নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
ছড়াকারের জন্ম হয়েছিল আমার বাবার জন্মেরও অনেক অনেক বছর আগে ছড়াটি লেখা হয়েছিল আমার জন্ম থেকে প্রায় ২০ বছর আগে। কিন্তু সেটি এখনও সেদিনের মতোই সজীব, আকর্ষণীয়, শিল্পোত্তীর্ণ ও অত্যাধুনিক।
ছড়াকারের নাম হোসনে আরা। ১৯১৬ সালে তাঁর জন্ম। ৪০-এর দশকে 'সফদার ডাক্তার' ছড়াটি লেখেন। ছড়াকার এ ছড়ার নাম দিয়েছিলেন 'জবর ডাক্তার'। যে বইতে ছড়াটি অন্তর্ভুক্ত হয় তার নাম 'ফুলঝুরি'। ফুলঝুরি প্রকাশিত হয় ১৯৪৯ সালে।
ক্লাস ফোরে 'সফদার ডাক্তার' নামে এটি আমাদের পাঠ্যবইয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি এখন যত মজাই লাগুক না কেন, ক্লাসে আমি প্রথম দুই লাইনের বেশি মুখস্থ করতে পারি নি।
সাহিত্যের ক্লাসে আমাদের একটা কমন প্রশ্ন থাকতো, বিশেষ করে গল্প পাঠে- যেমন, 'কাবুলিওয়ালা' গল্পটি তোমার নিজের ভাষায় লেখো। আমরা সাধু-চলিত-কথ্য-আঞ্চলিক আরো কত কিসিমের ভাষায় জগাখিঁচুড়ি টাইপের গল্প লিখতাম তো, কোনো কবিতার বেলায় কিন্তু এ রকম কোনো প্রশ্ন কখনো ছিল না- 'সফদার ডাক্তার' ছড়াটি নিজের ভাষায় লেখো থাকলে কী হতো? নীচের ছড়াটি হলো তার একটা নমুনামাত্র। দয়া করে সেই প্রসিদ্ধ ছড়াটির সাথে আমার এই মামুলি ছড়াটির কোনো তুলনা করবেন না
সফদার ডাক্তার
সফদার ডাক্তার মাথা ভরা চুল তার
খিদে পেলে ভাত খায় গিলিয়া
ছিঁড়ে গেলে কী উপায় এই ভয়ে রাস্তায়
হাঁটে জুতা বগলেতে তুলিয়া
প্রিয় তার টক শো, মহিষের মাংস
অটবির ছিমছাম খাটিয়া
সাঁচা কথা কয় সে, কারণটা এই যে
খায় নাকি ফ্রুটিয়া সে চাটিয়া
সফদার ডাক্তার ইয়া বোঁচা নাক তার
শুলে শুধু দেখা যায় ভুঁড়িখান
কিপটে সে আদৌ নয়, এই তার সদা ভয়-
ঘরে বুঝি এলো কোনো মেজবান
সফদার ডাক্তার খুব ‘ফানি’ কাজ তার
ডিনারের পরে করে কুস্তি
মাঝরাতে ওঠে ঘেমে তারপর খালে নেমে
স্নান করে হয় তার স্বস্তি
সফদার ডাক্তার মাথা ভরা টাক তার
কেঁচোকাটা কাঁচি তার পকেটে
চেঁছে ফেলা ভুরু তার চোখ দুটো সরু তার
পান খেয়ে হেঁটে যায় শকেটে
সফদার ডাক্তার ইদানীং সাধ তার
ব্লগে নাকি অ্যাকাউন্ট খুলিবেন
অনলাইন সাজেশন করিবেন বিতরণ
মাস্টার কার্ডে ফি তুলিবেন
৩০ নভেম্বর ২০০৯ রাত ২:৫১
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালোই লাগলো জেনে ভালোই লাগলো। ধন্যবাদ সম্রাট দ্য বেস্ট।
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: আহা!
চমৎকার!!
এরকম সফদার ডাক্তারই তো ব্লগে দরকার!!!
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, এরকম সদদার ডাক্তার ব্লগে অ্যাক্টিভ থাকলে খুব মজাই হতো। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১
আহলান বলেছেন: বাহ! চমৎকার!!
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আহলান।
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কোন সালের দিকে "ক্লাশ ফোরে" পেয়েছেন ছড়াটি? আমাদের সময় (আপনার অনেক আগে হবে), এই ছড়া পাঠ্য বইয়ে ছিলো না; ছড়াটি ২য় শ্রেণীর উপরে দেয়া বেঠিক ছিলো।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: স্বাধীনতার পর প্রথম সংস্করণের বইতেই এটা ছিল। ক্লাস ফোরেই তখন এটা মুখস্থ করতে জান বের হয়ে যেত (আমি তো পারতামই না), ২য় শ্রেণির বাচ্চাদের জন্য অনেক কঠিন হতো।
৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০২
রাজীব নুর বলেছেন: ছড়াটা ছোটবেলায় পড়ে খুব মজা পেয়েছিলাম।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছড়াটা আসলেই মজার। দয়া করে সেই প্রসিদ্ধ ছড়াটির সাথে আমার এই মামুলি ছড়াটির কোনো তুলনা করবেন না
৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: সুপ্পার সুপ্পার সফদার ডাক্তার
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ বাকপ্রবাস। শুভেচ্ছা।
৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: ক্লাস ফোর এ কোন ছড়া পড়েছেন তা এখনও মনে আছে আপনার দারুন স্মৃতিশক্তি । মন্তব্যটি করার আগে আমি কিছুক্ষণ ভাবলাম আমি ক্লাস ফোর এ কি পড়েছি, মনে নেই
আমার শুধু মনে আছে
ওই দেখা যায় তালগাছ ওই আমাদের গাঁ
ওই খানেতে বাস করে কানা বগীর ছা
সফদার ডাক্তার সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো। আমি পড়িনি এটি।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এগুলো তো সচরাচর সবারই মনে থাকার কথা (মুখস্থ থাকার কথা বলছি না), এমনকি চাঁদগাজী সাহেবও মনে রেখেছেন, আর আপনার মনে থাকবে না তা কী করে হয়? কানাবগীর ছা আমরা পাই নি, আমাদের পরের সংস্করণ। এটা প্রথম শ্রেণিতে ছিল।
ধন্যবাদ কথার ফুলঝুরি।
৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " স্বাধীনতার পর প্রথম সংস্করণের বইতেই এটা ছিল। ক্লাস ফোরেই তখন এটা মুখস্থ করতে জান বের হয়ে যেত (আমি তো পারতামই না), ২য় শ্রেণির বাচ্চাদের জন্য অনেক কঠিন হতো। "
-স্বাধীনতার পর, পড়ালেখার মান নীচে নামিয়ে আনা হয়েছিল; ছড়াটি আমাদের সময় শিশুদের জন্য ছড়ার বইতে ছিলো, পাঠ্য বইতে ছিলো না
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, আমাদের বইয়ের নাম ছিল সবুজ সাথী প্রথম ভাগ, সবুজ সাথী দ্বিতীয় ভাগ, ইত্যাদি। বাংলা বইগুলোর নাম তখন 'সবুজ সাথী' ছিল। আমরা 'সবুজ সাথী' সিরিজেই পড়ালেখা শেষ করেছি। আমাদের ঠিক পরের ব্যাচই পেয়েছে 'আমার বই' সিরিজ। কোনো এক সময়ে মূল বাংলা বইয়ের পাশাপাশি 'চয়নিকা' নামে আরেকটা পাঠ সহায়িকা ছিল, যেটিতে ছিল গল্প, বিশেষ করে রূপকাহিনি। ছড়া কবিতার জন্য আলাদা কোনো বই ঐ লেভেলে ছিল কিনা আমার স্পষ্ট মনে পড়ে না। রামগরুড়ের ছানা, ভোলানাথ, মেজাজ ছিল তিরিক্ষি তার, এ ধরনের ছড়া নীচের ক্লাসের পাঠ্যবইয়ে দেখেছি, কিন্তু ওগুলো আলাদা ছড়ার বইয়ে ছিল, নাকি মূল পাঠ্যবইয়ে ছিল, তা স্পষ্ট মনে নেই। আপনার কমেন্ট পাওয়ার পর গুগলে একটু ঘাঁটাঘাটি করলাম না। নিশ্চিত না, ভাসা ভাসা জানতে পারলাম যে, 'সবুজ সাথী' সিরিজের বইগুলো ষাটের দশকের, যেগুলোই মনে হয় স্বাধীনতার পরও চলছিল। অথবা , ওগুলোর রিপ্রিন্ট/সংস্করণ চলছিল।
তাহলে বলেন, আপনি কোন বই পড়েছিলেন?
৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সফদার ডাক্তারের ফ্লেভারে মোহিত হলাম। আমি আসল ছড়াটি পড়িনি , তবে আপনার ছড়াটিতে ডাক্তারের ফ্যান হয়ে গেলাম।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার সৌজন্যে মূল ছড়াটি দেয়া হলো।
জবর ডাক্তার
হোসনে আরা
সফদার ডাক্তার মাথা ভরা টাক তার
খিদে পেলে পানি খায় চিবিয়ে,
চেয়ারেতে রাতদিন বসে গোনে দুই-তিন
পড়ে বই আলোটারে নিবিয়ে।
ইয়া বড় গোঁফ তার, নাই যার জুড়িদার
শুলে তার ভুঁড়ি ঠেকে আকাশে,
নুন দিয়ে খায় পান, সারাক্ষণ গায় গান
বুদ্ধিতে অতি বড় পাকা সে।
রোগী এলে ঘরে তার, খুশিতে সে চারবার
কষে দেয় ডন আর কুস্তি,
তারপর রোগীটারে গোটা দুই চাঁটি মারে
যেন তার সাথে কত দুস্তি।
ম্যালেরিয়া হলে কারো নাহি আর নিস্তার
ধরে তারে কেঁচো দেয় গিলিয়ে,
আমাশয় হলে পরে দুই হাতে কান ধরে
পেটটারে ঠিক করে কিলিয়ে।
কলেরার রোগী এলে, দুপুরের রোদে ফেলে
দেয় তারে কুইনিন খাইয়ে,
তারপর দুই টিন পচা জলে তারপিন
ঢেলে তারে দেয় শুধু নাইয়ে।
ডাক্তার সফদার, নাম ডাক খুব তার
নামে গাঁও থরহরি কম্প,
নাম শুনে রোগী সব করে জোর কলরব
পিঠটান দিয়ে দেয় লম্ফ।
একদিন সক্কালে ঘটল কি জঞ্জাল
ডাক্তার ধরে এসে পুলিশে,
হাত-কড়া দিয়ে হাতে নিয়ে যায় থানাতে
তারিখটা আষাঢ়ের উনিশে।
১০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানাই সুন্দর ছড়াটির পাঠ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছড়াটির প্রতি আপনার আগ্রহ দেখে আমারও ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকেও।
১১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬
অব্যক্ত কাব্য বলেছেন: নতুন সংস্করনে সফদার ডাক্তার বেশ ভালো লাগলো, ছড়াকারের জন্য শুভ কামনা
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। এবং পাঠ ও কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা আপনার জন্যও।
১২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০
নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো ।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি
১৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
দারুন বিবর্তন
+++
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
১৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন:
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
১৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভালোই তো!
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
তালগাছ সবগুলোই আপনার
১৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৪
সুমন কর বলেছেন: খুব মজার ছড়া ছিল আর আপনার নতুন ভার্সনও বেশ মজার হয়েছে।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই। আমার ভার্সনটিও মজার হয়েছে জেনে তৃপ্তি পাচ্ছি।
১৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৫৬
ঋতো আহমেদ বলেছেন: 'সফদার ডাক্তার' দারুণ ছন্দের ঝংকারে লিখা। স্কুলে পাঠ্য ছিল। প্রথম দশ/বারো লাইন মুখস্থ রাখতে হোতো পরীক্ষার জন্য। প্রিয় ছিল এটি। ডাক্তারের অদ্ভুত সব কাণ্ড কারখানা আমার কিশোর মনকে কৌতূহলী করে তুলে ছিল। খুব মজা পেতাম।
তুলনা করছি না। অনেক দিন পর আবার মনে করিয়ে দিলেন। আপনার ছড়াটি ভালো লাগলো।+++
২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বলেন কী, আপনি ক্লাসে পেয়েছেন এই ছড়া? আমরা পড়েছি সত্তর দশকে
ক্লাসে শিক্ষক ছড়াটি খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিতেন। শুনে মজা লাগতো। আমি প্রতি ক্লাসে একটা ছড়া মুখস্থ করেই পাশ করতাম যে-কোনো একটা ছড়া লিখতে হতো যে কিন্তু ক্লাস ফাইভে যেয়ে বিপদ হলো। ঠেলায় পড়ে তখন সব কবিতা মুখস্থ করতে হতো
অনেক ধন্যবাদ ঋতো আহমেদ।
১৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪২
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ৪ নম্বর প্যারাটা জোশ।
আমি পড়িনি আগে এটা। আসলটাও দিতেন না হয় সাথে
৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: উপরে একবার দিয়েছি। আপনার সৌজন্যে মূল ছড়াটি আবারো দেয়া হলো।
জবর ডাক্তার
হোসনে আরা
সফদার ডাক্তার মাথা ভরা টাক তার
খিদে পেলে পানি খায় চিবিয়ে,
চেয়ারেতে রাতদিন বসে গোনে দুই-তিন
পড়ে বই আলোটারে নিবিয়ে।
ইয়া বড় গোঁফ তার, নাই যার জুড়িদার
শুলে তার ভুঁড়ি ঠেকে আকাশে,
নুন দিয়ে খায় পান, সারাক্ষণ গায় গান
বুদ্ধিতে অতি বড় পাকা সে।
রোগী এলে ঘরে তার, খুশিতে সে চারবার
কষে দেয় ডন আর কুস্তি,
তারপর রোগীটারে গোটা দুই চাঁটি মারে
যেন তার সাথে কত দুস্তি।
ম্যালেরিয়া হলে কারো নাহি আর নিস্তার
ধরে তারে কেঁচো দেয় গিলিয়ে,
আমাশয় হলে পরে দুই হাতে কান ধরে
পেটটারে ঠিক করে কিলিয়ে।
কলেরার রোগী এলে, দুপুরের রোদে ফেলে
দেয় তারে কুইনিন খাইয়ে,
তারপর দুই টিন পচা জলে তারপিন
ঢেলে তারে দেয় শুধু নাইয়ে।
ডাক্তার সফদার, নাম ডাক খুব তার
নামে গাঁও থরহরি কম্প,
নাম শুনে রোগী সব করে জোর কলরব
পিঠটান দিয়ে দেয় লম্ফ।
একদিন সক্কালে ঘটল কি জঞ্জাল
ডাক্তার ধরে এসে পুলিশে,
হাত-কড়া দিয়ে হাতে নিয়ে যায় থানাতে
তারিখটা আষাঢ়ের উনিশে।
১৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সফদার ডাক্তার এর প্যারোডি দারুন লাগলো। অামিও এটা স্কুলে পড়েছি, তবে কোন ক্লাশে মনে নাই। এটার সাথে সাথে আরও একটা ছড়াও মনে পড়ে গেল,
ছিপ খান তিন দাড়, তিনজন মাল্লা
চৌপর দিনভর দেয় দুর পাল্লা
এটা আপনারা পড়েছেন? পড়লে কোন ক্লাশে ছিল? এসব ছড়া মনে আসাতে নিদারুন নস্টালজিক হয়ে পরলাম।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, আমরা!!!
৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভুয়া কমেন্ট আমার সবসময়ই খুব ভালো লাগে
খুব সম্ভবত ক্লাস থ্রি/ফোর/ফাইভে 'দূরের পাল্লা' ছড়াটি পড়েছি (সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত)। গুগল থেকে বিলাম। অনেক লম্বা ছড়া এটা। কিন্তু বইয়ে ছিল ছোটো, কিন্তু কতখানি ছিল তা বলতে পারবো না।
--
দূরের পাল্লা
- সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত---সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (সংকলিত)
ছিপখান তিন-দাঁড় -
তিনজন মাল্লা
চৌপর দিন-ভোর
দ্যায় দূর-পাল্লা!
পাড়ময় ঝোপঝাড়
জঙ্গল-জঞ্জাল,
জলময় শৈবাল
পান্নার টাঁকশাল |
কঞ্চির তীর-ঘর
ঐ-চর জাগছে,
বন-হাঁস ডিম তার
শ্যাওলায় ঢাকছে|
চুপ চুপ - ওই ডুব
দ্যায় পান্ কৌটি
দ্যায় ডুব টুপ টুপ
ঘোমটার বৌটি!
ঝকঝক কলসীর
বক্ বক্ শোন্ গো
ঘোমটার ফাঁক বয়
মন উন্মন গো|
তিন-দাঁড় ছিপখান
মন্থর যাচ্ছে,
তিনজন মাল্লায়
কোন গান গাচ্ছে?
রূপশালি ধান বুঝি
এইদেশে সৃষ্টি,
ধুপছায়া যার শাড়ী
তার হাসি মিষ্টি|
মুখখানি মিষ্টিরে
চোখদুটি ভোমরা
ভাব-কদমের - ভরা
রূপ দেখ তোমরা !
ময়নামতীর জুটি
ওর নামই টগরী,
ওর পায়ে ঢেউ ভেঙে
জল হোলো গোখরী!
ডাক পাখী ওর লাগি'
ডাক ডেকে হদ্দ,
ওর তরে সোঁত-জলে
ফুল ফোটে পদ্ম|
ওর তরে মন্থরে
নদ হেথা চলছে,
জলপিপি ওর মৃদু
বোল বুঝি বোলছে|
দুইতীরে গ্রামগুলি
ওর জয়ই গাইছে,
গঞ্জে যে নৌকা সে
ওর মুখই চাইছে|
আটকেছে যেই ডিঙা
চাইছে সে পর্শ,
সঙ্কটে শক্তি ও
সংসারে হর্ষ|
পান বিনে ঠোঁট রাঙা
চোখ কালো ভোমরা,
রূপশালী-ধান-ভানা
রূপ দেখ তোমরা
* * * *
পান সুপারি! পান সুপারি!
এইখানেতে শঙ্কা ভারি,
পাঁচ পীরেরই শীর্ণি মেনে
চলরে টেনে বৈঠা হেনে;
বাঁক সমুখে, সামনে ঝুঁকে
বাঁয় বাঁচিয়ে ডাইনে রুখে
বুক দে টানো, বইটা হানো -
সাত সতেরো কোপ কোপানো|
হাড়-বেরুনো খেজুরগুলো
ডাইনী যেন ঝামর-চুলো
নাচতে ছিল সন্ধ্যাগমে
লোক দেখে কি থমকে গেল|
জমজমাটে জাঁকিয়ে ক্রমে
রাত্রি এল রাত্রি এল|
ঝাপসা আলোয় চরের ভিতে
ফিরছে কারা মাছের পাছে,
পীর বদরের কুদরতিতে
নৌকা বাঁধা হিজল-গাছে|
* * * *
আর জোর দেড় ক্রোশ -
জোর দের ঘন্টা,
টান ভাই টান সব -
নেই উত্কণ্ঠা|
চাপ চাপ শ্যাওলার
দ্বীপ সব সার সার,
বৈঠৈর ঘায়ে সেই
দ্বীপ সব নড়ছে,
ভিল্ ভিলে হাঁস তায়
জল-গায় চড়ছে|
ওই মেঘ জমছে,
চল্ ভাই সমঝে,
গান গাও দাও শিশ,
বকশিশ! বকশিশ!
খুব জোর ডুব-জল
বয় স্রোত ঝিরঝির,
নেই ঢেউ কল্লোল,
নয় দুর নয় তীর|
নেই নেই শঙ্কা,
চল্ সব ফুর্তি,
বকশিশ টঙ্কা,
বকশিশ ফুর্তি|
ঘোর-ঘোর সন্ধ্যায়,
ঝাউ-গাছ দুলছে,
ঢোল-কলমীর ফুল
তন্দ্রায় ঢুলছে|
লকলক শর-বন
বক তায় মগ্ন,
চুপচাপ চারদিক -
সন্ধ্যার লগ্ন|
চারদিক নিঃসাড়,
ঘোর-ঘোর রাত্রি,
ছিপ-খান তিন-দাঁড়,
চারজন যাত্রি|
* * * *
জড়ায় ঝাঁঝি দাঁড়ের মুখে
ঝউয়ের বীথি হাওয়ায় ঝুঁকে
ঝিমায় বুঝি ঝিঁঝিঁর গানে -
স্বপন পানে পরাণ টানে|
তারায় ভরা আকাশ ওকি
ভুলোয় পেয়ে ধূলোর পরে
লুটিয়ে পল আচম্বিতে
কুহক-মোহ-মন্ত্র-ভরে!
* * * *
কেবল তারা! কেবল তারা!
শেষের শিরে মানিক পারা,
হিসাব নাহি সংখ্যা নাহি
কেবল তারা যেথায় চাহি|
কোথায় এল নৌকাখানা
তারার ঝড়ে হই রে কাণা,
পথ ভুলে কি এই তিমিরে
নৌকা চলে আকাশ চিরে!
জ্বলছে তারা! নিভছে তারা!
মন্দাকিনীর মন্দ সোঁতায়,
যাচ্ছে ভেসে যাচ্ছে কোথায়
জোনাক যেন পন্থা-হারা|
তারায় আজি ঝামর হাওয়া-
ঝামর আজি আঁধার রাতি,
অগুনতি অফুরান তারা
জ্বালায় যেন জোনাক-বাতি|
কালো নদীর দুই কিনারে
কল্পতরু কুঞ্জ কি রে?
ফুল ফুটেছে ভারে ভারে -
ফুল ফুটেছে মাণিক হীরে|
বিনা হাওয়ায় ঝিলমিলিয়ে
পাপড়ি মেলে মাণিক-মালা;
বিনি নাড়ায় ফুল ঝরিছে
ফুল পড়িছে জোনাক জ্বালা|
চোখে কেমন লগছে ধাঁধা -
লাগছে যেন কেমন পারা,
তারাগুলোই জোনাক হল
কিম্বা জোনাক হল তারা|
নিথর জলে নিজের ছায়া
দেখছে আকাশ ভরা তারায়,
ছায়া-জোনাক আলিঙ্গিতে
জলে জোনাক দিশে হারায়|
দিশে হারায় যায় ভেসে যায়
স্রোতের টানে কোন্ দেশে রে?
মরা গাঙ আর সুর-সরিত্
এক হয়ে যেথায় মেশে রে!
কোথায় তারা ফুরিয়েছে, আর
জোনাক কোথা হয় সুরু যে
নেই কিছুরই ঠিক ঠিকানা
চোখ যে আলা রতন উঁছে|
আলেয়াগুলো দপদপিয়ে
জ্বলছে নিবে, নিবছে জ্বলে',
উল্কোমুখী জিব মেলিয়ে
চাটছে বাতাশ আকাশ-কোলে!
আলেয়া-হেন ডাক-পেয়াদা
আলেয়া হতে ধায় জেয়াদা
একলা ছোটে বন বাদাড়ে
ল্যাম্পো-হাতে লকড়ি ঘাড়ে;
সাপ মানে না, ভাঘ জানে না,
ভূতগুলো তার সবাই চেনা,
ছুটছে চিঠি পত্র নিয়ে
রণরণিয়ে হনহনিয়ে|
বাঁশের ঝোপে জাগছে সাড়া,
কোল্-কুঁজো বাঁশ হচ্ছে খাড়া,
জাগছে হাওয়া জলের ধারে,
চাঁদ ওঠেনি আজ আঁধারে!
শুকতারাটি আজ নিশীথে
দিচ্ছে আলো পিচকিরিতে,
রাস্তা এঁকে সেই আলোতে
ছিপ চলেছে নিঝুম স্রোতে|
ফিরছে হাওয়া গায় ফুঁ-দেওয়া,
মাল্লা মাঝি পড়ছে থকে;
রাঙা আলোর লোভ দেখিয়ে
ধরছে কারা মাছগুলোকে!
চলছে তরী চলছে তরী -
আর কত পথ? আর ক'ঘড়ি?
এই যে ভিড়াই, ওই যে বাড়ী,
ওই যে অন্ধকারের কাঁড়ি -
ওই বাঁধা-বট ওর পিছন্
দেখছ আলো? ঐতো কুঠি
ঐখানেতে পৌঁছে দিলেই
রাতের মতন আজকে ছুটি|
ঝপ ঝপ তিনখান
দাঁড় জোর চলছে,
তিনজন মাল্লার
হাত সব জ্বলছে;
গুরগুর মেঘ সব
গায় মেঘ মল্লার,
দূর-পাল্লার শেষ
হাল্লাক্ মাল্লার!
---
এখন শুধু কপি পেস্ট করেছি, পড়ি নাই। ভবিষ্যতে পড়বো
২০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সোবহানাল্লাহ, এইটা এত্তোবড় তো জীবনেও ভাবি নাই!
পান সুপারি পর্ব ছিল, মনে পড়ছে। বাকীগুলা মনে হয় ছিল না। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত এত্তোবড় ছড়া লিখলো কেমনে এইটাও একটা গবেষণার বিষয়!!!
আরেকটা ভুয়া কমেন্ট করলাম!!
৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটা যে এতবড়ো তা আমিও ঝানতাম না। আজ কপি করতে যেয়ে দেখলাম। একবার রেডিওতে আবৃত্তি শুনেছিলাম, সেটাও বেশ লম্বা মনে হয়েছিল, কিন্তু তা যে এত লম্বা তা ঝানা ছিল না।
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত হলেন ছন্দের জাদুকর। ছড়ায় অদ্বিতীয়। ক্লাস নাইন-টেনে আমাদের এই কবিতাটা পাঠ্য ছিল। কবিতাটার মর্ম তারাই সবচেয়ে বেশি ফিল করবেন, যাদের একটা ছোট্ট পাখি পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছে।
সত্যন্দ্রনাথ দত্ত
ছিন্নমুকুল
সবচেয়ে যে ছোট্ট পিঁড়িখানি
সেইখানি আর কেউ রাখে না পেতে
ছোট থালায় হয় নাকো ভাত বাড়া
জল ভরে না ছোট্ট গেলাসেতে;
বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে যে ছোট
খাবার বেলায় কেউ ডাকে না তাকে,
সবচেয়ে যে শেষে এসেছিল
তারি খাওয়া ঘুচেছে সব-আগে।
সবচেয়ে যে অল্পে ছিল খুশি
খুশি ছিল ঘেঁষাঘেঁষির ঘরে,
সেই গেছে, হায়, হাওয়ার সঙ্গে মিশে,
দিয়ে গেছে জায়গা খালি করে।
ছেড়ে গেছে পুতুল, পুঁতির মালা,
ছেড়ে গেছে মায়ের কোলের দাবি;
ভয়-তরাসে ছিলো যে সবচেয়ে
সেই খুলেছে আঁধার ঘরের চাবি।
চলে গেছে একলা চুপে চুপে-
দিনের আলো গেছে আঁধার করে;
যাবার বেলা টের পেলো না কেহ,
পারলে না কেউ রাখতে তারে ধরে।
চলে গেলো, - পড়তে চোখের পাতা,-
বিসর্জনের বাজনা শুনে বুঝি!
হারিয়ে গোলো- অজানাদের ভিড়ে,
হারিয়ে গেলো - পেলাম না আর খুঁজি।
হারিয়ে গেছে- হারিয়ে গেছে, ওরে!
হারিয়ে গেছে বোল-বলা সেই বাঁশি
হারিয়ে গেছে কচি সে মুখখানি,
দুধে-ধোওয়া কচি দাঁতের হাসি।
আঁচল খুলে হঠাৎ স্রোতের জলে
ভেসে গেছে শিউলি ফুলের রাশি,
ঢুকেছে হায় শ্মশানঘরের মাঝে
ঘর ছেড়ে তাই হৃদয় শ্মশান-বাসী।
সব-চেয়ে যে ছোট কাপড়গুলি
সেগুলি কেউ দেয় না মেলে ছাদে,
যে শয্যাটি সবার চেয়ে ছোট
আজকে সেটি শূন্যে পড়ে কাঁদে,
সব-চেয়ে যে শেষে এসেছিলো
সে গিয়েছে সবার আগে সরে
ছোট্ট যে জন ছিলো রে সব চেয়ে
সে দিয়েছে সকল শূন্য করে।
২১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯
সনেট কবি বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফরিদ ভাই।
২২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এটা দারুণ একটি ছড়া, আপনার প্যারোডিও খুব মজার হয়েছে।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তারেক_মাহমুদ।
২৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪
আখেনাটেন বলেছেন: মূল ছড়াটা পড়েছিলাম। ওটা বেশ মজার। নতুন করে প্যারোডি আকারে সামনে আনায় ভালো লাগল।
*আচ্ছা ব্লগে কি আধুনিক সফদার ডাক্তারের অভাব অাছে নাকি?
৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যদ্দূর জানা যায়, ব্লগে আধুনিক সফদার ডাক্তার সাহেব ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।
হ্যাঁ, মূল ছড়াটাও অবশ্যই মজার, আর সেজন্যই ওটার একটা পানসে প্যারোডি করেছিলুম
ধন্যবাদ আখেনাটেন সাহেব
২৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ছড়াটা আসলেই মজার। দয়া করে সেই প্রসিদ্ধ ছড়াটির সাথে আমার এই মামুলি ছড়াটির কোনো তুলনা করবেন না
আপনি সেই ছড়ার পোষ্টমারটেম করেছেন।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ছড়াটা আসলেই মজার। দয়া করে সেই প্রসিদ্ধ ছড়াটির সাথে আমার এই মামুলি ছড়াটির কোনো তুলনা করবেন না
আপনি সেই ছড়ার পোষ্টমারটেম করেছেন।
আমি আর কী বলতাম, একটা বিরাট ধন্যবাদ দিলাম। ভালো থাকিয়েন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: নতুন সংস্করণ ভালোই লাগল।