কিনতে যেতে, যাতে ওনার পছন্দমত শাড়ি হয়। তারপর ঈদের পরে শুনলাম এইবার বড় চাচির দেয়া শাড়ি তার পছন্দ হয়নি বলে সেটা নিয়ে কথা হয়েছে অনেক ঈদের দিন। :| :|

(এই লেখা পড়ে আবার ভাববেন না যেন যে আমার দাদা বাড়ির সাথে আমার সম্পর্ক ভাল না। আমার দাদির সাথে আমার সম্পর্ক খুবই ভাল, আর ফুপুদের সাথেও। কিন্তু বছর বছর এই একই ব্যাপার দেখে দেখে ভাল লাগে না, তাই শেয়ার করলাম।)

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার মতো অভিজ্ঞতা যে আর কারো নেই, বা এরকম যে আমার চোখেও ধরা পড়ে নি, তা নয়। এ নিয়ে মা ও ছেলের মধ্যেও অনেক দ্বন্দ্ব ও মনোমালিন্য হয়। কিন্তু নিজ কন্যাদের ক্ষেত্রে সব মায়েরাই অভিন্ন, আপনার দাদির মতো।

কিন্তু এ গল্পের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। গল্পের ১ম অংশ ভাবুন। রুমা যখন তার মাকে, বোনকে, ভাইকে গিফ্‌ট দিচ্ছে, সেগুলো কিন্তু তার মায়ের পরিবার মহামূল্য বিবেচনা করছে, তবে রুমার মা তার ছেলেবউদের কাছ থেকে কী ধরনের ট্রিটমেন্ট পাচ্ছেন, বা রুমার মা তার ছেলেবউদের দেয়া গিফটে সন্তুষ্ট নাকি অসন্তুষ্ট, এ গল্পে সেটা নেই। রুমার মা আর রুমার শাশুড়ি একই সমতলে রয়েছেন। রুমার মা তার ছেলেবউদের কাছ থেকে যে ধরনের ট্রিটমেন্ট পাচ্ছেন, তা দেখানো হয়েছে রুমার শাশুড়ির মাধ্যমে।

আপনার অভিজ্ঞতার আলোকেও গল্প হয়, যেখানে মেসেজটা যাবে শাশুড়িদের বিপক্ষে। মেয়েদের জন্য ওটা থেকে খুব পজিটিভ কিছু শিক্ষা আহরণ করা যায় না। আমার গল্পের উদ্দেশ্য ছিল মেয়েদের জন্য শিক্ষণীয় কিছু দেয়া, যাতে তারা নতুন সংসারে গিয়ে শাশুড়িদের সাথে মায়ের মতো আচরণ করে। এর বিপরীত আচরণ একদিন বুমেরাং হয়ে তার জীবনেই ফিরে আসবে, এই মেসেজটা হলো এ গল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য।

অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানবেন আপু। শুভ কামনা।

৩০| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:৫১

জুন বলেছেন: শাশুড়ী বউ এর দ্বন্ধ মনে হয় চিরকালের এবং সার্বজনীন। পুরোনো ঈদের আর জন্মদিনের শুভেচ্ছা ছাই ভাই ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। আপনাকেও ইদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.