নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
স্কুলকলেজে বাংলায় প্রায়ই একটি প্রশ্ন থাকতো - ‘অমুক’ গল্পটি নিজের ভাষায় লেখো। একবার আমাদের এক শিক্ষক পাঠ্যবইয়ের একটা কবিতাকে নিজের শব্দে পুনর্লিখন করতে বলেছিলেন। কয়েকটা ছেলেমেয়ে বেশ ভালোই লিখেছিল, তবে শিক্ষক ওদেরকে ‘গাধা’ বলেছিলেন।
হোসনে আরার একটা অতি প্রিয় ছড়া ‘সফদার ডাক্তার’, যা বাল্যকালে আমাদের পাঠ্যসূচিতে ছিল; খুব মজা পেতাম ছড়াটি পড়ে; এবার আমার নিজের ভাষায় লেখা ছড়াটি পড়ুন আর স্মৃতির সাথে মিলিয়ে নিন।
কামিনী রায়ের ‘পাছে লোকে কিছু বলে’ কবিতাটা নিজের ভাষায় লিখলে কেমন হয়? ‘কেউ যদি কিছু ভাবে’ শিরোনামে লিখেও ফেললাম কিছু একটা, তারপর ব্লগে পোস্ট করলাম। আমাকে অবশ্য অবাক হতে হয়েছিল এজন্য যে, শায়মা হক ছাড়া আর কোনো ব্লগারই বুঝতে পারেন নি এটা একটা অনুলিখিত কবিতা মাত্র। ফেইসবুকে কেউ কেউ আমাকে সান্ত্বনাও দিলেন। এবার দুটো কবিতা পাশাপাশি মিলিয়ে দেখুন- কোথায় তালতলা, আর কোথায় তেঁতুলিয়া।
একবার ব্লগার নস্টালজিকের ‘পরী’ গানটাকে উলটো করে লিখলাম ‘ঝড়ো’ শিরোনামে। আমার ব্লগে অবশ্য অত্যন্ত কম সংখ্যক পাঠকই এসে থাকেন, আর এ নগণ্য সংখ্যক পাঠকের কেউই বুঝতে পারলেন না কবিতাটার গূঢ় রহস্য।
‘যেতে নাহি দিব’ কবিতার কয়েকটা পঙ্ক্তি আমরা অনেক পড়েছি ও শুনেছি :
এ অনন্ত চরাচরে স্বর্গ-মর্ত্য ছেয়ে
সবচেয়ে পুরাতন কথা, সবচেয়ে
গভীর ক্রন্দন, ‘যেতে নাহি দিব।’ হায়,
তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।
এমনি ঘটিতেছে অনাদিকাল হতে
প্রলয় সমুদ্রবাহী সৃজনের স্রোতে।
এ থেকে লিখলাম ‘মগের মুল্লুক’। কয়েকজন পাঠক কড়া সমালোচনা করলেন আমার লেখা নিয়ে, কিন্তু সবারই অগোচরে থেকে গেলো এ কবিতার জনকের নাম। যদি ‘মগের মুল্লুক’ পড়ে আপনাদের মনে হয় কবিতায় সত্যিই এখন মগের মুল্লুক কায়েম হচ্ছে, আমি বলবো, ওসব মগা-টগার কথা বাদ দিয়ে ব্লগিঙে বড়শি ফেলুন, অনেক কাজে লাগবে।
স্কুলে সারমর্ম ও ভাবসম্প্রসারণে পড়েছি ‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই...’। এটা থেকে অনুলিখিত হলো ‘বড়ো’র মোহ’। প্রিয় ব্লগাররা অবশ্য পজিটিভ ছিলেন, কিন্তু এটাও কেউ ধরতে পারলেন না।
এগুলোকে প্যারোডি বলবেন? প্যারোডির প্রধান বৈশিষ্ট্য হাস্যরস সৃষ্টি বা ব্যাঙ্গাত্মক প্রকাশ। আমার এগুলো ‘প্যারোডি’ কিনা তা নিয়ে আমার নিজেরই অনেক সন্দেহ আছে, কারণ, এতে ব্যাঙ্গ বা হাস্যরস নেই বললেই চলে, বরং মৌলিক লেখার বৈশিষ্ট্যই বেশি লক্ষণীয়; তবে দয়া করে কেউ এতে কোনো শিল্পগুণ খুঁজবেন না! কেউ হয়ত ‘নকল’ অভিহিত করতে পারেন। কিন্তু নকলও না। রবীন্দ্র-নজরুল যুগে তাঁদের প্রভাব-বলয় থেকে বাইরে বেরোতে পেরেছিলেন খুব কম কবিই। অনুলিখিত কবিতাগুলো সেজন্য প্রভাব-অমুক্ত কবিতা বড়োজোর, কিন্তু নকল নয়। এগুলোকে নকল বলা হলে ঐ যুগের কবিরাও নকল কবিই ছিলেন।
কিছু কিছু জায়গায় খুব গম্ভীর শব্দগুচ্ছের মাঝখানে নিছক আনকোরা, বেঢপ, বেমানান ও ইমম্যাচিউর শব্দ ঢুকে গেছে। সেখানে ফিক করে হেসে উঠলে আমার কিছু বলারও নাই, করারও নাই।
এ পোস্টে কয়েকটি অনুলিখিত ছড়া ও কবিতা দেয়া হলো।
****
সফদার ডাক্তার
সফদার ডাক্তার
মাথা ভরা চুল তার
খিদে পেলে ভাত খায় গিলিয়া
ছিঁড়ে গেলে কী উপায়
এই ভয়ে রাস্তায়
হাঁটে জুতা বগলেতে তুলিয়া
প্রিয় তার টক শো,
মহিষের মাংস
অটবির ছিমছাম খাটিয়া
সাঁচা কথা কয় সে,
কারণটা এই যে
খায় নাকি ফ্রুটিয়া সে চাটিয়া
সফদার ডাক্তার
ইয়া বোঁচা নাক তার
শুলে শুধু দেখা যায় ভুঁড়ি খান
কিপটে সে আদৌ নয়,
এই তার সদা ভয়-
ঘরে বুঝি এলো কোনো মেজবান
সফদার ডাক্তার
খুব ‘ফানি’ কাজ তার
ডিনারের পরে করে কুস্তি
মাঝরাতে ওঠে ঘেমে
তারপর খালে নেমে
স্নান করে হয় তার স্বস্তি
সফদার ডাক্তার
মাথা ভরা টাক তার
কেঁচোকাটা কাঁচি তার পকেটে
চেঁছে ফেলা ভুরু তার
চোখ দুটো সরু তার
পান খেয়ে হেঁটে যায় শকেটে
সফদার ডাক্তার
ইদানীং সাধ তার
ব্লগে নাকি অ্যাকাউন্ট খুলিবেন
অনলাইন সাজেশন
করিবেন বিতরণ
মাস্টার কার্ডে ফি তুলিবেন
৩০ নভেম্বর ২০০৯ রাত ২:৫১
মূল ছড়াঃ জবর ডাক্তার/সফদার ডাক্তার, হোসনে আরা
কেউ যদি কিছু ভাবে
সাধ হয় কিছু করি
রিকশা বা বাসে চড়ি
তখনই মন বলে, থামো
কেউ যদি কিছু ভাবে!
গোপনে গোপনে হাঁটি
সুনসান পরিপাটি
কীভাবে জনসমক্ষে যাবো?
কেউ যদি কিছু ভাবে!
কত কী যে ভাবি মনে
আলো দেবো জনে জনে
সব আশা মুকুলেই মরে
কেউ যদি কিছু ভাবে!
কখনো বা বেদনায়
বুক যদি ভেঙে যায়
কাঁদতে পারি না প্রাণ খুলে
কেউ যদি কিছু ভাবে!
মানবিক কোনো কাজে
সবে জোটে একসাথে-
আমিও সে-দলে যেতে চাই;
কেউ যদি কিছু ভাবে!
হায়রে নিঠুর বিধি
আজব তোমার রীতি-
মরবার ভয়ে আড়ালে লুকাই,
কেউ যদি কিছু ভাবে!
১ নভেম্বর ২০১১ রাত ১২:১৯
মূল কবিতাঃ পাছে লোকে কিছু বলে / কামিনী রায়
গ্রামের মানুষকে উচ্চ ভাবিব, সেই কথা আজ মিছে
(গ্রামের সুখী মানুষদের প্রতি শহরের বন্দি মানুষদের ক্ষোভ)
তোমরা রহিবে নয়নাভিরাম চিরসবুজের গাঁয়,
আমরা মরিব পঁচা ডাস্টবিনে, নোংরা নর্দমায়!
তোমরা একাই উপভোগ করো পল্লীর পরিবেশ,
ঘিঞ্জি শহরে ধুঁকিতে ধুঁকিতে আমাদের জান শেষ।
আমাদের দেখে নাক ছিটকাও, করো নাকো সম্মান,
তোমাদের সাথে আমাদের কত বিস্তর ব্যবধান!
গ্রামের মানুষ শোনো,
আমরাও মানুষ এই বাংলার, নই ভিনদেশী কোনো।
তোমরা কাটাবে সুখের জীবন চরণে চরণ তুলে,
তা বলে তোমাদের উচ্চ ভাবিব, সেই কথা যাও ভুলে।
বিদ্রোহ আজ - বিদ্রোহ সবখানে,
আমরাও আজ গ্রামে ঠাঁই চাই, তোমাদের মাঝখানে।
শহরের দিকে তাকিয়ে দেখো, দলে দলে, গানে গানে
ইটের পাঁজর ভাঙিয়া মানুষ ছুটিছে গ্রামের পানে।
আসিতেছে শুভদিন,
কড়ায় গণ্ডায় তোমাদের থেকে শোধিয়া লইব ঋণ।
তোমরা রহিবে শীতল ছায়াতে, আমরা সিদ্ধ হব!
শীঘ্র দেখিবে এই ব্যবধান আচানক ভেঙে দেব।
১২ নভেম্বর ২০১১ রাত ১০:০০
মূলঃ সাম্যবাদী / নজরুল
(তোমরা রহিবে দোতলার পর, আমরা রহিব নীচে, তা বলে তোমাদের দেবতা মানিব, সেই কথা আজ মিছে)
সবার উপরে নারীরা সত্য, নরেরা খড়ের ছাই
নারীদের গান গাই
পৃথিবীর বুকে নারীদের চেয়ে মাননীয় কিছু নাই
অথচ আজিকে বড়ো অসহায় রমণীরা বাংলার
পদে পদে দেখি খুন ধর্ষণ অন্যায় অবিচার
নারীর জন্ম যেন-বা সহিতে নরের অত্যাচার
বাংলা জুড়িয়া ঘটিতেছে তাহা, নাই কোনো প্রতিকার
দেখিনু সেদিন বাসে
নারীরা দাঁড়িয়ে, পুরুষ মানুষ সিট চেপে বসে আছে।
চোখ ফেটে এলো জল,
জগৎ জুড়িয়া এমন করিয়া পুরুষ খাটাবে বল!
পাষাণ পুরুষ দেখিল না চেয়ে ঘাড়ের উপর তার
একটি অবলা রমণী দাঁড়িয়ে, শরীর কম্পমান
কে জানে হয়ত, গর্ভে তাহার ‘সুপুরুষ’ সন্তান-
তিলতিল করে কষ্ট সহিয়া বহিতেছে দেহভার।
হায়রে অবলা নারী,
তোমার সাহসে ঝলসিয়া ওঠে পুরুষের তরবারি;
তোমাকে ভাবিয়া কবিতা লিখিয়া নর হয় বিখ্যাত
অথচ তুমিই আড়ালে রহিলে, চিরকাল অজ্ঞাত।
কোনোকালে কিছু করিতে পারে নি পুরুষ লোকেরা একা,
গোপনে নারীরা বুদ্ধি দিয়াছে, বাহিরে যায় নি দেখা।
অথচ নারীরা কোথাও এখন পায় না ন্যায্য দাম
সবকিছুতেই জবরদখল, মগের মর্ত্যধাম।
নারীরা এবার জাগো,
ঢেঁকি-পাটা ও দাও-বটি ফেলে কার-ড্রাইভিং শেখো।
পাইলট হয়ে এফ-সিক্সটিন, বোয়িং চালাতে হবে-
মদন মদন পুরুষ লোকেরা অবাক তাকিয়ে রবে।
প্রতিশোধ হবে নিতে-
নারীরা বাসের সিটে বসিবেক, দণ্ডায়মান নর
অবলা বলিয়া খাইতে হবে না পুরুষ লোকের চড়।
নারীরা করিবে কষিয়া শাসন, পুরুষেরা নতশির
খুন ধর্ষণ তালাকের ভয় থাকিবে না রমণীর
সত্যিকারের সমতা তখন দেখা যাবে ধরণিতে।
শোনো হে পুরুষ ভাই,
সবার উপরে নারীরা সত্য, নরেরা খড়ের ছাই।
১১ অক্টোবর ২০১১ রাত ১০:৪৯
মূলঃ নারী/সাম্যবাদী, নজরুল
মগের মুল্লুক
এ অনন্ত চরাচরে স্বর্গ-মর্ত্য-ধামে
সবচেয়ে পুরাতন রীতি, সবচেয়ে
গভীর আক্ষেপ, ‘খেতে কেন দেব?’-
আমি রেঁধে কেন তোকে খাওয়াবো বসায়ে?
এমনি চলিছে রীতি অনাদিকাল হতে
রাঁধুনিরা রান্না করে, খায় বেটাছেলে।
কখনো-বা বাড়া ভাত কেড়ে নিয়ে খায়,
কেউ কেউ বাড়া ভাতে ছাই দেয় ফেলে।
কন্যা-জায়া-জননীরা- আর কতকাল
এভাবে বোকার মতো খাওয়াবে রাঁধিয়া?
আর কতকাল তুমি মৎস কুটিবে,
বুয়ার মতন তুমি মরিবে খাটিয়া?
যতদিন বেঁচে রবো এ ধরণিতলে
দেখে নেব বউদের বুয়া কে বানায়!
সেইদিন আমি তবে প্রশান্তি পাব-
পুরুষেরা রান্না করে, নারী কেড়ে খায়।
...
আমি সেইদিন পাব শান্তি-
যবে অত্যাচারিত রমণীকুলের ঘুচিবে যাতনা-ক্লান্তি।
নারীর পায়ের তলায় লুটায়ে পুরুষ মাগিবে দুয়া।
তামাম বিশ্ব নারীর অধীনে, পুরুষ হইবে বুয়া।
১০ অক্টোবর ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৯
মূলঃ 'যেতে নাহি দিব', রবীন্দ্রনাথ/ 'বিদ্রোহী ও অন্যান্য, নজরুল এবং জিগাখিঁচুড়ি মানে অন্যান্য
****
এবার দুটি মূল ছড়া দেখুন
****
সফদার ডাক্তার
হোসনে আরা
হোসনে আরার জন্ম হয়েছিল আমার বাবার জন্মেরও অনেক অনেক বছর আগে ছড়াটি লেখা হয়েছিল আমার জন্ম থেকে প্রায় ২০ বছর আগে। কিন্তু সেটি এখনও সেদিনের মতোই সজীব, আকর্ষণীয়, শিল্পোত্তীর্ণ ও অত্যাধুনিক।
১৯১৬ সালে তাঁর জন্ম। ৪০-এর দশকে 'সফদার ডাকতার' ছড়াটি লেখেন। ছড়াকার এ ছড়ার নাম দিয়েছিলেন 'জবর ডাক্তার'। যে বইতে ছড়াটি অন্তর্ভুক্ত হয় তার নাম 'ফুলঝুরি'। ফুলঝুরি প্রকাশিত হয় ১৯৪৯ সালে।
ক্লাস ফোরে 'সফদার ডাক্তার' নামে এটি আমাদের পাঠ্যবইয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল (৪র্থ শ্রেণি, ১৯৭৭ সাল)। এটি এখন যত মজাই লাগুক না কেন, ক্লাসে আমি প্রথম দুই লাইনের বেশি মুখস্থ করতে পারি নি।
সফদার ডাক্তার
মাথা ভরা টাক তার
খিদে পেলে পানি খায় চিবিয়ে,
চেয়ারেতে রাতদিন
বসে গোনে দুই-তিন
পড়ে বই আলোটারে নিবিয়ে।
ইয়া বড় গোঁফ তার,
নাই যার জুড়িদার
শুলে তার ভুঁড়ি ঠেকে আকাশে,
নুন দিয়ে খায় পান,
সারাক্ষণ গায় গান
বুদ্ধিতে অতি বড় পাকা সে।
রোগী এলে ঘরে তার,
খুশিতে সে চারবার
কষে দেয় ডন আর কুস্তি,
তারপর রোগীটারে
গোটা দুই চাঁটি মারে
যেন তার সাথে কত দুস্তি।
ম্যালেরিয়া হলে কারো
নাহি আর নিস্তার
ধরে তারে কেঁচো দেয় গিলিয়ে,
আমাশয় হলে পরে
দুই হাতে কান ধরে
পেটটারে ঠিক করে কিলিয়ে।
কলেরার রোগী এলে,
দুপুরের রোদে ফেলে
দেয় তারে কুইনিন খাইয়ে,
তারপর দুই টিন
পচা জলে তারপিন
ঢেলে তারে দেয় শুধু নাইয়ে।
ডাক্তার সফদার,
নাম ডাক খুব তার
নামে গাঁও থরহরি কম্প,
নাম শুনে রোগী সব
করে জোর কলরব
পিঠটান দিয়ে দেয় লম্ফ।
একদিন সক্কালে
ঘটল কি জঞ্জাল
ডাকতার ধরে এসে পুলিশে,
হাত-কড়া দিয়ে হাতে
নিয়ে যায় থানাতে
তারিখটা আষাঢ়ের উনিশে।
পাছে লোকে কিছু বলে
কামিনী রায়
করিতে পারি না কাজ
সদা ভয় সদা লাজ
সংশয়ে সংকল্প সদা টলে -
পাছে লোকে কিছু বলে।
আড়ালে আড়ালে থাকি
নীরবে আপনা ঢাকি,
সম্মুখে চরণ নাহি চলে
পাছে লোকে কিছু বলে।
হৃদয়ে বুদবুদ মত
উঠে চিন্তা শুভ্র কত,
মিশে যায় হৃদয়ের তলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।
কাঁদে প্রাণ যবে আঁখি
সযতনে শুকায়ে রাখি;-
নিরমল নয়নের জলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।
একটি স্নেহের কথা
প্রশমিতে পারে ব্যথা -
চলে যাই উপেক্ষার ছলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।
মহৎ উদ্দেশ্য যবে,
এক সাথে মিলে সবে,
পারি না মিলিতে সেই দলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।
বিধাতা দেছেন প্রাণ
থাকি সদা ম্রিয়মাণ;
শক্তি মরে ভীতির কবলে,
পাছে লোকে কিছু বলে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুবই খুশি হলাম ভাই। ধন্যবাদ।
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬
সোহানী বলেছেন: হায় হায় বোকা কত প্রকার ও কি কি ........ আসলে ব্লগারকূল ব্লগ পড়ার সময় এতো কম দেয় যে পড়া ও ব্রেন এক সাথে চলে না.......
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহা। আসলে ব্লগে যে-কোনো পোস্টই আমরা খুব তাড়াহুড়ো করেই পড়ি। আর এটা তো কারো মাথায়ই থাকার/আসার কথা না যে আমি অন্য একটা কবিতা অনুকরণ/নকল করে লিখেছি, যদি না মূল কবিতাটি পাঠকের পড়া থাকে এবং শব্দ ও বাক্যের অনেক না মিল থাকে।
যা হোক, আপনি পড়েছেন সেজন্য ধন্যবাদ আপু।
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩
সুমন কর বলেছেন: হাহাহা.....ইন্টারেস্টিং।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সুমন ভাই। শুভেচ্ছা।
৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছিলেন প্রিয় কবি। আমি নকল ভাবিনি। খুব ভালো লাগলো দুটু কবিতাই ভালো লাগলো। মিলিয়েছেন চমৎকার। পিছে লোকে কিছু বলে রিমেকটা বেশি ভালো লাগলো।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি নকল না ভেবেই পড়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো নাঈম ভাই। মৌলিক কবিতা হয়ে গেছে নাকি?
অনেক অনেক ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা।
৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১০
শায়মা বলেছেন: মজার মজার মজার!
সবগুলিই আমার প্রিয়!!!!!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। আমার অনেক ছড়ার পেছনে আপনার অনেক অবদান আছে।
৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মিস করলাম কেমনে
দারুন সৃজনশিলতা! আহা আমাদের টাকু মন্ত্রী যদি মানেটুকু বুঝতো.. পুলাপাইনডির কষ্ট কমত...
++++
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'দারুণ সৃজনশীলতা' শুনে তো আকাশে উড়াল দিলাম অনেক ধন্যবাদ প্রিয় বিদ্রোহী। শুভেচ্ছা।
৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৫
শায়মা বলেছেন: জানি জানি জানি!!!!!!!!!
তাই তো তোমাকেই গুরু আর প্রিয় মানি!!!!!!!!!
ভাইয়ামনি!!!!!!!!!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব সম্মানিত বোধ করছি। কৃতজ্ঞতা এভাবে ভাবার জন্য।
৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ফেসবুকে একটা পড়েছিলাম ; সবগুলো পড়ে ভাললাগোলো।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ব্লগে সবগুলো পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ দেশি আপু-২
৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১
মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে খুব ভাল লাগল। চমৎকার আইডিয়া।
আমার একটা আইডিয়া আপনার সাথে শেয়ার করি।
আমি খুব ছোটবেলা থেকেই উপন্যাস পড়তাম।
ট্রাজেডি (বিয়োগান্তক) উপন্যাস পড়লে মন খুব খারাপ হতো।
মনে মনে ভাবতাম, উপন্যাসটা লেখক এ ভাবে শেষ না করে ঐ ভাবেও তো শেষ করতে পারতেন।
এই রকম চিন্তা করতে করতে এক দিন একটা আইডিয়া মাথায় চলে আসল।
খাতা কলম নিয়ে বসে পড়লাম।
লেখক যেখানে তার লেখা শেষ করেছেন, আমি সেখান থেকে আমার লেখা শুরু করতাম।
অবশেষে আমার মনের মতো করে উপন্যাসটা শেষ করতাম। আহ! কি আনন্দ।
এর পর থেকে ট্রাজেডি পড়তে আর খারাপ লাগতো না।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার আইডিয়াটাও দারুণ লাগলো। ৯০ এর দশকে বিটিভিতে মামুনুর রশিদের 'সুপ্রভাত ঢাকা' নামক তিন পর্বের একটা নাটক খুব আলোচিত হয়েছিল। সেই নাটকটার উপর একটা আলোচনামূলক অনুষ্ঠানও হয়েছিল। মূল নাটকের সমাপ্তি থেকে ভিন্নতর তিনটি সমাপ্তি দেখানো হয় এবং তিনটিই খুব ভালো ছিল। সমাপ্তিটাই মূল বক্তব্যটাকে ফুটিয়ে তোলে।
তবে শ্রীকান্ত ১ম পর্ব পড়ার পর মনের ভেতর যে একটা ঝড় হয়েছিল, যার রেশ ছিল বহুদিন, পরের পর্বগুলো পড়ে সেই আনন্দ পাই নি, বরং একঘেয়ে লেগেছিল। প্রথম পর্ব পড়ার আনন্দটাই মাটি হয়ে গিয়েছিল। তেমনি, একটা সম্পূর্ণ গল্পকে অন্যভাবে সাজিয়ে শেষ করলে কোনো কোনো পাঠকের কাছে ভালো নাও লাগতে পারে। এটা অবশ্য সবকিছুর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
আপনার আইডিয়া শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ এবং এ পোস্ট পড়ার জন্য তো ধন্যবাদ আরো বেশি
১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০০
নীলপরি বলেছেন: সাহিত্যে তো রিমেক হয়ে থাকে । ম্যাকবেথ বা বিষবৃক্ষও তো রিমেক হয়েছে , হবে - সবাই জানি । তবে কবিতা রিমেকের কথা জেনে খুব ভালো লাগলো । সাথে কবিতাগুলোও ।
শুভকামনা ।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিষবৃক্ষ'র রিমেক হয়েছে নাকি? দুর্বোধ্য ভাষাকে সহজবোধ্য করে লেখা, নাকি গল্পটাকেই পালটে দেয়া হয়েছে? যা হোক, জানলাম
আমার রিমেক কবিতা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ধন্যবাদ নীলপরি।
১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০২
সনেট কবি বলেছেন:
কবি সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালি ছাঁই
‘নিজের ভাষায় ছড়া ও কবিতা লেখা’ পোষ্টে মন্তব্য-
বীজ থেকে চারা হয়ে বৃক্ষ- মহীরূহ
বিস্তারে শীতল ছায়া পথিক উপরে
তার উপর পাখির নীড়ের ঠিকানা
কলতানে ভরে রাখে নির্মল প্রকৃতি।
মানুষের দৃষ্টিপড়ে মহীরূহ পরে
পড়ে যায় মহীরূহ ভূতল সজ্জায়,
অতঃপর মানুষেরা কেটে কুটে উহা
গড়ে নেয় মনমতো আসবাব পত্র।
ছায়ারা হারায় আর পাখি উড়ে যায়
নতুন নীড়ের খোঁজে তথাপি গৃহের
সুন্দর দারূণ বাড়ে পরিবর্তনেতে।
তেমনি আপনি করে পূরাণে নতুন
নকলে চিত্তে বিলান বিনোদন রাশি
যাতে হাসি মনে সবে আনন্দ প্রকাশে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ ফরিদ ভাই। এই তিন লাইন তো অতুলনীয়:
ছায়ারা হারায় আর পাখি উড়ে যায়
নতুন নীড়ের খোঁজে তথাপি গৃহের
সুন্দর দারূণ বাড়ে পরিবর্তনেতে।
লাস্ট ৩ লাইন ছেঁটে ফেলে বক্তব্য বদলে দিয়ে অন্যভাবে লিখুন, একটা শাশ্বত রূপ পাবে কবিতাটি।
অনেক ধন্যবাদ ফরিদ ভাই।
১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৫
উম্মে সায়মা বলেছেন: সবগুলোই ভালো লাগল। নিজের ভাষায় খুব সুন্দর রূপ দিয়েছেন।
একজনকে দেখেছিলাম গানকে গল্পে রূপ দিতে। মানে গানের পেছনের গল্প কী হতে পারে তা।
খুব ভালো লাগে এমন আইডিয়াগুলো। শুভ কামনা ভাই...
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছোটোবেলায় ছবি দেখার খুব ঝোঁক ছিল। ছবির গানও ছিল খুব প্রিয়। যখন অন্য গান শুনতাম, তখন আমার মনে সেই গানের একটা ব্যাকগ্রাউন্ড আপনা আপনিই তৈরি হয়ে যেত। নায়ক নায়িকাদের মধ্যে কী হয়ে থাকতে পারে, ওরকম কিছু ভাবতাম। কিন্তু তখনো লেখার জগত আমার থেকে অনেক দূরে
পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩১
নীলপরি বলেছেন: বিষবৃক্ষ'র রিমেকের কথা আপনি জানেন । পড়েছেনও । ' চোখের বালি ' । অনেকের অনুরোধে কবি এটা লিখেছিলেন । এমুহূর্তে আমি রবীন্দ্ররচনাবলী বের করে কবির লেখা ' চোখের বালি 'র সূচনা আবারও পড়ে আপনাকে কমেন্ট করছি ।
শুভকামনা ।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বলেন কী? রবিকাকার যে কোনো রচনার ব্যাকগ্রাউন্ড পাঠ আমার খুব আগ্রহের বিষয়, কিন্তু এটা মিস হয়ে গেছে। জেনে খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে নীলপরি।
১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৮
জাহিদ অনিক বলেছেন: প্রিয় তার টক শো,
মহিষের মাংস - হা হা হা টক শো আমারও বেশ বেশ প্রিয় ভাইয়া !!
পোষ্টের শুরুর কথাগুলো বেশ মজাদার ছিল। স্কুলের স্যারেরা যদি বলতেন অমুক কবিতাটি নিজ ভাষায় লিখ, তারপর যদি কোন ছাত্র এই রকম লিখে দিত, তবে গোল্লা পাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই !!
পোষ্টএর ছড়া গুলো বেশ বেশ ভাল লাগল।
আমি এটা প্রিয়তেই রাখব।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এখন টক শো খুব টক লাগে। টক যদিও আমি পছন্দ করি, কিন্তু বেশি টক দাঁত আর জিহবার ১টা বাজাইয়া দেয় :
পোস্টের শুরুর কথাগুলো এবং ছড়াগুলো ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। প্রিয়তে নেয়ায় আরো খুশি।
অনেক ধন্যবাদ জাহিদ অনিক।
১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৪
জাহিদ অনিক বলেছেন: ঘুম না এলে রাতে টাইম পাস করার জন্য টক শো দেখি ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঘুম না এলে টাইম পাস করার জন্য ঘুমিয়ে পড়াই উত্তম
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮
বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: খুবই উপভোগ্য।