|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
	দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
শামার সাথে আমি একই কলেজে পড়তাম। এইচএসসি পাশের পর শামা ঢাকা শহরের একটা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে ভাইয়ের বাসায় থাকতে লাগলো, আর আমি ডিগ্রিতে ভর্তি হয়ে গ্রামের কলেজেই রয়ে গেলাম।
শামার গায়ের রঙ জারুল কিংবা মহিমার মতো ফরসা না হলেও ওর চেহারা মিষ্টি ও আকর্ষণীয় ছিল। অন্যদের চাইতে আলাদা এবং স্মার্ট ছিল শামা।  
কলেজ লাইফে আমার সাথে শামার আচরণ ছিল স্রেফ ক্লাসমেট বা বন্ধুর মতোই। তবে, আমার দিক থেকে এর চাইতে একটু বেশিই ছিল। ওকে আমার ভালো লাগতো। মাঝে মাঝে ওর সাথে হাঁটতে হাঁটতে আমরা কয়েকজন ক্লাসমেট ওদের বাসায় যেতাম। ওদের বাড়িতে আমগাছ আর নারকেল গাছ ছিল। শামা আমাকে বলতো গাছ থেকে ডাব পেড়ে দিতে, আমি বাকিদের চেয়ে লম্বা এবং বলিষ্ঠ ছিলাম বলে। আমি ডাব পাড়তাম। অন্য কেউ ডাবের মুখ কেটে দিলে শামা সবার হাতে সেগুলো পৌঁছে দিত; আমার হাতে ডাবটি তুলে দেয়ার সময় ও একটুখানি হাসতো, যেমন করে সবার চোখের দিকে তাকিয়েই হাসতো। আমি মনে মনে চাইতাম, শামা আমার দিকে একটু অন্যভাবে হাসুক, আমার সাথে কথা বলার সময় ওর ভুরুটা একটা সরু হোক, কিংবা চোখদুটো একটু নেচে উঠুক। এসব কখনো হতো না। তবে, ডাব তুলে দেয়ার সময় ওর হাতের আঙুলে আলতো করে একটা ছোঁয়া লাগলে আমি গোপনে, সবার অলক্ষে মৃদু শিহরিত হতাম। এভাবে প্রতিদিনই আমার শিহরিত হতে সাধ হতো।
আমের দিনে আমাকেই গাছ হতে আম পাড়তে বলতো শামা। শামা কাঁচা আম পাটায় ছেঁচে সামান্য চিনি ও ধনেপাতা দিয়ে মাখাতো। খুব ভালো লাগতো। আমরা মজা করে গল্প করতাম আর কাঁচা আমবাঁটা খেতাম। শামা চেয়ারের হাতলে বসে পা দোলাতো, খাটিয়ার কোনায় বসে পায়ের উপর পা তুলে নাচাতো। থুতনিতে আঙুলের ডগা রেখে কথা বলার সময় ও সবচাইতে বেশি আকর্ষণীয়া হয়ে উঠতো। ওর এসব দেখতে আমার খুব ভালো লাগতো। মেয়েদের হাঁটার ভঙ্গি, ঘাড় দোলানো, চুল ওড়ানো, হাত নেড়ে কথা বলা- সবকিছুতেই মাধুর্য মাখানো। এগুলো হলো মেয়েদের কলা বা শিল্প, যাকে আর্ট বলা হয়। এগুলো কোনো মেয়েকে অর্জন করতে হয় না, এগুলো তাদের জন্মজাত প্রাপ্তি। মেয়েদের সব কলাই ছেলেদের ভালো লাগে। যুবকেরা মেয়েদের এসব দেখেই আকৃষ্ট হয় এবং প্রেমে পড়ে। শামা একটা কলাবতী মেয়ে, যার প্রতিটি কলায়ই শিল্পের সর্বোচ্চ উৎকর্ষ বিদ্যমান।  
শামা খুব সুন্দর কবিতা আবৃত্তি করতো। কলেজের ফাংশনে ওর আবৃত্তি শুনে সবাই মুগ্ধ হতো। ওদের বাসায় গেলে ও আবৃত্তি করতো আর অভিনয় করতো সেই সাথে। মাঝে মাঝে ঘাড় কাত করে, কখনো আঙুলে মুদ্রা তুলে সে শব্দগুলো উচ্চারণ করতো; অঙ্গ দুলিয়ে আবৃত্তি করার সময় ওর অঙ্গগুলোতে যেন শব্দগুলো জীবন্ত হয়ে কথা বলে উঠতো।
কলেজে চলে যাওয়ার পর এসব স্মৃতি আমার মনে পড়তো এবং খারাপ লাগতো। আমার খারাপ লাগার আরো কারণ ছিল। গ্রামে থাকা কালে শামার সাথে আলাদা করে ‘বিশেষ কিছু’ নিয়ে কোনো কথা হয় নি কোনোদিন। শহরে যাওয়ার পর সেই শামার সাথে আর কীইবা কথা হতে পারে? কোনোদিন মোবাইলে হয়ত ‘কেমন আছিস? ভালো আছিস?’– বড়োজোর এমন কিছু সৌজন্য বিনিময় চলতে পারে।
যদিও এত এত ক্লাসমেটের মধ্যে আমরা গুটিকতক ক্লাসমেট শামার ঘনিষ্ঠ হয়েছিলাম, কিন্তু এটা ঠিক, আমার প্রতি ওর একটা আলাদা ‘বিশেষ’ দৃষ্টি থাকবে, আমার প্রত্যাশা কখনো এত উঁচুতে ওঠে নি। ওর চোখে ‘আলাদা’ হয়ে ওঠার মতো তেমন কোনো এক্সট্রা-অর্ডিনারি কোয়ালিটিও ছিল না আমার। সব বন্ধুবান্ধব মিলে ওর সাথে যেটুকু সময় কাটিয়েছি, কারো প্রতি বিন্দুমাত্র পক্ষপাতিত্ব ব্যতীত আমাদের সবার উপর ওর দৃষ্টি সমান মনে হতো।
কিন্তু শামার সাথে যে সময়টুকু কাটিয়েছি, ও দূরে যাবার পর সেই স্মৃতিগুলো মাঝে মাঝেই মোচড় দিয়ে উঠতে থাকলো। দল বেঁধে ওর বাসায় ছুটে যেয়ে আড্ডা দিব, শামা হাত নেড়ে নেড়ে কথা বলবে, এগুলো দেখতে মন আনচান করতে লাগলো। 
 
মাস তিনেক পর শামার ফোন পেলাম একদিন। খুব উচ্ছল কণ্ঠ শামার। ‘হ্যাঁ, কী রে? ভুলে গেছিস? একদিনও একটা ফোন দিলি না যে?’ ওহ শামা! ওহ শামা! আমার বুকটা বার বার ‘ওহ শামা’ বলে চিৎকার করে উঠলো- তাহলে তুইও আমার কথা ভাবিস? আমার প্রতি তোরও এতটা অভিমান- আমি তোকে ভুলে গেছি! শামা যদ্দিন গ্রামে ছিল, কালেভদ্রে দু-একটা প্রয়োজনীয় কথা ছাড়া আমাকে কখনো কল করে নি মোবাইলে। আমার মুখচোরা স্বভাব ছাড়াও সহজাত সঙ্কোচের কারণে আমি নিজেও কোনোদিন শামাকে কল করি নি। তাই আমার ঘূণাক্ষরেও এমনটা কখনো মনে হয় নি, আমার ফোনের জন্য শামার কিছুটা ‘অপেক্ষা’ বা ‘আক্ষেপ’ থাকতে পারে।
আমি নিজেকে সংযত করে বলি, ‘তুইও তো একদিনও খবর নিলি না।’
‘আড়ি করিস না। সময় পাইলেই কল দিবি, বুঝছিস?’
শামা অনেক উৎফুল্লভাবে কথা বললো। ঢাকা শহর ওর ভালো লাগছে খুব। ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস আরো বেশি ভালো লাগছে। অল্পদিনেই অনেক বন্ধু হয়েছে। এ জায়গাটাতে একটু কষ্ট পাই। আমি যাকে প্রেমিকা হিসাবে চাই, তার আর কোনো বন্ধু থাকতে পারবে না। এটা যে-কোনো প্রেমিকের জন্যই খুব কষ্টকর। আমার প্রতি প্রেমিকার ভালোবাসা জনে জনে ভাগ হয়ে যাক, পৃথিবীতে এতটা উদার কোনো প্রেমিক নেই। কিন্তু নিজেকে ধিক্কার দিতেও কসুর করি না। শামাকে আমি প্রেমিকা ভাবছি কেন? আমি যে তার ক্লাসমেটের চাইতেও অধিক কিছু- শামার পক্ষ থেকে আজও  এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায় নি। একপক্ষীয় ভালোবাসায় প্রেমিকের হৃদয় রক্তক্ষরণ ছাড়া আর কিছু পায় না। আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে থাকি।
২
এরপর আমি প্রতিদিনই শামার ফোনের অপেক্ষায় থাকতাম। কখনো নিজ থেকেও ফোন করতে চেয়েছি, কিন্তু করি নি। ও বললো আর অমনি ফোন করে বসবো! কথাটা ও কতখানি মন থেকে বলেছে তা আমি বুঝতে চেয়েছি। নিজ থেকে একটা ফোন করে চটুল হতে চাই নি আমি। হয়ত এটা আমার আদেখলেপনাও ভাবতে পারে শামা। আমি চেয়েছি, আমার প্রতি সত্যিকারেই শামার কোনো টান আছে কিনা সেটা দেখতে। যার সাথে অন্তরঙ্গতা থাকে, সে সময়ে-অসময়ে কল করতে পারে। শামা এতদিনে একদিন মাত্র কল করলো- এতেই বোঝা যায় আমার প্রতি ওর কত ক্ষীণ অনুভূতি কাজ করে।  
শামা আর একদিনও ফোন করলো না, কিন্তু একদিন হঠাৎ করেই সে গ্রামে এলো বেড়াতে। বাসায় এসে প্রথম ফোনটা সে আমাকেই দিয়েছে বলে জানালো। এ জিনিসটা আমার আত্মবিশ্বাস ঢের বাড়িয়ে দিল। ‘তোরা কাল সকালে বাসায় আয়, কথা আছে।’ শামা বললো। আবার আমি খানিকটা দ্বিধান্বিত হই। আত্মবিশ্বাস নামতে থাকে। শামা শুধু আমাকে একাই ওদের বাসায় যেতে বলতে পারতো। ওর সাথে একা বসে নিরিবিলি কথা বলতে অনেক অনেক ভালো লাগতো আমার। আমি জিজ্ঞাসা করতাম, ‘শামা, তুই কি ভালো ছিলি আমাদের ছেড়ে? আমাদের ছেড়ে শহরে থাকতে কষ্ট হয় নি তোর?’ তারপর একসময় ‘আমরা’ থেকে ‘আমি’তে নেমে এসে বলে বসতাম, ‘বল শামা, তোর বুকে হাত রেখে বল, আমার জন্য তোর কি একটুও মন কাঁদে নি?’ নাহ্, এভাবে কোনোদিন বলার মতো সুযোগ হবে না আমার। একান্ত সামনাসামনিও যদি দিনভর বসে থাকি, আমি বড়োজোর বলতে পারবো, ‘একটা কবিতা বল তো!’ কিংবা বলতাম, ‘তুই নাচ শিখলি না কেন রে? তুই নাচলে খুব ভালো লাগতো’। 
শামাকে দেখে চমকে গেলাম আমরা সবাই। ও আগের চাইতে সুন্দর হয়েছে অনেক। ভারি মিষ্টি লাগছে ওকে। হাসতে হাসতে কথা বলতে শুরু করলো শামা, ওর কথার তুবড়িও আগের চাইতে অনেক বেড়েছে। এবং অল্পক্ষণেই শামা আমাদেরকে একটা চমকপ্রদ খবর দিল। বললো, ও একটা নাটকে অভিনয় করার অফার পেয়েছে। নায়িকা হবে সে এবং একজন নামকরা নায়কের বিপরীতে নামকরা পরিচালকের নির্দেশনায়। শীঘ্রই শুটিং হবে। 
শামা খুব উচ্ছ্বসিত। অন্যান্য ক্লাসমেটরা উচ্ছ্বসিত। কিন্তু আমি চুপসে গেলাম। আমার জীবন থেকে শামা চিরতরে হারিয়ে গেল তাহলে! ওর সাথে আমার আর ‘কোনোকিছু’ হবার সম্ভাবনা একেবারেই থাকলো না, বুঝতে পারলাম। আমার আরো বেশি খারাপ লাগতে লাগলো এই ভেবে যে, শামাকে এখন আর আগের মতো পাওয়া যাবে না। নাটকের নায়িকা হলে সে হয়ে যাবে সেলিব্রেটি। ওর চারদিকে তখন এত ভিড় থাকবে যে, তা ভেদ করে ভেতরে ঢোকা আমার পক্ষে সম্ভব হবে না। আমি ভাবলাম, আগে তো যাই হোক, টুকিটাকি কথা হতো, এখন হয়ত শামা আমাকে ফোন করার সময়ই পাবে না। কিংবা, পেলেও ও হয়ত নিজের দাম বজায় রাখতে আমার মতো ‘নিঃস্ব’ কারো কাছে ফোন করে সময় নষ্ট করবে না।
কিন্তু আমার ধারণা ভুল হলো। শামা শহরে চলে যাওয়ার পরের দিনই আমাকে কল দিল। খুব ফুরফুরে মেজাজে আছে শামা। কবে শ্যুটিং হবে, লোকেশন কোথায়, কী কী ড্রেস পরতে হবে, শামা এসব নিয়ে আমার সাথে আলাপ করলো। আলাপ করতে করতেই জিজ্ঞাসা করলো, ‘তোর খুব ভালো লাগছে না?’
আমি একটু চুপ থাকি। ওর মন বোঝার চেষ্টা করি। ও আবার বলে, ‘বল না, ভালো লাগছে না তোর? আমার খুব ভালো লাগছে।’ আমি সৌজন্য রক্ষা করে বলি, ‘হ্যাঁ, তুই নায়িকা হবি, আমার ভালো লাগবে না তো কার ভালো লাগবে?’ তবে, ‘তোর খুব ভালো লাগছে না’ কথাটা খুব ব্যক্তিগত মনে হওয়ায় আমি আশান্বিত হয়ে উঠি। আমার ভালোলাগাটা ওর কাছে গুরুত্বপূর্ণ; নিজের আর্ট বা ক্রিয়েটিভিটি দ্বারা আমাকে খুশি করতে চায় শামা। এটা আমাকে প্রভূত আনন্দ দিতে থাকলো।
৩
একদিন শ্যুটিং শুরু হলো। শ্যুটিং-এর জন্য ওদের কক্সবাজার যেতে হচ্ছে। প্রথম নাটকেই খুব রোমান্টিক কিছু সিকোয়েন্স থাকবে। বাতাসে চুল আর উড়না উড়িয়ে সে সৈকতের পানিতে হাঁটতে থাকবে, উলটো দিক থেকে নায়ক আসবে। আমার কাছে খুব কমন এবং সাদামাটা সিকোয়েন্স মনে হলো। কিন্তু শামা খুব এক্সাইটেড। 
টানা একসপ্তাহ ওরা কক্সবাজার রইল। এর মধ্যে মাত্র একবার শামার সাথে আমার কথা হলো। সে অভিভূত এবং এতই অভিভূত যে, কথা জড়িয়ে যাচ্ছিল। 
নাটকটা কোনো টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হলো না, এটা রিলিজ করা হলো ইউটিউবে। আমাকে ফোন করে মাত্র ১৫ সেকেন্ডে এ খবরটা দিয়েই শামা কথা শেষ করে দেয়। বুকে ধড়পড়ানি নিয়ে নাটক দেখতে শুরু করলাম। ৪২ মিনিটের নাটক। ৭ মিনিটের মাথায় শামার আবির্ভাব। আমার খুব কষ্ট হতে লাগলো, কারণ, শামাকে বাস্তবের চাইতে আরো অনেক বেশি সুন্দরী ও আকর্ষণীয়া দেখাচ্ছে। ও যত বেশি সুন্দরী হবে, আমার কাছ থেকে তত দ্রুত আরো দূরে চলে যাবে। ও আমার না হয়ে, হয়ে যাবে সকলের। আমি সময় টেনে টেনে সামনে যাচ্ছি। শুধু শামার অংশই দেখছি। নায়কের সাথে চোখাচোখি হলো শামার। খুব নিবিড়ভাবে তাকানোর একটা দৃশ্য। আমার হিংসা শুরু হলো এখান থেকেই। নায়কের চোখ বরাবর খুব গভীর একটা চাহনি ছুঁড়ে দিলে বাস্তবিকই হিংসায় আমি জ্বলে ছারখার হতে থাকলাম। যে-চোখে অসীম মোহ নিয়ে আমার দিকে তাকাবে, সেই চোখ কীভাবে শামা অন্য যুবকের চোখের উপর ফেলে?
 
অনেক যন্ত্রণা নিয়ে ৪০ মিনিট পর্যন্ত পৌঁছুলাম। স্পষ্টত এর পরের সিকোয়েন্সে যথারীতি মিলন হবে। নায়কের বুকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে নায়িকা। সেই দৃশ্য চলে এলো অবশেষে- শামা সামনে হেঁটে যাচ্ছে। স্লো মোশনে হাঁটছে শামা। এইতো এখন লম্বা কদম ফেলে ধীর কদমে সামনে এগোচ্ছে শামা। এরপর থামলো দুজন - মুখোমুখী দাঁড়িয়ে। মাঝখানে কয়েক ফুটের দূরত্ব। হাত প্রসারিত করে সামান্য ঝুঁকতেই ছবি ফ্রিজ হলো- আর মনে হলো, আমার বুক থেকে বিরাট একটা পাহাড় নেমে পড়লো। শামার শরীর অন্য কেউ জড়িয়ে ধরুক, এ দৃশ্য আমি দেখতে চাই না। কিন্তু যখন আমি ভাবতে থাকলাম- সামনে ঝুঁকে পড়ে নায়কের বুকে শামা ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তখন আমার মন সত্যিই খুব অশান্ত হয়ে উঠলো।  
আবার শুরু থেকে শুরু করলাম। সঘন রোমান্সে পরিপূর্ণ একটা নাটক। কথার পৃষ্ঠে কথা; কথাপ্রধান নাটকটা শামার বাচনভঙ্গীতে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। প্রেমিকা হিসাবে শামা যে অসামান্য চৌকষ ও বরিষ্ঠা, এ নাটকে সেটা সে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে। শামার জায়গায় অন্য কোনো নায়িকা হলে এটা আমার দেখা সেরা নাটক হতো; অথচ এটাকে এখন সবচাইতে কষ্টের আধার মনে হচ্ছে। শামা অমন করে হাসলো কেন? নায়কের মন পাওয়ার জন্য, মান ভাঙানোর জন্য কী প্রাণান্তকর চেষ্টা! তীব্র ঈর্ষায় আমি পুড়ে যেতে থাকলাম।
৪
নাটকটা খুব নাম করলো ইউটিউবে। কমেন্টে নায়কের প্রশংসা ভূরি ভূরি হলো, সেই তুলনায় নায়িকার প্রশংসা কিছুটা কম বৈকি। কিন্তু দর্শকরা শামাকে খুব পজিটিভলি নিয়েছেন, এবং এ নাটকটা শামার কেরিয়ার গঠনে একটা শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে, তা নিশ্চিত।
আমার ধারণা ছিল, অতি শীঘ্রই শামা আমাকে কল করবে। আমার মতামত জানতে চাইবে। আমাকে খুব উচ্ছল কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করবে, ‘তোর ভালো লাগছে না?’ আমার একজন প্রিয়‘তমা’ বান্ধবী একজন সেলিব্রেটি, এ এক বিরাট গর্বের বিষয়। এ গর্বে আমার বুক উঁচু হবে। আমার তো খুব ভালো লাগারই কথা। শামা আমার মুখ থেকে সেটা শুনে নিশ্চিত হতে চায়।
কয়েক সপ্তাহ পর একদিন শামার ফোন। খলবলে কণ্ঠেই বললো, ‘কী রে, কিছু বললি না যে! তোর ভালো লাগে নি?’ আমি ওর ফোন পেয়েই গলে যাই। 
‘খুব ভালো লেগেছে। অনেক অনেক ভালো লেগেছে নাটকটা।’
‘তাই? সত্যিই? আমাকে কেমন লেগেছে, বল তো?’
‘খুব সুন্দর লেগেছে তোকে?’
‘আচ্ছা বলতো, আমাকে দেখতে কার মতো লাগে?’ শামার এ প্রশ্ন শুনে আমি দ্বিধায় পড়ে যাই। আমি শুধু শামাকেই দেখে থাকি, শুধু শামাকেই দেখি। শামাকে শুধু শামার মতোই দেখতে লাগে। দেখতে কার মতো শামা- এ প্রশ্ন কোনোদিন মনেই আসে নি, তুলনা করবো কীভাবে, কার সাথে?
‘শোন, প্রডিউসার ভাইয়া কী বলে জানিস? বলে, আমি নাকি অবিকল মীনা কুমারী।’
কয়েক মাসের মধ্যে শামার আরো তিনটা নাটক হলো। একদিন খুশিতে খলখল করতে করতে একটা সুখবর জানালো, আগামী ১৭ তারিখে ওর একটা নাটক টিভিতে প্রচারিত হবে। খুব দুর্দান্ত একটা নাটক। আমি যেন আমাদের সব ক্লাসমেটকে খবরটা জানিয়ে দিই। আমাকে বার বার বললো, কেউ যেন নাটকটা মিস না করে।
ইতোমধ্যে শামার একটা সেলিব্রেটি ইমেজ আমাদের ক্লাসমেটদের মধ্যে তৈরি হয়ে গেছে। এলাকার অনেক মানুষ, বিশেষ করে যারা অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করে ইউটিউব দেখে, তাদের মধ্যে ‘দেশের মেয়ে’ হিসাবে একটি বাড়তি জনপ্রিয়তাও সৃষ্টি হয়েছে।
আমার ভালো লাগলো যে, ওর সুখবরটা অন্য বন্ধুদের জানাতে শামা আর কাউকে না, স্বয়ং আমাকে বলেছে। যে কাছের, বা আস্থার, তাকে এ কাজ দেয়া যায়। আবারও আমার আশা জেগে ওঠে।
কয়েকজন বন্ধুবান্ধবকে টিভিতে নাটক প্রচারের খবর বলতে যেয়ে আমি অবাক হয়ে গেলাম- অনেকের কাছে ঢের আগেই এ খবর পৌঁছে গেছে। আরো একটা বিষয় জেনে খুব বিস্মিত হলাম, অনেকের সাথেই শামার নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। আমার ধারণা অন্ধ ছিল, শামা একমাত্র আমাকেই মাঝে মাঝে ফোন করে থাকে; আমি একাই ওর নাটকের একনিষ্ঠ বিমুগ্ধ দর্শক, এমনকি নাটকের খবরাখবর প্রচারের মুখপাত্রও আমি একাই।
৫
নাটকে বলতে গেলে অল্প সময়েই শামার নাম ছড়িয়ে পড়লো। ওর সব নাটকই টিভিতে এবং সেই সাথে ইউটিউবেও প্রচারিত হতে লাগলো। একটা নাটকে গানের দৃশ্য ছিল এবং সেই গানে বৃষ্টিতে ভিজে নায়কের হাত ধরাধরিসহ কিছু ঘনিষ্ঠতাও ছিল। এসব দেখে এখন আর আগের মতো কষ্ট লাগে না। আমি মেনে নিয়েছি, আমার জীবনে শামা কোনোদিন আসবার নয়। নিভে যাওয়া মীনা কুমারীর মতো শামাকে সারাজীবন দূর থেকেই দেখে যেতে হবে।
সবচাইতে দারুণ খবরটা এলো পরের বছর। অনেক বড়ো বাজেটের একটা ছায়াছবি হবে এবং শামা সেই সিনেমার নায়িকা নির্বাচিত হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, পাঁচটা দেশে শ্যুটিং হবে- থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, সিংগাপুর, শ্রীলংকা, ভারতের সিমলা এবং ইটালিতে হবে একটা বিশেষ এপিসোড। শামা আনন্দ ও উত্তেজনয়া ডগমগ করছে।
এরপর অনেকদিন শামার সাথে যোগাযোগ হয় না। ওর কোনো খবর পাই নি কারো কাছে। নতুন কোনো নাটকও নেই, সে ব্যস্ত সিনেমা নিয়ে। নিজের হীনমন্যতা কাটিয়ে একদিন শামার নাম্বারে কল দিলাম। আমার বুক ঢিভঢিভ করছিল। কল রিসিভ করলো একজন পুরুষ কণ্ঠ। পরিচয় জানতে চাইলে জানালেন তিনি শামা ম্যাডামের পিএস। 
‘একটু কথা বলতে চাইছিলাম।’ 
‘ম্যাডাম এখন রেস্টে আছেন।’ 
শামা ম্যাডামের হয়ত একান্ত ব্যক্তিগত আরেকটা নাম্বার আছে। সেটা চাইতে পারতাম, কিন্তু তার জবাবে পিএস সাহেবের কোনো অনভিপ্রেত কথা শুনতে হয় আশঙ্কা করে সেটা চাই না। পিএস সাহেবকে আমার পরিচয় দিয়ে বললাম, ম্যাডামকে প্লিজ জানাবেন, আমি তার ক্লাসমেট এবং অবশ্যই একজন ফ্যান। ‘জি, অবশ্যই’ বলে পিএস কল রাখলেন।
শামা আর ফোন ব্যাক করলো না। আমি অপেক্ষায় ছিলাম বহুদিন। ওকে আমি পাব না জানি। আমার প্রতি ওর কোনো প্রেম নেই, সেটাও সুস্পষ্ট। তবু, মন খুব চায়, শামা আমাকে কিছুদিন পর পর ফোন করে বলুক, ‘কী রে, ভালো আছিস তুই? খবর কী তোর? আমাকে ভুলে গেছিস কীভাবে, বল তো?’ দেশের এক খ্যাতনামা নায়িকার সাথে আমার পরিচিয় রয়েছে, যিনি আমার বান্ধবী, এ কথা আর দশজনকে বললে তারা আমাকে ভিড় করে ধরবে। কতকিছু জানতে চাইবে! আমার গৌরব আকাশ ছুঁয়ে যাবে। প্রেম না পাওয়া এক প্রেমিকের জন্য এটাই হলো বড়ো সান্ত্বনা। 
কোনো  কোনো সময়ে মানুষের জ্ঞান ও বুদ্ধি লোপ পায়, লজ্জা বা হায়ার অস্তিত্ব শূন্য হয়ে পড়ে। আমিও বেহায়ার চূড়ান্ত হয়ে, মনকে প্রবোধ দিতে না পেরে আরেকদিন শামাকে ফোন দিলাম। যথারীতি পিএস সাহেব ফোন ধরলেন। আমার সৌভাগ্য যে, তিনি আমাকে চিনতে পারলেন। আমার কথা ম্যাডামকে বলেছিলেন, তা বললেন। মনে হলো অপ্রীতিকর একটা কিছু বলতে চাইছিলেন, কিন্তু বলতে চেয়েও শেষমেষ বললেন না। তবে, তিনি এ দারুণ সংবাদটা দিয়ে শেষ করলেন- ম্যাডামের ছবির রেড কার্পেট প্রিমিয়ার শো হবে পরের মাসের ২৩ তারিখে। এ নিয়ে তিনি খুব ব্যস্ত আছেন।
তবু আমি অপেক্ষায় ছিলাম, একটা মিনিট বা মুহূর্তের জন্য হলেও শামা ওর এই সাফল্যের দিনে আমাকে ফোন করবে। বলবে, ‘তুই খুশি হোস নি? দেখ, আমি এ দেশের প্রথম হিরোইন, যার ছবির রেড কার্পেট হচ্ছে।’
গত কয়েক বছরে বেশ ক’বার ঢাকা এসেছি। অনেক বার ইচ্ছে করেছে, শামার বাসায় যেয়ে ঘুরে আসি। যাই নি। শামা কখন কোথায় থাকে, দেশে কী বিদেশে! একজন নামজাদা নায়িকার বাসায় যাব, কত মানুষই তো যায়, সবাই কি দেখা পায়? ভেতরে ঢুকতে না পেরে গেট থেকে ফিরে আসবো, নিজেকে অতখানি খাটো ও অপমানিত করতে চাই নি। আরো কত সংকোচ কাজ করেছে মনের ভেতরে!
রেড কার্পেট প্রিমিয়ার শো শেষ হওয়ার কিছুদিন পর আমাদের একজন ক্লাসমেট, যে স্থানীয় এক ধনাঢ্য এবং প্রভাবশালী ব্যক্তির বড়ো ছেলে, কথাচ্ছলে আমাকে জানিয়েছিল, শামা এত করে বলার পর সে ‘না’ বলতে পারে নাই; ওর পারসোনাল ইনভাইটেশন পেয়ে সে রেড কার্পেট প্রিমিয়ার শো-তে গিয়েছিল। রেড কার্পেট দুর্দান্ত হয়েছে। ছবিটাও অসাধারণ।
আমাদের পুরো জীবনটাই ছোটো-বড়ো অজস্র পরাজয় ও ব্যর্থতার গ্লানিতে ভরপুর। এই গ্লানির ভেতরে ডুবে থাকতে আমাদের না জানি কত বাসনা! অতীত রোমন্থনেই যেন সর্বসুখ। Our sweetest songs are those that tell of saddest thought. আমরা হেরে যাই, ডুবে যাই, আর তার কষ্টের গান গাইতে থাকি জীবন ভর।
আমি ঘুরে দাঁড়াই। নিহত প্রেমের জন্য নিজেকে কুরে কুরে নিঃস্ব করে আমার কী লাভ? কেবল দুঃখের গান গাইতেই এ জীবন নয়, দুঃখ নিংড়ে বের করে আনতে হবে হেমের নির্যাস। গা ঝাড়া দিয়ে উঠে পড়ি। আমি নিজেকে সন্ধান করি। বেরিয়ে আসে এক অসাধারণ আবিষ্কার। দেখি, আমার ভেতরে রয়েছে কিছু অমূল্য সম্পদ, আমার সূক্ষ্মতম অনুভূতি, আমার অভিমান, আমার আত্মসম্মানবোধ, যা আমাকে অনেক অনেক দিন পর্যন্ত যেচে শামাকে ফোন করতে দেয় নি। যেচে আমাকে শামার বাসায় নিয়ে যায় নি। আমাকে বলতে দেয় নি, ‘শামা, আমি তোকে ভালোবাসি। আমি তোমাকে ভালোবাসি, শামা।’ এবং যেদিন সমস্ত আত্মসম্মান বিকিয়ে নিজ থেকে শামাকে ফোন করেছিলাম, এখন মনে হচ্ছে, ওটা খুব দরকার ছিল। নইলে শামাকেও চিনতে পারতাম না, আর খুঁজে পেতাম না নিজের আবিষ্কারকেও।
 
১৯ জুলাই ২০২০   
 ৭৪ টি
    	৭৪ টি    	 +১৩/-০
    	+১৩/-০  ১৯ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১১:৩৩
১৯ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১১:৩৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি সাজ্জাদ ভাই, এটা নায়কের প্রথম প্রেম  
 
গল্প পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২|  ১৯ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১১:৪২
১৯ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১১:৪২
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,
সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন একটা অধরা প্রেমের গল্প।
এটা ঠিক - আমাদের জীবন বেহালার মধুরতম সুরটি তোলা হয় আমাদের দুঃখেরই ছড় টেনে টেনে!
  ১৯ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১১:৫৭
১৯ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১১:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 
এটা ঠিক - আমাদের জীবন বেহালার মধুরতম সুরটি তোলা হয় আমাদের দুঃখেরই ছড় টেনে টেনে!  গল্পটি পড়ে এ সুন্দর কমেন্টটি করার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই। শুভেচ্ছা রইল।
৩|  ১৯ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১১:৪২
১৯ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১১:৪২
ঊণকৌটী বলেছেন: এইটা কি আপনার জীবনের বাস্তব ঘটনা না গল্প,যাই হোক ভালো লাগেনি কেনো না একটা পুরুষ এর জীবনে অনেক কাজ তাকে তার জীবনে সমাজ 
এর জন্য  অনেক কাজ আছে, একটা মেয়ের জন্য এতো চিন্তা করার সময় বিলাসী বা উদাসী মানুষের পক্ষে সম্ভব 
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১২:০১
২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১২:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এটা একটা গল্প। ভালো না লাগুক, পড়েছেন সেজন্য অনেক ধন্যবাদ।
৪|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১২:২৮
২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১২:২৮
ঊণকৌটী বলেছেন: দুঃখিত আমার মন্তব্য এর জন্য আপনার থেকে আরো সৃজনশীল লেখা আশা করি
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১২:৩৪
২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১২:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দুঃখিত হবেন কেন? সব লেখকই সব সময় সেরা লেখাটাই লিখতে চান। আমিও সর্বদা চেষ্টা করছি আরো অধিক সৃজনশীল লেখা লেখার জন্য। আর, আমার ব্লগে স্বাগতম।
৫|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১২:৩৩
২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১২:৩৩
মুক্তা নীল বলেছেন: 
ভাই , 
চমৎকার একটি গল্প পড়লাম এবং এই গল্প পড়েই লগইন 
করলাম । প্রথম প্রথম প্রেমে পড়ার যে প্ল্যাটফর্ম গুলো খুব 
ভালো লেগেছে । একটু চোখাচোখি হলে কেমন লাগে, হাতের ছোঁয়ায় শিহরিত লাগে ... । গল্পের শেষের দিকে এসে সুন্দর একটি ঘুরে দাঁড়ানোর মেসেজ দিলেন।
আমাদের পুরো জীবনটাই ছোটো-বড়ো অজস্র পরাজয় ও ব্যর্থতার গ্লানিতে ভরপুর। -- এই ছোট-বড় অজস্র
জয় পরাজয় / ভাঙ্গা-গড়া আছে বলেই হয়তো আমরা
জীবনকে গড়তে পারি । আপনি গান প্রিয় মানুষ তাই আমার
প্রিয় গানের দুটো চরণ ,
পথের বাঁকে এসে মনে হলো অতীতটা হয়ে যাক দূর
চলবো এগিয়ে তবু বুকের বাঁশিটাতে বাধবো নতুন এক সুর
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১২:৪৯
২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১২:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপু, এই গল্পটা পড়ে কমেন্ট করার জন্য লগিন হলেন- জেনে খুব আনন্দিত হলাম। কয়েকটা সুন্দর বিষয়ের উল্লেখ করেছেন, সেগুলোও আমাকে আনন্দ দিচ্ছে। আমার গল্পের প্লটগুলো সচরাচর অনেকদিন ধরেই মগজে ঘুরপাক খেতে থাকে। সময়ের অভাবে লেখা না হলেও মগজেই ওগুলো লেখা শেষ হয়ে যায়, সময় পাওয়া মাত্র লিখে ফেলি, তখন লেখা শেষ করতে সময় লাগে খুব কম। এ গল্পটা মাথায় ঢুকেছে মাত্র ২/৩দিন আগে। গতকাল কিছু শেষ করে আজ পুরোটা শেষ করলাম। অল্প সময়ে ম্যাচিউর হওয়াটা ভালো লাগুলো বলে বেশ ভালো লাগছে।
সুন্দর কমেন্ট। সুন্দর একটা গানের রেফারেন্স। তাই আপনার জন্য এই উপহার -
৬|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১২:৪৩
২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১২:৪৩
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: উত্তমপুরুষে লিখলেই অনেকেই মনে করেন ব্যক্তিগত কাহিনি। উত্তম ধারাটি বাদ দেয়া হোক। 
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১২:৫২
২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১২:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহা। দারুণ একটা পরামর্শ মামুন ভাই। ফেইসবুকে আমার কিছু ক্লাসমেট আছে। উত্তম পুরুষে যাই লিখি না কেন, ওরা ধরে নেয় ওটা আমার ব্যক্তিগত কাহিনি। কাহিনির সূত্র ধরে খোজাখুজি শুরু করে। কিছু না পেয়ে বলে- তুই মিথ্যা কথা লেখস ক্যান? হাহাহাহা
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ মাম অর রশীদ ভাই।
৭|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১:০০
২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১:০০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই জীবন মনের কথা মনে থাকে । পাখি আকাশে উড়ে।
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  সকাল ৮:৫১
২০ শে জুলাই, ২০২০  সকাল ৮:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক সাংকেতিক কথা বললেন বোধ হয়। যাই হোক, ভালো লেগেছে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই। শুভেচ্ছা।
৮|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১:১৯
২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১:১৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: শামার প্রেম না পাওয়া প্রেমিক এতোদিনে নিশ্চয় জেনে গেছেন, 'পাঁচমিশালি সভ্যতায়, কাউকে ভোলা শক্ত নয়'!
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  সকাল ৮:৫৭
২০ শে জুলাই, ২০২০  সকাল ৮:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অতীত দিনের স্মৃতি কেউ ভোলে, কেউ ভোলে না। দুখুমামা মনে হয় কথাটা ঠিক বলেন নি। অতীত দিনের স্মৃতি, বিশেষ করে প্রেমের স্মৃতি ভোলা যায় না। 
তবে, নিহত প্রেমের জন্য নিজেকে কুরে কুরে নিঃস্ব করার পক্ষে নই। গা ঝারা দিয়ে উঠে দাঁড়াতে হবে। অতীতের প্রেম থেকে ভালো কিছু নেয়ার থাকলে তাকে সম্বল করে সামনে এগোতে হবে। অন্যথায়, গায়ে জামা থাকলেও আমরা যেমন জামার কথা ভুলে নিজ উদ্যমে ব্যস্ত থাকি, ওরকম, প্রেমটাকেও ভুলে যেয়ে পূর্ণ শক্তিতে জীবনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
প্রশ্নটা ভালো ছিল আপু, এজন্য এ কথাগুলো নিজের মতো করে লিখলাম। ভালো থাকুন। গল্প পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৯|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ৩:১৫
২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ৩:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন: 
মোটামুটি
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  সকাল ৯:১৪
২০ শে জুলাই, ২০২০  সকাল ৯:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই।
১০|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ৩:২৭
২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ৩:২৭
সোহানী বলেছেন: আপনার ভান্ডারে দেখি যত ব্যার্থ নায়কের অনাগোনা   ।  ............
 ।  ............
কোন সমস্যা নেই, এরকম নায়িকা প্রেমিকা না পাওয়ায় ভালো। তাহলে প্রেমিক থেকে অতি দ্রুত ভিলেন হতে হতো..............
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  সকাল ৯:১৯
২০ শে জুলাই, ২০২০  সকাল ৯:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহা। প্রেমে ব্যর্থতা আছে বলেই প্রেম এত মধুর! নইলে 'প্রেম' বলে কিছুর অস্তিত্ব থাকতো না  তবে, আপনার জন্য সফল প্রেমের একটা গল্প বানাইতে হয় দেখছি, নইলে যে অপবাদ দিলেন তা থেকে উত্তরণের পথ পাব  না
 তবে, আপনার জন্য সফল প্রেমের একটা গল্প বানাইতে হয় দেখছি, নইলে যে অপবাদ দিলেন তা থেকে উত্তরণের পথ পাব  না 
এরকম নায়িকা প্রেমিকা না পাওয়ায় ভালো। তাহলে প্রেমিক থেকে অতি দ্রুত ভিলেন হতে হতো...... এটা আরো খাসা বলেছেন। আমি ছোটোবেলায় ভাবতাম, সিনেমায় যারা নায়ক-নায়িকা, বাস্তব জীবনেও তারা স্বামী-স্ত্রী হয় না কেন? এদের সমস্যা কোথায়? তাহলে ছবির মতো বাস্তব জীবনেও তারা চাঁদনি রাতে খোলা ছাদের উপর বসে গান ধরতে পারতো - তুমি যে আমার, ওগো তুমি যে আমার
১১|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  ভোর ৬:১৮
২০ শে জুলাই, ২০২০  ভোর ৬:১৮
ইসিয়াক বলেছেন: খুব ভালো গল্প।
সুপ্রভাত ভাইয়া।
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  সকাল ৯:১৯
২০ শে জুলাই, ২০২০  সকাল ৯:১৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি ইসিয়াক ভাই। সুপ্রভাত। ভালো থাকবেন।
১২|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  সকাল ১০:৪৪
২০ শে জুলাই, ২০২০  সকাল ১০:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: কি বলব? আপনার নায়কের কষ্ট-বোধ তো আমাকেও ছুয়ে গেল! মহিমা'টা কে? এখন বুঝি অযথা ভাব নিয়ে মনের কথা আটকে রাখতে নেই
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  সকাল ১১:২৮
২০ শে জুলাই, ২০২০  সকাল ১১:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নায়কের কষ্টবোধ আপনাকেও ছুঁয়ে গেল- এর অর্থ ধরে নিচ্ছি গল্পটা আপনার ভালো লেগেছে। আপনার বাস্তব জীবনে এমন কিছু ঘটে নি আশা করি 
মহিমাটা হলো অজানা অচেনা গায়ের রঙ ফরসা এক সুন্দরী যুবতী, যাকে গল্পের নায়ক তাদের ক্লাসমেট হিসাবে পেয়ে ধন্য হয়েছিল। শাম্র গায়ের রঙ জারুল কিংবা মহিমার গায়ের রঙের মতো ফর্সা  না হলেও সে ওদের চাইতে আলাদা ছিল, এবং আকর্ষণীয়া ছিল- এটা নায়কের মতামত।
গল্প পাঠ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই। শুভেচ্ছা।
১৩|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  সকাল ১১:৩৮
২০ শে জুলাই, ২০২০  সকাল ১১:৩৮
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কেউ কেউ এমনই হয় অনেক গভীর ভালোবাসার মানুষদেরকে ভালোবাসে শুধু নিজেকেই বাসবে বলে। আর তাই তারা তাদের উপরে ওঠার সিড়ি...
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১২:১৮
২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১২:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর একটা কথা বলেছেন আপনি। সেলিব্রেটিদের ক্ষেত্রে এমনটাই হয় বেশি, যদিও এ গল্পে নায়ককে শামার উপরে ওঠার সিঁড়ি হিসাবে দেখানো হয় নি। নায়কের প্রধান সমস্যা কিংবা সম্পদ হলো তার আত্মসম্মানবোধ। সে যেচে এগিয়ে গিয়ে নিজেকে খাটো করতে চায় নি। শেষ পর্যন্ত নিজের আত্মসম্মানবোধের উপর দাঁড়িয়ে সে পাথেয় খুঁজে নিল।
খুব ছোটো একটা নাম হলে সম্বোধনে সুবিধা হয়। 'কবিতা' লিখতে চেয়েছিলাম, লিখি নি কারণ, ওটা একটা নির্দিষ্ট জেন্ডার নির্দেশ করে। 'প্রহর' বলেই ডাকবো।
১৪|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১২:২৬
২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১২:২৬
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: খুব ছোটো একটা নাম হলে সম্বোধনে সুবিধা হয়। 'কবিতা' লিখতে চেয়েছিলাম, লিখি নি কারণ, ওটা একটা নির্দিষ্ট জেন্ডার নির্দেশ করে। 'প্রহর' বলেই ডাকবো। 
আচ্ছা। ধন্যবাদ এত সুন্দর উত্তরের জন্য।
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১২:৩৬
২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১২:৩৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ প্রহর।
১৫|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১২:৩৭
২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১২:৩৭
লরুজন বলেছেন: আপনার জীবনটা ব্যর্থতার গ্লানিতে ভরপুর হয়া তেজপাতা হয়া গেছে। 
বুঝছি আপনে মজনু। 
তয় লাইলীর পিছন পিছন দৌড়াইয়া আর লাভ নাই।
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১২:৫২
২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১২:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি ঠিকই ধরেছেন নজরুল ভাই, আমি মজনু। লাইলী আমার প্রেমিকা  লাইলীর পেছনে আর দৌড়াই না, সে আমার স্ত্রী হইয়া আমাকেই দৌড়ের উপর রেখেছে
 লাইলীর পেছনে আর দৌড়াই না, সে আমার স্ত্রী হইয়া আমাকেই দৌড়ের উপর রেখেছে 
আপনার কী অবস্থা?
১৬|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১২:৩৭
২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১২:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: গল্পটা সুন্দর। সহজ ভাবে লিখেছেন। তবে আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে এটা গল্পটা মা। বাস্তব গল্প।
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১২:৫৬
২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১২:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পটা সুন্দর - এটা জেনে অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। 
"তবে আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে এটা গল্পটা না। বাস্তব গল্প।"  লেখক হিসাবে এটা আমার সার্থকতা হিসাবেই ধরছি।
ফেইসবুকে মোঃ শাহজাহান নামে আমার এক শিক্ষক বন্ধু (ক্লাসমেট) আছেন (আমার প্রায় সব পোস্টেই মোটামুটি তার মূল্যবান মতামত থাকে)। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই আমি আমাজামছাইভস্ম যাই লিখি, খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েন। তারা বিশ্বাস করেন যে, আমি যা লিখি তা সবই সত্যি। প্রতিটা প্রেমের কাহিনিতে তারা নায়িকার ঠিকানা খুঁজতে থাকেন, আন্দাজ করতে থাকেন কে বা কাহারা আমার প্রাক্তন প্রেমিকা হইয়া থাকিবেন 
১৭|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১:১০
২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১:১০
রায়হান চৌঃ বলেছেন: প্রেমে মজি, প্রেমে ডুবি, প্রেমে ভাসি....... শুধু মাত্র মানুষ বলে  ,
, 
তবে এতটা স্মৃতি কাতর হয়ে মরতে চাই না..
ও হাঁ, আপনি বরাবরই ভালো লিখেন...... যাদের লিখাগুলো খুজেখুজে পড়ি তাদের দলে আপনি ও আছেন  ভালো থাকবেন
 ভালো থাকবেন
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১:১৮
২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রেমে মজি, প্রেমে ডুবি, প্রেমে ভাসি....... শুধু মাত্র মানুষ বলে। ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে দেখলাম কথাটা কার। কারো না, এটা আপনার কথা এবং কথাটা খুব ভালো।
ও হাঁ, আপনি বরাবরই ভালো লিখেন...... যাদের লিখাগুলো খুজেখুজে পড়ি তাদের দলে আপনি ও আছেন।। যাই লিখি না কেন, ছাই বা ভস্ম, এমন কমেন্ট অসীম অনুপ্রেরণার উৎস। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ গল্পটা পড়া এবং উৎসাহব্যঞ্জক কমেন্টের জন্য।
১৮|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১:৩৭
২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: সর্যি টাইপ করতে গিয়ে মিসটেক হয়েছে।  অবশ্য আপনি তা বুঝতে পেরেছেন।  
আপনার পোষ্টে আবার এলাম কারন আপনার গল্প পড়ে আমার এক ল;আশমেটের কথা মনে পড়ে গেল। মেয়েটার নাম ছিল শামা। হিন্দু। মেয়েটা খুব সুন্দর ছিলো। সহজ সরল সুন্দর। মেয়েটাকে প্রায়ই ভুলেই গিয়েছিলাম।  আপনার গল্পে শামা নাম দেখে পুরোনো সৃতি গুলো সব মনে পড়ে এখন বিষন্নতায় পেয়ে বসেছে। এর মধ্যে আজ বৃষ্টির দিন।
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১:৪৬
২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাকে তো তাইলে কোণঠাসা করে দিলেন রাজীব ভাই। আমার আগের গল্পের প্রেমিকার নাম ছিল রামালা, সংক্ষেপে রামা, এটা রামার সাথে মিলিয়ে শামা রাখা হয়েছে; শামা'র পুরা নামটা শামালা করতে চেয়েছিলাম, দরকার হয় নি বলে করি নি। দুঃখের কথা হলো নামটা তাহলে ইউনিক বা আনকমন রইল না  অবশ্য, আপনার ক্লাসমেটের নাম শামা না হয়ে শ্যামাও হতে পারে এবং ওটা যাতে হয় আমি এখন সেটাই কামনা করছি
 অবশ্য, আপনার ক্লাসমেটের নাম শামা না হয়ে শ্যামাও হতে পারে এবং ওটা যাতে হয় আমি এখন সেটাই কামনা করছি 
আপনার স্মৃতিকে জাগ্রত করতে পেরে ভালো লাগছিল, কিন্তু এই স্মৃতিতে বিষণ্ণতা কেন?
১৯|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১:৫৬
২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১:৫৬
জনৈক অপদার্থ বলেছেন: মোহনীয়
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১:৫৮
২০ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব জনৈক।
২০|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  বিকাল ৩:০৮
২০ শে জুলাই, ২০২০  বিকাল ৩:০৮
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার গল্প!
তবে শেষটা অসাধারণ!!
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  বিকাল ৫:৪৮
২০ শে জুলাই, ২০২০  বিকাল ৫:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান জাকির ভাই। শুভেচ্ছা।
২১|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  বিকাল ৪:৫১
২০ শে জুলাই, ২০২০  বিকাল ৪:৫১
কল্পদ্রুম বলেছেন: শামার সাথে মিলন না হওয়াটাই বোধহয় ভালো হয়েছে।বেশি ভালো লেগেছে শেষের উপলব্ধিটা।
  ২০ শে জুলাই, ২০২০  বিকাল ৫:৪৯
২০ শে জুলাই, ২০২০  বিকাল ৫:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শামার সাথে মিলন না হওয়াটাই বোধহয় ভালো হয়েছে। হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন। মিলন হয়ে গেলে তেমন কিছু আর বলার থাকে না, তারা কেবল সুখে শান্তিতে সংসার করতে থাকতো।
শেষের উপলব্ধিটা বেশি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে।
ধন্যবাদ কল্পদ্রুম। শুভেচ্ছা।
২২|  ২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১০:২৫
২০ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১০:২৫
মা.হাসান বলেছেন: আঙ্গুরি নামে একটা সিমিলার গল্প পড়েছিলাম। আমার কাছে শ্যামার বা আঙ্গুরির দোষ তেমন একটা নেই বলেই মনে হয়, নায়ক বা তমাল যদি মিথ্যে কিছু ফ্যান্টাসির মধ্যে পড়ে থাকে তবে কি করার!
  ২১ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১২:৫৮
২১ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ১২:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ব্যাপারটা আমার কাছে খুব আনন্দদায়ক যে আপনি আমার 'আঙ্গুরি' গল্পটার কথা মনে রেখেছেন, শুধু তাই নয়, ও গল্পের নায়ক 'তমাল' নামটাও মনে রেখেছেন। খুব মনোযোগী, মেধাবী ও স্মৃতিধর ব্লগার না হলে এটা সম্ভব হতো না। আমি সত্যিই আপ্লুত হলাম মা.হাসান ভাই।
গল্প দুটো একই জনরার সন্দেহ নাই। বেসিক একটা পার্থক্য আছে- 'আঙ্গুরি' হলো একটা ছেলের নানান রকম ফ্যান্টাসি। 'শামা' ঠিক ফ্যান্টাসি না- নায়ক এখানে বাস্তবতার নিরিখে আশাবাদী হয়ে ওঠে। কারো প্রতি তো ভালোলাগা গড়ে উঠতে পারেই, কিন্তু, বিভিন্ন সময়ে শামা যেভাবে নায়কের সাথে কথা বলেছে, তাতে নায়কের আগ্রহ চূড়ান্তে পৌঁছে যায়। আর চূড়ান্তে পৌঁছে যাওয়ার কারণেই সে নিজেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যাখ্যাত বা অগৃহীত মনে করে। এ থেকে নায়কের একটা বোধন জন্মায়, যেটাকে গল্পের মূল হিসাবে দাঁড় করাতে চেয়েছি।
লাস্ট ক্ল'জে যা বললেন, তা সত্যি। নিজে নিজে কেউ যদি ববিতা বা মৌসুমীর প্রেমে পড়ে, সেই প্রেম আকাশ-কুসুম ফ্যান্টাসি ছাড়া আর কী হতে পারে? 
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মা.হাসান ভাই।
২৩|  ২১ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১:০৬
২১ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১:০৬
ঢুকিচেপা বলেছেন: আপনার জন্য বিষয়টা একসময় দুঃখের হলেও পড়ে খুব ভাল লাগলো। সহজ সরলোক্তি।
দ্বিতীয় প্যারা পুরোটাই সুন্দর। আরো অনেকগুলো আছে কোট করার মত কিন্তু তাতে মন্তব্য হবে বিশাল তাই আর ওদিকে গেলাম না।
ধন্যবাদ।
  ২১ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ২:২৩
২১ শে জুলাই, ২০২০  দুপুর ২:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'সহজ সরলোক্তি'র গল্পটা পড়ে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে ঢুকিচেপা। দ্বিতীয় প্যারার উল্লেখ করায় আমি আবার উপরে যেয়ে দেখে আসলাম কী লিখেছি। হ্যাঁ, আমারও ভালো লেগেছে 
ধন্যবাদ গল্প পাঠ ও কমেন্টের জন্য।
২৪|  ২২ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১১:৫০
২২ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১১:৫০
মিরোরডডল  বলেছেন: 
ওয়ান সাইডেড লাভ । একতরফা বলেই এই ফিলিন্স লং টাইম থাকেও না । সময়ের সাথে চেঞ্জ হয়ে যায় । যেমন এখানেও গল্পের নায়কের এই মোহ কেটে যায় । অদুর ভবিষ্যতে কখনও মনে পড়লেও ওটার মাঝে আগের সেই আরজ আর থাকেনা । ওটা মনে করে হয়তো হাসি আসবে অথবা দীর্ঘশ্বাস !
ধুলোর ম্যাক্সিমাম লেখাই পুরনো লেখার রি-পোষ্ট কিন্তু প্রেম গল্পের পর এই লেখাটা নতুন । ভালো লাগলো পড়তে ।
  ২৩ শে জুলাই, ২০২০  বিকাল ৫:৫৩
২৩ শে জুলাই, ২০২০  বিকাল ৫:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মানুষের প্রেমগুলো হলো গুঁটিবসন্তের দাগের মতো। এ কথাটা বলা হয়ত আমার মুদ্রাদোষ হয়ে গেছে, কারণ, এটা আমি অহরহই বলে থাকি। গুঁটিবসন্তের দাগের মতো প্রেমের দাগ মানুষের অন্তরে রয়ে যায়, ভোলা যায় না।
এ গল্পে নায়কের মোহ কেটে গেছে এভাবে বলা ঠিক হবে না। তার মধ্যে একটা চেতনা বা বোধের উন্মেষ ঘটেছে। প্রত্যাখ্যান বা ব্যর্থতাকে আঁকড়ে ধরে নিজেকে নিঃশেষে শেষ করে দেয়ার মধ্যে কোনো সার্থকতা নেই। এই হারানো প্রেম নিয়ে সারাজীবন কান্নাকাটি করে নিজের কী লাভ। এই বোধ থেকেই সে ঘুরে দাঁড়ায়। নিজের মধ্যেই তার এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার জন্য সে নিজেই মুগ্ধ। এ থেকেই সে ভবিষ্যতে চলার পাথেয় স্থির করে  নেয়।
২৫|  ২৩ শে জুলাই, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:১৪
২৩ শে জুলাই, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:১৪
মিরোরডডল  বলেছেন: 
অন্তরে রয়ে যায়, সহমত কিন্তু অনুভূতির পরিবর্তন হয় ।
মোহ কেটে গেছে বলতে যেটা বোঝাতে চেয়েছি , সে স্ট্রং হয়ে ওখান থেকে সরে আসতে পেরেছে , ঘুরে দাঁড়ানো যেটা । প্রথমে যে মোহের মধ্যে ছিলো তখন কিন্তু মনে হয়নি সে বের হতে পারবে । অনেকটা নেশার মতন । আসলেই ওই অবসেসন থেকে কাটিয়ে উঠাটা অনেক কঠিন । আর একবার যখন পারা যায় , ভোলা না গেলেও আগের অনুভূতিটা আর থাকেনা । এটা পজিটিভ । তানাহলে জীবন নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারতো না । আমি সেটাকে এপ্রিশিয়েট করছি । এটাই হওয়া উচিত । 
  ২৩ শে জুলাই, ২০২০  সন্ধ্যা  ৭:২২
২৩ শে জুলাই, ২০২০  সন্ধ্যা  ৭:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ব্যাখ্যা সুন্দর ও হৃদয়গ্রাহী হয়েছে। ডুলুকে ধন্যবাদ।
২৬|  ২৩ শে জুলাই, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:২১
২৩ শে জুলাই, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:২১
মিরোরডডল  বলেছেন: 
গুঁটিবসন্তের দাগের মতো শুনে সাজুর এই দাগ গানটা মনে পড়লো
  ২৩ শে জুলাই, ২০২০  সন্ধ্যা  ৭:২৫
২৩ শে জুলাই, ২০২০  সন্ধ্যা  ৭:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, গানটা শুনে এলাম। লিংকের জন্য ধন্যবাদ।
২৭|  ৩১ শে জুলাই, ২০২০  বিকাল ৪:০৪
৩১ শে জুলাই, ২০২০  বিকাল ৪:০৪
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: এই তো আমাদের বাস্তব নায়ক! নায়কদের তো এমনি হওয়া দরকার! ওরা যেখানে পড়ে থাকে না, সেখানে আমাদের পড়ে থেকে কি লাভ! শেষটা আমার ভাল লেগেছে, গল্পটা বাস্তব মনে হচ্ছে!
  ৩১ শে জুলাই, ২০২০  বিকাল ৪:২৯
৩১ শে জুলাই, ২০২০  বিকাল ৪:২৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সাহাদাত ভাই, সুন্দর ও আশাজাগানিয়া মন্তব্যের জন্য।
আরেকটা ভিডিও ছিল ব্লগারদের নিয়ে, ২০১২ সালে করা। কিন্তু সেখানে আপনার কোনো প্রোপিক দেখছি না। আপনার বর্তমান প্রোপিক ছিল, নাকি অন্য কোনো, তা নিশ্চিত নই বলে বুঝতে পারছি না এই ভিডিওতে আপনি আছেন কিনা। না থেকে থাকলে বুঝতে পারছি না কেন নেই, কারণ, আপনার সাথে নিয়মিত ইন্টার্যাকশন হতো। ছবিও আমার কাছে থাকা স্বাভাবিকই ছিল।
২৮|  ০৩ রা আগস্ট, ২০২০  রাত ১১:০৫
০৩ রা আগস্ট, ২০২০  রাত ১১:০৫
মিরোরডডল  বলেছেন: 
এতো আনন্দে বার্থডে সেলিব্রেট করে হঠাৎ করেই ধুলোটা অফ ।
নিজের পোষ্ট এবং অন্য কারোও পোষ্টেও কোনও কমেন্ট নেই ।
কি হয়েছে ধুলো ?
কে মেরেছে
কে বকেছে
কে দিয়েছে গাল ?
তাইতো ধুলো রাগ করেছে
কথা বলেনি কাল  
  ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:০৪
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:০৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ডুলু পাগলা, মেন্টালি একটু অকোপাইড ছিলাম। সেটল্ড হতে চেষ্টা করছি।
২৯|  ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০  রাত ১২:২৮
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০  রাত ১২:২৮
লরুজন বলেছেন: ঢুলো বাইরে ব্বাই, 
আমারে কুস্তা দেন আমি হাইয়া মইরা যাইগা
আমি এই দুইন্নাইত আর থাকতাম না 
মিরোরডডল যেই কবিতা লেকছে আর বাছার ইচ্ছা নাই
ঘরো লবন আর চাল ছাড়া কিচ্চু নাই আমি এক কাম করি লবন খাইয়া মইরা যাইগা
কে মেরেছে
কে বকেছে
কে দিয়েছে গাল ?
তাইতো ধুলো রাগ করেছে
কথা বলেনি কাল
আমি এই কবিতা ডাহা শহরো চিকা মাইরা ওয়াল ভইরা লামু
ব্বাই আমারে কুস্তা দেন আমি হাইয়া মইরা যাইগা। আর বাছনের শখ নাই
  ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:০৫
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইদ মোবারক।
৩০|  ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:২১
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:২১
মিরোরডডল  বলেছেন: 
ডুলু পাগলা, 
হা হা হা... সো সুইট । আমাকে কিন্তু অফলাইনেও আমার ফ্রেন্ডস ফ্যামিলি ওরা এভাবে ডাকে ।
কেউ বলে পাগলা, কেউ পাগলি, ইভেন অফিসে নিক হচ্ছে ক্রেজি ক্যাট   
 
মেন্টালি একটু অকোপাইড ছিলাম। 
মানে কি, এতো কি চিন্তা   
 
কিসের এত দু:খ তোমার?
সারাক্ষণ বসে বসে ভাবছো,
পৃথিবীতে বলো বাঁচবে কদিন
সময়টাতো বড় অল্প।
 সেটল্ড হতে চেষ্টা করছি।
That means still you are not okay  
 
Can I help you?
  ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:৩৫
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০  সন্ধ্যা  ৬:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পারিপার্শ্বিক অনেক পরিস্থিতিই মানসিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে। সরাসরি অ্যাফেক্টেড না হলে দ্রুত বেরিয়ে এসে অন্যত্র কন্সেন্ট্রেট করতে চেষ্টা করি। কিন্তু আপসেটিং সিচুয়েশনটা যদি ইন্টারন্যাশনাল বা ন্যাশনাল লেভেলের হয়, তাহলে ওগুলো বার বার চোখের সামনে আসে, বার বার ডিস্ট্র্যাকশন হয়।
টরেন্ট থেকে জেমস বন্ডের সবগুলো মুভি ডাউনলোড করলাম। প্রিন্ট ভালো, বাজারে কেনা ডিভিডির চাইতেও ভালো। সাবটাইটেলসহ। এগুলো আবার দেখার প্ল্যান করেছি। প্রথমে এলোমেলো দেখেছিলাম। এখন সিরিয়ালি দেখার চেষ্টা করছি। ৯টা দেখা শেষ করলাম। আজ আবার ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলেছি। আর কয়টা দেখতে পারি জানি না। 
৩১|  ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০  সন্ধ্যা  ৭:৫৭
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০  সন্ধ্যা  ৭:৫৭
মিরোরডডল  বলেছেন: 
মানসিক অস্থিরতা খুব খারাপ । সব কাজে এটার ইমপ্যাক্ট হয় । বুঝতে পারছি ।
৯টা দেখা হয়েছে মানে অনেক । ইফ ইউ ডোন্ট ফীল, দেন ডোন্ট ওয়াচ । আবার যখন ভালো লাগবে তখন দেখবে ।
যেটা করতে ভালো লাগে সেটাই করা হোক । ইউ শুড অলওয়েজ গো উইথ ইউর হার্ট ।
  ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  বিকাল ৫:৪৬
১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  বিকাল ৫:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: Ua galo ia te aʻu le matou talanoaga
৩২|  ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  বিকাল ৫:৫৮
১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  বিকাল ৫:৫৮
মিরোরডডল  বলেছেন: 
E le masani? Ose taimi ua leva. Foi mai i le ono masina. 
Ona mafai lea ona e manatuaina 
  ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৬:১৬
১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৬:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কখনো কখনো সাথে সাথে রিপ্লাই করা সম্ভব হয় না। ব্লগে কিছুদিন ব্রেক দিয়ে আসার পর ওটা ভুলে যাই, রিপ্লাই দেয়া হয় না। পুরোনো কমেন্ট বা পোস্টে কোনো কারণে এলে ধরা পড়ে যে কিছু কমেন্টের রিপ্লাই még nem adott
৩৩|  ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৬:২৭
১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৬:২৭
মিরোরডডল  বলেছেন: 
ডিমেনশিয়া আলজাইমারের ব্লাড টেস্ট করা হয়েছে ? না হয়ে থাকলে ওটা করে নেয়া হোক 
  ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৬:৩৪
১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৬:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আরো বছর বিশেক যাক, তদ্দিন বেঁচে থাকলে একবার করে নেব নে
৩৪|  ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৬:৪১
১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৬:৪১
মিরোরডডল  বলেছেন: 
হা হা হা ...... ওয়েল সেইড ধুলো ।
আমার মনে হয় করতে হবে সুন 
  ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৬:৪৫
১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৬:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 
৩৫|  ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৬:৫০
১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৬:৫০
মিরোরডডল  বলেছেন: 
কি হল, জানতে চাইবে নাহ কেনো করতে হবে !   
  ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৬:৫৭
১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৬:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কেন?
৩৬|  ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৭:১২
১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৭:১২
মিরোরডডল  বলেছেন: 
আমাদের এখানে সামার । এসময় ফিউ টাইমস শাওয়ার একটা কমন ফ্যাক্টর ।
কিন্তু আজ যেটা হল, এটা শুধুই মনের ভুল । শাওয়ার নেয়ার সময় মনে হল, তার কিছুক্ষণ আগেই একবার শাওয়ার নেয়া হয়েছে কিন্তু মনে ছিলোনা । ভুলে গিয়েছিলাম । এরকম আগে কখনও হয়নি । গড নোজ মন যে কোথায় কোথায় চলে যায়   
 
আরেকটা পুরনো ঘটনা । গাড়ী ওয়াশ করতে দিয়ে শপিং এ গেলাম । তারপর ফিরে এসে পেমেন্ট করে গাড়ী নিয়ে শপিং সেন্টার থেকে অলরেডি বার হয়ে গেছি । মনে হলো কি যেন নেই নেই । তারপর বুঝলাম শপিং এর পুরো ট্রলি কারওয়াশ সেন্টারে রেখে আসছি । তারপর আর কি । আবার গিয়ে নিয়ে আসলাম ।  
খুব আনমাইন্ডফুল থাকি ধুলো   
 
  ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৭:৪৭
১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৭:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার মনে হয় করতে হবে সুন  কথাটায় আমি ভেবেছি -  ধুলোর নিজের এই টেস্টটা খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে। এজন্য কারণ জিজ্ঞাসা করা হয় নাই।
 কথাটায় আমি ভেবেছি -  ধুলোর নিজের এই টেস্টটা খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে। এজন্য কারণ জিজ্ঞাসা করা হয় নাই।
ডুলুর ঘটনা শুনে মজা পেয়েছি। গোসলের ব্যাপারে কয়েক মাস আগে আমারও এরকম হয়েছিল, তবে এত কুইক সাকসেশনে না। হঠাৎ মনে পড়লো, এই রে, গোসল করা তো হলো না এখনো। জলদি গোস সেরে এলাম। ধুলোর স্ত্রী এই দেখে বললো, একবার না গোসল করে এলে, বাইরেও যাও নাই, আবার গোসল কেন?
নামাজে আমার সমস্যা হয় বেশি। সিজদার সংখ্যা ভুলে যাই, রাকাতের সংখ্যাও ভুলে যাই 
৩৭|  ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৭:৫৭
১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  সন্ধ্যা  ৭:৫৭
মিরোরডডল  বলেছেন: 
সো ইউ আর জয়েনিং উইদ মি ফর টেস্ট ।
হা হ হা ... কিডিং !
ধুলো যদি ২০ বছর পর করে, আমি তাহলে ৪০ বছর পর ভেবে দেখবো   
 
  ১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  রাত ৯:৩৭
১২ ই জানুয়ারি, ২০২১  রাত ৯:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১১:২৪
১৯ শে জুলাই, ২০২০  রাত ১১:২৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
প্রথম প্রেম নাকি।
তবে কাহিনী খুব ভালো লেগেছে।