নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
গত কয়েকদিন ইউটিউবে প্রচুর নাটক দেখেছি। বেশিরভাগই কমেডি ড্রামা, অল্প কিছু ছিল সামাজিক নাটক। নাটক দেখার পর মন জুড়ে আনন্দের রেশ জেগে থাকতো। সেই রেশ এভাবে স্বপ্নেও স্থান করে নিবে, এটা মনে হয় নি কখনো। ইউটিউবের সিকোয়েন্স হিসাবেই হয়ত স্বপ্নের ভিতরে নাটক ঢুকে পড়লো গতরাতে। তবে স্বপ্নের ভিতর রোমান্টিসিজমের পরিবর্তে একটা বেদনাঘন আবহের সৃষ্টি হলো। স্বপ্নের সেই ঘটনাই বলছি এখন।
স্বপ্নের ভিতর দুটো নাটক কিংবা নাটকের গল্প দেখেছি। আমরা জানি, স্বপ্নের স্থায়িত্ব খুব কম। সেই ক্ষুদ্র সময়ের মধ্যেই আমার নাটক দুটো দেখা হয়, অথচ নাটক দুটোর প্রভাব খুব দীর্ঘস্থায়ী এবং মনের মধ্যে তা গভীর ছাপও ফেলেছে।
প্রথম নাটকটা প্রকৃত অর্থে নাটক কিনা তা স্পষ্ট না। একটা গ্রামীণ পরিবেশ; একটা রাস্তার পাশে বাঁশঝাড়ের ছায়া পড়েছে, বাঁশপাতার ফাঁক দিয়ে বিকেলে হালকা আলোর ছিটা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানে মধ্যবয়স্ক একজন লোক বসে আছেন- একবার মনে হলো আমার অশীতিপর চাচা, পরক্ষণেই দেখা গেল চাচা নন, অপরিচিত তৃতীয় কোনো ব্যক্তি। আমার চাচা যেভাবে একটা পিঁড়িতে বসে বাঁশের ফলা চাঁছতেন, ঐ লোকটাও ওভাবে বসে হাতে একটা দা কিংবা অন্যকোনো বস্তু নিয়ে কাজ করছেন। তিনি ওখানে ওভাবে বসে থেকেই আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাপ্রবাহ বা সিকোয়েলের কাহিনি বর্ণনা করলেন, তারপর পরের দৃশ্যগুলো উন্মুক্ত করে দিলেন, কিংবা গল্পগুলো ব্যাখ্যা করলেন। গল্পটা আমার কিছুই মনে নেই, শুধু এটুকু অনুভব করা যাচ্ছিল- গল্পের শুরুটা খুব অদ্ভুত ও জটিল ছিল। কিন্তু স্বপ্নের ভিতরেই আগের সিকোয়েলগুলোর সাথে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চমৎকার সমাপ্তি টানার অনবদ্য শৈল্পিকতায় আমি মুগ্ধ ও অভিভূত হয়ে গেলাম। এ মুহূর্তে মনে হলো, গল্পের শেষে একজন বেদনাবিধূর দুঃখিনী নারী কোনো এক জনমানবহীন, মরুভূমিপ্রায় প্রান্তরের মাঝখানে ঘোমটায় মুখ ঢেকে বসে পড়ে গুমরে কাঁদতে থাকবেন। ঘটনার পরিণতি এতই করুণ যে, আমি তৎক্ষণাৎ ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করলাম। এ নাটক বা গল্পের এভাবেই যবনিকাপাত হয়; কিংবা এরপর হয়ত কিছু ঘটেছিল, কিন্তু আমার স্বপ্নকোষ তা ধরে রাখতে পারে নি। ঘুমের ভিতরে স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে, অথচ আমার ঘুমন্ত মন তখনো বারবারই চমৎকৃত হচ্ছিল লেখকের সুনিপুণ দক্ষতা ও কৌশলে – তিনি যেভাবে গল্প শুরু করে সুন্দর সমাপ্তি টেনেছেন তার জন্য।
পরের নাটক বা গল্পটা আগের নাটকের পরবর্তী সিকোয়েল ছিল না; কিংবা এমনটাও আমি নিশ্চিত না যে, এ নাটকটা আগের নাটক শেষ হবার পর পরই দেখেছি; কিংবা একটার সাথে অন্য নাটকটা ওভারল্যাপ করেছে, ব্যাপারটা তেমনও না। কিন্তু, এ নাটকটার প্রায় পুরোটাই আমার চোখের সামনে ঘটেছে; আবার, কিছু কিছু ঘটনা আমি স্বপ্নের ভিতরেই অনুভব করে পূরণ করে নিয়েছি, অর্থাৎ, কোনো ঘটনার আগের বা পরের অংশ উহ্য থাকলে সেটা আমি নিপাতনে বুঝে নিয়েছি। ব্যাপারটা আরো পরিষ্কার করে বলি – প্রথম নাটকটা কিংবা এটা, স্বপ্নের ভিতরে আমি কোনো ইউটিউব কিংবা টেলিভিশন চ্যানেলে দেখি নি। ঘটনা আমার চোখের সামনে ঘটেছে, পাত্রপাত্রীরা স্বপ্নের ভিতরে জীবনযাপন করেছেন, যা আমার কাছে গল্প কিংবা নাটকের মতো মনে হচ্ছে। এমনও হতে পারে, আমি কিছু পাত্রপাত্রীর জীবনপ্রবাহ দেখেছি, যা আমার কাছে গল্প বলে ভ্রম হচ্ছে।
কলেজ অ্যাডমিশনের সময়ে সিনিয়র ভাইয়েরা কলেজের বিভিন্ন ক্লাসরুমের সামনে অ্যাডমিশন টেস্টের সাজেশন পেপার বিক্রি করতেন, যেগুলো ছিল ফটোকপি করা লুজশিট, যা ছিল হাতে লেখা বা স্টেনসিল্ড। আমি নীলক্ষেত থেকে ছাপানো গাইডবই কিনেছিলাম। অ্যাডমিশন টেস্টের ফর্ম ফিল আপ করে জমা দেয়ার পর আমাকে-শহর-চেনানো ইউনুস ভাইকে সাথে নিয়ে সেই সময়ের দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ কলেজ, অত্যাশ্চর্য প্রতিভাদের কলেজ, ঢাকা কলেজের অলিগলি-করিডোর, বিভিন্ন গ্যালারি (ক্লাসরুম) ও অডিটোরিয়াম ঘুরে দেখছিলাম। সিনিয়র ভাইয়েরা সবাই তাদের নিজ নিজ সাজেশন বিক্রি করার জন্য অস্থির ছিলেন। না কিনলেই পস্তাবো, কারণ, প্রশ্ন কমন না পড়লেই মনে হবে, ইশ্শিরে, বড়ো ভাইদের সাজেশন পেপারেই সব কমন প্রশ্ন ছিল! তাই অনেকগুলো সাজেশন পেপার কেনার ইচ্ছে থাকলেও টাকার অভাবে অল্প কয়েকটা কিনেছিলাম।
আমার বড়ো ছেলে যখন বিবিএ, অনার্স থার্ড ইয়ারে, তখন তাকে একদিন বললাম, ‘তোমার রেজাল্টটা ভালো করার চেষ্টা করো, শুধু গানবাজনা কইরা ভার্সিটি পার করলে তো রেজাল্ট খারাপ হবে, বিসিএস দিতে পারবা না।’ ছেলে এ কথা শুনে মুখ ম্লান করে বললো, ‘আমি তো আপনাকে অন্য বাবাদের চাইতে আলাদা ভাবছিলাম।’ আমি অবাক হয়ে এমন কমেন্টের কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে আমাকে আরো অবাক করে দিয়ে বললো, ‘সবার বাবা-মা তাদের ছেলেমেয়েদেরকে বিসিএস দেয়ার জন্য অ্যাডভাইস দিয়া দিয়া পাগল করে ফেলে। আপনি কোনোদিন দেন নাই বলে প্রাইড নিতাম। আজ তো আপনিও দিলেন।’ সবাই কি তাহলে ‘স্বতন্ত্রতা’ই পছন্দ করে? আমি অন্য বাবাদের চাইতে ‘স্বতন্ত্র’ হতে পারি নি বলে কিছুটা হলেও বুকে ব্যথা অনুভব করেছিলাম; এবং তার পর থেকে আর কোনোদিন ছেলেকে বিসিএস অফিসার হবার জন্য কোনো প্রেষণা কিংবা অনুপ্রেরণা দিই নি। তার ভবিষ্যত সে নিজে গড়ে নিবে। প্রত্যেকের ভবিষ্যত তার নিজের ‘ভাগ্যরেখা’য় অঙ্কিত, যেটি তাকে নিজ হাতেই কেটে নিতে হয়।
বাজারে ডিফেন্স অ্যাডমিশন গাইড, কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ বা ইউনিভার্সিটি অ্যাডমিশন গাইডের মতো বিসিএস পরীক্ষার গাইডও হয়ত থাকবে। ‘হয়ত’ বলছি এ কারণে যে, বিসিএস গাইড আমি কখনো দেখি নি, অথচ গতরাতের শেষ বা দ্বিতীয় স্বপ্নটা ছিল বিসিএস গাইড নিয়ে।
এ স্বপ্নটার পটভূমিও একটা গ্রামীণ জনপদ।
একটা রাস্তার মোড়। দুপুর গড়িয়েছে। গাছগাছালিতে রাস্তার একটা দিক ছাওয়া, অন্যদিকে সূর্যের মৃদু হলুদাভ রোদ বাঁকা হয়ে নেমে আসছে। এখানে অল্প কিছু লোকের জটলা- বাদামওয়ালা, আচারওয়ালা, ঝালমুড়িওয়ালা – এমন ধরনের কিছু দোকানওয়ালা এখানে বেচাকিনি করছেন। আমি এসব দেখছি, কিন্তু কোথায় আমার অবস্থিতি তা জানি না। আমরা টেলিভিশন কিংবা সিনেমা যখন দেখি, পর্দায় গল্প বা ঘটনা চলমান থাকে, আমরা সেই গল্পের ভিতরে থাকি না, আমরা পর্দার বাইরে দর্শক হিসাবে থাকি। স্বপ্নের এ নাটকেও আমার উপস্থিতি এরকম- মানুষের জীবনযাত্রা, চলাচল দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু আমার অবস্থান কোথায় তা দেখতে পাচ্ছি না আমি।
আমার উল্টোদিক থেকে এমন সময় এক জীর্ণশীর্ণ, হালকা গড়নের, সামনে সামান্য কুঁজো হওয়া, সাদা ও ময়লা পায়জামা-পাঞ্জাবি পরা, গরীব ধরনের লোক বেশ হকার ছেলেদের মতো হেঁটে আসতে থাকলেন, যার হাতে একগোছা বিসিএস ভর্তি সহায়িকা বই – যদিও বইগুলোর নাম দেখা গেল না, কেউ আমাকে বলেও দেয় নি, তবুও স্বপ্নসুলভ নিয়মে আমি জানলাম, এগুলো বিসিএস ভর্তি পরীক্ষার গাইড। এবং এমন সময়ে আমি বুঝতে পারলাম, আমি একজন শিক্ষিতা ও উচ্চমার্গীয় ভদ্রমহিলার পাশে বায়বীয় অবস্থায় উপস্থিত রয়েছি। যুগপৎ দেখতে পাচ্ছি, আমার দৃষ্টির ডানদিকে তীর্যক কোণ বরাবর খুব নিকটে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন; তার বাদামি রঙের অভিজাত শাড়িটা আমার চোখে দৃশ্যত হচ্ছে। পরের মুহূর্তেই গাইডওয়ালা লোকটি এ মহিলার হাতে একখানা ভর্তিগাইড তুলে দিলেন। মহিলা বইটি হাতে নিয়ে পৃষ্ঠা খুলে তাতে কী যেন লিখতে থাকলেন। আমি আড়চোখে কিংবা অন্তরের চোখে দেখতে পাচ্ছি - তার ঠোঁটে এক রহস্যময় নিষ্ঠুর ক্রূর হাসির অস্ফুট চিকন রেখা ভেসে উঠছে; হ্যাঁ, ঠোঁটখানি একটুখানি বাঁকাও করলেন তিনি। গাইডওয়ালার প্রতি কিছুটা ক্ষোভও হয়ত তার মনে ফুটে উঠছে। তার হাতে গাইডবই তুলে দেয়ায় তিনি আহত বা অপমানিত বোধ করছেন। এসব বইয়ের তার কোনো প্রয়োজন নেই। ইচ্ছে করলে তিনি নিজেই এখন সেরা বিসিএস গাইড রচনা করতে পারেন। এখানে এই বিপনিচত্বরে এসে দাঁড়ানো মানেই কি বিসিএস গাইড কেনা? কেন তার হাতে মানুষ এসব আবর্জনা তুলে দেয়? তাকে দেখে কি কিছুই বোঝা যায় না? ভদ্রমহিলার অন্তরে অহঙ্কারগুলো আক্রোশে নীরবে ফুঁসতে থাকে। মানুষের কীভাবে এত আস্পর্ধা হয়? কাণ্ডজ্ঞান বলতে কিছু নেই মানুষের- গাইডওয়ালার বোঝা উচিত ছিল, তিনি বিসিএস পরীক্ষার্থী নন, বরং স্বয়ংসম্পূর্ণ বিসিএস অফিসার একজন, যিনি নিজেই অগণিত বিসিএস অফিসারের সুপিরিয়র তত্ত্বাবধায়ক। শুরুতে তিনি গাইডবইয়ের ভিতরের পাতায় কী যেন লিখেছিলেন মনে হয়েছিল; কিন্তু স্বপ্নপট বদলে গেছে; এখন দেখা যাচ্ছে তিনি একটা ফুল’স ক্যাপ সাইজ সাদা কাগজে কবিতার মতো ইংরেজিতে দুটো প্যারাগ্রাফ লিখেছেন- চমৎকার হাতের লেখা, সাদা কাগজের উপরে নীল কালির অক্ষরগুলো শিল্প হয়ে ফুটে উঠেছে। তিনি কাগজটি কিংবা বিসিএস গাইডটি লোকটার হাতে ফেরত দিলেন। লোকটার গাইড বইটি বিক্রি হলো না; বিমর্ষ মুখে ওটি ফেরত নিয়ে চলে যেতে থাকলেন গাইডওয়ালা। একটু দূরে গিয়ে তিনি ঘুরে দাঁড়ালেন। ভদ্রমহিলার দিকে তাকাচ্ছেন তিনি, তার কপালে সামান্য ভাঁজ পড়ে, চোখদুটো একটু সরু হতে থাকে, সেখানে জমে উঠতে থাকে একগাঁদা জিজ্ঞাসা ও বিস্ময়। কোথায় যেন ভদ্র মহিলাকে দেখেছেন তিনি। হয়ত চিনতে পারবেন তাকে। চেষ্টা করলেই চিনতে পারবেন। তিনি খুব করে তাকে চিনতে চেষ্টা করছেন। হ্যাঁ, তার মনে পড়ছে। এখানে দ্রুত, খুব দ্রুত একটা ফ্ল্যাশব্যাক ঘটতে থাকে।
এই ভদ্রমহিলা তার পরিচিতা। অনেকদিন আগে একবার তাদের দেখা হয়েছিল, ঠিক এখানেই। তারা একসাথে এই জায়গা থেকে বিসিএস ভর্তি গাইড কিনেছিলেন। বিসিএস ভর্তি নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ আলোচনাও হয়েছিল। একদিনের দেখায় কার কতটুকুই বা মনে থাকে? গাইডওয়ালা সেদিনের কথা ভোলেন নি।
লোকটা ঘুরে দাঁড়িয়ে আছেন। তার ঠোঁটে পান খাওয়ার চিহ্ন। তার গরীব চোখদুটো কিছুটা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। তিনি সম্ভবত মুখ ফুটে বলতে চাইছেন- ‘আরে আরে, আপনি সেই বিসিএস পরীক্ষার্থী মেয়েটা না? আপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন? সেই যে একবার আমাদের দেখা হয়েছিল?’ তিনি কথাটা বলতে চাইছেন, হয়ত এখনই বলবেন… কিন্তু, শেষ মুহূর্তে তিনি কথাটা আর জিজ্ঞাসা করলেন না। আমার তখনো ঘুম ভাঙে নি, কিন্তু গল্পটা ওখানে ঐ অবস্থায়ই শেষ হয়ে যায়, কিংবা দৃশ্য ওখানে ‘ফ্রিজ’ বা স্থির হয়ে যায়। আমি ঘুমের ভিতর কিংবা স্বপ্নের ভিতরেই বলতে থাকি- অসাধারণ একটা প্লট তো! একজোড়া যুবক-যুবতী, যারা জীবনের কোনো এক পর্যায়ে একসাথে বিসিএস ভর্তি গাইড কিনে, একসাথে স্টাডি করে। মেয়েটা বিসিএস পাশ করে ডাকসাইটে অফিসার হয়ে যায়। উচ্চপদ আর আভিজাত্যের চাপে তার অতীতের দৈন্য নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, বলা যায়, তার কোনো অতীত থাকে না, পুরোটাই সুবর্ণ বর্তমান। ছেলেটার বিসিএস পরীক্ষার বয়স পেরিয়ে যায়, ভাগ্যচক্রে সে নিঃস্ব হয়ে পড়ে, একসময় নিজেই বিসিএস ভর্তি গাইড ফেরি করে বিক্রি শুরু করে। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! আমি স্বপ্নের ভিতরই আফসোস করতে থাকি- হায়, এ নাটকটা যদি না থাকতো, এটা নিয়ে কত সুন্দর একটা গল্প লিখতে পারতাম!
ঘুম ভাঙবার পর আমি এ ভেবে অবাক হলাম যে, স্বপ্নে দেখা নাটক বা গল্পটা আদতেই অভিনব। আমি এ যাবত যত নাটক দেখেছি বা গল্প পড়েছি, তা থেকে এর থিম সম্পূর্ণ ভিন্ন। ইউটিউব বা টিভি চ্যানেলে নাটক দেখার প্রতিফলন হিসাবেই হয়ত স্বপ্নের ভিতরেও নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে; তবে স্বপ্নের থিমের সাথে আমার বাস্তব চালচিত্রের কোনো মিল আছে কিনা তা নিয়ে আমি নিজেই সন্দিহান। বিসিএস নিয়ে বড়ো ছেলের সাথে সেই যে বহুদিন আগে একবার আলোচনা হয়েছিল, তারপর আর কোনোদিন সেই আলোচনা আমাদের টেবিলে স্থান পায় নি। ছেলের ভবিষ্যত যথারীতি ছেলের হাতেই ন্যস্ত, সে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তোলার জন্য। ইতোমধ্যে আমার শেষ গল্পটা লেখার পর মাঝখানে বড়ো একটা বিরতি চলে গেছে। মাথার ভিতর জড়ো হয়েছে আরো অসংখ্য প্লট। গত সন্ধ্যায় নতুন আরেকটা প্লটের কথা ভাবছিলাম, যেটি মনে মনে গুছিয়েও ফেলেছি। আজ আমার সেই গল্পটিই লেখার কথা ছিল। ‘লিরিক’ নামক একটা গল্প লেখা পেন্ডিং রয়েছে অনেকদিন ধরে, যেটি লিখবো বলে ডুলুকে কথা দিয়েছিলাম। গত সন্ধ্যায় যে প্লটটা গুছিয়ে ফেলেছি, ওটা আসলে সেই ‘লিরিক’ গল্পের প্লট। ডুলুকে দেয়া কথা রাখার জন্য হলেও ঐ গল্পটা লেখা হবে, কিন্তু, স্বপ্নের এই অসাধারণ থিমটা যদি ধরে না রাখি, তাহলে অন্য অনেক ব্রিলিয়ান্ট থিমের মতো এটাও একসময় হারিয়ে যেত, তাই স্বপ্নটাকে ধরে রাখার জন্যই স্বপ্নে পাওয়া নাটকের গল্পটা লিখে ফেললাম।
২১ ডিসেম্বর ২০২০
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি সব সময়, গাইড বই গুলো পড়ি। মেডিকেল কলেজ ভর্তি গাইড বই, বিসিএস গাইড বই, চাকরীর জন্য গাইড বই, ক্যাডেট কলেজ ভরতি গাইড বই। সব রকম বই গুলো নিয়মিত পড়ি। ভালো লাগে। এ ধরনের অভ্যাস আমারও একসময় খুব ছিল, যদিও এখন অনেকখানিই কমে গেছে। অন্য জিনিসও পড়তাম। ছোটোবেলায়, যখন আজকের মতো এত বই ছিল না, পত্রপত্রিকা ছিল না (আমাদের অ্যাক্সেজ ছিল না), তখন তো বাজারের ঠোঙ্গা পড়তাম সবচাইতে বেশি। বাজারে রাস্তার ধারে বসে যারা বই বিছিয়ে বেচতেন, তার সামনে দাঁড়িয়ে 'কী করিলে কী হয়', স্বপ্ন বা 'খোয়াবনামা'সহ সাধারণ জ্ঞানের বই অনেক পড়তাম, নাটক বা উপন্যাসও যতক্ষণ দোকানদার কিছু না বলেন, ততক্ষণ পড়তে থাকতাম
২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: স্বপ্নের গল্পের শুরুরটুকু আপনি যেভাবে লিখতে পেরেছেন আমি হাজারবার চেষ্টা করেও পারবো না।
স্বপ্নগুলি এমন একটা ট্রেকে দৌড়ায় যেটা কিছুতেই বলে বা লিখে বুঝানো যায় না।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহা, ভালো বলেছেন। আসলে স্বপ্ন দেখার পর যেরকম অনুভূতি হয়েছিল, বা যেভাবে স্বপ্নটা দেখেছি, ওভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারি নি। আমিও বহুবার এডিট করেছি। আপনি যা পড়েছিলেন, এখন তাতে বেশকিছু সংযোজনী আছে।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি নিজের থেকে কিছু না লিখে অপেক্ষা করেন, আপনাকে নিয়ে সরস্বতীর আরো বড় প্ল্যান আছে, মনে হয়।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: না, লেখা বন্ধ করা যাবে না। বরং ওষুধ, তাবিজ এগুলো নিয়া একটু ঘাঁটাঘাঁটি করবো। স্বপ্নে কিছু ওষুধ আর তাবিজের টেকনোলজি নাজিল হতে পারে।
৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই।
৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৩
ঢুকিচেপা বলেছেন: ছোটবেলায় যখন সাইকেল চালাতে পারতাম না তাই চালানোর খুব ইচ্ছা; তখন স্বপ্নে দেখতাম আকাশে উড়ে উড়ে সাইকেল চালাচ্ছি। আপনি হয়তো অচিরেই নাটক পরিচালনার কাজে যুক্ত হতে যাচ্ছেন। যেটাই হোক শুভকামনা রইল।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি হয়তো অচিরেই নাটক পরিচালনার কাজে যুক্ত হতে যাচ্ছেন। হাহাহাহা। ভালো বলেছেন। আপনি প্রডিউসার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন - এটাও আমি দিব্যি দেখতে পাচ্ছি
৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৪
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: স্বপ্নে পাওয়া নাটক আসলে আপনার অবচেতনের কল্পনা।হয়তো কোনোদিন ভেবে রেখেছিলেন।এখন সেগুলো সম্পূর্ণ না করলে পাপ হবে। দ্বিতীয় গল্পটা একই সাথে জীবনের সাদা ও কালো দিক। দুটো প্লটই শক্তিশালী।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নাটক দেখার ঝোঁক আমার এমনিতেই একটু বেশি, যদিও সময় হয় না নানা কারণে। গত কয়েকদিন ইউটিউবে নাটক দেখা একটা নেশার মতো হয়ে গিয়েছিল। আফরান নিশোর নাটকই বেশি। আমার স্ত্রী যতবার আমাকে নাটক দেখতে দেখেছে, ততবারই দেখেছে নাটকের নায়ক হলো আফরান নিশো। এ নিয়ে সে খোটাও দিল - ঐ বেটা ছাড়া কি আর নায়ক নাই? নাটক দেখতাম, আর পেন্ডিং গল্পগুলো লেখা হচ্ছিল না বলে একটা তাড়াও অনুভব করতাম। এ দুটোর ফলাফল হিসাবেই হয়ত স্বপ্নটা এভাবে দেখলাম। তবে, যদিও আমি পোস্টে ফুটিয়ে তুলতে পারি নি, কিন্তু স্বপ্নে দেখা শেষ নাটকের থিমটা সত্যিই অনবদ্য। আমি ঘুমের মধ্যেও এটা নিয়ে খুব তৃপ্তিবোধ করছিলাম।
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ তমাল ভাই।
৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: নাটক দেখা হয় না। হিন্দি মুভি দেখি
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মাঝে মাঝে নাটকও দেখতে পারেন। এখন তো নাটক, সিনেমা হাত বাড়ালেই মুঠিতে চলে আসে
৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:০৯
সোহানী বলেছেন: স্বপ্ন নিয়ে নতুন বই শুরু করে দেন। বইমেলা আসতে এখনো আড়াই মাস আছে।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহা, ভালো আইডিয়া আপু স্বপ্ন নিয়ে এর আগেও পোস্ট লেখা হয়েছে, তবে সেগুলো ফেইসবুক পোস্ট। ব্লগে কোনো স্বপ্নে পাওয়া পোস্ট লিখেছি বলে মনে পড়ে না
৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:১৪
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: কভিড১৯ এর ভ্যকসিন - ফর্মুলার কোনো স্বপ্ন দেখা যায়না ভাই?
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যদ্দূর মনে পড়ে, কোভিড চিকিৎসা অলরেডি কেউ কেউ স্বপ্নে প্রাপ্ত হইয়াছেন। আমি আর এর মধ্যে জড়াইতে চাহি না। তবে, না চাইলেও যদি স্বপ্নে পাইয়াই যাই, সেই চিকিৎসা সবার আগে আপনি পাইবেন, কথা দিলাম
১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১
মিরোরডডল বলেছেন:
তাহলে কি দাঁড়াচ্ছে ঢুকি প্রোডিউসার আর ধুলো ডিরেক্টর ? বাহ ভালোইতো !
আমরা ওয়েট করি সেই নাটক বা সিনেমা দেখার জন্য
এই স্বপ্নের পেছনে কারণ হচ্ছে আহসান ভাই । আমি যদি ভুল না করে থাকি আহসান ভাই কবিতাপুর পোষ্টে বলেছিলো ধুলো চাইলে একটা ভালো ফিল্ম করতে পারে সেই গল্প থেকে এরকম কিছু একটা । ওটার পর থেকে নিশ্চয়ই ধুলো দিবাস্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে নাটক বানানোর আর এখন ঘুমের মাঝেও স্বপ্ন দেখছে
বাই দ্যা ওয়ে, লিরিকের কথাটা মনে আছে জেনে খুশী হলাম । আমি ভেবেছিলাম ধুলো ভুলেই গেছে ।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঢুকিকে বলা হয় নাই - ছোটোবেলায় আমাদের বিনোদনের মাধ্যম একান্ত অপ্রতুল ছিল। যাত্রাপালা ছিল প্রধানতম বিনোদন। যাত্রাপালা দেখার পর বাসায় ভাইবোন, প্রতিবেশী বাচ্চারা মিলে আমরাও যাত্রাপালা করতাম। ফাইভ-সিক্সে ওঠার পর নিজেই নাটক লেখা শুরু করলাম বাচ্চাকাচ্চা নিয়া সেগুলো বাড়ির উঠোনে মঞ্চস্থ করতাম। এটা প্রায় প্রতিদিনই হতো নাইন-টেনে ওঠার পরে তো বড়োদের কাতারেই চলে গেলাম। সেখানে অভিনয়, পরিচালনা- কোনোকিছু বাদ থাকে নাই পুরোটা বুঝে নেন
কবিতা আপুর গল্পের আদৌ কোনো প্রভাব নাই এ স্বপ্নের। কারণ, ওটা যেমন মনে ছিল না, ওটা নিয়া ভাববারও ফুরসত ছিল না- আমি ইউটিউবে নাটক দেখায় এত ব্যস্ত ছিলাম নাটক দেখার কারণে আমি অনেকদিন ধরে মিউজিক বানানো থেকে দূরেও ছিলাম নাটকের উপর একটা পোস্ট দেয়ার কথা ভাবছি
তবে, কোনো এক সময় আমার লক্ষ্য ছিল, মৃত্যুর আগে আমি অন্তত তিনটা কালজয়ী সিনেমা বানিয়ে যাব কিন্তু একটা সময় আমার অজান্তেই মন থেকে এই লক্ষ্য উধাও হইয়া গেছে যা উধাও হইয়া গেছে তা আর জাগ্রত করিবার ইচ্ছা নাই
লিরিকের অনেকগুলো থিম মাথায় কাজ করছে। এত থিম মাথায় রাখা যায় না, ঝরে যায়, উড়ে যায়।
১১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৭
মিরোরডডল বলেছেন:
বুঝলাম অভিনয়, পরিচালনা, নিশ্চয়ই নায়কও হয়েছিলো
তাহলে আর কি, অভিজ্ঞতাতো আছেই । হয়ে যাক নাটক বানানো ।
কবিতাপুর গল্পের প্রভাব না, সেখানে আহসান ভাই যে ধুলোকে ফিল্ম মেকিংয়ের কথা বললো, সেই মোটিভেশন মনের অজান্তেই কাজ করেছে
তিনটা কালজয়ী সিনেমা দরকার নেই, একটা ভালো মানের নাটক হলেই হবে । এটা পারবে ধুলো একটু এফোর্ট দিলেই ।
থিম উড়ে যাবার আগেই তাড়াতাড়ি লিখে ফেলা হোক ।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: স্বপ্নটা কীসের প্রভাবে ঘটে থাকতে পারে, তা শুরুতেই বলা আছে। পোস্টের প্রথম প্যারা দ্রষ্টব্য কয়েকদিন ধরে প্রচুর নাটক দেখেছি স্বপ্নে নাটক বানানো নিয়া না, নাটক দেখা নিয়া আর গল্পের অসাধারণত্ব দেখে মুগ্ধ হওয়া নিয়া কথা হইছে আরেকটা ইঙ্গিত দেয়া আছে পোস্টে- তা হলো, কিছু গল্প লেখা পেন্ডিং আছে, গত সন্ধ্যায় যা নিয়ে একটা প্লট মনে মনে তৈরিও হয়ে গেছে; স্বপ্নটা সেই গল্পের প্লটের ডিসপ্লে হতে পারে। এর বাইরে অন্যকিছুর প্রভাব একেবারেই নাই
তবে, এ পোস্টের গূঢ় একটা তাৎপর্য আছে, যা অন্য একটা ব্লগে একজন মাত্র পাঠক ধরতে পেরেছেন। আমার এ কথার পর হয়ত আপনি, কিংবা পরের পাঠকেরা এসেও কেউ কেউ সেটা বুঝে ফেলবেন
আমার আর নাটক-ফাটক বানানো হবে না। তবে, আমার ছেলেমেয়েদের মধ্যেও এ অসুখটা আছে। আগে কোথাও উল্লেখ করেছি, আমার মেয়ে একবার একটা ৪/৫ মিনিটের নাটিকাকণা বানিয়েছিল বাচ্চাদের নিয়ে। সেটা অল্প দিনেই ৬৫ হাজার ভিউ পায়, যখন আজকের মতো ভিউ এত সহজলভ্য ছিল না। কিন্তু, বেশকিছু নেগেটিভ কমেন্ট আসায় ডিলিট করে দিই। সারাবাড়ি খুঁজেও সেটার কপি আর পাই নি। বড়ো ছেলে আর মেয়ে মিলে সেই ২০০৫ সালে কার্টুন মুভি বানিয়েছিল, আমাদের না দেখিয়ে, ওদের মতো করে। এখন যদিও ওরা গানের প্রতি ঝুঁকে গেছে, কিন্তু ঝোঁক বদলে ওরাও একদিন হয়ত নাটক বানানোর দিকে চলে আসতে পারে।
ভালো কথা, সিনেমার পাত্রপাত্রী নিয়া একটা গল্পের প্লট দাঁড়িয়ে গেছে। এখন মনে হয় ওটাতেই হাত দিতে যাচ্ছি
১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
আমিতো পোষ্ট পড়েছি ধুলো । আমি জানিতো কি নিয়ে লেখা হয়েছে কিসের প্রভাব ।
তারপরও জাস্ট বলছি আর কি কি কারনে হতে পারে, ইউ ক্যান টেক ইট এজ এ ফান ম্যান
স্বপ্ন বলার মধ্যে দিয়ে কিন্তু যথারীতি ধুলোর গল্প বলা হয়ে গেছে । নাইস প্লট ।
পাইলটকে বিসিএসের জন্য বলবে না ধুলো । যার যেটা মনে ধরেনা ওটা না করাই বেটার । তার ইন্টারেস্ট যেদিকে সে যদি সেটা নিয়ে কিছু করে তাহলে ভালো করবে । আই’ম গ্ল্যাড এই বিষয় নিয়ে বাবা ছেলেতে আর কথা হয়নি ।
নেগেটিভ কমেন্ট আসায় ডিলিট করে দেয়া ঠিক হয়নি । তাহলেতো নিন্দুকের জয় হলো । নেগেটিভ কমেন্ট ইগ্নর করে তার সেটা কন্টিনিউ করতে হবে । ১০০% সব ভালো কমেন্ট কখনোই আসবে না , তাই বলে কি সে আর ভিডিও বানাবে নাহ !
গুড নিউজ নতুন গল্প হচ্ছে ।
১৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগে শুনতাম স্বপ্নে পাওয়া ওষুধের কথা। স্বপ্নের উপর আপনার অনেক দখল আছে মনে হচ্ছে। আপনি ভবিষ্যতে চেষ্টা করলে ধারাবাহিক নাটকও দেখতে পারবেন ধারাবাহিক স্বপ্নের মাধ্যমে। স্বপ্নে কে শুধু নাটকই দেখেন নাকি নাচ, গান, যাত্রাপালা , বাইস্কপ, সিনেমা, এগুলিও দেখেন? স্বপ্ন নাকি সাদা কালো হয় শুনেছি। আপনার গল্প- নাটকের স্বপ্ন দেখার টেকনিকগুলি বর্ণনা করলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম।
১৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৭
মিরোরডডল বলেছেন:
ধুলো, আর ইউ ওকে ?
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: Yebo ngiyacela. Siyabonga ngokubuza kwakho komusa.
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমার অবস্থা হলো- যখন নাটক দেখি, শুধু নাটক ই দেখতে থাকি, আবার যখন সিনেমা দেখি, শুধু সিনেমাই দেখতে থাকি। আবার যখন গান শুনি, তখন শুধু গানই শুনতে থাকি।
আমি সব সময়, গাইড বই গুলো পড়ি। মেডিকেল কলেজ ভর্তি গাইড বই, বিসিএস গাইড বই, চাকরীর জন্য গাইড বই, ক্যাডেট কলেজ ভরতি গাইড বই। সব রকম বই গুলো নিয়মিত পড়ি। ভালো লাগে।