![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।
আমাদের সময়টা তখন উদ্দাম তুফানের মতো। আমরা আড্ডা দিই, শহর ঘুরে বেড়াই। অমন সময়ে আমরা কয়েকজন ক্লাসমেট, যাদের নাম করিম, শাহনাজ, শাহজাহান, ইমরান, জাহিদ- হঠাৎ একটা প্ল্যান করি, আমরা একটা সাহিত্যপত্রিকা বের করবো।
এর মধ্যে ইমরান অলরেডি পুরোদমে লেখালেখি করছে, বড়ো বড়ো পত্রপত্রিকায় লেখা বের হয়, দুটো বই প্রকাশিত হয়েছে, আমারও একটা-দুটা বই বের হয়েছে, কাজেই ইমরান আর আমি লজ্জার সাথেই নিজেদেরকে লেখক হিসাবে মেনে নিয়েছি। ওদিকে করিম, শাহনাজ, জাহিদ হলো বইয়ের পোক, ভীষণ পড়ুয়া। লেখক হিসাবে ওদের স্বীকৃতি পেতে আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নাই।
সিদ্ধান্ত হলো আমরা পত্রিকা বের করবো। খরচ বহন করবো আমরা ভাগাভাগি করে নিজেরাই। সম্পাদনা ও প্রকাশনার দায়িত্ব আমার। পত্রিকার নাম সবুজ অঙ্গন - আমাদের গ্রামের ক্লাব 'সবুজ অঙ্গন'-এর নামানুসারে এই নাম।
পত্রিকায় 'লেখা আহবান' বিজ্ঞাপন দিই। সারাদেশের বিভিন্ন ভার্সিটি ও কলেজ হলে চিঠি পাঠাই লেখা আহবান করে। ঢাকা ও একুশে বইমেলায় আমরা দল বেঁধে লিফলেট বিতরণ করি ও লেখা সংগ্রহ করি।
ঝড়ের এই দিনগুলো শুরু হয় ২০০৩ সাল থেকে।
এর মধ্যে ইমরান একবার আমেরিকা প্রবাসী এক তুখোড় কবির নাম বললো। তখন মোবাইল এতটা ব্যাপক হারে ব্যবহার শুরু হয় নাই। কবির ইয়াহু মেইল পেলাম ইমরানের কাছ থেকে। মেইল ও ইয়াহু মেসেঞ্জারে কবির সাথে যোগাযোগও হলো। কবি দেশে এলেন। একদিন সেই কবিকে কল দিলাম টিঅ্যান্ডটি-তে। কবিতা চাইলাম পত্রিকার জন্য। তিনি কবিতা দিতে চাইলেন, তবে বললেন - আমাকে এক কাপ চা খাওয়াতে হবে
ব্যস, এই আইডিয়া থেকেই এ ছোট্ট কবিতাটা লিখে ফেলি। চা-টা খাওয়া-খাওয়ি ছিল ফান-টানের অংশ কোনোদিন টি-স্টলেও যাই নাই, কারো জন্য বইসাও থাকি নাই। তখন ইমেইল, ইয়াহু মেসেঞ্জারের যুগ। তিনি ইমেইলেই কবিতা পাঠাতেন। পত্রিকায় ছাপানোও হতো। দু-একবার একুশে বইমেলায় দেখা হলেও কুশলাদি বিনিময় ছাড়া সাহিত্য বা পত্রিকা বা অন্য কোনো বিষয়েও কোনো আলোচনা হয় নাই।
কবি অবশ্য এই ব্লগের একজন ব্লগারও। তবে কালেভদ্রে তাকে ব্লগে দেখা যায়, হয়ত ৪-৫ বছরে একবার তেমনি ৪-৫ বছর পর পর ফেইসবুকে একটা মেসেজ দেন - কেমন আছেন? আমি 'ভালো আছি। আপনি কেমন?' লিখলেও সেটা তিনি দেখেন পরবর্তী ৪-৫ বছরের টার্মে, যখন আবার নতুন আরেকটা মেসেজ দেন - 'ভালো আছেন আপনি?'
এই হলো গল্প।
গত কিছুদিন ধরে আমার কবিতাকেই সুরারোপ করে গানে রূপান্তর করছি। রাগাশ্রিত, ধীর লয়ের গান আমার বেশি পছন্দ, আমি সুরও সেভাবেই তৈরি করি, তার জন্য আমার পছন্দ হলো বিরহের গান বা কবিতা, যাতে সিতার, পিয়ানো, বাঁশি, স্যাক্সোফোন, তবলা, ইত্যাদির সংমিশ্রনে একটা দুরের মূর্ছনা সৃষ্টি হয়।
কিন্তু আমার এ ছোট্ট কবিতাটা একটা রোমান্টিক কবিতা। সুরটাও রোমান্টিক এবং মিউজিকটা হাইলি রিদমিক। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
এটার দুটো ভার্সন করা হয়েছে, ছেলে-কণ্ঠ এবং মেয়ে-কণ্ঠ। একই লিরিক, তবে ছেলে-কণ্ঠে 'মেয়েরা কি এতই বোকা হয়'-এর জায়গায় মেয়ে-কণ্ঠে 'ছেলেরা কি এতই বোকা হয়'- এতটুকু মাত্র পার্থক্য আছে।
এ কবিতাটা ২০০৫ সালে প্রকাশিত আমার 'অন্বেষা' কাব্যের অন্তর্গত।
কবিতা : তুই চেপেছিস ভুল ট্রেনে (২০০৪)
কাব্য : অন্বেষা (একুশে বইমেলা ২০০৫)
কবিতায় সুরারোপ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কবিতা রচনা, সুরারোপ ও মূল কণ্ঠ : খলিল মাহ্মুদ
এ-আই কভার : সহেলিয়া / সোনারু
এক কাপ চা খাওয়ালে কবিতা দিবি,
নিয়েছিলাম মেনে
টি-স্টলে বসেছিলাম সারাটা দিন
তুই বললি, চেপেছি ভুল ট্রেনে।
মেয়েরা কি এতই বোকা হয়
কাকে দেবে মন ও শরীর,
জানে না তার সঠিক পরিচয়?
২০০৪
গানের লিংক : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - এক কাপ চা। সহেলিয়া
অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।
ভার্সন-২। প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - ফেইসবুক লিংক। এক কাপ চা। সোনারু।
ভার্সন-২ ইউটিউবে প্রিমিয়ার হবে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে রাত ৮টায়। লিংক। প্লিজ ক্লিক করুন। এক কাপ চা। সোনারু। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে রাত ৮টার পর
অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।
বইয়ের ডাউনলোড লিংক।
অন্বেষা, একুশে বইমেলা ২০০৫, ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৬
জনারণ্যে একজন বলেছেন: "মেয়েরা কি এতোই বোকা হয়
কাকে দেবে মন ও শরীর,
জানে না তার সঠিক পরিচয়?"
- সময়ের প্রয়োজনে। সেই সময়ের জন্য ওটাই সঠিক ছিল। আর সেই অর্থে বলতে গেলে ছেলেরাও ওই একই ভুল (?!) করে। প্রকৃতপক্ষে কোনটা যে ভুল, আর কোনটা যে সঠিক - বলা খুবই কঠিন। ব্যাপারটা আপেক্ষিক।
বাই দ্য ওয়ে; এআই জেনারেটেড মেয়েগুলির মুখ যে কেন এতটা মায়াবতী হয়, ব্যাপারটা একটা রহস্যই থেকে গেলো আমার কাছে। হয়তো বাস্তব জীবনের মায়াবতীরা আজকাল ওখানেই আশ্রয় নিয়েছেন; এজন্য।
বাস্তবে এখন খুঁজে পাওয়া বড়োই দায় মায়াবতীদের।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রকৃতপক্ষে কোনটা যে ভুল, আর কোনটা যে সঠিক - বলা খুবই কঠিন। ব্যাপারটা আপেক্ষিক। পুরোপুরি একমত। ব্যাপারটা সময়ের সাথে আপেক্ষিক।
বাই দ্য ওয়ে; এআই জেনারেটেড মেয়েগুলির মুখ যে কেন এতটা মায়াবতী হয়, ব্যাপারটা একটা রহস্যই থেকে গেলো আমার কাছে। হয়তো বাস্তব জীবনের মায়াবতীরা আজকাল ওখানেই আশ্রয় নিয়েছেন; এজন্য।
হাহাহা, আমি যা বলতে চেয়েছিলাম, লাস্ট লাইনে আপনি নিজেই ওটা বলে দিয়েছেন - হয়তো বাস্তব জীবনের মায়াবতীরা আজকাল ওখানেই আশ্রয় নিয়েছেন; এজন্য।
কমেন্ট পড়েই আপনার জন্য কিছু মায়াবতী জেনারেট করেছিলাম। ব্যস্ততার জন্য সেদিন দিতে পারি নাই। এই নিন
৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভাল।
৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২১
শেরজা তপন বলেছেন: এভাবে একটু ব্যাকগ্রাউন্ডে গল্প লিখে দিয়েন
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আগে প্রায় প্রতিটা পোস্টেই ব্যাকগ্রাউন্ড লিখতাম। এখন অনেকটা সময়ের অভাবেই ওটা স্কিপ করা হয়। তবে, চেষ্টা থাকবে কিছু একটা যোগ করে দেয়ার জন্য।
কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই।
৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩১
জনারণ্যে একজন বলেছেন: হৃদয়টা ছারখার করে দিলেন @ সোনাবীজ। কাকে রেখে যে কাকে পছন্দ করি!
অনেক ধন্যবাদ - কষ্ট করে ছবিগুলি জেনারেট করে শেয়ার করার জন্য।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৫২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহা
ধন্যবাদ দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৯:০২
গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: @জনারণ্যে একজন- এআই জেনারেটেড মানুষের ছবিগুলোতে মায়ার পরিমাণ কতটা থাকে বলা মুশকিল তবে ছবিগুলোতে চেহারা এট্রাক্টিভ করার জন্য চেহারার বিভিন্ন অংশের মধ্যে গোল্ডেন রেশিওর অনুপাত রক্ষা করা হয়। বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন, phimatrix নামের একটি সফটওয়্যার আছে এটি দিয়ে পরীক্ষা করা সম্ভব। (আরো অনেক সফটওয়্যার থাকতে পারে, আমি এটির কথা জানি) । সাধারণ মানুষদের চেহারার সব জায়গায় এ রেশিও থাকে না , দুই এক জায়গায় থাকতে পারে। এআই জেনারেটেড ছবিতে এটা অনেক বেশি পরিমাণে থাকে।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৫৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো তথ্য জানালেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:৩২
জনারণ্যে একজন বলেছেন: ধন্যবাদ @গোবিন্দলগোবেচারা - চমৎকার ইনফরমেশন জানালেন, এজন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৫৬
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ভালো লাগলো ।