নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাথিং মাচ। আপাতত বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত ^_^

ফজলে মাহ্‌বুব জয়

ফজলে মাহ্‌বুব জয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্ষবরণ? ! ? !

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪০





নতুন বছর। ১৪২০। টিএসসি, ঢাবি। প্রতিবছরের মত বর্ষবরণ করতে যাইনি। গিয়েছিলাম একজন বিশেষ ব্যাক্তিকে খুজে বের করতে। বন্ধু ফেবুযুগে ফেবু পিক দেখে প্রেমে পরেছে। এ কি আর যেমন তেমন প্রেম। রীতিমত কান্না কাটি সহ কাহিনী সমৃদ্ধ প্রেম। ফেবুতে মেয়ে দেখে এতো বিশাল আকারে ফিলিংস জন্ম নেয় এই বন্ধুটিকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না কখনও। যাহাই হোক, যতদূর জানতাম মোস্ট ওয়ান্টেড রমণীটি মার্কেটিংএ পড়েন। কিন্তু ঢাবিতে আমার দৌড় ওই টিএসসি পর্যন্তই। এর বাইরে তেমন কিছুই ভালো মত চিনি না। বাণিজ্য অনুষদটা কোন দিকে তাও জানি না। কাউকে যে জিজ্ঞাসা করব ওই পরিস্থিতিও নেই। আশে পাশে মানুষ আর মানুষ। এত মানুষের মাঝে হারিয়েই যাচ্ছি এমন সময়ে মনে হল এক কলেজ বন্ধুর কথা যে এখন ঢাবিতেই পড়ে। দিলাম কল, ও তখন ঢাবিতেই। বলল মধুর ক্যান্টিনে চলে আসতে। গেলাম মধুর ক্যান্টিন। ও আসল, নিয়ে গেল বাণিজ্য অনুষদে। গিয়ে দেখি ওখানে অনুষ্ঠান চলছে। মার্কেটিং এর এক ছেলের সাথেও পরিচয় করিয়ে দিল যে কিনা ওই রমণীরই ব্যাচমেট। কথা হল। জানতে পারলাম কাঙ্খিত রমণী এখনও ক্যাম্পাসে আসেননি। যাহাই হোক, বললাম আমরা আসে পাশেই আছি, তিনি আসলে, যাতে একটু জানিয়ে দেন। এই বলে বেরিয়ে গিয়ে তরমুজ খাওয়া শুরু করলাম। আমি আসে পাশে অন্যান্য রমণীদের দেখছি আর তরমুজে কামড় দিচ্ছি, এই সময়ে হটাত বন্ধুর চিৎকার, “দোস্ত! ওইযে ‘অমুক’ ”। আমি পাশে তাকিয়ে দেখতে পেলাম সেই মহাকাঙ্খিত রমণীকে। শাড়ি পড়ে এসেছেন। দেখতে বেশ লাগছিল। আমি বললাম, “তুই ক্যামনে চিনলি? সামনা সামনি তো আগে দেখিসনি।” ও তখন একটা মধুর হাসি দিয়ে বলল, “আমি চিনবনা?” রোমিও-জুলিয়েটের কসম, ওই হাসি আমি এখন পর্যন্ত কোন রোমিওর মুখে দেখিনি। মনে মনে বললাম, বাবা! তুমি তো গিয়েছ রসাতলে! যাই হোক, রমণী তার ভাইয়ের সাথে এসেছেন। সাথে একজন ডি এস এল আরধারি আলোকচিত্রিও ছিলেন। রমণী ছবি তুলছেন নানা ভঙ্গিমায়, রাস্তায়, মাঠে আর গাছের তলে। যথেষ্ট নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে আমরা তাকে দেখে চলেছি। রমণী ছবি তুলতে তুলতে দূরত্ব বাড়ান, আর আমরা আরেকটু এগিয়ে গিয়ে দূরত্ব কমাই। ছবি তুলতে তুলতে তিনি আট তলা একটা ভবনের সামনে চলে যান। আর আমরা গিয়ে ওই ভবনের সামনে একটা ট্রায়াঙ্গেলে গিয়ে বসি। ঘুরে ঘুরে দেখছি তাকে। এর মাঝে মনে হচ্ছিল যেন তার ভাই বুঝে ফেলেছে যে এই ছেলে দুটো নিশ্চই কোন বদ মতলবে আশে পাশে ঘুরছে। হালকা ভয় লাগছিল, মনে হচ্ছিল উঠে চলে যাই। কিন্তু কি করার! বন্ধুকে ফেলে তো আর চলে আসা যায় না। যাই হোক, একটু পরেই রমণী একাই হাঁটা শুরু করলেন । মনে হয় তার বন্ধুদের সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন। আমাদের সামনে দিয়েই পাস করলেন। যখন ঠিক সামনেই ছিলেন, শুনতে পাচ্ছিলাম ঠক! ঠক! ঠক! ঠক! তার হিলের শব্দ। আর এই শুনে আরেকবার বন্ধুর হৃদয় হল নিহত। একটু এগিয়ে যেতেই আমরা উঠে পড়লাম। পিছু নিলাম কিন্তু রাস্তা পার হতেই তাকে আর পেলাম না। তিনি হটাত কোথায় উধাও হয়ে গেলেন বুঝতেও পারলাম না। এর পরেও প্রায় আধা ঘণ্টা তাকে খুজেছি। কিন্তু পাইনি। কি আর করার, ভগ্ন হৃদয় নিয়ে ফিরে চললাম বাসার পথে। আমার হৃদয় নয়, বন্ধুর! :পি





মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.