নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
এবার অল্প সময়ের ব্যবধানে বেশ কয়েকটা নতুন গান করে ফেলেছি। কয়েকটা লিরিক আগেই লেখা ছিল। সুর ধরে ফেলা মাত্র লিরিক সাজিয়ে ফেললাম, গেয়েও ফেললাম।
প্রফেশনালদের ব্যাপারে আমার তেমন ধারণা নেই, কিন্তু আমার সুর সৃষ্টির ব্যাপারটা একটু অদ্ভুত। আনমনে গুনগুন করতে করতে, কিংবা কোনো গান গাইতে গাইতে, পথে বা গাড়িতে চলতে চলতে, পিসিতে কাজ করার সময় হঠাৎই নতুন সুরের মধ্যে ঢুকে যাই। এমনও হয়েছে, আমারই কোনো গানের মিউজিক কম্পোজ করছি, গাইতে গাইতে আনমনে অন্য একটা সুর করে ফেলেছি। প্রচলিত গানও ক্যাজুয়ালি আঁকাবাঁকা করে, টেনে টেনে, ভেঙেচুরে গাইতে গাইতে দেখেছি সম্পূর্ণ একটা নতুন সুর হয়ে গেছে। এভাবে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটা নতুন সুর ধরে ফেলেছি এবং এগুলোকে একটু ভালো মনে হওয়ায় শুধু সুরগুলোকে ধরে রাখার জন্য খালি গলায়ই রেকর্ড করে ফেললাম (১ম গানটায় সামান্য মিউজিক দেয়া হয়েছে)। গানে মিউজিক অ্যাড করা একদিকে খুব ঝামেলার কাজ, অন্যদিকে অনেক সময় খেয়ে ফেলে। তাই আপাতত মিউজিক ছাড়াই এগুলো শেয়ার করলাম। ভবিষ্যতে সময়মতো মিউজিক যোগ করা হবে।
নীচের প্রথম গান দুটোর অন্তরার সুর একটা কঠিন এবং চড়াও, গাওয়ার সময় একদিকে গলা তেমন ভালো ছিল না, অন্যদিকে অনেক উঁচু স্কেলে গেয়ে ফেলি, ফলে অন্তরার শেষের দিকে গলা বেশ ফেটে ফেটে গেছে। ৩য় গানটার সুর নরম, আজ গলাটাও একটু ভালো ছিল, গান ধরলাম একটু নীচু স্কেলে। খারাপ হয় নি মনে হয়।
১। একদিন নিবিড় সন্ধায় দুজনে মুখোমুখি।
একদিন নিবিড় সন্ধ্যায়
দুজনে মুখোমুখি
দেখবো তাকিয়ে আয়নায়
যেভাবে নিজেকে দেখি
আমার আকাশ মন দেব খুলে
তুমিও খুলে দিও জানালা তোমার
হৃদয় দিয়ে ছোঁবো হৃদয়ের রঙ
ফোটাবো রাঙা ফুল ভালোবাসার
হয়ত আমাকে বুঝবে সবখানি
আমিও বুঝতে চাই তোমাকে
আমরা খুঁজে পাব গোধূলি বেলায়
কাকলিমুখর এক পাখিদের দেশ
আমরা হেঁটে যাব আলপথ ধরে
সবুজে সোনায় ভরা ফসলের ক্ষেত
কী যে অনাবিল শান্তি সেখানে
চিরকাল ফোটে প্রেম ফোটে প্রেম
০২ মার্চ-২৯ এপ্রিল ২০২৪
কথা, সুর, মিউজিক কম্পোজিশন ও কণ্ঠ : খলিল মাহ্মুদ
মিউজিক কম্পোজিশন গাইড : বেবি লাবিব
গানের লিংক : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - একদিন নিবিড় সন্ধ্যায় দুজনে মুখোমুখি
অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।
২। আমি তো হেরেই গেলাম।
আমি তো হেরেই গেলাম
তোমাকে পাব বলে গোলাপ বনের
অযুত কাঁটার
সয়েছি আঘাত
হৃদয়ে কাঁটার আঘাত
তবু এই মনের কাছে মন রাখো নি
আমি তো হেরেই গেলাম
আমি তো হেরেই গেলাম
মনের কাছে মন না পেয়ে
তোমাকে এই জীবনে পাওয়া হলো না
তোমাকে পাব বলে সাত সাগর আর
তেরটি নদী
পেরিয়ে যাব
পেরিয়ে অনেক দূরে
তোমাকে হারিয়ে আমি তোমাকেই চাই
তোমাকে হারিয়েও তোমাকেই চাই
হারানোর বেদনাতে
হারানোর বেদনাতেই
তোমায় পাওয়ার সুখ পেতে চাই
তবু তো থাকবে তুমি আমারই হয়ে
০৫ মে ২০২৪
কথা, সুর ও কণ্ঠ : খলিল মাহ্মুদ
গানের লিংক : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - আমি তো হেরেই গেলাম
অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।
৩। তোমার জন্য মন পড়ে যায়
তোমার জন্য মন পুড়ে যায়
তোমার জন্য বুক পুড়ে যায়
তোমার জন্য অন্তর আমার ক্ষইয়া ক্ষইয়া যায়
তুমি এখন কোথায় আছো
আমায় একলা থুইয়া রে
আমরা ছিলাম একটি বোঁটায় দুইটি রাঙা ফুল
একটুখানি জু্দা হইলে প্রাণ হইত আকুল
মায়ার জালে বাইন্ধা আমায় কই গেলা পালাইয়া রে
কোন আকাশে আছো তুমি কোন জমিনে ঘর
কোন ঠিকানায় পাব তোমায় কে দিবে খবর
জীবন আমার ফানা হইল তোমারে হারাইয়া রে
১০ মে ২০২৪
কথা, সুর ও কণ্ঠ : খলিল মাহ্মুদ
গানের লিংক : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - তোমার জন্য মন পুড়ে যায়
অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।
গানেই থাকুন। শুভ গানবেলা।
১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৪৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ইফতেখার ভাই, প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি গান শোনার জন্য, কমেন্ট করার জন্য এবং গঠনমূলক কমেন্ট করার জন্য।
ক্লাস নাইন-টেনে 'বরষার বিল' নামক কবিতার কবি গোবিন্দ চন্দ্র দাসের ব্যাপারে জেনেছিলাম, তিনি একজন স্বভাব কবি ছিলেন। বড়ো হয়ে এ বেলায় এসে বুঝতে পারলুম, আমি একজন স্বভাব গীতিকার ও স্বভাব সুরকার জীবনেও গান শেখার সুযোগ হয় নি, তবে প্রচুর গান শুনেছি (বাংলা গান) এবং গানের আলোচনা-সমালোচনা বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়েছি। গানের ব্যাপারে এক-আধটু বুকিশ নলেজ আছে মাত্র, ব্যবহারিক নেই। এ নিয়েই আমি গান লিখি, সুর করি। আমি গানের শিল্পী নই, কিন্তু সুর করা গানগুলো ধরে রাখার জন্য একটা কণ্ঠের প্রয়োজন, আমি শুধু নিজের কণ্ঠটাকে সেই ধারক হিসাবেই ব্যবহার করছি, শিল্পী হিসাবে না।
ছবির ব্যাপারে আপনার অবজারভেশন ঠিক। কিছু কিছু ছবির অনুমতি পাওয়া গেছে। এ দেশের বিখ্যাত নায়ক-নায়িকাদের ছবি। এগুলো পাবলিক প্রপার্টি হিসাবেই ব্যবহার করছি।
আবারও আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি চমৎকার কমেন্টের জন্য।
২| ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি তো ভালোই গান করেন, আমাকে গান শিখাবেন?
১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৪৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মিস্টার জ্যাক, আপনার কমেন্টের ধরন আমাকে বলে দিচ্ছে, আপনি নিজেই এ লাইনে ওস্তাদ লোক। তো, মাঝে মধ্যে সাজেশন দিতে আজ্ঞা হয় বটেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দারুণ লিরিকস! গান এখন ও শুনতে পারি নাই, শুনে জানাবো।
১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু লিরিকগুলো পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
৪| ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০
বাকপ্রবাস বলেছেন: প্রথমজন কমেন্ট এর সূত্র ধরে আরেকটু এগুচ্ছি। ওনার ব্যাপারটা আমিও বলতে চাইছিলাম। আপনি নিজের তৈরী ভিডিও ছবি দিতে পারেন। মনিটাইজেশান এর ব্যাপারটা রাখতে চাইলে সব নিজের হলে ভাল। আপনার গানগুলো প্রফেশনাল কম্পোজার এর হাতে পড়লে অনন্য হয়ে উঠবে বলে মনে করি।
১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর পরামর্শের জন্য শুরুতেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি, কবি।
আমার চ্যানেলের আসলে মানিটাইজেশনের কোনো সুযোগ নেই। চ্যানেল শুরুই করি থার্ড পার্টি কন্টেন্ট শেয়ার করে। আমার ছেলেমেয়েদের গান ও বিবিধ বিষয়ের কন্টেন্ট, আমার প্রিয় গান, মুভি আপলোডিং ছিল তখন আমার নেশা। তখন ইউটিউবের পলিসিও এত কমপ্লিকেটেড ছিল না। হঠাৎ একদিন আমার ছেলেমেয়েরা আমার চ্যানেল মানিটাইজ করে ফেললো। কিন্তু সপ্তাহ খানেক পরেই ওরা হতাশ হয়ে বললো, ইউটিউব পলিসি চেঞ্জ করে ফেলেছে, নিজের কন্টেন্ট না হলে মানিটাইজ করা যাবে না।
আমি মানিটাইজেশনের আশা বাদ দিয়ে আমার প্রিয় গানগুলোর মিউজিক ভিডিও বানানোর নেশায় মেতে উঠি। ওগুলো খুব জনপ্রিয় হয়, বিশেষ করে পুরোনো দিনের গানগুলো, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, লালনগীতি ও পল্লীগীতি। ২০১৩/১৪-তে নিজের লেখা গানও একটা/দুটো শেয়ার করতে থাকি। ভিডিও বানানোর জন্য বিভিন্ন মুভির স্ন্যাপশট, ভিডিও, স্টিল পিকচার ইউস করতাম। এভাবেই চলছিল। শেষের দিকে এসে বিভিন্ন অ্যাক্টর/অ্যাক্ট্রেস-দের ছবি যোগ করতে থাকি। এভাবেই চলছে এখনো।
নিজে প্রফেশনাল হলে প্রফেশনালদের হাতে গানগুলো যেত অনেক আগেই। আমার প্রফেশনাল এক বন্ধু বলেছিল। কয়েকজন প্রফেশনালের সাথে যোগাযোগও করেছি। কিন্তু প্রচুর টাকা চলে যাবে এতে, যা নষ্ট করার মতো সঙ্গতি আমার নাই।
তবে, আমার লক্ষ হলো, গানগুলো আপাতত ধরে রাখা। আমার ছেলেরা প্রফেশনাল মিউজিশিয়ান হতে যাচ্ছে। একদিন হয়ত ওরা নিজেরাই বাবার গানগুলোকে স্পনসর করতে নেমে যাবে।
গানগুলো অন্য এক্সপোজার পাক বা না পাক, আমি আমার নিজের সন্তুষ্টি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। যদি কারো ভালো লেগে যায়, সেটাই আমার অনুপ্রেরণা হয়।
আপনার কমেন্টের অছিলায় পাঠকের জন্য বিস্তারিত লিখে ফেললাম। অবশ্য এ কাহিনি আরো অনেক পোস্টেই উল্লেখ করা হয়েছে এর আগে
ভালো থাকবেন কবি।
৫| ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
গান তিনটি শুনলাম বিমুগ্ধ হয়ে ।
শাস্ত্রীয় সংগীত, বাংলা ধ্রুপদি ও লোকসংগীতের "ত্রিবেণীসংগম"
ঘটেছে মনে হল এই তিনটি গানে ।
আপনার গান যেন আপনার গান বলেই মনে হয় আমাদের সকলের কাছে
সেই তো আমাদের পরম চাওয়া একজন গায়ক কবির কাছে ।
নিজে রচনা করলেন, অথচ পরের মুখে নষ্ট হবে কোন ভাবে, এ তো সত্যিই অসহ্য।
মেয়েকে অপাত্রে দিলে যেমন সব-কিছু সইতে হয়, এ যেন সে রকম না হয়।
তাই, ভাল কোন কন্ঠ শিল্পির হাতে তুলে না দিতে পারলে নীজের রচিত গান
নীজ সুরে, নীজ কন্ঠে গাওয়াই অনেক বেহেতর ।
পরের গানের উন্নতি সাধনে প্রতিভার অপব্যয় না করে নিজের গানের রচনায়
মন দেয়াই আনেক ভাল।সংসারে যদি উপদ্রব করতেই হয় তবে অনেক খ্যাতনামা
একনায়কের ন্যায় নিজের নামের জোরে করাই ভালো, সেটাই চিরকালীন হয় ।
আপনার বেলাতেও ঠিক তেমনটিই ঘটতে দেখছি সেই কবে থেকেই ।
যে মানুষ রচনা করে সে তাকে জন্ম দেয় মাত্র, যে মানুষ গায় সে তাকে
হয় বাঁচায় নয় মারে।আপনি আপনার গানকে নীজের সুরে নীজে গেয়ে
বাঁচিয়ে রাখছেন এর থেকে ভাল আর কি আছে ।
আপনার গানের হৃদয় নিংরানো কথা , সহজ হালকা তবে মাধুর্যমন্ডিত সুর,
সকলেরই ভালো লাগবে, আমার কাছে ভাল লেগেই আছে ।
প্রেম ও প্রকৃতি দুটোই জড়াজড়ি করে মিশে থাকে আপনার গানে
মানুষের হৃদয়কে এরকম গানের দিকেই সহজেই টানে ।
আমি এক রাত জাগা ব্লগার ,প্রায়শই রাত জেগে সামুর পাতা খুলে
অনেক প্রিয় লেখক আর কবির লেখা পড়ি। আপনার মত প্রিয় লেখক
কবি আর গায়কের কন্ঠে গাওয়া গান যখন শুনি, তখন রাতের বুকের
মাঝে মাঝে মিটি মিটি করে জ্বলা তারা যখন মিলিয়ে যায় সকল খানে
আর সে সময় নীজের অজান্তে কিছুটা তন্দ্রায় গেলেও তন্দ্রা ছুটে গেলে
অনুভবি গানটির সুরের মুর্ছনা যেন লেগে আছে অমার মনের বাতায়নে।
সে অনুভব থেকেই একরাশ শুভেচ্ছা
জানিয়ে গেলাম প্রিয় গায়ক কবিকে ।
০৯ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:০১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক খোঁজাখুঁজির পর কমেন্টটি খুঁজে পেলাম। উত্তর লিখছি এখন।
০৯ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আপনার গান যেন আপনার গান বলেই মনে হয় আমাদের সকলের কাছে
সেই তো আমাদের পরম চাওয়া একজন গায়ক কবির কাছে ।
নিজে রচনা করলেন, অথচ পরের মুখে নষ্ট হবে কোন ভাবে, এ তো সত্যিই অসহ্য।
মেয়েকে অপাত্রে দিলে যেমন সব-কিছু সইতে হয়, এ যেন সে রকম না হয়।
তাই, ভাল কোন কন্ঠ শিল্পির হাতে তুলে না দিতে পারলে নীজের রচিত গান
নীজ সুরে, নীজ কন্ঠে গাওয়াই অনেক বেহেতর ।
পরের গানের উন্নতি সাধনে প্রতিভার অপব্যয় না করে নিজের গানের রচনায়
মন দেয়াই আনেক ভাল।সংসারে যদি উপদ্রব করতেই হয় তবে অনেক খ্যাতনামা
একনায়কের ন্যায় নিজের নামের জোরে করাই ভালো, সেটাই চিরকালীন হয় ।
আপনার বেলাতেও ঠিক তেমনটিই ঘটতে দেখছি সেই কবে থেকেই ।
যে মানুষ রচনা করে সে তাকে জন্ম দেয় মাত্র, যে মানুষ গায় সে তাকে
হয় বাঁচায় নয় মারে।আপনি আপনার গানকে নীজের সুরে নীজে গেয়ে
বাঁচিয়ে রাখছেন এর থেকে ভাল আর কি আছে ।
আপনার গানের হৃদয় নিংরানো কথা , সহজ হালকা তবে মাধুর্যমন্ডিত সুর,
সকলেরই ভালো লাগবে, আমার কাছে ভাল লেগেই আছে ।
প্রেম ও প্রকৃতি দুটোই জড়াজড়ি করে মিশে থাকে আপনার গানে
মানুষের হৃদয়কে এরকম গানের দিকেই সহজেই টানে ।
আপনার কথাগুলো অনেক বাস্তবসম্মত।
আমার এ কাজের জন্য আমাদের পূর্বসূরিরাই আমার প্রেরণা। একটা গান লিখে নিজে সুর করতে হলে ওটা নিজেকেই গাইতে হবে সবার আগে। লালন, রবীন্দ্র, নজরুল থেকে শুরু করে হাসন রাজা, শাহ আব্দুল করিম, বিজয় সরকার, প্রমুখ কবি ও বাউলশিল্পীরা অজস্র গান লিখেছেন ও সুর করেছেন। আমাদের সময়ে আমরা যে-সব সুবিধাদি ভোগ করছি, তাদের সময়ে এত সুযোগ-সুবিধা থাকলে তাদের রচনা-সম্ভার বর্তমানের চাইতে আরো বহুগুণ বেশি হতো বলে আমার বিশ্বাস। আমি একটা সুর পাওয়া মাত্রই মোবাইলে রেকর্ড করে ফেলি, মাথায় একটা লিরিক আসা মাত্র মোবাইলে বা পিসিতে টুকে ফেলি। চিন্তা করুন, লালন, রবীন্দ্র, নজরুলদের কি এই সুযোগ ছিল? তাদের এই সুর ও লিরিকের জন্য কাগজ লাগতো, সুর তোলার জন্য অনবরত চেষ্টা করে যেতে হতো, কোনো এক ফাঁকে সুরটা বা লিরিকটা হয়ত চিরতরে হারিয়েও যেত। আমাদের কিছুই হারায় না, যা থাকে ওটার উপরও মার্জন, পরিমার্জন করতে থাকি।
পূর্বসূরিদের উদাহরণই আমার অনুপ্রেরণা। আমার সৃষ্টি কোনোটাই হারাবে না। অনেক মাধ্যমে এগুলো সংরক্ষিত হচ্ছে, ইউটিউব, ফেইসবুক, পিসি, অনলাইনের আরো কিছু মিডিয়ায়। যতদিন এসব সোশ্যাল মিডিয়া থাকবে, আমার গানগুলো থাকবে ততদিন। কারো কাছে ভালো লাগলে সে শুনবে, কারো ইচ্ছে হলে সে গাইবে। আমার চাওয়া এতটুকুই।
প্রফেশনাল কাউকে দিয়ে গানগুলো গাওয়াতে গেলে প্রথম সমস্যা হলো পেমেন্ট। আমাকে টাকা খরচ করতে হবে। একটা-দুটো গানের জন্য তা করা যায়, কিন্তু আমার সবগুলো গানের জন্য তা করা কখনোই সম্ভব নয়। সুরের কিছুটা বদল হতে পারে এক গায়ক থেকে আরেক গায়কে, কিন্তু মূল সুর থেকে বিচ্যুত হলে সেটা হবে প্রকট সমস্যা। আবার ক্রেডিট যদি উহ্য থাকে, কিংবা অন্য কারো নামে চলে যায় (সেটা করার সাহস কেউ পাবে বলে মনে হয় না), সেটা হবে আরো দুঃখজনক।
সব দিক বিবেচনা করে, আপনার বলা কথাগুলোই সব দিক থেকে উপযুক্ত মনে হয়।
০৯ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
আমি এক রাত জাগা ব্লগার ,প্রায়শই রাত জেগে সামুর পাতা খুলে
অনেক প্রিয় লেখক আর কবির লেখা পড়ি। আপনার মত প্রিয় লেখক
কবি আর গায়কের কন্ঠে গাওয়া গান যখন শুনি, তখন রাতের বুকের
মাঝে মাঝে মিটি মিটি করে জ্বলা তারা যখন মিলিয়ে যায় সকল খানে
আর সে সময় নীজের অজান্তে কিছুটা তন্দ্রায় গেলেও তন্দ্রা ছুটে গেলে
অনুভবি গানটির সুরের মুর্ছনা যেন লেগে আছে অমার মনের বাতায়নে।
সে অনুভব থেকেই একরাশ শুভেচ্ছা
জানিয়ে গেলাম প্রিয় গায়ক কবিকে ।
আপনার লেখায় যে কাব্যিকতা, তা সত্যিই হৃদয়গ্রাহী। এমন হৃদয়গ্রাহী ভাষায় আপনার প্রশংসা পেয়ে আমি সত্যিই আপ্লুত এবং ধন্য। ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করা যাবে না, তা শোধও হবে না, তবু হৃদয় থেকে আপনাকে জানাচ্ছি অনেক অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় আলী ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: কথাগুলো আপনার লিখা আর সুরও আপনার করা জেনে ভালো লাগছে। বিষয়গুলো যথেষ্ট ক্রিয়েটিভ আর প্রচুর ধৈর্য্যের প্রয়োজন বলে মনে হয়। সাধা গলায় গানগুলো তুলতে পারলে মনে হয় আরো সুন্দর হতো। আমার ভুল হতে পারে তবে আপনি খুব সম্ভবত গান শেখা বা রেওয়াজ করা গায়ক নন। কিছু শব্দের উচ্চারণ সঠিক মনে হয় নি আর আপনার গানগুলোতে টিভির লোকজনের ছবি ব্যবহার করাটা সঠিক মনে হয় নি। আইনগত ঝামেলার বিষয়টি থেকেই যাচ্ছে। তবে অনুমতি নিয়ে থাকলে সেটা ভিন্ন ব্যাপার। তারপরেও আপনার অদম্য প্রচেষ্টাকে স্বাগত ও সাধুবাদ জানাই। আপনার প্রতিভা আছে মানতে হবে কারন এসব কাজ সবাইকে দিয়ে আসলেই হয় না। চেষ্টা অব্যাহত থাকুক এটাই প্রত্যাশা করছি। ধন্যবাদ।