![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সপ্ন দেখতে ভালোবাসি , ভালোবাসি সপ্নকে সত্যি করতে , সময়কে রাঙাতে কিছু ভাল লাগা মুহূর্ত দিয়ে । অপার্থিব আনন্দ পাই উচ্ছল অকৃত্তিম হাসিমুখ দেখলে ।
মানুষ জন্মগতভাবেই তুলনামূলক মানসিকতার মধ্যে বাস করে। আমরা প্রায়শই অন্যের অর্জন, সম্পদ কিংবা অবস্থান দেখে নিজেদের ছোট করে দেখি। অথচ প্রকৃত সত্য হলো—নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করা মানে নিজের যোগ্যতা, সামর্থ্য ও সৃষ্টিকর্তার দানকে অস্বীকার করা। এভাবে চলতে থাকলে মানসিক অশান্তি ও আত্মঅসন্তোষ চিরসঙ্গী হয়ে যায়।
পৃথিবীর এক অলিখিত নিয়ম হলো—কেউই কখনও সম্পূর্ণ সুখী হতে পারে না। আমরা যাকে নিখুঁত সুখী মনে করি, হয়তো তিনি এমন কোনো সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। মানুষের জীবনে সুখ ও দুঃখ পাশাপাশি চলে। যে ব্যক্তি বাইরের হাসিমুখ নিয়ে চলাফেরা করছে, তার অন্তরের কষ্ট আমরা দেখতে পাই না। তাই অন্যের সাথে তুলনা করা অর্থহীন—কারণ প্রত্যেকের জীবন আলাদা, সমস্যাও আলাদা।
সুখ হলো সম্পূর্ণই ব্যক্তিগত অনুভূতি। এটি বাইরের কোনো জিনিসে নয়, বরং মনের ভেতরেই অবস্থান করে। যে মানুষ নিজের সামান্য অর্জনেও কৃতজ্ঞ থাকে, তার জীবনই প্রকৃত অর্থে সুখময়। সৃষ্টিকর্তা আমাদের যেটুকু দিয়েছেন, সেটার মধ্যে সন্তুষ্ট থাকতে পারাই আনন্দের মূল চাবিকাঠি।
কৃতজ্ঞতা একটি অসাধারণ গুণ। যখন আমরা প্রতিটি ছোট ছোট প্রাপ্তিকে গুরুত্ব দিই, তখন জীবনে বড় কোনো ঘাটতিই আমাদের অসুখী করে তুলতে পারে না। অন্যদিকে, অযথা লোভ বা হিংসা আমাদের অশান্ত করে তোলে। তাই সুখী হওয়ার একমাত্র উপায় হলো—সৃষ্টিকর্তার দানকে মেনে নেওয়া, নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনযাপন করা এবং সর্বোপরি সন্তুষ্ট থাকা।
অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করা মানে নিজের অস্তিত্বকে ছোট করে দেখা। অথচ প্রত্যেক মানুষই অনন্য, সৃষ্টিকর্তার কাছে আলাদা দানে সমৃদ্ধ। সুখ কোনো প্রতিযোগিতার বিষয় নয়; এটি আমাদের অন্তরের শান্তি, কৃতজ্ঞতা ও পরিতৃপ্তির ফল। তাই সুখী হতে চাইলে চাই সঠিক মানসিকতা—যা আমাদের শিখিয়ে দেয়, “সুখ আসলে আমার মধ্যেই রয়েছে।”
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৪
কল্পলোকের রাজপুত্র বলেছেন: ভাই, আপনার কষ্টের কথা বুঝতে পারছি। তবে সৃষ্টিকর্তা কাউকে অবিবেচক হিসেবে সৃষ্টি করেননি। বরং প্রত্যেককে ভিন্ন ভিন্ন গুণ, সামর্থ্য ও চ্যালেঞ্জ দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। যদি সবাই একরকম হতো, তবে পৃথিবী একঘেয়ে হয়ে যেত এবং শেখা-দেখা, সহমর্মিতা বা পরস্পরের উপর নির্ভরশীলতার কোনো প্রয়োজন থাকত না।
আমরা যেটাকে অসমতা ভাবি, সেটার ভেতরেই আছে শিক্ষার সুযোগ ও উন্নতির পথ। তাই তুলনার বদলে কৃতজ্ঞ হওয়া আর নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করাই আমাদের জন্য শ্রেষ্ঠ।”
৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: সুখ আসলে- অন্যের জন্য কিছু করাতে।
৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০১
নতুন বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা এমন অবিবেচক কেন।সবাই কে সমান করে সৃষ্টি করলে এই সমস্যা থাকতো না।এমন বুদ্ধি তার ঘটে নাই।
সৃস্টিকর্তা নাই বলেই এমনটা হয়েছে। থাকলে কেউই এমন অবিবেচক হতে পারেনা।
৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০৯
বিজন রয় বলেছেন: সুখ সম্পূর্ণ নিজের কাছে।
৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১২
বিজন রয় বলেছেন: আপনি কেমন আছেন বলুন তো?
প্রায় ৯ বছর পর পোস্ট দিলেন!!!!
এতদিন ব্লগে আসেননি কেন?
নিয়মিত থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৩১
কামাল১৮ বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা এমন অবিবেচক কেন।সবাই কে সমান করে সৃষ্টি করলে এই সমস্যা থাকতো না।এমন বুদ্ধি তার ঘটে নাই।