নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
১
এটা তোর জীবনের এমন এক ট্র্যাজেডি, যা কেবল আমার আত্মতুষ্টির জন্য ঘটেছিল। এটি একপক্ষে এক মর্মন্তুদ নিষ্ঠুরতার কাহিনি, অপরপক্ষে নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগের কিসসা, যা কেউ কোনওদিন শোনে নি, এমনকি স্বপ্নেও ভাবে নি।
এটা কোনও মেয়ে কোনোদিনই করে নি তার প্রেমিকের জন্য, তুই ছাড়া। অথচ এ গল্প আমাকে কাঁদায় না। তোর এ বলিদান আমার অহমকে আরো ক্ষুরধার ও বিধ্বংসী করে তোলে। তোর অন্তর্নিহিত বেদনা পাঠকের মর্ম স্পর্শ করে না। পাঠকের কাছে এটি দূরবর্তী এক নির্জনতম বটবৃক্ষের মতো নিয়ত দুর্বোধ্যতর হয়ে উঠতে থাকে। এতে লুকায়িত আছে এমন এক রহস্য, সাধারণের কাছে যে-স্বাদ সহজলভ্য নয়। তবে যে-রাতে কোনও নিবিষ্ট পাঠকের কাছে এ গল্পের মর্ম উন্মোচিত হবে, তিনি তোর জন্য কাঁদবেন, আর আমার জন্য অবিরাম বর্ষিত হতে থাকবে অভিশাপ।
২৯ মার্চে তুই পারলারে গিয়েছিলি।
আর কোনওদিনই চুল ছাঁটবি না, আমার ইমোশন দেখে এ কথা বলেছিলি- জুনের এক ঝিমধরা বিকেলে ক্যান্টিনের নিরিবিলি কোনাটাতে মুখোমুখি বসেছিলাম, আমাদের চায়ের কাপ ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছিল। আমার চোখে পানি ছিল। পরের বছর সেই জুনেই অ’কে নিয়ে তোর সাথে দেখা করতে গেলে আমার সন্দিহান চোখ কুঞ্চিত হয়- দেখি, তোর চুল ছাঁটা, আর ভ্রু প্লাক করেছিস। আমি আশ্চর্য হই। সেদিনও আমার চোখে পানি আসে; তুই কথা রাখলি না!
প্রথমে অস্বীকার করলি, পরে চাপের মুখে বললি, অ’র চেয়ে সুন্দরী আর স্মার্ট দেখাবে তোকে, সেজন্য এটা করেছিস। হায়, যদি আমাকে বলে করতিস! আমি কি ধরে নিতে পারি না, অন্য কোনও উদ্দেশ্যে এটা করেছিলি!
তুই চুল ছাঁটবি, এ কথার প্রতিবাদ না করে বরং আমি সর্বমোট চারবার কেঁদেছিলাম তোর সামনে। তুইও তোর মৃত্যুর কসম খেয়ে বলেছিলি, জীবনে আর কোনওদিনই চুল ছাঁটবি না। সেই তুই আমার অবর্তমানে- যখন ২৮ দিন ধরে অভিমানে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছিলাম- সেই সময়ে পারলারে গিয়ে চুল ছেঁটে এলি। আমার বিশ্বাস ছিল, এ কাজটা তুই করতে পারিস না। তুই বলেছিলি- ‘আমার মৃত্যুর পর এসে দেখে যাস্ পাখি, আমি আর কোনওদিন চুল কেটেছিলাম কিনা।’ আমার আবেগ তুঙ্গে ছিল- সেই তুই এ কাজটা করলি! চোখের পানির কোনও দামই দিলি না! তুই বললি, ‘মোবাইল বন্ধ রেখেছিলি বলে রাগ করে চুল ছেঁটেছি, স’ সাক্ষী।’ রাগ করে চুল ছেঁটে সুন্দরী না সেজে পুরো মাথাটাই ন্যাড়া করে ফেলতিস- ক্ষোভের সঙ্গে আমি এ কথাটা বলেছিলাম।
গতকাল দুপুরে তুই ফোন দিলি। ঢেউহীন সমুদ্রের মতো শান্ত ছিল তোর কণ্ঠ। বললি, ‘আজ আমি একটা কাজ করবো।’
আজকের কথা। মোবাইল ঘরে রেখে আমি তখন বাইরে। এসে দেখি তোর আর স’র শ খানেক মিস্ডকল, গুটি কতক মেসেজ। স’র কল ধরতেই ক্ষিপ্ত ও বিস্মিত স্বরে বলে, ‘এটা তুই কী করলি? ও যে মাথা ন্যাড়া করে ফেললো! কাজটা কি ঠিক করেছিস?’
আমি মহান ভালোবাসার অনেক গল্প শুনেছি, আজ নিজের জীবনেই ঘটতে দেখছি- এমন ভালোও বাসতে পারে কেউ!
স’র হাত থেকে মোবাইল তুলে নিয়ে তুই বললি, হাসতে হাসতে- ‘কী রে, তোর ভালো লাগছে না? আমার কিন্তু খুব ভালো লাগছে!’
আমার মুখে কথা সরে না।
আমি অবশ্য তখনো পুরোটা বিশ্বাস করি নি। তবে কাজটি যে তোর দ্বারা ঘটানো সম্ভব তা আমার মন জানতো।
বুড়ি, তোকে আমি খুব খুব খুব ভালোবাসি...
২
একটা কনফারেন্সে যাবো বলে খুব তাড়াহুড়ো করে রেডি হচ্ছিলাম, তুই পাগলের মতো আমাকে কল করছিস। তোর ওপর রেগে ছিলাম। কারণ, গতরাত থেকে তুই বড্ড অপরাধ করছিস। নিয়ম ভাঙার চেয়ে বড় কোনো অপরাধ নেই আমার আদালতে। তোর উচিত ছিল আমাকে জানানো, অতঃপর অনুমতি নেবার প্রয়োজন ছিল। এ ব্যাপারে আমি আপসহীন তা তুই জানিস।
সকাল ৯টায় কল দিলি। আমি বললাম, ‘দুই মোবাইলে দুই সিম ইউস করছিস যে! তোর সাহস দেখে অবাক হই!’
তুই বললি, ‘গতরাতে ভাঙা সেটটা সারিয়ে এনেছি। তুই-ই তো বলেছিলি দুটো সিম ইউস করতে মানা নেই!’
‘ইউস করবার আগে আমি কেন জানলাম না? জানিস না, আমার অনুমতি ছাড়া এটা তুই পারিস না?’
‘তাহলে কোনটা বন্ধ রাখবো?’
‘এক কাজ কর, পুরোনো ভাঙা সেটটা, বাকি সিমগুলো, তোর ন্যাড়া মাথার চুল আর ছবিগুলো আজ বিকেলে কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দে। পারবি না?’
তোর ইগোতে খুব লেগেছিল। হুট করে রেগে গিয়ে বলে উঠলি, ‘আমার সার্টিফিকেটগুলো আজই ফেরত দে।’
আমার জন্য তোর সমগ্র অর্জনকে বিসর্জন দিতে তোর কোনো দ্বিধা হয় নি কোনোদিন। যেদিন প্রচণ্ড জেদ করে বলেছিলাম, হাইকোর্টের দিকে তুই আর এক কদম পা বাড়াবি না, তোর আর কোনো বন্ধু থাকতে পারে না আমি ছাড়া, দু দিনের মাথায় ১০০ গ্রাম ওজনের যে কুরিয়ারটি টেবিলের উপরে দেখতে পেলাম সকালবেলা অফিসে ঢুকেই, তার ভিতরে ছিল তোর ভার্সিটির মূল সার্টিফিকেটের কপি, হাইকোর্টের আইডি, বাড়তি কয়েকটা মোবাইল সিম। কোনো দীর্ঘ চিঠি ছিল না বরাবরের মতো, ক্ষুদ্র চিরকুটে লিখেছিলি - এগুলো পুড়িয়ে ফেল বাবুসোনা, আমি শুধু তোকেই চাই।
নরম স্বরে বলি, ‘আমি এখন কক্সবাজার। বৃহস্পতিবারে ঢাকা গিয়ে শুক্রবারে পাঠাবো।’
‘সঙ্গে ফ’র দেয়া শাড়িটাও ফেরত পাঠিয়ে দিবি।’
আমি ঠান্ডা স্বরে স্বাভাবিক জবাব দিই, ‘ঠিক আছে। আর যা যা বললাম, সবই কিন্তু পাঠিয়ে দিবি আজকের মধ্যেই।’
‘তার কি আর দরকার আছে?’
‘কেন, ওগুলো দিয়ে তুই কী করবি?’
‘সার্টিফিকেটগুলো আজই পাঠিয়ে দে। খুব দরকার।’
‘শুক্রবারের আগে সম্ভব না। এখন রাখি। আমি জরুরি কাজে যাচ্ছি।’
লাইন কেটে দিই। এরপর তুই যথাস্বভাবে অনেকগুলো কল দিলি, পাগলের মতো। আমি চিরদিনের জন্য মোবাইল বন্ধ করে দিলাম।
বৃহস্পতিবার ঢাকা এলাম। ট্রাঙ্ক খুলে দেখি ফ’র দেয়া শাড়িটা নেই। এ’ নিয়ে গেছে। ওর সাথে রাগারাগি করলাম। বাসায় তোর দেয়া সর্বশেষ চিহ্ন একটা সাদা ফতুয়া ছিল। বের করলাম। তোর ভার্সিটির সার্টিফিকেট, হাইকোর্টের আইডি, তোর দুটো বাংলালিংক আর একটা গ্রামীণ ফোনের সিম- একদিন আমাকে পাঠিয়েছিলি- এসব পুড়িয়ে আকাশে ছাই উড়িয়ে দেব।
তোর আমানত, তোর দেয়া মায়াময় গিফ্টগুলো শনিবারে কুরিয়ারে ফিরিয়ে দিলাম।
৩
২৬ এপ্রিলে তোর কুরিয়ার পাই। খুলতে গিয়ে এক্সাইটেড হয়ে গেলাম। তোর ছবি। পুরোটা মাথা, চোখের অর্ধেক, একপাশ থেকে তোলা; মুখের অংশ নেই। ছবি দেখে প্রথম ধাক্কায়ই মনে হলো, আমি তোর উপর খুব অত্যাচার করে ফেলেছি। আমি খুব নিষ্ঠুর, চোখের পানিতে মানলাম। সাথে সাথেই মোবাইল খুলে কল দিতে চেয়েছিলাম। যখন মনে হলো সার্টিফিকেটগুলো পেলে আমাকে আর খুঁজবি না, উৎসাহ হারিয়ে ফেললাম। তোর চুলগুলো প্যাকেটে ভরা, আমি ওগুলোর উপর হাত বুলিয়ে খুব আদর করলাম। তোর জন্য অনেক কাঁদলাম, অযথাই কষ্ট দিয়েছি তোকে- এ কারণে। তুই কি কোনওদিন আমার এই কান্নার কথা জানবি, আমার অন্তরের নিধি, পাগলি বুড়ি? কুরিয়ারে তোর চিঠি, প্রুডেক্স প্যাডের উপর লিখেছিস :
অনেক অপমান, অবহেলা, কঠিন সব শর্ত মেনে নিয়ে তোর সাথে সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু কী পেয়েছি?অনেক বেশি অপমান।
তুই বলেছিস, তোর কাছে বার বার ফিরে যাই বেহায়ার মতো... চলে যাচ্ছি, এ ন্যাড়া মাথা নিয়ে আর আসবো না। আমার খুব কষ্ট হবে রে! বুক ভেঙে যাবে। যতবার আয়নায় নিজেকে দেখবো, মনে হবে তোর দেয়া শাস্তি মনের শান্তি হিসাবে মেনে নিয়েছিলাম। প্রতিটা শাস্তি পার করতাম আর ভাবতাম- এটাই হয়তো শেষ। শুধু শাস্তিই দিয়েছিস, শাস্তির কখনো শেষ হয় নি। সার্টিফিকেটগুলোর দরকার, কারণ একটা চাকরি আমার না হলেই নয়। নয়তো আমার আমিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারছি না।
ভালো থাকিস।
আরেকটা টকুরোয় :
আমি ভুল করেছি, তোর মতো মিথ্যাবাদীর কথা বিশ্বাস করে। তোর জন্য সব হারিয়েছি। তবু তোকে পথে আনতে পারি নি। তুই একটার পর একটা শর্ত দিয়েছিস, আমি মেনে নিয়েছি। আর আমাকে বোকা বানাতে পারবি না। আমি তোকে চিনে ফেলেছি।
বিঃ দ্রঃ তুই আমার সাথে প্রতারণা করেছিস।
ফুটনোট :
গল্পটা বুঝতে অসুবিধা হলে দয়া করে সিকোয়েল ১ আর ৩ আগে পড়ে নিতে পারেন।
অ’ স’ ফ’ ল’ আর এ’ হলো ৫টি নামের আদ্যাক্ষর। ইচ্ছেমতো নামগুলো পুরো করে নিন। লিঙ্গ নির্ণয়ের ভারও আপনাদের উপরই ছেড়ে দিলাম।
গল্পে একটা ক্যারেক্টারের আদ্যাক্ষর উল্লেখ করা হয় নি। উৎসুক পাঠক সেটি নিজের গরজেই খুঁজে বের করবেন আশা করি।
৪ আগস্ট ২০১০ বিকাল ৫:৫১
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:১৫
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি কি সরকারী চাকুরী করেন?
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কর্পোরেট লাইফে কনফারেন্স, মিটিং-সিটিং-ইন্টারভিউ'র শেষ নাই
যাই হোক, আমি কী করি তা সোশ্যাল মিডিয়াতে আমি বলি না সোনাগাজী ভাই। দুঃখিত। প্লিজ মাইন্ড করবেন না।
৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫৬
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: পড়ে মনে হলো, প্রেমিকের ক্যান্সার টাইপ কিছু একটা হয়েছে। যার কারণে তার সব চুল ফেলে দিতে হয়েছে। পরে তার কাছ থেকে প্রেমিকাকে দূরে সড়ানোর জন্য নিষ্ঠুর সব আবদার করছে...
তবে মারাত্বক কনফিউজিং গল্প। তিনবার পড়ে এইটুকু মনে হলো। ভুলও হতে পারি আমি...
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তবে মারাত্বক কনফিউজিং গল্প। তিনবার পড়ে এইটুকু মনে হলো। ভুলও হতে পারি আমি...
এটা ঠিক, গল্পটা মারাত্মক কনফিউজিং। আপনি অসীম ধৈর্য নিয়ে ৩ বার পড়েছেন গল্পটা, এজন্য আপনার কষ্টের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি, একই সাথে ৩ বার পড়ার জন্য ধন্যবাদও জানাচ্ছি। ভুল-শুদ্ধ গুল্লি মারেন কোনো লেখা পড়ে তা নিজে নিজে যা বুঝি, তা থেকে প্রাপ্ত আনন্দটাই সার কথা।
শুভেচ্ছা রইল।
৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৪৭
এম ডি মুসা বলেছেন: সম্পর্ক শব্দটি উচ্চারিত হতে কেমন জানি লাগে -
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পুরো দুনিয়াটাই তো টিকে আছে সম্পর্কের জোরে
৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অ’স’ফ’ল’ আর এ’কে নিয়ে একটা সরল গল্প, সরল আর রইল কই!!
গল্পটির শানে নযুল আর ভিতরের সব তালগুল বুঝার জন্য সরল কোন
তরিকায় কাজ হবে বলে মনে হচ্ছেনা । গল্পটির কেন্দ্র বিন্দুতে
গিয়ে আরাদ্ধ বিষযটি জানার জন্য নীচে দেখানোর মত সকল
তরিকাই কাজে লাগাতে হবে আমার জন্য । তারপরে যদি
আই কিউ খুলে !! লেখার ভিতরকার মুনশিয়ানা সত্যিই
খুবই উচ্চমানের , দোয়া করেন এটা বুঝার তৌফিক
যেন হয় সামনের দিনগুলিতে ।
আপনার একটি লেখা থেকে অনুপ্রানিত হয়ে লেখা একটি মেরাথন পোষ্ট করতে
যাচ্ছি প্রকাশ আমার ব্লগে । ঘন্টা কয়েক পরে গেলে দেখা যাবে বিষয়টা কি রূপ
ধরেছে ।
শুভেচ্ছা রইল
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পটির কেন্দ্র বিন্দুতে গিয়ে আরাদ্ধ বিষযটি জানার জন্য নীচে দেখানোর মত সকল তরিকাই কাজে লাগাতে হবে আমার জন্য ।
ইয়ে, আমি আপনাকে ধাঁধায় ফেলবো কী, উলটো তো দেখি আপনিই আমাকে কঠিন তরিকার ভিতর ফেলে দিলেন ঐ তরিকার ভেতরে ঢোকা আমার পক্ষে সম্ভব নহে
এ গল্পটা আরো কয়েকবার এ ব্লগে শেয়ার করা হয়েছিল। তবে, এ পোস্টে সবচাইতে বেশি আলোচনা হয়েছিল -
২০১৩ সালের পোস্ট। আমি চাই না ওখানে গিয়ে মন্তব্যগুলো আপনি পড়ুন; পড়লে হয়ত আরো কঠিন ধাঁধা আপনাকে অতিরিক্ত বিরক্ত করে তুলতে পারে
পাখি নিয়ে লেখা আপনার অসাধারণ গবেষণা-প্রবন্ধটি পড়ে এলাম।
৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১০
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আপনার গল্পটা আমি মাত্র ১২ বার পড়লাম, শুধু আসল বিষয়টা ধরার জন্য৷ আমি এসব বিষয়ে একটু খুঁতখুঁতে। লেখকের ভাবনা ধরার চেষ্টা করলাম
এক্ষেত্রে আমি কয়েকটি সম্ভাবনা দাঁড় করালাম পাঠক হিসাবে। আপনি বলবেন কোনটা যুতসই হয়েছে বা আপনার ভাবনার কাছাকাছি গিয়েছে।
প্রথমত গল্পে অ, স, ফ, এ থাকলেও ল এর কোনো দেখা পাই নি। এক্ষেত্রে সম্ভাবনা দুটি:
১. গল্প কথক বা গল্পের দ্বিতীয় পুরুষ(নায়িকা) ল। গল্প কথককে ল হিসাবে আমি মানতে নারাজ৷ সেক্ষেত্রে গল্পের দ্বিতীয় পুরুষকে ল ধরে নিলাম। এক্ষেত্রে ভেবে নেই, গল্প কথকের সাথে অ এর প্রেম এবং গল্পের দ্বিতীয় পুরুষ ল কে সে ইচ্ছা মতন ঘুরাচ্ছে, ব্যবহার করছে, তার একটা অপশন ল আছে ভেবে শান্তি পাচ্ছে।
জীবনে অ না থাকলেই সে স ফ ল (সফল) হত। অথচ সে অন্য ভাবনায় মশগুল।
২. ল আসলে অন্য এক তৃতীয় মানুষ, যার সাথে গল্প কথকের সম্পর্ক। দুটি সিম ব্যবহার করাই যাই, এ কথা গল্পের দ্বিতীয় পুরুষ শুনেছে, গল্প কথকের কাছ থেকে৷ এক সিম থেকে গল্প কথক ল এর সাথে কথা বলে, অন্য সিমে গল্পের দ্বিতীয় পুরুষের (নায়িকা) সাথে। এজন্য বেশিরভাগ সময় গল্প কথককে মোবাইলে পায় না গল্পের নায়িকা।
কক্সবাজারেও গল্প কথকের সাথে ল থাকতে পারে, যার জন্য তার কাছে মোবাইলে পৌছানো কষ্টসাধ্য হয়।
ল এর সাথে সম্পর্ক থাকার পরও, গল্পের নায়িকার প্রতি গল্প কথক ভীষণ প্রোসেসিভ, কারণ গল্প কথকের এখানে হারাবার কিছু নেই। সে ইচ্ছা মতন রাগ, ক্ষোভ, অধিকার সব গল্পের নায়িকার উপর ফলাচ্ছে যা সে ল এর উপর ফলাতে পারে না। যে বিষয়গুলো ল কে বলে ব্যর্থ হচ্ছে, তাই সে গল্পের নায়িকাকে দিয়ে করাচ্ছে। নিজের অন্য প্রেমিকা থাকার পরও গল্পের নায়িকার কোনো ছেলে বন্ধু গল্প কথক মানতে পারছে না। কারণ ল এরও হয়ত ছেলে বন্ধু আছে, যাদের কাছ থেকে ল থেকে ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না।
এ বিষয়টা আমার বেশি মনে হচ্ছে।
৩। ল ই গল্পের নায়িকা, এবং গল্পের নায়ক প্রচন্ড রকম ব্যর্থ। সে তার জীবনে তেমন কিছুই পায় নি। তাই সে গল্পের নায়িকাকে হারাতেও চায় না আবার কাছেও চায় না। সে চায় তার প্রতি সদা আগ্রহে নায়িকা থাকুক। তার জন্য কেউ অপেক্ষা করুক, তার কথা কেউ শুনুক৷ সহজে গল্প কথককে পেয়ে গেলে, সব আগ্রহ হারিয়ে যাবে। তার চেয়ে বরং তার জন্য কেউ আজন্ম অপেক্ষা করুক।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আপনিও আলী ভাইয়ের মতোই উলটো আমাকেই ভীষণ ধাঁধায় ফেলে দিলেন যে গল্পটি ১২ বার পড়েছেন, তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে রহস্যের জট খোলার প্রতি আপনার তীব্র আগ্রহ ও অনুসন্ধিৎসা রয়েছে। আপনার কোন বিশ্লেষণটি আমার ভাবনার সাথে মিলে গেছে, বা কাছাকাছি গেছে, তা সরাসরি বলা যাচ্ছে না। তবে, আলী ভাইকে যে লিংকটি দিয়েছি, ওটা আপনাকেও দিচ্ছি - ২০১৩ সালের পোস্ট। আপনার প্রতিও ওয়ার্নিং থাকলো, লিংকটি আপনার অনেক টাইম খেয়ে ফেলতে পারে, নিজের অতখানি ক্ষতি করার কোনো প্রয়োজন নাই বলেই মনে করছি
আপনার বিশ্লেষণ ক্ষমতা অসাধারণ, এবং আপনি অনেক ব্রিলিয়ান্ট তা বলাই বাহুল্য।
গল্পটা পড়ে এমন বিশ্লেষণের জন্য অজস্র ধন্যবাদ।
৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১২
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: কোন সম্ভাবনাকে মানব বলেন?
৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৩
সোনাগাজী বলেছেন:
সরকারী চাকুরী করলে সেটা বলা, প্রাইভেটে থাকলে, ব্যবসা করলে, রিটায়ার্ড হলে, বলতে অসুবিধা কোথায়?
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
নাহ, এটা আমি পাবলিক করতে চাই না সোনাগাজী ভাই। শুভেচ্ছা থাকলো।
৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কঠিন কাহিনী।
আমি বুঝতে পারিনি।
আমার বুদ্ধি বরাবরই কম।
আফসোস!
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৫০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনি পড়েছেন, তাতেই আমি খুশি। সেজন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সাজ্জাদ ভাই। শুভেচ্ছা।
১০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০২
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়ে গেলাম।
১১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২১
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আপনার দেয়া লিংকের মন্তব্য ও উত্তর মিলিয়ে ১১০টা কমেন্টই পড়লাম। অবশেষে উদ্ধার করলাম রহস্য। আপনি নিজে দুটি সমাধান দিয়েছেন, আমি প্রথমটাকে মেনে নিলেও, পাঠক হিসাবে আমি আমার মতনই ভাবতে পারি। ১২বার পাঠ শেষে আমার কাছে যে চিন্তা এসেছিলো, সে চিন্তাই বহাল থাকুক। ভেবে নেই, গল্পের কাহিনি অমনই। একেক জন পাঠক একেক রকম সমাধান ভাবুক। এটাই বেশ।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ার স্টেমিনা দেখে এবার বিস্মিত হলাম। আপনার গল্প পড়ে আপনাকে খুবই জিনিয়াস মনে হয়েছে, তার প্রধানতম কারণ হিসাবে আমি নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি, আপনি খুব পড়ুয়া। মাথায় কোনো পোকা ঢুকে গেলে সেটাকে কিল না করা পর্যন্ত আপনার স্বস্তি হয় না। একজন লেখকের অনেক বড়ো একটা গুণ এটা।
একেক জন পাঠক একেক রকম সমাধান ভাবুক। এটাই বেশ। একেবারে আমার মনের কথাটাই বলেছেন। আমিও তাই মনে করি, অনেক কমেন্টে তা বলেছিও, একটা লেখা পাঠ করে পাঠক যা বুঝবেন, ওটাই ঐ পাঠকের জন্য মেজেজ। কেউ কিছু বুঝবেন, কেউ কিছুই বুঝবেন না, আবার কেউ পুরা ১৮০ ডিগ্রি উলটা, কিংবা খুব বাজেভাবেও বুঝে থাকবেন।
আবারও এত সময় ও শ্রম দিয়ে লিংকের কমেন্টগুলো পড়ে ফিরতি কমেন্টে আসায় আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আমি আমার অবসর সময় বা কাজের মাঝে পাওয়া সময়গুলো পড়েই কাটাই৷ আমার পড়তে ভালো লাগে।
আপনার ঐ গল্পের কমেন্টগুলোও চিন্তার ধারা অনেকটা উন্মোচিত করেছিলো৷ একেকটা কমেন্ট, একেক জনের একেক রকম ভাবনা, আমার মনে একেক রকম অনুভূতি দিয়েছে। আমার এটা ভালো লাগে, ভিন্ন ভিন্ন মানুষের ভিন্ন ভিন্ন মনস্তত্ত্ব বোঝার চেষ্টা লেখার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হয়। আপনার নিয়মিত গল্পের অপেক্ষায় রইলাম। আমি আপনার লেখার ভক্ত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যদি কেউ পড়তে চান, পড়েন, কমেন্ট করতে চাইলে করবেন, তবে আমি এখন ঘুমুতে গেলুম কমেন্টের জবাব দিব আগামীকল্য
শুভ ঘুমাহ্ন।