![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুরা আল-যুমার(৩৯) আয়াত ১৮ যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে , অতঃপর যা উত্তম , তার অনুসরন করে। তাদেরকেই আল্লাহ পথ প্রদর্শন করেন এবং তারাই বুদ্ধিমান।
তিউনেসিয়ার মোল্লা শেখ দুখানি বড়ই পেরেশানিতে আছেন। তিনি ভাবছেন আর ভাবছেন , কিন্তু কোন সমাধান পাচ্ছেন না। শয়তানতো সব ধর্মের লোককেই আল্লাহর রাস্তা থেকে ভুলিয়ে বিপথে নিয়ে গেছে। বাকি রয়েছি কেবল আমরা মুসলমানরা। ৭ম শতাব্দির শুরুতে মুহম্মদের উপর কোরান নাযিলের পর থেকে শয়তান নিশ্চয় বসে নেই। তিনি ভাবছেন কি ভালই না হোত যদি আগেভাগেই শয়তানের চক্রান্ত জেনে নিতে পারতাম , তাহলে শয়তান যত চেষ্টাই করুক না কেন আমাকে আর ভুলাতে পারতনা।
শয়তানের চক্রান্ত ও তার কাজের ধারা , শয়তানের চেয়ে আর কে ভাল জানবে? কিন্তু সমস্যা হইল শয়তানের দেখা কিভাবে পাবেন? শয়তান তো আর বোকা না যে আইসা তার পরিকল্পনা বাৎলে দেবে!! তখন ভাবলেন , আচ্ছা আমি যদি শয়তান হতাম তাহলে কি করতাম? যে ভাবা সেই কাজ....
আমি যদি শয়তান হতাম , তাহলে মানুষকে আল্লাহর রাস্তা থেকে বিপথে নেয়ার মিশনে অটল থাকতাম। মুহাম্মদ তো আর প্রথম নবী না , তার আগে যত নবী রসূল এসেছে এবং তাদের সকলের অনুসারীদের যেভাবে বিপথে নিয়েছি , সেভাবেই মুসলমানদের বিপথে নিব। এ আর এমনকি কঠিন। তাছাড়া সকল মানুষকে বিপথে নেয়াই আমার মিশন এবং এটা করার কথাই আমি আল্লাহকে গর্বভরে বলেছি। ইতিমধ্যে বিশ্বাসীদের উদ্বুদ্ধ করেছি যীশুকে শূলে চড়াতে।
মুহাম্মদ কোরান নামের একটা বই আবৃত্তি ও প্রচার করেছে মাত্র। যে বইয়ে মানুষকে সবর করতে , আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো বানীর অনুসরন না করতে , নবী রসূলদের মাঝে পার্থক্য না করতে বলা হয়েছে। সুতরাং আমার প্রথম কাজ হলো মুসলমানদের এই কোরান থেকে দুরে সরিয়ে নেয়া বা তারা যেন কোরানকে আমলে না নেয় সে ব্যাবস্থা করা। এর জন্য আমার দরকার অনেকগুলো বই।
সমস্যা নেই। নবীর নিজস্ব কথা , তার চালচলন ও তার স্বভাব চরিত্র নিয়ে কিছু গুজব মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিলাম। ইসলামি রাজত্বের প্রসার ও সময়ের সাথে সাথে এই সকল গুজব নিজেই ডালপালা ছড়িয়ে চারিদিকে বহুগুনে প্রসার লাভ করল। নবীর মৃত্যুর ৩০০ বছর পরে দুই ইডিয়টকে ঐশী দায়িত্ব দিলাম তখনকার দিনে প্রচলিত অগুনতি হাদিস থেকে সহীহ হাদিস খুজে বের করে বই লিখতে। ঠগ বাছতে কম্বল উজাড় করার মতো করে ১০ লক্ষ হাদিস থেকে যাচাই বাছাই করে প্রায় ৭ হাজার হাদিস সংকলন করে একজন লিখলেন সহীহ বুখারি এবং আরেকজন প্রায় একিভাবে লিখলেন সহীহ মুসলিম। এদের দেখাদেখি আরো চার জন লিখলেন আরো চারটি সহীহ বই। এখন পবিত্র কোরানের পাশাপাশি মুসলমানরা আরো ৬টি পবিত্র গ্রন্থ পেয়ে গেল।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:০৩
ফারুক৫৫ বলেছেন: আপনার কেন মনে হলো কপটতা করছি? মানুষের মনের খবর আল্লাহ ছাড়া আর কারো পক্ষে কি জানা সম্ভব?
২| ২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:১৭
মাগফার উদ্দিন মনি বলেছেন: অবশ্যই এক আল্লাহ ছাড়া আর কেউ মনের খবর জানে না। কিন্তু আপনার লেখনীতে আমার মনে হয়েছে আপনি হাদিস গ্রহনে কপটতা করছেন। আপনি যদি হাদিস না জানেন বা মানেন তাহলে পথভ্রষ্টতার দিকেই যাবেন। হুম আমি বলছি না সহিহ হাদিস মানেই সব গুলো কে সহিহই মানতে হবে। মানুষ ভুল করতেই পারে কিন্তু কোরআনে ভুল নেই কারন আল্লাহই তার সংরক্ষনকারী। কিন্তু আপনি যদি রাসুল (সঃ) এর জীবনাচরণ না জানেন তাহলে বেস্ট ওয়ে তে আল্লাহর ইবাদত করতে পারবেন না।
০২ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
ফারুক৫৫ বলেছেন: মানুষ ভুল করতেই পারে কিন্তু কোরআনে ভুল নেই কারন আল্লাহই তার সংরক্ষনকারী।
যতার্থ বলেছেন। কোরানের ভাষ্য অনুযায়ী কোরান সবিস্তারে বর্ণীত দিকনির্দেশনামূলক একটি গ্রন্থ। বেস্ট ওয়ে তে আল্লাহর ইবাদত কিভাবে করতে হবে , সেটা জানার জন্য কোরান যথেষ্ঠ। কোরান বুঝে পড়ুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২৬
মাগফার উদ্দিন মনি বলেছেন: আমাদের উচিৎ রাসুল (সঃ) কে অনুসরণ করা ! যদি ইমাম গন না লিখে যেতেন তাহলে আমরা নামাজ কিভাবে পড়তাম ? নিজের খেয়াল খুশী মত ? ভাই অবিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। কোরানে অনেক ইঙ্গিত আছে, মাথা খাটান অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবেন। কপটতা করবেন না সত্য গ্রহনে। আল্লাহ আমাদের ঈমান কে শক্ত করুন, রাসুল (সঃ) এর উম্মত হিসাবে গ্রহন করুন। আমিন।