নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কোরানকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্য।

সুরা আল-যুমার(৩৯) আয়াত ১৮

ফারুক৫৫

সুরা আল-যুমার(৩৯) আয়াত ১৮ যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে , অতঃপর যা উত্তম , তার অনুসরন করে। তাদেরকেই আল্লাহ পথ প্রদর্শন করেন এবং তারাই বুদ্ধিমান।

ফারুক৫৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাহাবা (নবীর সঙ্গী)। ইসলামি মিথ্‌-৪

৩০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:২৪

সাহাবা- বহুবচন, সাহাবি- একবচন।

ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি নবীর সহচর সাহাবা সকলেই অসাধারন ভাল মানুষ ও মুমিন লোক ছিলেন। সকল মুসলমান ভাই ও বোনেরা সাহবাদের সম্পর্কে এমন ধারনা পোষন করেন , যেন তারা অন্য গ্রহের মানুষ, কোন ভুল তাদের পক্ষে করা অসম্ভব। তারা সকল ত্রুটি ও কলঙ্কমুক্ত। সাহাবাদের জন্য বর্তমানের মুসলমানরা প্রায় নবীর সমান শ্রদ্ধা ও ভালবাসা অন্তরে পোষন করেন।



এখন দেখা যাক , সাহাবা কারা? সাহাবার সংজ্ঞা কি?



জেনে আশ্চর্য হবেন সাহাবাদের সংজ্ঞার ব্যপারে সকল মুসলমান একমত নন।



১) ইমাম বুখারির মতে - সাহাবি হলেন তিনি, যিনি নবীকে সঙ্গ দিয়েছেন বা তাকে চোখে দেখেছেন। ইবনে হাম্বল (যার নামে হাদীস বই আছে) বুখারির সাথে একমত হয়ে এর ব্যখ্যা দিয়েছেন এইভাবে - সাহাবি সেই ব্যক্তি , যিনি নবীকে ১বছর, ১মাস এমনকি ১ঘন্টার জন্যেও সঙ্গ দিয়েছেন বা চোখে দেখেছেন।



২)আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর ইবনে আল-খাত্তাবের মতে - যে কোন সাবালক মুসলমান যদি নবীকে ১ঘন্টার জন্যেও চোখে দেখে থাকেন , তবে তিনি সাহাবি।



৩)আল তাবেয়ী সাঈদ ইবনে আল-মুসীবের মতে - শুধুমাত্র তারাই সাহাবি , যারা নবীকে ১ বা ২ বছরের জন্য সঙ্গ দিয়েছে এবং তার সাথে ১ বা অধিক যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছে। ইমাম গাজ্জালি ও এই মত পোষন করেন।



বুখারির মত অনুসারে সকলকে সাহাবা মেনে নিলে সাহাবাদের সম্পর্কে প্রচলিত মিথ সহজেই ধরা পড়ে। কোরানে এই ধরনের সাহাবাদের সম্পর্কে উল্টাটাই বলা হয়েছে।



সুরা আত্‌তাওবাহ(৯) আয়াত ১০১

"আর কিছু কিছু তোমার আশপাশের মুনাফেক এবং কিছুলোক মদীনাবাসী কঠোর মুনাফেকিতে অনঢ়......।"



সুরা মুনাফেকুন(৬৩) আয়াত ১

"মুনাফেকরা আপনার কাছে এসে বলে, আমরা সাক্ষ দিচ্ছি যে আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌র রছূল।........।"



সুরা আহযাব(৩৩) আয়াত ৬০

"মুনাফেকরা এবং যাদের অন্তরে রোগ আছে এবং মদীনায় গুজব রটনাকারীরা যদি বিরত না হয়, তবে অবশ্যই তাদের উপর আপনাকে ক্ষমতা দেব। অতঃপর এই শহরে আপনার প্রতিবেশি অল্পই থাকবে।" (লক্ষ করুন , মুনাফেক ও খারাপ লোক বাদ দিলে নবীর ভালো প্রতিবেশির সংখ্যা নগন্য।)



এছাড়াও আরো অনেক আয়াত আছে , যেখানে দেখা যায় বিভিন্ন অযুহাতে নবীর সহচররা তার নির্দেশ উপেক্ষা করে যুদ্ধে অংশগ্রহন না করে বাড়িতে রয়ে গেছে।



নবীর আমলের মানুষেরা এবং সাহাবারা ও যে আমাদের মতোই মানুষ ছিলেন , তা পরবর্তি আয়াতে পরিস্কার বর্ননা করা আছে। তাকে কিছু না বলেই পার্থিব জিনিষের লোভে তারা নবীকে ফেলে রেখে যেতে কুন্ঠিত হয়নি।



সুরা জুম্‌আহ(৬২) আয়াত ১১

"তারা যখন কোন ব্যবসায়ের সুযোগ বা ক্রীড়াকৌতুক দেখে, তখন আপনাকে দাড়ানো অবস্থায় রেখে তারা সেদিকে ছুটে যায়। ....."

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৭/-৮

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৩৩

লড়াকু বলেছেন: -

৩০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৩৯

ফারুক৫৫ বলেছেন: নিদারুন। কিছুই বুঝলাম না।

২| ৩০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৩৭

তারেক হাসান বলেছেন:

ইসলামের নামে প্রচলিত কুসংস্কার উম্মেচনে আপনার লেখা অব্যহত থাকুক। প্রার্থনা করি।
কিন্তু আমি আবারো বলছি- ইসলামিক মিথ বলতে কিছু নেই।
এটা হতে পারে - মুসলমানদের মাঝে প্রচলিত ধর্মীয় মিথ বা ভূল তথ্য।

৩০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৪৫

ফারুক৫৫ বলেছেন: ধন্যবাদ। মিথ মানে তো পুরানকথা, রুপকথা, প্রাচীনকাল থেকে পুরুষিনুক্রমে প্রবাহিত কাহিনী, অতিকথা ইত্যাদি।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৩৮

তারেক হাসান বলেছেন: শিরোনাম চেঞ্জ করলে খুশী হব।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৩৮

শারমিন সুলতানা লিলি বলেছেন: ------------------------------------------------

৩০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৪৬

ফারুক৫৫ বলেছেন: কি বুঝালেন? মাইনাস!

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৪৩

বৃত্তবন্দী বলেছেন: sahabara j sokol vuler urdhe ba mohamanob erokom dabi ke korlo?ami kokhono dekhini.
ar munafek somporke to alada vabei bola hoyechei. jader samannotomo gyan buddhi ache tara thiki kader sahaba bolte hobe kader hobe na bojhen.

৩০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৪৮

ফারুক৫৫ বলেছেন: আসলেই কি বোঝেন? বুখারি তো ধর্মগুরু। তার হাদীস মানতে হবে না।

৬| ৩০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৪৩

ব্রাইট বলেছেন:



৩০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৪৯

ফারুক৫৫ বলেছেন: ইমোটিকনগুলা সুন্দর।

৭| ৩০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৪৯

ব্রাইট বলেছেন: আপনার কথা মতো "আবু জেহেল" কেও সাহাবী মনে হয়। এ ছাড়া শয়তানও একজন সাহাবী হতে পারে। শয়তান তো মুহম্মদ (সঃ) এর সাথে কম সময় দেয় নাই!

কোরআনের যে আয়াতগুলো দিয়েছের সেগুলো সাহাবীদের বিষয়ে নয়। মুনাফেক ও কাফেররা সাহাবী হতে পারে না।

তবে শয়তান ও শয়তানের দোসররাই যুগে যুগে মানুষকের বিভ্রান্ত করে আসছে। আর মানুষ তাদেরকে ঠিকই চিনে নিবে।

৩০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৫৬

ফারুক৫৫ বলেছেন: আমার কথা কই পাইলেন? এটাতো ইমাম বুখারি , ইবনে হাম্বল ও আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর ইবনে আল-খাত্তাবের কথা।

"তারা যখন কোন ব্যবসায়ের সুযোগ বা ক্রীড়াকৌতুক দেখে, তখন আপনাকে দাড়ানো অবস্থায় রেখে তারা সেদিকে ছুটে যায়।"

এরা কারা?

৮| ৩০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৫৭

বৃত্তবন্দী বলেছেন: @ব্রাইট- এখানে লেখক কিন্তু সাহাবী বিষয়ক মতদ্বৈততার ব্যাপারটা এনেছেন। সাথে এনেছেন কুরানের কিছু আয়াত, যেগুলোকে সাহাবী বিষয়ক মতদ্বৈততার পাশে রাখলে যাদের আপনার মুনাফেক বলছেন তারাও সাহাবী পর্যায়ে পড়ে যায়।

ব্রাইট বলেছেন: আপনার কথা মতো "আবু জেহেল" কেও সাহাবী মনে হয়। এ ছাড়া শয়তানও একজন সাহাবী হতে পারে। শয়তান তো মুহম্মদ (সঃ) এর সাথে কম সময় দেয় নাই!

বুখারী, হাম্বল, আর আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর ইবনে আল-খাত্তাবের মতে তারাও সাহাবী।

বুখারীর হাদিস মানবেন আর সাহাবী সংক্রান্ত ব্যখ্যা মানবেন শুধু গাজ্জালীর এটা কেমন কথা?

৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:০১

ফারুক৫৫ বলেছেন: আপনি ঠিক জিনিষটিই ধরতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।

৯| ৩০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৫৯

তারেক হাসান বলেছেন:

আমি আমার অভিজ্ঞতার কথা বলছি। আমি কুরআন পড়ে দেখেছি। আমি দেখেছি হাদিসের নামে মুসলিম জাতির মধ্যে অসংখ্য ভ্রান্তি ঢুকে গেছে যেসব কুরআন সাপোর্ট করেনা । তারা যদি এই ভুল বিষয়গুলা বাদ দিয়ে নির্ভূল কুরআনকে অনুসরণ করতো তারাই হতো পৃথিবীর শ্রেষ্টতম জাতি। এবং সমগ্র মানব জাতি তাদের কাছ থেকেই শিখতো সভ্যতা, জ্ঞান, বিজ্ঞান আর সবকিছু।


কিন্তু দূর্ভাগ্য যে মুসলিমরা কুরআনটাকে মন্ত্রের মত পড়ছে। আর ভূল হাদীসগুলোর অনুসরণ করছে। সেই সাথে মোল্লাদের গল্প কাহিনী আর মিথলজি আর ভূয়া ধর্ম তত্ত্ব অনুসরণ করে চলছে।
এভাবে চলতে থাকলে তারা যুগ যুগ ধরে অধ্বপতিত হয়েই থাকবে।


আমি প্রথমদিকে ইসলামের নামে প্রচলিত ভূল তথ্যগুলো নিয়ে পোষ্ট দিচ্ছিলাম। পরে এখন আমি আরো স্টাডি করার দিকে মনো যোগ দিয়েছি। এবং একটা তালিকা তৈরী করার চেষ্টা করছি- বড় বড় ভ্রান্তি যেসব তা আগে তালিকাভূক্তির চেষ্টা করছি।

আমি অবাক হয়ে দেখছি- মুসলমানরা কুরআন থেকে এবং বিবেক ও যুক্তি থেকে অনেক অনেক দূরে সরে গেছে। তাই তারা ৬০-৮০% অধ্বপতিত।


আর অমুসলিমরা কুরআন হাদীস কিছুই অনুসরণ করেনা কিন্তু অন্তত যুক্তি ও বিবেকের অনুসরণ করে( আর যুক্তি ও বিবেকের চূড়ান্ত স্তর হচ্ছে আল কুরআন) তাই তার মুসলমানদের চাইতে তুলনামূলক উন্নত অবস্থানে। যেহেতু তারা কুসংস্কারকে রিজেক্ট করেছে।

৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:০৩

ফারুক৫৫ বলেছেন: দারুন বলেছেন। আপনার সাথে সম্পুর্ন একমত।

১০| ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:০৬

অচেনা সৈকত বলেছেন: আপনার সাথে একমত। সিরিজ চালিয়ে যান।

৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:০৯

ফারুক৫৫ বলেছেন: ধন্যবাদ , সাথে থাকার জন্য।

১১| ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:১৩

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: তারেক হাসান @ পুরো প্রসঙ্গের বাইরে বললেন। খুশি হলাম আপনার ব্যাখ্যা শুনে। কিন্তু আপনার সাথে একমত নই।
আজকের পৃথিবীর সমৃদ্ধির মূলে হল প্রযুক্তি। যে জাতি যত প্রযুক্তি অর্জন করতে পেরেছে, তারাই তত সমৃদ্ধি লাভ করেছে। পৃথিবীতে তারাই বেশি ক্ষমতাশালী। সেই প্রযুক্তিহীন পৃথিবী আর আসবে না।
এটার সাথে কোরান হাদিস তো দূরের কথা, কোন ধর্মের সম্পর্ক নাই।

৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:২৮

ফারুক৫৫ বলেছেন: ভাইজান , ইতিহাস দেখেন। সমৃদ্ধি চক্রাকারে ঘোরে। আজ যে জাতি সমৃদ্ধ কাল তা অধঃপতিত। নিকট অতীতের সোভিয়েট ইউনিয়নের দিকে তাকান। প্রযুক্তি সবসময় ছিল। লেভেল ভিন্ন। কাল যে প্রযুক্তিহীন পৃথিবী আর আসবে না , আপনি জোর গলায় বলতে পারেন? কয়েকটা এটম বম্ব প্রযুক্তিহীন পৃথিবী এনে দিতে পারে। ধর্মের উপযোগিতা তাই থাকবেই।

১২| ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:১৭

মারিয়াম-সাদ বলেছেন: do research , but don´t forget to do AMAAL. There are so many people who becomes pleasure to find faults others but don´t do AMAAL.

৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৩০

ফারুক৫৫ বলেছেন: আমি ভাই দোষ খোজার জন্য এই পোস্ট লিখিনি। সকলকে সচেতন করাই আমার উদ্দেশ্য।

১৩| ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৩৪

তারেক হাসান বলেছেন: @ শামীম
প্রযুক্তিহীন পৃথিবী আসার দরকার কেন?
ইসলাম কোন ধর্ম নয়। (অবশ্য যদি মুসলমানদের প্রচলিত মিথ আর ভূযা হাদীসগুলোকে ইসলাম বলে জোর করে চালিয়ে দেয়া হয় তখন ভিন্ন কথা)

সাহাবীরা সমসাময়িক রাজনীতি, অর্থনীতি যুদ্ধবিদ্যায়/ প্রযুক্তিতে বিশ্বের সর্বাধিক সেরা জাতি ছিল। যেহেতু তারা কুরআনিক কনসেপ্ট শতভাগ ফলো করেছে।

বর্তমান মুসলমানরাও (এবং যেকোন জাতি) যদি কুরআনিক কনসেপ্ট শতভাগ ফলো করে এবং কুসংস্কার বাদ দিয়ে দিয়ে পারে টোটালি তাহলে তারাও সমৃদ্ধ হবে সেই সাথে যে দিক গুলো এখনো মুসলিম অমুসলিম সবার নাগালের বাইরে (যেমন নারী মুক্তি, সকল মানুষের খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান নিশ্চিত করা, দূনীর্তি মুক্ত প্রশাসন, সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ ) তাও অর্জিত হবে। কারণ লজিক তাই বলে। কুরআনিক কনসেপ্ট সমূহ তার সাথে শতভাগ এডজাস্টেবল। একটি সুশৃংখল মানব সভ্যতার জন্যে, ক্ষুধা মুক্ত, দুর্ভিক্ষমুক্ত পৃথিবীর কুরআনের আয়াত ধুয়ে পানি খাচ্ছে আর জ্বিন তাড়াচ্ছে- আর মুসলিমদের ন্যাকামী দেখে কুরআনকেই ভূল মনে করছে অমুসলিমরা।

যা আমি অনুধাবন করলাম কুরআন থেকে এবং সমাজ গবেষণা করে তাই বললাম। হয়তো আমি পরবর্তীতে আমার পোষ্টগুলো এসব তুলে ধরতে পারবো বর্তমান নির্ধারিত ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হতে পারলে।

৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:১১

ফারুক৫৫ বলেছেন: আপনার পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।

১৪| ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৩৬

তারেক হাসান বলেছেন: @ফারুক
সম্ভবত আপনার সাথে অনেক বিষয়ে আমার ডিসকাসশান দরকার হতে পারে। তাই মেইল এড্রেস দিলাম।
[email protected]

৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১:১১

ফারুক৫৫ বলেছেন: অবশ্যই যোগাযোগ করব।

৩১ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৫

ফারুক৫৫ বলেছেন: বলতেছে , এটা ভ্যলিড আই ডি না।

১৫| ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১২:৫৯

আব্দুর রহমান বলেছেন: @লেখাজোকা শামীম,

আগে যে মানুষ ছিল, এখনও সেই একই মানুষ আছে; দুইটি চোখ, কান, একটি নাক, একটি মাথা, দুটি হাত, দুটি পা ইত্যাদি। কেউ বলবে না আগে মানুষের তিনটি চোখ বা চারটি হাত ছিল। মানুষ আগে হাত দিয়েই কাজ করতো, কেউ বলবে না মানুষ আগে হাত দিয়ে হাটত! মানুষ আগে যা ছিল এখনও তাই আছে। শুধু তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের ক্ষমতা নেই বললেই চলে! কারণ সে যখন দুনিয়ায় আসে তখন থেকেই সে অন্যের উপর নির্ভরশীল। মানুষ কিছু করার জন্য বিভিন্ন যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল। পারিপার্শ্বিক সকল জিনিস, যন্ত্রকে বাদ দিলে আগের মানুষ আর বর্তমান মানুষের কোন পার্থক্য নেই।

মহান আল্লাহ এই ক্ষমতাহীন মানুষের জন্য যে দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থা দিয়েছেন তা কখনই পরিবর্তন হবে না এবং যখনই মানুষ আল্লাহর দেওয়া বিধান অনুযায়ী চলবে তখনই সে শান্তি আর মুক্তি পাবে। আল্লাহর বিধান এসেছে ক্ষমতাহীন মানুষের জন্য কোন প্রযুক্তি বা যন্ত্র বা জিনিসের উপর নয়! প্রযুক্তি বা যন্ত্র মানুষেকে আল্লাহর বিধান মানতে কোন বাধা দেয়নি, মানুষ প্রযুক্তি বা যন্ত্রের বাহাদুরিকে মনে করেছে তার নিজের শরীরের মতো আর তখনি সে মনে করছে বাহ ভালই তো উন্নতি হয়েছে! সকল প্রযুক্তি, পারিপার্শ্বিক জিনিস, যন্ত্রগুলোকে বাদ দিলে মানুষ আগে যেমন ছিল এখনও তেমনি আছে।

৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১:১৩

ফারুক৫৫ বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। একমত।

১৬| ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৮:০৭

রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: শিরোনাম পরিবর্তন না করার জন্যে মাইনাস।

৩১ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:২৫

ফারুক৫৫ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

১৭| ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৭

জলপাই দেশি বলেছেন: পড়লাম। আমি যতটুকু বুঝেছি, নবীকে যারা ঈমানের সাথে দেখেছেন এবং শেষ পর্যন্ত মুসলমান হিসেব মৃত্যু বরণ করেছেন তারাই সাহাবা।
তবে সাহাবারা ফেরেশতা ছিলেন না। তারাও মানুষ ছিলেন এবং মানুষ ভুল-ত্রুটির উর্ধে নয়। কুরআনে সাহাবাদের প্রশংসা যেমন আছে, তেমনি আছে সমালোচনা। সাহাবারা ভুল করেছেন, আবার ভুল সংশোধনও করেছেন। কোনটা ভুল এবং কোনটা শুদ্ধ এর মাপকাঠি কুরআন এবং হাদীস।

০১ লা আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১২

ফারুক৫৫ বলেছেন: "তবে সাহাবারা ফেরেশতা ছিলেন না। তারাও মানুষ ছিলেন এবং মানুষ ভুল-ত্রুটির উর্ধে নয়। কুরআনে সাহাবাদের প্রশংসা যেমন আছে, তেমনি আছে সমালোচনা। "

এটাই আমারো বক্তব্য।

১৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৫৪

নিভৃত পথচারী বলেছেন: হঠাৎ সন্মানিত সাহাবী (রাঃ) পিছনে লাগলেন কেন বলুনতো? আপনি কি মুরতাদ মওদুদীর মতাবলম্বী? সময়ে সাবধান হোন নিজের আক্বীদা বিশুদ্ধ করে নিন। নতুবা ধ্বংশ অনিবার্য। আপনাদের সমস্ত ইবাদতই বিফলে যাবে।

আক্কীদা বিষয়ক বিশুদ্ধ বর্ণনার কেতাবে নিম্নরূপ লিখিত আছেঃ

সাহাবায়ে কেরাম রা. সত্যের মাপকাঠি।
আল্লাহ পাক এরশাদ করেছেন ‘অতএব তারা যদি ইমান আনে, যেমন ইমান এনেছো তোমরা, তবে তারা সুপথ পাবে’। সূরা বাকারা, ১৩৭ আয়াত।
এ সম্পর্কে তাফসীরে মাআরেফুল কোরআন রচয়িতা বলেন ‘এ আয়াতের বর্ণনা সংক্ষিপ্ত হলেও তাতে বিশদ বিবরণ এবং ব্যাখ্যার প্রতি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। কেননা ‘যেমন ইমান এনেছো তোমরা’ বাক্যে রসুলে আকরম স. ও সাহাবায়ে কেরামকে সম্বোধন করা হয়েছে। এই আয়াতে তাঁদের ইমানকে আদর্শ ইমানের মাপকাঠি নির্ধারণ করে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহতায়ালার কাছে গ্রহণীয় ও পছন্দনীয় ইমান হচ্ছে সেরকম ইমান, যা রসুলে পাক স. এর সাহাবায়ে কেরাম অবলম্বন করেছেন। যে ইমান ও বিশ্বাস তাঁদের ইমান থেকে চুল পরিমাণভিন্ন, সে ইমান আল্লাহ তায়ালার নিকট গ্রহণযোগ্য নয়’।
মোরতাদ মওদুদী এবং তার অনুসারীরা সাহাবায়ে কেরামকে সত্যের মাপকাঠি মানে না। আল্লাহতায়ালা সমস্ত উম্মতকে এদের ফেৎনা থেকে হেফাজত
করুন। আমিন।

‘হেকায়েতে সাহাবা’ রচয়িতা কাযী আয়াজ র. এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন,
‘সাহাবীগণের সম্মান করা রসুলে আকরম স. এর সম্মান করার মতো। তাঁদের
অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া, তাঁদের অনুকরণ করা, তাঁদের প্রশংসা করা,
তাঁদের জন্য দোয়া করা, তাঁদের মধ্যে পরস্পরের মতবিরোধ সম্পর্কে মৌন থাকা
একান্ত আবশ্যক’।

রসুলে আকরম স. এরশাদ করেছেন ‘আমার সাহাবীগণের ব্যাপারে আল্লাহকে
ভয় করো! আল্লাহকে ভয় করো! তাঁদেরকে গালি-দোষারোপের ল্যবস্তু বানিয়ো
না। যে তাদেরকে ভালোবাসে, সে আমাকে ভালোবাসে বলেই তাদেরকে
ভালোবাসে। যে তাদের সঙ্গে শত্রুতা করে, সে আমার সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করে
বলেই তাদের সঙ্গে শত্রুতা করে। যে তাদেরকে কষ্ট দেয়, সে যেনো আমাকেই
কষ্ট দেয়। যে আমাকে কষ্ট দেয়, সে আল্লাহকেই কষ্ট দেয়। আর যে আল্লাহকে
কষ্ট দেয়, অতিশীঘ্রই সে আজাববেষ্টিত হবে’।
রসুল স. আরো বলেছেন ‘আমার সাহাবীগণকে গালি দিয়ো না। তোমাদের কেউ উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করলেও তাদের এক মুদ বা অর্ধ মুদ যব খরচ করার সমান সওয়াব পাবে না’।

তিনি স. আরো বলেছেন ‘যে ব্যক্তি আমার সাহাবীদের দোষারোপ করে, তার
উপর আল্লাহতায়ালার লানত, ফেরেশতাদের লানত এবং সমস্ত মানুষের লানত।
তার ফরজ, নফল কোনো ইবাদতই আল্লাহ কবুল করবেন না’।

যে ব্যক্তি সাহাবীদের প্রশংসা করে, সে ব্যক্তি মুনাফেকি থেকে পবিত্র থাকে। আর
যে তাঁদের শানে বেআদবী করে, সে বেদাতী, মুনাফিক এবং সুন্নতের প্রতিপক্ষ।

হাদিস শরীফে এসেছে ‘আমার সাহাবা এবং আমার জামাত সম্পর্কে হুঁশিয়ার
থেকো। যে ব্যক্তি এ বিষয়ে সতর্ক থাকবে, দুনিয়া ও আখেরাতে আলাহ্
পাক তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবেন’। অন্য হাদিসে এসেছে ‘যে ব্যক্তি সাহাবীদের ব্যাপারে আমার খেয়াল রাখবে, কিয়ামতের দিনে আমি হবো তার রক্ষক’।

( মোজাদ্দেদে আলফেসানী (রঃ) এর মকতুবাত শরীফ অবলম্বনে ইসলামী বিশ্বাস কিতাব হতে সংকলিত)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৪৮

ফারুক৫৫ বলেছেন: আমার পোস্ট আবার পড়ুন। কোরানের বাণীকে সবার উপরে স্থান দিন। আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়েত করুন , এই দোয়া করি।

১৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৮

নিভৃত পথচারী বলেছেন: আপনার নাপাকি মিশ্রিত লেখা দ্বিতীয়বার পড়ার দুর্ভাগ্য হতে আল্লাহতা'লার নিকট পানাহ্ চাই। এই সকল পশু বর্জ্য তুল্য লেখা পড়লেও অন্তর কলুষিত হয়।

যেহেতু আপনার ক্বলব বা অন্তঃকরণ সীল মোহরকৃত সেহেতু আপনাকে কিছূ বলা অপেক্ষা কোন জড় বস্তুকে কিছূ বলা অধিক উপকারী।

তারপরও বলি, পবিত্র ক্বুরআনুল কারীমে আল্লাহ তা'লার আদেশ আছে রাসুল(সঃ) এর আনুগত্য করার। আর রাসুল (সঃ) এর নির্দেশ আছে অবিকল সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) গণের অনুসরণ করার।

আর ক্বুরআনুল কারীম কেবল " মুত্তাকীদের জন্য পথ প্রদর্শক" এবং " নিশ্চয়ই এতে রয়েছে সুস্পষ্ট নিদর্শন প্রজ্ঞাবানদের জন্য" ।

আপনার মত বর্জ্য পদার্থদের ক্বুরআনের হাকীকত অনুধাবনের দাবী করার দুঃসাহস ও স্পর্ধা হয় কি করে আমাদের বোধগম্য হয় না।

২০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৫১

নিভৃত পথচারী বলেছেন: তিনি স. আরো বলেছেন ‘যে ব্যক্তি আমার সাহাবীদের দোষারোপ করে, তার
উপর আল্লাহতায়ালার লানত, ফেরেশতাদের লানত এবং সমস্ত মানুষের লানত।
তার ফরজ, নফল কোনো ইবাদতই আল্লাহ কবুল করবেন না’।

মহাসম্মানিত সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) গণের সমালোচনার জন্য আপনার প্রতি আল্লাহর অভিশাপ বর্ষিত হোক।

২১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৫২

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: নিভৃত পথচারী বলেছেন: আপনার নাপাকি মিশ্রিত লেখা দ্বিতীয়বার পড়ার দুর্ভাগ্য হতে আল্লাহতা'লার নিকট পানাহ্ চাই। এই সকল পশু বর্জ্য তুল্য লেখা পড়লেও অন্তর কলুষিত হয়।

যেহেতু আপনার ক্বলব বা অন্তঃকরণ সীল মোহরকৃত সেহেতু আপনাকে কিছূ বলা অপেক্ষা কোন জড় বস্তুকে কিছূ বলা অধিক উপকারী।

তারপরও বলি, পবিত্র ক্বুরআনুল কারীমে আল্লাহ তা'লার আদেশ আছে রাসুল(সঃ) এর আনুগত্য করার। আর রাসুল (সঃ) এর নির্দেশ আছে অবিকল সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) গণের অনুসরণ করার।

আর ক্বুরআনুল কারীম কেবল " মুত্তাকীদের জন্য পথ প্রদর্শক" এবং " নিশ্চয়ই এতে রয়েছে সুস্পষ্ট নিদর্শন প্রজ্ঞাবানদের জন্য" ।

আপনার মত বর্জ্য পদার্থদের ক্বুরআনের হাকীকত অনুধাবনের দাবী করার দুঃসাহস ও স্পর্ধা হয় কি করে আমাদের বোধগম্য হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.