| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিবৃতি
তারিখ ঃ ০৫-০২-২০১৩ ইং
সরকার নির্দেশিত ছকে জনাব আব্দুল কাদের
মোল্লার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায় প্রত্যাখ্যান
করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর
ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান নি¤েœাক্ত
বিবৃতি প্রদান করেছেন ঃ-
“মানতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারের
নামে আজ ট্রাইব্যুনালে জনাব আব্দুল কাদের
মোল্লার বিরুদ্ধে যে রায়
ঘোষণা করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং সরকার নির্দেশিত।
সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ
দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যেসব
বক্তব্য, বিবৃতি দিয়ে আসছেন এ রায়ে তার
প্রতিফলন ঘটেছে। রাজনৈতিক
প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বিচারের নামে জনাব আব্দুল কাদের
মোল্লাকে শাস্তি দেয়ার যে ষড়যন্ত্র
করা হয়েছিল আজকের রায়ে তার আনুষ্ঠানিক
ঘোষণা দেয়া হলো মাত্র।
বিশ্বের বিবেকবান মানুষ, মানবাধিকার
সংস্থা, দেশী-বিদেশী আইনবিদগণ এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এই বিচার,
ট্রাইব্যুনাল ও বিচার
প্রক্রিয়া সম্পর্কে বরাবরই আপত্তি উত্থাপন
করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মানদ-ে এই
বিচার গ্রহণযোগ্য নয় মর্মে সুস্পষ্ট মতামত
ব্যক্ত করা হয়েছে। কিন্তু সরকার যেসব মতামত উপেক্ষা করে তাদের নির্দিষ্ট ছকেই বিচার
কার্য পরিচালনা করে আসছেন। এই
বিচারটি কত ষড়যন্ত্রমুলক ও রাজনৈতিক
প্রতিহিংসা পরায়ন তা স্কাইপ সংলাপের
মাধ্যমে গোটা দুনিয়ার মানুষ
জানতে পেরেছে। স্কাইপ সংলাপে কোন মামলার রায় আগে, কোনটির পরে, কোন
স্বাক্ষী কি স্বাক্ষ্য দিবে এসব
বিষয়ে সলাপরামর্শ করে মামলার কার্যক্রম
পরিচালিত হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের
বহি:প্রকাশ ঘটেছে আব্দুল কাদের মোল্লার
রায়ে। মামলার যুক্তি তর্ক শেষ হয় ১৭ জানুয়ারী। মাত্র ১৮ দিনের মাথায় রায়
ঘোষণা একটি ষড়যন্ত্রের জ্বলন্ত প্রমাণ।
আদালত কর্তৃক পঠিত সংক্ষিপ্ত
রায়ে দেখা গিয়েছে সরকারের বক্তব্যের যোগ
সাজশেই এই রায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
রায়ে জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। ব্যক্তির
বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা অভিযোগের
সাথে জামায়াতকে জড়ানোর
মাধ্যমে ঘাদানিকদের বক্তব্যের প্রতিফলন
ঘটেছে। সরকার রাজনৈতিক
প্রতিহিংসা বাস্তবায়নের জন্য আদালতের মাধ্যমে যে রায় ঘোষণা করেছেন দেশের
জনগণ তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।
মন্ত্রী রায়ের জন্য যে সময় নির্ধারণ
করেছিলেন সে সময়ের মধ্যে রায় ঘোষণা ও
মামলা পরিচালাকারী প্রসিকিউটরদের
সাথে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের রেজিষ্ট্রার কর্তৃক রায়ের তারিখ ঘোষণা প্রমাণ করে এ
রায় সরকারের নির্দেশে, সরকারের
পরিকল্পনায়, সরকার নির্ধারিতভাবে সম্পন্ন
করা হয়েছে।
দেশের জনগণ সরকার
বেধে দেয়া ছকে পরিচালিত নীল নকশার বিচার মেনে নিতে পারে না। আন্দোলনের
মাধ্যমে জনগণ জনাব আব্দুল কাদের মোল্লাসহ
সকল নেতৃবৃন্দকে মুক্ত করে আনবে ইনশাআল্লাহ।
এ রায় প্রত্যাখ্যান করার
পাশাপাশি সরকারের ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও
বিচারের নামে অবিচারের প্রতিবাদে আমাদের ঘোষিত গণতান্ত্রিক
কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। ঘোষিত কর্মসূচীর
অংশ হিসেবে আগামীকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
কর্মসূচী পালিত হবে।
আমরা সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, আইনজীবি,
রাজনীতিবীদ, অর্থনীতিবীদ ও সুশীল সমাজসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষকে বিচারের
নামে অবিচারের বিরুদ্ধে আহুত এই হরতাল
কর্মসূচী বাস্তবায়নে সহযোগিতা এবং জামায়াতে ইসলামী ও
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সকল
জনশক্তিকে জনগনকে সাথে নিয়ে এই
কর্মসূচী বাস্তবায়নে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহবান জানাচ্ছি।”
বিঃ দ্রুঃ সংবাদপত্রের গাড়ী, সাংবাদিক,
এ্যাম্বুলেন্স, জরুরী ঔষধ সরবরাহের
কাজে নিয়োজিত গাড়ী এই হরতালের আওতামুক্ত
থাকবে।
সূত্র বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির প্রচার বিভাগ
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: এটা আমার প্রতিবাদ -
রাজাকারদের আস্ফালনের রাজত্ব থেকে মুক্তি চাই