![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুরা আল-যুমার(৩৯) আয়াত ১৮ যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে , অতঃপর যা উত্তম , তার অনুসরন করে। তাদেরকেই আল্লাহ পথ প্রদর্শন করেন এবং তারাই বুদ্ধিমান।
পৃথিবীর সব দেশেই ধর্মের নামে চলছে অধর্ম। যে কারনে আমরা দেখতে পাই ধার্মিকের সংখ্যা যে দেশে যত বেশি , সে দেশ শিক্ষা দীক্ষা ও উন্নতিতে তত পিছিয়ে। ধর্মের বিধি বিধান যে দেশে যত কড়াকড়িভাবে , সরকারিভাবে বা সামাজিকভাবে পালনে মানুষকে বাধ্য করা হয় , সে দেশ বর্বরতায় ততই সবাইকে টেক্কা দেয়। এর কারন হল , সব ধর্মের অনুসারীরাই স্রষ্টার দেয়া সহজাত ভাল ও মন্দের অনুসরন না করে ধর্মীয় পুরোহিতদের প্রচারনা অনুযায়ী পুজা অর্চনা তথা নামাজ রোজা তীর্থযাত্রাকেই পরকালে মুক্তির একমাত্র মাধ্যম হিসাবে মেনে পালন করে চলেছে।
ধর্মকে আমরা বাহ্যিক পোষাক আষাক ও আনুষ্ঠানিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে ফেলেছি। বাইরের পোষাক দেখেই আমরা বলতে পারি কে মুসলমান , কে হিন্দু , কে খৃষ্টান , কে শিখ আর কে ইহুদী। যার দাড়ি যত লম্বা সে তত বেশি ধার্মিক। নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ ফেলানোকে আমরা ধার্মিকতার চিহ্ন হিসাবে দেখি। যেখানে সব ধর্ম অনুসারে সত্যবাদিতা , সততা , পরোপকার , বিশ্বস্ততা ইত্যাদি হওয়া উচিৎ ছিল ধার্মিকের পরিচয়।
সত্যবাদিতা , সততা , পরোপকার , বিশ্বস্ততা ইত্যাদিই হল ধর্ম। আর পুজা অর্চনা তথা নামাজ রোজা তীর্থযাত্রা হল অধর্ম। কোন ধর্মের , কোন ঐশীগ্রন্থে পুজা অর্চনা তথা নামাজ রোজা তীর্থযাত্রার নিয়মাবলী পাবেন না। এগুলো মোল্লা পুরোহিতদের বানানো , রচিত। যারা পুজা অর্চনা তথা নামাজ রোজা তীর্থযাত্রা করে , তারা শয়তানের অনুসারী। আর যারা সত্যবাদিতা , সততা , পরোপকার , বিশ্বস্ততা ও সকল সহজাত ভাল গুনকে জীবণের মূল মন্ত্র হিসাবে ধারন করেছে , তারাই এক স্রষ্টা তথা আল্লাহর অনুসারী।
©somewhere in net ltd.