নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

অহনার কীর্তিকলাপ, কিংবা ভালোবাসা

১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩৪

অহনা খুব জ্বালাতন করতো, অর্থাৎ খুব জ্বালাত,
বা বিরক্ত করতো আমাকে, যেমন, হঠাৎ হঠাৎ মাঝরাতে
মোবাইলে কল করে বলতো, ‘তুই যে ঘুমিয়েছিস, ঘুমানোর
আগে আমার কথা কি ভেবেছিস? বল, কতবার ভেবেছিস?
তাহলে একবার কলটি কেন করিস নি আমায়? নিদেনপক্ষে
একটিমাত্র মিস্‌ডকল!’ তারপর বলতো, ‘আজ রাতে তোকে
ঘুমাতেই দিব না।’ এরপর সে একটানা মিস্‌ডকল দিতে
থাকতো। পরদিন ঘুম ভাঙলে দেখতাম, মোবাইল স্ক্রিনে
কয়েক হাজার মিস্‌ডকল নোটিফিকেশন পুষ্পের মতো
ফুটে আছে। এবং বুদ্ধিমতী অহনা আমাকে জিজ্ঞাসা করবে
জেনেই আমি ফুলের সংখ্যাটা মুখস্থ রাখতাম, এবং
কখনো-বা ওর বাহবা পাবার জন্যেই একটা এসএমএস
পাঠিয়ে লিখতাম – ‘আজ তুই উনত্রিশ শ তেইশটা ‘চুমু’
দিয়েছিস, পাখি।’ ও তৎক্ষণাৎ কল করে বহুক্ষণ নিঃশব্দে
কাটিয়ে দিত। আমি বুঝতাম, ওর বুকে তখন ভালোবাসারা
খলবল করে উল্লাস করছে। ঝড়ের বেগে ও বেসামাল,
এবং অধিক বেসামাল হয়ে একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে গেছে।

অহনা আমায় বলতো, ‘দমে দমে তুই আমার নাম জপবি,
বুঝলি বাবু? তোর রক্তকণিকায় আমি মিশে আছি, তোর
হৃৎপিণ্ডের অলিগলি ঘুলি-ঘুপচিতে আমি খেলা করি। আমাকে
কীভাবে ভুলে থাকবি, সোনাপাখি?’ তারপর বলতো,
‘আচ্ছা শোন, যখনই ঘর হতে বেরোবি, আমায় একটা
মিস্‌ডকল দিবি, ঘরে ঢুকেও দিবি। খেতে বসবি, দিবি।
খাওয়া শেষ, দিবি। আচ্ছা, আজ তুই কোন গানটা গেয়েছিস?
ঠিক আছে, এখন তুই গলা ফাটিয়ে ‘আমার সোনার বাংলা’
গেয়ে শোনাবি আমাকে। এটা তোর মতো এ বাংলায় আর
কেউ গাইতে পারে না।’ তারপর অহনা নিজেই গুনগুন করে
একমনে গাইতে থাকতো, ‘আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে।’

একদিন দুপুরে অকারণে জেদ করলো অহনা। বললো,
‘আজ সারাদিন একটাই কাজ তোর। নিরালায় বসে আমাকে
একটানা মিস্‌ডকল দিতে থাকবি। বুঝেছিস তো? মিনিটে কম
করে হলেও পাঁচটা। বুঝেছিস না? হ্যাঁ, এই আমি ফোন
কাটলাম, তুই শুরু করবি এখনই। আমায় যে তুই একবারও
মনে করিস না, সেজন্য এটা তোর শাস্তি। বুঝেছিস, সোনা?’
পাঁচ মিনিট পর অহনার ক্ষিপ্ত স্বর- ‘তুই দেখি জন্মের স্লো!
মিনিটে পাঁচটা কল দিতে বলেছি, আর তুই পাঁচ মিনিটে
দিলি পাঁচটা? আচ্ছা স্টুপিড একটা তুই! ওকে, দিস ইস দ্য
লাস্ট চান্স। স্টার্ট।’

দুদিন পর অহনার ফোন। ওর কণ্ঠস্বর খুব ঠান্ডা।
বলছিল অহনা, ‘তুই সত্যিই একটা পাষণ্ড। মন বলে
কিচ্ছু নেই তোর। পাষাণের চাইতেও কাঠিন্যে ভরা দেহ।
আমি ভাবতেও পারছি না, কীভাবে একবারও আমার খোঁজ
না নিয়ে থাকতে পারলি তুই। রাগ করে বিগত দু'দিন
ফোন 'অফ' করে বসেছিলাম। ফোন ‘অন’ করে একটা
এসএমএস পাই নি, না পেয়েছি তোর একটা মিস্‌ডকল
অ্যালার্ট। কী করে তুই এতটা নির্দয় হতে পারিস?’
তারপর আরো ঠান্ডা হতে থাকে অহনা। স্বগত কথায়
অহনার কণ্ঠে আবেগ কিংবা কান্না ঝরে পড়ে, ‘নাহ্!
আমি বুঝে গেছি, আমায় তুই একটুও ভালোবাসিস নারে বাবুই।
মিছেই আমি খুন হয়েছি ভালোবেসে তোকে। আচ্ছা,
আমাকে বল তো মানিক, কে আছে আমার চাইতেও
অধিক হৃদয়বতী, যে তোকে আমার চাইতেও অধিক
ভালোবাসতে পারে?’
কণ্ঠে আকুতি ঢেলে আমার জবাবের অপেক্ষায় থেকে থেকে
একসময় নিজেই জবাব দিত, ‘নাই রে পাগল, কেউ নাই।’

তারপর আমি দেখেছি, অহনার চাইতে অধিক সত্যিই
কোনো হৃদয়বতী নেই, নেই অন্য-কেউ, যে-কিনা
অহনার চাইতেও অধিক ভালোবাসতে পারে।

১৪ জুলাই ২০২১

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার অহনাতো ভালোসার শিখরে অবস্থান করছে। কবিতার আপনাকে প্রেম তবে সেই শিখালো । ভালোবাসার জয় হোক।

১৫ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :)

হ্যাঁ, কারো ভালোবাসা স্বাভাবিক মাত্রার চাইতে অধিক মাত্রার হয়ে থাকবে। সেই থাকবে ভালোবাসার শিখরে, যেমন অহনা। সে আমাকে গোপনে নিভৃতে কবিতা লেখায়, মননে মগজে সতত আমাকে প্রণয় শেখায়।

কবিতা পাঠ, প্রথম 'লাইক' ও প্রথম কমেন্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই। শুভেচ্ছা।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:



তারপর আরো ঠান্ডা হতে থাকে অহনা। ‘নাহ্! আমি বুঝে
গেছি, আমায় তুই একটুও ভালোবাসিস নারে বাবুই।
মিছেই আমি খুন হয়েছি ভালোবেসে তোকে। আচ্ছা, বল তো
আমাকে, কে আছে আমার চাইতেও অধিক হৃদয়বতী,
যে তোকে আমার চাইতেও অধিক ভালোবাসতে পারে?’


আহা!! তোফা!!! অসাধারণ!!

১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:




তারপর আরো ঠান্ডা হতে থাকে অহনা। স্বগত কথায়
অহনার কণ্ঠে আবেগ কিংবা কান্না ঝরে পড়ে, ‘নাহ্!
আমি বুঝে গেছি, আমায় তুই একটুও ভালোবাসিস নারে বাবুই।
মিছেই আমি খুন হয়েছি ভালোবেসে তোকে। আচ্ছা,
আমাকে বল তো মানিক, কে আছে আমার চাইতেও
অধিক হৃদয়বতী, যে তোকে আমার চাইতেও অধিক
ভালোবাসতে পারে?’


আপনার মুগ্ধতায় আমি অনুপ্রাণিত। শুভেচ্ছা প্রিয় মরুভূমির জলদস্যু।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫২

শায়মা বলেছেন: আহারে অহনা!!!

এখন কোথায় আছে??

১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:



এখন কোথায় আছে??

সে কথা আমায় সে কখনো বলে নি
বলেছে সে যত রহস্যকথা
সে যত নিজেকে গোপন করেছে
ততই বেড়েছে বিমুগ্ধতা

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৮

কালো যাদুকর বলেছেন: দারুন।

১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ কালো যাদুকর। শুভেচ্ছা।

৫| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ভালোবাসার প্রযুক্তি বুজে অহনা। সে জানে
না পাওয়ার বেদনা কতটুক । কতটা ক্ষুধা
জজে জমে দেহ যন্ত্রে বাসা বাধে গ্যাসট্রিক।
মনের ভিতরকার তরিৎ প্রকৌশল প্রয়োগে
নিজে সেথায় বসিয়ে দিয়েছে শক্তিশালী সিম।
প্রতি স্বাসের বারতা মহুর্তেই চলে যায় গন্তব্যে
ফুটায় অপরপ্রান্তের ধারণ যন্ত্রে অগনিত ফুল ।

প্রযুক্তির যুগে পিছিয়ে যারা পারেনা তারা
পাঠাতে বার্তা, এমনকি ঠেকে যায় মিসকলে
প্রেমের বারতা পাঠাতে প্রযুক্তি এখনো কারো
কাছে ভিষন ভাবে রয়ে গেছে অতি সেকেলে।

গ্রহণ প্রেরণ ও ধারণে আরো
অত্যাধুনিক প্রেম প্রযুক্তি উন্নয়ন
আশু প্রয়োজন। কবিকুলই পারেন
করতে সেমত প্রযুক্তির উন্নয়ন ।

অহনাকে দিয়েই মনেহয় হয়েছে
যন্ত্রবিহীন বিনাতার অত্যাধুনিক
ডিজিটাল প্রেমপ্রযুক্তি উন্নয়ন ।

কবিতার শেষ চরণে এসে
বুঝা গেল অহনা হয়েছে
সফল , বুজাতে পেরেছে
সেই হৃদয়বতী,প্রেমে অদ্বিতীয়
আর তুলনাহীন ।

অহনাকে নিয়ে লেখা কবিতা ভাল লেগেছে ।

শুভেচ্ছা রইল

১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো লাগে, সব বিষয়ে আপনার অগাধ জ্ঞান ও স্বচ্ছ বিচরণ। প্রতিটা বিষয়ে দক্ষ ও গঠনমূলক মন্তব্যে লেখক হিসাবে যেমন আমি পেয়ে যাই সুচিন্তিত মতামত, তেমনি আপনার প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের গভীরতাও আমাদের সামনে সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।

প্রিয় আলী ভাই, কবিতার পোস্টে প্রায়শ দেখা যায়, আপনার কমেন্টটিও একটা কবিতা হয়ে উঠেছে। সেই কবিতা-কমেন্ট মূল কবিতাকে যেমন সমৃদ্ধ করে, কখনো সেটা আবার মূল কবিতাকে ছাপিয়েও যায়। এ ব্লগে এরকম প্রতিভাধর ব্লগারের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র।

টেকনোলজি প্রেমকে করেছে গতিশীল, দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। পত্রমিতালি যুগের মানুষ আমরা, যখন পত্রের আশায় উত্তেজনায় দিন কাটতো না। রাত জেগে, হারিকেন বা কুপির নরম আলোয় পাতার পর পাতা ভরে ফেলেছি ভাষায়, যা কখনো-বা কবিতাও হয়ে উঠেছে। সেই পত্রমিতালির যুগ গ্রাস করেছে মোবাইল, ইন্টারনেট, অ্যান্ড্রয়েড। ভালোবাসা গ্রহণ ও প্রকাশের ধরণই গেল পালটে। দূরত্ব গেল চলে - পৃথিবীর অপরপ্রান্তে বসে ভিডিও কলে যখন তখন যোগাযোগ হতে থাকলো। এই প্রেম, নাকি পুরাতন অ্যানালগ প্রেম অধিক মধুর - এ বিষয়ে অনেক আলোচনা বা বিতর্ক হতে পারে, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে আসা যাবে না।

আপনার কবিতা-কমেন্টটি অনেক ভালো লাগলো প্রিয় আলী ভাই। আপনার জন্য শুভেচ্ছা এবং অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অতি চমৎকার একটা লেখা , খুব ভালো লাগলো,।

১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই। অনেকদিন পর দেখলাম। আশা করি সুস্থ ও নিরাপদ আছেন।

৭| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪৪

হাবিব বলেছেন: দারুণ গদ্য কবিতা

১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ হাবিব ভাই। শুভেচ্ছা নিন।

৮| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: অহনা শেষমেশ কি হারিয়ে গেল?
বেশ অন্যধারার কাব্যিক ভাব ফুটে উঠেছে। ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম

১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:





যেভাবে অহনার কথা ভুলে যেতে থাকি

অহনার কথা বলি। অহনা স্বপ্ন দেখে দিনভর অহনাকেই ভাবি। অহনা বললো : আমায় নিয়ে কবিতা লিখো না আর কোনোদিনও। আমি অহনার কথা মেনে নিয়ে অহনাকে নিয়ে আর লিখি না।

তারপর দেখো, অহনাকে কেমন অনায়াসে অতীত পাথারে ডুবে যেতে দেখি। অহনা মানবী ছিল : প্রেমিকা হতে হতে তারপর মহীয়সী। পবিত্র প্রত্যূষে অহনার উদ্ভাসিত হাসি আমাকে করেছিল মৃত্যুঞ্জয়ী পাখি।

অহনা বলেছিল : আমায় নিয়ে কবিতা লিখো না আর কোনোদিনও। আমি অহনার কথা মেনে নিয়ে আর লিখি না।

এভাবেই অহনার কথা বিলকুল ভুলে যেতে থাকি।

৭ জুলাই ২০০৯

৯| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অহনা কাব্যে ভালোলাগা !

১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা আপু। শুভেচ্ছা নিন।

১০| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো অহনা কাব্য

১৬ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতা পাঠ ও কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

রিপ্লাই তো আগেই দিয়েছিলাম বলে মনে পড়ে, কিন্তু মিস হয়ে গেছে যে-কোনো ভাবে।

শুভেচ্ছা।

১১| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৪৫

মেহবুবা বলেছেন: অহনাকে কি আগে পেয়েছি আপনার পোষ্টে?
সুখে থাকুক অহনা।

২২ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জি আপু, অহনা অনেক আগে থেকেই আমার কবিতায় ছিল।

ভালো আছেন আশা করি। অনেকদিন পর রিপ্লাই দিচ্ছি বলে লজ্জিত ও দুঃখিত।

১২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১৪

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: প্রেমিকের প্রতি অহনার আকাশচুম্বী আকাঙ্ক্ষা তার প্রগাঢ় প্রেমের বহিঃপ্রকাশ। মজার ব্যাপার হলো প্রেমিককে ঘুমাতে না দেবার প্রচেষ্টায় অহনা নিজেও ঘুমায় নি। সারারাত বসে বসে মিসডকল দিয়েছে।

২২ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মজার ব্যাপার হলো প্রেমিককে ঘুমাতে না দেবার প্রচেষ্টায় অহনা নিজেও ঘুমায় নি। চমৎকার আবিষ্কার তমাল ভাই। ভালো লাগলো ব্যাপারটা আপনি ধরেছেন।

পাঠ ও কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:২৬

সোহানী বলেছেন: আহা অহনা!! এতো প্রেম কিভাবে উপেক্ষা করতে পারে!!!

চমৎকার প্রেমময় কাব্যে ভালোলাগা ও ভালোবাসা। সাথে আলী ভাই এর কবিতায়ও।

২২ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এতো প্রেম কিভাবে উপেক্ষা করতে পারে!!! কখনো কখনো এই উপেক্ষাটাই প্রেম। এই উপেক্ষা প্রেমকে টিকিয়ে রাখে, প্রগাঢ়ও করে। তবে, এটা ঠিক উপেক্ষাও না, উদাসীনতা বলা যায়। একটা উপমার কথা মনে পড়ে : আমি হলাম মাঠে খুঁটি গেড়ে রশিতে বেঁধে রাখা ছাগলের মতো, যে ছোটার জন্য ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে চিৎকার করছে, কিন্তু ছুটতে পারছে না। তুই একটা অদৃশ্য খুঁটির মতো। ছুটতে চাই, পারি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.