নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বকাপ ফুটবল শেষ হলো। এবার আমাদের মন-মানসিকতাকে সুস্থ করার পালা।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫২

বিশ্বকাপ ফুটবল শেষ হলো। এবার আমাদের মন-মানসিকতাকে সুস্থ করার পালা।

ভিন্ন কোনো দেশকে সাপোর্ট করতে যেয়ে যখন এ দেশের ১২টি প্রাণ নিজেদের মধ্যে খুনাখুনি করে খুইয়ে বসে, আরো ২৭টি বা ততোধিক প্রাণ গুরুতর আহত হয়, জাতি হিসাবে আমাদের লজ্জিত, বিব্রত হওয়া উচিত, নাকি আরো উৎফুল্ল হওয়া উচিত, সেটা আমাদের খতিয়ে দেখা অতি জরুরি।

আমার মতে, জাতি হিসাবে আমরা খুব একটা সুস্থ নই। একটা ভিন্ন দেশের কাপ জেতায় এভাবে লাফানো, তাদের দেশের বিরাটাকার পতাকা নিয়া মিছিল করা পুরাই একটা অস্বাভাবিকতার লক্ষণ। এর চাইতে অধিক আদিখ্যেতা আর কিছু হতে পারে




যে কখনো খেলাই দেখে না, সেও আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের জন্য পাগল, যে কালেভদ্রে একটা দু-দুটো ম্যাচ দেখে, সেও পাগল। যে-কোনোদিন মেসিকে বল নিয়ে দৌড় দিতে দেখলো না, অর্থাৎ, যে-কখনো খেলা দেখার সুযোগও পেলো না, সেও যখন বলে - মেসি অতিমানবীয় কিছু, ফুটবলের চাইতেও অধিক- তখন তাকে কী বলবেন? বস্তুত, কোনো মানবই অতিমানবীয় কিছু না। তারা আদৌ কোনো ঈশ্বর নন। মেসিও না, ম্যারাডোনা বা পেলেও না, নেইমার বা রোনাল্ডোও না। মেসির চাইতেও অধিক গোল করা খেলোয়াড় আছে। একই টুর্নামেন্টে একই ফাইনালে এমবাপ্পেই মেসির চাইতে বেশি গোল দিয়েছে। মেসি অতিমানবীয় কিছু হলে তার দলে অন্য খেলোয়াড়ের প্রয়োজন পড়তো না, একাই খেলতো, একাই জিততো। কথাগুলো বলছি কাউকে খাটো করার জন্য না, বলছি আপনাদেরকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনার জন্য ও আবেগকে সংযত করার জন্য। মেসি আমারও প্রিয় খেলোয়াড়। তবে, আমি আবেগে অন্ধ না। রোনাল্ডো, বাপ্পে, পেলেও আমার প্রিয় খেলোয়াড়। কিন্তু আমি কখনো এটা বলবো না, তারা মহামানব শ্রেণির অন্তর্গত। তারা খেলোয়াড়, স্রেফ খেলোয়াড়। যখনই আপনি মেসিকে এরকম অতিমানবীয় কিছু আখ্যা দিতে যাচ্ছেন, আপনি নিশ্চিত থাকুন, আপনার প্রতিপক্ষও এমবাপ্পে, নেইমার, রোনাল্ডোকে মেসির চাইতেও অধিক উচ্চতার কোনো মহামানব বানিয়ে ফেলছেন। তখনই শুরু হচ্ছে আপনাদের মধ্যে মল্লযুদ্ধ। এ যুদ্ধের বার্তা আপনি থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে যাচ্ছে। পরিণতি হয় ভয়াবহ প্রাণনাশ। যা অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে সাপোর্ট করা নিয়ে এ দেশে যুদ্ধাবস্থা বিদ্যমান! কী বিচিত্র আমাদের সোনার বাংলা। খেলাধুলা আর সুস্থ বিনোদনের মধ্যে সীমিত নেই। কী শিক্ষিত, কি অশিক্ষিত, সবাই এ দুদলকে সাপোর্ট করা নিয়ে উত্তেজনার শীর্ষে উঠে বসে থাকেন! কী বিচিত্র আমাদের সোনার বাংলা আর তার সোনার সাপোর্টাররা! একটা ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, চৌদ্দগ্রামে প্রশাসন থেকে যখন মাইকিং করে বলা হচ্ছে, ব্রাজিল সমর্থকরা কেউ বাইরে বের হবেন না, আর্জেন্টিনার সাপোর্টাররা আপনাদের মারধোর করলে আমাদের কিছু করার থাকবে না। হয়ত এ ভিডিওটা ফেইক। কিন্তু এ থেকেও আমাদের সামাজিক অসুস্থতার এটা একটা নিকৃষ্ট দিক বেরিয়ে আসে। নইলে এরকম ফেইক ভিডিও তৈরি করে ছড়িয়ে দেব কেন? অবশ্য আমি নিশ্চিত নই, এটা ফেইক কিনা, তবে অনেকের কাছেই জানতে পেলাম ওটা ফেইক। যারা ওটা বানিয়েছেন, তাদেরকে আইডেন্টিফাই করে শীঘ্র আইনের আওতায় আনা উচিত।

ব্রাজিল হারার পর যেদিন আর্জেন্টিনা পরের রাউন্ডে উঠলো, ঐদিনই বিভিন্ন জায়গায় খবর উঠলো, ব্রাজিল সাপোর্টাররা আর্জেন্টিনার সাপোর্টারদের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছে না। কী বিচিত্র আমাদের দেশ। আমাদের দেশের দুই বিবদমান রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডকেও হার মানাইয়া দিল!!

এসব অস্বাভাবিকতাকে কখনো সায় বা সাপোর্ট দেয়া যাবে না। এগুলো বন্ধের জন্য ক্যাম্পেইন করার দায়িত্ব আমাদের শিক্ষিত শ্রেণির উপরই বর্তায়। যারা এই গণ শ্রেণির সাপোর্টার, তাদের বড়ো অংশই সুন্নী সাপোর্টার। খেলা দেখার সময় পান না অনেকেই, বা খেলা তেমন একটা বোঝেনও না অনেকে। শুধু হুজুগে সাপোর্ট করেন আর সদল বলে প্রতিপক্ষকে ট্রল করার আনন্দে মেতে ওঠেন।

এই যে চিৎকার করে বলে ওঠেন - ইয়াহু, আলহামদুলিল্লাহ, জিতে গেছি - এটা আপনার অসুস্থ মানসিকতার চূড়ান্ত রূপ। আপনি জিতেন নি, জিতেছে অন্য একটা দেশ। অন্য একটা দেশকে নিয়ে এভাবে লম্ফঝম্ফ করাই হলো অস্বাভাবিকতা। এ ব্যাপারটা কোনো একটা সময় পর্যন্ত সিদ্ধ ছিল। কিন্তু আপনি এভাবে চিৎকার করে উঠছেন তাতে জেতার আনন্দের চাইতেও আপনার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার আনন্দ বেশি। আর্জেন্টিনা হেরে গেলে ব্রাজিল সাপোর্টাররা আনন্দে অস্থির, তেমনি, ব্রাজিল হেরে গেলে আর্জেন্টিনা সাপোর্টররা আনন্দে উন্মাতাল হয়ে যান। কী জঘন্য মানসিক অবস্থা আমাদের! এটা কখনোই কোনো সুস্থ বিনোদনের প্রকাশ হতে পারে না।

আমাদের দেশে খেলাধুলা সাপোর্ট করা হয়ে গেছে কোনো রাজনৈতিক দল করার মতো - আমি অমুক দল করি, সারাজীবন নীতিগতভাবে আমাকে সেই দলই করতে হবে। অথচ, খেলাধুলা সাপোর্ট করা এরকম না। সাপোর্ট করার জন্য আমার কোনো নির্দিষ্ট দল যে থাকতেই হবে, ব্যাপারটা তা না। এটা হলো সঙ্গীত বা সাহিত্যের মতো। যার যে গানটা আপনার ভালো লাগে, আপনি সেই গানটা শোনেন, বার বার শোনেন। যে কবিতাটা আপনার ভালো লাগে, ওটা বার বার পড়েন। তেমনি, যে খেলাটা আপনার ভালো লাগবে, আপনি ঐ খেলাটা প্রাণ ভরে উপভোগ করবেন। আমাদের সাপোর্ট হতে হবে এরকম। খেলাধুলার দলকে সাপোর্ট করা কোনো রাজনৈতিক দল করা না যে আমার সাপোর্ট বদল হতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশের সাপোর্টাররা এতই মৌলবাদী যে সাপোর্ট চেঞ্জ করা নিয়েও ট্রল, রেষারেষি, মারামারি হয়। কেন? সুস্থ মানুষের মন সাপোর্ট দেয় ভালো খেলা ও খেলোয়াড়কে। আমরা সেটা পারি না। কারণ, আমরা সুস্থ ও স্বাভাবিক নই, অসুস্থতা আমাদের পেয়ে বসেছে।

আমরা যে হারে মাতামাতি করি, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, পর্তুগাল নিজেদেরব দেশেও এত পাগলামি করে বলে মনে হয় না। আমরা করি, তার কারণ, আমাদের অসুস্থতা ও হীনমন্যতা। আর এই যে সমগ্র বাংলা ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনার সমর্থক গোষ্ঠীতে পরিণত হয়ে গেছে, এ নিয়ে গর্ব করে ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা হলো হীনমন্যতা ও নিজেদের অপমান বা ছোটো করার আরেকটা ক্ষেত্র। তাদেরকে দেখানো, সারা বিশ্বে একমাত্র আমরাই সমগ্র জাতি একসাথে সাপোর্ট করছি। আদিখ্যেতার একটা সীমা অবশ্যই থাকা উচিত।

এ অবস্থা থেকে আমাদের শীঘ্র বেরিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে আইন করে কিছু জিনিস নিষিদ্ধ করতে হবে, যেমন :

১। এ দেশে অন্য দেশের পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। ব্রাজিল আর্জেন্টিনার খেলা শেষ হলেই দেখা যায় বিশাল আকৃতির পতাকা নিয়ে পথে বের হয়েছে। যেন বাংলাদেশ জিতেছে, আর বিজয়ের আনন্দে আত্মহারা তারা। এই মিছিল-শোভাযাত্রা হলো মারামারি লাগার মোক্ষম অবস্থা। এগুলো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

২। সেন্ট্রালি বড়ো পর্দায় খেলা দেখার ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে। ঝগড়া লাগার এটা হলো আরেকটা বড়ো উৎস।

৩। সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিপক্ষকে নিয়ে ট্রল করা, বিদ্রূপ করা, গালিগালাজ করার বিষয়টি আইনের আওতায় আনা উচিত। তেমনি, মেসি, নেইমার, রোনাল্ডো বন্দনা বন্ধ করতে হবে। এই বন্দনাগীত থেকে শুরু হয় আরেক যুদ্ধ।

৪। আমাদের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতেও ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে নিয়ে অনেক বেশি মাতামাতি হয়। সেগুলোও বন্ধ করতে হবে। এ দুদলকে সাপোর্ট করা নিয়ে নাটক নির্মাণ করা হয়। সেগুলোও বন্ধ করতে হবে।

সবার আগে আমাদের নিজেদের সংশোধন হতে হবে, অন্যদেরকে সুপথে ফিরে আসতে সাহায্য করতে হবে।
শুভ কামনা সবার জন্য।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: খেলা নিয়ে বেশ আমদে ছিলাম। ভালো সস্ময় কেটেছে। সবচেয়ে বড় কথা আমার দ্দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমি ভীষন খুশি।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় দল জেতায় আনন্দ করুন। কিন্তু যাদের প্রিয় দল জিতে নি, তাদের নিয়ে ট্রল করা, উসকানি দেয়া, ইত্যাদি থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। অন্য দেশকে সাপোর্ট করতে যেয়ে আমরা নিজেরা খুন হব কেন? এই কথার উত্তর বুঝতে পারলেই সব শান্তি।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই।

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৯

বাকপ্রবাস বলেছেন: মারামারি করে পাগল কমুক, জনসংখ্যা এমনিতেই বেশি

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: :)

কথাটা মন্দ বলেন নাই :)

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ১৯৮২ সন থেকে বিশ্বকাপ ফুটবল উন্মাদনায় জড়িয়ে আছি.... এর আগেও দেখতাম, তবে তখন সিরিয়াস ছিলাম না। মূলত ম্যারাডোনার খেলাই আমাকে ফুটবল ক্রেজি করেছে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের মতো এমন সুন্দর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা খুব বেশী দেখিনি। অথচ বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ কাতারের বিরুদ্ধে ইহুদী মিডিয়ার নেতিবাচক প্রচারণা ছিলো সব চাইতে বেশী।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নির্মল আনন্দ উপভোগ, নির্মল আনন্দ উন্মাদনা মনকে সতেজ রাখে। কিন্তু যখন এটা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায়, এবং সেই বাড়াবাড়ি থেকে খুনাখুনি পর্যন্ত হয়ে যায়, তখন আর সেটা আনন্দ থাকে না। আমাদের এই বাড়াবাড়ির আবেগকে এখনই সংযত করতে হবে। এটা ধীরে ধীরে বাড়ছে। থামানোর উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে আরো বাড়বে।



এ যাবত কালের সেরা আয়োজন কাতারে।

কাতার পারবে কী পারবে না, বিট বিতর্ক, শ্রমিক হতাহত বিতর্ক, ইত্যাদি অনেক ডিমেরিটস ছিল। এ বিতর্ক বেশি জোরালো হয়েছে প্রধানত দুটি কারণে, এশিয়ান দেশ হওয়ায় এবং মুসলিম দেশ হওয়া, যেখানে এন্টি-মুসলিম সেন্টিমেন্ট কাজ করেছে।

নিখুঁত টেকনোলজির ব্যবহার, উন্নত ইউরোপিয়ান দেশকে ছাড়িয়ে গেছে (অলিম্পিক আয়োজনের কথা অবশ্য বাইরে রাখছি)।

এশিয়ান হিসাবে আমরা গর্ব করতে পারি।

আমেরিকা-ইউরোপের বাইরে আফ্রিকান দেশের পাশাপাশি এশিয়ান টিমের পারফরমেন্সও ভালো ছিল। ইরানের ১ম ম্যাচটা বাদে বাকি ম্যাচগুলোতে ভালো করেছে।

অনেক বৈচিত্র, চমক ছিল এ বিশ্বকাপে।

একটা সফল আয়োজনের জন্য কাতারের ক্রেডিটে অনেকগুলো অভিনন্দন যোগ হবে আশা করি।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই।

৪| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ফুটবল বিনোদন হোক । সকল অশুভর ইতি হোক এই শুভকামনা ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সকল অশুভ অপকর্মের সমাপ্তি হোক। সে কাজে আমাদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। ধন্যবাদ প্রিয় কবি সেলিম আনোয়ার ভাই+

৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৪

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ব্লগে ঢু দিয়েই অত্যন্ত ভালো লাগার একটি পোস্ট দেখলাম। মন হতে ধন্যবাদ---রাশি রাশি ধন্যবাদ। পোস্টটি ফেবুতে একটু ছোট করে দেন---পাবলিক করে দেন।
আমার কাছে মনে হয় এই পোস্টটি স্টিকি করা উচিত।
হুমম মানুষ খেলবে এবং খেলা দেখবে--- এখানে একটা বিষয় মাথায় রাখা উচিত যে একদল হারবে এবং একদল জিতবে-- এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। এখানে ফলাফল যাইহোক না কেন তা মেনে নিয়ে প্রতিপক্ষকে সমানুভূতির মানসিকতা নিয়ে অভিনন্দন জানাতে হবে। এটাই ইতিবাচক মূল্যবোধ।
আমি তখন সেভ দ্যা চিলড্রেনে ছিলাম--- ইয়োথ / শিশুরা ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলতো। আমরা শিখিয়েছিলাম কিভাবে পরাজিত দলের সাথে এবং জয়ী দলের সাথে ইনক্লুডিং তাদের সমর্থকদের সাথে ইতিবাচক আচরণ করতে হয়। কিভাবে জয়ী দল পরাজিত দলকে উৎসাহিত করে--যাতে তারা ভবিষ্যতে তাদের স্থানে আসতে পারে। আর সকলেই সকলকে নিয়ে আনন্দের ভাগীদার / অংশীদার করা যায়। এখানে জয়ী দলের সদস্যরা পরাজিত দলের সদস্যদেরকে নিয়েই মাঠ প্রদক্ষিণ করতো। সকলেই শিখতো কিভাবে আনন্দ ভাগাভাগি হচ্ছে। কারণ খেলার মাধ্যমে শারিরীক উন্নতির পাশাপাশি মানসিক উন্নতিও হয় যেমন- সমানুভুতি, সহযোগিতা, সহানুভূতি, সৌহার্দ্য, লিডারশীপ, যোগাযোগ, কৃষ্টিকালচার বিনিময়, ধের্য্যধারণ, সহনশীলতারও প্রকাশ পায়।

আমাদের মাঝে কিছু অতি উৎসাহী তথাকথিত শিক্ষিতদের মধ্যে অতি ছেলেমিপনা বা অতি আদিখ্যেতা দেখা যায়। কিছু বললে তারা উল্টো আরো কথা শুনিয়ে দেয়। খেলা করা এবং খেলা দেখাকে তারা মারামারির পর্যারে নিয়ে গিয়েছে। যদি কোন দল হারে মনে হয় সেই দলটি যেন মহা অন্যায় কাজ করে ফেলেছে-সেই পরাজিত দলকে এবং সেই দলের সাপোর্টারকে দুঘা বসিয়ে দিলে অন্যায় কিছুই যেন হবে না।
আমাদের মানসিক উন্নতি না হলে শিশুদেরকে আমরা কি শিখাবো !!!!!!! তারা ঐ উড়নচন্ডী মানসিকতা নিয়েই বড় হবে। আর একটা কথা ” যারা বিয়ে তার খবর নাই--পাড়া পড়সির ঘুম নাই। “ যে দেশের দল হারলো বা জিতলো সে দেশে এই ধরণের কোন খরব নিউজে আসে না--- আসে বাংলাদেশে !!!! আহা কবে আমাদের বোধদয় হবেরে পাগলা !!!!

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপু, আপনার এই কমেন্টটা এ পোস্টটাকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ চমৎকার কমেন্টের জন্য।

শুভেচ্ছা রইল।

৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১৭

রবিন.হুড বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।

৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমি আপনার দলে। ভাল লিখেছেন- সবার যদি এমন উপলব্ধি হোত

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় শেরজা তপন ভাই। শুভেচ্ছা আপনাকে।

৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৪

অর্ক বলেছেন: এখানে আপনার জানার বোঝার বড়ো রকমের ভুল আছে বা হয়েছে, ভাই। বয়ঃসন্ধিকাল কৈশোর তারুণ্য মানুষের জীবনের বিশেষ একটি সময়। শুধু মানুষই নয় হয়তো। বড়ো নাজুক সময়। খুব অল্পতেই এসময় মানুষ প্রভাবিত হয়ে পড়ে। সামান্যতেই তীব্র আবেগে দুকূল ছাপিয়ে ভেসে যেতে পারে। যেমন বাল্যেকালেরও বিশেষ স্বকীয়তা আছে। কৈশোর তারুণ্যের এসময়টা প্রকৃতিগতভাবেই এরকম। দুরন্তপনা বাধাহীনতায় ভরপুর। এসময় এরকম আবেগ খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। আমাদের দেশে বরং কমই হয়। ক্রীড়া, সঙ্গীত, বিনোদন এসব বিশেষ এই সময় মানুষের জীবনে গভীরভাবে স্পর্শ করে বাস করে। সারা পৃথিবীজুড়ে সর্বত্র বহুভাবে এর প্রকাশ দেখা যায়। উন্নত বিশ্বে কার্নিভাল ফ্যাস্টিভাল কনসার্ট ইত্যাদি বহু আয়োজনে সারা বছরই নানাভাবে তারা জীবনকে নিজেদের মতো উপভোগ করে থাকে। এখানে সে তুলনায় কিছুই হয় না। খেলা নিয়ে চার বছর অন্তর অন্তর আনন্দফুর্তিতে মেতে উঠছে কিশোর তরুণরা এতে সমস্যা কি? করুক না। খুনোখুনি বা আরও যেসব উদাহরণ টানলেন, সেগুলো নিশ্চয়ই খারাপ, সমর্থনযোগ্য নয় কিছুতে। তার জন্য পুরো ব্যাপারটাকে গালি দেয়া নেহাতই বিরাট নির্বুদ্ধিতা। আমি আমার এযাবৎকালের জীবনে বিশ্বকাপ নিয়ে এরকম কোনও ঘটনার সম্মুখীন হইনি। পতাকা ওড়ানো, দেওয়াললিখন ইত্যাদি এগুলো হলো স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা। আর কিছু নয়। এগুলো সিরিয়াসলি নেবার আদৌ কিছু নেই। আমি নিজেও একবার বাড়ির ছাদে জাপানের পতাকা উড়িয়েছিলাম। বিরাট পোস্টে পুরো সহজ সাধারণ সরল ব্যাপারটাকে একপেশে সরলীকরণ করে হাস্যকর রকমের জটিল করে তুলেছেন। মন্তব্য বড়ো হয়ে যাচ্ছে। আস্ত একটা চার ফর্মার বইই না হয়ে যায়! লেখাটায় আপনিই বরং বাড়াবাড়ি করেছেন এসব নিয়ে। যারা মারামারি খুনোখুনি করার তারা করবেই। খেলা তো নেহাত উপলক্ষ্য মাত্র। যেমন বলেছি, নাজুক সময়, টেন্ডার এজ। এসময় এরকম বাড়াবাড়ি হয় সবখানে।

ধন্যবাদ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রিয় কবি অর্ক, আমিই বরং বলবো, আপনার বোঝার বা জানার বড়ো রকমের ভুল আছে। এসব উন্মাদনার বিরুদ্ধে আগে আমাদের সামাজিক মাধ্যম এতটা সোচ্চার ছিল না। ব্যাপারটা ক্রমেই মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এখনই সংযত না হলে আগামীতে এর ব্যাপ্তি আরো বাড়বে। আবেগকে সংযত করতে হবে। আমি বুড়া হই নি এখনো। তরুণ ছিলাম, তরুণ আছি, ইনশা'ল্লাহ থাকবো। খেলাধুলার পেছনে আমার মতো এত সময় দেয়া পাবলিক বিরল। হৈচৈ জীবনে আমি কম করি নাই, কিন্তু তা অবশ্যই সীমার মধ্যে।

আমাদের সবারই দায়িত্ব আছে নিজের কাছে ফিরে আসার।

ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য। কবিতা লিখুন, আমি আপনার কবিতার ফ্যান।

শুভেচ্ছা।

৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

নতুন বলেছেন: ফুটবল নিয়ে ক্রেজ সব সমাজেই আছে, কিন্তু আমাদের দেশে এটা বাজে আকার ধারন করে কারন আমাদের দেশের সমাজে মানুষ অন্যায় করতে বাধে না।

একজন আরেকজনকে ছোট করে, আঘাত করে কথা বলার একটা উপলক্ষ পায় মাত্র।

একজন ভদ্র সভ্য সমাজে এই ভাবে একে অপরকে খেলা নিয়ে আক্রমনের কোন কারন আমি খুজে পাইনা।

এখানে ফুটবলের কোন দোষ নাই, এটা আমাদের মানুষের মনের সমস্যা, ফুটবল উছিলা মাত্র।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন নতুন ভাই।

একজন আরেক জনকে ছোটো বা হেয় করে মজা পাওয়ার মধ্যে আমাদের তীব্র সুখ হয়। ফেইসবুক ভরে যায় এসব খোঁচাখুঁচি আর নোংরামিতে। এ বলে আমার দল, অমুক প্লেয়ার সর্বসেরা, অন্যে বলে তার দলই সেরা। এ নিয়ে মল্ল যুদ্ধ। দুই তল্লাটের মধ্যে সূত্রপাত হয় নিজের দল প্রতিপক্ষের দলের চাইতে কত সেরা, কত বেশিবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তা নিয়ে। এটা ভদ্রতার কোনো লক্ষণ না। ভদ্র সমাজে এসব থাকতে পারে না।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ নতুন ভাই। শুভেচ্ছা।

১০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ট্রলের সীমানাটা কেউ না জানার কারণে এবং কেউ ট্রল বুঝতে না পারার কারনে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কথাটা ঠিক বলেছেন।

১১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৪

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: একমত যে আনন্দে মেতে উঠা এখন নির্মলতাকে ছাড়িয়ে হট্টগোলের পর্যায়ে গেছে। বিষয় হচ্ছে এ আনন্দে আমাদের কোন কীর্তিগাঁথা নেই, তবু জাতি কেন মেতে উঠবে? একে সামাজিক সমস্যা হিসাবে দেখলে এর প্রতিকারের উপায় কি? কিছু উপায় বের করার চেষ্টা করেছেন, আইন করে তো আর আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ আনন্দে আমাদের কোন কীর্তিগাঁথা নেই, তবু জাতি কেন মেতে উঠবে? মূল কথাটাই এটা। আমরা এতই আহাম্মক যে এ জিনিসটা বুঝি না। সুন্দর মন্তব্য। ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে সবারই ভদ্রতা বজায় রাখা উচিৎ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঠিক। আমরা ভদ্রতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছি বলে এই মারামারি হচ্ছে।

১৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ফুটবল খেলা নিয়ে কিছুদিন দেশে রাাজনৈতিক ক্যাচাল ও জঙ্গি ক্যাচাল চুপ ছিলো।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বড়ো বড়ো সমাবেশ কিন্তু হয়ে গেছে এর মধ্যে :)

১৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৫৩

কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের দর্শকরা সুরা কালাম পড়ে খেলা দেখে।বিদেশিরা ড্রিং করে খেলা দেখে বা খেলা দেখতে দেখতে ড্রিং করে।এছাড়াতো বড় কোন পার্থ্ক্য দেখি না।মানসিকতার একটা পার্থক্য আছে সেটা দেখা যায় না।আপনিও কারন কিছু বলেন নাই।বলা দরকার ছিলো।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দীর্ঘদিনের পরাধীনতা, বিদেশী শক্তির নিপীড়ন, অত্যাচার, ইত্যাদি থেকে আমাদের মধ্যে এক ধরনের হীনমন্যতা সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। এ থেকে সবসময় আমিই বড়ো, আপনি ছোটো- এ দ্বন্দ্বের উৎপত্তি। তা থেকে শুরু হয় আমার ব্রাজিল বড়ো, আপনার আর্জেন্টিনা ছোটো দল, এবং এরপর তর্কাতর্কি, দাবড়ানি, ইত্যাদি। আমার কাছে আপাতত এই মনে হলো এর কারণ। আরো কারণ থাকতে পারে, আমাদের অর্থনৈতিক দৈন্যতা, কোনোদিন ফুটবলে নিজেদের সাফল্য না পাওয়ায় অন্যের সাফল্য নিয়ে বেশি লাফানো, শিক্ষার অভাব, সামাজিক অবক্ষয়, ইত্যাদি। তবে, ফুটবলে আমাদের মতো সাফল্য না পাওয়া, কিংবা আমাদের চাইতেও লোয়ার র‍্যাঙ্কিঙের টিম তো আরো আছে, তাদের দেশে তো এরকম হচ্ছে না। আমাদের মানসিকতা একটা বড়ো সমস্যা। এটা চেঞ্জ করা জরুরি।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ কামাল ভাই। শুভেচ্ছা।

১৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৩০

কাছের-মানুষ বলেছেন: অনলাইনে আজকাল উগ্র-আর্জেন্টিনা-ব্লাজিল সমর্থকদের মাঝে কথাকাটি ভাল লাগছে না, আমার কথা হল ভামোস আর্জেন্টিনা, খামোস উগ্র আর্জেন্টাইন-ব্রাজিল সমর্থক!

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আর্জেন্টিনা, খামোস উগ্র আর্জেন্টাইন-ব্রাজিল সমর্থক! :) ভালো বলেছেন।

নিউজ ফিড ছেয়ে গেছে শুধু মাত্র ট্রল-পাল্টা ট্রলে। এসব দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে গেছি। পারত পক্ষে নিউজ ফিডে যাই না।

কমেন্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ কাছের মানুষ। শুভেচ্ছা।

১৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২১

রানার ব্লগ বলেছেন: আয় একটু ট্রল করি এই প্রবনতাই মূল সর্বনাশের কারন । এখনকার জনগোষ্ঠী ট্রলে বিশ্বাসী । এই ট্রল করাটা কমিয়ে আনতে পারলে বাঁকি যে সব বিষয়ে আপনি দৃষ্টিপাত করেছেন তাও কমে আসবে ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হ্যাঁ, এই ট্রল থেকেই বেশিরভাগ ঝগড়ার উৎপত্তি। এ গুলো না থাকলে ঝগড়া বাঁধার কোনো ইস্যুই থাকতো না।

কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ রানা ভাই। শুভেচ্ছা।

১৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি আবারও আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আবার এসে দেখার জন্য কে কী মন্তব্য করেছে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.