নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘাড়ত্যাড়া প্রেমিকা

১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:২৭

দিন শুরু হয় এ মিনতি করে-
ওগো, আজ থেকো শান্ত
সেই কথা ভুলে সারাটা দিনই
আমারে করো প্রাণান্ত

আমি যদি বলি, ডানে যাও সোনা
তুমি বেঁকে চলে যাও বায়ে
আমি হেঁটে চলি রাস্তায়, তুমি
এক লাফ দিয়ে ওঠো নায়ে

আমি বলি, এসো খেতে বসি, তুমি
হনহন নেবে পড়ো জলে
আমি খুঁজে নিই নিরিবিলি, তুমি
ভিড়ে ঢুকে পড়ো কোলাহলে

আমি বলি, চলো জিম করে আসি
তুমি গেড়ে বসো দোলনায়
রাতে দিই ঘুম, তুমি ছাদে যেয়ে
খিল মেরে দাও দরজায়

আমি যেতে চাই মার্কেটে, তুমি
সেজেগুজে চলো সিনেমাতে
সিনেমাতে যদি আমি যেতে চাই
তুমি বসে পড়ো বই হাতে

আমি যদি বলি, এসো বই পড়ি,
তুমি বসো লুডু খেলতে
কবিতা লিখলে তুমি মজা পাও
খাতাগুলো ছিঁড়ে ফেলতে

মন যেতে চায় অভিসারে, বলি
চলো ঘুরে আসি বৈকালে
ওমা, দেখি তুমি কুলগাছে চড়ে
বসে আছো উঁচু মগডালে

আমি বলি, পাখি, ওদিকে যেয়ো না
ওখানে বড্ড বাঘের ভয়
দেখি তুমি চড়ে বাঘের পিঠেই
ঘুরিতেছ সারা গ্রামটিময়

নদী দেখলেই সাঁতরাবো ভাবি,
দ্রুত বেড়ে যায় রক্তচাপ-
আমাকে নদীতে সাঁতরানো দেখে
তুমি যদি দাও আগুনে ঝাঁপ

এই যদি হয় - সারাটি জনম
করো এরকম পাগলামি
বলো হে আমার পাগলি প্রেমিকা
কী করে তা সই আমি?

পরিশিষ্ট :

আমারে জ্বালিয়ে কত সুখ পায়
সে কথা জানি এ পাগলিটার
শুধু সে জানে না, আমি ভালোবাসি
উলটা পালটা স্বভাব তার

১৬ জুলাই ২০২১

----

কবিতার সর্বশেষ সংস্করণটি উপরে দেয়া হলো। ছন্দের মাত্রা সবগুলো স্তবকে এক রকম করা হয়েছে, কিছু সংযোজন, পরিমার্জনও আছে। ২য় সংস্করণ নীচে। আদি সংস্করণ্টি বদলে গেছে, রাখা যায় নি।

--


দিন শুরু হয় এ মিনতি করে-
ওগো, আজ থেকো শান্ত
সেই কথা ভুলে সারাটা দিনই
আমারে করো প্রাণান্ত

আমি যদি বলি, ডানে যাও সোনা
তুমি চলে যাও বায়ে
আমি হেঁটে চলি রাস্তায়, তুমি
লাফ দিয়ে ওঠো নায়ে

আমি যদি বলি, এসো খেতে বসি
তুমি নেবে যাও জলে
আমি খুঁজে নিই নিরিবিলি, তুমি
ঢুকে পড়ো কোলাহলে

আমি বলি, চলো সিনেমায় যাই
তুমি গেড়ে বসো দোলনায়
আমি শুই রাতে, তুমি ছাদে যেয়ে
খিল মেরে দাও দরজায়

আমি যদি বলি, এসো বই পড়ি,
তুমি বসো লুডু খেলতে
কবিতা লিখছি, তুমি মজা পাও
খাতাগুলো ছিঁড়ে ফেলতে

মন যেতে চায় অভিসারে, বলি
চলো আজ বৈকালে
ওমা, দেখি তুমি কুলগাছে চড়ে
বসে আছো মগডালে

আমি বলি, পাখি, ওদিকে যেয়ো না
ওখানে বাঘের ভয়
বাঘের পিঠেই চড়ে তুমি দেখি
ঘুরিতেছ গ্রামময়

এই যদি হয় - সারাটি জনম
এরকম পাগলামি
বলো হে আমার পাগলি প্রেমিকা
কী করে বাঁচবো আমি?

আরো কত কত দুশ্চিন্তায়
বাড়ে মানসিক চাপ
একদিন যদি আগুন দেখেও
এক লাফে দাও ঝাঁপ

১৬ জুলাই ২০২১

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৩৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কী করে সইবেন বুঝতে পারছি না। তবু থাকুন সতত প্রেমে।

১৭ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:





দুই পাগলে মেলা বসলে যা হয় আর কী :)

--

পাগল-ছাগল যা কিছু সুধাও
যত বলো ঘিলুহীন
গহিন অরণ্যে কাটাবো একদা
সন্ন্যাসব্রত দিন।
আপাতত কিছু গেরুয়া পোশাক
আমার জন্য গড়ো
দু’চার গণ্ডা সাঙ্গ-পাঙ্গ
শীঘ্র জোগাড় করো।
শেষমেষ যদি তুমি মনে করো
নাহি দেবে একা যেতে
সব ছেড়ে-ছুঁড়ে শুধু তুমি-আমি
বেরোবো সন্ন্যাসেতে।

*২০০৪

--

কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই+

২| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫১

আল-ইকরাম বলেছেন: আসলেও তো তাই ! সহ্য করা খুব মুস্কিল। একটু ধৈর্য্য ধরুন। দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে। পড়ে ভাল লাগলো।

১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, আপাতত ধৈর্য ধরেই আছি। দেখি ভবিষ্যতে ঠিক হয় কিনা। ঠিক না হলে পাবনা তো আছেই।

ভালো লাগলো জেনে খুশি হলুম। পাঠ ও কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:০৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা খিল মেরে দেয়???

হা হা হা

১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আস্ত একটা পাগল আর কী

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:০৯

কামাল১৮ বলেছেন: ভালো ঝামেলায় পড়েছেন ঘাড়ত্যাড়া প্রেমিক নিয়ে।এই বয়সে এই দিকে না যাওয়াই ভালো।

১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:



প্রেমের কোনো বয়স নাই
ভীরুর কোনো সাহস নাই

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৪:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




কবিতা সুন্দর হয়েছে ।
ঘাড়ত্যাড়া প্রেমিকা বড়ই ঝামেলা
কানের কাছে বার বার শীষ দিয়ে যায়
আর বলে আমার কথা শুনিছনা ক্যারে
তোকে ছাড়া জীবনটাযে মোর ম্যারম্যারে
শুনে কথা, পাগলটা বলে শুনব কথা
যদি বলিছ তাই , পাগলিটা বলে
তাইটা আবার কি? তাই মানে বল,
পাগলীটা আর যাবেইনা চলে ।
পাগলা পাগলীর প্রেম যায়
বৃন্দাবনের আনন্দধামে ।
সেখানে গেলে ঘাড়ত্যাড়া
প্রেমিক প্রেমিকা সব
সুজা হয়ে যায় :)

শুভেচ্ছা রইল

১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

হাহাহাহাহা।



পাগলা পাগলীর প্রেম যায়
বৃন্দাবনের আনন্দধামে।
সেখানে গেলে ঘাড়ত্যাড়া
প্রেমিক প্রেমিকা সব
সুজা হয়ে যায়
:)

এ অংশটা খাসা বলেছেন প্রিয় এম এ আলী ভাই। ছড়ার ছন্দে একজোড়া পাগলা প্রেমিক-প্রেমিকার সোজা হইয়া যাওয়ার তরিকা ভালো বলেছেন :)

ধন্যবাদ আলী ভাই। শুভেচ্ছা নিন।

৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:১৭

মিরোরডডল বলেছেন:



কবিতার প্রেমিকটা কন্ট্রোল ফ্রিক ।
সে চায় তার প্রেমিকা সবকিছু তারমতো করে করবে, সে যা চায়, সে যা বলে কিন্তু কেনো ?
প্রেমিকার কি ভালো লাগে, স্বভাবগতভাবে সে কেমন সেটাও যে বুঝতে হবে ।

সত্যিকার প্রেমিক হলে প্রেমিকা যদি লাফ দিয়ে নায়ে উঠেই যায়,
প্রেমিক সেখানে গিয়ে নায়ের বৈঠা ধরবে যেনো সে ডুবে না যায় ।

সে যদি কোলাহলে ঢুকে পরে,
প্রেমিক তখন তার হাতটি শক্ত করে ধরে থাকবে যেনো সে ভিড়ে হারিয়ে না যায় ।

আমি বলি, চলো সিনেমায় যাই
তুমি গেড়ে বসো দোলনায়
আমি শুই রাতে, তুমি ছাদে যেয়ে
খিল মেরে দাও দরজায়


এই অংশটা দারুণ !
এই প্রেমিকের জন্য ঠিক এরকম একটা ঘাড়ত্যাড়া প্রেমিকাই পারফেক্ট হয়েছে ।
একদম সোনায় সোহাগা । কবিতার প্রেমিকার পাগলামির জন্য সুপার লাইক :)
আমার তাকে খুবই পছন্দ হয়েছে ।
















১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:


কবিতার প্রেমিকটা কন্ট্রোল ফ্রিক। এটা একটা রোমান্টিক কবিতাই। তো, কমেন্টটা যেহেতু নেগেটিভই করলেন, সেই দিকটা তাহলে তুলে ধরি। প্রেমিকাটা একটা মানসিক রোগী। পাগল। সে ভালোমন্দ বোঝে না। দিনের শুরুতেই তাকে বোঝানো হয়, আজ কোনো পাগলামি করো না, শান্ত থেকো। কিন্তু সে যেহেতু পাগল, সে এসব মনে রাখে না। সে তার মতোই চলতে থাকে। কোথায় বাঘের ভয়, তা যেমন সে জানে না; কখন খেতে হবে, তাও সে বোঝে না। পাগলের প্রথম অবস্থায় মোটিভেশনের মাধ্যমে তাকে শান্ত বা বাধ্যগত রাখার চেষ্টা করা হয়। একেবারে চরম বিপন্ন অবস্থায় পাগলকে শেকল পরানো হয়। পাগলকে এভাবে কন্ট্রোল করা কোনো কন্ট্রোল ফ্রিকের বৈশিষ্ট্য না, পাগলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হলো মূল লক্ষ। নইলে সেটা হবে প্রেমিকের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতা।

এবারের রোমান্টিক সাইড। কবিতাটায় কিছু সূক্ষ্ম হাস্যরস আছে, সেটা হয়ত ধরতে পারেন নি। দুজনেই প্রেমোন্মত্ত। একজন যা চাইবে, অন্যজনের তার উলটো কাজ করাটাই হলো তাদের রোমান্স।

দারুণ অংশটার উদ্ধৃতি ভালো লেগেছে।

দীর্ঘ কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।

৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আমারে স্যার ডাকবা বলেছেন: পৃথিবীতে প্রেমিকাদের জন্মই হয়েছে নখড়ামি আর ঘাড়-ত্যাড়ামী করার জন্য।
নাহলে প্রেমিকেরা কবি হতো কিভাবে? 8-|

১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহা। দারুণ বলেছেন কিন্তু।

কিন্তু আমি আপনাকে স্যার ডাকবো না, তবে ধন্যবাদ দিব :)

৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৯

হাবিব বলেছেন: সব কিছু ফেলে মার্কেটে যান, সিনেমা দেখুন দেখবেন ঘাড় সোজা হয়ে গেছে/// ;)

১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:


আমি যেতে চাই মার্কেটে আর
সে চলে যায় সিনেমাতে
সিনেমায় যদি আমি যেতে চাই
বসে পড়ে সে বই হাতে :)

৯| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪৫

মিরোরডডল বলেছেন:



কবিতাটায় কিছু সূক্ষ্ম হাস্যরস আছে, সেটা হয়ত ধরতে পারেন নি।

কেনো ধরতে পারবো না !!! আমিতো দুটো কবিতাই পড়েছি । আর তাইতো বলেছি সোনায় সোহাগা ।

এটা একটা রোমান্টিক কবিতাই।

কবিতাটা যে রোম্যান্টিক এবং ফানি
সেটাতো আমি জানি


কমেন্টটা যেহেতু নেগেটিভই করলেন, সেই দিকটা তাহলে তুলে ধরি।

এটা কোন নেগেটিভ কমেন্ট ছিলো না ।
দুটো কবিতার জনক একজন । তার লেখা দুটো চরিত্র ঘাড়ত্যাড়া প্রেমিক ও প্রেমিকা ।
পাঠক হিসেবে আমি আমার অনুধাবন প্রকাশ করেছি ।
লেখক প্রেমিকার যে পাগলামি চিত্রায়িত করেছে সেটা আমার খুব ভালো লেগেছে ।
ওটার বহিপ্রকাশ আমার কমেন্ট ।
তাহলে এটা নেগেটিভ কেনো !!!

প্রেমিকাটা একটা মানসিক রোগী।
একেবারে চরম বিপন্ন অবস্থায় পাগলকে শেকল পরানো হয়।


দুটো কবিতার কোথাও আমি এই ক্লু পাইনি যে সে শেকল পরিয়ে রাখার মতো মানসিক রোগী ।
আমার মনে হয়েছে প্রেমে এরকম পাগলামি থাকে, এটাই প্রেমের সুইটনেস !

একজন যা চাইবে, অন্যজনের তার উলটো কাজ করাটাই হলো তাদের রোমান্স।

এ বিষয়ে আমার রিয়েল লাইফ এক্সপেরিয়েন্স আছে যদিও প্রেমিক না, এক বন্ধুর সাথে ।
আমি যা কিছু ডিজলাইক করি, সে অন পারপাস সেটাই করবে ।

When I realised, I played other way around.
I pretend I like what I actually don’t like.
He does opposite to annoy me.
Eventually he's doing what I love about :)

ঘাড়ত্যাড়া প্রেমিক তার পাগলী প্রেমিকার সাথে এটা এপ্লাই করে দেখতে পারে :)



১৮ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দুটো কবিতার কোথাও আমি এই ক্লু পাইনি যে সে শেকল পরিয়ে রাখার মতো মানসিক রোগী। তাড়াহুড়ো করে পড়লে তো আসল কথাটা মিস করবেনই :) প্রেমিকাটাকে কেন কন্ট্রোল করতে হচ্ছে, যেটা ব্যাখ্যা করার জন্য কিছু জেনারেল কথা বলা হয়েছে। প্রেমিকা নিশ্চয়ই মানসিক রোগী না, এবং সে অবশ্যই পায়ে শেকল পরিয়ে রাখার অবস্থায় পৌঁছে নি। কিন্তু, কেন তাকে কন্ট্রোল করা হচ্ছে। আপনার কমেন্টটি আপনি সরল ভাবে বললেও আল্টিমেটলি ওটা নেগেটিভ কমেন্টই হয়ে গেছে প্রেমিকের ব্যাপারে। তার পরের বাক্যগুলোতে এর সাপোর্ট পাওয়া যায়। তো, নেগেটিভলি যদি চিন্তা করি, তাহলে ধরা যাক, প্রেমিকাটি একটি মানসিক রোগী। বা পাগল। পাগলকে কন্ট্রোল করতে হয়। এজন্য সকালে উঠেই তাকে বোঝানো হয়। কিন্তু সে পাগল বলে কোনো বোঝ মানে না। এরপরে, পাগলদেরকে কীভাবে এবং কেন কন্ট্রোল করা হয়, ঐ প্যারাটাতে সেটা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রথম অবস্থায় তাদেরকে বোঝানো হয়, মোটিভেট করা হয়। কিন্তু, পাগলদের মানসিক অবস্থা যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তখন তাদের নিরাপত্তার জন্য শেকল পরানো হয়। এই কথাগুলো কবিতার প্রেমিকার উদ্দেশ্যে বলা হয় নি। পাগলদের জেনারেল ট্রেন্ড বা টেনডেন্সি বোঝাতে বলা হয়েছে। ঐ প্যারাটা আবার নীচে দিলাম। পড়ে দেখুন, কী লিখেছি।

এটা একটা রোমান্টিক কবিতাই। তো, কমেন্টটা যেহেতু নেগেটিভই করলেন, সেই দিকটা তাহলে তুলে ধরি। প্রেমিকাটা একটা মানসিক রোগী। পাগল। সে ভালোমন্দ বোঝে না। দিনের শুরুতেই তাকে বোঝানো হয়, আজ কোনো পাগলামি করো না, শান্ত থেকো। কিন্তু সে যেহেতু পাগল, সে এসব মনে রাখে না। সে তার মতোই চলতে থাকে। কোথায় বাঘের ভয়, তা যেমন সে জানে না; কখন খেতে হবে, তাও সে বোঝে না। পাগলের প্রথম অবস্থায় মোটিভেশনের মাধ্যমে তাকে শান্ত বা বাধ্যগত রাখার চেষ্টা করা হয়। একেবারে চরম বিপন্ন অবস্থায় পাগলকে শেকল পরানো হয়। পাগলকে এভাবে কন্ট্রোল করা কোনো কন্ট্রোল ফ্রিকের বৈশিষ্ট্য না, পাগলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হলো মূল লক্ষ। নইলে সেটা হবে প্রেমিকের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতা।

এটা একটা স্বতন্ত্র কবিতা হিসাবেই লিখিত। তবে, অন্য কবিতার সাথে যদি মেলাতে চান, তাহলে বোঝা যাবে, ঐ কবিতায় প্রেমিকাটা পাগল না, মানসিকভাবে কুটিল। সে প্রেমিকা না, কুপ্রেমিকা। তাকে ভালো করার চেষ্টা করে প্রেমিক যখন ব্যর্থ, তখন ক্ষোভে, অভিমানে প্রেমিকও বলে- তুমি এতটা বেয়াড়া হতে যদি পারো, তাইলে এবার দেখো, আমি কতখানি কুপ্রেমিক হয়ে যেতে পারি।

শুভেচ্ছা।

১০| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সোহানী বলেছেন: নাম পড়েই হাসতে হাসতে অজ্ঞান.......................হাহাহাহাহা =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি তো কমেন্ট পড়েই হাসতেছি ............হাহাহাহাহা =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

ঘাড় ত্যাড়ামির গল্প শুনতে আমার মজা লাগে আসলে। তাই ট্রাই করলাম একটু। পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।

১১| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: 'পাগলিটার' কার্যকলাপ খুব ভালো লাগলো। কবিতাটাও তো বটেই!

২২ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঘাড়ত্যাড়া পাগলির কার্যকলাপ পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ স্যার। কার্যকলাপগুলো ভালো লাগলো জেনে আমার নিজেরও অবশ্য ওরকম পাগলামি করার ইচ্ছে হচ্ছে :)

শুভেচ্ছা নিবেন স্যার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.