নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দেখা প্রথম ছায়াছবি

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৭



দশ-এগার বছর বয়সের কালে মায়ের চোখে ধূলি দিয়ে দুই মহাধূরন্ধর বন্ধুর সাথে পদব্রজে বাড়ি থেকে তিন মাইল দূরবর্তী জয়পাড়া সিনেমা হলে গিয়ে জীবনের প্রথম ছায়াছবিটি দেখে রাত দশটার দিকে বাড়ি ফিরে এসে মায়ের হাতের সালুন নাড়ার লাঠিতে বেধড়ক ধোলাই খেয়ে আমাকে একটুও কাঁদতে হয় নি। সিনেমা দেখার উত্তেজনা ও আনন্দ এবং বিস্ময়ে আমি এতখানি ঘোরের ভেতর ডুবে গিয়েছিলাম যে এসব জাগতিক বিষয়আশয় তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয়ের চেয়েও গৌণতর জ্ঞান হচ্ছিল। এরপর অবশ্য প্রায় মাস দেড়েকের মতো আমাকে ঘরের ভেতর অন্তরীণ করে রাখা হয়েছিল; আমি নাকি সেয়ানা হয়ে গেছি, রাতবিরাতে ঘরের বাইরে থাকি, এই সেয়ানাগিরি ছোটানোর জন্য মায়ের এই কার্ফিউ ব্যবস্থা ছিল।

ছবির নাম বুলবুল-এ-বাগদাদ।
ছবি দেখার খায়েস অনেক আগে থেকেই ছিল। আর ছায়াছবি নামে যে অত্যাশ্চর্য একটা বস্তু আছে তা অবশ্য জানতে পেরেছিলাম এর বছর দেড়েক আগে, যখন জয়পাড়া বাজারে প্রথম বারের মতো প্রেক্ষগৃহ তৈরি হলো। পুরো দোহার, শ্রীনগর ও নবাবগঞ্জ উপজেলা মিলিয়ে দ্বিতীয় আর কোনো সিনেমা হল তখন ছিল কিনা সে সময়ের জ্ঞান নিয়ে তা জানা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। শুধু এটুকু ভাবা খুব সহজ ছিল, ইশ, আমাদের বাসা যদি ঢাকা শহরে থাকতো তাহলে সবগুলো সিনেমা হলে ঘুরে ঘুরে এক সপ্তাহে অনেকগুলি ছবি দেখতে পারতাম।

সিনেমা হলে ঢুকেই দেখি একেবারে প্রথম সাড়িতে আরেক মহাধূরন্ধর ক্লাসমেট। আমি পাশের দুজনকে বলি, সামনে তো কত সিট খালি, চল্, সামনে যাইয়া বসি।
ওরা দুজন সেয়ানারও সেয়ানা। আমাকে ধমক দিয়ে বলে, চোপ ভোদাই, ঐডা অইল থার্ড ক্লাস, আমরা বইছি সেকেন্ড ক্লাসে।
আমার কাছে খুব আশ্চর্য লাগলো। সামনের সারিটা থার্ড ক্লাস হয় কীভাবে? আমি নিজেকে মনে মনে একটু বেশি বুদ্ধিমান ভাববার চেষ্টা করি, আর বলি, তোমরা ভোদাই কিচ্ছু জানো না।
এর পরের দুবার আমি সামনের সারির টিকিট কিনেছিলাম; আর সামনের সারিটা কেন যে ফার্স্ট ক্লাস না হয়ে থার্ড ক্লাস হলো, তা বুঝতে আমার আরও বছর খানেকের মতো সময় লেগেছিল।
পতাকা উত্তোলনের সাথে সাথে সবাই দাঁড়িয়ে গেল। আমিও দাঁড়ালাম। শরীরে এক প্রচণ্ড অনুভূতি, যা বোঝানোর কোনো ভাষা নেই। সামনে এতক্ষণ একটা ধবধবে সাদা পর্দা ছিল। ছবি শুরুর আগে সঙ্গী দুজনকে একের পর এক প্রশ্নে ঝাঁঝরা করে ফেলেছি- এতটুকু জায়গায় জীবন্ত একটা শহর বা গ্রামের মানুষেরা কীভাবে চলাফেরা করে? ছবির মানুষগুলো কি সত্যিই নড়াচড়া করে, নাকি বায়স্কোপের মতো একের পর এক ছবি ভেসে ওঠে পর্দায়? সঙ্গী দুজনের মুখে ছবির গল্প শুনতে শুনতে আমার মনে এসব প্রশ্ন দেখা দিত।
জাতীয় পতাকা নামতেই তীব্র খটাখট খটাখট শব্দে কয়েক সারি ঘোড়া চোখের সামনে দিয়ে মরুভূমির এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের দিকে ছুটে গেল। এরপর আরো কয়েক সারি ঘোড়ার দুরন্ত ছোটাছুটি। আমি যুগপৎ বিস্মিত, চমৎকৃত ও উল্লসিত, আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে যাচ্ছে, চোখের সামনে যা দেখছি তা আমার কল্পনার জগৎ ছাড়িয়ে অনেক অনেক দূরের এক মহাবিস্ময়।
একটা ঘোড়া থামলো। ঘোড়ার পৃষ্ঠ থেকে নেমে খট খট কদম ফেলে যে অতিশয় সুদর্শন রাজকুমার রাজদরবারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে- সঙ্গীরা জনালো তাঁর নাম ওয়াসীম। আমি সত্যিই বিমোহিত হয়ে গেলাম ওয়াসীমের সৌন্দর্য দর্শনে।

এরপর কিছু জাদুদৃশ্যও বোধহয় ছিল। বিকট চেহারার এক দৈত্য ও তার অট্টহাসি দেখে ভয় পাচ্ছিলাম। সঙ্গীরা জানালো- তার নাম জাম্বু।
মাঝে মাঝেই তরবারি-যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধ আর ঘোড়দৌড় আমার কাছে সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় মনে হচ্ছিল।
আমার ঘোরলাগা বিস্ময় আকাশ ছুঁলো রাজকুমারীর দৃশ্যে। রাজকুমারী তার শয়নকক্ষে শায়িতাবস্থায় ছিল; সেখানে রাজকুমার ওয়াসীমের প্রবেশ। চমকে শোয়া থেকে উঠে বসে রাজকুমারী, আর এ দৃশ্যটা তিনবার করে দেখানো হচ্ছিল। ও-বয়সেই রাজকুমারীর রূপলাবণ্য দেখে আমি দিশেহারা হয়ে গেলাম। আমার কী যে ঘোর লেগে গেল!
রাজকুমারীর নাম অলিভিয়া।
তারপর বিশ্বাস করুন, জীবনে কত নায়িকাদেরই তো দেখলাম, অলিভিয়া জীবন ভর আমার কাছে স্বপ্নের রাজকন্যা হয়েই থাকল, তার মত অপরূপা সুন্দরী নায়িকা আর কাউকেই পেলাম না।

বিপুল উচ্ছ্বাস আর উত্তেজনার ঘোরে ছবি দেখা শেষ করে রাত সোয়া নয়টার দিকে জয়পাড়া সিনেমা হল থেকে আমরা ত্রিরত্ন মায়ের কোলে ফিরে আসতে হাঁটা ধরলাম।

দর্শক শ্রোতা পড়ুয়া বন্ধুরা, এবার আপনাদের জন্য রয়েছে আমার জীবনের প্রথম পরিচালিত ছবির প্রিমিয়ার শো। ছবিটি ব্লগিউড ঢালিউড ও হালিউডের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত। বাংলাদেশের সো ফার হাইয়েস্ট বাজেটের ছবি। আগামীবার এটি বিশ্ববিখ্যাত মবিল কমিটির মনোনয়নে নোবেল কমিটির বিচারায়নে ওস্কার কমিটির হস্তায়নে রেকর্ড সংখ্যক ১৭টি শাখায় পুরস্কার গ্রহণ করতে যাচ্ছে। কথা না বাড়িয়ে ছবি দেখা শুরু করুন। এতে যারা অভিনয় করেছেনন তাদের আপনারা অবশ্যই পর্দায় দেখতে পাবেন। চেহারাগুলো ভালো করে দেখে নিয়েন। বাই-বাই।

৭ মে ২০০৯

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কতবছর আগের ছবি ভাই এটি ?

ছবি দেখে হলের মধ্যে কান্নার রোল পড়েছে আগে আমিও কেঁদেছি অনেক, এখন ছবিই দেখিনা।

আপনার স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো ভাই

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটা আমি দেখেছি ১৯৭৯ সালের দিকে। কতসালে নির্মিত তা জানা নেই। এ ব্যাপারে কোথাও কোনো তথ্য পাচ্ছি না।

আমি জীবনে দুটি ছবি দেখে হলে কেঁদেছি, আমি একা না, অনেক মানুষ। একটা ছিল কসাই, আরেকটা শঙ্খনীল কারাগার। তবে, হলে আগের দিনে ছবি দেখে কাঁদতো একটু বেশিই মনে হয় :)

ধন্যবাদ নাঈম ভাই।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২০

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:


তখ্যাবি ললিখ দমুহমা নিপআ নমকে নছেআ???????

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুরুতেই প্রীশু নিন। আমি ভালো আছি। ধন্যবাদ।

দবান্যধ। নছেআ লোভা দমুহ্‌মা ললিখ। ননি শুপ্রী ইতেরুশু।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৫

আশাবাদী অধম বলেছেন: বখু লোভা ছেগেলে। মানেসি রয়া খিদে নখক। স্তব্য নবজী ওবুত ঝেমা ঝেমা খেদে নদনোবি রভেলা সয়াপ্র ইলাচা। দবান্যধ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এখন সিনেমা দেখতে গেলে ঘুম আসে, ঘুমাইতে গেলে তেমন ঘুম আসে না। সিনেমা দেখার সেই উত্তেজনা কোথায় গেল তা ভাবলে অবাক হই।

এই কথাটা উল্টাইয়া লিখতে পারবেন?

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমি অবশ্যই ২০০২ পরে ছবি দেখার উপযুক্ত হয়েছি। বৃহস্পতি বার, শুক্রবার ঈদের ছুটি মনে হতো। স্কুল বন্ধ, সারাদিন ঘুরাঘুরি; ছায়াছবি। উফ! তখনকার ফিলিংগুলা যদি ফিরত পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা থাকতো।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্সে থ্রি-ডি আসার পর বাচ্চাদের সাথে বেশ কয়েকবার হলে গেছি। এর আগে দেশে যখন ডিশ এলো, তখন ছবি দেখেছি। ডিশ দেখতে দেখতেই সিনেমা হলে যাওয়া বন্ধ, এরপর ল্যপটপসহ আরো কত বিনোদন! একটা সিনেমা শেষ করতে খুব কষ্ট লাগে :(

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩০

প্রামানিক বলেছেন: প্রথম ছায়াছবিটি দেখে রাত দশটার দিকে বাড়ি ফিরে এসে মায়ের হাতের সালুন নাড়ার লাঠিতে বেধড়ক ধোলাই খেয়ে আমাকে একটুও কাঁদতে হয় নি।
ছালুন নাড়ার লাঠিটার বাংলা নাম কি রে ভাই?

জয়পাড়ার একটি স্মৃতি আমারো আছে। ইচ্ছায় নয় বেকায়দায় পড়ে আমাকেও রাত সোয়া নয়টা পর্যন্ত সিনেমা দেখতে হয়েছিল। কেন সেখানে গেলাম, কিভাবে গেলাম, কি কারণে সিনেমা দেখলাম, সে কাহিনী কোন একদিন বর্ননা করবো।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সালুন নাড়ার কাঠির একটা ভালো আঞ্চলিক নাম আছে। এখন ওসব ভুলতে বসেছি। যদ্দূর মনে পড়ে ওটার নাম নাড়ানি। সালুন- তরকারি।

জয়পাড়ার কাহিনি শোনার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

অন্তরন্তর বলেছেন: আপনার প্রথম সিনেমা দেখা নিয়ে পোস্ট সেইরকম মজার হয়েছে খলিল ভাই। আমার একটা মজার ঘটনা শেয়ার করছি। আমাদের সময়( সেটা আপনার সময়ের ২/৩ বছর আগে হবে) অষ্টম শ্রেণীতে যখন পড়ি তখনকার। আমাদের বৃত্তি পরীক্ষার জন্য আলাধা ৮ জনের ক্লাস হচ্ছে। একদিন দুইজন স্যার আসতে পারেননি অসুস্থটার জন্য। ক্লাস হবে না কি আর করা সবাই বাড়ি ফেরার জন্য তৈরি হচ্ছি, এমন সময় আলম স্যার ( উনি বাংলা পড়াত আমাদের )আমাদের সকলকে নিয়ে সিনেমা দেখাবে বলে নিয়ে গেল মধুমিতা হলে। আমরা সকলেই খুব খুশি কিন্তু সিনেমাটা হল ইংরেজি। চিন্তা করেন ইংরেজি সিনেমা তাই মন সবার খারাপ। কিন্তু স্যার আমাদের সেই সিনেমাটা দেখাল এবং বাংলায় সবটুকু সিনেমা বুঝিয়ে দিল। সিনেমাটা ছিল সফিয়া লরেনের সান ফ্লাউয়ার। আমি জীবনে অন্তত ১০ বার এ সিনেমাটা দেখেছি। এটা আমার জীবনের সিনেমা দেখা কোন সিনেমা হলে। আপনার পোস্ট পড়ে নস্টালজিক হলাম সেই সময়ের সিনেমা দেখার ব্যাপারে।
আপনার ছবিটিতে রাজীব নুর ভাইকে সত্যি নায়কের মত লাগছে। অনেক মজা লাগল। শুভ কামনা।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার ছবিটিতে রাজীব নুর ভাইকে সত্যি নায়কের মত লাগছে। অনেক মজা লাগল। শুভ কামনা। আপনি প্রথম এই টার্গেটেড পয়েন্টে হিট করলেন :)

আপনার ছবি দেখার অভিজ্ঞতা বেশ কান্নাহাসিতে ভরপুর দেখছি :) সানফ্লাউয়ারের অনেক কথা শুনেছি, কিন্তু দেখা হয় নি। আমি এখনো প্রচুর ছবি, গান সংগ্রহ করি, কিন্তু দেখা হয় না।

অনেক ধন্যবাদ অন্তরন্তর অভিজ্ঞতা শেয়ার ও কমেন্টের জন্য।

৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৭

অন্তরন্তর বলেছেন: এটা আমার জীবনের প্রথম সিনেমা হবে। টাইপ মিস্টেক হয়েছে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, ওটা বুঝেছিলাম ঠিকই। ধন্যবাদ ভাই।

৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

সোহানী বলেছেন: দাড়াঁন আগে হেসে নেই তারপর বাকি কথা....... B-) B-) =p~ =p~

রাজিব নুর ভাই কি আছেন? আওয়াজ দিয়েন................!!!!!!!!!!!!!!!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তেনি এখন রেড কার্পেট সেরেমেনিতে আছেন। অটোগ্রাফ ফটোগ্রাফ দিতে দিতে তার হ্যান্ডগ্রাফ টায়ার্ড। আশা করি শীঘ্রই তেনি আমাদের দর্শন দিবেন

৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

সনেট কবি বলেছেন: আমার ভাতিজাকে নায়ক বানাইছেন! দারুন লাগল।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার ভাতিজাকে নায়ক বানাইতে পেরে নিজেকে ধন্য কৃতার্থ ও বিবাহিত মনে করছি ফরিদ ভাই। আশা করি ছবিটি আপনাদের ভালো লাগবে

১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বুলবুল - এ - বাগদাদ দেখার দারুণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন। তবে আমার অবশ্য এরকম কিছু মনে নেই প্রথম কোন মুভিটা দেখেছিলাম।



শুভেচ্ছা নিয়েন।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দেইখেন, কোনোদিন মনে পড়লে জানাইয়েন :)

ধন্যবাদ চৌধুরি ভাই। ভালো থাকবেন।

১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: রাজীব নূর ভাইরে দারুণ লাগছে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: উনি বাংলার চিরতরুণ উত্তম কুমার। উনারে ভালো লাগতেই হবে।

১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


১ম সিনেমা আনুমানিক কোন সালে?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ১৯৭৯ সালে, আমি তখন সিক্সে পড়ি :)

১৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:


শুভ সকাল ভাই, প্রীশু নিবেন।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুভ সকাল। প্রীশু নিলাম। আপনিও আমার পক্ষ থেকে প্রীশুভা নিন

১৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: BLOGGER নাম্বার ওয়ান দেখে তো আমি ইয়টোবে সার্চ দিতে গেছিলাম। ভাজ্ঞিস লেখাটা পড়লাম।

আপনি পারেনও বটে :``>>

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সার্চ দিয়া দেখেন, কিছু পাইলেও পাইতে পারেন

হ্যাঁ, কিছুটা তো পারলামই, জোড়া লাগাইতে না পারলেও ভাঙতে পারি অন্তত :)

১৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: প্রথমে আমি বুঝতেই পারিনি এটা আমি।
ভালো করে লক্ষ করে দেখলাম এটা আমি। খুব ধাক্কা খেলাম। খুব বেশি ধাক্কা খেলাম।

আপনি কি এই মুভিটার কথা বলছেন
সম্ভবত এই মুভির গান এটা।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহা

যাক, শেষ পর্যন্ত নিজেকে চিনতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। ভাবীকে এটা দেখিয়ে বলতে পারেন, একটা নায়কের চেহারার সাথে আপনার হুবহু মিল পাওয়া যাচ্ছে :)

ধাক্কা সামলাইছেন নাকি?

না, ওটা ভুল লিংক। ওটা রাজকন্যা ছবিতে রোজিনা আপা







১৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: স্কুল পালিয়ে ছিনেমা দেখার কথা কি ভোলা যায়।
আপনার স্মৃতিচার ভাল লেগেছে ভাইয়া।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার ক্ষেত্রে স্কুল পালানো কোনো ব্যাপারই ছিল না। কিন্তু নির্দিষ্ট টাইমের পরে বাসায় এলেই নির্ঘাত ধরে নেয়া হতো আমি সিনেমা দেখে এলাম, এমনকি যদি অন্য অপকর্ম করেও লেট হতাম, দোষ পড়তো সিনেমার উপর :(

১৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

সুমন কর বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে ভালোই লাগল। মা'র দেড় মাসের কার্ফিউও পরে আবার কি ছবি দেখতে গিয়েছিলেন?

মামাই প্রথম আমাকে হলে নিয়ে ছবি দেখিয়েছিল, সাথে মা-বোন সবাই ছিল। মানে পরিবার নিয়ে হলে গিয়ে মুভি দেখা। তখন হয়তো টু-থ্রী'তে পড়ি। যতটুকু মনে পড়ে ২/৩ বারের বেশি হলে গিয়ে মুভি দেখা হয়নি।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মায়ের মৃত্যুর পর আমি বেশ স্বাধীন হয়ে যাই। তবে চাচির কড়া নজর ছিল, সন্ধ্যা হলেই সে ধরে নিত আমি সিনেমা দেখতে গিয়েছি। ডিফেন্স নেয়ার মতো অত বুদ্ধিও ছিল না :( তবে মাঝে মাঝে নিজের বুদ্ধি দেখে নিজেই চমকে যেতাম। একবার দুই বন্ধু স্কুল থেকে সরাসরি সিনেমা দেখতে যাচ্ছি। পথেই আমার বাবার সাথে দেখা। বাবাকে বললাম জরুরি বই কিনতে যাচ্ছি। বাবা আমার হাতে বইয়ের দাম বাবদ টাকা ধরাইয়া দিল। আমি পারি তো উইড়া যাইতে থাকি :)

১৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৮

এ.এস বাশার বলেছেন: ওকে আপনারা আড্ডা দিন এই ফাঁকে একটা সিনেমা দেখ্যা আসি।
ভাল থাকবেন।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সিনেমা দেখা কি শেষ হয় নাই? অবশ্য আমি ঐ সিনেমাটা দেখি নাই :(

১৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: প্রচন্ড ধাক্কা খেয়েছি।
সুরভি সহ ছবিটা আরও অনেককে দেখিয়েছি।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা

আমার প্রশ্ন ছিল- ধাক্কা সামলে উঠতে পেরেছেন কিনা :)

আপনার পাশে হলিউডি জোলি আর ঢালিউডি জয়া আহসানকে দেখে ভাবী সাহেবার প্রতিক্রিয়া কী?

২০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: পোষ্টারে ব্লগের মাত্র একজন ছাড়া অারো অনেকের নাম থাকলে বিষয়টা অারো উপভোগ্য হতো।
যেমন অানোয়ার হোসেন রুপী প্রবীণ ব্লগার চাদগাজী,প্রবীর মিত্ররুপী ন্যায়ের পক্ষে সহায়তাকারী সৎ চরিত্রের ঠাকুর মাহমুদ ভাই,নায়কদের বন্ধু টারজান ০০৭,পদাতিক চৌধুরী,নতুন নকিব,খল-নায়িকা কানাডা প্রবাসিনী ...,খল-খুনী-ধর্ষক উদাসী ও তার কুটবুদ্ধিদাতা উপদেষ্টা মডু অার সবসময়ই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী (ALL TIME ACTION HERO) নায়ক অনল চৌধুরীর নাম পোষ্টারে থাকলে জমজমাট হতো।
কসাই ছবিটা অশ্লীলতার অভিযোগে জিয়ার আমলে নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।
১৯৭৪ সালে অলিভিয়ার গানটাই প্রমাণ করে,স্বাধীন দেশের চলচ্চিত্রে কিভাবে অশ্লীলতার সূচনা ঘটেছিলো।অার এই অশ্লীলতা ও হিন্দি শোলে ছবির নকল করে স্বাধীন বাংলাদেশের ছবিতে হুবহু নকলবাজির সূচনা করে নায়ক-পরিচালক-প্রযোজক সোহেল রানা।
সেইসময় ভিডিও বা ডিশ এ্যান্টেনা কিছুই ছিলোনা।তারপরও এইসব ব্যাক্তিরা ভারতে গিয়ে প্রেক্ষাগৃহে বসেই হিন্দি ছবি দেখে দেশে এসে নকল করে ছবি বানাতো।
যার ফলে ১৭ কোটি লোকের বাংলাদেশের রমরমা ছবির ব্যবসা ধ্বংস হয়েছে অার মাত্র ৬/৭ কোটি লোকের তামিল-তেলেগু ছবি মৌলিকত্বের কারণে সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় অার ব্যবসা সফল হচ্ছে।
অাত্মমর্যাদাবোধ না থাকলে ভালো কিছুই অর্জন করা যায়না বরং সবকিছু ধ্বংস হয়।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছবি ও গানের উপর আপনার জ্ঞান দেখে আমি মুগ্ধ। অনেক কিছুই আমার জানা ছিল না।

পাত্রপাত্রীদের ব্যাপারে আমি একমত। ওইগুলো হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনি প্লি এগুলো দেখতে থাকুন :)


ব্লগারদের প্রোপিক নিয়ে ফান মিউজিক ভিডিও :)













২১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২২

অনল চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।
অারো অনেক বিষয়ের মতো আমি চলচ্চিত্র নিয়েও গবেষণা করি।
অার দীর্ঘদিন ধরে বাস্তব জীবনের এর সাথে যুক্ত।
যেেকোন বিষয়ে তথ্যসূত্রে প্রয়োজন হলে অমাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।
অাশাকরি তথ্য দিতে পারবো।
বুলবুল এ বাগদাদ কতো সালে দেখেছিলেন অার তখন কিসে পড়তেন?
যতদূর মনে পড়ে ওটা '৭০ এর দশকের ছবি।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ১৯৭৯ সালের দিকে বুলবুল এ বাগদাদ দেখি। ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। উপরে কোথাও বোধহয় ৭ম শ্রেণির কথা বলেছি, ওটা ভুল। দেখেছি ১৯৭৯ সালেই।

আমি পুরোনো গান ও পুরোনো ছবি কালেকশনে রাখি। নীচের ছবিগুলো যদি পাইতামঃ

১) কসাই

২) বুলবুল এ বাগদাদ

৩) জনতা এক্সপ্রেস

৪) লুটেরা

৫) মোকাবেলা

৬) তাজমহল

৭) শাহাজাদী গুলবাহার

এগুলো প্রথম দিককার ছবি। নীচের দুইটা দেখি নাই, উপরের গুলো দেখেছি। সংগ্রহে থাকলে দিন।

ধন্যবাদ অনল চৌধুরী।

২২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৯

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার প্রথম ছবি দেখার উত্তেজনা টের পেলুম লেখাতে ভালোমতোই। আমিও কাছুকালে ৯৫ কি ৯৬ তে প্রথম সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখি বড় আপাদের সাথে। সে এক মহা হুলুস্থুল ব্যাপার। মজার একটি ঘটনাও আছে। ছবির নাম ছিল 'গরম হাওয়া'। হা হা হা।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি খুবই বিব্রত, লজ্জিত ও বিবাহিত যে এই ছবিখানা আমার দেখা হয় নাই। এই ফাঁকে ইউটিউবে ১ মিনিট দেখলাম। বুঝলাম, গরম গরম কিছু আলামত দেখাবে, তারপর পরিস্থিতি গরম হবে। তারপর সবাই গরম হইয়া ভিলেনরে মারবে :)

মজার ঘটনা তো বলতে হবে, নাকি? না বললে আমরা বুঝবো কীভাবে আপনার ত্যাঁদড়ামি কোন মাত্রা পর্যন্ত গেছিল?

২৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

জাহিদ অনিক বলেছেন:


বাংলা ছিঃনেমার ইতিহাসে এই পোস্টারটা এইটা মাইলফলক হয়ে রইবে।
রবীন্দ্রনাথের আগেই আপনি এটা আবিষ্কার করে ফেলেছেন যে কিভাবে সাহিত্যিক মূল্যমানে একটা বাণিজ্যিক ছবির প্রচারনা করা যায়।

বিঃদ্রঃ সিনেমা হলে গিয়ে আমার প্রথম ছবি ছিল "মাস্তানের উপর মাস্তান"-- কাহিনী কিছুই মনে নাই, খালি মনে আছে একটা দৃশ্যে নায়িকার জামা কাপড় নোংরা হয়ে গিয়েছিল বলে ভিলেন সেগুলো ধুয়ে দেবার জন্য খুলে নিচ্ছিলো। আহারে বড় ভালো ভিলেন ছিল। এমন দায়ালু ভিলেন আর হয় না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা দৃশ্যে নায়িকার জামা কাপড় নোংরা হয়ে গিয়েছিল বলে ভিলেন সেগুলো ধুয়ে দেবার জন্য খুলে নিচ্ছিলো। আহারে বড় ভালো ভিলেন ছিল। এমন দায়ালু ভিলেন আর হয় না। এই কাম তো ডিপজল ছাড়া আর কারো করার কথা না। ও খুব ভালো ভিলেন। এইজন্যই তো পরে নায়ক হইয়া গেছে :) আমাদের এই অনন্য কৃতিত্বের অধিকারী মাত্র দুজন- জসিম আর ডিপজল। তারা ভিলেন হইয়া যেই কুখ্যাতি কামাইছিল, নায়ক হইয়া তার কয়েকগুণ বেশি সুখ্যাতি কামায় :)

বাংলা ছিঃনেমার ইতিহাসে এই পোস্টারটা এইটা মাইলফলক হয়ে রইবে।
রবীন্দ্রনাথের আগেই আপনি এটা আবিষ্কার করে ফেলেছেন যে কিভাবে সাহিত্যিক মূল্যমানে একটা বাণিজ্যিক ছবির প্রচারনা করা যায়।
রবীন্দ্র পরবর্তী যুগে এমন মূল্যায়ন একমাত্র আপনার দ্বারাই সম্ভব

২৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৫২

অনল চৌধুরী বলেছেন: জসিম আর ডিপজল দুইজনই খল হলেও জসিমের সাথে পেশাদার সন্ত্রাসী ডিপজলে তুলনা হয় না।সে তুইবার ব্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছে ,তা তো আপনিও জানেন।
জমসম একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।স
তিনি স্বাধীন দেশের প্রথম নকল ছবি শোলের নকল দোস্ত-দুশমণের প্রযোজক ও সেই ছবিতে আমজাদ খানের চেরেত্র অভিনয় করেছিলেন।শোনা যায় এজন্য আমাজাদ খানও নাকি তার প্রশংসা করেছিলেন।
জসিম বাংলা চলচ্চিত্রের একমাত্র ব্যাক্তি যিনি খল অভিনেতা ও নায়ক-দুই ক্ষেত্রেই সমান জনপ্রিয় ছিলেন।অভিনয়ের ব্যাকরণ না জানলেও তার অভিনয় সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলো,বিমেষ করে নায়ক হিসেবে প্রায় প্রতিটা ছবিতে ভাইয়ের চরিত্র।তার ছবি ব্যবসায়িকভাবে ব্যার্থ হয়েছে,এমন দৃষ্টান্ত কম।অার ডিপজলের মতো গালাগালি বা অশ্লীল দৃশ্যে তিনি অভিনয় করেননি।
অভিনেতা ও প্রযোজক ছাড়া তিনি মারামারির পরিচালকও ছিলেন
মার্শাল অার্ট না জানার পরও এ বিষয়ে তিনি ভালো দক্ষতা দেখিয়েছিলেন।
অার লম্পট,সন্ত্রাসী ডিপজল ছবির জগতে এসেছিলোই নতুন নতুন মেয়ের সাথে লাম্পট্য করার জন্য।
সে বাংলা ছবিতে গালি দেয়ার প্রচলনকারী।
এ ইতিহাস পরে বলবো।
অাপনার অঅগ্রহের ছবিগুলির জন্য অাগারগাও এর ফিল্ম আর্কাইভ,বা জাতীয় সংগ্রহশালায় যোগাযোগ করতে পারেন।লাভা ভিডিওর কাছেও কয়েকটা থাকতে পারে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছবির উপর দেখি আপনার অসাধারণ গবেষণা!!! আমি মুগ্ধ।

বাংলা চলচ্চিত্রে রাজীব আর হুমায়ুন ফরিদী নায়ক হিসাবে এসে ভিলেন হিসাবে বের হয়ে গেছেন। দুজনেই, আমার মতে, ভিলেন হিসাবে বেটার পারফর্ম করেছেন।

আদিল ছিল সম্ভবত প্রথম ভিলেন, যিনি নায়ক হিসাবে অভিনয় শুরু করেন, কিন্তু তিনি ব্যর্থ। ড্যানি সিডাক ছিলেন আরেকজন, তিনিও বোধহয় খুব ভালো করেন নি।

সিডির দোকানে গিয়ে আমি পুরোনো ছবি অনেক খুঁজেছি, কুমিল্লা আর ঢাকার কোনো দোকান বাদ ছিল না। ইদানীং ইউটিউবে বেশকিছু পুরোনো ছবি পাচ্ছি, তবে কোয়ালিটি খুব খারাপ।

২৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:০৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: অাপনার তালিকার দুইটা ছবি ইউটিউবে পেয়েছি অঅর দুইটা ছবির গান।
বুঝলাম ওয়াসিম অাপনার প্রিয় নায়ক অার জসিম প্রিয় খল।নায়িকার কথা তো আগেই বলেছেন।
ওয়াসিম ছিলেন একজন ব্যায়ামবিদ।এজন্যই তাকে ছবিতে নেয়া হয়েছিলো।
বহু ব্যবসাসফল ছবি করেছিলেন।
https://youtu.be/NH_JSTbeE9U
https://youtu.be/GFU-2R2lL4g
https://youtu.be/oP5FXKZUbIM
https://youtu.be/SU4U3NcIo74

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লুটেরা আমার দেখা ৩য় ছবি, যেটিতে দস্যুদের চেহারা দেখে ভয় পেয়েছিলাম। এজন্য এটা খুঁজছিলাম। মোকাবেলা ছিল সম্ভবত ৫ম বা ৬ষ্ঠ ছবি। রেডিওতে বিজ্ঞাপন হতো যে, লুটেরা'র পর মোকাবেলা হবে আরেক দুর্ধ্বর্ষ ছবি। রোজিনা তখন দারুণ ফর্মে, এবং তাকে বলা হতো রূপসী রোজিনা। আমার ফেভারিট ছিল :)

আরো যেসব ছবি খুঁজছিঃ

বিনি সুতার মালা (ওয়াসিম/রোজিনা)

আনার কলি (রাজ্জাক/ববিতা/রোজিনা)

মালকা বানু

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।
দ।আমি স্কুল ছাড়ার পর উচ্চমাধ্যমিকক থেকে এমএ পর্যন্ত ক্লাস করতে যাইনি ।কারণ আমার যুক্তি ছিলো ,শিক্ষকরা একটা বই থেকে ক্লাস যা পড়াবেন,আমি তিনটা বই পড়ে তার চেয়ে বেশী জানতে পারবো।
বিজ্ঞান বিভাগে পড়িনি,তাই ব্যবহারিকের জন্যও ক্লাস করার দরকার ছিলোনা।তাই ঘর বসে প্রতিদিনই ছবি দেখতাম,বই পড়তাম অার লেখালেখি করতাম।
প্রতিটা ছবি ২ বার দেখতাম,বেশী ভাল লাগলে ৩ বার।
হলিউড,হিন্দি,হংকং,ভারতীয় বাংলা অার বাংলাদেশী কয়েক হাজার ছবি দেখেছি।
কোন ছবির পরিচালক,অভিনেতা,অভিনেত্রী ছাড়াও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম,মারামারি পরিচালক .শুটিং স্থান এমনকি বানানোর বছর-সবকিছু দেখার চেষ্টা করতাম।
পরে চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যমে এমএও করেছি।
যেকোন দেশের ছবি সম্পর্কে জানতে চাইলেই তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য দিতে পারবো।
অাদিলের আগেই জসিম খল থেকে নায়ক হয়েছিলেন,১৯৮৫ এ দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত সবুজ সাথী ছবিতে
নায়িকা ছিলেন শাবানা।
হুমায়ন টাকার লোভে মঞ্চ অার টিভি থেকে চলচ্চিত্রে এসেছিলো। হিন্দি ছবির খলদের মতো ছবিতে নাচতো অার যারা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে হিন্দির নকল বাংলা ছবি দেখতো না,তাদের বিটিভি'র অনুষ্ঠানে এসে শালা বলে গালি দিতো।১৯৯৫ এ সে ঋতুপর্ণার সাথে হিন্দি অগ্নিসাক্ষী ছবির হুবহু নকল রাঙ্গা বউ ছবিতে চরম অশ্লীল দৃশ্যে অভিনয় করেছিলো।
অাদিল কোনদিকেই খুব জনপ্রিয় ছিলেন না।
ড্যানি সিডাক(মোহাম্মদ অালী) শহিদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত বাংলাদেশের প্রথম মার্শাল অার্ট ভিত্তিক ছবি লড়াকু তে রুবেলের বিপরীতে খল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।মার্শাল অার্ট জানা ও শয়তানি ভাব-ভঙ্গীর কারণে তিনি ছিলেন প্রচন্ড জনপ্রিয়।তার অার রুবেলের লড়াকু,বীরপুরুষ,মারকশা,আমি শাহেনশা,বজ্রমুষ্ঠি,সন্ত্রাস-এই ছবিগুলি জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল হয়েছিলো।কিন্ত ১৯৯৭ এ নায়ক হতে গিয়ে সফল হতে পারেন নি।
রাজিবও ভালো অভিনেতা ছিলেন।
প্রধান খল না হলেও তাদের শক্তিশালী সহায়ক হিসেবে জাম্বুও তার বিশাল শারিরীক গঠনের কারণে জনপ্রিয় ছিলেন।তবে তার কন্ঠ ছিলো মেয়েলি।ছবির বিজ্ঞাপনে কন্ঠ দেয়া মাজহারুল ইসলাম তার গলা দিতেন।তাকে ছাড়া দৈত্য চরিত্রে অন্য কারো ভূকিা কল্পনাও করা যেতো না।
মিশা সওদাগর অার অামি ১৯৮৯ এ ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলমের কাছে একসাথে মার্শাল অার্ট শিখতাম।তিনি মানুষ হিসেবে খুব ভালো ছিলেন।১৯৯০ সালে তার প্রথম ছবি চেতনা'র ৬ নায়কের একজন ছিলেন।পরে খল হয়ে নাম করেছেন।কিন্ত কয়েকটা ছবিতে অতিমাত্রায় অশ্লীল দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন,যা অামার ভালো লাগেনি।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার তো দেখি অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ছবি বানাইছেন কয়টা? নাকি এখনো শুরু করেন নাই। বানাইয়া ফালান। ছোটোকালে আমার এইম ছিল মৃত্যুর আগে অন্তত তিনটা সাড়াজাগানো ছবি বানাইয়া মরবো :) পরে কয়েকজন অভিজ্ঞ মানুষ সুবুদ্ধি দিয়া মাথা থেকে ভূত সরাইয়া দিয়েছে।

উপরের কমেন্টে উল্লেখ করা ছবিগুলোর কোনো সন্ধান থাকলে আমাকে দিয়েন।

যখন সেভেন বা এইটে পড়ি, তখন পূর্বাণী বা চিত্রালীতে একটা নিউজ হয়েছিল- আদিল নায়ক হতে যাচ্ছে। এটা ছিল ১৯৮০ বা ৮১। আদিল সম্পর্কে জানার জন্য সার্চ দিয়ে যেটা পেলাম তাতে খুব কষ্ট পেলাম। ৩ অক্টোবর ২০১৫-তে আসিল মারা গেছেন। খুবই খারাপ লাগলো।

রাজ্জাকের 'আগুন' ছবিটা খুঁজছি, মাগো তোর কান্না আমি সইতে পারি না

অনন্ত প্রেম- ও চোখে চোখ পড়েছে যখনি

পাইলে দিয়েন

২৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: অামি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে চলচ্চিত্র,টিভি ও মঞ্চ নাটকের সাথে জড়িত।
ক্লিন্ট ইষ্টউড,অামার প্রথম মার্শাল অার্ট ওস্তাদ ব্রুস লি,জ্যাকি চ্যান,কেভিন কষ্টনার,মেল গিবসন-কে একই সাথে অভিনয় ও ছবি পরিচালনা করতে দেখে আমিও তাদের মতোই অভিনেতা অার পরিচালক হওয়ার ইচ্ছাতে থিয়েটারে অভিনয় শিখেছি,অার পরে চলচ্চিত্রের উপর এমএ করেছি।কিন্ত মিডিয়া জগতটা লম্পট অার নারী ব্যবসায়ীদের জায়গা।
ওদের এইসব অসভ্যতার প্রতিবাদ করার কারণে এ জগতে সফল হতে পারিনি।
এমনকি এটা নিয়ে লিখতে গিয়ে এই ব্লগেও প্রথম পাতায় লেখা প্রকাশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।কিন্ত কিছু প্রামাণ্যচিত্র বানিয়েছি।অার অবশ্যই ছবিও বানাবো।
চাইলে অাপনিও বানাতে পারেন।
ডিজিটাল প্রযুক্তি আসার কারণে বিষয়টা এখন অনেক সোজা।
অার ইউটিউবে দিলে দর্শক অনেক হলে আয়ও করা যাবে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা ও সম্ভাবনার কথা শুনে খুব ভালো লাগলো। এগিয়ে যান। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.