নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপাততঃ ঢাকা থেকে

উন্নত দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতা

ফেরদাউস আল আমিন

সুন্দর এই পৃথিবীতে আগমন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। স্কুল ........... সে অনেক.. মিশনারি স্কুল, ডি এন হাই স্কুল চাঁদপুর, চাকলালা বাংলা মিডিয়াম রাওয়ালপিন্ডি, ইংলিশ মিডিয়াম মুযাফ্ফরাবাদ, ক্লাশ সিক্স বাদ শেষমেষ এবোটাবাদ পাবলিক স্কুল। চিটগাং কলেজ ও বুয়েট

ফেরদাউস আল আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিন্তু কি করতাম

১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩৯

এক

- বিড়িটা আমারে দে একটু ।

তাহের তার সহপাঠি মিন্টুকে অনুরোধ করল। ক্লাশ টেন তথা দশম শ্রেনীতে পড়ছে তাহের, মিন্টু, খোকন ও বেলায়েত । থার্ড পিড়িয়ড ফাঁকি মেরে প্রক্সি দেয়ার ব্যবস্থা করেছে এসেছে তারা। আজকে ছটা পিড়িয়ড। শেষ তিন পিড়িয়ডের সারেরা কে “প্রেসেন্ট স্যার ” বা “উপস্থিত স্যার ” বললো সেটা তাকিয়ে দেখে না । সুতরাং মোক্ষম সুযোগটি তারা নিল । বেঞ্চিগুলোর মাঝে মাথা নুইয়ে নিজেদের শিক্ষকের সরল রেখা বরাবর আড়াল করে একে একে নিজেরা বেরিয়ে গিয়ে কাছাকাছি বাস স্ট্যান্ডে হাজির হোল ।



- ড্যাম্প সিগারেট কিনছ্স, কোন দোকান থিকা এই শলাডা কিন্ছস্? তাহের গোল্ড লিফ সিগারেটে একটা সুখটান দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, সেই সুখটানে শেষে একটা বিরক্তির ভাব।



- একটা কোন মতে কিন্ছি, ড্যাম্প হইব না, আসার সময় কেনার পরই তো পশলা ব্ষ্টি হইল । সিগারেটঁটা ছিল বুক পকেটে ।

- আমারে দে একটু টান দেই ।



চার বন্ধু ভাগ করে মহা আনন্দে অগত্যা ড্যাম্প সিগারেটেই সুখ টান দিয়ে শেষ করল। নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল। আর তিন ক্লাশ ফাকি দিয়ে হাজীগঞ্জে সিনেমা দেখার ব্যবস্থা করল ।

বাস এলো , তিনজন পেছনের দরজা দিয়ে উঠে সীটে বসলো । তাহের বাসের দরজার হ্যান্ডেলে বাদুর ঝোলা রইল ।



- ভেতরে ওঠ কেউ দেইখা ফালাইব । মিন্টু বাইরে ঝুলতে থাকা তাহেরেকে সতর্ক করে দিল। দুপুর সাড়ে একটা। এই সময় বাসের ভেতরে খুব একটা ভীড় থাকে না ।



- এই সময় কেডা দেখবো। তাহেরে মাঝে প্রচন্ত আত্মবিশ্বাস।



দুই

শিউলির বড় ভাই বিমল রোজারিও ঢাকা থেকে তাদের গ্্রামের বাড়ি গাজিপুরের অদুরে কাপাসিয়াতে এসেছে। বিমল রোজারিও ঢাকায় একটি দূতাবাসে কাজ করে । তারা চার ভাই এক বোন । বাবা শ্যামল রোজারিও গত হয়েছেন মাস ছয়েক পূর্বে । যাবার পূর্বে অনেকগুলো ভালো কাজের মধ্যে ভিটে মাটির ঘর সহ পাকা কাগজ করে গেছেন। তাতে করে বিমলরা একটু সস্তিতে থাকতে পারছে ।



- তোর পাসপোর্ট ভিসা সব হইয়া গেছে। আগামী রোববার তোর প্লেন ।

ভাইয়ের কথা শুনে শিউলির হাসি মুখটা সহসাই গোমড়া হয়ে গেলো ।

- এত তাড়াতাড়ি যাইবাম ।



- তোর ভালর জন্যই এত গুলো টাকা খরচ কইরা এই ব্যবস্থা করা হইছে ।



- বাবা কত খরচ হইল মোট, মা জিঞ্জেস করলো ।



- ষাইট হাজার নগদ দিছি, আর আমার অফিসের সাহেবেরে জিম্মা রাইখা বাকী টাকা মাসে মাসে দিতে হইব। ঈশ্বরের ইচ্ছা ছিল, বাবার কিছু জামানো অর্থ এই ভাবে খরচ করতাম।

কথাটা বলে বিমল নিজেকে সামলে রাখতে পারলো না, নিজের অজান্তেই মনটা ভারী হয়ে, চোখ হতে পানি ঝরে পড়লো।

শিউলির মনে পরে, গত বছর ম্যাট্রিক পাশ করার পর দুই বান্ধবী মিলে বাড়ী ফিরছিল, কাপাসিয়া কলেজের একটি ছেলে, আগে এই পথে যেতে দেখেছে। দুই বান্ধবীর মাঝে তাকেই আড়ালে সে ডেকে বলেছিল,

- শিউলি, তোমার সংগে কিছু কথা আছে।



- কি কথা ? তাড়াতাড়ি কন।



ছেলেটি এর পর তার হাত ধরে বলেছিল,

- তোমারে আমার খুব ভাল লাগে।



আচমকা এই নিভ্রিতে তার হাত ধরাটা মোটেও পছন্দ করেনি। বলা নেই কওয়া নেই, যে ছেলেকে সে চেনে না, রাস্তায় এক দুইবার হয়তো চোখ মিলতে পারে, তাতে প্রথম দিনের কথা বলাতেই একেবারে হাত ধরা। কোন দ্বিতীয় চিন্তা করেই শিউলি ছেলেটির গালে একটি চড় মেরে চলে এসেছিল।

সেই ছেলেই বর্তমানে নাকি সরকারী দলের পাতি নেতা জাতীয় কিছু হয়েছে। সেই চড়ের প্রতিশোধ সে নেবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।

(.. চলবে)

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২৫

ফারহান দাউদ বলেছেন: হুম চলুক।

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৪১

কঁাকন বলেছেন: চলুক

ভালো থাকুন

৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৪২

কঁাকন বলেছেন: চলুক

ভালো থাকুন

৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৫৫

মেঘাচ্ছন্ন বলেছেন: ভালো লাগলো.....।

৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৬:২২

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: ধন্যবাদ, চালানোর চেষ্টায় রয়েছি

৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৬:৩৩

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: ভালো লাগলো........।
চলুক।
শুভেচ্ছা।

৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:০৪

যীশূ বলেছেন: চলুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.