নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
আমরা তখন নিউ টেনে পড়ি, অর্থাৎ, দশম শ্রেণিতে উঠেছি, কিন্তু তখনো এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয় নি বলে আমাদের ক্লাসকে নিউ টেন বলা হয়।
স্কুলে ধুমাইয়া স্পোর্টসের প্র্যাক্টিস হচ্ছে। ক্লাস শুরু হয় ১১টায়, কিন্তু আমরা পারি তো ভোরে উঠেই স্কুলে গিয়া মাঠ দখল করি।
আমাদের বজলু ছিল লং জাম্প, হাই জাম্প আর ট্রিপল জাম্মে মাস্টার। আহসান আর আলীও। আহমেদ জীএস ভাই হলো শট পুটের চিরস্থায়ী চ্যাম্পিয়ন। মান্নানকে ঐ বছরই আবিষ্কার করি জ্যাভলিন থ্রোয়ার হিসাবে।
আমি কোন কোন ইভেন্টে ওস্তাদ ছিলাম বলবো না, দেখি আন্দাজ করে কমেন্টে কেউ কিছু লিখে কিনা।
তো যেদিন অ্যানোয়াল স্পোর্টস হলো, তার পরের দিন নিয়মানুযায়ী ছুটি ঘোষণা করা হলো। ঐ সময়ে আমরা এতটাই স্কুলপাগল হইয়া গেছিলাম যে, স্কুল ছুটি হওয়ার পর মন বেদনার ভারে আক্রান্ত হইয়া উঠতো। এর কারণটা বলে রাখা ভালো- আগের বছর পর্যন্ত মেয়েরা শুধু ক্লাসের সময় স্যারদের পিছে-পিছে ক্লাসে আসতো, ক্লাস শেষে স্যারদের আগে-আগে ক্লাস থেকে বের হয়ে কমন রুমে চলে যেত। এ ব্যাপারটা আমাদের কাছে অত্যন্ত লজ্জার জনক ও অপমানের জনক ছিল। এর বিরুদ্ধে আমাদের মন বিদ্রোহী হয়ে উঠছিল; বিশেষ করে ক্লাস ক্যাপ্টেন শাহজাহান মিয়া শুরু থেকেই এটার বিপক্ষে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে আসছিল। ক্লাস টেনে ওঠার পর আমরা বেশ কয়েকবার শাহজাহানকে নিয়া সংলাপে বসলাম। আমরণ অনশনে যাব কিনা তা নিয়াও চিন্তাভাবনা করলাম। তারপর সবাই মিলে শক্ত একটা প্রতিবাদের লিপি লিখলাম। তাতে স্কুলের সকল ছাত্রের স্বাক্ষর গ্রহণ করলাম; আমাদের এ আন্দোলনে বেশ কয়েকটা মেয়ে আমাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করলো। ফলে আমাদের শক্তি অনেক গুণ বেড়ে গেলো। শাহজাহান হেড স্যারের কাছে গিয়া প্রতিবাদের লিপিটা জমা দিয়া আসলো। ফলাফল অপ্রত্যাশিতভাবেই আমাদের পক্ষে এলো। ব্যাপারটা বুঝলেন তো! মেয়েরা তার পর থেকে কমন রুমে যাওয়া থেকে নিস্কৃতি পাইল। এখন ব্যাপারটা বুঝছেন তো কেন আমরা স্কুলে যাওয়ার জন্য এত পাগল ছিলাম? আমাদের আসলে বাসায় মন টিকতো না। মাত্র বছরখানেক পর স্কুল শেষ করে কে কোথায় চলে যাব, আমাদের ক্লাসমেট মেয়েগুলো বেছে বেছে বড়ো ভাইদের বিয়ে করবে, আমরা পথের এতিম হয়ে যাব। এই একবছর কাল যত বেশি ওদের সাথে সময় কাটানো যায়, ততই ভালো। এটা মিস করা যায় না। কেন যে ২৪/৭ নিয়মে ক্লাস হয় না- আমরা এ নিয়ে গভীর চিন্তার ভেতর মগ্ন হইয়া যাইতাম।
অ্যানোয়াল স্পোর্টসের পরের দিন, অর্থাৎ ছুটির দিন শাহজাহান মিয়া আমাদের সবাইকে ওদের বাড়িতে দাওয়াত দিল। ওদের বাড়ির পাশেই পদ্মা নদী। পদ্মা নদী দেখার আশায় শায়মা আর জুলিয়া লাফাইয়া উঠলো। আমরা বেশ কয়েকজন পদ্মায় সাঁতরানোর জন্য নেংটি নিয়া যাওয়ার প্লান করলাম।
করিম আর আবু তালেব আগেই শাহজাহান মিয়াদের বাড়িতে গেছে। ডিসিশন হলো, আমরা শুরুতে স্কুলের মাঠে জড়ো হবো। সেখান থেকে একযোগে করিম আর আবুতালেবের নেতৃত্বে শাহজাহানদের বাড়ি যাব। স্টার্ট টাইম সকাল ১০টা।
আমরা মোটে ২৩ জন ছেলেমেয়ে হাজির হলাম। মেয়েদের মধ্যে সোহানী, শমী কায়সার আর চম্পা এসেছে। ছেলেদের মধ্যে বেশি উৎসাহ ছিল জামাল আর অনন্ত জলিলের- ওরা আসে নাই। সোহানী এসে অনুপস্থিত ছেলেগুলোরে একচাপা ‘দামড়া’ বলতে লাগলো। অনুপস্থিত মেয়েগুলোরে কী বলা যায়, এইটা নিয়া আমি ভেবে ভেবে কোনো শব্দ না পাওয়ায় একা একাই চুপ মাইরা থাকলাম।
রাজীব আর মাসুদ মেঘুলা বাজার থেকে ১০ কেজি রসগোল্লা নিয়া হাজির। আমি আবার রসগোল্লা খুব বেশি পছন্দ করি। এক ফাঁকে ঐখান থেকে গপাগপ কয়েকটা সাবাড় করে দিলাম।
আমরা যথাসময়ে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দেখি এলাহি কাণ্ড। আমাদের যাওয়ার খবর শুনে ওর বাবা ওদের একটা তিন-সনী লাল ষাঁড় জবাই করেছেন। কচি ষাঁড়- পাক্কা ২ মণ ৪৩ সের মাংস হয়েছে। পুকুর থেকে আইর, কাতল, আর কোরাল মাছ ধরেছেন। এখানেই শেষ না, শাহজাহানের শ্বশুর-শাশুড়ি, ৪ শ্যালক আর ৫ শ্যালিকাও ওদের বাড়িতে এসেছেন। বাহির বাড়িতে মাটি খুঁড়ে লম্বা চুলা বানাইছে, বিরাট বিরাট ডেকচিতে রান্নাবান্না হচ্ছে। খাবারের গন্ধে চারদিক মৌ মৌ করা শুরু করলো।
শাহজাহানের বউ এসে আমাদের ধমকানো শুরু করলো- এই, তোমাদের না সকালে আসার কথা ছিল, এই দুপুরবেলা তোমাগো কেডা আসতে কইছিল? এখন কি সকালের নাস্তা খাইবা, নাকি দুপুরের গোশত-পোলাও খাইবা? যত্তসব ফাজিলের দল। ইচ্ছা করে সবগুলার টেংরি ভাইংগা ফালাই।
কীসের খাওয়া খাওয়ি। আমরা সদলবলে পদ্মার পাড়ে চইলা গেলাম। মাত্র দেড়শ গজ দূরে পদ্মা। হা রে রে রে করে জোরসে দৌড় দিলাম, কেউ কেউ পোশাক না পাল্টেই পানিতে ঝাঁপ দিল। আমরা পানিতে দাপাদাপি করতেছি, এমন সময়ে দেখি মেয়েগুলো নদীতে বড়শি ফেলে মাছ ধরছে।
আমার বড়শিতে মাছ ধরার খুব শখ। আমি পানি থেকে উঠে এসে একজনের বড়শি কেড়ে নিলাম। দেখাদেখি হাবিব আর হাসানও এলো। পরে আরো কয়েকজনে এসে যোগ দিল।
অল্পক্ষণের মধ্যেই বড়শি দিয়া বেশকিছু চিংড়ি, খল্লা আর বাইম মাছ ধরা হলো। এমন সময় সোহানী চিৎকার দিয়া উঠলো- ঐ আমার বড়শি টাইন্যা নিয়া যাইতেছে রে- তোরা ধর আমারে- ধর। আমরা আগাইয়া যাইয়া ওর ছিপ ধরে ফেলি। হাবিবের গায়ে শক্তি সবচাইতে বেশি। দেখি কী, আমাদের সবাইকে সহ ছিপ টাইন্ন্যা নিয়া যাইতে চায়। হালার কুমির না তো! আমার ভয় করলো। আস্তে আস্তে আমরা বড়শি টানছি। খুব শক্ত, আসতে চায় না। বড়শি কাছাকাছি হতেই দেখলাম পানির সামান্য নীচে রুপালি রঙের বিরাট একটা মাছ উঠে আসছে। ছিপ উঁচু করতেই দেখি প্রায় চার-পাঁচ কেজি ওজনের এক ইলিশ মাছ বড়শিতে লাফাইতেছে। আনন্দে আমরা চিৎকার করে উঠলাম। জীবনে এই প্রথম বড়শিতে ইলিশ মাছ ধরলাম। আমার মনে হয় এটা একটা জাতীয় রেকর্ডও হতে পারে। সাথে সাথে সোহানী ওটা ফেইসবুকে শেয়ার করলো; তাতে যতগুলো লাইক, কমেন্ট আর শেয়ার হলো, সেটাও পৃথিবীর ইতিহাসে একটা জাতীয় রেকর্ড হবার কথা।
এই ইলিশ মাছ জবাই করা হলো। ভেতরে বোঝাই করা ডিম। কিছু ডিম ফুটে অলরেডি ইলিশের পোনা লাফালাফি করতেছিল। শাহজাহানের বউ কলুই শাক আর ঢেঁড়স দিয়ে সেই ইলিশ মাছ রান্না করলো। রান্নাটা এতই মজাদার হইছিল যে, দীর্ঘ ৩৫ বছর পরও মনে হচ্ছে এখনো হাতের তালুতে ইলিশ মাছের তেল লেগে আছে- বাকিদের খবর জানি না, আমি আজো বুড়ো আঙুলে তুড়ি বাজাতে পারি না।
সেদিনের দুপুরে যে আনন্দ হইছিল তা বলার মতো না। নানান পদের রান্না খেয়ে, বিশেষ করে পোলাও আর খাসির গোশত খেয়ে আমাদের নয়ন ভরে গেছিল। খাওয়া দাওয়া শেষ হলে আমরা শাহজাহানদের উঠোনে সবাইকে নিয়ে একটা গ্রুপ ছবি তুললাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, গ্রুপ ছবিতে আমার চেহারা ঢাকা পড়ে গেছিল- কারণ, শাহজাহানের এক শ্যালিকা আমার সামনে দাঁড়ানো ছিল।
স্কুলজীবনে বন্ধু শাহজাহানের বাসায় বেড়ানোর এই কাহিনি আমার মানসপটে এখনো পরিষ্কারভাবে জ্বলজ্বল করিতেছে। আমাদের সেই ক্লাসমেটরা আজ পৃথিবীর নানান জায়গায় সেলিব্রেটি হিসাবে শীর্ষস্থান দখল করে দাঁড়াইয়া আছে। কেউ-বা বাংলার বিখ্যাত চিত্রনায়ক বা নায়িকা, কেউ-বা আবার বিখ্যাত সেলিব্রেটি ব্লগার। তাদের সবার জন্য রহিল ফুলেল শুভেচ্ছা।
৩০ মার্চ ২০১৯
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হেহেহেহেহে। পুরাটাই যেমন খুশি তেমন নাচো অনুষ্ঠান ছিল। আমি ছিলাম শ্রেষ্ঠ দর্শক
এটা একাই একটা পর্ব রে ভাই, দ্বিতীয় বলে কিছু নাই।
প্রথম কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ও নুরু ভাইয়ের ফুলেল শুভেচ্ছা।
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৪৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনাধারণ রম্য রচনা। সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখাকে পাশ কাটিয়ে গেল। চোখরোচক রম্যের জন্য ফলেল শুভেচ্ছা রহিল।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'চোখরোচক' শব্দটা দেখে আপনার সৃষ্টিশীলতার প্রতি আপনাআপনিই একটা কুর্নিশ নেমে এলো সাজ্জাদ ভাই। শব্দটা নিয়া নিলাম
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৫৬
হাবিব বলেছেন: ইলিশ মাছ, খাসির গোসত আর পোলাওয়ের বর্ণনা পড়ে তো খেতেই ইচ্ছা করছে! কি সরস বর্ণনা! জাক্কাস হয়েছে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এখনো ইলিশ মাছটা চোখের সামনে লাফাইতেছে। দেখেন, লিখতে লিখতেই জিভের ডগায় পানি জমে গেলো
৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমি আর মাসুদ মেঘুলা বাজার থেকে ১০ কেজি রসগোল্লা নিয়ে হাজির হলাম।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রসগোল্লাটা জব্বর মজাদার ছিল। কেজির দর কত টাকা ছিল?
৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা হা সেই কবে নিউ টেনে উঠে আপনি আপনার বন্ধুর বাড়িতে খেয়েছিলেন সেগুলো জিভে এখনো লেগে আছে? তবে যে কচি গরুটা জবাই করেছে বলছেন, তার মাংস কিন্তু এতটা কম হওয়ার কথা ছিল না। আর ওনার বৌ ইলিশ জবাই করার পর ফুটন্ত ডিমগুলোকে পরিচর্যা করে নতুন নতুন ইংলিশ উৎপন্ন করছিলেন সেটাও বোধহয় আপনার মেমোরিতে একটু ফিকে হয়ে গেছে। পোস্টে ভালোই তৃপ্তি পেয়েছি । হা হা হা হা..... আগামীতে এরকম স্মৃতিচারণ আরও কিছু পেতে চাই।
আশা করি আপনি চোখের সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় ভাইকে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার জিভে কেন এত সমস্যা ছিল আপনার কমেন্ট পড়েই ব্যাপারটা ধরতে পারলাম- ঐ যে এত খানাপিনা খাইছিলাম বন্ধুর বাসায়, তার তেল এখনো জিভে লেগে আছে, সরছে না। এজন্যই কথা বলতে গেলে জিভটা ঠিকমতো কাজ করে না। একটা কচি ষাঁড় থেকে ২ মণ ৪৩ সের মাংস কিন্তু কম না পদাতিক ভাই, চিন্তা করে দেখেন
তবে, এতদিনের স্মৃতি- কিছু তো ফিকে হবেই, তাই না? দেখি রোমন্থন করে আরো যদি কিছু পাই, অবশ্যই আপনাদের জানাবো। এগুলো আপনাদের জানানো আমার পবিত্র দায়িত্ব বলে মনে করি।
মাঝে মাঝেই কেউ কেউ বলে ওঠে- তোমার বাম/ডান চোখ লাল ঠেকছে নাকি? তখন ভয় পেয়ে যাই। তবে, ভালো আছিম আল্লাহর রহমতে। ভুগেছি বহুদিন। এখন চোখকে কম প্রেশার দিই।
ভালো থাকবেন প্রিয় পদাতিক ভাই। শুভেচ্ছা।
৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০৬
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আপনি ইদানীং বেশ হাঁটাহাঁটি করছেন, স্কুলে স্পোর্টেসএর আইটেমে ম্যারাথন থাকে না, তাই বোধ করি আপনি ১০০মি স্প্রিন্টে উসাইন বোল্টকে হারাইয়াছিলেন।
স্কুলের এই নিয়মটা আমাদের সময়েও কিছুদিন ছিল ভাইয়া, 'স্যারের সাথে সাথে মেয়েরা ক্লাসে আসত আবার স্যার বের হয়ে যাওয়ার আগেই মেয়েরা বের হয়ে যেত'। সেজন্য অবশ্য আমাদের মধ্যে মানে আমরা কেউই কমনরুমের আশেপাশে ঘুরঘুর করতাম না, আমরা অতিশয় লাজুক ছিলাম কিনা!
পরে শিক্ষা সংস্কার ও কো এডুকেশন চালু হয়ে গিয়েছিল বিধায় ক্লাস নাইন থেকে আমাদেরও আপনাদের মত সৌভাগ্য হইয়াছিল!
শায়মা আপু, সোহানী আপু, আহমেদ জী এস, খায়রুল আহসান, রাজীব নুর, আপনি-- সবাই এক ক্লাসে ! আপনাদের ব্যাচ থেকেই তো সবাই রুই কাতলা ব্লগার। আমাদের আর চান্স কই !
আপনাদের ক্লাসের/ব্যাচের সবাইকে উষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, হাঁটাহাঁটি নিয়মিতই করি। তবে, সপ্তাহ খানেকের জন্য নিজের কাছ থেকে ছুটি নিয়েছিলুম, আবার পুরোদমে শুরু করবো অতি শীঘ্রই। স্প্রিন্টে ভালো ছিলাম, তবে উসাইনকে বোল্ড করতে পারি নাই, যা আমার সারা জনমের আফসোস।
স্কুলের এই কমনরুম সিস্টেমটা মানবদের অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। মানবদের অধিকারের কর্মীদের এ ব্যাপারে আরো সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। এটা একটা বর্ণবৈষম্যেরও শামিল। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার জন্য এ আইন অচিরেই বন্ধ করার দাবি জানাইতেছি।
ঠিকই বলেছেন। আমাদের ব্যাচটা ছিল তুখোড়। যে-কোনো জায়গায় গেলেই আমাদের কাউকে না কাউকে পাবেনই। যদি কাউকে না পান, তখন আমাকে জানাইয়েন, ঐ জায়গায় একজন পাঠাইয়া দিমু।
৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১০
ওমেরা বলেছেন: লিখাটা ফ্যান্টাস্টিক লাগছে একটা লাইক দিয়েই গেলাম ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখাটা ফ্যান্টাস্টিক লাগছে জেনে খুশি হলাম। একটা লাইক দেয়াতে আরো খুশি। সবকিছুর জন্য অনেক ধন্যবাদ ওমেরা।
৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১০
পুলক ঢালী বলেছেন: হাহাহা লেখাটা যেমন রম্য মন্তব্য গুলোও তেমন।
ক্লাশ নিউ টেনের শাহজাহান বিবাহিত! তাহলে খুব অল্পবয়সে ওর সুবাদে আপনি দাদা নানা হয়ে গেছেন।
ইলিশ মাছের পোনা ??? চ্রম সাইন্স ফিকশন!
পড়ে অনেক মজা পেলাম। ভাল থাকুন।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ক্লাশ নিউ টেনের শাহজাহান বিবাহিত! তাহলে আর বলছি কী? ওর বউয়ের যে ঝাঁজ তাতে তো আমরা ভয়ে কুপোকাত!! তবে, অল্প বয়সেই দাদা-নানা হওয়ার মধ্যে বেজায় চার্ম আছে
একমাত্র আমরাই প্রথম ইলিশের পেটে পোনা আবিষ্কার করি। আমাদের আর কোনো শাখা নাই।
পড়ে মজা পেলে তো আম+আরো মজা
ধন্যবাদ।
৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: তবে ভাই জয়পাড়া বাজারের পচার মিষ্টির কথা ভুলা যাবে না। আমাকে দাওয়াত দিলে কয়েক মন মিষ্টি বগল দাবা করে হাজির হতাম। তবে কেউ খেত বলে মনে হয় না। ডায়াবেটিস আজকাল বড্ড তাড়া করছে আমাদেরকে।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইয়ে, আপনাকে সেদিন আমরা খুব মিস করেছিলাম। দিনের শেষ মহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলাম আপনি হয়ত চলে আসবেন। না যাওয়ার বেদনা আজও ভুলিতে পারি না।
পচার মিষ্টি ইতিহাস সৃষ্টি করিয়াছে। পচার মিষ্টি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। আন্তর্জাতিক মানের রসগোল্লা একমাত্র পচাই বানায়।
১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,
আমারে একবার আনলেন ক্যা ? হে ও আবার শর্টপুটে, লংপুটে দিলে কি হৈতো? নদীতে নামাইলেন হগলডিরে আমারে বাদ দিয়া। জিগাই, ক্যা ?
আমি যে সাঁতারেও চিরোস্থায়ী চেমপিয়ান হেডা ভুইল্লা গেলেন ? কুমীর যদি বড়শিই খাইতো তয় আমিই পারতাম সাঁতরাইয়া কুমীরডারে কোলে কৈর্রা লৈয়া আইতে। অই রহমের কত্তো কুমির আমি সাঁতরাইয়া ধরছি ছোডুকালে, মোনে নাই! হেডা তো ল্যাহেন নাই। ল্যাকলে কমনরুমের হেগো কাছে আমি হিরো হৈয়া যামু এই ডরেই তো ল্যাহেন নাই ? হাচা কতা কৈছি কিনা?
এহোন স্ক্রীপ্ট রাইটার হৈছেন বইল্লা এত্তো স্বাধীনতা তো দেওয়া হয় নাই। ঠিক হৈয়া যান.................
(স্কুলের দিনগুলো মনে পড়ে গেলো যদিও সে সময় কো-এডুকেশন ছিলোনা মেট্রিক পর্যন্ত। তবুও কতো কতো কাহিনী যে ছিলো সে দিনগুলিতে, মনে পড়লে আজো একটা ভালোলাগা ভর করে হৃদয়ে। নষ্টালজিক করে দিলেন।)
০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: না মানে, আপনি যেহেতু শটপুটে পার্মানেন্ট চ্যাম্পিয়ন, যেখানে আর কারো অ্যাক্সেজ নাই, সেখানে বাকিদের জন্য অন্য খেলায় সুযোগ রাখা আপনার মহানুভবতারই পরিচায়ক।
পানিতে কিন্তু আমরা হগলেই আছিলাম। আপনার সাতার কাটা দেখে তো আমরা বাকরুদ্ধ।
কোনো এক কালে পুরো কমনরুম আপনার দখলেই ছিল, যদ্দূর মনে পড়ে। এরপর বাকিদের জন্য কিছু কনসেশন দিতে আপনার সদয় সম্মতি হয়েছিল
কবে যে স্কুল জীবনের কথা ভুলতে পারবো জানি না। হয়ত শেষ নিশ্বাস ছাড়ার সময়ও চোখের সামনে ভেসে উঠবে স্কুল খেলার দিনগুলো। সোনার খাচায় দিনগুলো কারো স্থির থাকে না
১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১১
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহাাহাহাহা............. আমি আপাতত: মূর্ছা গেছি আফনের কাহিনী পইড়া। একটু জ্ঞান ফিরা আসলে তারপর আসল গোমড় ফাঁক করা হইবে।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি ভয়ে আছি আপোনার জ্ঞান কখন ফিরিবে
১২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:১৫
সোহানী বলেছেন: গত দুইদিন ধরে হঠাৎ ই বরফ শুরু সাথে হালকা বৃষ্টি। তাই অজ্ঞান হবার পর তড়িঘড়ি করে বরফ পানিই মাথায় ঢালছে লোকজন...। ... অত:পর ঠান্ডা লাগলো। সে ঠান্ডা ঠিক হতে হতে মাথার ব্রেনসেল দেখি পুরাই জ্যাম। সে জ্যাম ছুটাতে বাথটবে পাক্কা দুই ঘন্টা মাথা ডুবানোর পর হঠাৎই দেখি সব ফকফকা...। সবই মনে পড়ে গেল সেদিনের সব ঘটনা বা দুর্ঘটনা ।
যাক্ শুরু করি.... আপনি ছিলেন দৈাড়ে চ্যাম্পিয়ন কারন পাড়াপড়শীর আম বড়ই পেয়ারা চুরি করে ভো ভো দৈাড়ের কারনে ওটার সকল ক্রেডিট ছিল আপনার দখলে। এইটাতে আপনি যেমন ধরা পরার হাত থেকে নিজেরে বাঁচাতেন তেমনি সবাইরে ভাগ দেবার হাত থেকেও বেচেঁ যেতেন।
হেড স্যারের কাছে প্রতিবাদ লিপির পর এ্যাপ্রুভাল হলো ঠিকই কিন্তু তার আগে যে কতবার মেয়েদের কমনরুমে উকিঁ দেবার জন্য নীল ডাউন আর কান ধরে ক্লাসের পর ক্লাস পার করছেন সেটার কথা আর নাই বা কইলাম।
যে না পুরাটা ঠিক না, আমি দামড়া বলার কারনে আপনি দামড়ি বললেন এবং অমনি চম্পা আপনারে এমন কানমলা দিলো..... । কারন একটুসখানি ইটিস পিটিস ছিল আপনাদের মধ্যে যেটা আমরা টের পাইছিলাম ইথারে বাতাসে..।
আর রাজিবের মিস্টি কয়েকটা না কয়েক হাড়ি সাবাড় করছিলেন...! শাহজানের বউ আপনাকে দাবড়ানি দিসে কারন আপনি কারন অকারনে শাহজানের শালীদের পিছে চান্স নিতে ছিলেন। এবং তা চোখে পড়ে বেচারা চম্পার। সে সইতে না পেরে জী ভাইরে দেয় নালিশ। জীভাই আপনারে কায়দা করতে না পাইরা দেয় ভাবীরে নালিশ.....হাহাহাহাহা
আর মাছের কথাই একমাত্র ঠিক কইতে পারলেন। কারন মাছের বড় বড় পেটিতো আপনেই দখলে নিসেলেন ।
দেখলেনতো কেমন ব্রেইন খুলছে
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কয়েকদিন আগেই আমার হুঁশ ফিরেছিল। কিন্তু যতবারই এটা পড়েছি, জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি। আবার একটু ঘোরাঘুরি করে যেইনা ফিরে এসে এখানে চোখ রেখেছি, অমনি আগের অবস্থা। এরকম কিয়েক্টাবস্থার মধ্যে কয়েক যুগ কেটে গেলো।
মনে পড়ে সেই বাল্যকালের কথা, যেদিন প্রথম এক মহাডানপিটে মেয়ে আমাকে দাবড়ানি দিয়া ওদের বাড়ির বরইতলা থেকে আমাদের বাড়ির বাঁশতলা পর্যন্ত এসে আমার পিঠে দড়াম দড়াম করে একটা দুইটা তিনটা এভাবে গুনে গুনে ঠিক সাতটা কিল দিয়া বিজয়ীনির বেশে নাচতে নাচতে মায়ের গৃহে ফিরে গিয়েছিল আর আমি ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে মাকে ডাকতে গিয়া দেখি আমার গলা শুকাইয়া গেছে, কোনো কথা বাইর হয় না। সেটা তো আপনিই ছেলেন
চম্পার কথাটা মিছা না। তবে এরপর চম্পাও একসময় চম্পট দিয়া ওর জামাইর হাত ধইরা শ্বশুর বাড়ি চলে যায়। আমি শুধু চাইয়া চাইয়া দেখলাম। আমার খাওয়ার কিছু ছিল না।
থাক ওসব কথা। মনের ঘা বাড়াইয়া লাভ নাই, শুধু জ্বলবেই
১৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৯
অন্তরা রহমান বলেছেন: পুরো লেখা জুড়ে হোঁচট খেতে খেতে শেষে এসে বুঝলাম যে ইহা হয় একটি রম্যরচনা। কি একটা অবস্থা। দারুন লিখেছেন। এক নিঃশ্বাসে পড়া যায়।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাকে কিয়েক্টা অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছেন মহান সোহানী আপু। আমার জ্ঞান ফিরে নাই এখনো। আপনার কমেন্ট পড়ে চোখ কিছুটা পিট পিট করছে, হয়ত অচিরেই উঠে যাব।
লাস্টের কথা দুটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
১৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সেই রম্য
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
১৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এক শেয়ার আর এক খরগোশ হাটছিল। এক শান বাঁধানো কবরস্থানের পাশে এসে শেয়াল হু হু করে ফুঁপিয়ে উঠলো।
খরগোশ বলে কি হলো শেয়াল মামা!
অমন করে কেঁদে উঠলেন যে বড়ো!
খূব ভারিক্কি গলায় শেয়াল বললো- এই যে কবরগুলো দেখছিস... বলতে বলতেই চোখ মোছে
এরা সব আমার পূর্ব পুরুষ ছিলেন।
খরগোশের হা করা মূখ দেখে - রেগে বললেন- বিশ্বাস না হলে জিজ্ঝেস করে দেখ!
আমি কিন্তুক কিছু কই নাই!
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহা। অনেকদিন পর বিশেষ কারনে এ পোস্টে এসে আপনার কমেন্ট পেলুম আর হাসতে শুরু করলুম
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৩৪
মা.হাসান বলেছেন: ঘটনার বর্ণনা সিরাম হইছে। এইটা তো সেই সময়ে মনে হয় দরবেশ টিভিতে লাইভ দেখাই ছিল। লাইভে কিন্তু আপনারে লেংগট সহ সৈয়দ মুজতবা আলীর গল্পের সিনিয়র এ্যাপ্রেন্টিস এর মত মনে হইতেছিল। দুই মন তেতাল্লিশ সেরের ষাড়ের রোস্ট জব্বর হইছিল। স্কুলের অনুষ্ঠানে আপনি সম্ভবত পরিবার পরিকল্পনার আপা সাইজা যেমন খুশি সাজ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হইছিলেন।
দ্বিতীয় পর্ব কি আসবে?