নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি তো অবশেষে তোমার অপরাধ মেনে নিয়েছি

১৩ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

এটা আগের গান। আগে দৈর্ঘ্য বেশি ছিল, বেশ অগোছালো ছিল। আজ একটু সময় নিয়ে ট্রিম করলাম এবং একটু রিফাইন করারও চেষ্টা করলাম।



আমি তো অবশেষে
তোমার অপরাধ
মেনে নিয়েছি
কেন যে আজো কোনো
প্রশ্নের দাও নি জবাব

বহুবার ভুল করে
বহুবার চেয়েছ ক্ষমা
আমি তো প্রতিটা ভুলই ক্ষমা করেছি
তারপরও কেন তুমি
সব দাগ মুছে ফেলে
আবার নতুন করে
শুরু করো নি
ফিরে আসো নি
কেন যে আজো কোনো
প্রশ্নের দাও নি জবাব

কখনো প্রজাপতি
কখনো-বা দেখি বালুহাঁস
হয়ত সবুজ কোনো গ্রামে মিশে যাই
বাসনায় ভিড় করে
একদিন ফিরে এসে
আবার পায়ে পায়ে
হাঁটবে তুমি
হাত ধরবে
কেন যে আজো কোনো
প্রশ্নের দাও নি জবাব

০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২


কথা, সুর, মিউজিক কম্পোজিশন ও কণ্ঠ : খলিল মাহ্‌মুদ
মিউজিক কম্পোজিশন গাইড : বেবি লাবিব

AI : Kits.ai and freepik.com
Audio & Video Making Software : FL Studio and Filmora Wondershare
Image Generation and Audio/Video Making : Khalil Mahmud

গানের লিংক : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - আমি তো অবশেষে তোমার অপরাধ মেনে নিয়েছি।

অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।



পুরোনো পোস্ট

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১:০৫

সোহানী বলেছেন: বাহ্ দারুনতো।

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধন্যবাদ আপু কমেন্টের জন্য। শুভেচ্ছা নিন।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ ভোর ৬:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



অবশেষে অপরাধ মেনে নেয়ার ভাবনার গতিপ্রকৃতিতে যে এত রকম ভিন্নতা তা দেখা গেল গীতিকায়।
প্রকৃত প্রেমে কারো অপরাধ স্পর্শ করে না, বা স্পর্শ করলেও, তা প্রতিনিয়ত নীজের সঙ্গেই কথোপকথন
করে যায় ।প্রকৃত প্রেমের বীজমন্ত্র কখনো অশুভ ও অমঙ্গলবোধ এর নিয়ামক হতে পারেনা , অপরাধবোধতো
সেখানে তুচ্ছ । পাত্রের আধার যত বড় হয়, তার আধেয় তত বেশি। সেই পাত্র ততই অপেক্ষা করে থাকতে
পারে প্রেমিকের নিবিড় নিভৃত কথাগুলিকে ধরার জন্য, ঠিক যেমন হৃদয় তন্ত্রীর অন্দরমহলের সঙ্গেও তার
দেখা হয়, শব্দের নীরবতার সঙ্গেও যোগাযোগ হয়। কিন্তু এই নীরবতা, এই শূন্যতা প্রেমিকের নিত্য ব্যবহার্য
শূন্যতা ও নীরবতার থেকে এতটাই আলাদা, যে সেই শূন্যতার পরিসরে যে অনেক বেশি পূর্ণতার প্রকাশ
যদিউ তার অনেকটাই অধরাই থাকে।

এ গীতিকাটি পাঠ ও শুনার সময় একটি কথা মনে বাজে যেখানে কবি জীবনানন্দ বলেছিলেন ‘‘বধূ শুয়েছিল
পাশে, শিশুটিও ছিল, প্রেম ছিল, আশা ছিল”, তবু সেই কবিতার লোকটি চাঁদের আলোয় কোন ভূত দেখল, যে
সেই বিপন্ন বিস্ময় তাকে নিয়ে লাশকাটা ঘরে? কামু যেমন বলেন মিথ অফ সিসিফাসে - ‘‘Killing yourself
amounts to confessing, it is confessing that life is too much for you or rather you do
not understand it”। াআসলেই জীবন এত বড় যে আমরা তাকে বুঝতেই পারছি না যে জীবন কেমন
করে মনের মধ্যে অন্যরকম বোধের জন্ম দিচ্ছে, যা কারো জীবনকে করছে গভীর ভাবে রিক্ত এবং বিচ্ছিন্ন ।
আমি ভাবার চেষ্টা করি, বিপন্ন বিস্ময় কি গিতিকারকে এতটাই বিস্মিত করছে, যে তিনি জীবনের ক্ষুদ্রতর
দিকগুলিকে ছেড়ে বৃহত্তর দিকগুলিকে আঁকড়ে ধরছেন? এই বিপন্ন বিস্ময় কি তাঁকে নিশ্চেষ্ট করছে? নীরব
করছে? উদাসীন করছে? নিস্পৃহ করছে? জরা, জীর্ণ এবং দুঃখ কিছুই নাই তাতো!

কবি গুরুর ছিন্নপত্রের একটি চিঠিতে পড়েছিলাম ছোট দুঃখে হৃদয় বিদীর্ণ হয়ে যায়, কিন্তু বড় দুঃখে হৃদয় প্রশান্ত
হয়ে আসে। ছোট দুঃখ ও বড় দুঃখের মধ্যে এটাই ফারাক, এটিই জীবনদর্শনের অন্যতম সার কথা। প্রকৃত ভালবাসায়
প্রজ্ঞা একদিনে আসে না। নিষ্পেষণে ক্রমে ক্রমে অঙ্গারের মতন সংযমে, হীরকের জন্ম হয়, দ্যুতিময়, আত্মসমাহিত,
তাইতো, প্রেমাশ্চদের অপরাধকে ক্ষমা করে দেয়ার মানসিকতা গড়ে উঠে ।

জীবনের না পাওয়ার রিক্ততা শূন্যতা নয়, শূন্যতা ভরে থাকে পূর্ণতার বিষাদে। এই বিষাদই কি তবে আনন্দ?
যা আমরা আনন্দের আভিধানিক অর্থে বুঝি করুণামিশ্রিত ভালোবাসা – যার মধ্যে বিষাদ নেই? শূন্যতা যেন এক
পূর্ণতার অংশ, আর সেই শূন্যতার মধ্যে সমস্ত দুঃখ পরস্পরের সঙ্গে মিলেমিশে গিয়ে জন্ম দিয়েছে এক পরিব্যাপ্ত
দিগন্ত গানের কথায় ও সুরে ।

তন্ময় হয়ে গানটি শুনছি আর লিখছি এ মন্তব্যখানি । শেষে এসে কেনো যে আজো কোন প্রশ্নের দাওনি জবাব
প্রসঙ্গে কবি গুরুর এই কবিতাটির কথা মনে পড়ে যায় -
প্রথম দিনের সূর্য
প্রশ্ন করেছিল
সত্তার নূতন আবির্ভাবে –
কে তুমি?
মেলে নি উত্তর।
বৎসর বৎসর চলে গেল।
দিবসের শেষ সূর্য
শেষ প্রশ্ন উচ্চারিল
পশ্চিমসাগরতীরে
নিস্তব্ধ সন্ধ্যায় –
কে তুমি?
পেল না উত্তর।

যাহোক কামনা করি খুব শীঘ্রই পেয়ে যাবেন প্রশ্নের উত্তর ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৪৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: স্কুল-কলেজে পড়ার সময় অধ্যাপক কনক রেজা বা অধ্যাপক কামাল আতাউর রহমান নামে একজনের বাংলার নোট পড়তাম। তিনি ঢাকা কলেজের শিক্ষক ছিলেন, তবে আমরা ভর্তি হওয়ার পর তিনি তিতুমীর কলেজে চলে যান। এইচ এস সির সিট পড়েছিল আবার তিতুমীর কলেজে। সেখানে তিনি ইনভিজিলেটর ছিলেন, এবং তাকে দেখি। যাক সে কথা, তার নোট পড়তাম আমি খুব আগ্রহ নিয়ে, সেই নোট পড়ে পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তর লিখবো উদ্দেশ্য তা ছিল না। তার একেকটা প্রশ্নের উত্তরই ছিল একেকটা পূর্ণাঙ্গ সাহিত্যপত্র। তার ভাষার গভীরতা ও কারুকাজ আমাকে টানতো ও মুগ্ধ করতো। অজস্র জায়গা থেকে রেফারেন্স টেনে তিনি উত্তরগুলো লিখতেন, আমি বেশি আগ্রহবোধ করতাম সেখানেই। এখনকার মতো ঐ সময়ে পড়ার জন্য এত মেটারিয়ালস পাওয়া যেত না, নিশ্চয়ই জানেন। তার নোটগুলো সাহিত্যপাঠের তৃষ্ণা মেটাতো, যেমন তৃষ্ণা মেটাতো হরলাল রায়ের বাংলা ব্যাকরণ ও রচনা বইটি।

আপনার কমেন্টগুলো পড়লে কনক রেজার সেই সাহিত্যকর্মের কথা মনে পড়ে। আপনার একেকটা কমেন্ট হয়ে ওঠে একেকটা পোস্ট, মূল পোস্টকে ছাপিয়ে যায় আপনার কমেন্ট।

আপনার এই কমেন্টটি আমার গানটিকে খুব মহিমান্বিত করলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ এ কমেন্টটির জন্য, প্রিয় আলী ভাই।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৫০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এবারের সুর চমৎকার হয়েছে।

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৪৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কথাটা শুনে ভালো লাগলো জলদস্যু ভাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে গানটা শোনার জন্য।

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:০৭

এম ডি মুসা বলেছেন: চমৎকার।

১৪ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৪৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গানটা শোনার জন্য অনেক ধন্যবাদ মুসা ভাই।

৫| ১৫ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:২১

শায়মা বলেছেন: অনেক সুন্দর ভাইয়া।

১৬ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.