![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুরা আল-যুমার(৩৯) আয়াত ১৮ যারা মনোনিবেশ সহকারে কথা শুনে , অতঃপর যা উত্তম , তার অনুসরন করে। তাদেরকেই আল্লাহ পথ প্রদর্শন করেন এবং তারাই বুদ্ধিমান।
নবী কুরআন প্রচার ও সে অনুযায়ী কাজ করতে গিয়ে বিদ্রুপ,গালাগালি,অবান্তর প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন। রাসুলের প্রচারিত কুরআন প্রতিষ্ঠা সহজ ব্যাপার নয়। যারা কুরআনের মুল বিধান বাদ দিয়ে নিজেদের মনগড়া জীবনাচার দিয়ে কুরআনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, তাদেরকে মোকাবেলা করতে হবে কুরআন দিয়ে। কারন কুরআন হল ফুরকান, সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী।
শায়খুল হাদীসরা কুরআন শিক্ষা দেন, তাদের কম্পানির বই দ্বারা। কুরআনে না থাকলেও তারা শিক্ষা দেন, সবকিছুর নিয়ম বা পদ্ধতি শেখান। কিন্তু তারা বলেন না, এটা কুরআনে নেই। একেই বলে পারফেক্ট বিক্রেতা। ঠিক যেমন কোন ফার্মেসীতে যদি কোন মলম না থাকে, বিক্রেতা কিন্তু নাই বলবে না। তারা অন্য কোম্পানির মলম দিবে।শায়খুল হাদীসরাও এভাবে নামাজের রাকাত পদ্ধতি কুরআনে নেই বলবে না। নামাজ পড়া, রোজা রাখা, হজ্ব করা বা যাকাতের শতকরা হিসাব পদ্ধতি কুরআনে না থাকলেও তারা আপনাকে ’’সিহাহ সিত্তা গ্রুপ অফ কোম্পানীজ’’ থেকে এনে দিবে।। সেখানে না পেলে পছন্দের ব্যাক্তির বই থেকে এনে দিবে।
যেহেতু আপনার কুরআনের জ্ঞান নেই, তাই আপনাকে তাদের মন মতো সব বুঝিয়ে দেবে। শুধু বলবে না, আল্লাহর দেয়া নিয়ম ছাড়া অন্য কারো এমনকি নবীর নামে প্রচলিত নিয়ম মানাও শিরক। যদি আল্লাহকে ভয় করেন তাহলে আল্লাহর নির্দেশে অনুযায়ী শুধু কুরআন অনুসরণ করুন, কুরআন বুঝে পড়ুন। ধর্মীয় ব্যাপারে কুরআন ছাড়া আর কিছুই মানা যাবে না।
©somewhere in net ltd.