নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১.
বিখ্যাত লেখক অস্কার ওয়াইল্ড ছিলেন যেমনি রসিক তেমনি বাকপটু। তিনি একবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ডিভভারস’ বিষয়ে মৌখিক পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। পরীক্ষক তাকে গ্রীক ভাষায় লেখা ‘নিউ টেস্টামেন্ট’ থেকে ‘প্যাশন’ অংশের কয়েক লাইন অ.নুবাদ করতে বললেন। ওয়াইল্ড নিভর্ূলতার সাথে দশ বারো লাইন অনুবাদ করার পর পরীক্ষক সন্তুষ্ট হয়ে বললেন-’ঠিক আছে আর করতে হবেনা।’ ওয়াইল্ড পরীক্ষকের কথা যেন শুনতেই পাননি এমন ভাব করলেন। এক পৃষ্ঠা অনুবাদ করে ফেলার পর পরীক্ষক রাগান্বিত হয়ে বললেন ‘আরে থামুনতো। বাকিটা অন্যরা অনুবাদ করবে।’ ওয়াইল্ড মিনতি জানিয়ে বললেন-’স্যার,প্লিজ গোটা অংশটাই আমাকে অনুবাদ করতে দিন। বাড়তি অনুবাদ করার জন্য আমাকে বাড়তি কোন মার্কস দিতে হবেনা। গল্পটা জানার আমার ব্যপক আগ্রহ হচ্ছে।’ তবে বিজ্ঞজনেরা মনে করেন ওয়াইল্ড হয়তো পরবতর্ীতে এ অনুবাদটিকে বই আকারে প্রকাশ করার ধান্দায় ছিলেন।
২.
বিখ্যাত রম্য সাহিত্যিক মার্ক টোয়েন একবার কোথাও যাবার জন্য ট্রেনে চেপে বসেছিলেন। সে সময় আমেরিকান ট্রেনগুলি সর্প গতিতে চলতো। লেট করতো ঘন্টার পর ঘন্টা। সকাল আটটার ট্রেন বিকেল আটটায় আসবে কিনা সে বিষয়ে সবাই থাকতো সন্দিহান। এক সময় কামরায় উঠল টিকিট চেকার। মার্ক টোয়েন গম্ভীর মুখে চেকারের দিকে একটা হাফ টিকিট বাড়িয়ে দিলেন। টিকিট চেকারতো পুরো অবাক! তাঁর প্রশ্ন-কি মশাই, আপনি হাফ টিকিট কেটেছেন কেন? গোফ-মাথার চুল সবইতো সাদা। আপনি কি জানেন না চৌদ্দ বছরের বেশী হলে তার বেলায় আর হাফ টিকিট চলেনা? মার্ক টোয়েনের সোজা সাপ্টা জবাব-যখন ট্রেনে চড়েছিলাম তখনতো বয়স চৌদ্দই ছিল। কে জানতো ট্রেন গন্তব্যে পৌছতে এতো লেট করবে!
৩.
এলাকার অন্যতম ধনী দেব নারায়ন দে’র বাড়িতে একটা বড়সড় অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। লেখা হচ্ছিল দেনাপাওনা ও খরচাপাতির ফর্দ। সেখানে উপস্তিত ছিলেন রসিক লেখক প্যারীচাঁদ মিত্র। খরচের ফর্দ দেখে প্যারীচাঁদ মিত্র বললেন-’ একি মিস্টান্নের জন্য এতো কম টাকা? ব্রাম্মনকেও তো তেমন দেয়া হচ্ছেনা। এসব খরচ কিছু বাড়িয়ে দিন।’
দেবনারায়ন বললেন-’ প্যারীচাঁদ বাবু,আপনি শুধু খরচ বাড়াতে বলছেন। টাকাটা কে দেবে শুনি?’ প্যারীচাঁদ মিত্রের তড়িৎ জবাব-’কেন, আপনি দেবেন। আপনার নামের আগে দে, নামের পরেও দে। দিতে আপনাকে হবেই।
৪.
লেখক বঙ্কিম চন্দ্র এবং দীনবন্ধু মিত্র দুজনে ছিলেন পেয়ারা বন্ধু। দীনবন্ধু ডাক বিভাগে কাজ করতেন। আর সে সুবাদে তাকে প্রায়ই ঘুরে বেড়াতে হতো বিভিন্ন অঞ্চলে। একবার আসামে গিয়ে সেখান থেকে বঙ্কিম এর জন্য কাপড়ের একজোড়া জুতো কিনে এনেছিলেন। লোক মারফত সে উপহার বঙ্কিমের কাছে পাঠিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে একটা চিরকুটে লিখে দিলেন-’জুতো কেমন হয়েছে জানিও।’ বঙ্কিম চিরকুটটি পড়ে হাসলেন। তারপর তার উত্তরে লিখে দিলেন -’ঠিক তোমার মুখের মতো!’
৫.
একদিন সকালে বৈঠকখানায় বসে লেখালেখি করছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। হঠাৎ সেখানে এসে হাজির হলো পাড়ার এক মাতাল ব্রাম্মন।
ব্রাম্মন -’বাবা দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর, গরীব বামুনকে দশটা টাকা দাও, একটু দেশী মাল কিনে খাই।’
বিদ্যাসাগর-’দুর হয়ে যা আমার সামনে থেকে। আমি কোন মাতালকে টাকা দেইনা।’
ব্রাম্মন-’তুমিতো মাইকেল মধু সুদনকে নিয়মিত টাকা দাও। সেই টাকা দিয়ে সে বিদেশী মাল খায় আর আমি দেশী মাল খাবো তাও তুমি টাকা দেবেনা?’
বিদ্যাসাগর-’তোমাকেও দিতুম, যদি তুমি ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্যের মত একটা বই লিখতে পারতে!
সংগ্রহীত
২| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: নতুন কিছু দেন- এগুলো অনেক আগেই পড়া।
৩| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
কালোপরী বলেছেন: ভাল লাগল
৪| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৭
ইলুসন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
৫| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৫
রাখালছেলে বলেছেন: ভাল লাগল । আরও পোষ্টপ্রার্থী
৬| ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:০৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভালো পোস্ট।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:১১
যোগী বলেছেন:
পর পর দুইটা পোষ্ট প্রসব করার জন্য অভিনন্দন
একটা ছেলে হয়েছে আর অন্যটা মেয়ে হয়েছে।
নিঃশ্চয় আপনি আর আপনার পার্টনার বেশ খুশি হবেন।