নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ ক্রিকেট : আইসিসি ট্রফি ১৯৭৯ থেকে ১৯৯৭, ও বিশ্বকাপ ক্রিকেট ১৯৯৯-এ খেলার যোগ্যতা অর্জন - পর্ব-১

২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:২৯

১৯৭৯ সালে আইসিসি ট্রফি টুর্নামেন্টে যোগদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করে। এরপর বিভিন্ন আইসিসি টুর্নামেন্টে অনেক আশা-নিরাশার দোলাচলে দুলতে দুলতে, অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়ে অবশেষে ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি টুর্নামেন্টের ১ম সেমিফাইনালে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে ১৯৯৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলার যোগ্যতা অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে প্রথম বড়ো অর্জন বা সাফল্যের মুখ দেখে। এর পরের সাফল্যটি আসে ১৯৯৭ সালে আইসিসির সহযোগী দেশ থেকে সদস্য দেশের মর্যাদা প্রাপ্তি, যাতে বাংলাদেশ সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার স্বীকৃতি পায়, একই সাথে ওডিআই স্টেটাস প্রাপ্ত হয়। ২০০০ সালের ২৬ জুন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন, যেদিন বাংলাদেশকে টেস্ট স্টেটাস দেয়া হয়। এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বাংলাদেশ বিভিন্ন আইসিসি টুর্নামেন্টে কীরূপ সাফল্য দেখাতে পেরেছিল, এখানে সংক্ষেপে তা তুলে ধরবো। একই সাথে, যাদের সাথে বাংলাদেশ খেলা শুরু করেছিল, তাদের বর্তমান অবস্থা বা স্টেটাস কি, তাও জানাতে চেষ্টা করবো। এ পোস্টের সব তথ্য (ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ ছাড়া) উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া হয়েছে।

আইসিসি ট্রফি টুর্নামেন্ট-১৯৭৯view this link

আইসিসি ট্রফির উদ্বোধনী টুর্নামেন্টটি ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২২ মে-২১ জুন ১৯৭৯ তারিখে, যেখানে বাংলাদেশসহ মোট ১৫টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল। এটা ছিল ৬০ ওভার ম্যাচ। দলবিন্যাস নিম্নরূপ ছিল :

এ গ্রুপ : বারমুডা, ইস্ট আফ্রিকা, পিএনজি, সিঙ্গাপুর ও আর্জেন্টিনা
বি গ্রুপ : ডেনমার্ক, কানাডা, বাংলাদেশ, ফিজি ও মালয়শিয়া
সি গ্রুপ : শ্রীলংকা, ওয়েলস, ইউএসএ, নেদারল্যান্ডস ও ইসরায়েল।

গ্রুপ পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ছিল ফিজির বিপক্ষে। বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ৪৩ ওভারে ১০৩ রান করে অলআউট হয়। ফিজি ৩৫.২ ওভারে ৮১ রানে অল আউট হয়। বাংলাদেশ ২২ রানে জয় লাভ করে।

বাংলাদেশের ২য় ম্যাচ ছিল কানাডার সাথে। কানাডা ৬০ ওভারে ১৯০/৯ রান করে। বাংলাদেশ ৫০.৩ ওভারে ১৪১ রানে অল আউট হয়। কানাডা ৪৯ রানে জয়ী হয়।

বাংলাদেশের ৩য় ম্যাচ ছিল মালয়শিয়ার সাথে। মালয়শিয়া প্রথমে ব্যাট করে ৪৫.৫ ওভারে ১১৪ রান করে। বাংলাদেশ ৪১.২ ওভারে ১১৫/৩ রান করে ৭ উইকেটে জয়ী হয়। ডেনমার্ক ৪ খেলায় ৪টিতেই জয়, ১৬ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন ও কানাডা ৩টিতে জয়, ১২ পয়েন্ট পেয়ে রানার আপ হয়ে সেমি ফাইনালে যায়। বাংলাদেশ ২ জয়ে ৮ পয়েন্ট পেয়ে ৩য় হয় এবং গ্রুপ পর্যায় থেকে বিদায় নেয়।

এ গ্রুপ থেকে বারমুডা ও সি গ্রুপ থেকে শ্রীলংকা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে যায় (প্রতি গ্রুপের শুধু চ্যাম্পিয়ন); বি গ্রুপ থেকে ডেনমার্ক ও কানাডা যথাক্রমে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ হয়ে সেমিফাইনালে খেলে।

১ম সেমিফাইনাল : শ্রীলংকা ৩১৮/৮, ডেনমার্ক ১১০ (৪২।৫ ওভার)। শ্রীলংকা ২০৮ রানে জয়ী।

২য় সেমিফাইনাল : বারমুডা ১৮১ (৫৮।১ ওভার), কানাডা ১৮৬/৬ (৫৭।৫ ওভার)। কানাডা ৪ উইকেটে জয়ী।


ফাইনাল
: শ্রীলংকা ও কানাডার মধ্যে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীলংকা ৬০ ওভারে ৩২৪/৮ করে। কানাডা ৬০ ওভারে ২৬৪/৫ করে। শ্রীলংকা ৬০ রানে জয়ী হয় এবং প্রথম আইসিসি ট্রফি টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয়।

শ্রীলংকা ও কানাডা বিশ্বকাপ ক্রিকেট ১৯৭৯-এ অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়।


আইসিসি ট্রফি টুর্নামেন্ট-১৯৮২

২য় আইসিসি ট্রফি টুর্নামেন্টও ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়, ১৬ জুন থেকে ১০ জুলাই ১৯৮২। বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ ৬০ ওভার ম্যাচে অংশগ্রহণ করে। শ্রীলংকা তার আগেই ওডিআই/টেস্ট স্টেটাস পেয়ে যায়। ফাইনালে বারমুডাকে হারিয়ে জিম্বাবুয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এবং ১৯৮৩ বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিল।

এ গ্রুপ : জিম্বাবুয়ে, পিএনজি, কানাডা, কেনিয়া, হংকং, ইউএসএ, জিব্রাল্টার ও ইসরায়েল।
বি গ্রুপ : বারমুডা, বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস, ফিজি, সিঙ্গাপুর, ইস্ট আফ্রিকা, ওয়েস্ট আফ্রিকা ও মালয়শিয়া।

বাংলাদেশ ২৪৬, ওয়েস্ট আফ্রিকা ১৭০/৯, বাংলাদেশ ৭৬ রানে জয়ী
বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর – বৃষ্টির কারণে খেলা হয় নি
বাংলাদেশ- ফিজি – বৃষ্টির কারণে খেলা হয় নি
বাংলাদেশ ১২২/৭ (বৃষ্টিতে ওভার কমিয়ে ২৫), মালয়শিয়া ১২১/৬। বাংলাদেশ ১ রানে জয়ী
বাংলাদেশ ৬৭, বারমুডা ৬৮/৩ (১৫.৫ ওভার)। বারমুডা ৭ উইকেটে জয়ী।
বাংলাদেশ ১৬৭/৪, নেদারল্যান্ডস ১৬৩/৬। বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী।

এ গ্রুপে জিম্বাবুয়ে চ্যাম্পিয়ন, পিএনজি রানার আপ ও কানাডা ৩য় হয়।
বি গ্রুপে বারমুডা চ্যাম্পিয়ন ও বাংলাদেশ রানার আপ হয়। নেদারল্যান্ডস ৩য়।

১ম সেমিফাইনালে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ১২৪ রান তোলে। জিম্বাবুয়ে ১২৫/২ (৩০ ওভার)। জিম্বাবুয়ে ৮ উইকেটে জয়ী।

২য় সেমিফাইনালে পিএনজি ১৫৩, বারমুডা ১৫৪/৪। বারমুডা ৬ উইকেটে জয়ী।

৩য় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ হয় বাংলাদেশ ও পিএনজির মধ্যে। বাংলাদেশ ২২৪, পিএনজি ২২৫/৭। পিএনজি ৩ উইকেটে জয়ী।

ফাইনাল : বারমুডা ২৩১/৮, জিম্বাবুয়ে ২৩২ (৫৫ ওভার)। জিম্বাবুয়ে জয়ী (কত উইকেটে জয়ী তা অজানা)।

আইসিসি ট্রফি তুর্নামেন্ট-১৯৮৬

৩য় টুর্নামেন্টটি ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয় ১১ জুন-৭ জুলাই ১৯৮৬ তারিখে, যেখানে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশ ৬০-ওভার ম্যাচে খেলে। জিম্বাবুয়ে এবারও ২য় বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপ ক্রিকেট ১৯৮৭-এ খেলার সুযোগ পায়।

এ গ্রুপ : জিম্বাবুয়ে, ডেনমার্ক, মালয়শিয়া, কেনিয়া, ইস্ট আফ্রিকা, বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনা।
বি গ্রুপ : নেদারল্যান্ডস, বারমুডা, ইউএসএ, কানাডা, পিএনজি, হংকং, ফিজি, জিব্রাল্টার।

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে : জিম্বাবুয়ে ৩১৫/৭, বাংলাদেশ ১৭১/৮
বাংলাদেশ-কেনিয়া : বাংলাদেশ ১৪৩, কেনিয়া ১৩৪
বাংলাদেশ-মালয়শিয়া : মালয়শিয়া ২৩৯, বাংলাদেশ ৫৭ রানে হারে
বাংলাদেশ-ইস্ট আফ্রিকা : বাংলাদেশ ১৬২, ইস্ট আফ্রিকা ১৬৩/৪। ইস্ট আফ্রিকা ৬ উইকেটে জয়ী।
বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনা : আর্জেন্টিনা ১২২, বাংলাদেশ ১২৩/২ (৪০ ওভার)। বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী।
বাংলাদেশ-ডেনমার্ক : বাংলাদেশ ১৪৭, ডেনমার্ক ১৪৮/৬। ডেনমার্ক ৪ উইকেটে জয়ী।

১ম সেমিফাইনাল : বারমুডা ২০১/৭, জিম্বাবুয়ে ২০২/০ (৩৯ ওভার)। জিম্বাবুয়ে ১০ উইকেটে জয়ী
২য় সেমিফাইনাল : ডেনমার্ক ২২৪/৮, নেদারল্যান্ডস ২২৫/৫ (৫৪.২) নেদারল্যান্ডস ৫ উইকেটে জেতে।

৩য় স্থান নির্ধারণী খেলা : বারমুডা ১১৫, ডেনমার্ক ১১৬/৪। ডেনমার্ক ৬ উইকেটে জেতে।

ফাইনাল : জিম্বাবুয়ে ২৪৩/৯, নেদারল্যান্ডস ২১৮। জিম্বাবুয়ে ২৫ রানে জয়ী।

চলবে---

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬

মিরোরডডল বলেছেন:



১৯৯৭ সালের আইসিসির বিশ্বকাপ খেলার স্বীকৃতি পাওয়ার ঘটনাটি আমার লাইফ টাইম মেমোরেবল ।
আমার আঙ্কেল মারা গেছেন ।
আমি আর আমার বোন গিয়েছি সেই বাসায় ।
দুজনেই ফুল হোয়াইট ড্রেসড ।

অন দ্যা ওয়ে ব্যাক, অল অফ এ সাডেন দেখি রাস্তায় মানুষ আর মানুষ ।
আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের দুজনকে মাঝপথে থামিয়ে বালতি ভরে ভরে রঙে ডুবিয়ে দিলো ।
তাও আবার পাঁচমিশেলি রং । কেউ দিচ্ছে লাল, কেউ বা সবুজ, আবার নীল ।
কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা দুই বোন মাল্টি কালার হয়ে গেলাম ।
তখনও আমরা জানিনা কি হচ্ছে বা কেনো হচ্ছে ।
কিছুক্ষণের মধ্যেই মানুষের উল্লাস দেখে জানতে পারলাম এই কাহিনী ।

বাসায় ফিরেছি দুজন ছুপছুপে ভেজা কাপড় আর ভুতের মতো ।
নিজেকে নিজেই চিনতে পারছিলাম না ।
সেই দিন কেমন করে ভুলি !


২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:২৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ প্রথম কমেন্টের জন্য। ভুল না হয়ে থাকলে, আপনার এ অভিজ্ঞতাটা বোধহয় আরো একবার আমার কোনো এক পোস্টে শেয়ার করেছিলেন। সেটা যদ্দূর মনে পড়ে বিব্রতকর ছিল।

যাই হোক, ওটা বাংলাদেশের জন্য এক অবিস্মরণীয় দিন ছিল। আমার পরবর্তী পর্বে আমার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি বর্ণনা করবো।

আবারো ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯

মিরোরডডল বলেছেন:



ধুলোটা কেমন যেনো রোবোকপ হয়ে গেছে :|
তাই ? এটা আগে শেয়ার করেছিলাম ! হতে পারে ।
নিঃস্বন্দেহে ওটা ছিলো আমাদের জন্য একটা বিশেষ গর্বের দিন, সহমত ।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, তা বটে তা বটে

তবে, হয়ত আমি অন্য কোনো ঘটনা বা অন্য কারো অভিজ্ঞতার সাথে মিলিয়ে থাকতে পারি। কিংবা স্বপ্নেও দেখে থাকতে পারি :)

ওটা অবশ্যই আমাদের গর্বের দিন ছিল, যা মনে করে এখনো উত্তেজিত হই।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমার খেলা দেখা কোন দলকে সমর্থন করে নয়।জয় পরাজয়কে আমি খুব সহজ ভাবে নেই।কোন একজন খেলোয়াড়ের খেলা হয়তো আমার মন ভরে যায়,সেটা হতেপারে যে কোন দলের।আমি দলের খেলা দেখি না,খেলোয়াড়ের খেলা দেখি।আমি নিজেও ভাবি,কেন আমি এমন!

২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দেশ যখন খেলে, তখন অপোনেন্ট প্লেয়াররা যত ভালো খেলে, আমাদের তত খারাপ, বা রাগ লাগার কথা। জিততে তো হবে আমাদেরকেই। আমাদের দেশের বিপক্ষে শচীন বা সাঈদ আনোয়ার চমৎকার খেলা দেখিয়ে জিতে যাবে, তাদের খেলা দেখে আমরা উল্লসিত হব, এমনটা হয় না। সেরা খেলোয়াড়দের খেলে দেখে লাফিয়ে উঠেছি। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার সময় সর্বদাই চেয়েছি তারা ফ্লপ হোক, জিরো রানে আউট হোক।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৩০

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এসব অবিস্মরণীয় ঘটনাগুলোর একটাও দেখার সৌভাগ্য হয় নি। আশাকরি পরের পোস্টে আপনার ব্যক্তিগত অনুভূতিরও দেখা পাবো।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪ তারিখে কেনিয়ার নাইরোবি থেকে বাংলাদেশ-কেনিয়া ম্যাচটির ধারাবিবরণী রেডিওতে প্রচার করা হয়েছিল। পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য ঐ ম্যাচে জেতা আবশ্যিক ছিল। রেডিওতে প্রথম ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচের ধারাবিবরণী শুনি। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে কেনিয়া প্রথমে ব্যাট করে ২৯৫/৬ (৫০ ওভার), বাংলাদেশ ২৮২/৮ (৫০ ওভার) রান করে অলআউট হয়ে গেলে ১৯৯৬ বিশ্বকাপ খেলার আশা ঐবারের মতো শেষ হয়ে যায়। ঐ পরাজয়টা খুব ব্যথিত করেছিল, শুধু আমাকেই না, ক্রিকেটপ্রিয় সমগ্র বাংলাদেশীকে।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: ১৯৯৭ সালের আইসিসির বিশ্বকাপ খেলার স্বীকৃতি পাওয়ার ঘটনা ভুলে যাওয়া অসম্ভব।
বেশ কষ্টসাধ্য পোষ্ট ভাই।

ব্লগে এত অনিয়মিত কেন সোনাবিজ ভাই?

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ১৯৯৭ সালের আইসিসির বিশ্বকাপ খেলার স্বীকৃতি পাওয়ার ঘটনা ভুলে যাওয়া অসম্ভব। ঐ ঘটনাই বাঙালিদের মধ্যে ক্রিকেট উন্মাদনা সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ হয়ে উঠতে থাকে ক্রিকেটের দেশ। আনাচে-কানাচে ফুটবলের বদলে বাচ্চারা খেলতে শুরু করে ক্রিকেট। আমরা ভুলে যেতে থাকি ফুটবলের কথা, আর মনে হতে থাকে, কাবাডি নয়, ক্রিকেটই বাংলাদেশের জাতীয় খেলা।

ব্যক্তিগত ও প্রফেশনাল ব্যস্ততা, খেলাধুলা, ব্লগ, ফেইসবুক, ইত্যাদি সব নিয়েই আছি শেরজা তপন ভাই। কখনো একদিকে একটু বেশি সময় দিলে অন্যদিকে আবার অ্যাবসেন্সের সময়টা বেড়ে যায়, ঘটনা এইরকমই :)

অনেক ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই। শুভেচ্ছা নিয়েন।

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
১৯৯৭ সালের আইসিসির বিশ্বকাপ সুযোগ পাওয়ার ঘটনাটি সত্যই মেমোরেবল।
এ নিয়ে আমার একটি পুরোনো লেখা সময় থাকলে পড়ে দেখতে পারেন।

যে কঠিন সংগ্রামে এসেছিল টেষ্ট স্ট্যাটাস ও বিশ্বকাপে খেলার অধিকার

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৫৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দ্রুত সময়ে আপনার পোস্টটা স্ক্যান করে এলাম হাসান ভাই। খুব ভালো পোস্ট। আবেগী ও তথ্যমূলক পোস্ট। বাংলাদেশ ক্রিকেট মানেই আমার কাছে একটা আবেগের নাম। পরের পোস্টে আপনার পোস্টটাও জুড়ে দিব নে।

ভালো থাকবেন।

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়ে ভালো লাগলো।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৫৫

বিটপি বলেছেন: ডেনমার্ক কিভাবে যেন ক্রিকেট দুনিয়া থেকে হারিয়ে গেল। আসলে ইউরোপে ক্রিকেটের বিকাশ মনে হয় সম্ভব না। ইংল্যান্ড খেলাটার জন্মদাতা - তা না হলে সে দেশেও ক্রিকেট এখন টিকে থাকতো না। ক্রিকেট এখন এক্সক্লুসিভলি সার্কভুক্ত দেশের খেলা। টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ১২ টি দলের মধ্যে ৫টিই সার্কভুক্ত দেশ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য টি২০ ভার্সনের প্রচলন করা হয়। আমার মনে হয়, আইসিসি বেশ সার্থক। এ বছর টি২০ যত এক্সাইটমেন্ট সৃষ্টি করেছে, এর আগে এতটা দেখা যায় নি। অনেক দেশই টি২০ ও ওডিআই স্টেটাস পাচ্ছে। ক্রিকেটের প্রসার হচ্ছে। তবে, আমেরিকায় যদ্দিন ক্রিকেট জনপ্রিয়তা না পাবে, তদ্দিন ক্রিকেট সারাবিশ্বে ঝড় তুলতে পারবে না। আশার কথা হলো, ইউএসএ বর্তমানে ওডিআই স্টেটাস প্রাপ্ত দেশ।

তবে এটা ঠিক যে, সার্কভুক্ত দেশগুলোতে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:০৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ইতিহাস আবারও জীবন্ত হয়ে দেখা দিল আপনার লেখায়।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ মাইদুল সরকার ভাই। শুভেচ্ছা রইল।

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খালেদ মাসুদ পাইলটের খেলাটা মনে আছে। ১ বল ১ রান।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, লাস্ট ওভারে ১১ রানের দরকার ছিল। ওভারের ১ম বলে পাইলট ১টা ৬ মারেন। দরকার পড়ে ৫ বলে ৫ রান। এর পরের বল ডট হয়, তার পরের বল ওয়াইড। এক পর্যায়ে ২ বলে ৩ রান দরকার পড়ে। ৫ নাম্বার বলে ২ রান হয়। ফলে, লাস্ট বলে ১ রান দরকার পড়ে। লাস্ট রানটা বোধহয় 'বাই' হয়েছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.