নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের ব্যভিচার আইন : একটা পর্যালোচনা ও কিছু সুপারিশ

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭

BANGLADESH PENAL CODE
CHAPTER XX
OF OFFENCES RELATING TO MARRIAGE

497. Adultery.— Whoever has sexual intercourse with a person who is and whom he knows or has reason to believe to be the wife of another man, without the consent or connivance of that man, such sexual intercourse not amounting to the offence of rape, is guilty of the offence of adultery, and shall be punished with imprisonment of either description for a term which may extend to five years, or with fine, or with both. In such cash, the wife shall not be punishable as an abettor.


Bangladesh Penal Code (BPC) বা বাংলাদেশ দণ্ডববিধি-১৮৬০-এর ২০তম পরিচ্ছেদে বিবাহ-সংক্রান্ত অপরাধসমূহ সম্পর্কিত অধ্যায়ে ৪৯৭ নং ধারায় ‘ব্যভিচার’-এর সংজ্ঞা ও শাস্তি সম্পর্কে নিম্নরূপ আইন লিপিবদ্ধ রয়েছে :

“যদি কোনো ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির স্ত্রী অথবা যাকে সে অপর কোনো লোকের স্ত্রী বলে জানে বা তার অনুরূপ বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে এমন কোনো নারীর সঙ্গে উক্ত নারীর স্বামীর সম্মতি বা সমর্থন ব্যতিরেকে এরূপ যৌন সম্পর্ক করে যা নারী ধর্ষণের শামিল নহে, সে ব্যক্তি ব্যভিচারের অপরাধে দোষী এবং যে-কোনো বিবরণে কারাদণ্ডে যার মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত হতে পারে অথবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। তবে ব্যভিচারে অংশগ্রহণকারী নারী দুষ্কর্মের সহায়তাকারিণী হিসেবে দণ্ডিত হবেন না।”

আইনের ওই বিধান অনুযায়ী যদি স্বামী পরকীয়া করেন, তাহলে স্ত্রী তার স্বামী বা অন্য নারীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন না। আবার স্ত্রী যদি পরকীয়া করেন, তাহলে স্বামীরও স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সুযোগ নেই। তবে স্ত্রী যার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়াবেন, তার স্বামী ওই পুরুষটির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। অন্যদিকে স্বামীর অনুমতি নিয়ে পরকীয়া করলে তাও অপরাধের পর্যায়ে পড়বে না। সূত্র

ব্যাভিচার সংক্রান্ত আইনটি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, কোনো পুরুষ (আলোচনার সুবিধার্থে তাকে ‘যৌনকর্তা’ বলবো) যদি অন্য কোনো নারীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন, সেই নারীর স্বামীর কোনো আপত্তি না থাকলে তিনি নির্দ্বিধায় বিনা বাধায় আজীবন দৈহিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারেন। যৌনকর্তা পুরুষ অবিবাহিত হলে কোনো সমস্যাই নাই, কিন্তু সে বিবাহিত হলে তার স্ত্রীই একমাত্র বাধাদানকারিনি ব্যক্তি হতে পারেন। তবে, স্ত্রী যদি এক্ষেত্রে সম্মতি দান করেন, তাহলে পুরুষ মানুষটি গুলশান-বনানিতে ১৬ কোটি টাকা দামে একটা বাড়ি কিনে, কিংবা মাসিক দেড় লাখ টাকায় একটা বাসা ভাড়া করে পরকীয়া প্রেমিকাকে সেখানে রাখতে পারেন। এতে একটা সুবিধা আছে, যৌনকর্তা পুরুষটির স্ত্রীও ইচ্ছে করলে স্বামীর মতোই অন্য এক পুরুষের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হতে পারেন। আমাদের ব্যাভিচার আইনটি আরো সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে এই ভাবে যে, স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের সম্মতিতে যার যার পছন্দমতো, সুযোগ ও সুবিধামতো অন্যের সাথে পরকীয়ায় মাতোয়ারা হতে পারেন।

এই আইনে আরো ফাঁক আছে। পরকীয়া নারীকে এই আইনে আমরা অন্যের স্ত্রী, অর্থাৎ স্বামী বর্তমান আছেন এমন বিবাহিতা নারী হিসাবে দেখতে পাচ্ছি। কোনো অবিবাহিত স্ত্রীর কথা আইনে নেই। এর ফলে, এই আইনটি ‘পরকীয়া’র ক্ষেত্রে আরো অনেক অনেক পথ উন্মুক্ত বা সুগম করে দিচ্ছে। পরকীয়া নারীটি যদি অবিবাহিতা, কলেজ বা স্কুলছাত্রী হয়ে থাকে, তাহলে নিজের স্ত্রী ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো শক্তি নাই যে, এই পরকীয়ায় তাকে বাধা দিবে বা তার নামে মামলা করবে। যৌনকর্তা পুরুষ বিবাহিত স্ত্রীকে ঘরে রেখে অন্যের স্ত্রীকে নিয়ে বিদেশে প্রমোদ ভ্রমণে যেতে পারেন। এটা একটু পড়ুন সিনেমার নায়িকাদের নিয়ে দুবাইয়ে পারসোনাল বোটে একান্তে সময় কাটাতে পারেন। তিনি যে আরো কত কিছু করতে পারেন, তার তালিকা করে শেষ করা যাবে না।

ব্যভিচার আইনের মজা হলো এইখানে- যখন পুরুষ ও নারী উভয়েই অবিবাহিত। দুজনে একমত হয়ে যদি যৌনকর্ম করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কথা বলার কে আছে? কোন সাহসে, বা কোন আইনে তাকে কে দণ্ডাবে? ছেলে-মেয়ে রাজি, চলো রিসোর্টে যাই। মৌজ-মাস্তি করি। পোয়াবারো অবস্থা আর কাকে বলে! শুধু এইক্ষেত্রে এটা স্মরণ রাখতে হবে যাতে তাদের এ কাজগুলো প্রকাশ্যে সংঘটিত না হয়, যা পাবলিক নুইস্যান্স (দণ্ডবিধি-২৬৮ ও ২৯০, ২৯১) আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচনায় 'অভিযুক্ত' হতে পারে।

আপনারা স্মরণ করুন, ২০১৯ সালের ১৩ জুন তারিখে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন সোনারগাঁ (জাদুঘর)-এর সাবেক পরিচালক এক নারীসহ আটক হয়েছিলেন। তারা স্বামী-স্ত্রী নন, ঐ নারী ২য় স্ত্রী ছিল কিনা এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো বাক-বিতণ্ডা হয় নি। কিন্তু, পুলিশ ও জনতা কেন তাদেরকে ধরলো, কোন আইনে ধরলো, তা নিয়ে আমাদের একটা বিরাট গোষ্ঠি ব্যাপক গোস্মা প্রকাশ করেছিলেন। তারা দুজনেই পরস্পরের সম্মতিতে এ কাজ করেছিলেন। খবরে জানা গিয়েছিল যে, ১৩ জুন ২০১৯ তারিখের সকালে যাদুঘরের ডাক বাংলোর ভিতরের একটি কক্ষ থেকে উক্ত ব্যক্তি ও এক নারীকে আটক করা হয়। সূত্র-১ সূত্র-২ তিনি দায়িত্ব পালন কালে তার অফিসের পিছনেই একটা বেডরুম তৈরি করেন। যেখানে নারীদের এনে অসামাজিক কার্যকলাপ করতেন বলে অভিযোগ ছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাদুঘরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, আগের রাতে উক্ত ব্যক্তির বড়ো ছেলের শ্বশুর মারা যান, এ সংবাদ পেয়ে তার ২ ছেলে ও নাতিরা সেখানে চলে যাওয়ার সুযোগে উক্ত ব্যক্তি সকালে একটি মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায় যাদুঘরের ডাক বাংলোতে।
বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের চোখে পড়ে। দীর্ঘ সময় মেয়েটি ডাকবাংলো থেকে বের না হওয়ায় তারা সেখানে গিয়ে অসামাজিক কার্যকালাপের সময় হাতে নাতে তাকে আটক করে।

ঐ ঘটনায় আমাদের বিশেষ গোস্মা গোষ্ঠির অভিযোগ ছিল, এদের আটক করা অন্যায় হয়েছে। পুলিশ এবং পাবলিক উভয়েই অন্যায় করেছে। তারা পরস্পরের সম্মতিতে একে অপরকে উপভোগ করেছেন। পুলিশ বা পাবলিক কোন আইনে তাদের আটক করেছে?

সত্যিই তো! কোনো আইন নেই তো তাদের আটক করার। ঐ নারী, যদ্দূর জানা গিয়েছিল, স্বামীহীনা ছিলেন (অবিবাহিতা, নাকি ডিভোর্সী, এই তথ্য এখন মনে নেই)। আইন অনুযায়ী ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার কেউ ছিল না। কাজেই, তাদের আটক করা গর্হিত অন্যায় কাজ ছিল।

আমার মনে নেই, ঐ কেইসের সমাধান পরে কীভাবে হয়েছিল। কিন্তু একবার ভাবুন, যে ব্যক্তি এই কাজটাকে ‘অবৈধ’ বা ‘অন্যায়’ মনে করেন না, তিনি ঘরে ফিরে যদি দেখেন স্বয়ং তার স্ত্রীই অন্যের বাহুলগ্না হয়ে সঙ্গমরত অবস্থায় আছে, তখন কি তিনি বলে উঠবেন- বাহ! চালিয়ে যাও, কোনো সমস্যা নাই!

কোনো ঘটনা যতক্ষণ না নিজের জীবনে সংঘটিত হয়, ততক্ষণ আমরা তার আসল প্রভাব উপলব্ধি করতে পারি না।

ব্যভিচার সমাজের জন্য অধঃপতন ডেকে আনে। আইনের শাসন যদি না থাকে তাহলে আইন করে কোনো লাভ নাই। এ কথাটা সত্য হলেও আমাদের বিদ্যমান ব্যভিচার আইনটি অবশ্যই সংস্কার করা দরকার বলে আমি মনে করি। এতে সরাসরি ব্যভিচারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। পরোক্ষভাবে, সকল সামাজিক অনাচারেরও অনুমোদন রয়েছে এতে। বর্তমানে আমাদের সমাজের শৃঙ্খলা এত নেমে গেছে যে, এই আইনে অনাচার, ব্যভিচারীরা আরো উৎসাহিত হচ্ছে। আমি কোনো আইনজ্ঞ না, সাধারণ নাগরিক হিসাবে এটা আমার অভিমত। বর্তমান আইনটি সংশোধনের জন্য ভারতের মতো বাংলাদেশেও ২০১৯ সালে আদালতে রিট হয়েছে, রিটের ফলাফল জানি না। কিন্তু এই রিটের বিষয় ছিল এই আইনে পুরুষের পাশাপাশি নারীকেও সমান অধিকার দেয়া। স্ত্রী পরকীয়া করলে স্বামী পরকীয়া প্রেমিকের নামে মামলা করতে পারবে। কিন্তু, স্বামী পরকীয়া প্রেম করলে তার স্ত্রী কেন স্বামীর পরকীয়া প্রেমিকার বিরুদ্ধে বা স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে না? রিটের বিষয়বস্তু ছিল এরকম। সূত্র

কিন্তু, এতটুকু সংশোধন করলেই কি সুরাহা হবে? ব্যাভিচার একটা সামাজিক ব্যাধি। এটার ব্যাপকতা বাড়ছে প্রথমত এ ব্যাপারে উপযুক্ত আইন না থাকাতে, দ্বিতীয়ত, আমাদের বহুল ব্যবহৃত বয়ান ‘আইনের শাসন নেই’ তো আছেই।

ব্যভিচার আইনকে সম্প্রসারিত করে এর সাথে আরেকটা ক্লজ/উপধারা যুক্ত করা উচিত। দণ্ডবিধির ২৬৮ ধারায় ব্যভিচারকেও ‘পাবলিক ন্যুইসেন্স’-এর উপাদান হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। বিভিন্ন হোটেল, পার্ক, ইত্যাদি জায়গায় মাঝে মাঝেই পুলিশ হানা দিয়ে যাদের ধরেন, আমার জানা নেই তাদের কোন আইনে ফেলা হয়। এ সম্পর্কিত সুস্পষ্ট আইন না থাকায় ওখানেও নানা ধরনের অনিয়ম সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, অর্থাৎ মুচলেকার বিনিময়ে ‘অভিযুক্ত’দের ছেড়ে দেয়া।

বিকল্প পন্থায়, বিবাহিত স্ত্রী ব্যতীত অন্য কারো সাথে দৈহিক স্থাপন করাকেই ‘ব্যভিচার’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে আইন সংশোধন করা যায়। যখন জড়িতরা যদি স্বামী-স্ত্রী না হয়, সেক্ষেত্রে মামলা করার জন্য ২৬৮, ২৯১ ধারা এর সাথে সম্পর্কযুক্ত করা যায়, যেখানে পুলিশ, পিতা-মাতা, ভাইবোন বা প্রত্যক্ষদর্শী কেউ বাদী হয়ে মামলা করতে পারবেন।

বাংলাদেশ মুসলমান প্রধান দেশ। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। ‘ঈদ’ বানানে যখন পরিবর্তন এনে ‘ইদ’ করা হয়, তখন ধর্মীয় চেতনায় জেহাদের ডাক ওঠে। ইসলাম নিয়ে কেউ একটা তির্যক কথা বললে আমরা ফেইসবুক রক্তাক্ত করে ফেলি। আরো কত কী করি (তা বললাম না, আমারও ভয় আছে)। নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ পড়ে যায়। কিন্তু, ঘুষের টাকায় পাহাড় গড়ে তুলতেছে মোমিনরা। খুন, ধর্ষণের রেকর্ড করতেছে। দুর্নীতির শেষ নাই। তো, এত ইমানদারের দেশে এত দুর্নীতি, এত জেনা, এত নারী কেলেঙ্কারি কেন হবে?

২৯ এপ্রিল ২০২১

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এত ইমানদারের দেশে এত দুর্নীতি, এত জেনা,
এত নারী কেলেঙ্কারি কেন হবে?


কোটি টাকার প্রশ্ন !!!!

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের ইসলাম চেতনা আমাদের চরিত্রের সাথে খুবই সাংঘর্ষিক।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: আইনটির সংশোধন দরকার।আইনটিতে সমাজিক অনাচারের অনুমোদন আছে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কথাটা যথার্থ : এতে সামাজিক অনাচারের অনুমোদন রয়েছে। বর্তমানে আমাদের সমাজের শৃঙ্খলা এত নেমে গেছে যে, এই আইনে অনাচার, ব্যভিচারীরা আরো উৎসাহিত হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আনভিরের বিচার কী এই আইনে করা যাবে

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের স্বনামধন্য সুপ্রিয় আনভীর ভাই কোনো ব্যভিচার করেন নি বলে এই আইনে তিনি বেকসুর খালাস। অর্থাৎ এই আইনে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হবে না। মিয়া-বিবি ছিলেন রাজি, তাই ফ্ল্যাট ভাড়া করেছিলেন বনানী, সেখানে বাস করিতেন মুনিয়া, আনভীর ভাই প্রমোদ করিতেন সেই ফ্ল্যাটে গিয়া। উভয়ের সম্মতিতেই আনন্দ, ফুর্তি হতো। বর্তমান আইন আনভীর ভাবীকে আনভীর ভাইয়ের বিরুদ্ধেও না, এবং মুনিয়া বেগমের বিরুদ্ধেও কেইস করার কোনো অধিকার দেয় না।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৯

সোহানী বলেছেন: বলেন কি, জানা ছিল না। অবশ্য দেশে আইন ফাইন কি!! টাকা যার আইন তার..............।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা কথা আছে - রুলস ফর দ্য ফুলস। তো, আপনি ঠিকই বলেছেন আপু। আইন সবার জন্য সমান না। আবার আইন সবার জন্যও না। টাকা দিয়া আইন কেনা যায়, আইন বানানোও যায়।

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:১৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এত ইমানদারের দেশে এত দুর্নীতি, এত জেনা,
এত নারী কেলেঙ্কারি কেন হবে?

কোটি টাকার প্রশ্ন !!!!

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের বিশ্বাসের জায়গাগুলোও ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসছে। যেসব ধর্ম-প্রচারকদের আমরা অনুসরণ করবো, বা যে শ্রেণির মানুষ আমাদের কাছে অনুকরণীয়, তাদের মধ্যেও চরিত্র-স্খলন প্রকট আকার ধারণ করছে। আমরা অনুসরণ করবো কাদের?

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:৫০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: নানাবিধ অপরাধের জন্য আইন তো দেশে সহস্রাধিক আছে। প্রয়োগ হয় কি ? দেশে যেভাবে চরম দুর্নীতি, গুম, খুন চলে তার জন্য আইন থাকলেই বা কি বা না থাকলেই বা কি ? ব্যাভিচারের আইন থাকে বা দুর্বল আইন থাকতে কোনো আসবে যাবে না। দেশের জনগণকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য যে ধরণের রাজনৈতিক ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃত্ব প্রয়োজন তা আছে কি ? আর আইনের কি জনগণের সেই অংশ চাইবে যারা প্রয়োগ না হওয়ার কারণে বেনিফিশিয়ারি ? কারা আইনের যথাযথ প্রয়োগের জন্য রাষ্ট্রকে চাপ প্রয়োগ করবে ?

নানাবিধ অপরাধের জন্য আইন তো দেশে সহস্রাধিক আছে। প্রয়োগ হয় কি ? দেশে যেভাবে চরম দুর্নীতি, গুম, খুন চলে তার জন্য আইন থাকলেই বা কি বা না থাকলেই বা কি ? ব্যাভিচারের আইন থাকে বা দুর্বল আইন থাকতে কোনো আসবে যাবে না। দেশের জনগণকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য যে ধরণের রাজনৈতিক ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃত্ব প্রয়োজন তা আছে কি ? আর আইনের কি জনগণের সেই অংশ চাইবে যারা প্রয়োগ না হওয়ার কারণে বেনিফিশিয়ারি ? কারা আইনের যথাযথ প্রয়োগের জন্য রাষ্ট্রকে চাপ প্রয়োগ করবে ?

আরেকটি প্রশ্ন:
- মামুনুল কি আইনের চোখে ব্যাভিচার করেছিল ? ধর্মের চোখে?
- নাকি তার ডিফেন্স হচ্ছে 'মূতা' বিবাহ ?

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মন্তব্যের প্রথম অংশে যা বলেছেন, আমার পোস্টেও শেষের দিকে সেটাই বলতে চেয়েছি। আপনার এ প্রশ্নগুলো অতীব গুরুত্বপূর্ণ :

দেশের জনগণকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য যে ধরণের রাজনৈতিক ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃত্ব প্রয়োজন তা আছে কি ? আর আইনের কি জনগণের সেই অংশ চাইবে যারা প্রয়োগ না হওয়ার কারণে বেনিফিশিয়ারি ? কারা আইনের যথাযথ প্রয়োগের জন্য রাষ্ট্রকে চাপ প্রয়োগ করবে ? কোনো প্রশ্নের উত্তরই অনুকূল না। বিচারহীনতা তো এখন একটা রেওয়াজেই পরিণত হয়ে গেছে। যত বড়ো অপরাধই সংঘটিত হোক না কেন, জনগণ শুরুতেই ধরে নেয়, এবং খুব যৌক্তিকভাবেই ধরে নেয় যে, এর সুষ্ঠু বিচার হবে না। ভিক্টিম হয় কারা? যারা ভিক্টিম হয়, তারা অলরেডি সমাজের নিগৃহীত, নিঃস্ব শ্রেণির মানুষ, নীচু তলায় যাদের অবস্থান, এবং এ কারণেই সহজে তারা শিকারে পরিণত হয়। যারা এই অত্যাচার, নিপীড়ন, খুন, ধর্ষণের মতো অপকর্ম ঘটায়, তারা দিনকে রাত, রাতকে দিন করার মতো শক্তিধর। ক্ষমতা, প্রতিপত্তি, দেশ পরিচালনা সবই তাদের হাতে।

যাই হোক, এসব তো হতাশার খবর। হতাশার মধ্যেও আমাদের আলোর সন্ধান করতে হবে। আইনের প্রয়োগ হয় না বলে দেশে আইনই থাকবে না, তা হতে পারে না। আইন থাকবে, প্রতিনিয়ত আইন হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইন অন্ধ থাকে, সেটাই আমাদের ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আইন না থাকলে বোঝাই তো যাবে না আইন অন্ধ, নাকি আইনের চোখ এখনো বিদ্যমান।

আরেকটা জিনিস সত্য- সারা পৃথিবীতেই বলতে গেলে এখনো ক্ষমতা কিন্তু পুরুষের হাতেই। আইন প্রণেতারাও পুরুষই। আইনের বেনিফিশিয়ারি পুরুষ। যে আইনটি পুরুষের বিপক্ষে যাবে, পুরুষ সেই আইন করবে না, এটা মোটামুটি শিওর :)

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:০০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: দুঃখিত, আমার আগের কমেন্টটি দুবার কপি হয়ে গেছে, মুছে দিবেন প্লিজ।

সংশোধিত মন্তব্য দিলাম:

নানাবিধ অপরাধের জন্য আইন তো দেশে সহস্রাধিক আছে। প্রয়োগ হয় কি ? দেশে যেভাবে চরম দুর্নীতি, গুম, খুন চলে তার জন্য আইন থাকলেই বা কি বা না থাকলেই বা কি ? ব্যাভিচারের আইন থাকে বা দুর্বল আইন থাক তাতে কোনো আসবে যাবে না। দেশের জনগণকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য যে ধরণের রাজনৈতিক ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃত্ব প্রয়োজন তা আছে কি ? আর আইনের যথাযথ প্রয়োগ কি জনগণের সেই অংশ চাইবে যারা প্রয়োগ না হওয়ার কারণে বেনিফিশিয়ারি ? কারা আইনের যথাযথ প্রয়োগের জন্য রাষ্ট্রকে চাপ প্রয়োগ করবে ?

আরেকটি প্রশ্ন:
- মামুনুল কি আইনের চোখে ব্যাভিচার করেছিল ? ধর্মের চোখে?
- নাকি তার ডিফেন্স হচ্ছে 'মূতা' বিবাহ ?

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:




আরেকটি প্রশ্ন:
- মামুনুল কি আইনের চোখে ব্যাভিচার করেছিল ? ধর্মের চোখে?
- নাকি তার ডিফেন্স হচ্ছে 'মূতা' বিবাহ ?


প্রিয় বিশুদ্ধ, অত্যন্ত ইন্টারেস্টিং একটা ইস্যু। আপনি যদি ৪৯৭ ধারায় ব্যভিচারের সংজ্ঞাটি খেয়াল করেন, তাহলে দেখবেন, এ সংজ্ঞা মতে আসলে 'ব্যভিচার' বলতে কোনো কিছু নেই। শুধুমাত্র বিবাহিতা নারীর স্বামীর অনুমতি না থাকাটাই একটা 'ইন্টারকোর্সকে' ব্যভিচার বলা হচ্ছে, স্বামীর অনুমতি থাকলে সেটা আর ব্যভিচার নয়। আমাদের কাছে কথাটা খুব ফানি বা হাস্যকর মনে হতে পারে যে, কোনো মেয়ের স্বামী কি কখনো তাকে বলবে, যাও অমুকের সাথে তোমাকে সেক্স করার অনুমতি দিলাম? এসব কথা হলো আইনের মারপ্যাঁচ। আইন বিশেষজ্ঞরা এগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। কিন্তু, যখন এরকম একটা মামলা কোর্টে গড়াবে, তখন এটা ব্যভিচার হিসাবে কোয়ালিফাই করে কিনা তা জাস্টিফাই করার জন্য 'স্বামীর অনুমতি'র বিষয়টা সামনে আসবে।

আইনের সংজ্ঞানুযায়ী আমরা বিশ্লেষণ করি মামুনুল হকের বিষয়টা। খবরে প্রকাশ- ঐ মহিলা তার বিবাহিতা স্ত্রী। স্ত্রী হলে তো 'ব্যভিচার' আইনের কোনো সুযোগই নাই এই ঘটনায় তাকে অভিযুক্ত করার জন্য। বাই চান্স, যদি এমন হয় যে ঐ মহিলা তার স্ত্রী নন, সেইক্ষেত্রে এটা ব্যভিচার হওয়ার জন্য প্রয়োজন পড়বে ঐ নারীর স্বামীর উপস্থিতি, অর্থাৎ তাকে অন্য পুরুষের স্ত্রী হতে হবে, যে পুরুষটি জীবিত আছেন। তখন জানতে হবে, এই ইন্টারকোর্সের জন্য সেই স্বামীর অনুমতি ছিল কিনা। অনুমতি না থাকলে এটা ব্যভিচার, অনুমতি থাকলে ব্যভিচার না। ধরলাম, অনুমতি ছিল না। সেইক্ষেত্রে এ নারীর স্বামীকেই শুধু মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকার আছে, আর কারো নাই। অবশ্য আমরা জানি না, এখানে কোনো ইন্টারকোর্স সংঘটিত হয়েছিল কিনা।

কিন্তু, মেয়েটি যদি অবিবাহিতা, কিংবা ডিভোর্সী হয়ে থাকেন, তাহলে মামুনুল হক 'ব্যভিচার' আইনে দোষী নন। কারণ, তিনি আইন মোতাবেক 'ব্যভিচার' করেন নি। মেয়েটি স্বেচ্ছায় তার সাথে রিসোর্টে এসেছিলেন।

২৬৮ ধারা অনুযায়ী 'পাবলিক নুইসেন্স' ইস্যুতে একটা মামলা হতে পারে। কিন্তু, সেটাও অ্যাপ্রোপ্রিয়েট হবে কিনা জানি না। উলটো মামুনল হকই অভিযোগে করে বলতে পারেন, জনগণ তাকে উত্যক্ত করেছে। মামুনুল হক ওপেন প্লেসে এমন কিছু করেন নি যাতে নুইসেন্স কেইস অ্যাপ্লিকেবল হবে, আমার নন-স্পেশিয়ালিস্ট নলেজ মতে এটুকু বুঝি।

মুতা বিয়া আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী সিদ্ধ না। আইনে বিয়া বা নিকাহ্‌ শব্দই আছে বলে আমি জানি। মামুনুল হক মুতা বলুন আর যাই বলুন, ঐ মহিলাকে তার স্ত্রী বলে প্রমাণ করার জন্য কাবিননামা হলো প্রধানতম এভিডেন্স।

আমার সাধারণ কমেন্ট- মামুনুল হককে মেয়েঘটিত কেইসে কোনো মামলা দেয়া যাবে বলে আমার মনে হয় না। তবে, মেয়েঘটিত কেলেঙ্কারিতে দেশবাসীর কাছে তিনি যা হারিয়েছেন, তা আর কখনো ফিরে পাবেন বলে মনে হয় না। তা কি সম্ভব?

সুন্দর কমেন্ট ও প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় বিশুদ্ধ।

৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩৮

পুলক ঢালী বলেছেন: লেখাটা পড়লাম আর অনেক উন্নত দেশের সামাজিক জীবন যাত্রার সাথে মনে মনে কম্পেয়ার করলাম।
একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার, চতুর্দিকে আবদ্ধ রুমে প্রাপ্তবয়স্ক দুই নরনারী যদি মিলিত হয় তাহলে পৃথিবীর কোন আইনেই বোধহয় তাদের বিচার করতে পারার কথা নয় (এটা একটা ধারনা মাত্র কিন্তু ধারনাটি সত্য মনে হয়)। তবে ঐ নরনারী যদি জনসমক্ষে এমন ধরনের কাজ করে তাহলে সমাজ-দূষনের দায়ে তাদের বিচারের আওতায় আসতে হবে।
মানুষ এবং পশুর মধ্যে পার্থক্য শুধু ভাবনা, চিন্তা ও চেতনায়।
অন্যথায়, আহার,সঙ্গম,বর্জত্যাগ রোগ ব্যাধি এবং নিদ্রায় মানুষ ও পশুর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।

পাচঁ/ছয়দিন একটা মানুষকে যদি খাবার এবং পানি না দেওয়া হয়, তাহলে তাকে মুক্ত করে দিলে, সে সব বোধবুদ্ধি ত্যাগ করে অন্যের খাবার ছিনিয়ে নিয়ে খাবে জীবন ধারনের প্রয়োজনে।

একই কথা যৌনচর্চার ক্ষেত্রেও প্রজোয্য, সামাজিক নিয়ম, আইন, ধর্ম, দোজগের ভয় এইগুলি মানুষের এ্যানিমেল ইন্সটিংক্টের কাছে পরাজিত।

কোন নারী, স্বামী দ্বারা তৃপ্ত না হলে অন্য পুরুষের কাছে যেতে পারে এটা আইন স্বীকৃত,সেজন্য ঐ নারীকে বিচারের আওতায় আনা যাবেনা। কিন্তু পুরুষের রেহাই নেই, স্ত্রী যদি স্বামীকে সন্তুষ্ট করতে না পারে তাহলে পুরুষ অন্য নারীর দ্বারস্ত হতে পারবেন না।
তখনই হোটেল বা রিসোর্টের চার দেওয়ালের প্রশ্ন চলে আসে, এবং পারস্পরিক সম্মতির বিষয়টিও সামনে এসে দাড়ায়।

অতএব বিবাহিতদের উচিৎ পারস্পরিক বোঝাপড়া, সততা ও ভালবাসার বন্ধনেই সংসারে আবদ্ধ থাকা।
অবিবাহিতরা (যুবক যুবতীরা) জীবন চিনে নিয়ে সংসারে প্রবেশ করবে সম্পূর্ন নিজের দায়িত্বে এমনটিই কাম্য।
অর্জিত শিক্ষা আমাদের দেশে কতটুকু দায়িত্ববোধ শেখাচ্ছে সেটা প্রশ্ন স্বাপেক্ষ।

যে দেশে তরুনদের সামনে অসংখ্য দুর্নীতির উদাহরন,যে দেশে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে নীত নৈতিকতার ঘাটতি, যে দেশে মানবিকতা ধূলায় লুটায়, সে দেশে আইন করে কোন ফল লাভ হবে এমন প্রত্যাশা করা যায়না।

আমরা থাকি বাংলাদেশে, কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির কল্যানে চিন্তা চেতনায় ধারন করছি অন্য দেশের সংস্কৃতি, ফলে একটা জগা-খিচুড়ী অবস্থা না ঘরকা না ঘাটকা।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পুলক ঢালী ভাই, অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও জ্ঞানগর্ভ একটা কমেন্ট। এ পোস্টের জন্য মূল্যবান সংযোজন। আপনি যা বলেছেন, তার সাথে দ্বিমত করার মতো হার্ডলি কোনো পয়েন্ট আছে আমার কাছে।

কিছু আলোকপাত করি আমি। উপরে বিশুদ্ধ ভাইকেও বলেছি- আইনের সংজ্ঞামতে আসলে 'ব্যভিচার' বলতে কিছু নেই। দুটো অবিবাহিত ছেলেমেয়ে লিভ-টুগেদার করলে, বা যৌনসঙ্গম করলে, তা যদি 'পাবলিক নুইসেন্স' আইনের কিছু না হয়, তাহলে সেটাকে আইনের দৃষ্টিতে 'ব্যভিচার' বলার সুযোগ দেখি না। এইক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়েটির বাবা-মা, ভাইবোন, বা অন্য কেউ আদালতে যেয়ে মামলা করবেন- এ সুযোগ নাই। আমার পয়েন্টটা এখানেই। আপনি সামাজিক প্রেক্ষাপটটা চিন্তা করুন। কোনো বাবা-মাই চাইবেন না, তার ছেলে বা মেয়ে অবিবাহিত অবস্থায় অন্যের সাথে লিভ-টুগেদার করুক, বা মিলিত হোক। আমরা যে কথায় কথায় 'অবৈধ মেলামেশা' কথাটা বলে থাকি, আইনে কিন্তু কোনো মেলামেশাই অবৈধ নয়। কিন্তু, আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় এটা অবৈধ মেলামেশা। একটা ছেলে অজস্র মেয়ের সাথে অবৈধ মেলামেশা করলেও আমাদের সমাজব্যবস্থায় ঐ ছেলেটা 'কলঙ্কিত' সাব্যস্ত হয় না, সে বুক ফুলিয়ে হেঁটে বেড়ায়। কিন্তু, মেয়েরা এ কাজ করলেও সে প্রকাশ করতে পারে না, প্রকাশ পেলে 'কলঙ্কিতা কঙ্কাবতী', তার বিয়ের সম্ভাবনা তিরোহিত। এবার ব্যাপারটা দেখুন, কিছু জিনিস আমাদের সমাজ মেনে নেয় না, কিন্তু আইন দ্বারা তা আবার সমর্থিত, কিংবা আইন মোতাবেক তা 'অপরাধ' নয়। আমাদের ধর্মমতে বিবাহিত স্ত্রী ছাড়া অন্যের সাথে সঙ্গম করলেই সেটা জেনা। আমাদের সমাজেও, হোক মুসলিম কিংবা অমুসলিম, নিজ স্ত্রী ছাড়া আর কারো সাথে সঙ্গমকে কেউ গ্রহণ করি না। যেটা সমাজ মানে না, সেটা আইন দ্বারা সমর্থিত হলে সিস্টেমেই গণ্ডগোল- ডাবল স্ট্যান্ডার্ড হয়ে গেল। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড হলেই সেখানে সবকিছু সাবস্ট্যান্ডার্ড হয়ে যায়।

ব্যভিচার সমাজের জন্য একটা ব্যাধি। অনাচার, দুরাচার, অরাজকতা, সবকিছুর মূলে হলো ব্যভিচার। কিন্তু ব্যভিচার আইনটা শক্তিশালী না। এজন্য আইনটি সংশোধনের জন্য আমি সুপারিশ করছি।

অনপবদ্য কমেন্টের জন্য ধন্যবাদসহ শুভেচ্ছা নিন।

৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৬

লাতিনো বলেছেন: পুলিশের কাজ কিন্তু কেবল আইনের প্রয়োগ করা নয়। সামাজিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করাও পুলিশের কাজ। তাই পুলিশ কেবল আইন মুখস্ত করে বসে থাকবেনা, তার গ্রে ম্যাটারও ব্যবহার করবে। তাই পার্কের মধ্যে কপোত কপোতির ডেটিং করা বা সন্ধ্যার পরে উঠতি বয়েসী ছেলে পেলেদের গলির মুখে আড্ডা দেওয়া আইনের চোখে কোন অপরাধ না হলেও পুলিশ কিন্তু সেখানে ইন্টারফেয়ার করে।

ব্যাভিচার যদিও বাংলাদেশের আইনে কোন গর্হিত অপরাধ নয়, কিন্তু এদেশের মানুষের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে একে অপরাধ হিসেবেই দেখা হয়। কিন্তু এখনকার বাবা মায়েরা যেমন লিবারেল হয়ে উঠছে, তাতে সেদিন হয়তোবা বেশি দূরে নয় যে টিনেজ মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে রূমের দরজা বন্ধ করে দিলেও বাবা মা কিছু বলবেনা। তাই এই অন্যায় রোধে আইন প্রণয়ন এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। অবিলম্বে এটা করা উচিত।

@স্বামী বিশুদ্ধানন্দ, মামুনুল আইনের চোখে কোন ব্যভিচার করেনি যদি তার সাথে থাকা মেয়েটি বিবাহিত না হয়। ধর্মের চোখেও ব্যভিচার প্রমাণ হবেনা। তাদেরকে কোন আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায়নি, তাই। তবে বেগানা নারীর সাথে অবাধ মেলামেশাকে ব্যভিচার ধরা হয় কিনা, জানা নেই।
- মূতা বিবাহ কেবল সফরের ক্ষেত্রে এবং বিশেষ বিশেষ অবস্থায় অনুমোদনযোগ্য। মামুনুল হক কথিত দ্বিতীয় বিয়েতে যেসব শর্ত দিয়েছে, ইসলামে এরকম কোন শর্ত দেয়া অনুমোদন করেনা।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
ব্যাভিচার যদিও বাংলাদেশের আইনে কোন গর্হিত অপরাধ নয়, কিন্তু এদেশের মানুষের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে একে অপরাধ হিসেবেই দেখা হয়। কিন্তু এখনকার বাবা মায়েরা যেমন লিবারেল হয়ে উঠছে, তাতে সেদিন হয়তোবা বেশি দূরে নয় যে টিনেজ মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে রূমের দরজা বন্ধ করে দিলেও বাবা মা কিছু বলবেনা। তাই এই অন্যায় রোধে আইন প্রণয়ন এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। অবিলম্বে এটা করা উচিত।
আমার মনের কথাটাই বলেছেন। আজ থেকে ৩০ বছর আগের পরিস্থিতির সাথে বর্তমান পরিস্থিতির যদি তুলনা করেন, তাহলে দেখা যাবে সেদিনের সাথে আকাশ-পাতাল তফাত হয়ে গেছে। ছেলেমেয়েতে এত ঘনিষ্ঠতা, মেলামেশা সেই সময়ে আমরা দেখি নি। নিজ স্ত্রীর সাথেও ঘনিষ্ঠ হয়ে রিকশা কিংবা বাসে বসতে সংকোচ বোধ হতো। আজকাল 'গার্ল ফ্রেন্ড', 'বয় ফ্রেন্ড' মেলামেশা, যে-কোনো কিছু করা যেন খুব কমন ফেনোমেনন হয়ে গেছে।

পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে যেটা বলেছেন, তার সাথে একমত।

মামুনুল হকের ব্যাপারে যা বলেছেন, আমার অভিমতও একই এবং বিশুদ্ধকে এভাবেই বলেছি।

মন্তব্য গঠনমূলক ছিল। ধন্যবাদ।

১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৩০

ডাব্বা বলেছেন: আইনের বিষয়গুলো তুলে এনে ভালো লিখেছেন। আইনের চোখ অন্ধ, হাস্যকর লাগে আমার কাছে। চোখ খোলা রেখে কি সবার কাছে সমান হওয়া যায় না?

হক সাহেবের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী প্রতারণা ও বিবিধ ধারায় উনার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শুনলাম। বাংলাদেশ এমন একটা দেশ, এখানে গ্যালারি থেকে উঠা যায়না।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

হক সাহেবের কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী প্রতারণা ও বিবিধ ধারায় উনার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শুনলাম।
হাসবো, নাকি কাঁদবো বুঝতেছি না। :) :( :D :| তবে আইনের বৈচিত্র ও বহুমাত্রিকতা, বা ডায়নামিক্স ও ডায়নামিজম (আরো কী কী বলা যায় তাও বুঝতেছি না) যে কত গতিশীল ও ইন্টারেস্টিং হতে পারে, এ খবর থেকে তা কিছুটা আঁচ করতে পারছি। উপরে আমরা আলোচনা করছিলাম, এখানে 'ব্যভিচার' আইন প্রয়োগ করা যাবে কিনা, দেখছিলাম- যাবে না। অথচ দেখুন, আইন তার নিজের গতিতে 'প্রতারণা'র মামলা নিয়া হাজির হইছে :) কোন বিষয়ে মামুনুল হক সাহেব প্রতারণা করেছেন তা অবশ্য বুঝতে পারছি না। অনেকগুলো অনুমানের কথা লিখে আবার ডিলিট করেছি :)

বাংলাদেশ এমন একটা দেশ, এখানে গ্যালারি থেকে উঠা যায়না। কালোত্তীর্ণ বয়ান। খুব পছন্দ হইছে


রসজ্ঞ কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ডাব্বা।

১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দর সময় উপযোগী একটা বিশষ নিয়ে লিখেছে। এই বিষয়ে একতা লেখা প্রায় দাড় করিয়েছিয়াম আমি। ওটা বের করে আবার ফিরে আসবো আমি। আমার এবারের আসছে উপন্যাসেও ঠিক একই বিষয় নিয়ে লিখেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ বিষয়কে কেন্দ্র করে আমার একটা গল্প মাথায় জড়ো হচ্ছে। পোস্টের আলোচনা থেকে হয়ত আরো কিছু বিষয় উঠে আসবে। তারপর একদিন গল্পটা লিখবো বলে আশা রাখছি।

১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:১৮

নীল আকাশ বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে রেখে দিলাম।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ যুনাইদ ভাই। শুভেচ্ছা।

১৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৬

নীল আকাশ বলেছেন: শুধু আপনার জন্য দিচ্ছি। ব্র্যান্ড নিউ উপন্যাস "নমানুষ" থেকেঃ

-শুভ, কোন মেয়ে পরকীয়া করলে, যেই ছেলের সাথে করবে তার শাস্তি হবে। কিন্তু মেয়েকে নাকি আইনে কোন শাস্তি দেয়া যায় না, সত্যি নাকি?
-শবনম, পরকীয়া আইনের দৃষ্টিতে ব্যাভিচার। যদি কোন ব্যক্তি অপরকোন ব্যক্তির বিবাহিতা স্ত্রীর সাথে এমনভাবে যৌন সম্পর্ক করে যা ধর্ষন নয়, তাহলে ঐ ব্যাক্তি ব্যাভিচার করেছে। এক্ষেত্রে এইদেশের আইনে ব্যাভিচারের কারণে ছেলের শাস্তি হবে কিন্তু মেয়ের কোনই শাস্তি হবে না।
-কি বলছো তুমি? একই অপরাধে একজনের শাস্তি হবে আর আরেকজনের কিছুই হবে না? এটা কেমন কথা?
-অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্য! কারন দেশের প্রচলিত আইন ১৮৬০ সালে প্রণীত দন্ডবিধির ৪৯৭ ও ৪৯৮ ধারায় বলা হয়েছে – ‘যদি কোন ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির স্ত্রী বা যাকে সে অপর কোন লোকের স্ত্রী হিসেবে জানে বা অনুরূপ বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে এমন কোন ব্যক্তির স্ত্রীর সাথে উক্ত স্ত্রীলোকের স্বামীর সম্মতি বা সমর্থন ব্যতিরেকে এরূপ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যাহা নারী ধর্ষনের সামিল নহে, সে ব্যক্তি ব্যাভিচারের অপরাধে দোষী এবং উক্ত অপরাধে কোন মেয়াদের কারাদন্ড যাহা পাঁচ বছরের অধিক নহে বা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে। অনুরূপক্ষেত্রে স্ত্রীলোকটি উক্ত দুষ্কর্মের সহায়তাকারীনি হিসেবে দন্ডিত হবে না’।
-জঘন্য বিষয় হলো, ব্যাভিচারের অপরাধে নারীকে কখনই দোষী করা যাবে না, ব্যাভিচারে স্ত্রীলোকের স্বামী মামলা করতে পারবে পুরুষ ব্যাভিচারীর বিরুদ্ধে, ব্যাভিচারের অপরাধ সংগঠনে যদি নারীর সহায়তা বা প্রলুব্ধকরণ বা অপরাধের মাত্রা বেশি থাকলেও উক্ত ব্যাভিচারীনি স্ত্রীলোকের বিরুদ্ধে কোনরূপ আইনগত পদক্ষেপ নেয়া যাবে না। ভয়াবহ বিষয় হলো, স্বামীর সম্মতি থাকলে এই ব্যাভিচারকে আইনগতভাবে অপরাধ হিসেবেও গণ্য করা হবে না।
-ওমা! কী বলছো এসব তুমি? এতো দেখি মেয়েদেরকে দিব্যি প্রলুব্ধ করা হচ্ছে আকাম কুকাম করার জন্য!
-অথচ দেশে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭তে আইনের দৃষ্টিতে রাষ্টের সকল নাগরিক সমান এবং আইনের আশ্রয় লাভের ক্ষেত্রে সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। অনুচ্ছেদ ২৮ এ বলা হয়েছে, ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে রাষ্ট্র কোন নাগরিকের প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করবে না।
-বাহ, কী চমৎকার আইন! এইজন্যই তো দেশে এখন এইসব জঘন্য অপরাধ দিন দিন আশংকাজনক হারে বেড়ে যাচ্ছে।

আরেকটা ক্ল্যাসিক পার্টও দিচ্ছি লেখারঃ
-শবনম, আমরা এখন বিপদজনক একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন পার করছি। ফেসবুক, ইন্টারনেট, পর্নোছবি, পাশ্চাত্যের অপসংস্কৃতির অনুকরণে এখন মিশ্র একটা সংস্কৃতির ক্রান্তিকাল আমরা অতিক্রম করছি। নিজেরদের সংস্কৃতি বলে এখন আর কিছু অবশিষ্ট নেই। পাশ্চাত্য সংস্কৃতি, ভারতীয় সংস্কৃতি, মধ্যপ্রাচ্যের সংস্কৃতি সব মিলিয়ে মহাতুঘলকি এককান্ড!
-এর সাথে আবার যোগ হয়েছে নব্য ডিশ টিভি সংস্কৃতি। সামাজিক অবক্ষয়, অশ্লীলতা, পরকীয়া, পারিবারিক সম্পর্কে ফাটল ধরানো, কূটনামির বিষবাষ্প ছড়াতে পার্শ্ববর্তী একটা দেশের কিছু টিভি চ্যানেলের অনবদ্য অবদান কিভাবে অস্বীকার করবে? ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে গোটাবিশ্ব এখন সবার হাতের মুঠোয়। অপেক্ষা শুধু একটি বোতাম টেপার। যে পর্নোগ্রাফি ছিল একসময় শুধুই ভিডিও দোকানে সীমাবদ্ধ, তা এখন ক্লিক করলেই হাতে ধরা মোবাইলে ধুম করে চলে আসে।
-আমরা ভুলেই গেছি, প্রযুক্তি তো জীবনকে সহজ করার জন্য, কষ্ট কমানোর জন্য। তবে এর জন্য দরকার সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্রযুক্তির সদ্ব্যবহারও হতে পারে, আবার হতে পারে অপব্যবহারও। অন্যের সংস্কৃতি এবং অনুকরণ করতে গিয়ে কোনটা গ্রহণীয় আর কোনটা বর্জনীয় এইবোধটাও আমরা হারিয়ে ফেলে নিজেদের সংস্কৃতির মূল্যবোধে মাত্রাতিরিক্ত পঁচন ধরিয়ে দিয়েছি।

লেখা কেমন হয়েছে সেটা জানাবেন বড় ভাই!

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ব্যভিচার আইনের ব্যাপারে যা লিখেছেন, অসম্ভব সুন্দর লিখেছেন। আমার পোস্টের কথাটাই আসলে ওখানে দেখতে পাচ্ছি। এ আইনের প্রভাব কীরকম হচ্ছে সমাজে, তাও উঠে এসেছে লেখায়।

জম্পেশ গল্প হবে আশা করি।

শুভকামনা থাকলো যুনাইদ ভাই।

১৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


বাংলাদেশের মানুষ অনেক বেশী ধার্মিক।
কিন্তু তারা অনেক বেশী অসৎ।
আফসোস!

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, এটাই সাজ্জাদ ভাই। আমাদের ইসলামি চেতনা ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য খুবই অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

১৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২০

আল ইফরান বলেছেন: আমার এরিয়া অফ স্পেশালাইজেশনের মধ্যে ক্রিমিনাল ল' নেই, তবুও তাত্ত্বিকভাবে আপনার লেখা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সমস্যা কিন্তু সোনা ভাই অন্য জায়গায়, এই আইনের ফাইন লাইন অফ আর্গুমেন্ট ছিলো মেয়েদের বিরুদ্ধে যাতে যত্রত্ত্র ব্যাভিচারের অভিযোগ দায়ের না করা যায়।
আইনের ছাত্র হিসেবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত এই যে, আইন করে ব্যাভিচারকে প্রতিরোধ করা যায় না। ব্যাভিচার হচ্ছে প্রাইভেট মোরালিটির অংশ এবং যতক্ষন পর্যন্ত তা পাবলিক ন্যুইসেন্সে অথবা পাবলিক অর্ডারকে ভায়োলেট না করে স্টেইট সেই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। হস্তক্ষেপ যারা করবে অথবা যাদের অধিকার ট্র্যাডিশনালি আছে তাদেরকে রাস্ট্র খেয়ে দিয়েছে।

অফ দ্য টপিক প্রশ্নঃ আপনি কি আইনের ছাত্র ছিলেন?

১৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৪

মা.হাসান বলেছেন: প্রচলিত আইনে কিছু অসমতা আছে। তবে স্বামী কিছু করলে স্ত্রীর মামলা করার অধিকারের পক্ষে আমি নই। বরং এখন স্বামী যে মামলা করতে পারে এই অধিকারটা তুলে দেয়ার পক্ষে। মামলাবাজি ভালো কাজ না।
ব্যাভিচার ভালো শব্দ না। মাল্টিটাস্কিং বা এরকম কোনো শোভন শব্দ থাকলে ভালো হয়।

১৭| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: বিচার শব্দটাই এখন একটা তামাশা। আইন, আদালত, গনমাধ্যম সব হাতের মুঠোয় অপরাধীদের। তারা যেভাবে বলে, সেভাবেই পরিচালিত হয় সব কিছু। তৈল মর্দন করে যে শ্রেনী বড় হয় তাদের কাছ থেকে আর যাই হোক ন্যায় অন্যায়ের বোধ পাবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.