নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব,ইইই প্রকৌশলী। মতিঝিল আইডিয়াল, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র।টেলিকমিউনিকেশন এক্সপার্ট। Sustainable development activist, writer of technology and infrastructural aspects of socio economy.

এক নিরুদ্দেশ পথিক

সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।

এক নিরুদ্দেশ পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদ্মা সেতু বনাম ঢাকা- চট্রগ্রাম চার লেইন

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫৩

এক যুগ ধরে ঢাকা - চট্রগ্রাম চার লেইন (মাত্র!) এর কাজ চলছে। বাড়ি যাবার রাস্তাটি এখনও যানজট মুক্ত হয়নি।

একটি দেশের ব্যস্ততম এবং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক (!) ২০১৫ তেও চার লেইন এ পরিনত হতে পারেনি, এই লজ্জা নাগরিক হিসেবে আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। তাও নিছক চার লেইন, সার্ভিস লেইন নাই, এক্সিট এন্ট্রির বন্দোবস্ত নাই, নাই গ্রামীণ অর্থনীতির চালিকা শক্তি "হাঁট বাজার" গুলোর জন্য প্রভিশন। নেই রোড সাইড বাস স্ট্যান্ড এর প্রভিশন। নেই স্লো মুভিং লেইন, গ্রাম থেকে গ্রামের সংযোগ কারি রাস্তায় নেই পায়ে হাঁটার পথ কিংবা সাইক্লিং লেইন। নিছকই ২+২ চার লেইন। তাও হয়ে উঠলো না।

সর্বশেষ ২ বার বাসে গ্রামের বাড়ি যাবার সময় আট ঘন্টার মত সময় লেগেছে, দুরুত্ব মাত্র ৯২ কিমি! প্রাইমারি স্কুলে থাকতে এই রাস্তায় ২ টি ফেরিঘাট ছিল (মেঘনা, গোমতি-মেঘনা), সেই সময়েও অতি নিন্ম মানের বাসে ৫-৬ ঘন্টার মত সময় লাগতো।

তাও আশা করি কাজ টা শেষ হোক, তাও আশা করি এই কাজ শেষ হলে, নেতৃত্বের কেউ ভাববে সার্ভিস লেইন এবং স্লো মুভিং লেইন সহ ৬ বা ৮ লেইনের কাজ এর কথা।

প্রায় এক যুগ ধরে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হওয়া নিয়ে পরিকল্পনা বিভাগে কথা হচ্ছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে দূর্নীতির হিসেব নিকেশ বাদ দিয়েও আশায় ছিলাম এই কাজ দ্রুত শুরু হবে, অবশেষে আজ হয়েছে, পরিকল্পনা নেয়ার প্রায় বার-তের বছর পর।

স্বাধীনতার ৪৪ বছর এর মাথায় দেশের স্বাধীনতার আন্দোলনের স্থপতির গ্রামের বাড়ি যাবার রাস্তায় একটি সেতুর কাজ শুরু হচ্ছে, এই দুর্বিত্তায়িত বিলম্ব আর এই লজ্জা আর কাউকে তাড়িয়ে না বেড়ালেও, নাগরিক হিসেবে আমাকে বেড়ায়। কারণ এই একটি সেতু দেশের জিডিপিতে ১% এর অধিক ভূমিকা রাখতে পারে।


আমরা যারা দেশের নাগরিকের আর্থ-সামাজিক মুক্তি নিয়ে ভাবি, আমরা আশা করি চার লেইনের মত এক যুগ যাতে লেগে না যায় এই সেতুর উদ্ভোদনে। আগামী ৪-৫টি অর্থ বছরেই পদ্মা সেতুর কাজ সমাপ্ত হবে, এই আশায় বুক বাঁধি!

পদ্মা সেতু, তোমার ভিজিবিলিটির অপেক্ষায়!

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলো দেশ চালানো নয়; মুদি দোকানের ভেজাল তেল বিক্রেতারা দেশের মাথায় বসেছে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: বঙ্গীয় ডেল্টার একজন রিক্সাওলাকেও যদি আপনি মার্সিডিজ ধরিয়ে দিন, আমি নিশ্চিত উনি সেটার চালনা শিখতে ১ বছর সময় নিবেন না!

তাহলে অযোগ্য এবং চাঁদাবাজ লোকেরা নেতৃত্বে এসে কিছুটা হলেও ইফিসিয়েন্সি দেখাতে পারবেন না, তা কি হয়! "প্রয়োজন হলে রাস্তা-ব্রিজ করবো না তার পরেও পুরাটাই মেরে দিব"-এই মানুশিকতা তো সিস্টেমেটিক হয়ে যাচ্ছে।

জগতে কাজ করে কিছু কামিয়ে নিবার নিয়ন্ত্রিত দুর্নীতি রয়েছে, কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে এত খাই খাই এর শেষ কোথায়। সরকারগুলোর পাল্লা দিয়ে অর্থ পাচারের বিভীষিকা নিয়ে, খুবই মর্মাহত। আর কত! একটা ইউ টার্ন তো দরকার!

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৭

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: পদ্মা সেতু, তোমার ভিজিবিলিটির অপেক্ষায়!

৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৭

চাঁনপুইরা বলেছেন: ঢাকা - চট্টগ্রামের মহাসড়ক অবশ্যই একদিন চার লেনের হবে এবং তা নিয়ে শাসক গোষ্ঠী সাফল্যের ডুগডুগি বাজাবে, দেশী বিদেশী চামচা আর হালুয়া রুটির অংশীদারদের উন্নয়নের বয়ান শুনতে শুনতে কান ঝালা পালা হবে। কিন্তু হবে সেই সময় যখন চার লেন, ছয় লেন এমনকি আট লেনেও আর প্রয়োজন মিটানো যাবে না। হায়রে বাংলাদেশ , এত উন্নতি, এত সাফল্যের গীত অথচ এত বছরেও আজ পর্যন্ত একটি সত্যিকারের মহাসড়ক ( প্রয়োজন ব্যতিত কোথাও না থেমে একটানা চলতে পারার মত) নির্মাণ করা গেল না শুধু এই বিষয়টা দিয়েই কি বোঝা যায় না আমরা এখন ও কোথায় আছি? অবশ্য দেশের বিলাস বহুল গাড়ী বহর যে কাওকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেবে নিশ্চিন্ত। এ সব গাড়ী চলার মত উপযোগী রাস্তা দেশে আছে কি ?

--=সুন্দর পরিপাটি করে আঁচড়ানো চুল আর বেশ দামী একটা কোটের সাথে মানান সই আকর্ষণীয় টাই পরা কেউ যদি নিন্মাঙ্গে ছেঁড়া মলিন লুঙ্গি আর ফাটা শুষ্ক চামড়ার ধুলো ময়লায় ঢাকা খালি পায়ে থাকলে যেমন বেমানান লাগবে বাংলাদেশের তথাকথিত এই হাস্যকর উন্নয়ন ও আমার কাছে তেমনই বেমানান লাগে-==।

৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:১৬

কলাবাগান১ বলেছেন: চানপুইরার কাছে বিদ্যুতবিহীন খাম্বা হল আসল উন্নয়ন

৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:০০

চাঁনপুইরা বলেছেন: @জনাব কলাবাগান - আপনি দেখি সমালোচনার জন্য দুটো জিনিসের প্যাটেন্ট নিয়েছেন , এক হল রাজাকারের গাড়ীতে পতাকা ( আপনি যার চামচামি করেন সেও এই দোষে দুষ্ট), আরেকটা হল বিদ্যুৎ বিহীন খাম্বা ( আগেও আরেক মন্তব্যে বলেছিলাম আপনার নেত্রী চোরা তারেকের সেই খাম্বা ভোদাই বাংলাদেশীদের আর আপনার মত চামচাদের পশ্চাৎ দিয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছে)। তো এই খাম্বা আর পতাকা তথ্য বাদ দিয়ে নতুন কিছু আনুন আমাদের জন্য।
আমার উপরোক্ত মন্তব্য টি গত ২০ বছরের বাংলাদেশের যে কোন সরকারের সময়কালের জন্য কি প্রযোজ্য নয়? না কি বলবেন যে কোন সময়ে যে কোন সমস্যা নিয়ে বলতে গেলে আপনার মত কোন বিশেষ দলের নির্লজ্জ তল্পি বাহক হতে হবে ? আর তা ছাড়া আমার অতীতের কোন মন্তব্যে ( ব্লগ লেখার মত যোগ্য হইনি এখন ও) কি এমন কোন পরিচয় পেলেন যাতে বোঝা যায় যে আমি আপনার বা আপনাদের মত কোন দলের চামচামি বা দালালি করি অথবা চোরা তারেকের বিদ্যুৎবিহীন খাম্বা উন্নয়নের সমর্থক ?

৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:২১

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাদের কাছে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট পাঠানোর উদ্দ্যোগ কে যখন বলেন হাস্যকর উন্নয়ন, তখন আপনাদের যে কি এজেন্ডা তা বুঝতে বাকী থাকে না.... উন্নয়ন তো বেমানান ই লাগবে? কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ন হলেও ওটা আপনার কাছে বেমানান

৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৫০

চাঁনপুইরা বলেছেন: স্যাটেলাইট পাঠানোর উদ্যোগ অবশ্যই প্রয়োজন এবং প্রশংসার দাবিদার কিন্তু সেটা যদি হয় আপনার বা আপনাদের দৃষ্টিতে উন্নয়নের মাপকাঠি তাহলে বুজতে হবে হাসিনার কপালে খারাপি আছে, কারন আপনার বা আপনাদের মত তোষামোদির চরম মূল্য দিতে হয়েছে ওনার পূর্বপুরুষের ( কামনা করি ওনার বেলায় তা না ঘটুক)। আমি যেমন জানি তেমন আপনিও জানেন "স্যাটেলাইট পাঠানো " উন্নয়ন ছাড়াও আরও অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ খাত আছে যে সবের উন্নতি ঘটালে বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠী দীর্ঘ সময়ের জন্য উপকৃত হত যাতে আওয়ামীদের ভোট ব্যঙ্ক ও সমৃদ্ধ হত ( ও ,আপনাদের তো আবার ভোটের প্রয়োজন নেই) তা না করে আপনার নেত্রী "স্যাটেলাইট পাঠানোর" নামের আড়ালে করলেন নিজ পোস্য আর কতিপয় লুটেরার উন্নয়ন।

দু একজন ব্যতিক্রম ছাড়া টপ টু বটম সবাই যদি দুর্নীতি আর লুটপাটে ব্যস্ত থেকে কোন উন্নয়নের কৃতিত্তের দাবী করে তাহলে সেটা বেমানান লাগবে না ? অল্প দু একজনের মত কৃষি মন্ত্রী অবশ্যই যোগ্যতার দাবীদার, তবে তার সাথে কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সমান ক্রিতিত্তের দাবীদার।
আর কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ মানে কি ? -" আমাদের কোন কৃষি পণ্য আমদানি করতে হয়না অথবা যে সব কৃষি পণ্য আমদানি করতে হয় তা দেশে উৎপাদিত উদ্বৃত্ত পণ্য রপ্তানি করে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে পরিশোধ সম্ভব' - যদি কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলতে এটা না বোজায় তা হলে বাংলাদেশ কি ভাবে কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হল বলবেন কি ?

৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

কলাবাগান১ বলেছেন: নিজের অর্থায়নে পদ্মাসেতু বানানো ও কি গুরুত্ত্বপূর্ন খাত না.... নাকি তাও বেমানান...... আপানারা কি চান ??? আকাশের চাদ পেড়ে দিলেও বলবেন যে এর একদিক তো অন্ধকার!!!! যখন দিনে ৩-৪ ঘন্টা বিদ্যুত থাকত তখন কিন্তু এমন তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন নাই.....।এখন ভিশন আছে দেখেই ১০,০০০ মেগা ওয়াটে না থেমে ২০,০০০ এর জন্য কাজ করছে... (চুরি হবার অপর্চুনিটি আছে দেখে বিদ্যুত উৎপাদন বন্ধ রাখাই শ্রেয়???) মিসর/ইরাকের মত দেশেও দিনে ৬-৭ ঘন্টার বেশী বিদ্যুত থাকে না। পাকিস্হানের কথা আর নাই বললাম.... তারপরে ও আপনারা তারস্বরে বলতএই আছেন কোন উন্নয়ন ই হয় নাই। আপনাদের কাছে উন্নয়ন হল ১৯৯১ সনে বিনা পয়সায় পেয়েও সাবমেরিন কেবল এর সংযোগ না নেওয়া, আপনাদের কাছে উন্নয়ন হল ক্ষমতায় এসে পদ্মা সেতুর কাজ / ঢাকা-চট্রগ্রামের চার লেনের কাজ বন্ধ করা/ হানিফ উড়াল সেতুর কাজ বন্ধ করা।

তখন মুখ বুজে ছিলেন কেননা তখন হাসিনা ক্ষমতায় নাই ......সেটাই ছিল রাজাকারদের কাছে দেশের উন্নয়ন।

৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: কিছু লোক ব্লাইন্ডলি নিজ নিজ নেতা নেত্রীকে সাপোর্ট করে। কথা বলাই বিপদ! অসহিষ্নুতা জাতির চরিত্র!

১০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাই সব, এটলিস্ট আমার ব্লগে ব্লাইন্ড সাপোর্ট এবং গতানুগতিক কথা বলবেন না প্লিজ! এটা অশোভন, আমি এখানে টুক টাক বেসিক এন্ড ইন্সটিটিউশনাল সমালোচনা করি। এটা করা নাগরিকের কর্তব্য। এবং মাঝে মাঝে সমস্যা সমাধানের আইডিয়া নিয়ে কথা বলি।

ধুন ফুন কথা বলায় সময় নস্ট করলে সমাধান ভিত্তিক নাগরিক আলোচনা বাধা গ্রস্ত হয়। যদি কেউ এই সময়ে এসেও লূটেরা দল গুলোর খুব হার্ড কোর সমর্থক হয়ে থাকেন, প্লিজ গ্লোবাল ফাইনান্সিয়াল ইন্ট্রেগ্রিটির প্রতিবেদন দেখুন।



১। গ্লোবাল ফাইনান্সিয়াল ইন্ট্রেগ্রিটির প্রতিবেদন এবং সুইস ব্যাংকের অর্থ পাচার তথ্য ঘেটে দেখা যায় প্রতিটি ৫ বছর মেয়াদি নতুন সরকার তার পুর্বের ৫ বছরের সরকারের চেয়ে কমপক্ষে ২ গুন বেশি টাকা পাচার করেছে। এর বাইরে হুন্ডি তো রয়েছেই।

২। এরশাদ পরবর্তি দীর্ঘ সময়ে খাম্বা এবং হাম্বা দের পাল্টা পাল্টি চুরি বাটপারি প্রতারনার পরেও যদি কেউ তাদের রাজনৈতিক দুর্বিত্তায়নের প্রতি অন্ধ এটাচমেন্ট রাখেন, সেটা কলঙ্ক, এই হীনমান্যতার জন্য আপনাকে নিজের উপর আক্ষেপ করতে হবে!

৩। ২০১১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য যে সংশোধিত প্রস্তাব (আরডিপিপি) অনুমোদন করা হয়, তাতে মূল সেতুর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল আট হাজার ৩৬১ কোটি টাকা। ফলে এখন কেবল মূল সেতু নির্মাণের ব্যয়ই দাঁড়াচ্ছে ১২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা৷ তবে সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, নদী শাসন ও পরামর্শক নিয়োগ হলে মোট ব্যয় পাঁচ থেকে ছয় হাজার কোটি টাকা আরও বেড়ে যাবে। শুরু হয়েছিল ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে, এখন সেটি ঠেকছে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি, সম্ভভত ২৮,০০০ কোটি টাকা।

৪। যেহেতু ব্রিজের ডিজাইন, ম্যাটেরিয়াল এবং ইন্সট্রুমেন্ট, টেকনিক্যাল ওয়ার্ক ফোর্স এর প্রায় অধিকাংশই বাইরে থেকে আসবে , কাজের ডিজাইন এবং ইমপ্লিমেন্টেশন এ নিয়োগ কারি কোম্পানী বিদেশী, তাই এখানে টাকার সক্ষমতা থেকে ফরেন কারেন্সি সক্ষমতা দরকার।

বর্তমানের রিজার্ভে দ্রুত ব্রিজ করতে গেলে দেশের আমদানির বিপরীতে এশিয়ান ক্লিয়ারিং হাউজের ফরেন কারেন্সি ছাড়ের উপর প্রভাব পড়বে এতে টাকার মান কমে যেতে পারে। টাকার মান ধরে রাখতে এবং ফরেন রিজার্ভ এর উপর চাপ কমাতে সরকার ব্রিজের কাজ দ্রুততার সাথে না করার উপর চাপ দিবে, ফলে এই নিয়োগ ক্রিত চায়না কোম্পানী কাজ ঢিলে করবে আর বছর বছর ব্যয় বাড়াবে এবং ইচ্চাকৃত দেরি করবে। কিন্তু আর কত বাড়বে একটি সেতুর নির্মান ব্যয়? আর কত বছর সময় ক্ষেপণ হবে? ১০,০০০ কোটি টাকা থেকে ২৮,০০০ কোটি থাকাতে ঠেকেছে সেতুর কাজ উদ্ভোদনের দিনেই! সেতুর বাস্তব উদ্ভোদনের দিন মোট খরচ অনুমান করতে পারেন?


সচেতন নাগরিক হয়েও আপনি যদি এই মূল্য ব্রিদ্ধির সমর্থক হোন, তাহলে সেটা দেশের দুর্ভাগ্য!

৫। চায়না মেজর ব্রিজ এর সিস্টার কোম্পানি ঢাকা-চট্রগ্রাম ৪ লেইন এর কাজ করছে গত ১২ বছরের বেশি সময় ধরে, প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে হাজার কোটি টাকা, কিন্তু কাজ শেষ হয়নি।

এই হতাশাই এই ব্লগে ফুটে ঊথেছে। ৪ নং পয়েন্টে সংক্ষেপে ধারনা দিয়েছি।

দেশের নাগরিকেরা চোরকে চোর বলতে শিখুক, সে হাম্বা, খাম্বা বা রাজাকার বা স্বৈরাচার যেই হোক! সেই শুভ প্রত্যাশায়!

১১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২১

কারাবন্দি বলেছেন:

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ভাই এই অভিযোগ টা নতুন শুনলাম, খোজ নিয়ে জানা যাবে পরে। তবে আর্কিটেকচারাল ডিজাইন এর সাথে যদি স্ট্রাকচারাল ডিজাইন,লোড ক্যাল্কুলেশন, লোড গ্রোথ আর সম্মিলিত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন ঠিক থাকে তবে আপত্তি নাই।

কাজ মান্সম্মত হোক, দ্রুত কাজ হোক, দুর্নিতি কম হোক সেটাই চাই।

১২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এখনতো আবার মেট্রো রেলের কাজ শুরু হয়েছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত আমাদের ভাগ্য কতটা সুপ্রসন্নতা লাভ করে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: মেট্রো রেলই আরবান ম্যাস ট্রান্সপোর্ট এ ডেস্টিনেশন হওয়া দরকার ! উড়াল সেতু নামের উন্নয়ন ফানুস দৃশ্যমান না করে অনেক আগেই আমাদের মেট্রো রেল প্রজেক্ট হাতে নেয়া দরকার ছিল, ১৯৯০ দশকের গোড়ার দিকে। ফ্লাইওভার করে ঢাকায় মেট্রো রেল ইমপ্লিমেন্টেশন মোর কস্টলি করে ফেলছে। ১। ডিজাইন, ২। রোড স্পেইস, ৩। ট্রাফিক ডাইমেনশন এন্ড গ্রোথ ক্যাল্কুলেশন, ৪। কস্ট এবং ৫। মেট্রো ইমপ্লিমেন্টেশন টাইম এই পাঁচটি সুচকেই অপরিকল্পিত উড়াল সেতু সহজ মেট্রো ইমপ্লিমেন্টেশনের বাধা। এমনিতেই ঢাকায় রোড প্ল্যান খুবই পুওর।

প্রাসঙ্গিক একটা কথা বলি,
গত তত্তাবধায়ক আমলে জাইকার অর্থায়নে চমৎকার একটা কাজ হয়েছে, পাওয়ার জেনারেশন এ জাপানিরা একটা মাস্টার প্ল্যান বানিয়ে দিয়েছিল। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটি বাস্তবায়ন শুরু করেছে, এটা খুব ভালো বিষয়। (শুধু কুইক রেন্টাল এর অতি দীর্ঘ লাইফ টাইম এর চুক্তি , কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ এর রেট দিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ছাড়া!) হাসিনা বুঝতে পেরেছেন পাওয়ার দরকার, এটা একটা ভালো দিক। যেটা আগের সরকার বুঝেই নাই!

পাওয়ার মাস্টার প্ল্যানের পরে, জাইকার অর্থায়নে জাপানিরা এবার গন পরিবহন প্ল্যান করেছে, রাজউক ভেহিক্যাল সার্ভে করেছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। এই কাজের আউটপুট জাপানি গন পরিবহন মাস্টার প্ল্যানের ইনপুট হিসেবে খুব উপকারি।

জাপানিরা ৮ টি লাইন নিয়ে ম্যাস কানেক্টিভিটির মেট্রো নিয়ে প্রপজাল দিয়েছে, ব্যক্তি গত ভাবে আমি মনে করি এই প্ল্যান আরো এগ্রেসিভ হওয়া দরকার, এর সাথে বি আর টি সমন্বয় করাও দরকার যাতে প্রত্যেকটি ব্যস্ত , সেমি ব্যস্ত পয়েন্ট হাই টেক গন পরিবহন (মেট্রো কিংবা বি আর টি দিয়ে) কভার করা যায়।

সেনা/বিমান/নৌ কিংবা সিভিল এভিয়েশন কিংবা অন্য ডিপার্ট্মেন্টাল বাঁধা উপেক্ষা করে ৮ লাইনের সবগুলোর কাজ শুরু করা দরকার। মেয়র আনিস এবং প্রাইম মিনিস্টার কে এটা বুঝাতে হবে, ১ টি মেট্রো সিসিয়েশন ইম্প্রুভ করবে কিন্তু চূড়ান্ত সমাধান আসবে না।

আমি ভয় করি কি? কি মানের কোম্পানীকে কাজ দেয়া হোল? মিরপুরে নিজে দেখেছি ইয়া বড় বড় হাতুড়ি দিয়ে মেট্রো প্রজেক্টের গর্ত খোড়া হচ্ছে! এইসব তো মেকানাইজড হওয়া দরকার ছিল!

১৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



আমি মেট্রো রেলের বর্তমান কর্মকাণ্ড নিয়ে কিঞ্চিত সন্দিহান। এর পথ পরিকল্পনাও যৌক্তিক বলে মনে হচ্ছেনা। যদি রাস্তার মাঝে দিয়ে নেয়া হয় তাহলে কমে যাবে রাস্তাগুলোর প্রস্থ। আর বর্তমান নগর ব্যবস্থাপনা মেট্রো রেলের পরিকল্পনার সাথে মানানসই কিনা সে ব্যাপারেও কিন্তু আছে। তাছাড়া অর্থের বিষয়টা নিয়েও ভাবছি।

তবে আপনার মন্তব্যে অনেক কিছুই উঠে এসেছে।

ধন্যবাদ ভাই।

১৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু হয় ২০১০ সালে। এরই মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ চার দফা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পের ব্যয়ও তিন দফায় বেড়েছে ১ হাজার ২২ কোটি টাকা। তবে চতুর্থ দফায় ৬০৫ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন
৬০৫ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবে পরিকল্পনা কমিশনের আপত্তি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.