|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
	দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
আমি কোনোদিনই আমার জন্মগ্রাম ডাইয়ারকুম ছেড়ে শহরে আসতে চাই নি। বাঁচার তাগিদে শেষ পর্যন্ত জীর্ণ কুঁড়েঘর ছেড়ে আসতে হয়েছে আলোর শহরে। এখানে আমার ভিত্তিপ্রস্তর প্রোথিত করেছি। অথচ আমার সমগ্র সত্তা গ্রোথিত রয়েছে আমার জন্মভিটায়, যেখানে আমার মা স্নিগ্ধ নরম পায়ে হাঁটতেন, এখনো আমার বাবা জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়েন।
আমার অনেক বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী, পরিচিত-অপরিচিত আত্মীয়পরিজন সেই কবে থেকেই তো উন্নত জীবনের অন্বেষায় উড়ে গেছেন পূর্ব-পশ্চিমের দেশে। অথচ, বুকের গভীরে লেপ্টে ধরে লাল-সবুজের পতাকা, ভীষণ উচ্চকিত স্বরে জেদ ধরে বলেছি- ‘তোমাদের যেখানে সাধ চলে যাও, আমি রয়ে যাব এই বাংলায়।’
এখানে আজ আমি স্বস্তিতে নেই। আমাকে সারাক্ষণ তাড়িয়ে বেড়ায় এক দুর্ধ্বর্ষ কালো ষাঁড়- আতঙ্ক যার নাম। আমার সন্তানেরা - ওরা কেউ স্কুলে গেলো, বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলো কেউ; আমার স্ত্রী হয়ত-বা বিকালে হাঁটতে বেরোবে, কিংবা যাবে কোনো বিপনি বিতানে। ওরা ঠিকঠাক বাসায় ফিরবে তো? 
এত এত খুন, ধর্ষণ, দুর্ঘটনা- এত এত মৃতের আহাজারি, আমাকে একটি দিনের কথা বলুন, যেদিন এসবের কোনোটিই ঘটে নি। আমার কন্যার গায়ে বাস উঠে গেলে দাঁত-বের-করা বিটকেলে হাসিতে আপনারা গলে পড়বেন, আমার ছেলের বুক ফুঁড়ে উড়ে গেলে ক্ষীপ্র বুলেট, আপনি ‘আল্লার মাল আল্লায় নিয়া গেছে’ বলে সমস্ত দোষ আল্লাহ উপর চাপাবেন, একদঙ্গল সন্ত্রাসী লেলিয়ে আমার অনুজের হাঁটু গুঁড়িয়ে, পায়ের রগ কেটে লুলা করে দেবেন আর বিজয়ীর হাসিতে আকাশ প্রকম্পিত করবেন? আমাদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে নিত্য ছিনিমিনি খেলবেন সারাটি জীবন? আপনারাই বলুন, আমার বঙ্গবন্ধু কি আমার জন্য এই বাংলাদেশ এনেছিলেন? এই কি আমার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ? হে আমার শরণদাত্রী বঙ্গজননী, যারা এই সোনার বাংলায় আগুন ছড়িয়ে ছারখার করছে মাটি ও বৃক্ষ, পুড়িয়ে পিষিয়ে মারছে মানুষ পাখি ও ফুল, কবে সেই চিহ্নিত পামরদের ঝাঁটিয়ে তাড়িয়ে দেবেন এ দেশ থেকে, আর শান্তির সুবাতাসে শ্বাস ফেলে আমাদের একটু বাঁচার সুযোগ করে দেবেন?
আমার সাধ্য নেই নাড়ি কেটে অন্য আলয়ে সরণ ধরি। আমাকে এই আতঙ্কগ্রস্ততার মধ্যেই জীবন পোহাতে হবে, আর যুগের পর যুগ কথার ফুলঝুরিতে এ দেশ উন্নয়নে ভেসে যাবে, চাঁদে গড়া হবে আধুনিক রাজধানী। আমরা বালখিল্যরা এক অলঙ্ঘ্য ফাঁদের ভেতর আটকে থেকে কাতরাতে কাতরাতে শেষ নিশ্বাসটি ফেলার জন্য প্রহর গুনতে থাকবো। মৃত্যুই আমাদের একমাত্র মুক্তি।
৩১ জুলাই ২০১৮
 ২০ টি
    	২০ টি    	 +৮/-০
    	+৮/-০  ০১ লা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:২৩
০১ লা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মৃত্যুই আমাদের একমাত্র মুক্তি।
২|  ০১ লা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:২২
০১ লা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:২২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এখানে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই, সর্বক্ষন আতংকগ্রস্থ থাকি, এই বুঝি কোন দুঃসংবাদ এলো!!!
  ০১ লা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:২৬
০১ লা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:২৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এখানে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই, সর্বক্ষন আতংকগ্রস্থ থাকি, এই বুঝি কোন দুঃসংবাদ এলো!!! সবারই মনের কথা এটাই।
৩|  ০১ লা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:৩৬
০১ লা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:৩৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ই্ উরোপ এমেরিকার চেয়ে বড় বাজেটের রাস্তা (যদি শ্রমিক খুব সস্তা)!!!! 
তারপরও রাস্তাঘাটের অবস্থা দেখেন।বর্ষাকালে পানির তলে। তার ওপর ড্রাইভারদের স্বেচ্ছাচারিতা। গত কালই একজন ছাত্রী কার্ড আনেনি স্টুডেন্ট ভাড়া হিসেবে কম ভাড়া হেল্পার নিবে না। মেয়েটি নিচে নেমে যাবার পরও তার সাথে ঝগড়া সন্ধার পর। সবার সন্তান বোন অন্যরো কতটা অসহায় একজন হেল্পারের কাছে।
আমরা যে দেশের মানুষ আমাদের মান সম্মান  কোথায় আছে?
শুধু শক্তের ভক্ত নরমের যম। খুব কষ্ট দায়ক।
  ০১ লা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ২:১১
০১ লা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ২:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এত অরাজকতার মূল হলো ঘুষ-দুর্নীতি। এগুলো বন্ধ করা গেলে গরু-ছাগলে চিনলেওয়ালারা ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবে না, বাঁশের চটা দিয়ে রাস্তা ঢালাই হবে না, বৃষ্টি নামার আগেই সড়কে গর্ত হবে না। শক্ত হাতে প্রশাসন ও দলীয় নেতৃত্ব সাজানো গেলে এই নৈরাজ্য কমে আসতো। 
ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই।
৪|  ০১ লা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:৫৩
০১ লা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:৫৩
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: চরম সত্য কথা ভাইয়া। আপনজন যতক্ষণ না কাজ কর্ম শেষ করে বাড়ী ফিরে ততক্ষণ যেন স্বস্তি নেই। কোন নিরাপত্তা আর ভরসা নেই জীবনের।
গ্রামের জীবন অনেক স্বস্তির আর শান্তির কিন্তু জীবন ও জীবিকার তাগিদে শহরে আসতে আমরা বাধ্য।
  ০১ লা আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৩:২২
০১ লা আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৩:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাকে সারাক্ষণ তাড়িয়ে বেড়ায় এক দুর্ধ্বর্ষ কালো ষাঁড়- আতঙ্ক যার নাম।
কী গ্রাম, কী শহর, সবখানেই এই দুরন্ত ষঁড়ের লাল চোখ জ্বলজ্বল করে। আমাদের স্বস্তির জায়গা নেই, একমাত্র মৃত্যু ছাড়া।
একটা স্বাভাবিক মৃত্যুও দিনে দিনে বিরল ঘটনা হয়ে উঠছে।
৫|  ০১ লা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ২:২৯
০১ লা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ২:২৯
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: 
এটাই সত্যি; এটাই এদেশের পরিবহন খাতে বাস্তবতা। লেখাটি ভাল লেগেছে।
  ০১ লা আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৩:২৩
০১ লা আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৩:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কাওসার চৌধুরী। শুভেচ্ছা।
৬|  ০১ লা আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৩:৩৩
০১ লা আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৩:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
  ০১ লা আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৩:৫৩
০১ লা আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৩:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই। আপনিও ভালো থাকুন, নিরাপদ থাকুন।
৭|  ০১ লা আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৪:১২
০১ লা আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৪:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সোনাবীজভাই, 
প্রথমে মুগ্ধ হয়ে পড়ছিলাম, আর আমার বাল্য কৈশোরকে মেলাচ্ছিলাম। পেয়েছিলাম সাময়িক এক আনাবিল আনন্দও। 
কিন্তু পরে এসে  থমকে গেলাম। গলা শুকিয়ে গেলো। দাগ কেঁটে গেল অন্তরে । 
নির্বিকারে তাই চলে গেলাম।
  ০১ লা আগস্ট, ২০১৮  রাত ৯:৩৭
০১ লা আগস্ট, ২০১৮  রাত ৯:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যেখানে অনাবিল আনন্দ পেয়েছিলেন, সেটাই প্রকৃত আনন্দের উৎস। আমরা সেই আনন্দ থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছি। কোথায় গিয়ে ঠেকবো, তা অনিশ্চিত।
ধন্যবাদ প্রিয় পদাতিক চৌধুরি।
ওহ, একটা বিষয়ে জানার ইচ্ছে ছিল। আপনার নামটা সুন্দর। এটা কি আপনার পারিবারিক/অফিশিয়াল নাম, নাকি ব্লগীয় নিক শুধু?  পদাতিক এর ইংরেজি Infantry বলে এই ঔৎসুক্য।
শুভেচ্ছা রইল।
৮|  ০২ রা আগস্ট, ২০১৮  সকাল ৯:৩৮
০২ রা আগস্ট, ২০১৮  সকাল ৯:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই  , 
যে উদ্বেগ আর আতঙ্ক বুকে লুকিয়ে রেখে আমাদের এক একটা অব্যক্ত দিনরাত্রি কেটে যায় , তাকে ব্যক্ত করে দিয়ে গেলেন প্রবল ভাবাবেগে ।  
এ আমাদের নিয়তি । আমাদের হাতেই গড়া নষ্ট কুঁড়েঘর । আমাদেরই যার যার নিজস্ব স্বার্থে আমরা এই কুঁড়েঘরের ভিত্তি গড়েছি । এই অলঙ্ঘ্য ফাঁদের ভেতরেই আমাদের বসবাস আমৃত্যু ।
৯|  ০২ রা আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১১:১৩
০২ রা আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১১:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন: 
সরকার কেন মানুষের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করছে, সেটার কারণ খুঁজে বের করার দরকার! সবাই মিলে সরকারকে সাহায্য করার দরকার, কিংবা সরিয়ে দেয়ার দরকার, কোনটা সহজ হবে?
১০|  ০২ রা আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১১:৩৯
০২ রা আগস্ট, ২০১৮  সকাল ১১:৩৯
নাহিদ০৯ বলেছেন: এক বিন্দু সদিচ্ছাও তৈরি করতে পারেনি তোমাদের এই আন্দোলন।
১১|  ০২ রা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:২৬
০২ রা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সোনাবীজভাই, 
আপনি আমার ব্লগিও নাম নিয়ে আনন্দ পেয়েছেন জেনে পুলকিত হলাম। আসলে আমার পারিবারিক / অফিশিয়াল নামে প্রথমে ব্লগ খুলতে গিয়ে না হওয়াই এই নামের নিকটি দিয়েছিলাম। তবে টাইটেলটি আমাদের পারিবারিক বটে।   
প্রতিসৌজন্যে,  আপনাকেও নিরন্তর শুভেচ্চা।
১২|  ০২ রা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ২:১৬
০২ রা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ২:১৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: 
আধুনিক জীবনে শেষ নেই ফাঁদ
ফাঁদে আটকে কাঁদি-দিন রাত।
১৩|  ০২ রা আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৪:১৮
০২ রা আগস্ট, ২০১৮  বিকাল ৪:১৮
সনেট কবি বলেছেন: আমরা না মরে বেঁচে আছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:০৭
০১ লা আগস্ট, ২০১৮  দুপুর ১:০৭
অপ্সরা বলেছেন: এই ফাঁদের মাঝেই আমাদের বসবাস!