নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাবুই পাখি

Footprint of a village boy!

ফারজুল আরেফিন

আমার ভার্চুয়াল ঘর, যেমন ইচ্ছে তেমন সাঁজাই। অতিথিকে স্বাগতম।

ফারজুল আরেফিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইভটিজিং বা উত্যক্ততা কি এবং কেন? ইভটিজিং বন্ধে চাই জনসচেতনতা।

২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৩:৪৩

























ইভটিজিং: ইভটিজিং বলতে কোন মানুষকে বিশেষ করে কোন নারী বা কিশোরীকে তার স্বাভাবিক চলাফেরা বা কাজ কর্ম করা অবস্থায় অশালীন মন্তব্য করা, ভয় দেখানো, তার নাম ধরে ডাকা এবং চিৎকার করা, বিকৃত নামে ডাকা, কোন কিছু ছুঁড়ে দেয়া, ব্যক্তিত্বে লাগে এমন মন্তব্য করা, ধীক্কার দেয়া, যোগ্যতা নিয়ে টিটকারী দেয়া, তাকে নিয়ে অহেতুক হাস্যরসের উদ্রেক করা, রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ধাক্কা দেয়া, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা, ইঙ্গিতপূর্ণ ইশারা দেয়া, সিগারেটের ধোঁয়া গায়ে ছাড়া, উদ্দেশ্যমূলকভাবে পিছু নেয়া, অশ্লীলভাবে প্রেম নিবেদন করা, লম্পট চাহনী, সম্মতির বিরুদ্ধে শরীরে হাত দেয়া। উদ্দেশ্যমূলকভাবে গান, ছড়া বা কবিতা আবৃত্তি করা, চিঠি লেখা, পথরোধ করে দাঁড়ানো, প্রেমে সাড়া না দিলে হুমকি প্রদান, মুঠোফোনে বার বার মিসড কল দেয়া, অশ্লীল মেসেজ পাঠানো, যৌন অর্থবাহী ছবি বা ভিডিও দেখানো, প্রেম ও যৌন সম্পর্ক স্থাপনে চাপ প্রয়োগ, ব্লাকমেইল বা চরিত্র হননের উদ্দেশ্যে স্থির অথবা চলমান চিত্র ধারণ করা, যৌন নিপীড়ন বা হয়রানির কারণে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং শিক্ষাগত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা ইত্যাদিও ইভটিজিং এর মধ্যে পড়ে। বর্তমানে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগে মোবাইল ফোন, ফেসবুক, ব্লগ এবং ই-মেইলের মাধ্যমেও ইভটিজিং হয়ে থাকে।





ইভটিজিং এর কিছু কারণ:



ক) নারীকে পণ্য ও ভোগের বস্তু মনে করা

খ) মূল্যবোধের অবক্ষয় ও প্রকৃত শিক্ষার অভাব

গ) সামাজিক অবক্ষয় ও বৈষম্য

ঘ) বেকারত্ব ও হতাশা

ঙ) সুস্থ সংস্কৃতির অভাব

চ) মাদকের অবাধ ব্যবহার

ছ) আইনের বাস্তবায়ন না হওয়া

জ) আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রকৃত প্রশিক্ষণের অভাব

ঝ) নারীর প্রতি সমাজের (পুরুষদের) নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি

ঞ) রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারী পুরুষের মধ্যে বৈষম্য মূলক সম্পর্ক।





আমাদের দেশে প্রচলিত আইন:





ইভটিজিং নিয়ে সরাসরি পৃথক আইন না থাকলেও বিভিন্ন আইনে এ সর্ম্পকে বেশ কিছু ধারা বা অনুচ্ছেদ রয়েছে। বাংলাদেশের দণ্ডবিধি আইনের ৫০৯ এবং ২৯৪ আইন অনুযায়ী ইভটিজিং বা উত্যক্ততা বা অশালীন অঙ্গভঙ্গি করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যার জন্য একজন অপরাধীর জেল-জরিমানা হতে পারে। এছাড়া ডিএমপি এ্যাক্টের ৭৫, ৭৬ ধারা অনুযায়ীও এটি একটি অপরাধ এবং এর জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। আর বিলম্ব না করে নতুন করে কঠোর আইন প্রণয়ন করা জরুরী।





ইভটিজিং বন্ধে কারা কারা ভূমিকা রাখতে পারেন:





ক) পরিবারের সদস্য একে অপরকে সচেতন করতে পারে।

খ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

গ) কর্মক্ষেত্রের সহকর্মীগণ টিজিং বন্ধে ভূমিকা রাখতে পারেন।

ঘ) রাস্তা ঘাটে চলাচলকারী যে কোন নাগরিক টিজিং বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন।

ঙ) আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিটি সদস্য সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারেন।

চ) আমি-আপনি সকলেই আমরা এই নোংরা ব্যাধির বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখতে পারি।

মন্তব্য ১০৪ টি রেটিং +২৬/-০

মন্তব্য (১০৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৩:৫০

অদম্য১২৩৪ বলেছেন: ভাল লিখেছেন ++++++++

২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৩:৫৫

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: জাতীয় ই-তথ্যকোষে বিষয়টি ভালভাবে লিখা আছে, আরো ভালভাবে প্রচার করা দরকার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:০৩

মদন বলেছেন: ইভ টিজিং এর কারন এ "অশালীন পোশাক" ও যুক্ত করুন।

গতকাল গেছিলাম রাজশাহী নিউ মার্কেট এ। কম্পুটারের জন্য একটা RAM এর খোজে। একটি দোকানের সামনে দিয়ে যাবার সময় চোখ আটকে গেলো একটি মেয়েদের পোশাকে। পোশাকটির বৈশিষ্ট হলো জামা/পোশাকের বুক থেকে সামান্য উপরের অংশ বানানো হয়েছে মশারী বা এই জাতীয় নেট দিয়ে।

এই ধরনের পোশাক সমাজে প্রচলিত হলে তা ইভ টিজিং এ সাহায্য করবে নাকি বাড়াবে?

সচেতন সবাইকেই হতে হবে।

২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:১৫

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: নারীকে পণ্য ও ভোগের বস্তু মনে না করা, মূল্যবোধের অবক্ষয় ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে হবে। রোধ করা সম্ভব হলে চোখও সংযত হবে।

মা-বোন যদি ঘরের ভেতর খোলামেলা পোশাক পড়েন এবং হঠাৎ বেসামাল অবস্থায় উপনিত হয়, তখন কি তাদের সাথে ইভটিজিং করবেন?

৩| ২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:০৬

মেজর জেনারেল বলেছেন: বাহ !! :)

২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:১৭

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :)

৪| ২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:১৫

পানকৌড়ি বলেছেন: মদনের সাথে আমি একমত । ইভটিজিং রোধে মেয়েদেরকেও সচেতন করতে হবে । তারা স্টার প্লাসের বাতাসে গা না ভাসিয়ে আমাদের সংস্কৃতিকে একটু মানেন । স্টার প্লাসকে ফলো করতে গিয়ে মশারী পড়া বাদ দেন । যারা ইভটিজার তারা তো এমনিতেই নাচোনি বুড়ি,তার উপর ঐরকম ড্রেসে মেয়েদেরকে দেখলে ঢোলে বাড়ি পড়ে যায় ।

২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৩৩

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

নারীকে পণ্য ও ভোগের বস্তু মনে না করা, মূল্যবোধের অবক্ষয় ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে হবে। নারীকে মাংসপিণ্ড না ভেবে মানুষ ভাবতে হবে।

ইভটিজাররা বোরকা পড়লেও টিজ করে। দরকার হল তাদের মানসিক উন্নয়ন এবং চারিত্রিক উন্নয়ন সাধন করা। এটা একদিনে নিরাময় হওয়ায় না, তাই জনসচেতনতার বিকল্প নেই। বিদেশী সংস্কৃতির আগ্রাসন অবশ্যই আমাদের জন্য ক্ষতিকর, ঐ জোয়াড়ে নতুন প্রজন্ম যাতে ভেসে না যায় তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। খোলামেলা পোশাক পড়লেই টিজ করতে হবে, রেপ করতে হবে এটা কেমন কথা?

৫| ২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:১৭

ভূতের গলির মোকসেদ বলেছেন: সুন্দর, ইভটিজিং বন্ধে আমাদের সচেতনতা জরুরি... ধন্যবাদ আপনাকে..

২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৩৯

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

সুন্দর সমাজ গঠনে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো একান্ত জরুরী।

৬| ২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:২৫

প্রিন্স অফ ব-দ্বীপ বলেছেন: ইভটিজের সাথে অবশ্যই যৌনতাটাই আসলে দায়ী। এক্ষেত্রে অবদমিত যৌনতা যখন নিরীহ অসহায় নারীকে পায় তখন সেটা ইভটিজ আকারে প্রকাশ পায়, এই টীজারগুলোকে জাস্ট একটু সুযোগ দেন আইন শৃঙ্খলার অবনতি করে দেখবেন তারা আর তখন টিজ করছে না, সরাসরি ধর্ষন করছে। যেমনটা হয় যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ গুলোতে, বা বিদ্রোহ হয় এমন এলাকা গুলোতে।

চোর ডাকাতের নৈতিকতার উপর ভরষা করে যেমন নিজের টাকা পয়সা বাচানো যাবে না, তেমনি নিজেদের হেফাজত নিজেদেরই করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদেরই সচেতন হতে হবে। এমন পরিবেশ সৃস্টি আমাদের করা উচিত না যেন ইভটিজিং উতসাহ পায়।

যেমন প্রথমেই আইন শৃঙ্খলার কথা আসে। আমি নিজেই এক আইন মানি না, সেখানে অন্য একজন আরেক আইন ভংগ করবে, তেমনি ইভটিজারো আইনের শাসনের অবনতির সুযোগ নিবে এটাই স্বাভাবিক। যে দেশে আইনের শাসন নাই সেদেশে ইভটিজিং কোন আলাদা সমস্যা না।

এছারা পরিবারের ভুমিকা বাড়াতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ইভটিজারের পরিবার তার পক্ষ নেয়, পারিবারিক দম্ভ দেখাতে সেটাও একটা বড় কারন।

একই সাথে পোশাকের ব্যপারে সচেতন হতে হবে। পাছা বের করা প্যান্ট পরলে যেমন পুরুষ হিসেবে আমাকে গালি খেতে হবে, তেমনি হট এন্ড সেক্সি পোশাক পরলে একজন নারীকেও ইভটিজিং এর শিকার হতে হবে এটা স্বাভাবিক। কারন আগেই বলেছি ডাকাতের নৈতিকতার উপর যেমন সম্পদের নিরাপত্তার ভরসা করা যায় না, শুধু ইভটিজারের সমালোচনা করে ইভটিজিং থেকে বাচা যাবে না।

সবশেষে জাস্ট মজা করার জন্য ছবিটা দিলাম, ফেবু তে পাওয়া।

২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৪৮

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: পরিবারের ভূমিকা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে, এক একটি পরিবার মিলেই তো এক একটি সমাজ।

আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিষয়টিকে রেখে সবাইকে সচেতন ও আত্মঊন্নয়ন ঘটাতে হবে। আইন শৃঙ্খলার অবনতির জন্য সামাজিক অবক্ষয় অন্যতম প্রধান কারণ। খোলামেলা পোশাক পড়লেই টিজ করতে হবে এ কেমন নৈতিকতা?

৭| ২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:২৯

মদন বলেছেন: ভাইরে যে পোশাকের কথা কইলাম ওউডা ঘরের পোশাক নয়, তরুনীদের জন্য বাইরের পোশাক।

২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৫৪

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: নারীকে পণ্য ও ভোগের বস্তু মনে না করলেই কি নয়? চারিত্রিক অবনতিই কি টিজিং এর প্রধান কারণ নয়?

৮| ২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৩১

প্রিন্স অফ ব-দ্বীপ বলেছেন: লেখক বলেছেন: নারীকে পণ্য ও ভোগের বস্তু মনে না করা, মূল্যবোধের অবক্ষয় ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে হবে। রোধ করা সম্ভব হলে চোখও সংযত হবে।

যেখানে নারীরাই নিজেদের পন্যে পরিনত করে, নিজেকে সবার কাছে হট সেক্সি হিসেবে প্রমান করতে চায়, তাদের সাথে নিয়ে আপনি কিভাবে মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করবেন? কারন এরাই একদিন কারো না কারো মা হবে, তাদের সন্তানেরা কি শিখবে এইধরনের মায়ের কাছ থেকে?

চোখ সংযত করা ইমানি দায়িত্ব তার মানে এই না সবাই ন্যাংটা থাকবে আমি চোখ সংযত করবো, সমালোচনা করতে পারবো না। আমার কোন নৈতিক অবনমন ঘটলে তা শুধু একা আমারই দোষ। যেকোন ব্যাপারের মূলে আঘাত না করে আগায় পানি ঢাললেতো হবে না। মেয়েরা একটু শালিনভাবে চললে কি তাদের গা জ্বালা করে? করে না, কিন্তু তারা করবে না কারন তাদেরই নৈতিকতা নাই, আর একধরনের ইভটিজার এদের দেখেই সারাদিন দোশ্ত আজকে যে একটা মাল দেখলাম না" এইধরনের কথা বলে আর ব্লগে এসে সবাইকে ইমান শেখায়। সবার আগে ইসলামের পর্দা প্রথাকে গালি দেয় আবার ইভটিজারদের রোখার কথা বলে। (এই কথাগুলো তত্থাকথিত মূত্রমনাদের জন্য)

২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৫:০০

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ইভটিজিং সমাজের সর্বোচ্চ স্তর থেকে সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত বিস্তৃত। তাই আত্মউন্নয়ন আমাদের সবার কম বেশী দরকার রয়েছে।

ইভটিজিং কেসগুলো খোলামেলা পোশাকের জন্য হয় এমন নয়, সমস্যাটি হচ্ছে পুরুষের অতি সংবেদনশীল উত্থানজনিত সমস্যা।

ধন্যবাদ ভাই।

৯| ২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৩৮

ডেভিড বলেছেন: যে কোন সামাজিক অনাচার তা সাধারণ বা গুরুতর হোকনা কেন আইনের শাসন না থাকলে তা বাড়তেই থাকবে। সচেতনতা সৃষ্টি করাটা অনেক কঠিন কাজ এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন সবচে কার্যকরী। আর তরুণীরা খোলামেলা পোষাক (এর সংজ্ঞা নির্ণয় দুষ্কর) পড়লে তাকে টিজ করতে হবে কেন?

২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৫:০৬

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: সুনির্দিষ্ট কঠোর আইনই তো এখনো প্রণীত হয়নি; সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দৃষ্টি আকর্ষন করতে হবে।

আমার ধারণা শতকরা ৯০ শতাংশ নারীই বলতে পারবেন যে ইভটিজিং এর ভেতর কোন কোন বিষয় পড়ে। সচেতনতাই পারে তাদের উন্নোয়ন এবং সবার মনুষ্যত্বের উন্নোয়ন ঘটাতে।

১০| ২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৪২

বাঘ মামা বলেছেন:
মদন বলেছেন: ইভ টিজিং এর কারন এ "অশালীন পোশাক" ও যুক্ত করুন।


হুম আরেফিন চমৎকার বলেছেন,যারা মনে করেন ইভটিজিং কেরাতে কংফু দ্বারা রুখে দেওয়া সম্ভব আমি তাদের বলবো ইভটিজিং কি সেটা বুঝিন আগে।

ইভটিজিং সমাজের নোংরা বস্তু কিংবা সুন্দর বনের বাঘ কিংবা উত্তর বঙ্গের চরম পন্থি কিংবা ধেয়ে আসা বাঁধ ভাঙ্গা বন্যা নয় যে দশে মিলে বাহু বলে ইহা রোধ করা যাবে।

ইভটিজিং নিতান্তই বিবেকহীন, চরিত্রহীনতা,পারিবারি কু-শিক্ষা,সমাজ অর্ব্যবস্থাপনা,নারীর অশালীন পোষাক,চলন,বলন, ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয় গুলো বিন্দু বিন্দু করে একটা মানুষের রক্তে প্রবেশ করে সৃষ্টি হয়।

আমি আগেও বলেছি এটা একটা মানুষের গাথুনি সমস্যা তাই গাথুনি থেকে নজর দিতে হবে এবং আমার আপনার সবার সংসারে আশে পাশে বন্ধু বান্ধব যে যেখানে আছে চলতে পথে এইসবের বিষয় তাদের নিরুৎসাহীত করতে হবে।তবেইনা ধীরে ধীরে এমন ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।


শুভ কামনা সব সময় আপনার জন্য আরেফিন।

২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৫:১২

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: একেবারে মূল বিষয়টিকে তুলে ধরেছেন। নিজেদের, পরিবারের, চারপাশের মানুষদের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। সুন্দর সমাজ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

অনেক ধন্যবাদ বাঘ মামা।
আপনার জন্যেও শুভ কামনা সব সময়। :)

১১| ২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৪২

মদন বলেছেন: ডেভিড বলেছেন: যে কোন সামাজিক অনাচার তা সাধারণ বা গুরুতর হোকনা কেন আইনের শাসন না থাকলে তা বাড়তেই থাকবে। সচেতনতা সৃষ্টি করাটা অনেক কঠিন কাজ এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন সবচে কার্যকরী। আর তরুণীরা খোলামেলা পোষাক (এর সংজ্ঞা নির্ণয় দুষ্কর) পড়লে তাকে টিজ করতে হবে কেন?

টিজ হয়তো আপনি আমি করবো না, কিন্তু আরেকজন টীজারের টিজিং ইচ্ছেকে জাগ্রত করবে।

আপনি বর্ডার খুলে রেখে মাদক আসা উন্মুক্ত করে দিবেন আর যুব সমাজ যেন নেশাগ্রস্ত না হয় তার জন্য আইন করবেন।

বিষযটা দ্বিমুখী হয়ে গেলো না???

২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৫:২২

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: উপরে বাঘ মামার মন্তব্যটি দেখুন।
আপনাকেই সচেতন হতে হবে, পরিবারের নারীদের পোশাক সম্পর্কে তাদের সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে। অশালীন পোশাক ইভটিজিং এর একটি কারণ হতে পারে, তবে অন্যতম কারণ নয়।

আমাদের মানসিকতা যতদিন মাংস পিণ্ডতে আটকে থাকবে ততদিন ইভটিজিং রোধ সম্ভব নয়। পণ্য ও ভোগের বস্তু মনে করার বিষয়টা মাথা থেকে সরাতে হবে।

১২| ২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৪৮

রাজুরনি বলেছেন: ভালো লাগছে।

২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৫:২৩

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

১৩| ২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৪৮

প্রিন্স অফ ব-দ্বীপ বলেছেন: @ডেভিড আপনার প্রশ্নের উত্তরটা কিন্তু আমার কমেন্টেই আছে। ডাকাতের নীতি নৈতিকতার উপর ভরসা করে যেমন নিজের সম্পদ বাচাতে পারবেন না, তেমনি "করবে কেন?" এই টাইপ কথা দিয়ে ইভটিজারের হাত থেকে বাচা যাবে না, এইক্ষেত্রে নিজেকেই সাবধান হতে হবে।

২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৫:২৩

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: @ডেভিড ভাই।

১৪| ২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৫:১৮

প্রিন্স অফ ব-দ্বীপ বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ ইভটিজিং কেসগুলো খোলামেলা পোশাকের জন্য হয় এমন নয়, সমস্যাটি হচ্ছে পুরুষের অতি সংবেদনশীল উত্থানজনিত সমস্যা।

পুরুষের এই অতিসংবেদনশীলতা আগেও ছিল, এখনো আছে,এটা আমি আপনি নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারি, কিন্তু অনেকে পারে না। এই যারা পারে না তারাইতো ইভটিজার। তাদেরকেতো আর নীতি কথা দিয়ে থামানো যাবে না। খোলামেলা পোশাক যেমন শুধু এককভাবে ইভটিজিং এর কারন নয়, তেমনি এটা অন্যতম একটা কারন। এক কারনকে ইগনোর করে আরেক কারন নিয়ে সমস্যার প্রতিকার করা যায় না।

২৭ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৫:৩৫

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: সংবেদনশীল উত্থানজনিত সমস্যা নিরসের কার্যকরী উপায় সমাজের সর্বস্তরের চারিত্রিক ও মানসিক উন্নয়ন। ইভটিজিং এর নির্মম শিকার হয় গ্রামের মেয়েরা বেশী, সেক্ষেত্রেও কি খোলামেলা পোশাক দায়ী? মনে হয় না।

উত্থানজনিত সমস্যা থাকলে খাসি করে করে সমস্যা কমানো যাবে না, বরং সমস্যা বাড়বে। এটা দেশব্যাপি বিশাল সমস্যা। সচেতনতা বাড়িয়ে কঠোর আইন প্রণয়নে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। তারপর আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে সুন্দর সমাজ গঠনের আশা করাটা বোকামি। একটা সন্ত্রাসকে প্রতিহত করতে অন্য একটি সন্ত্রাস গঠন অযৌক্তিক।

নীতিকথা নয়; সমাজের চারিত্রিক ও মানসিক উন্নয়নে কাজ করতে হবে সবাইকে সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে।

১৫| ২৭ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪০

ডেভিড বলেছেন: পোষাক নিয়া যখন কথা তখন আবার লগইনড হলাম। আমার বাসার কাছে একটা বড়া মাদ্রাসা ছিল। আমার এক কলেজ পড়ুয়া কাজিন বাইরে বোরখা পড়ে চলা ফেরা করে এবং ওর শুধু হাতের কব্জী, পায়ের পাতা আর চোখ দেখা যায়। একদিন এক মাদ্রাসার ছাত্র ওকে ফলো করতে করতে আমার বাসা পর্যন্ত আসে। পথে নানাভাবে উত্যক্ত করতে করতে শেষ মন্তব্য ছিল - বয়সতো অনেক হলো এখন একজন গার্জিয়ান দরকার। খুবই ভদ্রজনিত টিজিং কিন্তু যাকে করা হয়েছিল সে বাড়ি ফিরতে ব্যপক ভয় পাচ্ছিল। তাই বলছিলাম ইভ টিজিং এক জাতের বেজন্মারাই করে পোষাক আশাক শালীন চলাফেরা এগুলা অগো অজুহাত, ওরা নারীদের কবর দেখলেও মনে মনে তার শরীরের মাপটা ভাবতে ছাড়েনা

২৭ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৮

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: দারুণ বলেছেন ভাই,

"ইভ টিজিং এক জাতের বেজন্মারাই করে পোষাক আশাক শালীন চলাফেরা এগুলা অগো অজুহাত, ওরা নারীদের কবর দেখলেও মনে মনে তার শরীরের মাপটা ভাবতে ছাড়েনা"

ওদের নৈতিক, চারিত্রিক, পারিবারিক শিক্ষার অভাব রয়েছে এবং মানসিকভাবে ওরা অসুস্থ।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬| ২৭ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মদন বলেছেন: লেখক বলেছেন: নারীকে পণ্য ও ভোগের বস্তু মনে না করলেই কি নয়? চারিত্রিক অবনতিই কি টিজিং এর প্রধান কারণ নয়?

আপনি কিন্তু ওয়ান সাইডেড অবস্থায় আছেন মনে হচ্ছে। নারীকে ভোগ্য পন্য মনে না করলেই নয়???

আমাদের সমাজে, আমাদের মিডিয়াতে, আমাদের ফ্যাশনে নারীকে কি সম্মান দিচ্ছে নাকি ভোগ্য পন্য হতেই উতসাহিত করছে?????

আর নারীরাও বুঝে হোক অথবা লোভে হোক সেদিকেই পা বাড়াচ্ছে।

আমি আপনার সাথে ১০০% এক মত হয়ে শুধু এতটুকু বলতেছি যে নেশাগ্রস্থ সমাজকে বাচাতে হলে আইনের শাসন যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন সমাজ থেকে নেশাদ্রব্য দূর করা।


২৭ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৩

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: আমাদের সমাজে, আমাদের মিডিয়াতে, আমাদের ফ্যাশনে নারীকে সম্মান দিচ্ছে না এবং ভোগ্য পণ্য হতেই উৎসাহিত করছে। এক্ষেত্রেও সচেতনার বিকল্প নেই। বোরকা পরিয়ে এবং দমন পিড়ন করে এই বিশাল ক্ষেত্রটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ ও পরিবর্তন করতে পারবেন মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকে সবার সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে। শালীন পোশাক অবশ্যই আমাদের কাম্য, অশালীন পোশাক পরা ভদ্রতার পর্যায়ে পড়ে না। পারিবারিক শিক্ষা একটা বড় বিষয় ভাই।

সমাজে নেশাদ্রব্য থাকবেই, তাই বলে আপনাকে আমাকে যে নেশাখোর হতে হবে এমন কোন কথা নেই। বেশীর ভাগ মানুষই নেশা করে না; আসুন যারা নেশা করে তাদের নেশা মুক্তির জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করি। মনে রাখতে হবে নেশাদ্রব্য থেকে দূরে সরে থাকাটাই ভাল।


১৭| ২৭ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৯

প্রিন্স অফ ব-দ্বীপ বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ সমাজে নেশাদ্রব্য থাকবেই, তাই বলে আপনাকে আমাকে যে নেশাখোর হতে হবে এমন কোন কথা নেই। বেশীর ভাগ মানুষই নেশা করে না; আসুন যারা নেশা করে তাদের নেশা মুক্তির জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করি

সমাজে নেশার দ্রব্য কিন্তু অবাধে নাই, এটা কঠোরভাবে গোপনিয়ভাবে বিক্রয় হয়। আপনি নিশ্চই বারে বারে নেশার দ্রব্য বিক্রির সুযোগ দিয়ে শুধু সচেতনতা দিয়ে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা পাবেন না। সচেতনতা একটী অংশ, কিন্তু একক সমাধান না। আপনাকে আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে এবং আগে ঠিক করতে হবে কোন বিষয়ে সচেতন হবেন। অবাধে নেশার দ্রব্য আমদানির অনুমতি দিয়ে ঘরে ঘরে তাবলীগ স্টাইলে ওয়াজ নসিহত দিলেই কি নেশার ছোবল থেকে বাচতে পারবেন? নিশ্চই না। চাই সব কিছুর সমন্বিত প্রয়োগ। এককভাবে কোন কিছু দিয়েই সমাধান সম্ভব না।

মেয়েরদের এককভাবে পোশাকের ব্যাপারে সচেতন হলেও ইভটিজিং বন্ধ হবে না, সে বোরকা পরলেও না, আইনের প্রয়োগও এককভাবে করলে হবে না, কারন অপরাধি ফাক ফোকর খুজবেই। চাই সমন্বিত ব্যবস্থা কিন্তু অবাক লাগে মেয়েদের পোশাক এর শালীনতা নিয়ে কথা বললে অনেকে আক্রমনাত্বক হয়ে ওঠে কেন?

আমার ওপরের ঐ মজার ছবিটা নিশ্চই দেখছেন। নিজে ন্যাংটা থেকে আরেকজনকে কান ধরানোর মানে হয় না। এটাও ঠিক কাপড় পরলেও অনেকে আমাকে নেংটা দেখার চেস্টাকরবে। এক্ষেত্রে ব্যালন্সড চিন্তা করাটাই ভালো। ওয়ান সাইডেড চিন্তা করে সমাধান যদি হত তাহলে দিনের পর দিন ইভটিজিং এভাবে বারতো না।

আমাদের ধর্মে শুধু এককভাবে ছেলেদের চোখ নামাতে বলে নি, সাথে মেয়েদের শালীন পোশাকের ওপরো জোর দিয়েছে।

ডাকাত ঠেকাতে শুধু আইন শৃংখলা বাহিনীর উপর আমরা নির্ভর করি না, নিজেও সেফ প্লেসে সিন্দুকে টাকা রাখি। আর কেন ডাকাতি করবে এই প্রশ্নতো করার চিন্তাই করি না।

২৮ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:১৫

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: খোলামেলা পোশাক পড়লেই টিজ করতে হবে কেন সেটাই ভাবছি। নারী পুরুষ সম অধিকার, বোরখার নিচে আবদ্ধতা কোন সমাধান নয়। আপনি হাফ প্যান্ট পড়ে বাইরে বের হতে পারলে, নারীরা পারবেন না কেন?

১৮| ২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৫৫

শিপু ভাই বলেছেন:
ইভটিজিং বন্ধে আমাদের সচেতনতা জরুরি... ধন্যবাদ।

গঠনমূলক সুন্দর পোস্ট।+++++++++


স্টিকি করা হোক!!!

২৮ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:১৭

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।।

স্টিকি চাইনা, এমনিতেই ভাল আছি।

শুভ কামনা রইলো।

১৯| ২৮ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:০৯

আরজু পনি বলেছেন:

অনেক সুন্দর পোস্ট। খুব ভালো লাগলো আপনার মেধার প্রতিফলন আবারো দেখে।

অনেক ভালো থাকুন ফারজুল।

শেয়ার নিলাম।।

২৮ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:২৩

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পনি আপু।

মেধার সন্ধানে আছি, খুঁজে পাইনি এখনো।

সর্বক্ষেত্রে সফলতা কামনা করছি; ভাল থাকবেন।

২০| ২৮ শে জুন, ২০১২ রাত ৩:২০

রিস্টার্ট রিফাত বলেছেন: গুড পোস্ট ব্রো। :)

২৮ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:২৮

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: থ্যাংকস বেঈমান ব্রো। :)

আপনার ওখানে কি অবস্থা? শর্ট পোশাক পড়লেই কি পাব্লিকের মাথা খারাপ হয়ে যায় ওখানে? মোল্লাতন্ত্র লাগলে আওয়াজ দিয়েন, রপ্তানিযোগ্য জীনিস বটে। :P ;) ;)

২১| ২৮ শে জুন, ২০১২ ভোর ৫:৩৩

sumon3d বলেছেন:
স্টিকি হওয়ার মত পোষ্ট।++++++++

২৮ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:২৯

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। :)

২২| ২৮ শে জুন, ২০১২ ভোর ৫:৪৮

শয়তান বলেছেন:

২৮ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:৪২

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: দারুণ একটা পোস্টার দিছেন ভাই, অনেক ধন্যবাদ।

শর্ট পোষাকে মেয়ে দেখলেই তো অনেকের যৌন উত্তেজনা বেড়ে যায়। তখন হ...থুন করেও তা নিবারণ করা যায় না, তার উপর ওটা আবার কবিরা গুনাহ্। সহজ পথ একটাই খোলা - টিজ করা আর রেপ করা। পুরুষত্ব জাহির করার একটা ব্যাপার আছে তো। নারী থাকিবে পর্দার অন্তরালে, খোলা বদনে সামনে আসিলে আর রক্ষা নাই। ;)

২৩| ২৮ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:০৩

এস এম ফারুক হোসেন বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন, সুন্দর ও সচেতনতা পোষ্ট।

ভাল আছেন নিশ্চয়ই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৮ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:৫৪

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই।
সাপ্তাহিক ছুটি ভাল কাটুক সবাইকে নিয়ে।

মানবাধিকার নিয়ে কাজ করতে যেয়ে নারী-পুরুষ বৈষম্য ও দৃষ্টিভঙ্গি - এসব নিয়ে আপনার মতামত আশা করছি। বিশেষ করে মফস্বলের কেমন অবস্থা দেখছেন পারলে জানাবেন প্লিজ।

ভাল থাকবেন।

২৪| ২৮ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: কার্টুন গুলান অস্থির হইসে , , ,

পোষ্টে +++++++++++++++




তবে মাইয়াদের ও শালীন পোশাক পরার পরামর্শ রইলো । টাইটস পড়া বর্জন করুন ।

২৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:০২

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: নারীদের মা কিংবা বোন ভাবো, সব সময় যৌন চাহিদা মেটানোর যন্ত্র ভেবো না। সমাধান হয়ে যাবে। নারীও মানুষ, তাদের অধিকার পুরুষের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়।

সাজিদ যদি হাফ প্যান্টে ঘুরে বেড়াতে পারে, তবে একজন নারীরও শর্ট পোষাকে ঘুরে বেড়ানোর অধিকার আছে। আর সে অধিকারে টিজ করার বা তা খর্ব করার অধিকার পুরুষের নাই।

ধন্যবাদ ভাই; ভাল থেকো। :)

২৫| ২৮ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:৩১

যেড ফ্রম এ বলেছেন: কার্টুনগুলো পোস্ট টিকে জীবন্ত করে তুলেছে! অসাধারণ একটি পোস্ট। নারীর পোষাক বিষয়টিকে যারা ইভটিজিং এর নিয়ামক বলেন তারা হয়ত ভুলে যান ৫ বা ৭ বছরের একটি মেয়েও ধর্ষকের লোলুপ দৃষ্টি এড়াতে পারেনা। ধর্ষকের চোখে নারী সন্মানের কিছু নয়। নারী একটি যন্ত্র। ইভটিজারদের কাছেও তেমনি নারী সন্মানের কিছু নয়, নারী মনোরন্জনের একটি ব্যবস্থা মাত্র।

পোস্ট প্রিয়তে নিলাম!

২৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:৩৭

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

খুব সুন্দর বলেছেন - ইভটিজারদের কাছে নারী একটি যন্ত্র মাত্র।

উইকির মতে - Eve teasing is a euphemism used in India and sometimes Pakistan, Bangladesh and Nepal for public sexual harassment or molestation of women by men.
কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে তা প্রকট আকার ধারণ করেছে।

সম্প্রতি আইন ও বিচার বিষয়ক এক ওয়েবসাইটে একটি আর্টিকেল অনেক ভাল হয়েছে, সময় কম থাকায় অনুবাদ করতে পারছিনা। কিছু অংশ তুলে আনছি -

Eve-teasing has no bounds. Every other person on the streets intend to assault women ranging from rich to poor, being literate to being uneducated. It is very sad that, a healthy number of educated boys from reputed families are growing lust towards this practice.

According to the report from ‘Bangladesh National Women Lawyers Association’ (BNWLA) the probable eve-teasers on the streets of Bangladesh are teenage boys, traffic police, rickshaw pullers, bus drivers, supervisors or colleagues of the working women.

Statistics suggests, 32% of the eve teasers are students, 33% are middle-aged men while 35% are anti-socials.

Besides suicide, statistics from only the reported cases reveal that from January-July 2010, approximately 13,000 women were the victims of eve teasing in our country.

Those who have tried to disclose the criminals involved in sexual harassment have been directly murdered. Example being women of 50 was run down by a motorbike when she tried protesting against the issue that her daughter was being assaulted a week before. Again, similarly a teacher was murdered when she demanded a cure for such dirty activities. All patterns of murder are the same for those who try raising a voice. May it be, ‘Simi’ from ‘Charukala’ or ‘Fahima’ belonging ‘Mirpur’, and other female students, workers and slum dwellers were brutally tortured and the society either blamed the women or simply brushed off the air.

Newspapers are a great support to women kind and through the power of pen and paper bring out heartbreaking and awakening reports on sexual harassment frequently. One of the true stories is as follows:

November 1, 2010, Rupali Rani from Bogra, a student of class IX, was usually harassed on her way to school and back home for a few months by a man named Sushil Shil and was eventually was kidnapped by him and kept in a room of his residence at Shirajganj. She was forced by Shushil to act as his wife as he had followed the Hindu custom of putting vermillion oh her head, but that too forcefully. Finally Rupali had no other choice but hanging herself from the ceiling.

In recent time eve-teasing (sexual harassment) has become major concern in Bangladesh.

২৬| ২৮ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:৩৫

রাতুল_শাহ বলেছেন: খুব সচেতনতামূলক পোষ্ট---

নিজের কিছু কথা পরে জানাবো, আপাতত ++++++

২৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:৪৫

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাতুল ভাই।

সময় করে বলবেন কিন্তু, অপেক্ষায় থাকবো।

২৭| ২৯ শে জুন, ২০১২ সকাল ১০:২৮

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: অধিকার বলতে আমি বুঝি - বাঁক , চিন্তা ও কর্মের স্বাধীনতায় নারী বা পুরুষ কোন ভেদাভেদ থাকবে না । পোশাক পরিধানের সাধিনতাও এর অন্তর্ভুক্ত । তবে এই স্বাধীনতার প্রয়োগ করা উচিৎ নিজের বিচার,বিবেক ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ বিবেচনা করে।

ইভটিজিং মেয়েদের পোশাক নয় টিজারের মানসিকরার উপর নির্ভর করে। তবে খোলামেলা পোশাক টিজিং এর সহায়ক।


সাজিদ হাফ প্যান্ট পরে সৈকতে ঘুরলেও আপনার বাসায় আসলে অবশ্যই ফুল প্যান্ট পরে আসবে। পুরুষ হয়েও আমার পোশাক পরিধানের স্বাধীনতা নেই , , , এই গরমে খুবই কষ্ট হয় ফুল প্যান্ট পরতে কিন্তু হায় হায় হায় !!!!!!! , , ,নিজের রুম ছাড়া আর কোথাও এই স্বাধীনতা নেই

৩০ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১২:৪৪

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ধন্যবাদ সাজিদ।
এটা একটা নোংরা মানসিকতা। খোলামেলা পোশাক পড়লেই টিজ, রেপ, খুন করতে হবে এটা কেমন সমাজ!

পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে, এক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নারীরাও সম অধিকার সম্পন্ন মানুষ। পুরুষদের বাড়াবাড়ি রকমের কর্তৃত্ব ও অধিকার বা এমনটা হওয়া উচিত নয় -

২৮| ৩০ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১:০৪

চিন্তা ভাবনা করে শেয়াল বলেছেন: সামুর এই হইলো এক মজা।''সামুতে আর না/সামুরে গদাম দিয়া গেলাম/গেলাম আমি/আর লিখুম না এইখানে'' এইসব যারা কয়,সেইদিন থিকাই বইয়া থাকি কহন ঐ নিক আবার ফিরা আহে।তা ভাইজানের এইডা লইয়া কয় নং প্রত্যাবর্তন?ছোটমুখে একটা কতা কই,সেই জিনিস করতে পারবেন না,সেইডা না কইলেই ভালো।চ্যাটাং চ্যাটাং ডায়লগবাজীর আগে ভাইব্বা লওন দর্কার,আপনি আসলেই তা পার্বেন কিনা। =p~ =p~

৩০ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১:১৩

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: আমি বলি নাই যে লিখবো না। ব্যক্তি আক্রমণের শিকার সবসময়, তাই নিক পরিবর্তন করে ছদ্ম নামে লিখতে চাই। যেহেতু নতুন নিক সেফ হতে সময় লাগে তাই এই নিকেই লিখছি। ব্যক্তি আক্রমণ আবারও শুরু করা হলে এই নিকের কার্যক্রম আবারও বন্ধ থাকবে। বেশী ভেবে চিন্তে ব্লগিং করলে তো শেয়াল-বিড়াল নিক নিয়েই ব্লগে আসতাম, পূর্ণ পরিচয়ে ব্লগাতাম না। ২০ দিন পর প্রথম বারের মত ফিরে এসেছি নিয়মিত পোস্ট দিতে, ফিরে আসা দেখে খারাপ লাগলে দুঃখিত। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৯| ৩০ শে জুন, ২০১২ দুপুর ১:৫০

চিন্তা ভাবনা করে শেয়াল বলেছেন: আপনি ফিরে আসলে খারাপ লাগার কিছু নাই,আপনের সাথে আমার শত্রুতা আছে এমন না।তয় কইলাম যে,নিজের কথার মুল্যটা রাখলে ভালো হয়।আপনি ব্লগ থেকে সাময়িক সময়ের জন্য যান,কিন্তু 'এই নিক থেকে আর লিখুম না' জাতিয় কথাবারতা বলার দরকার কি।সেইটাই কইতাছিলাম।নবযাত্রায় অভিনন্দন জানাই।

৩০ শে জুন, ২০১২ দুপুর ২:০৭

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: এই নিকটাই যেহেতু অনেকের মাথা ব্যথার কারণ, তাই বিরতিতে যেতেই হয়। ব্যক্তিগত আক্রমণ দেখছিনা কয়েকদিন থেকে, তাই ফিরে আসা। আবার শুরু হলে আবার বিরতিতে যাব; যাওয়ার আগে লিখে দিয়ে যাব যে এত তারিখ থেকে আর কোন নতুন পোস্ট দেয়া হবে না। আপনি খুঁজ না করলেও অনেকে নতুন পোস্ট খুঁজ করতে পারেন, তাদের জন্য তো ব্লগিং আপডেট লিখতে হবেই।

ধন্যবাদ আবারও।

৩০| ৩০ শে জুন, ২০১২ দুপুর ২:৩১

রাহি বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। সবাই সচেতন হোক এটাই প্রত্যাশা।

৩০ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:১২

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

সবাই সচেতন হওয়াটা ও সবাইকে সচেতন করাটা জরুরী।

ভাল থাকবেন।

৩১| ৩০ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৩:৪৭

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: আপনি হয়তো আমার পয়েন্টটা ধরতে পারছেন না

খোলামেলা পোশাক পড়লেই টিজ, রেপ, খুন করতে হবে - -


এই কথা বলিনি , ,

বলেছি , পোশাকের স্বাধীনতার প্রয়োগ করা উচিৎ নিজের বিচার,বিবেক ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ বিবেচনা করে।

৩০ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:১৭

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: তা তো অবশ্যই।
পোশাকের বিষয়েও সচেতন হতে হবে নারীদের, আমাদের সংস্কৃতির সাথে যায় এমন পোশাকই পড়া উচিত। না পড়লে পুরুষদের সেটা দেখে যৌন তাড়িত হয়ে টিজ করা উচিত নয়।

অনেক ধন্যবাদ।

৩২| ৩০ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:২০

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: এই চোখে দেখা টিজিং এর সাথে ফোনে করা টিজিং এর জন্যও কোন ব্যবস্থা থাকা উচিত। গত কয়েকদিন আমি যে মানষিক কষ্টে ছিলাম এর তুলনা হয়না। এ টিজিং এর জন্য আমি কাকে বলবো?

০১ লা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৪৬

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: আমার মনে হয় প্রতিটি মেয়েই ফোনে টিজিং এর শিকার হয়। অথচ এই বিষয়ে যথাযথভাবে সহায়তা পাওয়ারও সুযোগ নেই। আপনার প্রশ্নের উত্তর তো জানিনা। সত্যিই তো কাকে বলবেন, সিম পরিবর্তন করা ছাড়া আর হয়তো কোন উপায়ই নেই!

মোবাইলে যে টিজিং হচ্ছে তার জন্য কঠোর আইন প্রয়োজন। প্রয়োজন একটি অভিযোগ গ্রহণকারী বিশেষ নম্বর, যেখানে অভিযোগ দিলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গৃহীত হবে। সর্বোপরি আপনাদের অধিকার আদায়ে আওয়াজ তোলতে হবে।

ধন্যবাদ।

৩৩| ৩০ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:৫৬

নিখিলেস প্যারিসে বলেছেন: ইভটিজিং থামাতেই হবে, উপড়াতে হবে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি...

০১ লা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৪৮

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ঠিক বলেছেন, নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনই পারে ইভটিজিং রোধ করতে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৪| ৩০ শে জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫১

এস এম ফারুক হোসেন বলেছেন: বছর খানেক আগে ইভটিজিং সত্যিই মহামারি আকার ধারন করেছিল। ইভটিজিং রোধে সরকারের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা ও আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক বিচারের ব্যবস্থা রাখায় তা অনেকটা প্রশমিত হয়েছে। রাস্তাঘাটেও বখাটেদের উৎপাত এখন অনেক কম।

নারী পুরুষ বৈষম্য ও দৃষ্টি ভঙ্গি রাতারাতি সম্পূর্ণ রুপে দূর করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রচুর কাজ করতে হবে। আমরা পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে যা শিখছি বা দেখছি তা এত সহজেই আমরা বদলাতে পারবো না। তবে এখন পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

এরপরও আমি বলবো অনেক কিছুই হয়েছে। মেয়েরা সব ধরনের পেশায় ধীরে ধীরে সম্পৃক্ত হচ্ছে। মেয়েরা চাকরি বা পেশার কারণে বাইরে বের হলে এখন আর কেউ খারাপ চোখে দেখছে না। এগুলো তো সত্যিই আশার আলো দেখায়।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ফারজুল ভাই।



০১ লা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৫৪

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: বাহ্, চমৎকার আশার কথা শুনালেন ভাই।
আমরা পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে যা শিখছি বা দেখছি তা এত সহজেই আমরা বদলাতে পারবো না - আসলেই তাই। মেয়েদের তাদের অধিকারের বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, ভাল থাকবেন।

৩৫| ০১ লা জুলাই, ২০১২ রাত ১২:২৬

রিমঝিম বর্ষা বলেছেন:

লেখক বলেছেন: নারীকে পণ্য ও ভোগের বস্তু মনে না করা, মূল্যবোধের অবক্ষয় ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে হবে। রোধ করা সম্ভব হলে চোখও সংযত হবে।

মা-বোন যদি ঘরের ভেতর খোলামেলা পোশাক পড়েন এবং হঠাৎ বেসামাল অবস্থায় উপনিত হয়, তখন কি তাদের সাথে ইভটিজিং করবেন?


:

:

উপরোক্ত উত্তরের জন্য আপনাকে স্পেশাল থ্যাঙ্কস।

০১ লা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৫৬

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

শুভ কামনা।

৩৬| ০১ লা জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:১২

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: আপনাদের একটা সমস্যা কি জানেন? অতিরিক্ত মাত্রাতিরিক্ত আবেগ দেখান যে কোন পোস্টে এবং সেগুলো করেন হয়ত মানুষ ভালো বলবে সেই আশায়। কিন্তু এতে সমস্যার সমাধান হবেনা।

আপনার কি মনে হয় ইউরোপ, আমেরিকা ইভটিজিং মুক্ত? সেখানে তো অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয় আবার ক্রিমিনালের জন্য কঠোর শাস্তির বিধানও নেই। তারপরও সেখানে এত এত ইভ টিজিংয়ের অভিযোগ আসে কেন? কারণ একটাই মেয়েরা ইভটিজিংয়ের অভিযোগ করার সাহস পায়, বিচার দাবি করাটা নিজের অধিকারের আওতাভূক্ত মনে করে, অভিযোগ প্রমাণ করাটাকে নিজের দায়িত্ব মনে করে, বিচার শেষে যেই বিচারই হোক সে ন্যায় বিচার পেয়েছে এটা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে বিশ্বাস করে। পশ্চিমা ছেলেরা মেয়েদের মায়ের জাত, বোনের জাত বলে গলা ফাটায়না আবার মেয়েরাও আমারে বোন ভাব, মা ভাব আব্দার করেনা - ফলে আলতুফালতু ক্যাচালও কম হয়। ওরা মনে সমাজে অপরাধ হবেই এবং সমাজের সেই অপরাধ যাতে নির্বাপিত হয় সেজন্য যতটুকু মানবিক শাস্তি সম্ভব সেটুকু দিয়ে অপরাধটাকে কমিয়ে রাখা। ওখানে আপনি যদি দাবি করেন খুনিকে চামড়া ছিলে লবণ লাগিয়ে মারা হোক, চোরের হাত কেটে নেয়া হোক, ধর্সকের লিঙ্গ কেটে হাতে ধরিয়ে দেওয়া হোক - তাহলে আমি শিউর মেজোরিটি লোকই আপনাকে দেখে আতকে উঠবে ভয়ে। ভাববে কোন দানব দেখছে হয়ত সামনে।

কিন্তু বাংলাদেশে ব্যাপারটা উল্টা। এখানে ছেলেরা মেয়েদের মা-বোন মনে করে আবার একইসাথে ইভটিজিং, রেপ সবই করে আবার অভিযোগ উঠলে দাবি করে এ কাজ আমি করতেই পারিনা। কারণ আমি ভিক্টিমকে মা-বোন বা মেয়ে মনে করতাম। আর আমাদের আবেগময় জনতার কথা আর কি বলব একদল ধর্ষিতার দিকে ফিরে কান্দে আর এক দল মা-বোন-মেয়ে বানানো পুত্র-ভাই-বাবার শোককে নিজের শোক মনে করে নিজের বুক চাপড়াতে থাকে। এইসব আর কতদিন চলতে থাকবে? আমি জানিনা। আমার মনে হয় অনন্তকাল। এবং এটা চলতেই থাকবে যদি আরবের বোরকা কালচারই চাপে আমাদের ঘাড়ে বা পশ্চিমের উত্তাল হাওয়ায় শরির মন যদি জুড়িয়ে যায় তাহলেও। এর থেকে বাচার কোন উপায় নাই। আপনাকে যা করতে হবে সেটা হল এই ঘটনাগুলো যেন নিয়ন্ট্রণে থাকে সেই ব্যাবস্থা নেয়া এবং এগুলো থামানোর ব্যাপারে দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের রেসপন্সিবিলিটি নেয়া। আমাদের দেশের মানুষের অতিরিক্ত আবেগ প্রকাশের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের রেসপন্সিবিলিটি নেয়ার অনিচ্ছা ইভটিজিং বৃদ্ধির প্রধান কারণ। একটা ইভটিজিং হলে ধর্ষিতার যেমন মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য তেমনি ঐ এলাকার পুলিশ, ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি, সমাজকর্মী, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন সবাইকে ব্যাপারটা যেন নিজের উপরে ঘটে যাওয়া অত্যাচার এমন মনে করে ভিক্টিমের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে হবে। ইভটিজিং কি, ধর্ষণ কি সেটা অলরেডি নির্ধারণ করা আছে আমাদের দেশের আইনে এখন দেশের মানুষগুলো সুস্থ স্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করলেই ইভটিজিং কমতে শুরু করবে কিন্তু নির্মূল মনে হয় সম্ভব নয় যতদিন পর্যন্ত না বিজ্ঞানীরা মানুষের মস্তিস্কের চিন্তাধারাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে।

আর একটা কথা মেয়েদের ও শক্ত হতে হবে। সবসময় রাষ্ট্র বা আধুনিক মনস্ক পুরুষেরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে এমন না। অনেক সময় নিজেকেই সাহস করে প্রতিকূল পরিবেশকে নিজের অনুকূলে নিয়ে আসতে হয়। উকিলের জেরা, সমাজের কটুক্তি, ডাক্তারি পরীক্ষা এগুলোতে ভরকে না গিয়ে ন্যায়বিচার পাবার জন্য আদালতে দাতে দাত পিষে লড়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে যারা পথ তৈরী করে তারা অনেক কস্ট করে কিন্তু পথিক আড়ামেই হেটে যায়। আমার মনে হয় এই ছবিটা দেখলে বুঝতে পারবেন কত কস্ট করে এবং দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তার সহায়তায় কিভাবে একজন নারী শুধু ধর্ষকের শাস্তিই নিশ্চিৎ করেনি বরন্চ্ঞ যারা সেইসময় উস্কানিদাতা ছিল তাদেরও শাস্তি নিশ্চিৎ করতে সক্ষম হয়।

ও আরেকটা কথা প্রথম দুই লাইনে মনে হতে পারে আমি আপনাকে আক্রমণ করেছি কিন্তু আপনার দুই একটা কথা বাদে আপনার সাথে বা পোস্টের সাথে আমার কোন দ্বিমত নেই। তবে এটাও ভূলে যাইনি ব্লগে কিছুদিন আগে এত রাত জেগে ব্লগিং করা, এই বয়সেও যথেষ্ট সুন্দরী এরকম কমেন্টও সামুতে জনৈক ব্লগাররা দিয়েছিল। আমরা সেসব চাইলেও ভূলতে পারিনা। Dissociative identity disorder সমাজ রাষ্ট্র উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।

০১ লা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:০৬

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: আপনার আবেগ মাপার যে যন্ত্রটা আছে ওটা আমাদের ধার দিয়েন, এরপর কোন পোস্ট বা মন্তব্য দেয়ার আগে মেপে মেপে দিব।

আপনি যে ইউরোপ, আমেরিকা থেকে ব্লগিং করেন তা জানা ছিল না। আপনি ভুল করে এই পোস্টে ঢুকে পড়েছেন, এটা কোন ক্যাচাল পোস্ট নয়। মতের ভিন্নতা মানেই ক্যাচাল নয়; দয়াকরে কোন ক্যাচাল পোস্ট খুঁজে নিন।

মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

৩৭| ০১ লা জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:১৮

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: >>>

ও আরেকটা কথা প্রথম দুই লাইনে মনে হতে পারে আমি আপনাকে আক্রমণ করেছি কিন্তু আপনার দুই একটা কথা বাদে আপনার সাথে বা পোস্টের সাথে আমার কোন দ্বিমত নেই। আমার আপত্তি হল পোস্টে চলা ক্যাচালের দিকে। সবাই একটা বিষয়কে ঘৃণা করছে কিন্তু একমত হতে পারছেনা। আর এটাও ভূলে যাওয়া ঠিক হবেনা ব্লগে কিছুদিন আগে এত রাত জেগে ব্লগিং করা, এই বয়সেও যথেষ্ট সুন্দরী এরকম কমেন্টও সামুতে জনৈক ব্লগাররা দিয়েছিল। আমরা সেসব চাইলেও ভূলতে পারিনা। Dissociative identity disorder সমাজ রাষ্ট্র উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।

০১ লা জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:২৭

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: বর্তমানে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগে মোবাইল ফোন, ফেসবুক, ব্লগ এবং ই-মেইলের মাধ্যমেও ইভটিজিং হয়ে থাকে।

কবর খুঁড়ে অন্যকোন পোস্টের ক্যাচাল এখানে না নিয়ে আসলে খুশি হই।

আপনার বিশাল মন্তব্যের কিছুই বুঝলাম না, জ্ঞানী নই বলে। আপনি বোরকার বিপক্ষে, সচেতনতার বিপক্ষে, পুরুষতন্ত্রের পক্ষে, আবার প্রাচ্য-পাশ্চাত্য-সাবকন্টিনেন্ট সব জায়গার ইভটিজিং এক এবং পরিবেশও এক করে ফেলেছেন, আমাদের মানুষ ভালো বলবে সেই আশায় মেয়েদের অধিকার ও অন্যদের সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগকে অতিরিক্ত মাত্রাতিরিক্ত আবেগ দেখান বলছেন, এদেশের নারীদের শক্ত হতে বলেছেন, কর্মকর্তাদের যে সচেতনতার দরকার নেই তাও বুঝিয়েছেন ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলেই, Dissociative identity disorder সমাজ রাষ্ট্র উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। অযথা ত্যানা না পেঁচিয়ে সরল ছোট বাক্যে ভাব প্রকাশ করুন, একের ভেতর অনেক নীতি থেকে বের হোন। তাতে করে যা বলতে চেয়েছেন তা যেমন আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে, তেমনি আপনারও বুঝতে সুবিধা হবে।

ধন্যবাদ।

৩৮| ০১ লা জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৬

প্রিন্সর বলেছেন: একটা খাবার ঢাকা অবস্থায় কোনোদিনই মাছি বসতে পারে না, জীবাণু ছড়ানো তো দূরের কথা ।

আশা করি কথাটার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন । B-)

০১ লা জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৯

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: নারী যে খাবার বা ভোগ পণ্য তা বুঝলাম আলোচনায়, আমি তো ভাবতে চাই নারীও মানুষ।

আল্লাহ্ তাদের বানিয়েছে শুধু পুরুষের যৌন চাহিদা মেটানো ও সেবা করার জন্য, তাই না? তাও আবার পুরুষের হাড় দিয়ে! ভোগ, টিজ, ধর্ষন সবই তো জায়েজ। B-)


যা যা কাল্লা B-))

৩৯| ০১ লা জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

এস এম ফারুক হোসেন বলেছেন: বেশ কয়েক দিন অফিসের কাজে দারুন ব্যস্ত ছিলাম, নেটে সময় দিতে পারিনি। আশাকরি দু'এক দিনের মধ্যে ফ্রি হবো ।


ভাল থাকবেন ভাই ধন্যবাদ।

০২ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৮:৩৭

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ব্যস্ততা কেটে যাক। ব্লগিং এর নেশা বেশী যাতে না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন, এ নেশা কাটানো কঠিন। অন্য কাজ সবার আগে।

আপনিও ভাল থাকুন সব সময়। :)

৪০| ০২ রা জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:২০

প্রিন্সর বলেছেন: মানুষ মানুষের পণ্য হয় কি করে?

শিক্ষক যদি আক্ষরিক অর্থে স্টুডেন্টকে বলে গাধা, সে কি সত্যিই গাধা হয়ে গেলো?


আল্লাহ্ নারী পুরুষ উভয়কেই পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে বানিয়েছেন । আর বর্তমান যুগে এর উল্টোটাই বলা লাগে ।।

০৩ রা জুলাই, ২০১২ রাত ৯:০৩

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: কিভাবে ভোগ পণ্য হিসেবে ধরা হয় চিন্তা করলেই বুঝবেন।

শিক্ষক স্টুডেন্টকে গাধা বললে সে সত্যিই গাধা হবে না, তবে স্টুডেন্টের মনে সে শিক্ষকের প্রতি গাধা সম সম্মান জন্ম নিবেনা তা কিন্তু বলা যায় না।

পরিপূরক আর সমঅধিকার দুইটা ভিন্ন জীনিস।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৪১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৫৬

শায়মা বলেছেন: বাড়িতে, বাবা মা আত্মীয় স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশীদের মাঝে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। বাচ্চাকে ছোট থেকেই সঠিক দৃষ্টি ভঙ্গির শিক্ষা দিতে হবে।

সামাজিক সচেতনতা ও স্কুল কলেজেও শিক্ষনীয় কিছু ব্যপার আছে।

০৬ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৯:০২

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ঠিক বলেছো আপু।
নারীদের সচেতনতা বাড়াতে হবে, কারণ বাচ্চাদের উপর তার মায়ের ভূমিকা অগ্রগণ্য।

অনেক ধন্যবাদ।

৪২| ০৬ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৫:০০

মিথী_মারজান বলেছেন: চমৎকার আরেফিন।
+++++++++++

০৬ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৯:০৪

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মিথী।

ভাল থাকুন সব সময় ব্যস্ততায়। :)

৪৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৩৮

শাহেদ খান বলেছেন: পোস্টে ভাল লাগা, ফারজুল ভাই। ব্যাপারটা আসলে পুরোটাই মানসিক বিকৃতি'র। পোষাকের কথা বা অন্য সবকিছুই ইভ-টিজারদের অজুহাত মনে হয় শুধু।

তত্ত্বীয়ভাবে অনেক গুছিয়ে লিখেছেন সবটা। +

০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১:৫৪

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: দুঃখের বিষয়কি জানেন ভাই, পোস্ট দাতাকে অনেকে জোচ্চোর বলছেন। মহামানব তো নই, তাই বলে ইভটিজারের মত মানসিকভাবে বিকৃতও নই।
আমরা চাইলেই পারি নিজে সংশোধন হতে, অপরকে সংশোধন করতে, সর্বোপরি সমাজকে বদলে দিতে।

অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।

৪৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১২ ভোর ৫:৪০

অর্পণ! বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট। লিখে যান এমন সব পোস্ট। ++++++++

০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১:৫৯

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে, কভু আশীবিষে দংশেনি যারে!

উপযুক্ত পরিবেশ পেলে, মান সম্মান বজায় থাকা সাপেক্ষে অবশ্যই ব্লগিং চলবে অবসরে বা ব্যস্ততায়।

ধন্যবাদ, শুভ কামনা। :)

৪৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:৫৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: দারুন পোস্ট,,,,,,,,,,,খুব বেশি গঠণমূলক পোস্ট।
ভাবতে অবাক লাগে,,, আমি এত সুন্দর পোস্ট দেখি নাই কেন,,,,,,,,

০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ২:০২

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। :)

অনেকদিন পর এলেন!
ভাল থাকবেন সব সময়। :)

৪৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:২০

রুদ্রাক্ষী বলেছেন: সাহসী ও জনসচেতনতা মূলক পোস্ট।বরাবরের মত পোস্টে প্লাস।আপনার লেখনী আপনার ছবির মতই শক্তিশালী।যত দেখছি মুগ্ধ হচ্ছি।
অফটপিক- আপনার জন্য ব্রেন নিয়ে পোস্ট দিয়েছি ।সময় করে ঘুরে এসেন।ভালো থাকবেন।

১২ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:২৬

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। :)

ব্রেনের পোস্ট খুব ভাল হয়েছে, উপকারী পোস্ট - অনেকের কাছে আসবে। এভাবেই মানবসেবা করে যান অনলাইন ও অফলাইনে।

আপনিও ভাল থাকুন সর্বদা।

৪৭| ০৯ ই জুলাই, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৮

জলঝিরি বলেছেন: দারুন লিখেছেন !!!!

পোস্টের সাথে সাথে মন্তব্যগুলোও যথাযত এবং যুক্তিসঙ্গত ।

আপনার সুন্দর মূল্যবোধ , সৎ সাহস আর লেখনী শক্তি দেখে প্রতিবারের মত এবারও মুগ্ধ হলাম । :) :)

নাহ ! এবার দেখি আমাকেই চকলেট খাওয়াতে হবে :)

১২ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৩৫

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: কপি-পেস্ট-এডিট করেছি তো!! :P

আমাকে কেউ কিছু খাওয়ায় না; শুধু মুখে মুখে বলে। :( ;)

পোস্ট রিলেডেট পরীক্ষাতে বাঁশ খেয়েছি। টনসিল, সাইনাস, মাইগ্রেন - খুব খারাপ অবস্থায় আছি। :( :(

আমার চকলেট কিন্তু পাওনা রইলো। ;)

৪৮| ১২ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১:৩৫

তামিম ইবনে আমান বলেছেন: ইভটিজিং ভালো না। যাই হোক আমি এখন সেফ। !:#P !:#P !:#P !:#P

১২ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৩৯

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: দীর্ঘ সময় অপেক্ষা, তাই না? অভিনন্দন! !:#P !:#P

সত্যিকারের ব্লগার হবেন সে আশা রইলো।

ধন্যবাদ :)

৪৯| ১২ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৪০

চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: ইভ টিজিং বন্ধে জনসচেতনতার বিকল্প নেই।

পোস্টে ২২ তম ভালো লাগা।।

১২ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৪১

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। :)

ভাল থাকবেন, শুভকামনা সবসময়।।

৫০| ০১ লা আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:৫৫

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ইভটিজিঙ আগে আমার ভিতর থেকে দূর হতে হবে।

আলো একবার জ্বললে চারদিক থেকে দেখা যায়। চারদিকের আাঁধারও দূর হয়ে যায়।

আমরা ধরা খাচ্ছি সামাজিকভাবেই নীতির অভাবের জন্য।

০২ রা আগস্ট, ২০১২ ভোর ৪:২৯

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: সত্যিই বলেছেন নীতির অভাবের জন্য আমরা পদে পদে ধরা খাচ্ছি। আবার দেখছি ধর্ম ব্যবসার মত নীতিহীনদের স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও ব্যবসার ফন্দি আঁটতে। মানবিক গুণাবলির বিকাশ না হলে সামগ্রিক অগ্রগতি ও সমাজ সংস্কার সম্ভব নয়।

অনেক ধন্যবাদ। :)

৫১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:০১

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: আর একটা কথা,

অপরাধ মানবিক হলে তার শাস্তি মানবিক হতে হবে।
অপরাধটা মানবিক, নাকি অমানবিক, সেটা বিবেচনা করলে,
যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করলে,

আর দেখতে হবে না।

১০ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:০৩

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: হুমমম, ঠিক বলেছেন।
আমি বলতে চাই যে, যথাযথ আইন প্রণয়ন ও তার প্রয়োগ জরুরী।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৫২| ১০ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:২২

ততততততততততততততত বলেছেন: ইভটিজিং এর কিছু কারণ: :(
ক) নারীকে পণ্য ও ভোগের বস্তু মনে করা
খ) মূল্যবোধের অবক্ষয় ও প্রকৃত শিক্ষার অভাব
গ) সামাজিক অবক্ষয় ও বৈষম্য
ঘ) বেকারত্ব ও হতাশা
ঙ) সুস্থ সংস্কৃতির অভাব
চ) মাদকের অবাধ ব্যবহার
ছ) আইনের বাস্তবায়ন না হওয়া
জ) আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রকৃত প্রশিক্ষণের অভাব
ঝ) নারীর প্রতি সমাজের (পুরুষদের) নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি
ঞ) রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারী পুরুষের মধ্যে বৈষম্য মূলক সম্পর্ক।

১০ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:৪৫

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: হুমমম...... :(

লাঠিপেটা করে এটা নির্মূল করা যাবে না। সমাজটাকে সংশোধন করতে হবে, সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.