নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

অহনার সাথে পুনর্বার দেখা হলে যা যা বলা যাবে...

২৯ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮

মরে গেলেও মরে যাওয়া যায় না
যেমন বেঁচে থেকেও বাঁচবার স্বাদ পায় না অনেকে
আগুনে ঝাঁপ দেয়া যায় না ইচ্ছে হলেই
সহজেই পালিয়ে যাওয়া যায় না ঘর বা জীবন থেকে

প্রতি রাতে ঘুমোবার আগে নিয়ম করে ভেবেছি - এইতো, ভুলে গেছি
ক’টা দিন বাদেই আদিগন্ত অক্ষত ভূমি
কয়েকটা পাহাড় পুড়ে গেছে। বৃদ্ধা বিটপীর বিরহে কয়েকটা নদী
বুক খুলে দেখালো কঙ্কালের দুঃখ। হায়, সেখানেও তুমি!

আমি যা চেয়েছি বিলকুল ভুল করে চাই নি কিছুই
আমাকে আজো ডাকে ভরা সারণির আড়িয়াল বিল
আমি আজো সাঁতার ভুলি নি, নিটোল পানিতে ডাহুকের ডুব
আমাকে সুখ দেয় ছোটো ছোটো ঢেউ, নিবিড় ও অনাবিল

তোমাকে ভুলে গেছি রোজ রাতে। বিষণ্ণ সকালে
পৃথিবী ভিজে গেলে করুণ কান্নার মতো ভাসতো পাখিদের গান
আমাদের সব কথা পাখিরা শিখে নিয়ে, সায়াহ্নের নরম আঁধারে
ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে এসে আড়িয়াল বিলে নাবতো অভিসারে।
নীরবে কাঁদতো পাখিহীন নির্বাক বাগান।

তোমাকে ভুলে গেছি কবে! ভাবতেই অদ্ভুত প্রসাদে
চোখে নামে ঘুম।
তখনই টের পাই, আমার আত্মার আধেক আমাতে,
বাকিটা তোমাতে ঘুমায় নিজ্‌ঝুম।

১৯ মে ২০১২

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০২১ রাত ৮:১৬

আয়নিত বলেছেন: বাহ! অনেক সুন্দর! :)

২৯ শে মে, ২০২১ রাত ৮:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আয়নিত।

২| ২৯ শে মে, ২০২১ রাত ৮:২৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আর কোনদিন অহনার সাথে দেখা হবে না

২৯ শে মে, ২০২১ রাত ৮:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :(
আপনাকে কে বলেছে?

৩| ২৯ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৫৫

জটিল ভাই বলেছেন:
যা যা বলা যাবের চাইতে হয়তো না বলতে পারা কথাগুলোর আবেগই বেশি হতে পারে......
সুন্দর লিখনী, ঠিক যেনো অহনার মতো :)

৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যা যা বলা যাবের চাইতে হয়তো না বলতে পারা কথাগুলোর আবেগই বেশি হতে পারে...... কথাটা সুন্দর বলেছেন। হয়ত কিছুই বলা হবে না, এবং কিছুই না বলার মধ্যেই হয়ত সব কথা বলা হয়ে যাবে।

৪| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১২:০০

পদ্মপুকুর বলেছেন: সম্ভবত আগে একবার আপনার একটা গল্প পড়ে বলেছিলাম যে আপনার লেখায় আল মাহমুদ এর ছায়া আছে। এই কবিতা পড়েও আমার সেই একই মনে আসছে।

৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার মনে পড়ে না, তবে, আপনি মাঝে মাঝেই ভালো ভালো উপমা, রেফারেন্স, ইত্যাদি দিয়ে থাকেন। একজন মহান কবির ছায়া আমার লেখাতে দেখছেন, এতে আমি গর্ব বোধ করছি। আল মাহমুদের লেখা খুব একটা পড়া হয় নাই। তার সংকলন আমার ঘরে, অল্প কিছু পড়েছি। একটা ছোটো উপন্যাস পড়েছি। পাঠ্য পুস্তকের কবিতা, আর পত্রপত্রিকায় যা দেখেছি, আল মাহমুদ পড়া আমার এ পর্যন্তই। আরো পড়লে আরো বেশি ছায়া পাওয়া যেত নিঃসন্দেহে :)

নজরুল-সুকান্ত-সুনীল - এই ত্রয়ীই আমার জীবনে/লেখায় বেশি প্রভাব ফেলেছে, যা আমি নিজেও জানি। সুনীলের বরুণাকে তো আমার নিজেরই বরুণা মনে হয় :) হাহাহা

দারুণ কমেন্টে উজ্জীবিত হলাম। ভালো থাকবেন প্রিয় পদ্ম পুকুর। শুভেচ্ছা।

৫| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মুক্তিযু্দ্ধ নিয়ে কথা বলে থাকি; আমি মুক্তিযু্দ্ধ নিয়ে ব্লগে কিছু লিখি না, ব্লগে লেখার কোন কারণ নেই; সবচেয়ে বড় কথা আমি যে মুক্তিযোদ্ধা সেটা আমি বলি না ব্লগে, কেহ জিজ্ঞাসা করলে বলতে বাধ্য হই; মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বসলে আমি মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনি ও বলি।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমার কোন লেখা আছে কিনা, আমি সেটার উত্তরও দিই না।

৩০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় এবং শ্রদ্ধেয় চাঁদ্গাজী ভাই, আশা করি আপনার চোখের সমস্যা দূর হয়েছে, এবং সুস্থ আছেন।

আমি জানি না আপনার মনে পড়ে কিনা, যেদিন ব্লগে প্রথম জানতে পারি আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, আপনাকে কমেন্ট করে বলেছিলাম, মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আমার সেলিয়্যুট গ্রহণ করুন। অন্য কেউ আপনাকে এভাবে সম্মান জানিয়েছেন কিনা জানি না, তবে আমি জানিয়েছি আন্তরিকতার টানে। আমার চাচা একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। ছোটোবেলা থেকেই তার কাছে যুদ্ধের গল্প শুনতে শুনতে বড়ো হয়েছি। বড়ো হওয়ার পরও বাড়িতে গেলে চাচার সাথে মুক্তিযুদ্ধের উপর কিছু না কিছু কথা হতোই। ছোটোবেলায় ছোটো চোখে মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। কিছু বুঝি বা না বুঝি, মুক্তিযুদ্ধ মন ও মননে গেঁথে আছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমার সর্বাঙ্গ জুড়ে। এই লিংকে দেখতে পারেন মুক্তিযুদ্ধের উপর ১৯৯৩ সালে লেখা আমার ছোটো একটা পোস্ট, যেটা এই ব্লগে বহুবার শেয়ার করা হয়েছে। এই ব্লগে এটা আমার প্রথম পোস্ট মুক্তিযুদ্ধের উপর। আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধা - স্রেফ এই কারণেই আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা এত বেশি ছিল।

আপনাকে শ্রদ্ধা করি। কোনো এক ব্লগার একবার আপনার সাথে তর্ক করেছিল, যা আমাকে আহত করে। সেই ব্লগারের কোনো পোস্টে যাওয়া বাদ দিয়েছিলাম তার পর থেকে। তার পোস্টে আর গিয়েছি কিনা মনে পড়ে না।

আপনি অনেক বিনয়ী ও নমনীয় ছিলেন। ধীরে ধীরে আপনি কেন যেন অহঙ্কারী হয়ে উঠলেন, বিভিন্ন পোস্টে আপত্তিকর ও আক্রমণাত্মক মন্তব্য করা শুরু করলেন। কাউকে কাউকে খুব ইন্সপায়ারিং কমেন্টও করা শুরু করলেন, এবং কেউ কেউ আপনাকে নিয়ে প্রোমোশনাল পোস্টও দেয়া শুরু করলেন – ব্লগে এবং ফেইসবুকেও। আমার মনে হতে থাকলো, এই প্রোমোশনাল পোস্ট আপনাকে আরো বেশি অহঙ্কারী, দাম্ভিক করে তুললো।

এবং হঠাৎ একদিন আমাকেও হেয়, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে অপমান করে বসলেন! আমি খানিকটা থতমত খেলাম। এরপর দেখতে থাকলাম, আপনি প্রায়শই আমাকে আক্রমণ করে বসেন, আমার পোস্টে, এবং অন্যদের পোস্টেও। আমার লেখার মান ভালো, এসব কথা আপনিও বলেছেন অন্যান্য পোস্টে, আমার নিজের পোস্টেও আগে কখনো বিরূপ কিছু বলেন নি, প্রশংসাই ছিল। হঠাৎ করে আমার লেখা ‘গার্বেজ’ হয়ে গেল নাকি?

আরো দেখেছি, কোনোম পোস্টে কেউ আমার প্রশংসা করলে, আপনি সেটা সহজভাবে তো নেনই না, কিছু কটু কথা জুড়ে দেন। আমার উপর আপনার এরূপ প্রতিহিংসার কারণ কী? আমি আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী নই, আপনাকেও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি না। এবং, আমি কোনো প্রতিযোগিতা বা রেসে নামিও না কখনো না, এতটা নিরীহ ও নির্বিবাদী আমি।

আমি ব্যক্তিজীবনে যতখানি নিরীহ, ব্লগেও তেমনি। আমার উপর আপনার এরূপ ক্ষিপ্ত হওয়ার কারণ কী?

আমি কখনো তোষামোদি করতে পারি নি। কারো কথায় চোখ বন্ধ করে বলতে পারি না- উত্তম প্রস্তাব, সঠিক ভাবনা। আমি গঠনমূলক মন্তব্য দিয়ে থাকি। আমার অপরাধ কি এটাই যে, আপনি যা লিখেছেন, দৌড়ে গিয়ে কখনো বলি না – ‘একদম পারফেক্ট’!

সবার জ্ঞান সমান না। সবাই সব বিষয় জানবেন তাও আশা করা ভুল। আপনি আরেকজনের চাইতে বেশি জানতে পারেন, কিন্তু আপনার চাইতেও অধিক জানা প্রজ্ঞাবান ব্লগার আছেন ব্লগে। অনেক জিনিয়াস ব্লগার আছেন এই ব্লগে। তাদের কখনো আপনার মতো অহঙ্কার করতে দেখি না।

ভুইয়া মফিজের পোস্ট, আপনার নিজের ফিডব্যাক পোস্ট পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ব্লগাররা আপনার উপর কতখানি ক্ষিপ্ত। কাল্পনিক ভালোবাসার কমেন্ট থেকেও নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, আপনাকে এ পর্যন্ত অনেক ছাড় দেয়া হয়েছে। আপনিই বলুন, এভাবে কতদিন ছাড় দেয়া উচিত আপনাকে?

১। আপনি দাবি করছেন, আপনি সবচাইতে বেশি ফিডব্যাক দিয়া থাকেন ব্লগারদের। এটা ভুল। আপনি কোনো ফিডব্যাকই দেন না। আপনি সমালোচনা ও ফিডব্যাক এবং আক্রমণের পার্থক্যই বোঝেন না। আপনার সন্তান একটা নতুন ড্রেস পরে এসে বলল – পাপা, দেখো তো জামাটা কেমন হয়েছে? (সে ফিডব্যাক চাইছে)। আপনি বলছেন, ‘ওরে বান্দরনী, এইটা তুই কী জামা পরছিস, থাবড়াইয়া কান লাল কইরা দিমু।’ আপনি যাকে ফিডব্যাক বলছেন, এটা হলো তার নমুনা। আসলে এটা ফিডব্যাক না, এটা হলো অ্যাটাক বা আক্রমণ। ফিডব্যাক হলো- হ্যাঁ মা, জামাটা বেশ ভালো, তবে, লাল রঙের বদলে সবুজ হলে ভালো হতো। আপনি কি বুঝতে পারছেন, আপনার কমেন্টে কেন ব্লগাররা ক্ষিপ্ত হোন? আপনার এ কথাটা ঠিক আছে – ব্লগাররা সমালোচনা পছন্দ করেন না। কিন্তু, আপনি তো সমালোচনা করেন না, আপনার মতের অমিল হলে, বা ভালো না লাগলে আপনি ব্লগারের মাথায় কুড়াল মারেন। এটা তো ক্রিমিনাল অফেন্স। কেউ কেউ বলেন, আপনি হিউমারাস, ব্লগাররা আপনার হিউমার ধরতে পারেন না। এটাও ভুল কথা। হিউমার যে শুধু আপনি একাই বোঝেন, এমন ভাবার কোনো কারণ নাই। বেশির ভাগ ব্লগারই হিউমারে খুব মজা পেয়ে থাকেন। আপনি কিছু হিউমার হয়ত করেন, কিন্তু ভুল জায়গায় ভুল সময়ে হয়ে গেলে সেটা হউমার থাকে না।

২। গার্বেজ, পিগমি, ম্যাঁওপ্যাও, মাথায় মগজ নাই, মাথায় কুকুরের ক্রোমোজম, ইত্যাদি শব্দগুলো চূড়ান্ত বিরক্তি ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। এই শব্দগুলো আপনি কেন ব্যবহার করেন?

৩। ইসলামের উপর আপনি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। ইসলামের রাসূল (সঃ ) সহ ইসলামী মনীষীদের নাম এলেই আপনি তাদের উপর বিদ্রূপাত্মক কথা বলা শুরু করেন। আপনি হয়ত ইসলামে বিশ্বাসী নন, কিন্তু সাধারণ ব্লগাররা তো ইসলামে বিশ্বাসী, ধর্মে বিশ্বাসী।

৪। আপনি মুক্তিযোদ্ধা। অথচ, বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দিন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে খুব ন্যাকেডলি আক্রমণ করে কথা বলেন। সব প্রশাসকেরই দুর্বলতা থাকে। কিন্তু, তাদেরকে সমালোচনার জন্য কিছু ডিপ্লোমেটিক ভাষা ব্যবহার করতে হয়। তাদের অপমান হয়, এভাবে কথা বলা তো অনুচিত।

৫। মতের অমিল হলে, কিংবা পোস্ট ভালো না লাগলে, কিংবা ইসলাম ধর্মের উপর পোস্ট দিলেই তাকে জামাত-শিবির বলে ট্যাগানো খুব নিম্ন রুচির একটা অ্যাটিচুড। ৭১-এ একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠি ছাড়া সবারই দেশ স্বাধীনের জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ পরোক্ষ-প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। আপনার জেনারেলাইজড ট্যাগিঙের ফলে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মানুষগুলোও জামাত-শিবিরের কাতারে পড়ে যায়। কী নিষ্ঠুর ট্যাগিঙ সিস্টেম আপনার।

৬। আপনার গল্পগুলোর মান বেশ ভালো। বাল্যকালের স্মৃতি নিয়ে লেখাগুলো ভালো। রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ের পোস্টগুলোতে ভাব ও কন্টেন্টের পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকে, আপনি নিরপেক্ষভাবে ঘটনা বা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে পারেন না। পোস্টগুলো যেখানে আরো বিশ্লেষণ ও বিস্তৃতি দাবি করে, সেখানে আপনার পোস্টগুলো ফেইসবুকের ছোটো স্টেটাসের সমান হয়ে যায়। এগুলোর মান মোটামুটি।

৭। আপনার কমেন্টগুলো খুবই সাধারণ মানের, বেশির ভাগই অপ্রাসঙ্গিক। এগুলোর উপর কখনোই কারো নজর পড়তো না, দৃষ্টি আকৃষ্ট হতো না, যদি না তাতে আক্রমণের উপাদান না থাকতো।

৮। আক্রমনাত্মক অ্যাটিচুডের কারণে আপনার নাম ব্লগে ছড়িয়ে পড়েছে, ব্লগাররা ক্ষিপ্ত হয়েছেন।

৯। আপনার মাত্র দুজন সাপোর্টার আছেন, যারা অন্ধভাবে আপনার যে-কোনো মতামতকে একেবারে সঠিক ভাবনা বলে মতামত দিয়ে থাকেন। এর বাইরে আর অল্প কয়েকজন আছেন, যারা আপনার উপস্থিতিকে এনজয় করেন। অধিকাংশ ব্লগার আপনার অরুচিকর কমেন্ট, আক্রমনাত্মক ও অভদ্রজনোচিত আচরণে ক্ষিপ্ত।

১০। আপনি কথায় কথায় বলেন – ইহা ব্লগিং নহে। আপনার এরূপ কথায় মনে হয় আপনি নিজেই জানেন না, ব্লগিং কাকে বলে। ব্লগে যা লেখা দেখছেন, যা আলোচনা দেখছেন, এটাই ব্লগিং। ব্লগ হলো একজন ব্লগারের দৈনন্দিন লেখালেখির ফিরিস্তি, যা ডায়েরি কিংবা যুদ্ধক্ষেত্রের লগবার্তা রেজিস্টারের সাথে তুল্য। তবে, লেখার মান নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আবার, সবার লেখার মান একই স্ট্যান্ডার্ডের হবে, তা আশা করা সমীচীন নয়।

১১। আপনি হুটহাট আক্রমণ করে বসেন। আমার অনেক পরিচিত লোকজন, কলিগ, ছাত্রছাত্রী এ ব্লগে আছেন, গোপনে বা প্রকাশ্যে। আপনার কোনো আক্রমণাত্মক কমেন্ট তারা বাই চান্স কখনো দেখে ফেললে আমার জন্য অত্যন্ত লজ্জাকর ও বিব্রতকর হবে। এজন্য আমাকে অন্যের চাইতে অধিক সচেতন থাকতে হয়। অধিক ইন্ট্যার‍্যাক্টিভ হওয়ার উদ্দেশ্যে আপনার কোনো পোস্টে যেয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত একটা কমেন্ট পেয়ে বসবো, এটা আমি কখনো চাইব না। আমার মতো অনেকেই এটা চায় না। আমার ধারণা, আপনার বিরূপ মন্তব্য এড়ানোর জন্য অনেকে ব্লগেই আসেন না।

১২। আপনাকে ভদ্র, মার্জিত, রুচিশীল হতে হবে। ডিপলোম্যাটিক ভাষা ব্যবহারে পারদর্শী হতে হবে। এই যে ব্লগাররা আপনার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আপনাকে এখন উলটো বকাবকি শুরু করছেন, এটা কি আপনার গায়ে লাগে না? আপনার কি আত্মসম্মান বলে কিছু নেই? এ ব্লগে আরো কয়েকজন শ্রদ্ধেয় ব্লগার আছেন। আমি জানি না, কারো বুকের পাটা এমন আছে কিনা যারা তাদের নামে দু-একটা কটু কথা বলতে পারেন। কিন্তু আপনাকে সবাই বকতে পারছেন। এই সুযোগ আপনি সৃষ্টি করে দিয়েছেন।


১৩। সর্বকালের সেরাদের যেমন তালিকা থাকে, সর্বকালের নিকৃষ্টদেরও একটা তালিকা গড়ে ওঠে। আপনি কোন তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন, নিশ্চয়ই আর বলে দিতে হচ্ছে না। কিন্তু আমি আপনাকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করি। আপনার একটা উজ্জ্বল ইমেজ গড়ে উঠুক অতি দ্রুত, আমি সেটাই কামনা করছি।

১ থেকে ১৩ পর্যন্ত কথাগুলো আপনার জন্য ফিডব্যাক।

আপনার দিনগুলো ভালো কাটুক শ্রদ্দেয় চাঁদগাজী ভাই। সালাম রইল।



৬| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: কবিতা পাঠ করলাম।

৩০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৪২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতা পাঠ করার জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।

৭| ৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৪৮

সোহানী বলেছেন: অহনার সাথে পুনর্বার দেখা হলে কিছুই বলা হবে না। না বলা কথাগুলো না কিংবা ধুলোয় জমে থাকা দু:খগুলোও না। ;)

চমৎকার কবিতায় গভীর ভালোলাগা।

৩০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হয়ত তাই হবে। 'চেয়ে দেখা ছাড়া নেই অধিকার এতটুকু কাছে আসিবার।' শুধু দূর থেকে চোখের ভাষাতে কত কথা হবে বিনিময়। তারপর ঘরে ফেরা, সব ক্ষত বুকে লয়ে, যে ক্ষত কোনোদিনই সারিবার নয়।

কবিতা পাঠ ও কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

৮| ৩০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

পদ্মপুকুর বলেছেন: ডাহুকী নামে আল মাহমুদের এর একটা গল্পগ্রন্থ আছে। মিলটা হলো এই- আল মাহমুদ তাঁর লেখায় আবহমান বাংলার গ্রামীণ শব্দগুলোকে খুব সুন্দরভাবে আত্মীকরণ করেছেন। গ্রামীন আবহগুলোকে তিনি সুন্দরকরে আধুনিকভাবেই উপস্থাপন করতে পেরেছেন। আপনার লেখাতেও সেরকম হয় বলেই আমার মনে হয়, সেদিক থেকে ছায়াটা আসে।

৩০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জসীমউদ্‌দীনের পর সম্ভবত বেনজীর আহমদ ও আল মাহমুদই গ্রামীণ শব্দগুলোর সুন্দর ও বহুল ব্যবহার করেছেন। আল মাহমুদের প্রথম যে কবিতাটা পড়ে আমি মুগ্ধ হই, সেটা হলো 'নোলক'। অসাধারণ প্রতিভার কাছ থেক অসাধারণ এক কবিতা।

আমার গ্রামীন শব্দগুলোর মূল উৎস হলো আমি গ্রামে বড়ো হয়েছি, বিচরণও গ্রামে। এজন্য আমার কুটিমিয়া সিরিজসহ গ্রামীন পটভূমিকায় লেখা গল্পকবিতাগুলোতে আমি না চাইলেও গ্রামীন আবহ এসে হাজির হয় :)

আল মাহমুদের পর তালিকায় আমার নামটা লিখে রাখুন :)

আবার এসে কমেন্ট করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.