নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

হার মানো নি - কীভাবে এ গানটার সুর ও লিরিক লিখলাম

২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৫

গান সুর করা ও লিরিক লেখা নিয়া আজকের পোস্টটি।

প্রফেশনাল ও বিখ্যাত সুরকারগণ কীভাবে গানের সুর সৃষ্টি করেন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো জ্ঞান নেই। তবে, তাদের সুর সৃষ্টির পদ্ধতি খুব মেথোডিক্যালই যে হয়ে থাকবে, তাতে কোনো সন্দেহ নাই। আমার 'প্রফেশনাল সিঙ্গার কাম কম্পোজার' দুই ছেলের দিন-রাত গানের যন্ত্রপাতি নিয়া এসব কাজে ব্যস্ত থাকার মধ্য থেকে আমার এ বিশ্বাস দৃঢ় হয়। ওরা খুব নিখুঁতভাবে এ বি সি বা সারেগামা তোলে গিটার বা কি-বোর্ডে।

কিন্তু লালন ফকির, শাহ আব্দুল করিম, বিজয় সরকার, প্রমুখ বাউল ও স্বভাব শিল্পীগণের কি এরকম সুবিধাদি ছিল? আমি গ্রামে বয়াতীদের আসরে দেখেছি, বয়াতীরা মুখে মুখে, খুবই তাৎক্ষণিকভাবে যেমন গানের কথা তৈরি করে ফেলেন, তাদের সুরগুলোও অনেকসময় ঐরকম তাৎক্ষণিকভাবেই সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে মনে হতো।

আমি কীভাবে গান লিখি বা সুর তৈরি করি? আমার কোনো নির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই। সুর বা লিরিকের কোনো গ্রামারও শেখা বা অনুসরণ করা আমার পক্ষে সম্ভব না। আমাকে 'স্বভাব সুরকার' বলতে পারেন :) কাজকর্ম, বা টিভিতে খেলা দেখার সময় আমি সাধারণত গুনগুন করে, কখনো-বা উচ্চস্বরেই গলা ফাডাইয়া গান গাইতে থাকি। আবার, রাস্তায় চলতে চলতে, হাটে-বাজারে, বা গাড়িতেও গুন গুন করতে থাকি, কিংবা শিস বাজাইতে থাকি। ইউটিউবে বা টিভিতে গান শোনার সময় ঐ গানের সাথেও গলা ছেড়ে গান গাইতে থাকি। বাড়িতে মানুষ-জন বা মেহমান থাকলে তারা কিছুটা বিব্রত হন বা লজ্জা পান বৈকি :) তো, প্রচলিত একটা গানের সাথে তাল মিলাইতে মিলাইতে হঠাৎ আমি নিজেই দেখতে পাই যে, গানের সুর আর আদি-সুরে নাই, সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা সুরে পরিণত হয়েছে, আর সেই সুরকে টেনে নেয়ার জন্য (বা সুর যার উপর ভর করবে) প্রায় অর্থহীন কিছু লিরিকের জন্ম হইয়া গেছে। এই সুরটা যদি একটা নির্দিষ্ট ফর্মে পৌঁছে গেছে বলে মনে হয়, তখনই মোবাইল রেকর্ডার অন করে সুরটাকে ধরে ফেলি। ব্যস, আদি সুর আমার কব্জাগত, বা মোবাইলগত হইয়া গেল বলে ধরে নিতে পারেন। এটাকে ল্যাপটপের একটা নির্দিষ্ট ফোল্ডারে জমা করে রাখি। এই সুরটা যদি মনের মধ্যে গেঁথে যায়, তাহলে মাঝে মাঝেই এটা অজান্তেই কণ্ঠে গুন গুন আকারে বাজতে থাকে। অনেক সুর পরবর্তীতে শুনতে গিয়ে মনে হয়েছে, নাহ, এটা কিছুই হয় নাই। সেই সুর ল্যাপটপের কোনায় দিনে পর দিন অঘোরে কাঁদতে থাকে।

যে সুর দাঁড়িয়ে যায়, সময় পেলে ওটাকে রিফাইন করতে বসি। এখানে আমি একটা সমস্যায় পড়ি। যদিও কবিতা লিখি, কিন্তু সুর অনুযায়ী লিরিক লিখতে গেলে কোনো কবিতা বা লিরিক খুঁজে পাই না। এরকম অনেক সুরই রেডি হইয়া বসে আছে, কিন্তু কোনো লিরিক নাই :(

আবার, অনেক সুর শুধু শিসের মাধ্যমেই তৈরি হয়ে যায়। সুরটাকে একটা ফর্মে ফেলতে পারা মাত্রই মোবাইলে রেকর্ড করে ফেলি।

আজ যে গানটি শেয়ার করছি, সেটি খুব বেশিদিন আগের না। ১৭ নভেম্বর ২০২১-এর সকালে, কিংবা সন্ধায়, সঠিক মনে নেই, হঠাৎ এ সুরটা ধরা দেয়। প্রথম গুন গুন করে যে কথা দিয়ে সুরটা শুরু করি, সেটা ছিল - 'আমি তো তোমার কাছে হার মেনেছি। হার মেনেছি আমি হার মেনেছি'। এটাই রেকর্ড করে ফেলি। এরপর মাঝে মাঝেই এটা গুন গুন করে গেয়েছি (এর মধ্যে আরো কিছু নতুন সুর তৈরি হয়ে গেছে)। কিন্তু সুর আর এগোচ্ছিল না, লিরিকও খুঁজে পাচ্ছিলাম না। গতরাতে এটা রিফাইন বা চূড়ান্ত করার ইচ্ছা নিয়া বসলাম। এবার লিরিকের প্রথম অংশটা (চূড়ান্ত গানে যেটা প্রথম অন্তরা হয়েছে) আগে লিখে নিলাম। তারপর মুখে মুখে কয়েকবার আওড়ালাম। মোবাইলের ভয়েস রেকর্ডার অন করার আগে লিরিকটা ছিল এরকম, মাত্র দুই লাইন :

‘আমি তো তোমার কথা সবই রেখেছি
তুমি তো তোমার মতো ভুলে গিয়েছ’


এই দুই লাইনের সুরটুকুই তখন হয়েছে। মোবাইল অন করে গাইতে থাকলাম। গাইতে গাইতেই নীচের লিরিকটা হয়ে গেল তাৎক্ষণিকভাবে, আর সুরটাও তাৎক্ষণিকভাবেই :

লিখে রেখেছি
লিখে রেখেছি আমি লিখে রেখেছি
হৃদয়ের গভীরে লিখে রেখেছি


পুরোটাই তিনবার গাইলাম। কেউ খেয়াল করে শুনলে বুঝবেন, প্রথম বার যে-সুরে গাওয়া হয়েছে, পরের দু’বারে সুরে একটা চেঞ্জ এসেছে।

ব্যস, সুরটা হয়ে গেল। কিন্তু তখনো আমি নিশ্চিত না, গানের শুরুটা কীভাবে হবে? অর্থাৎ, যা রেকর্ড করা হলো, তা কি প্রথম অন্তরা হবে, নাকি গানের শুরু হবে (যাকে গানের ভাষায় ‘মুখ’ বলা হয়)।

প্রথম অন্তরা হিসাবেই স্থির করলাম। এবার লিরিক লেখা শুরু করলাম সুরের সাথে। অনেক কাঁটাছেঁড়া, ঘষামাজার পর দুই অন্তরার লিরিক লেখা শেষ হলো। এভাবেই রেকর্ড করবো? কিন্তু গানের 'মুখ' বা শুরুটার জন্য তো আরেকটা সুর লাগবে। এ নিয়ে বেশি গবেষণা না করে অন্তরার শেষের অংশের যে সুর – লিখে রেখেছি – এ সুর দিয়েই ‘মুখ’-এর সুর বানিয়ে ফেললাম। এবং ‘মুখ’-এর লিরিকটাও করে ফেললাম।

সবশেষে যা দাঁড়াইল, এটাই গানের আদি ভার্সন, বা প্রথম ভার্সন। ভবিষ্যতে লিরিকে চেঞ্জ আসতে পারে, সুরেও সামান্য ভেরিয়েশন আসতে পারে।

তো এই হলো আমার গান লেখা ও সুর করার বিরাট ইতিহাস :) অল্প কয়েকটা সুর বানাইছি ও লিরিক লিখছি, যা কেবল নিজের আনন্দের জন্য। এ নিয়ে ব্যাপক কোনো পরিকল্পনা নাই, তবে, ছোট্ট একটা আশা বা ইচ্ছে আচ্ছে, হয়ত একদিন একটা স্টুডিয়ো ভার্সন ফুল অ্যালবাম বের করে ফেললেও ফেলতে পারি, যদি সেরকম কোনো শিল্পী জোটে ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি অনুকূল থাকে। সেটা অবশ্য অনেক পরের ব্যাপার।

পুরো লিরিক এবার দেখুন নীচে।


হার মানো নি
হারো মানো নি তুমি হার মানো নি
দোষ ছিল তোমার তবু হার মানো নি

আমি তো তোমার কথা সবই রেখেছি
তুমি তো তোমার পথে চলে গিয়েছ
লিখে রেখেছি
লিখে রেখেছি আমি লিখেছি
হৃদয়ের গভীরে সব লিখে রেখেছি

তুমি তো উজান বেয়ে চলে গিয়েছ
আজো কি নদীর কোনো কূল পেয়েছ?
আমি পেয়েছি
আমি পেয়েছি শুধু আমি পেয়েছি
তোমাকে হারিয়ে তোমাকেই পেয়েছি

হার মেনেছি
হারো মানো নি তুমি হার মানো নি
দোষ ছিল তোমার তবু হার মানো নি

২৬ নভেম্বর ২০২১ (লিরিক লেখার তারিখ)

লিরিক্যাল ভিডিও'র লিংক : হার মানো নি - কথা ও সুর - সোনাবীজ এই লিংকে ক্লিক করলেই ইউটিউবে চলে যাবেন




উৎসর্গ :

খায়রুল আহসান স্যার ও হাসান কালবৈশাখী ভাই। আয় রে সকলে হাত রাখি হাতে গানের উপর তাদের কমেন্ট আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। একজন শৌখিন ও অতি আনাড়ি, নগণ্য সুরকারের জন্য তা বিরাট প্রাপ্তি।


মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: বাহ ! অনেক সুন্দর হয়েছে। এইটা ছেলেকে দিয়ে গাওয়ানো যেতে পারে। সে তো ভালো গান গায়।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রথম লাইক ও প্রথম কমেন্টের জন্য প্রথম ধন্যবাদ আপু।

এটা বাংলাদশের স্বর্ণযুগের রোমান্টিক ছায়াছবির গানের সুরের কথা চিন্তা করতে করতে মগজে ঢুকেছিল। এরকম আরো একটা সুর এ গানের সুরের সাথেই তৈরি হয়ে আছে। তো, আজকের জেনারেশন এসব সুরের সাথে তেমন পরিচিত না, এবং ওদের কাছে এগুলো 'এন্টারটেইনিং' না। ওরা ইংলিশ গান ও বাংলা ব্যান্ড এবং নিউ জেনারেশন সুর পছন্দ করে। আমরা গানে একটা নির্দিষ্ট তাল ও লয় অনুসরণ করি, ওদের গানে এরকম নির্দিষ্ট ফর্ম দেখি না। ছোটো ছেলে তো এখন নিজে নিজেই কম্পোজ করে গাওয়া শুরু করেছে, সাম্প্রতিক এক অনুষ্ঠানে সে গাইল Twilight Girl নামে কী এক কঠিন প্রেমের গান :) দেখেন অবস্থা :)

Late in the dark
I fell in love with this girl
She was more than just beautiful in my eyes

She was glowing, brighter than the moon

And i think i'm in love
I'm in love with an angel
And i think i'm in love
I'm in love with an angel

(instrumental)

You meant a lot to me
I gave you all of my heart
But you just flew away we
like an angel
Broke my heart in thousand pieces

But i think i'm in love
I'm in love with an angel
But i think i'm in love
I'm in love with an angel

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: আমার কাছেও পুরান দিনের গানের মতই লেগেছিলো।

ভাইয়া আমি যতদূর জানি আগের দিনে নানা রকম রাগ সঙ্গী্তের আরোহন অবরোহনের উপর গানের সূর বানানো হত।

একেক রাগের একেক ফরমেট আছে।

এখন মনে হয় সেসব মানা হয় কিনা জানিনা।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একেক রাগের একেক ফরমেট আছে। সেটা তো অবশ্যই। বিভিন্ন রাগ বোঝার জন্য মাঝে মাঝে উইকিপিডিয়ায় ঢুকেছি। কিন্তু, অল্প একটু পড়েই মাথা ঝিম হইয়া গেছে :( সম্ভব না। অত সময় নাই, ধৈর্যও নাই :( আর, প্রয়োজনও নাই বলে ঐ কষ্ট করার প্রতি কোনো আগ্রহ জাগে নাই।

কবিতা পড়ে যেমন ছন্দ বুঝেছি, যেহেতু গান অনেক শুনি, শুনতে শুনতেই বিভিন্ন গান সম্পর্কে কিছু সাধারণ আইডিয়া হয়েছে। স্বরলিপির চিহ্ন কোথাও দেখলে ভুলেও ঐদিকে যাই না :)

যাই হোক, আপনার গায়কী দেখে/শুনে মনে হয়েছে, গানের উপর আপনার ভালো স্টাডি আছে। অব্যাহত রাখুন, আপনার ট্যালেন্ট সব দিকেই জাজ্বল্যমান।

গানের বিভিন্ন তালের নাম দেখা যায়। দাদরা-কাদরা আরো কত কিছু :) ওগুলোকে আমি কবিতার ছন্দ বা বিভিন্ন পর্বের সাথে তুলনা করে সামান্য বোঝার চেষ্টা করি। যখন যেই ধরনের গান শুনতে থাকি, আমার সুরগুলো ঐ ধরনেরই হইয়া থাকে। কিন্তু, নাম বলতে পারবো না, এটা কাহারবা নাকি সাহারমা :)

বর্তমানে, একদম লেটেস্ট জেনারেশনের সুর আমার মতো প্রথাগত সঙ্গীতপ্রেমীর পক্ষে বুঝে ওঠা কঠিন। সুর ধরাটাই খুব মুশকিল। আমরা যেমন মেলোডিয়াস গানের প্রতি অনুরক্ত ছিলাম, আজকালকার গানে ওরকম মেলোডি দেখি না (ব্যাপারটা আমাদের কাছে হয়ত মেলোডিয়াস না, কিন্তু বাচ্চাদের কাছে অবশ্যই মেলোডিয়াস)।

ধন্যবাদ আপু আবার আসার জন্য। তবে, গানের ব্যাপারে আমার শুধু অভিজ্ঞতাই আছে, কিন্তু অধ্যয়নগত কোনো জ্ঞান নাই।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫২

জটিল ভাই বলেছেন:
সোনাভাই, কেমন আছেন?
এবারতো ইলেকসনের ক্যানভাসে দেখি গীতিকারের অভাব নাই। এটা কেমনে সম্ভব?

২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো আছি জটিল ভাই।

লিরিক লেখার জন্য, বিশেষ করে ইলেকশনের লিরিক লেখার জন্য ট্যালেন্ট লাগে। যারা লেখেন তারা অতি উন্নত প্রতিভার অধিকারী। আমি কোনো লিরিক খুঁজে পাই না, আর দেখেন, তারা অনর্গল লিরিক লিখে গান তৈরি করছেন। প্রতিভা না থাকলে আসলে এসব হয় না

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: ভাইয়া দাদরা কাদরার বোল মাত্রা সোম ফাক একটু চেষ্টা করলেই বুঝা যায়। তেমন কঠিন না। কিন্তু দরকার কি? নিজের ভেতরের কিছু ব্যপার আছে মানুষের স্বাভাবিক স্বত্তা যা দিয়ে মানুষ নিজেরাই তাল সৃষ্টি করবে। ক্রিয়েটিভদের জন্য বাঁধা ধরা নিয়মের দরকার নেই বলে আমি মনে করি।

তোমার গান এমনিতেই সুন্দর।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কিন্তু দরকার কি? নিজের ভেতরের কিছু ব্যপার আছে মানুষের স্বাভাবিক স্বত্তা যা দিয়ে মানুষ নিজেরাই তাল সৃষ্টি করবে। ক্রিয়েটিভদের জন্য বাঁধা ধরা নিয়মের দরকার নেই বলে আমি মনে করি।

:)
মূল উদ্দেশ্যটা বলেই দিলেন :) অতসব শিখে সুর রচনা করতে গিয়ে যদি দেশসেরা সুরকার হইয়া যাই, তাইলে তো সমস্যা :) অনেক সমস্যা, বিরাট সমস্যা হইয়া যাইব :) নিজের ক্রিয়েটিভিটি নিয়া ব্যস্ত থাকায়ই আনন্দ বেশি :)

আমার গান এমনিতেই সুন্দর!! সবাই যদি বুঝতো!

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার সুর তৈরির পদ্ধতি শেয়ার করার ধন্যবাদ। আপনার খালি গলায় গাওয়া গানটা বেশ ভালো লেগেছে। এই গান যখন বাদ্যযন্ত্র সহ গাইবেন তখন আরও ভালো লাগবে। তখন আপনার মাথাতেই আরও কিছু পরিবর্তনের চিন্তা আসতে পারে। গানের কিছু জায়গায় চড়া সুর দিলে আরও ভালো লাগতো মনে হয়।

আপনার সঙ্গীত পরিবারে আপনি গান লিখবেন আর সুর দিবেন, আর ছেলেরা পুরো গান কম্পোজ করবে। অতি চমৎকার ব্যবস্থা। :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তবে, গানটার সাথে কিন্তু একটা মিউজিক ছিল - টিপয়ের উপর হাতের আঙুল ঠুকে একটা তাল ওঠানোর চেষ্টা ছিল, বলতে পারেন তবলা :)

আজ ডিনারের টেবিলে ছেলেদেরকে মুখ, অন্তরা, সঞ্চারীর উপর জ্ঞান দিলাম। বেশ কিছু গান গেয়ে এগুলো বুঝাইলাম। বাংলা গান সম্পর্কে ওদের, বিশেষ করে বড়ো ছেলের জ্ঞান খুবই সীমিত। সুরের ভেরিয়েশন বুঝাইলাম। কয়েকটা প্রচলিত গানে আমার ভেরিয়েশন শোনাইলাম :)

যাই হোক, মোটের উপর ওরা এখনো নোভিস, পোস-পাস যতই দেখাক না কেন :)

আপনার কমেন্ট বরাবরের মতোই সুন্দর ও অনুপ্রেরণামূলক। ধন্যবাদ এবং ধন্যবাদ পঁচাত্তর ভাই।

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৮

মিরোরডডল বলেছেন:



গানের মাঝে রেখেছি শব্দটা প্রপার উচ্চারিত হয়েছে কিন্তু গিয়েছ হবে নাকি গিয়েছো হবে ।
শব্দটায় এর উচ্চারণে সমস্যা হচ্ছিলো প্রতিবার । এটা ছাড়া বাকিটুকু ঠিক আছে ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বানান করে লেখা হয়েছে 'গিয়েছ', কিন্তু উচ্চারণ করা হয়েছে 'গিয়েছো'। 'ছ'-এর উচ্চারণ ঠিক আছে, আপনি হয়ত বাংলা উচ্চারণ ভুলে গেছেন ইংলিশ বলতে বলতে :)

ধন্যবাদ গান শোনার জন্য।

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৪০

সোহানী বলেছেন: বাহ... চমৎকার।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.