নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবীন লেখকলেখিকাদের জন্য :: কীভাবে বই বের করবেন

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৯

মহান একুশে বইমেলা-২০১৫ সমাগত

নবীন লেখকলেখিকাদের জন্য এটি একটি অবশ্যপাঠ্য প্রবন্ধ। রেডি রেফারেন্স হিসাবে প্রিন্ট করে রাখলে বেশি উপকার পাবেন বলে মনে করি।

মূল প্রবন্ধটি নিচে 'ভূমিকা' থেকে শুরু হয়েছে। ভূমিকার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে নিই। একটা বই প্রকাশের আগে আপনাকে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে হবে। আপনি যদি ব্লগলেখক হয়ে থাকেন, ব্লগে প্রকাশিত নিজের লেখাগুলো কিছুদিন পর পর পড়ুন। দেখবেন, অনেক কিছুই আপনার বদলাতে ইচ্ছে করছে, অনেক শব্দ বা বাক্য আপনার মন:পুত হচ্ছে না, অনেক শব্দ বা বাক্য বাহুল্য মনে হচ্ছে। এগুলো একটা একটা করে গভীর মনোযোগ সহকারে পড়ুন আর এডিট করুন। একটা শব্দের পরিবর্তন আপনার লেখার মান অনেক উপরে নিয়ে যেতে পারে। প্রথমবার যে-শব্দটার জন্য আপনার অনেক তৃষ্ণা ছিল, কিন্তু কিছুতেই আপনার মনে সেটি উদয় হয় নি, এডিটিঙের সময় হুট করে তা মাথায় ঢুকে যেতে পারে। ওটি জায়গামতো বসিয়ে দিন। যে-কথাগুলো নিস্প্রয়োজন তা কেটে বা ছেঁটে ফেলুন। এটি নিরীক্ষা করার উপায় হলো: 'এ লাইনটি কেটে ফেললে কি কোনো ক্ষতি হচ্ছে?' ক্ষতি না হলে তা রেখে দেয়ার দরকার নেই।

বানানের ব্যাপারে খুব বেশি সতর্ক থাকুন। 'বাংলা একাডেমী বাংলা বানান-অভিধান' বইটি সব সময় হাতের কাছে রাখুন। এমনকি সবচেয়ে পরিচিত শব্দটির বানানও অভিধান দেখে নিশ্চিত হয়ে নিন। ধারনা, নাকি ধারণা? ধরণী, নাকি ধরণি? সরণী, নাকি সরণি? তীর, নাকি তির? দাদী, নাকি দাদি? ধরণ, নাকি ধরন? আপনি জানেন যে, প্রথমোক্ত বানানগুলোই সঠিক, কিন্তু অভিধান খুলে অবাক হয়ে দেখবেন যে ২য় বানানগুলো সঠিক। অতএব, বানানের ব্যাপারটা খুব সহজ না। আপনি একজন লেখক অথচ প্রতিটি বাক্য ভুল বানানে পরিপূর্ণ, তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বানানের জন্য বাংলা একাডেমী প্রমিত বাংলা বানানের নিয়মটাটা আগে ভালোভাবে রপ্ত করে নিন। যাঁরা কবিতা লেখেন, তাঁদের জন্য এ পোস্টটা অনেক উপকারে আসবে মনে হয়।

আরো কিছু ছোটোখাটো ভুলভ্রান্তি থাকে, যা ঠিক করে লিখলে ছাপার হরফ বা পৃষ্ঠা দেখতে সুন্দর লাগে। যেমন যতিচিহ্নের ব্যবহার:

ক) যতিচিহ্ন সবসময় অক্ষরের পর কোনো 'স্পেস' ব্যবহার না করে লিখুন।

খ) যতিচিহ্নের পর সবসময় একটি 'স্পেস' ব্যবহার করুন (হাইফেন ছাড়া)।

এগুলো না করলে ছাপা হওয়া বইটি অসুন্দর দেখাবে। কিংবা, প্রকাশকের কাছে উপস্থাপন করার সময় তিনি এটি নতুন করে ছাপতে কিংবা এডিট করতে বলবেন, যা অনেক সময়-সাপেক্ষ হবে।


ভূমিকা - এ আর্টিকেলটি কারা পড়বেন?

এ আর্টিকেলটি শুধু তাঁদের জন্য, যাঁরা লেখালেখি করেন, এবং বই প্রকাশ করতে আগ্রহী, কিন্তু কীভাবে এ কাজটি করতে হবে সে ব্যাপারে কোনো ধারনা রাখেন না। তাঁদের জন্য কিছু টিপস।

এ আর্টিকেলটি পড়ে নবীন লেখকলেখিকাগণ যেমন উপকৃত হবেন, প্রকাশকগণও চোখের আড়ালে পড়ে থাকা অনেক প্রতিভার সন্ধান পেয়ে আনন্দিত হবেন বলে ধারনা করছি। এতে নবীন লেখকদের সাথে প্রকাশকদের একটা সেতু বন্ধন গড়ে উঠবে।

এ আর্টিকেলটি আমার অভিজ্ঞতার ফসল। অনেকের পক্ষেই এটা পড়ে সবকিছু বুঝে ওঠা সম্ভব না। আরো কিছু জানতে চাইলে মন্তব্যের ঘরে প্রশ্ন করুন, অথবা মেইল করুন এই ই-মেইলে : [email protected]



প্রথম অধ্যায়

বই ছাপতে গেলে মোটামুটি সাতটি প্রধান ধাপের মধ্য দিয়ে এগোতে হয়, যেমন:
ক। প্রচ্ছদ
খ। কম্পোজ বা টাইপ করা ও ট্রেসিং বের করা
গ। পেস্টিং, প্লেট ও মেকিং
ঘ। কাগজ
ঙ। ছাপা
চ। বই বাঁধাই
ছ। বই বাজারজাত করণ। এটিই হলো প্রধান ধাপ

কতোগুলো বই ছাপবেন? এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত যা সর্বাগ্রে ঠিক করে নিতে হবে। নবীন লেখক হিসেবে আমার পরামর্শ ২০০-৩০০ বই ছাপুন। বই বিক্রির ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকলে ৫০০ কপি পর্যন্ত ছাপতে পারেন।

১। প্রচ্ছদ।

নিজে আঁকতে পারেন, বা কোনো নামিদামি শিল্পীকে দিয়ে আঁকাতে পারেন। শৌখিন কোনো বন্ধুকে দিয়েও এ-কাজটি করানো যেতে পারে। যে কোনো লেখকের প্রথম পছন্দ বর্তমানে ধ্রুব এষ, সচরাচর হুমায়ূন আহমেদের বইয়ের প্রচ্ছদশিল্পী তিনি। তসলিমা নাসরিনের ক-এর প্রচ্ছদ এঁকেছেন কাইয়ুম চৌধুরী। বিখ্যাত শিল্পীরা দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন, এমনকি এর চেয়েও বেশি। কম খরচে করতে চাইলে শিক্ষা-নবিশদের খোঁজ করুন, যাঁরা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় টুকিটাকি কাজ করছেন। তাঁদের প্রচ্ছদ দেখে আপনি সন্তুষ্ট হলে তাঁদেরকেও সন্তুষ্ট করে দিন। কারো সন্ধান না পেলে আপনার প্রকাশককে বলুন, তিনি মুহূর্তের মধ্যে অনেক রেডিমেড প্রচ্ছদ কিংবা পরিচিত শিল্পীর খোঁজ দিতে পারবেন। প্রচ্ছদ হওয়ার পর এটি প্রকাশকের নিকট হস্তান্তর করুন। পজিটিভ বের করার জন্য এটিকে এবার কম্পিউটারে নিতে হবে। দশ ফর্মা সাইজের তিনশত কপি প্রচ্ছদের কম্পিউটার গ্রাফিক্স সহ তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ পড়বে। এই খরচ কিন্তু প্রচ্ছদশিল্পীর পারিশ্রমিকের অতিরিক্ত, যা গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে দিতে হয়।


২। কম্পোজ বা টাইপ করা।

আপনার পুরো পাণ্ডুলিপি প্রকাশকের কাছে দেয়ার পর মনোনীত হলে তিনি ওটা কম্পোজ করতে দিয়ে দিবেন। ১৬ পৃষ্ঠা বা প্রচলিত কথায় ৮ পাতায় এক ফর্মা। প্রতি ফর্মা টাইপিং সহ ট্রেসিং বের করতে বর্তমান বাজারদর গড়ে তিনশত টাকা; প্রুফ চেকিং হবে দু বার। আপনি নিজে টাইপ করতে পারলে এ খরচটি বেঁচে যাবে। সেক্ষেত্রে বই ছাপবার জন্য আপনাকে পেইজ সেট-আপ করে নিতে হবে।

পেইজ সেট-আপ। পৃষ্ঠার/কাগজের যে অংশটুকুতে লেখা থাকে, তাকে ‘ম্যাটার’ বলা হয়। একেক প্রকাশনিতে ম্যাটারের একেক রকম সাইজ অনুসরণ করা হয়, যেমন ৩.৭৫ ইঞ্চি বাই ৬.৭৫ ইঞ্চি, ৪ ইঞ্চি বাই ৭ ইঞ্চি, ৪ ইঞ্চি বাই ৭.২৫ ইঞ্চি, ৪.২৫ ইঞ্চি বাই ৭ ইঞ্চি, ৪.২৫ ইঞ্চি বাই ৭.২৫ ইঞ্চি। প্রকাশকের সাথে আলোচনা করে আপনি যে-কোনো মাপের ম্যাটারই নির্বাচন করতে পারেন।

ফাইল মেনুতে যান> পেইজ সেট-আপ> পেপার সাইজ> ১১ বাই ৮.৫ (Letter) সিলেক্ট করুন।

ওরিয়েন্টেশন দিন ‘ল্যান্ডস্কেপ’।

এক জায়গায় লেখা দেখুন : Multiple Pages. এর ডানের বক্স থেকে 2 pages per sheet সিলেক্ট করুন।

মার্জিনে যান। ৩.৭৫ ইঞ্চি বাই ৬.৭৫ ইঞ্চি মাপের জন্য টপ .৮৫ এবং বটম .৯। আউট সাইড .৮৮ এবং ইনসাইড .৮৭। গাটার ০। ব্যস, পেইজ সেট-আপ হয়ে গেলো।



৪ ইঞ্চি বাই ৭ ইঞ্চি মাপের জন্য টপ .৭৫ এবং বটম .৭৫। আউটসাইড .৭৫ এবং ইনসাইড .৭৫। গাটার ০।

৪ ইঞ্চি বাই ৭.২৫ ইঞ্চি মাপের জন্য টপ .৬৩ এবং বটম .৬২। আউটসাইড .৭৫ এবং ইনসাইড .৭৫। গাটার ০।

৪.২৫ ইঞ্চি বাই ৭.২৫ ইঞ্চি মাপের জন্য টপ .৬৩ এবং বটম .৬২। আউটসাইড .৬৩ এবং ইনসাইড .৬২। গাটার ০।

৪.২৫ ইঞ্চি বাই ৭ ইঞ্চি মাপের জন্য টপ .৭৫ এবং বটম .৭৫। আউটসাইড .৬৩ এবং ইনসাইড .৬২। গাটার ০।

এভাবে সেটিং সম্পন্ন করার পর যা হলো তাতে বইয়ের পাতার মাপ হবে উচ্চতা ৮.৫ ইঞ্চি এবং প্রস্থ প্রায় ৫.৫ ইঞ্চি। কিন্তু যে-অংশটুকুতে লেখা উঠবে (একে ম্যাটারিয়াল বা ম্যাটার বলে) তার মাপ হবে ৩.৭৫ ইঞ্চি বাই ৬.৭৫ ইঞ্চি বা ৪ ইঞ্চি বাই ৭ ইঞ্চি বা ৪ ইঞ্চি বাই ৭.২৫ ইঞ্চি বা ৪.২৫ ইঞ্চি বাই ৭ ইঞ্চি বা ৪.২৫ ইঞ্চি বাই ৭.২৫ ইঞ্চি।

এরপর টাইপের জন্য ফন্ট নির্বাচন। সব ফন্টেই সুন্দর ছাপা ওঠে না। বর্তমানে বেশিরভাগ টাইপিস্ট সুটুন্নি এমজে-তে টাইপ করেন। যেসব পিসি থেকে ট্রেসিং বের করা হয়, ওগুলোতে সুনন্নি এমজে-তেই কোনোরূপ ঝামেলা ছাড়া কাজ করা যায়। আদর্শলিপি এক্সপ্যান্ডেড (স্কেল ৭৫ পার্সেন্ট)-এও ভালো ছাপা হয়। আপনি নিজে টাইপ করে ট্রেসিং বের করার জন্য বাংলাবাজারে আসুন, আপনার প্রকাশকের মাধ্যমে ট্রেসিং বের করুন। নিজেও করতে পারেন। অথবা, যারা ছাপার কাজ করে তাদের কাছে যান, তারা তাদের প্রিন্টার থেকে ট্রেসিং বের করে দিতে পারবে। ভালো ট্রেসিং পেপারে এক ফর্মা প্রিন্ট করতে ৮০ থেকে ১২০ টাকা লাগবে। মনে রাখবেন, এটি হতে হবে মিরর প্রিন্ট।



৩। পেস্টিং, প্লেট ও মেকিং।

প্রতি ফর্মা পেস্টিং বাবদ ৩০ থেকে ৬০ টাকা। শুরুতেই প্রকাশকের সাথে চুক্তি করতে হবে আপনি কী ধরনের প্লেট ব্যবহা করবেন। মোটামুটি মানের নতুন (পিএস) প্লেটের দাম মেকিং সহ ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা। ডিপিএস (একবার ব্যবহৃত) প্লেটের দাম এর অর্ধেক। তবে আপনি পিএস নাকি ডিপিএস প্লেটে বই ছাপবেন তা আগেই প্রকাশকের সাথে কথা বলে ঠিক করে নিন। পিএস প্লেটে ছাপা হয় খুব পরিষ্কার ও কোনোরূপ দাগ বা কালো ফোটামুক্ত; ডিপিএস প্লেটে কালো কালো ছোটো বিন্দু পড়ে কাগজের উপর, এতে ছাপা ঝকঝকে দেখায় না। অনকে দামি প্লেটও আছে। ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের প্রকাশক জয়নাল আবেদীন জুয়েল সাহেবের কাছে ২০ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে তাঁর প্রকাশনীতে পেস্টিং বাবদ ফর্মা প্রতি ৫০ টাকা এবং প্লেট ফর্মা প্রতি ২৭০ টাকা হিসাবে নেয়া হয়।


৪। কাগজ।

ধরুন বইটি পাঁচ ফর্মা সাইজের। এক রিমে ১০০০ তা (ডাবল ডিম ৫০০ তা-য় এক রিম, যা সিংগেল ডিম-এ ১০০০ তা হয়)। ১০০০ তা-কে ৫ ফর্মা দিয়ে ভাগ করুন। ভাগফল ২০০। অর্থাৎ, ১ রিম কাগজে ৫ ফর্মা সাইজের ২০০ কপি বই হয়। ৫৫, ৬০/৬১, ৬৫, ৭০, ৮০, ১২০ গ্রাম, ইত্যাদি ওজনের কাগজ পাওয়া যায় বই ছাপবার জন্য। তবে বেশিরভাগ বই ছাপা হয় ৭০ গ্রাম ওজনের কাগজে, এরপর ৮০ গ্রাম। ১২০ গ্রাম ওজনের কাগজের বই খুব কম দেখা যায়। ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের প্রকাশক জয়নাল আবেদীন জুয়েল সাহেবের কাছে ২০ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে বর্তমানে ভালো মানের ৮০ গ্রাম ওজনের কাগজ ২৬০০ টাকার ওপরে; ৭০ গ্রাম ওজনের কাগজ ২১০০-২৫০০ টাকা রিম। আপনার বই ছাপতে যে পরিমাণ কাগজ লাগবে, তার চেয়ে প্রতি পাঁচ রিমের জন্য অতিরিক্ত হাফ থেকে এক রিম কাগজ বেশি কিনতে হবে; কারণ, ছাপাখানায় প্রচুর কাগজ নষ্ট হয়ে যায়।


৫। ছাপা।

প্রতি ফর্মা ছাপাখরচ ২০০-৪০০ টাকা, একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক বই পর্যন্ত। তারপর বাড়বে। ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের প্রকাশক জয়নাল আবেদীন জুয়েল সাহেবের কাছে ২০ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে তাঁর প্রকাশনীতে বর্তমানে ২৫০ টাকা হারে ছাপাখরচ নেয়া হয়ে থাকে।


৬। বাঁধাই।

ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের প্রকাশক জয়নাল আবেদীন জুয়েল সাহেবের কাছে ২০ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে তাঁর প্রকাশনীতে ৫ ফর্মা সাইজের জন্য ১১-১২ টাকা এবং ১০ ফর্মা সাইজের জন্য ১৩-১৪ টাকা দরে প্রতিটি বই বাঁধাই করা হয়ে থাকে। উৎকৃষ্ট বাঁধাইয়ের জন্য বই-প্রতি ১৫ টাকার উপরে খরচ পড়ে। সাধারণ মানের ছোট বইয়ের ক্ষেত্রে পাঁচ-সাত টাকায় হয়ে যায়। তবে সবকিছুই আপনাকে আগেভাগে ঠিক করে নিতে হবে।


৭। বই বাজারজাত করণ।

আপনি নতুন লেখক হয়ে থাকলে আমার পরামর্শ হলো সমস্ত বই আপনি আপনার নিজের কাছে নিয়ে যান। হ্যাঁ, শুরুতেই আপনি চুক্তি করুন, সমস্ত বই আপনাকে একদিনেই সরবরাহ করতে হবে। মনে রাখবেন, নবীন লেখক কখনো বই বিক্রির টাকা নিজের পকেটে নিতে পারেন না। পনর হাজার টাকায় বই ছাপলে আপনাকে ধরে নিতে হবে সতর হাজার টাকাই আপনি জলে ফেলে দিচ্ছেন:) অতিরিক্ত দুই হাজার হলো আকিকা ও আনুষঙ্গিক খরচ; একজনকে বই হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলতে হবে আমার এই বইটি পড়ে শেষ করতে পারলে তোমাকে একশ, দুইশ, হাজার টাকা পুরস্কার দিব, তবেই না কেউ আপনার বই পড়বে। অবশ্যই ব্যতিক্রম আছে, তা হতে পারে আপনার ক্ষেত্রেও। এবার বইগুলো নিজের কাছে নেয়ার পর, বন্ধুদের মাঝে বিনা মূল্যে বা ন্যায্য মূল্যে কিংবা চড়াদামে বিক্রি করুন (যেহেতু আপনি এতো কষ্ট করে লিখেছেন)। পত্রপত্রিকার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষদের সাথে বন্ধুত্ব করুন। সৌজন্য সংখ্যা পাঠান। দশজনকে দশটা বই পাঠালে হয়তো তিনচার জনে প্রতিক্রিয়া জানাবে। তিনজন খুব প্রশংসা করে চিঠি লিখবে। সেই প্রশংসায় অনুপ্রাণিত হয়ে হয়তো আরেকটা বই সত্বর লিখে ফেলবেন, এমন সময় দেখবেন যার একটুখানি প্রশংসার জন্য আপনি অধীর আগ্রহে দিন গুনছিলেন, তাঁর একটা চিঠি পেলেন- এটা কোনো বই-ই হয় নি, এতো বিরক্তিকর। যে কোনো লেখকের জন্য এই ধাক্কাটা হলো দুঃসহনীয়। এটা কাটিয়ে ওঠাই হলো বুদ্ধিমানের কাজ। অনেকেই এই এতোটুকু আঘাতে ভর্তা হয়ে যান, আর কোনো লেখাই লিখতে পারেন না। এটা আপনার জন্য সতর্ক বাণী- আপনার লেখা সবাই খাবেন না; যাঁরা খান না তাঁদের খাওয়ানোর জন্য জোর করবেন না; যাঁরা খাচ্ছেন ভেবে নিন তাঁরাই আপনার প্রকৃত বন্ধু; তাঁরা আপনার লেখার মান সম্বন্ধে সম্যক অবহিত আছেন, তারপরও আপনাকে উৎসাহিত করবার জন্য অতোটুকু প্রশংসা করে থাকেন। তাঁদেরকে শ্রদ্ধা করুন। লিখুন। লিখুন। লিখুন।


সারাংশ

সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ, প্রকাশক মহোদয়কে সবিনয়ে অনুরোধ করুন আপনার ৩০০ বই আপনাকে একদিনেই সরবরাহ করবার জন্য। ঢাকায় একুশে বইমেলায় লেখকদের বই কিন্তু নিজস্ব প্রকাশক ছাড়া অন্য প্রকাশকের স্টলে রাখা নিষিদ্ধ। বইমেলার বাইরে বাজারের স্টলগুলোতে আপনি বই নিয়ে তাঁদের কাছে অফার করে আশাহত হবেন- তাঁরা নিতে চাইবেন না, বলবেন- জায়গা নেই। আপনার সমস্ত বইয়ের খরচ বাবদ পুরো টাকা একবারই প্রকাশকের হাতে দিয়ে দিতে হবে, বই ছাপাবার আগে। টানাটানি থাকলে এ টাকা ধাপে ধাপে দিতে পারেন; প্রকাশককে এ ব্যাপারে অনুরোধ করতে পারেন। সাধারণত সবগুলো বই একবার ছাপা হলেও সবগুলো একসাথে বাঁধাই করা হয় না। বই ধীরে ধীরে বিক্রি হয়, আর নতুন করে বাঁধাই করা হয়। আর এতোসব চুক্তি সম্ভব হবে তখনই যখন আপনি কোনো ছোটোখাট প্রকাশকের সাথে এ কাজ করবেন। বড় বড় প্রকাশকগণের সাথে এহেন হাঙ্গামা করতে পারবেন না। আপনার পাণ্ডুলিপি ভালো হলে বড় প্রকাশকগণ বই ছাপতে রাজি হবেন সম্পূর্ণ বিনা পয়সায়; শুধু একটাই শর্ত হয়তো তাঁরা দেবেন যে প্রকাশিতব্য বইটির ৮০% বই আপনাকে কিনে নিতে হবে:):)

যাঁরা ইউনিকোডে টাইপ করবেন তাঁদের জন্য কিছু টিপস

ইউনিকোডে টাইপ করলে 'রেফ' আগের বর্ণের উপরে দেখা যায়; এ ছাড়াও আরও কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। 'রেফ'-এর সমস্যা দেখা দিলে নিচের পদ্ধতিতে এগোন:

১) সবার আগে এখান থেকে এ ফাইলটি ডাউনলোড করুন। এটি usp10.dll এ্যাপ্লিকেশন ফাইল।

২) Go to C: Drive of your PC. Then follow the chain> Program Files> Common Files> OFFICE11. উপরের ডাউনলোড করা usp10.dll ফাইলটি এখানে কপি করুন। প্রয়োজনে আগের usp10.dll ফাইলটি কপি করে ব্যাকআপ হিসাবে অন্য জায়গায় রেখে দিতে পারেন।

এবার উপরের নিয়ম অনুযায়ী আপনার পেইজ সেট-আপ করুন। Solaimanlipi আমার কাছে সবচেয়ে ভালো মনে হয়। সবুজ অঙ্গনের ১৮শ সংখ্যা Solaimanlipi ফন্টে লিখা হয়েছিল।

সমস্যা এখানেই শেষ নয়। আপনার পিসিতে এটা সেট করার পর প্রকাশকের পিসিতে পুরোটা পালটে যেতে পারে। সেজন্য পিডিএফ করে পাঠানোই বুদ্ধিমানের কাজ। অনেক সময় পিডিএফ থেকে 'মিরর' প্রিন্ট করা কষ্টসাধ্য হতে পারে, সেক্ষেত্রে PDF Maker সফটওয়্যার দিয়ে 'মিরর ভিউ' পিডিএফ করে পাঠিয়ে দিন প্রকাশকের কাছে; সাধারণ ডকুমেন্টের মতোই তখন এটা প্রিন্ট করা যাবে।

পুরোনো অপারেটিং সিস্টেমে এসব সমস্যা দেখা দেবে; এক্সপি ২০০৭ বা তদপরবর্তী অপারেটিং সিস্টেমে কোনো সমস্যা হয় না।

বই ছাপতে খরচের খতিয়ান, এবং আমার বইয়ের বিজ্ঞাপন:):):)

সবগুলো হিসাব সম্পূর্ণ মনে নেই। তবে কাছাকাছি হিসাবগুলো নিম্নরূপ:

২০০৩ সনে আমির প্রকাশন থেকে ৯ ফর্মা সাইজের আমার স্খলন উপন্যাসের ৫০০ কপি ছাপতে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।

২০০৪ সনে আমির প্রকাশন থেকে ১০ ফর্মা সাইজের আমার অন্তরবাসিনী উপন্যাসের ৩০০ কপি ছাপতে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।

২০০৪ সনে আমির প্রকাশন থেকে ৮ ফর্মা সাইজের আমার একটা ছোটগল্প সংকলন সুগন্ধি রুমাল-এর ৩০০ কপি ছাপতে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।

২০০৪ সনে আমির প্রকাশন থেকে ৬ ফর্মা সাইজের আমার খ্যাতির লাগিয়া উপন্যাসের ৩০০ কপি ছাপতে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।

২০০৫ সনে ১৬ ফর্মার ৩০০ কপি সবুজ অঙ্গন সাহিত্য সংকলন, কবিতা ও ছোটগল্পের ২০টি অণুগ্রন্থ একত্রে ছাপতে আমার ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।

২০০৫ সনে ৬ ফর্মা সাইজের আমার কবিতার বই অন্বেষা-এর ৩০০ কপি ছাপতে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।

২০০৬ সনে ১৪ ফর্মার ৩০০ কপি সবুজ অঙ্গন অণু-উপন্যাস সংকলন, ১২ জন নবীন লেখকের ১২টি অণুগ্রন্থ একত্রে ছাপতে আমার ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।

২০০৬ সনে ১০ ফর্মা সাইজের আমার আই-ফ্রেন্ড উপন্যাস-এর ৩০০ কপি ছাপতে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।

২০০৭ সনে ৮ ফর্মা সাইজের আমার কবিতার বই নিঃসঙ্গ সময়ের সুখপাখি-এর ৩০০ কপি ছাপতে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।

২০০৯ সনে ৫ ফর্মার ২০০ কপি সবুজ অঙ্গন আন্তর্জালিক কবিতাগুচ্ছ ছাপতে আমার ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।

২০১০ সনে ৭ ফর্মার ২০০ কপি সবুজ অঙ্গন ব্লগীয় কবিতাসংকলন ছাপতে ৩০ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়েছিল।

২০১০ সনে পালকি প্রকাশন থেকে ৬ ফর্মা সাইজের সবুজ অঙ্গন ১৫শ সংখ্যার ২০০ কপি ছাপতে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়।

২০১১ সনে পালকি প্রকাশন থেকে সবুজ অঙ্গন ১৬শ সংখ্যার ২০০ কপি ছাপতে ২০০০০ টাকা খরচ হয়। কভার পেইজ আমি করেছিলাম, কাজেই ঐ খরচটা ধরা হয় নি।

২০১২ সনের একুশে বইমেলায় পালকি প্রকাশন থেকে ৬ ফর্মা সাইজের সবুজ অঙ্গন ১৭শ সংখ্যার ২০০ কপি ছাপতে ২০০০০ টাকা খরচ হয়।

২০১৩ সনের একুশে বইমেলায় পালকি প্রকাশন থেকে ৯ ফর্মা সাইজের সবুজ অঙ্গন ১৮শ সংখ্যার ২০০ কপি ছাপতে ২৫০০০ টাকা খরচ হয়।

২০১৫ সনের একুশে বইমেলায় ৬ ফর্মা সাইজের অসম্পর্কের ঋণ ৩০০ কপি ছাপাতে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল।

২০১৬ সালের একুশে বইমেলায় ছোটোগল্পের সংকলন কালের চিহ্ন ১০ ফর্মা সাইজের ৩০০ কপি ছাপতে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়।

উপরে খরচের যে খতিয়ান দেয়া হয়েছে তা ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রযোজ্য। বর্তমান মূল্য তা থেকে অনেক বেশি হবে। সাধারণভাবে ২০১৫ সনে ৩০০ কপি বই ছাপানোর জন্য প্রতি ফর্মা ৬ হাজার টাকা খরচ ধরা হয়। ২০১৬ সনেও মোটামুটি খরচের হিসাব এরকমই ছিল।

বোনাস- আমার ই-বুক

ই-বুক আজগুবি ছড়া, ২৬ মার্চ ২০১৮

ই-বুক ক্ষণজন্মা অপাঙ্‌ক্তেয়রা, কবিতা, ০১ এপ্রিল ২০১৮

ই-বুক সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, কবিতা, ০১ এপ্রিল ২০১৮

ই-বুক অয়োময় সুপুরুষ, কবিতা, ০১ এপ্রিল ২০১৮

'ই-বুক সোনালি', কবিতা, ০৩ এপ্রিল ২০১৮ (সাদাকালো গ্রাফিক্স)

ই-বুক 'সোনালি', কবিতা, ০২ এপ্রিল ২০১৮ (রঙিন গ্রাফিক্স)

ই-বুক 'লৌকিক রহস্য; অথবা অলৌকিক', উপন্যাস, ০৩ এপ্রিল ২০১৮

ই-বুক 'তারকাজরিপ ব্লগীয় রঙ্গ', রম্যরচনা, ই-বুক 'তারকাজরিপ ব্লগীয় রঙ্গ', রম্যরচনা, ০৫ এপ্রিল ২০১৮

সুচিত্রা সেন, রম্যকবিতা, ০৬ এপ্রিল ২০১৮


এবার একটা বিজ্ঞাপন দেখুন বা গান শুনুন :)



দ্বিতীয় অধ্যায়

প্রথম অধ্যায় পড়ে অনেকেই হয়তো বই প্রকাশ করার একটা সাহস পেয়ে গেছেন। কিন্তু তারপরও ভাবছেন কীভাবে প্রকাশকের কাছে কথাটা তুলবেন, কিছুটা লজ্জা, 'পাছে লোকে কিছু বলে' ভাব, ইত্যাদি।
হাতে গোনা দু-একটা প্রকাশনী ছাড়া সবাই আপনার বই প্রকাশ করার জন্য সম্মত হবেন, এটা মনে রাখবেন। আপনার শুধু প্রয়োজন তাঁদের সাথে একটা সমঝোতা করে নেয়া। এরপর দেখবেন, আপনার প্রকাশকই আপনার সবচেয়ে বড় ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে গড়ে উঠেছেন।

কোন্‌ প্রকাশকের কাছে যাবেন?

প্রতিটা বইয়ের ৪ অথবা ৬ কিংবা ৮ নং পৃষ্ঠায় প্রকাশনীর ঠিকানা ও ফোন নম্বর দেয়া থাকে। আপনার পছন্দমতো প্রকাশকের কাছে গিয়ে বলুন আপনি একটা গল্প বা কবিতা বা উপন্যাস বা প্রবন্ধ সংকলন বের করতে চান- ৩০০ কপি। আগেই বলে নিন যে লেখার সফট কপি আপনিই তৈরি করে দেবেন। তারপর প্রকাশকই আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

আপনি নিজেও একজন কবি বা লেখকের স্পন্সর হতে পারেন।

অনেকেই লেখেন না, কিন্তু মনে খুব সাধ বা শখ পোষেন বই ছাপবার। আপনি আপনার পছন্দের দু-একজন লেখক বেছে নিন, যাঁদের বই ছাপবার খরচ আপনি নিজে বহন করবেন। আপনার এই পবিত্র চেষ্টায় একজন নিভন্ত অথচ সম্ভাবনাময় লেখক সেরা লেখক রূপে গড়ে উঠতে পারেন। মনে রাখুন, নবীন লেখকদের বই সচরাচর বিনে পয়সায় কেউ ছাপেন না। প্রতিভাধর অনেক ভালো লেখকের নিজের টাকায় বই বের করার সামর্থ থাকে না। আপনার কারণে তাঁরা লেখক হিসেবে পরিচিত লাভ করার সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন।


সবুজ অঙ্গন কোনো প্রকাশনী নয়

অনেকেই সবুজ অঙ্গন থেকে বই প্রকাশ করা যায় কিনা জানতে চান, এবং সবুজ অঙ্গন থেকে বই প্রকাশ করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেন। তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, সবুজ অঙ্গন কোনো প্রকাশনী সংস্থা নয়। সবুজ অঙ্গন একটি সাহিত্যপত্রিকা, যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশ করা হয়েছে, যেমন- পালকি প্রকাশনী, আমির প্রকাশন, যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

খুব সংক্ষিপ্তভাবে লেখা হলো। তারপরও কিছু যদি কেউ জানতে চান, লিখুন নিচে।


সবাই ভালো থাকুন।


হ্যাপি ব্লগি।


***

প্রয়োজনীয় লিংক

মূল পোস্টে পাঠকের প্রশ্ন-জিজ্ঞাসার মাধ্যমে অনেক টেকনিক্যাল বিষয়াদির সমাধান দেয়া হয়েছে। সেগুলো পড়ার জন্য নীচের লিংকে ক্লিক করুন।

নবীন লেখকলেখিকাদের জন্য :: কীভাবে বই বের করবেন

মন্তব্য ৮৯ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৮৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৯

ইউক্লিডের ব্লগ বলেছেন: প্রয়োজনীয় তথ্যে ঠাঁসা একটি পোস্ট।
ব্লগারকে ধন্যবাদ। 8-|

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ইউক্লিডের ব্লগ। শুভেচ্ছা।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
পেইজ সেট-আপ করতে কারো সমস্যা হলে আপনার এডিটেড সফট কপি আমার নীচের মেইলে পাঠাতে পারেন। আমি শুধু পেইজ-সেট-আপ করে দিতে পারবো, কিন্তু পুরো লেখা এডিট করে দেয়ার মতো আমার হাতে পর্যাপ্ত সময় নেই বলে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।



[email protected]
[email protected]

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
এই হেল্পটাও আপনাদের কারো কারো কাজে লাগতে পারে বলে এখানে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি।

আমি আমার ঘরে বসেই সমস্ত কাজ শেষ করে পুরো কপিটা পিডিএফ করে প্রকাশকের কাছে ইমেইলে পাঠিয়ে দিয়ে থাকি। পিডিএফ না-করা কপি অন্য পিসিতে ওপেন করলে অনেক সময় পেইস সেটাপ বদলে যায়, অক্ষর ভেঙে যায়, ইত্যাদি নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এটা এড়ানোর জন্যই আমি পিডিএফ করে থাকি।

কিন্তু পিডিএফ কপির ট্রেসিঙে নাকি মিরর প্রিন্ট হয় না। এজন্য আপনার পিডিএফ কপিটাকে মিরর হিসাবে পিডিএফ করুন। এটা আপনার দ্বারা করা সম্ভব না হলে আমাকে পাঠান, উপরের মেইলে।

পিডিএফ ক্রিয়েটর নামক একটা সফটোয়্যার আমি ইউজ করি। ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অফিশিয়ালি আমাদের সবখানে ইউনিকোডেড ফন্ট ব্যবহার করার কথা। কিন্তু আমাদের সবগুলো প্রকাশনীতে এখনও ইউনিকোড ইউজার ফ্রেন্ডলি হয় নি। অন্যদিকে, আপনার সবগুলো লেখাই ব্লগ বা ফেইসবুকে প্রকাশ করেছেন যা ইউনিকোডে লেখা। যদি এর মূল লেখাগুলো নরমাল বাংলা ফন্টে হয়ে থাকে, তবে সমস্যা নেই। কিন্তু আপনার সব লেখাই যদি ইউনিকোডে হয়ে থাকে, তাহলে এগুলোকে দয়া করে কষ্ট করে নরমাল বাংলায় করতে যাবেন না। এ ব্যাপারে পোস্টের নীচের দিকে যা বলা হয়েছে সেটা অনুসরণ করুন।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পিডিএফ ক্রিয়েটর ডাউনলোড করুনঃ Click This Link

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:




কাজের পোষ্ট। লেখক হওয়ার সাধ্যি নাই কারো উপকারে লাগতে পারে তাই প্রিয়তে নিলাম।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আমিনুর রহমান ভাই। ভালো থাকবেন।

৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

মাহবু১৫৪ বলেছেন: চরম এবং তথ্যে ভরপুর পোস্ট।

++++

ভাল লাগা এবং প্রিয়তে গেল সরাসরি

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহবুব ভাই। শুভেচ্ছা।

৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: কাজের পোস্ট -- সরাসরি প্রিয়তে পাঠিয়ে দিলাম ---

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।

৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১১

আবু শাকিল বলেছেন: লেখক হওয়া আমার জন্য আকাশকুসুম কল্পনা।ইচ্ছাও নাই।

পোস্ট অনেক কাজে লাগবে।বই প্রকাশের ব্যাপারে কেউ সাহায্যে চাইলে দিতে পারব।

:)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একজন লেখক কীভাবে লেখক হয়ে গেলেন, এটা তিনি নিজেও টের পান না। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা থাকলো আবু শাকিল ভাই।

৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ৩য় ভালোলাগা + ও প্রিয়তে ।

আমাদের মতো নবীন লেখকদের জন্য খুব কাজের পোস্ট হবে ভ্রাতা ।

অনেক শুভকামনা রইল ।।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ রায়হান ভাই। ভালো থাকবেন।

৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩

নির্বোধ পাঠক বলেছেন: ভাল পোস্ট, নবীন লেখকদের উপকারে আসবে।
লেখককে ধন্যবাদ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠক। শুভেচ্ছা।

৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২২

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: একটি প্রয়োজনীয় পোস্ট।

ধন্যবাদ।

আমীর প্রকাশনীর কনক ভাই একদিন আমাকে আটকে রেখেছিলেন- নবীন লেখকদের হয়রানি নিয়ে একটা ফিচার করেছিলাম ইত্তেফাকে অনেক বছর আগে। :)

এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন আমার উপর।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কনক ভাই কাজটা ভালো করেন নি। আমাদের সত্য গ্রহণের ক্ষমতা খুব কম।

আপনার জন্য শুভ কামনা থাকলো।

৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

আহসানের ব্লগ বলেছেন: +

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আহসান ভাই। ভালো থাকবেন।

১০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

শিস্‌তালি বলেছেন: dhonnobad

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ শিস্‌তালি। শুভেচ্ছা।

১১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩২

মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো পোস্ট । লেখকদের জন্য উপকারী ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই। ভালো থাকবেন।

১২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৬

ডি মুন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট++

প্রিয়তে নিলাম :)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ ডি মুন।

১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভ্রাতা, উইন্ডোজ ৭ এ পেইজ সেটিংস এ কিছু সমস্যা হচ্ছে। মানে আপনার ধারার সাথে মেলাতে পারছি না। তবে সব কিছুই পেরেছি, একটু সমস্যা আছে যেখানে বলছি।

এবার টেক্সটে আসুন। তারপর চলুন ফরম্যাট মেনুতে। যান কলামে। নাম্বার অফ কলাম সিলেক্ট করুন ২ (দুই)। উইড্‌থ এন্ড স্পেসিং-এ যান। উইড্‌থ হবে ৪.০০ এবং স্পেসিং হবে ১.৬। টেক্সট সাইজ করো নিতে হবে ?
ফরম্যাট ম্যানু পাচ্ছি না। কলাম দুইটা কেন নিব?সাধারন বইয়ের পাতা তো এক কলামেই লেখা হয়, তাই না? স্পেসিং পেয়েছি, কিন্তু উইড্‌থ পেচ্ছি না।


ভালো থাকবেন সবসময় :)

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অফিস ২০০৭ বা ২০১০-এ পেইজ লে-আউটে যান। নীচে দেখুন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দুইটা কলাম নেয়ার কারণ হলো, একটা কলাম আপনার এক পেইজ হবে। অর্থাৎ, ১ পাতার ২ কলামে আপনার ২টা পৃষ্ঠা হবে। একটা পাতার সাইজ হলো সাড়ে ৮ বা ১১ ইঞ্চি। ২টা কলাম করা হলে একেক কলামের সাইজ হবে সাড়ে ৮ বাই সাড়ে ৫ ইঞ্চি। মার্জিন বাদ দেয়ার পর একটা পৃষ্ঠার সাইজ থাকবে ৭ বাই ৪ ইঞ্চির মতো। মোটামুটি এরকমই থাকে ১টা বইয়ের প্রতিটি পাতার মেটারের সাইজ (যাতে লেখা টাইপ থাকে)।

পেইজ লে-আউটে যান। কলাম>মোর কলামস। এরপর বাকিটা যেভাবে বর্ণনা করেছি সেভাবে পাবেন। পেইজ লে-আউটে পাবেন মার্জিন, পেপার সাইজ, সহ অনেক ফিচার। একটি স্টাডি করলেই সবকিছু পানির মত পরিষ্কার হয়ে যাবে ;)

১৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৫

আলম দীপ্র বলেছেন: চমৎকার পোস্ট +++++++++++++ প্রিয়তে নিয়ে গেলাম :)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আলম দীপ্র। ভালো থাকবেন।

১৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ও! বুঝেছি ভ্রাতা। অজস্র ধন্যবাদ। এমনই এম এস এ লিখি, কখনো এভাবে কসরত করার প্রয়োজন হয় নি বলে ধারনা কম।

আপনি তাহলে একদম ফর্মা মেইন্টেইন করে লেখা তোলার কথা বলেছেন সম্ভবত। তাই না? আমি ভেবেছিলাম পেইজ বাই পেইজ এমনই লেখার কথা বলেছেন। ফর্মা ও পাতা মেইনটেইন করে একদম বইয়ের মতো করেই কি প্রকাশককে দেওয়া উত্তম নাকি সাধারণ পেইজ বাই পেইজ দেওয়া ভালো?

আর একটা সাজেশন প্রয়োজন, ফন্ট সাইজ এক্ষেত্রে কতো নিবো? ৮/১০/১২? এবং আমি সিয়াম রুপালী তে লিখি, এটা কি বইয়ের পাতায় সুন্দর দেখাবে? আর আপনি যে সুটুনি এম জে'র কথা বললেন, ওটা কি আপনার কাছে আছে? বা কিভাবে সেটআপ করে নিতে হয় বা ডাউনলোড সম্পর্কে যদি বলতেন!

আবারও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা :)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
প্রকাশকের কাছে আপনি সবকিছু কমপ্লিট করেই দিবেন। অন্যথায় প্রকাশক পুরো জিনিসটা আবার টাইপ করাবেন, ফলে আপনার খরচ দেড়গুণ বেড়ে যাবে। কারণ, আপনি একবার টাইপ করছেন টাকা খরচ করে। এটা আর কাজে লাগবে না। তবে প্রকাশক আপনার টাইপ করা কপি কাজে লাগাতে পারলে আর খরচ বাড়বে না। এটা প্রকাশকের সাথে কথা বলে নিতে হবে।

ফন্ট সাইজ সুটুনি এমজে‘র ক্ষেত্রে ১২, আর সোলায়মানলিপির ক্ষেত্রেও ১২ দিতে পারেন (আমি ১২ দিচ্ছি), তবে ফন্টসাইজ ছোটো মনে হলে এটাকে সাড়ে ১২ করতে পারেন।

প্রিন্টেড ম্যাটারের জন্য সুটুনিএমজেতেই প্রায় সব টাইপিঙের কাজ হয়ে থাকে। ইউনিকোডে এর কাছাকাছি ফন্ট হলো সোলায়মানলিপি। সিয়াম রুপালির টেক্সট হয়তো দু একটা হেডিং লেখার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু বইয়ের পুরো টেক্সট না।

সুটুনিএমজে হলো ফন্টের জগতে সবচেয়ে শহজলভ্য ফন্ট। SutonnyMJ আপনার পিসিতেও আছে। ফন্টে খুঁজে দেখুন।

ভালো থাকবেন।

১৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৮

কলমের কালি শেষ বলেছেন: জানি বই বের করার মত লেখক কখনো হয়ে উঠা হবে না তবুও আলমিরায় রেখে দিলাম । যদি কেউ বই বের করতে চায় তাকে পোষ্টটি দেখাতে পারবো । B-) B-)

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা থাকলো কবি কলমের কালি।

১৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৪

নীলসাধু বলেছেন: ভাইরে মাথা নষ্ট পোষ্ট দিসেন।
প্রিয়তে নিলাম।

আমার জন্য খুবই কাজের
আশা করি অনেকেরই কাজে দেবে।

ধন্যবাদ এবং ভালোবাসা জানবেন

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সাধুভাই। ভালো থাকবেন।

১৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫২

সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: দরকারী পোস্ট।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকুন।

১৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা।


খুব উপকার হল।

ভালো থাকবেন সবসময়।।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কাজের অগ্রগতি কতখানি, ভ্রাতা?

২০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯

বৃতি বলেছেন: অনবদ্য পোস্ট। শো- কেসে সাজিয়ে রাখলাম ভাইয়া- সময় নিয়ে পড়ব। বেঁচে থাকলে সুদূর ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে।

এবং থ্যাঙ্কু।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অদূর ভবিষ্যতে এটি আপনার কাজে লাগবে, এই কামনা থাকলো আপু।

২১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

নেক্সাস বলেছেন: মূল প্রবন্ধটি নিচে 'ভূমিকা' থেকে শুরু হয়েছে। ভূমিকার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে নিই। একটা বই প্রকাশের আগে আপনাকে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে হবে। আপনি যদি ব্লগলেখক হয়ে থাকেন, ব্লগে প্রকাশিত নিজের লেখাগুলো কিছুদিন পর পর পড়ুন। দেখবেন, অনেক কিছুই আপনার বদলাতে ইচ্ছে করছে, অনেক শব্দ বা বাক্য আপনার মন:পুত হচ্ছে না, অনেক শব্দ বা বাক্য বাহুল্য মনে হচ্ছে।


দাদা আপনি পুরাই মানুষের মন বুঝেন।


পোষ্ট প্রিয়তে ২০২০ সালে বৈ বের কোরবো ভাবছি। অনেক কাজে আসবে.....

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ২০২০!

অনেক অনেক শুভ কামনা থাকলো আপনার জন্য। ধন্যবাদ নেক্সাস।

২২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

আরজু পনি বলেছেন:

আপনার এই শিরোনামের পোস্টটাই আমার প্রিয়র তারিকায় আছে আজকে খেয়াল করলাম ।

আমার "বই প্রকাশের আদ্যোপান্ত" তৈরীর সময় খেয়াল করলে লিঙকটি জুড়ে দিতাম...এখনতো আপনার পোস্টটিই আপডেটেড...

দারুন কাজের পোস্ট ।


আগামী প্রকাশনীর ওসমান গণি সাহেবের নাম্বারটি ঠিক আছে। দুই/তিন সপ্তাহ আগেই কথা হয়েছে উনার সাথে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। আপনার আর্টিকেলটা পড়েছি। খুব মূল্যবান তথ্য আছে তাতে। শুভেচ্ছা।

২৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

মুহিব বলেছেন: ২০১২ সাল থেকে এই পোস্টটা সেভ করে রেখেছি। ২০১৩ সালের বইমেলায় কাজে দিয়েছিল।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নিজেকে কৃতার্থ মনে করছি। আপনার বইয়ের জন্য অভিনন্দন। শুভেচ্ছা মুহিব ভাই।

২৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: দারুণ পোস্ট+++++++++++++

নবীন লেখক-লেখিকাদের জন্য গুরুত্বপূর্ন একটি পোস্ট। এতে নবীন লেখক-লেখিকার অনেক উপকৃত হবে আশা করি।

ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই অসাধারণ পোস্টের জন্য।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায়। এ পোস্টটির মূল পোস্ট আপনার কোনো এক পোস্টে স্পনসর করার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।

২৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২০

রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: বেশ ভালও পোস্ট । প্রিয়তে । এমন কিচু খুজচিলাম। ফনত সমসয়া :D

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাড় ফনত সমসয়া আশ করি কেতেছে আপউ।

ধন্যবআদ।

২৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২১

তুষার কাব্য বলেছেন: দারুন পোস্ট।সবার মতো আমিও প্রিয়তে নিয়ে গেলাম।ভবিষ্যতে যদি কোনদিন দুঃসাহস হয় সেও আশায়।

অনেক ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই।শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ তুষার কাব্য। ভালো থাকবেন।

২৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:০০

পথিক মুরাদ বলেছেন: যদিও এই মুহূর্তে বই বের করার মত সাহস বা সাধ্য কোনটাই নেই, কিন্তু লেখাটি পড়ে অনেক কিছু জানলাম, শিখলাম এবং বুঝলাম ।
ধন্যবাদ এমন পোস্টের জন্য।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ পথিক মুরাদ।

২৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভ্রাতা, আবার আসলাম।

সবই পেরেছি, কিন্তু ফর্মার মতো করে সাজাতে গেলেই সব উল্টাপাল্টা হয়ে যাচ্ছে :(

যেমন, সাধারনভাবে লেখা সাজানোর পরে প্রথম পাতার উপরের পিঠের ডান দিকের অংশ পৃষ্ঠা নাম্বার ১ ও বাম পাশের অংশটা পৃষ্ঠা নাম্বার ১৬। আবার ঐ পাতারই বিপরীত পার্শে বাম দিকের অংশ পৃষ্ঠা নাম্বার ২ ও ডান দিকের অংশ পৃষ্ঠা নাম্বার ১৫ হওয়ার কথা, ফর্মা অনুযায়ী!

সাধারণ ফরম্যাটে সাজানো লেখার থেকে কপি কাট করে এটা সাজাতে গেলেই গোলমাল লেগে যাচ্ছে। কোন কোন সময় ১৬ পাতার সে লেখা ১ নাম্বার পাতায় আনলে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। আমি আগের লেখা থেকে কপি পেস্ট করে সাজানর চেষ্টা করেছি। নতুন করে লিখে সাজানো তো আমার কাছে আরও দুরুহ লাগছে!

আর একটা প্রব্লেম, পৃষ্ঠা নাম্বার সংযোগ করার কি স্বয়ংক্রিয় অপশন আছে এম এস এ ? পৃষ্ঠা নাম্বার লিখে দিতে গেলেও ঝামেলা হচ্ছে!

অনেক শুভকামনা ভ্রাতা :)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক বেশি কষ্ট করে ফেলেছেন রায়হান ভাই। সমবেদনা ছাড়া আর কী প্রকাশ করা যায় ভাবছি ;)


আপনাকে ফর্মার মতো সাজাতে হবে না। আপনি নরমালভাবে সাজাবেন। পেস্টিং করার সময় ছাপাখানার লোকেরা প্রতিটা পৃষ্ঠা নির্দিষ্ট খাঁজে ফেলে ওটা করবে ;)

পৃষ্ঠা নাম্বার দেয়ার জন্য আমার একটা নিজস্ব পদ্ধতি আছে। আপনি এক কাজ করুন, আপনার ডকুমেন্টটা আমাকে মেইল করুন, আমি সাজিয়ে দিই পৃষ্ঠা নাম্বার। আর এটা যদি আপনি নাও করেন, নরমাল ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী টাইপ করুন, ছাপাখানা থেকে ওরা আলাদা পৃষ্ঠা নাম্বার টাইপ করে পেস্ট করে দিবে।

২৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা। আমি আবার এইসব কাজে সেই রকম পারদর্শী কি না! সমবেদনা আসলেই প্রয়োজন :) হাহাহাহা


আবার সমস্যা হলে আবার জ্বালাতে আসছি, প্রস্তুত থাকেন :)
ভালো থাকবেন অনেক অনেক।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি প্রস্তুত ;)

৩০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অন্তত কাজের পোস্ট ।নবীনদের জন্য আলোবর্তিকা এতে সন্দেহ নেই।সুন্দর +

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই। ভালো থাকবেন।

৩১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৩

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আমি ফর্মা করে সাজাতে পারি নি, তবে আপনি শেষে যেভাবে বললেন সেভাবে সাজিয়েছি। প্রায় ১২ ফর্মা হয়েছে। এখন এডিট করছি, নিজে নিজেই বিভিন্ন বানান দেখছি, কোন শব্দ পরিবর্তন করে অন্য শব্দ দিলে ভালো হয় কি না ভেবে দেখছি।

শুভ সকাল :)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো খবর তাহলে। শুভ কামনা থাকলো।

৩২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৩৪

hasin82 বলেছেন: আমি একটি কবিতার বই প্রকাশ করতে আগ্রহী। কিন্তু নিজে নিজে বই প্রকাশ করার মত সামর্থ্য আমার নেই। এমন কোন প্রকাশক আছেন যিনি বিনামূল্যে প্রকাশ করে দিবেন? :( :(

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কঠিন প্রশ্ন। আপনি প্রকাশকদের সাথে যোগাযোগ করে দেখুন। লেখার মান ভালো হলে কোনো না কোনো প্রকাশক অবশ্যই আপনার বই প্রকাশ করবেন। শুভ কামনা।

৩৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৩

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: শুভ ব্লগ দিবস!!! !:#P !:#P !:#P

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন ভাই।

৩৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১০

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: Informative and helpful. thanks

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। শোকেসে নিয়ে রাখলাম। বই প্রকাশ যদিও বেশ ঝামেলার কাজ বলে মনে হচ্ছে । :(

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

৩৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯

কয়েস সামী বলেছেন: এই শিরোনামের অাগের লেখাটি প্রিয়তে নেয়া থাকায় এই পোস্টটি পড়ে দেখা হয়নি্ যথাসময়। এখন পড়লাম এবং বুঝলাম অনেক নতুন তথ্য দেয়া অাছে। অনেক ধন্যবাদ।

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কয়েস সামী। এখন তো আপনি আর ব্লগে নাই, তাই না? শুভেচ্ছা রইল।

৩৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

অন্য কথা বলেছেন:
অন্তত কাজের পোস্ট । ধন্যবাদ সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাই ।

আমার জন্য "সামহোয়্যার ইন ব্লগ"। বিনা পয়সায় ছাপায় যাচ্ছে । ধন্যবাদ "সামহোয়্যার ইন" । :)

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ অন্য কথা। আপনিও তো ব্লগে নাই, তাই না? নাকি অন্য কোনো নিক নিয়েছেন? শুভেচ্ছা রইল।

৩৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

অন্য কথা বলেছেন: কাজের পোস্ট । ধন্যবাদ সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাই ।

আমার জন্য "সামহোয়্যার ইন ব্লগ"। বিনা পয়সায় ছাপায় যাচ্ছে । ধন্যবাদ "সামহোয়্যার ইন" । :)

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৪০

মুহিব বলেছেন: এখন পর্যন্ত আমার দুইটা বই বের হয়েছে। আপনার এই পোস্ট (আগের সংস্করন) পড়ার পর থেকেই আগ্রহ বেড়েছে। বই প্রকাশ করতে সুবিধা হয়েছে।
আপনাকে ধন্যবাদ।

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুভেচ্ছা।

৪০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২১

উল্টা দূরবীন বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম। ভবিষ্যতে বই বের করার ইচ্ছা আছে। আপনার লেখাটা কাজে দিবে। ধন্যবাদ।

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুভেচ্ছা।

৪১| ০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ৯:৩৩

ফারজানা ইয়াসমিন তিথি বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট ।প্রিয়তে রাখলাম

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪২| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

বর্ণহীণ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
প্রিয়তে নিলাম।

১৪ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.