নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
স্মরণকালের মধ্যে এবারই বোধহয় আমেরিকার নির্বাচন নিয়ে আমেরিকানসহ বিশ্ববাসীর মধ্যে এত আগ্রহ, উচ্ছ্বাস আর উত্তেজনা দেখা গেছে। কিন্তু, আমেরিকান নির্বাচন পদ্ধতিটা এত জটিল যে, আমেরিকার বাইরের মানুষ এ বিষয়ে খুব পরিষ্কার ধারণা রাখেন বলে মনে হয় না। আমার নিজেরই এ ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা ছিল না কয়েকদিন আগেও। ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করে যতখানি বুঝেছি, তা থেকে আমি অল্প কথায় বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা করছি। তথ্যে বা পদ্ধতি বর্ণনায় কোথাও ভুল পরিলক্ষিত হলে তা সংশোধনের জন্য তুলে ধরার অনুরোধ রাখলাম। মূলত United States Electoral College আর্টিকেলটিই আমার এ লেখাটির প্রধান উৎস।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মোটা দাগে দুই ধাপে সম্পন্ন হয়, যা নিম্নরূপ :
ক। প্রথম ধাপে সারাদেশের জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যদের নির্বাচন করা হয়, যাদেরকে বলা হয় ইলেক্টর।
খ। দ্বিতীয় ধাপে ইলেক্টরগণ নিজ নিজ অঙ্গরাজ্যের রাজধানীতে মিলিত হয়ে আলাদা আলাদা ব্যালটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে ভোট দিয়ে থাকেন, যার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচত হোন।
এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য নীচের সংজ্ঞাদুটো আগেভাগে বুঝে নিলে সুবিধা হবে :
ক। পপুলার ভোট বা জনগণের ভোট : প্রতি ৪ বছর পর পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন বছরের ০১ নভেম্বরের পরের প্রথম মঙ্গলবার হলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সুনির্দির্ষ্ট ‘নির্বাচন দিবস’। এইদিন জনগণ যে-ভোট দিয়ে ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যদের বা ইলেক্টরদের নির্বাচন করে থাকেন, তাকে এই আর্টিকেলে ‘পপুলার ভোট’ বলে ধরে নি্তে হবে। নির্বাচন দিবসে ওয়াশিংটন ডিসি ও ৫০টি অংগরাজ্যের জনগণ প্রত্যক্ষ ভোটে ৫৩৮ জন ইলেক্টর নির্বাচন করেন।
খ। ইলেক্টোরাল ভোট : জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও ওয়াশিংটন ডিসি’র ইলেক্টরগণ নির্বাচিত হয়ে থাকেন। এই ইলেক্টরগণ যে-ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে থাকেন, তাকে ইলেক্টোরাল ভোট বলা হবে। পপুলার ‘নির্বাচন দিবস’-এর পরের মাসে, অর্থাৎ ডিসেম্বরের ২য় বুধবারের পর প্রথম সোমবারে প্রতি অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টোরালগণ নিজ নিজ রাজধানীতে মিলিত হয়ে আলাদা আলাদা ব্যালটে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে নির্বাচনের জন্য ভোট প্রদান করেন।
আমেরিকার নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে যাদের ধারণা কম, বা ধারণা নেই, তারা হয়ত সংজ্ঞাদুটো ভালোমতো বোঝেন নি; তবে, পুরো পোস্ট পড়ার পর আবার এসে পড়লে সংজ্ঞাদুটো ক্লিয়ার হবে বলে আশা করি।
চলুন বিস্তারিত বর্ণনায়।
নির্বাচন দিবসে, ওয়াশিংশটন ডিসিসহ আমেরিকার ৫০টা অঙ্গরাজ্য থেকে সর্বমোট ৫৩৮জন ইলেক্টোরাল ভোটার নির্বাচিত হন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে, এবং এই ভোটারগণই প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। একেকটা অঙ্গরাজ্যে ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা একেক রকম। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ইলেক্টোরাল ভোটার হলেন ক্যালিফোর্নিয়ায় – ৫৫জন। এর পরের অবস্থানে টেক্সাস- ৩৮। নিউ ইয়র্ক ও ফ্লোরিডায় ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা ২৯জন করে। ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যে ১২জন এবং ওয়াশিংটন ডি,সি,’র ৩জন।
নীচে দেখুন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা।
আলবামা-৯, আলাস্কা-৩, আরিজোনা-১১, আরকানসাস-৬, ক্যালিফোর্নিয়া-৫৫, কোলোরাডো-৯, কানেক্টিকাট-৭, ডেলাওয়ের-৩, ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া-৩, ফ্লোরিডা-২৯, জর্জিয়া-১৬, হাওয়াই-৪, ইডাহো-৪, ইলিনয়-২০, ইন্ডিয়ানা-১১, আইওয়া-৬, কানসাস-৬, কেন্টাকি-৮, লুইজিয়ানা-৮, মাইনে-৪, ম্যারিল্যান্ড-১০, ম্যাসাচুসেটস-১১, মিশিগান-১৬, মিনেসোটা-১০, মিসিসিপি-৬, মিসৌরি-১০, মনটানা-৩, নেব্রাস্কা-৫, নেভাদা-৬, নিউ হ্যাম্পশায়ার-৪, নিউজার্সি-১৪, নিউ মেক্সিকো-১৪, নিউইয়র্ক-২৯, নর্থ ক্যারোলিনা-১৫, নর্থ ডাকোটা-৩, ওহাইও-১৮, ওকলাহোমা-৭, অরেগন-৭, পেনসিলভানিয়া-২০, রোডে আইল্যান্ড-৪, সাউথ ক্যারোলিনা-৯, সাউথ ডাকোটা-৩, টেনেসে-১১, টেক্সাস-৩৮, উতাহ-৬, ভারমন্ট-৩, ভার্জিনিয়া-১৩, ওয়াশিংটন-১২, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া-৫, উইকনসিন এবং উইয়োমিং-৩।
৫৩৮ সংখ্যাটা যেভাবে এলো : প্রতিটা অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের সংখ্যা (হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সংখ্যা) ও সিনেটরের সংখ্যা মিলে যে সংখ্যাটা দাঁড়ায়, তাই হলো ঐ অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা। যেমন, ক্যালিফোর্নিয়ায় ২জন সিনেটর আছেন এবং ৫৩টা ডিস্ট্রক্টের জন্য ৫৩ জন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ আছেন। ২ ও ৫৩ মিলে ৫৫ হয়। প্রতিটিতে ২জন করে সিনেটর ধরে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মোট সিনেটরের সংখ্যা হয় ১০০। ৫০টা অঙ্গরাজ্যে মোট কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্ট্রের সংখ্যা ৪৩৫, যার প্রতিটিতে একজন করে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ রয়েছেন; মোট হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সংখ্যা ৪৩৫। ১০০ + ৪৩৫ = ৫৩৫। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ৩জন ইলেক্টোরাল নির্বাচিত হোন। ৫৩৫+৩=৫৩৮।
জনসংখ্যার ভিত্তিতে কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের সীমানা নির্ধারণ করা হয়। ১৯১৩ সালে এই ডিস্ট্রিক্টের সংখ্যা ৪৩৫ নির্দিষ্ট করা হয়। তবে, জনসংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধির ফলে কিছুকাল পরপর সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা হয় এবং মোট সংখ্যা ৪৩৫ স্থির রেখে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধি করা হয়। সর্বেশেষ ২০১২ সালে কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত মোট ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্য্যা ৫৩৭ ছিল, এবং ১৯৬৪ সাল থেকে এ সংখ্যা ৫৩৮। এর মধ্য থেকে ২৭০ বা তার চাইতে বেশি ইলেক্টোরাল ভোট প্রাপ্ত প্রার্থীই প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে নির্বাচিত হোন।
ইলেক্টর মনোনয়ন। ইলেক্টর মনোনয়নের বিভিন্ন পদ্ধতি থাকলেও সচরাচরর প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় পলিটিক্যাল পার্টিগুলো প্রতি অঙ্গরাজ্যে বিশ্বাসভাজন ব্যক্তিগণকে ‘ইলেক্টর’ হিসাবে মনোনয়ন দান করে। এই মনোনীত ইলেক্টরগণ বিজয়ী হলে নিজ নিজ প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকেই ভোট দিবেন বলে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকেন। প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনই হলো এই ইলেক্টোরাল ভোটারদের একমাত্র কাজ।
ইলেক্টোরাল কলেজ বা নির্বাচন পদ্ধতি (গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটিই)। ইলেক্টোরাল ভোটারের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতিকে ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ বলা হয়। বাস্তবে এই কলেজের কোনো অস্তিত্ব নেই। ভোট শেষ হওয়ার পর এই ভোটারদেরও আর কোনো কাজ থাকে না। কিন্তু, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতিটা খুবই ইন্টারেস্টিং। ভোট গ্রহণের দিন প্রতিটা অঙ্গরাজ্যের জনগণ ভোট সেন্টারে গিয়ে ভোট প্রদান করেন (ডাক ও মেইলযোগেও ভোট প্রাদনের নিয়ম আছে, এমনকি অগ্রিম ভোটও দেয়া যায়)। মাইনে ও নেব্রাস্কা ছাড়া, অন্য প্রতিটা অঙ্গরাজ্যে যে দল সর্বোচ্চ ভোট পাবে, ঐ অঙ্গরাজ্যে ঐ দলই বিজয়ী হবে এবং ঐ অঙ্গরাজ্যের মোট ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা ঐ দলের অনুকূলে যাবে। এ ব্যাপারটা ক্লিয়ার করার জন্য একটা উদাহরণ দিচ্ছি। ২০২০ নির্বাচনে ক্যালিফোর্নিয়ায় জো বাইডেন পেয়েছেন 10,268,890, ট্রাম্প পেয়েছেন 5,368,263 পপুলার ভোট। জো বাইডেন এখানে বিজয়ী। এই রাজ্যে ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা ৫৫। এই ৫৫ ইলেক্টোরাল ভোটারই জো বাইডেনের অনুকূলে থাকবেন, অর্থাৎ, এই ৫৫ ইলেক্টোরাল ভোটারের সবাই জো বাইডেন ও কামালা হ্যারিসকে ভোট দেয়ার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ। অন্যদিকে, টেক্সাসে ট্রাম্প পেয়েছেন 5,865,913, আর জো বাইডেন 5,218,631। এই রাজ্যে ট্রাম্প বিজয়ী এবং ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা ৩৮-এর পুরোটাই চলে যাবে ট্রাম্পের অনুকূলে। নেব্রাস্কা এবং মাইনে অঙ্গরাজ্যের জন্য নিয়মটা ভিন্ন। এই দুই অঙ্গরাজ্যে সর্বোচ্চ প্রাপ্ত পপুলার ভোটের হিসাবে ২জন করে ইলেক্টোরাল ভোটার নির্বাচিত হবেন। বাকি ইলেক্টোরাল ভোটার প্রতিটা কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ পপুলার ভোটের ভিত্তিতে আলাদা ভাবে নির্বাচিত হবেন। এখানেও উদাহরণ দিলে বিষয়টা স্পষ্ট হবে। মাইনে অঙ্গরাজ্যে জো বাইডেন পেয়েছেন 430,023 এবং ট্রাম্প পেয়েছেন 359,502 পপুলার ভোট। এখানে কংগ্রেশনাল ডিস্ট্রিক্টের সংখ্যা ২ এবং ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা ৪। অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের হিসাবে জো বাইডেন এই রাজ্যে বিজয়ী এবং ৪ ইলেক্টোরাল ভোটারের ৪জনই তার অনুকূলে থাকার কথা। কিন্তু, এখানকার পলিসি ভিন্ন; ফলে, পুরা অঙ্গরাজ্যে জো বাইডেন বেশি পপুলার ভোট পেয়ে বিজয়ী হওয়ায় পেয়েছেন মোট ২ ইলেক্টোরাল ভোটার। ২ ডিস্ট্রিক্টের ১টিতে জো বাইডেন সর্বোচ্চ, অন্যটিতে ট্রাম্প সর্বোচ্চ পপুলার ভোট পেয়েছেন। ফলে ডিস্ট্রিক্টওয়াইজ জো বাইডেন ১ এবং ট্রাম্প ১জন ইলেক্টোরাল ভোটার পেয়েছেন। মাইনে অঙ্গরাজ্যের চূড়ান্ত ইলেক্টোরাল ভোট : জো বাইডেন ২্+১=৩, এবং ট্রাম্প ১।
এখানে একটা মজার জিনিস লক্ষণীয়। জনগণ যদিও ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে ইলেক্টরদের নির্বাচন করেন, কিন্তু ব্যালটের মধ্যে সচরাচর ইলেক্টরদের নাম থাকে না, তার বদলে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের নাম থাকে। তবে, কোনো কোনো অঙ্গরাজ্যে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিও ব্যবহার করা হয়, যেমন, ৮টি অংগরাজ্যের ব্যালটে থাকে ইলেক্টরদের নাম।
প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রতিটা অঙ্গরাজ্যের বিজয়ী ইলেক্টোরালগণ নিজ নিজ রাজধানীতে মিলিত হয়ে আলাদা আলাদা ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। দিনটি হলো ডিসেম্বরের দ্বিতীয় বুধবারের পর প্রথম সোমবার। ভোট দেয়ার পর প্রতি অঙ্গরাজ্যের ইলেক্টরগণ একটা সার্টিফিকেটে এই মর্মে স্বাক্ষর করেন যে, তারা তাদের নিজ নিজে অঙ্গীকারকৃত প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেছেন। ৬ কপি সার্টিফিকেটের প্রধান কপিটি যায় সিনেটে।
ইলেক্টোরাল ভোটারগণ নিজ নিজ অঙ্গীকারাবদ্ধ প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে থাকেন। তবে, কেউ যদি বেইমানি করে ফেলেন, তার জন্য শাস্তির ব্যবস্থাও আছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে ১৭১ জন ফেইথলেস ইলেক্টরের রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু তাদের ফেইথলেসনেসের কারণে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর অবস্থান পরিবর্তন হয় নি, যদিও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর অবস্থান বদলে যাওয়ার রেকর্ড আছে।
ব্যাপারটা অনেক জটিল এবং বিতর্কিতও। এই পদ্ধতিতে পপুলার ভোটে জিতলেও ইলেক্টোরাল ভোটে হেরে যাওয়ার রেকর্ড আছে। হিলারি ক্লিন্টনসহ আরো অনেকে পপুলার ভোটে জিতেছিলেন, কিন্তু ইলেক্টোরাল ভোটে হেরে যান। আমেরিকায় এখন এটা নিয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে অনেক বিতর্ক হচ্ছে।
পোস্টে অনেক কিছুই উহ্য রয়ে গেছে। কেউ বুঝে থাকলে ভালো। না বুঝে থাকলে প্রশ্ন করুন, চেষ্টা করবো বোঝানোর জন্য। কেউ যদি আরো সহজ ভাষায় কোনো বিষয় বোঝাতে পারেন, কমেন্টে লিখুন প্লিজ। পোস্টটি আরেকটু আপডেট করবো সময় পেলে।
পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
খলিল মাহ্মুদ
১১ নভেম্বর ২০২০
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আল গোর যে-বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে গেলাম, সেবার একটু বোঝার চেষ্টা করেছিলাম। বুঝেছিলাম কিনা মনে নেই তবে, এবার বেশ সময় নিয়েছি। ওরার্কেবল ধারণা হয়েছে।
পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ তমাল ভাই।
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: পড়লাম, কয়েকদিন আগে আরো একজন লিখেছিলেন এই বিষয়ে।
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার লেখাটাও পড়লেন দেখে খুশি হলাম। ধন্যবাদ পাগলা জগাই ভাই।
১২ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ওহহো, নিকনেইম যে পালটে ফেলেছেন এটা তো খেয়াল করি নি আপনার প্রো-পিক দেখেই আপনাকে চিনি, ইন ফ্যাক্ট, অনেকের ক্ষেত্রেই নিকনেইমের দিকে তাকাই না, প্রো-পিক দেখেই চিনে ফেলি। নামটা সুন্দর এবং মজার। মরুভূমিতে জলদস্যু!!! হাহাহা।
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জনগণ শিক্ষিত না হলে গণতন্ত্র কার্যকর করা যায় না।
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিক বলেছেন সাজ্জাদ ভাই। জনগণ শিক্ষিত না হলে গণতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্যও বোঝে না।
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে ঘরের খায়া পরের মোষ তাড়াইতাছেন ক্যান? এইসব পুষ্টানো তো আমাগো মহান আম্রিকান ব্লগারদের নৈতিক দায়িত্ব। যাগোর দায়িত্ব, হ্যারাই পালন করুক!!!
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। কথা তো ঠিকই বলেছেন আসলে ঘটনা অন্যখানে। ব্যাপারটা বোঝার একটা তাগিদ ছিল আমার নিজের মধ্যেই। এর মধ্যে যে এত প্যাঁচগোছ, পড়তে না গেলে বুঝতাম না। এখনো যে ওগুলো বুঝে গেছি তা না, তবে আগের চাইতে ধারণা এখন স্বচ্ছ হয়েছে। নিজে যা বুঝলাম তা দেশ ও জনগণের খেদমতের উদ্দেশ্যে একটু শেয়ার দিলাম আর কী। জনগণ উপকৃত হইলে আমার শ্রম সার্থক হইছে বলিয়া তৃপ্তি লাভ করিব
আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ মফিজ ভুইয়া
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১০
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি ২০০৬ সালে আমার শ্যালিকার কাছ থেকে শুনে ভাল করে বুঝি নাই কারন সরাসরি ভোট গ্রহনের কোন বিকল্প নেই বলেই আমার জ্ঞানে বলে । এবার আরও বুঝলাম । এবার কেন সবাই আমরা খেয়ে না খেয়ে হোয়াইট হাউসে গিয়া বসলাম জানি না তবে প্যাচ গোছ মার্কা আমেরিকান ভোট আমার পছন্দ নয় । উন্নত প্রযুক্তিতে জালিয়াতির সম্ভাবনা থাকবে না । এবার ট্র্যাম্প হারুক এজন্য চেয়েছি যে একজন প্রেসিডেন্ট কিভাবে মাস্ক অবজ্ঞা করে নিজ দেশের লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করল । ট্র্যাম্প এবং শি এই ভাইরাসের মুল উদ্যোক্তা বলেই আমি বিশ্বাস করি ।
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এবার ট্র্যাম্প হারুক এজন্য চেয়েছি যে একজন প্রেসিডেন্ট কিভাবে মাস্ক অবজ্ঞা করে নিজ দেশের লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করল। কোনো যুক্তিতেই ট্রাম্পের এই ইডিওসিকে মেনে নেয়া যায় না। মাস্ক খুলে সি ঠিক কী ধরনের বাহাদুরি দেখাতে চেয়েছিল তা বোধগম্য না। জনগণের কাছে একটা নিকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন ট্রাম্প।
সরাসরি ভোট গ্রহনের কোন বিকল্প নেই বলেই আমার জ্ঞানে বলে। বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতি বাতিলের পক্ষে রব উঠেছে বেশ আগে থেকেই। আল গোর ও হিলারি ক্লিনটন পপুলার ভোটে জিতে গেলেও ইলেক্টোরাল ভোটে হেরে যান। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হলেও ভোটিং সিস্টেম গনতান্ত্রিক না, অর্থাৎ, প্রেসিডিন্ট প্রার্থীরা এক ব্যক্তির এক ভোট নীতিতে ভোট পাচ্ছেন না। ফলে এ পদ্ধতি বিতর্কিত হচ্ছে দিনকে দিন।
৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১১
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর একটা পোষ্ট দিয়েছেন। সাজানো গুছানো। এই পোষ্টের জন্য আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে।
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পোস্টটার জন্য আমাকে সত্যিই কষ্ট করতে হয়েছে, কারণ, এটি সম্পর্কে আমার ধারণা খুবই কম ছিল। ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: তথ্যবহুল লেখা তবে খুবই জটিল নিরবাচন পদ্ধতি ।এখন ট্রাম্প কি করে সেটা দেখার বিষয়।
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ট্রাম্প আর কী করবে, মেলানিয়াকে ধরে রাখার জন্য যুদ্ধ করবে। প্রেসিডেন্টের পদ ফিরে পাবার সম্ভাবনা নাই, সেটা সে নিজেও জানে।
৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: দারুন একটা পোষ্ট পড়লাম।
য়থেষ্ট তথ্যসমৃদ্ধ ও সমসাময়িক।
শুভেচ্ছা নিন।
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পোস্টটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ বিএম বরকতউল্লাহ ভাই।
৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
পপুলার ভোটে নির্বাচনের নীতি না করে, ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতির পেছনে লজিক কি?
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পপুলার ভোটে নির্বাচন হলে পলিটিক্যাল পার্টিগুলো বা তাদের মনোনীত প্রেসিডেন্ট পদ-প্রার্থী শুধু জনবহুল রাজ্যগুলোতে জনসেবা বা উন্নয়নের জন্য ব্যস্ত হবে, এবং ফলে জনবহুল রাষ্ট্রগুলোর ভোটেই উক্ত প্রার্থী জিতে যেতে পারবেন। কম জনবহুল রাষ্ট্রগুলোর দিকে নজর কম থাকবে, হয়ত থাকবেই না, এবং সেগুলোর জনগণ বঞ্চিত হবেন। এমনকি, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য কম জনবহুল রাষ্ট্রগুলোর কোনো কার্যকর ভূমিকাও থাকবে না। অথচ, আমেরিকার সংবিধানের মূল নীতিই এটা যাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবগুলো স্টেটের কার্যকর ভূমিকা থাকে। এই হলো ইলেক্টোরাল পদ্ধতি বহাল রাখার পক্ষে একপক্ষের যুক্তি। বিরুদ্ধ যুক্তির ব্যাপারে উপরে হাইলাইট করা হয়েছে। ধন্যবাদ প্রশ্নের জন্য।
১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইন্টারনেট পুর বিশ্বকে আরো অনেক বদলে দেবে,যেটা মানুষ কল্পনাই করতে পারছে না।
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিক বলেছেন নুরুল ইসলাম ভাই। টেকনোলজি যত অ্যাডভান্সড হবে, বিশ্ব তত দ্রুত বদলাবে। ইলেকশন পদ্ধতিও বদলাবে। আরো ফুলপ্রুফ ও সায়েন্টিফিক এবং কার্যকর হবে।
১১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: পোস্টটার জন্য আমাকে সত্যিই কষ্ট করতে হয়েছে, কারণ, এটি সম্পর্কে আমার ধারণা খুবই কম ছিল। ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।
পোষ্ট পরলেই বুঝা যায় লেখক কতটা পরিশ্রম করেছেন।
কুটি মিয়াকে নিয়ে আবার পোস্ট কবে দিবেন?
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পোষ্ট পরলেই বুঝা যায় লেখক কতটা পরিশ্রম করেছেন। আপনি পরিশ্রম করেন বলেই এটা বুঝতে পারেন।
কুটি মিয়াকে নিয়ে আবার পোস্ট কবে দিবেন?
এখনো চিন্তা করি নাই। হুট করে সিদ্ধান্ত নিব তার ব্যাপারে
আবার আসার জন্য ধন্যবাদ রাজীব ভাই।
১২| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৫
করুণাধারা বলেছেন: আমেরিকায় এত পন্ডিত মানুষের বাস, তারা কি এর চাইতে কোন সহজ উপায় বের করতে পারল না? দুই বার আপনার পোস্ট পড়লাম, অনেকটাই বুঝতে পেরেছি কিন্তু মন থেকে খটকা যাচ্ছে না। না, আপনার বোঝানোতে কোন ফাঁকি নেই, কঠিন বিষয়টাকে সহজ করেই বুঝিয়েছেন কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না ভোটাররা যখন বেশিরভাগ একজনকে ভোট দেয় আর জিতে যায় কম ভোট পাওয়া প্রার্থী, তখন ভোটারদের কেমন লাগে!!
জটিল এক হিসাব সহজ করে বুঝিয়েছেন!! পোস্ট লাইকড।
১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভোটাররা যখন বেশিরভাগ একজনকে ভোট দেয় আর জিতে যায় কম ভোট পাওয়া প্রার্থী, তখন ভোটারদের কেমন লাগে!!
ভোটারদের তখন খারাপ লাগাই স্বাভাবিক। এজন্যই এ পদ্ধতিটা বাতিলের জন্য জনগণ সোচ্চার হচ্ছে। গণতন্ত্রের মূল নীতিটাই এখানে অনুপস্থিত রয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয়। এক ব্যক্তি এক ভোট হলো গণতন্ত্রের মূল নীতি। কিন্তু যে রাজ্যে কোনো প্রার্থী হেরে যান, সেই রাজ্যে ঐ প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের কোনো মূল্য নেই। যেমন, ক্যালিফোর্নিয়ায় ট্রাম্প 5,368,263 ভোট পেয়েছেন। জো বাইডেন তার চাইতে বেশি পাওয়ায় এ রাজ্যের পুরো ৫৫জন ইলেক্টোরাল ভোটারই জো বাইডেনকে ভোট দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এখানে জনগণের ভোট কিন্তু ট্রাম্পের কাছে পৌঁছালো না। অর্থাৎ, 5,368,263 পপুলার ভোট বিফলে গেল, বা বলা যায় 5,368,263 জন ভোটারের ভোট প্রেসিডেন্টের কাছে গেলো না। আপনি ভোট দিলেন, কিন্তু ভোটটা মিস হয়ে গেল বা ইনভ্যালিড হয়ে গেল।
সিস্টেমটা জটিল ও দুর্বোধ্য। তবে, নেব্রাস্কা ও মাইনে রাজ্যেরব পদ্ধতিটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। মাইনে রাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোটারের সংখ্যা ৪। ঐ রাজ্যে জেলা আছে ২টা। ২ জেলার মোট ভোটে (অর্থাৎ পুরা অঙ্গরাজ্যের মোট ভোটে) যিনি বিজয়ী হবেন, তার পক্ষে থাকবেন ২জন ইলেক্টোরাল ভোটার। এরপর, ২টি জেলায় আলাদা আলাদা ভাবে যিনি বিজয়ী হবেন, সেখানে প্রতিটা বিজয়ী পাবেন ১জন ইলেক্টোরাল ভোটার। অর্থাৎ, এখানে পুরো রাজ্যে যিনি বিজয়ী হলেন, সেই বিজয়ের ক্রেডিট স্বরূপ ২ ইলেক্টোরাল ভোটার। আবার জেলায় আলাদা ভাবে বিজয়ের জন্যও ক্রেডিট পাবেন - প্রতি জেলায় ১ জন ইলেক্টোরাল ভোটার।
এই সিস্টেমে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত হয়। তাদের নিজস্ব ইলেক্টরকে জেতানোর জন্য ভোটটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, তা কেউ সহজে মিস করতে চাইবেন না।
তবে, কোনো সিস্টেমই ফুল প্রফু না। লাপান্ডা নামক এক দেশের নির্বাচনে দেখা গেছে যে, 'ক' এবং 'খ' উভয় দলের বিজয়ী প্রার্থীরাই সব জায়গায়ই ৯৯.৪৫% করে ভোট পেয়েছেন। যারা হেরেছেন, তারা সব জায়গায়ই মাত্র ০.৫৫% করে ভোট পেয়েছেন। পণ্ডিত দমুহমা ললিখ গভীর ধন্দে পড়ে গিয়ে ভাবতে লাগলেন, যাকে এই হিসাব মিলানোর জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, তিনি গর্দভ শিরোমণি ছিলেন। নইলে এরকম আবালমার্কা হিসাব হইতো না। ললিখ পণ্ডিত নিজে এই কাজটি করলে খুব সুন্দরভাবে ভোতের সংখ্যা সাজিয়ে দেখাতেন যে, কোথাও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে, কোথাও কামড়াকামড়ি লড়াই, আর কোথাও খালি মাঠে গোল হয়েছে। ঐ লাপান্ডা দেশেও আমেরিকান সিস্টেম পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করার দাবি জানিয়েছেন উক্ত পণ্ডিত।
জটিল বিষয়টা পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৬
ঊণকৌটী বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম,কুনো ধারণা ছিলোনা ,অনেক ধন্যবাদ
১২ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা ঊণকৌটী।
১৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৪
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: শ্রদ্ধেয় পণ্ডিত দমুহমা ললিখকে লাপান্ডার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দেখতে চাই।
১২ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা যুগান্তকারী সুপারিশ করেছেন প্রিয় তমাল ভাই। সর্ব অন্তঃকরণে এটাকে সাপোর্ট করিলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৯
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: বেশ জটিল প্রক্রিয়া।কারচুপির সুযোগ অনেক কম।অনেক কিছু জানতে পারলাম পোস্ট থেকে।এ ব্যাপারে তেমন কিছুই জানতাম না।পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।