নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইন্টারভিউ বা সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নিয়োগদাতা চাকরি প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব, আগ্রহ, লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সর্ম্পকে অবগত হন। এই প্রক্রিয়া শুধু কাগজে সীমাবদ্ধ না থেকে প্রার্থী তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বর্ণনার মাধ্যমে নিজেকে পদের উপযুক্ত হিসেবে প্রমানের সুযোগ পান। সংশ্লিষ্ট পদ ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে নিজের জ্ঞান প্রকাশের একটা ভাল পদ্ধতি হচ্ছে সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া।
নিয়োগদাতা প্রার্থীর মাঝে কি খোজেঁন
▬▬▬▬▬▬▬▬
সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়া মনস্তাত্বিক চাপপূর্ণ হতে পারে। কিন্ত এই চাপ কাটিয়ে ওঠার জন্য জানতে হবে যে নিয়োগদাতা কী খুজঁছেন তাই,
চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও নানা ইতিহাস দিক সম্পর্কে সুষ্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
কোম্পানী, কোম্পানীর পণ্য এবং প্রত্যাশিত পদ সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা থাকতে হবে।
আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কোম্পানীর চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
আপনাকে আত্মবিশ্বাসী এবং কোম্পানীতে আপনার কতটুকু অবদান রাখতে সক্ষম তা বোঝানোর সামর্থ থাকতে হবে।
আপনাকে পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
পূর্ব প্রস্ততি:
▬▬▬▬
সাক্ষাৎকারের মনস্তাত্বিক চাপ কমানোর আর একটা উপায় হচ্ছে পূর্ব প্রস্ততি গ্রহণ। চাকরিদাতা আপনার জীবন বৃত্তান্ত পর্যালোচনা করে দেখবেন যে এতে আপনার দক্ষতা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, লক্ষ্য ইত্যাদিও গুণাবলীর যথাযথ প্রতিফলন ঘটেছে কিনা। আপনাকে অনেক খোলামেলা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। এবং এসব প্রশ্নের উত্তর যেন যথাযথ হয় তার প্রস্ততি নিতে হবে।
এছাড়া নিয়োগদাতা কিছু সাধারন প্রশ্ন করতে পারেন যার উত্তর সম্পর্কে আপনাকে পূর্ব হতেই ভাল ধারণা নিয়ে রাখতে হবে এবং উত্তরের মান উন্নয়নের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কিন্ত উত্তর মুখস্ত করবেন না। আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে উত্তর যেন আপনার দক্ষতা ও যোগ্যতাকে যথাযথভাবে প্রতিফলিত করে। ইন্টারভিউ এর সময় শুধু চাকরিদাতা একাই প্রশ্ন করবেন তা নয় আপনার কাছেও পাল্টা প্রশ্ন আশা করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকেও পাল্টা প্রশ্ন করতে হবে। যদি ইতোমধ্যে সব আলোচিত হয়েও থাকে তাহলেও অতিরিক্ত কিছু আলোচনায় আনতে হবে যাতে করে এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পদ ও প্রতিষ্ঠান সর্ম্পকে আপনার আগ্রহ ও জ্ঞানের পরিচয় দিতে পারেন। তবে সব প্রশ্ন চাকরি সংক্রান্ত হতে হবে।
সাক্ষাৎকার নির্দেশিকা:
▬▬▬▬▬▬▬▬
1. সাক্ষাৎকার এর কিছু আগে উপস্থিত হওয়া:
সাক্ষাৎকারের ১৫ মিনিট আগে উপস্থিত হবেন। তবে চিন্তা করার সময় হাতে থাকবে। হাতের ঘাম মোছার সময় থাকবে এবং লবি থেকে কোম্পানীর চলতি তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনার নির্বাচকেরা দেখবেন, আপনার কাছে তাদের সময়ের দাম আছে।
2. প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে পূর্ব ধারণা:
নির্বাচকদের সম্পর্কে জানতে হবে (পদবীসহ) যেমন-জনাব, ডাক্তার ইত্যাদি। কোম্পানীর মূল উৎপাদিত পণ্য ও সেবাসমূহ সম্পর্কে জানতে হবে। কোম্পানীর গঠণ (বিভাগ, প্রধান, কোম্পানী ইত্যাদি) কোম্পানীর বর্তমান অবস্থা খবরাখবর, গ্রাহক এবং প্রতিদ্বন্দী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে। এসব আপনি কোম্পানীর ওয়েবসাইট থেকে বার্ষিক রিপোর্ট বা কোম্পানীর পুস্তিকা থেকে জানতে পারেন।
3. সব সময় জীবন বৃত্তান্ত সাথে রাখতে হবে:
তা প্রমাণ করবে যে আপনি সাক্ষাতের জন্য প্রস্তত। এখান থেকে নির্বাচকরা প্রয়োজনীয় কোন কিছু নোট করতে পারবেন।
4. জীবন বৃত্তান্ত এমন হবে যেন নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে:
নিজের সমস্ত গুণাবলী এটার বিষয় হবে। নির্বাচকদের সামনে নিজেকে খুব সহজভাবে উপন্থাপন করতে হবে।
5. বাচনভঙ্গী সর্ম্পকে সতর্কতা:
নির্বাচকদের সামনে সতর্কতার সঙ্গে বসুন। যেন বসার স্থান একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে শোভন দুরত্ব থাকে। হাসি মুখে বসুন।
6. বিব্রতবোধ না করা:
নির্বাচকমন্ডলীও মানুষ। অতএব তারাও অস্বস্তি অনুভব করতে পারেন। মূলত নির্বাচকদের অস্বস্তি একটা ভাল দিক। এটা প্রমান করে আপনি ভালভাবে পরীক্ষা দিচ্ছেন। অশোভন কোন কিছু থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন- আঙ্গুল মোচড়ানো, কলম নাড়ানো, হাত-পা দোলানো।
7. দৈহিক ভাষা গুরুত্বপূর্ণ:
স্পষ্ট দৃষ্টি বিনিময় করা, উষ্ণ বা মৃদু হাস্যমুখ এবং করমর্দন সাহায্য করতে পারে আপনার বিব্রতবোধ কাটানোর জন্য । ব্যক্তিগত সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং আত্মবিশ্বাসী ভাবমূর্তি উপস্থাপন করতে পারেন।
8. নির্বাচকদের বিনোদনকারী হবেন না:
সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদের কাছে কৌতুকময় অথবা বিনোদনকারী হওয়ার চেষ্টা করবেন না। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
9. অতিরঞ্জিত বা মিথ্যা না বলা:
আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। কিন্ত চাকরী প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দৈণ্যতা প্রকাশ করবেন না। সেক্ষেত্রে মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত কথা না বলাই ভাল।
10. সাক্ষাৎকার গ্রহনকারীর মত অনুসরন করা:
সাক্ষাৎকারের উর্ধ্বে না যাওয়া, মূল বিষয়ের দু একটি প্রশ্নের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। পারতপক্ষে সাক্ষাৎকার গ্রহণ কারীর মতামত অনুসরন করা।
11. ব্যক্তিগত ও অনুযারী প্রশ্ন সম্পর্কে সচেতন থাকা:
এটা নির্ভর করছে আপনার ব্যক্তিস্বাতন্ত্রের ওপর। অবশ্যই মেজাজমর্জির স্থিরতায় কিছু সাক্ষাৎকারদাতা এ সম্পর্কে সচেতন থাকেন, অতএব সচেতন হোন এবং বুঝতে চেষ্টা করুন প্রশ্নগ্রলো। এতে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।
12. সুনির্দিষ্ট গুরুত্ব প্রদান করা:
খোলাখুলি ও সৎ হোন। কিন্ত অনভিজ্ঞতা ও দুর্বলতার জন্য কখনো ক্ষমাপ্রার্থী হবেন না। আপনি আত্মবিশ্বাসী হোন, তবে অতিমাত্রায় নয়। আপনি নবীন হতে পারেন চাকরিবাজারে, আপনি অনভিজ্ঞও হতে পারেন। আপনি কোন প্রকার বদঅভ্যাস বা অনভ্যাস দোষ অতীত কর্মচারীদের কাছ থেকে গ্রহণ করবেন না। ব্যক্তিস্বার্থে নয়, কোম্পানীর স্বার্থে নয়, প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কোম্পানীর জন্য দক্ষতা অর্জন করবেন এটাই প্রকাশ করুন।
13. অপেক্ষা করুন বেতন সম্পর্কে প্রশ্ন উপস্থাপনের জন্য:
মূলত সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীদের বিষয় এটি। বেতন এবং তার লাভজনক দিকগুলো প্রথম সাক্ষাৎকার নাও থাকতে পারে। বেতনের গুরুত্ব সকলেরই জানা। এ প্রসঙ্গে আপনার অনুভূতি ব্যক্ত না করাই শ্রেয়। এটা হতে পারে সমঝোতার মাধ্যমে। যদি আপনার মতানুযায়ী বেতন প্রসঙ্গ আসে তবে বুঝতে হবে চাকরিদাতা আপনার কর্মেও আগ্রহ দেখছেন, নির্দিষ্ট অবস্থান এবং চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে।
14. ঘাবড়ে যাবেন না:
বলার পূর্বে চিন্তা করুন নিরবতা এবং সহনশীলতা আপনাকে সাহায্য করবে। সহনশীলভাবে সময় নিয়ে উপস্থাপন করুন। কারণ এটা দর্শনীয়। কর্মগ্রহীতারা আপনার মতামতকে ধৈর্য্য সহকারে শোনার এবং মত গ্রহণ করার জন্য ভাববার সময় দেবেন।
15. নিশ্চিত করুন প্রতিষ্ঠানের জন্য আপনি কী করতে পারবেন:
এটার মানে হচ্ছে, আপনি আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা বিনিময় করছেন প্রতিষ্ঠানে / কোম্পনীতে। তবে বাণিজ্যিক গোপনীয়তা বা পূর্বপরিচিতি উল্লেখ না করাই ভালো। নিজস্ব দক্ষতা এবং উল্লেখযোগ্য কাজগুলোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন। নতুন সংকটকে দূর করার জন্য এবং যোগাযোগ সুষ্পষ্টকরণ, আত্মসম্পর্ক উন্নয়ন, নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ করার জন্য প্রস্তত থাকুন।
16. প্রস্তত করা উত্তর বা মুখস্ত বুলি না আওড়ানোই ভালো:
অনেক কর্মপ্রার্থী কিছু প্রস্তত করা উত্তর সাক্ষৎকার প্রশ্ন বা উত্তরপত্র গাইডলাইন হাতে পেয়ে থাকেন, এটা ফলপ্রসূ নয়। যেমন-অনেকে বলেন, আমি মানুষের জন্য কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। ব্যতিক্রমী কিছু বলতে চেষ্টা করুন।
17. পূর্বের চাকরিদাতাদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য না করা: পূর্বের কর্মকর্তা, কর্মচারী বা কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। তবে যা জানেন সুস্পষ্টভাবে উপস্থাপন করুন।
18. আপনার আচরনবিধি লক্ষ্য করুন:
চাকরিদাতা আগ্রহভরে লক্ষ্য করেন তাদের প্রতি আপনার ব্যবহার স্পষ্ট কিনা। যদি আপনি আপনাকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তবে তা সম্ভব। আপনার জ্ঞান যদি বিনয়ী বা নম্র আচরন লব্ধ হয় তবে তা উপস্থাপনে সহায়ক হবে।
19. প্রশ্ন করার জন্য প্রস্তত থাকা চাই:
প্রায় প্রত্যেক চাকরিদাতা প্রশ্ন শোনার জন্য ইচ্ছে পোষন করে। তাই আপনাকে প্রশ্ন করার জন্য প্রস্তত থাকতে হবে। তবে আপনার প্রশ্ন হতে হবে চাকরির ক্ষেত্র বা কোম্পানীভিত্তিক তথ্য নিয়ে। আপনার প্রশ্নের ভেতর দেরিতে কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া, ছুটির আবেদন ইত্যাদি না থাকাই বাঞ্ছনীয়। এগুলো পরবর্তীকালে সময় নিয়ে করা যায়।
20. টেলিফোনে সাক্ষাৎকার:
যদি আপনি চাকরিপ্রাপ্তির জন্য অন্য দেশ বা শহরে আবেদন করেন তবে সেক্ষেত্রে টেলিফোনে প্রাথমিক সাক্ষাৎকারপর্ব সেরে নিতে পারেন। টেলিফোন সাক্ষাৎকারটি আপনাকে কোনো স্থির ধারণা বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোন প্রতিশ্রুতি না দিলেও যাতায়াত খরচ সাশ্রয় হবে।
21. দ্রুত চাকরির প্রস্তাব আশা না করাই ভালো:
চাকরির সিদ্ধান্ত সাধারনত সাক্ষাৎকারের বেশ কিছুদিন পর বা সপ্তাহ কয়েক পর জানানো হয় তাই তাৎক্ষনিকভাবে আপনাকে কোন বেতন প্রস্তাব করা হলে চিন্তা করার জন্য ২/১ দিন সময় চেয়ে নিতে পারেন।
22. সাক্ষাৎকার শেষে:
সাক্ষাৎকার দীর্ঘায়িত করবেন না এবং দ্রুত শেষ করুন। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীকে ধন্যবাদের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার শেষ করুন।
23. নিজের প্রতি স্বচ্ছ থাকুন:
আপনি যা নন তা করবেন না। তাতে আপনার মৌলিকত্ব নষ্ট হতে পারে।
(সংগ্রহীত)
একটি ভাল সাক্ষাৎকারের জন্য করনীয় কি ?
▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬
সাক্ষাৎকারের পূর্বে:
▬▬▬▬
কোম্পানী সম্পর্কে ধারণা বা জ্ঞান রাখা
বিশেষত্ব কর্মচারীর সংখ্যা
সাক্ষাৎকারের জন্য পোশাক নির্বাচন করা।
নিদিষ্ট সময়ের পূর্বে পৌছে যাওয়া (১০/১৫ মিনিট আগে)
দেরী হলে তা পূর্বে অবগত করা
অভ্যর্থণা কক্ষ
▬▬▬▬
ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করুন
বিনয়ী হোন
প্রস্তত থাকুন কোন বিবৃতির জন্য যা কোম্পানীর তথ্য প্রদান করে।
সাক্ষাৎকারের সময়
দৈহিক ভাষা সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বন করা। যেমন :-
▬▬▬▬
হাঁটুন পরিচ্ছন্নভাবে
সাবলিল থাকুন
বিনয়ী হোন
ভালো অঙ্গস্থিতি রাখুন
সুষ্পষ্ট দৃষ্টি বিনিময় করুন
উষ্ণ করমর্দন করুন
হাসিমুখে থাকুন
মনোযোগ সহকারে প্রশ্নগুলো শুনুন এবং বলার পূর্বে ভেবে বলুন।
সাক্ষাৎকারের শেষে
▬▬▬▬
কাজটির জন্য আগ্রহ প্রকাশ করুন
প্রশ্ন করুন (যদি থাকে)
নিশ্চিত হোন পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য
সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীকে ধন্যবাদ জানান
করমর্দন করুন
সাক্ষাৎকারের পরবর্তী পদক্ষেপ
▬▬▬▬
মূল্যায়ন করুন আপনি কেমন সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। কোথায় ভুল ছিল। কোনটা ভালো বলেছেন। কেন আপনার চাকরি হওয়া উচিত, কেন হওয়া উচিৎ নয় ? ইত্যাদি।
সাক্ষাৎকারের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ পত্র প্রেরন
সপ্তাহ খানেক পরে টেলিফোনে বা ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করা।
▬▬▬▬সংগ্রহীত
ইন্টারভিউ / সাক্ষাৎকারে প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্নাবলী ... ও তার কৌশল গত উত্তর দেওয়ার পদ্বতি ...
▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬
ইন্টারভিউ একজনের পর একজনের হতে পারে আবার কয়েকজনের সমন্বয়ে একটা প্যানেল সাক্ষাৎকারও হতে পারে। তাই আপনাকে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্ততি নিতে হবে।
ইন্টারভিউ এর সময় নিয়োগদাতা আপনার জীবন বৃত্তান্ত এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইবেন। এক্ষেত্রে উন্মুক্ত আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আলোচনার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনি কোম্পানীর জন্য নিজের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে পারেন।
সাক্ষাৎকারের শেষ পর্যায়ে নিয়োগদাতা আপনাকে আর কিছু বলার আছে কিনা তা জানতে চাইতে পারেন। এক্ষেত্রে পূর্বে বাদ পড়েছে এমন বিষয় আলোচনা করে নিতে পারেন। সাক্ষাৎকার প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ কী হবে তা খুঁজে বের করবেন এবং সবশেষে নিয়োগদাতাকে তার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাবেন।
আপনার নিজের সম্পর্কে বলুন। আপনার বক্তব্যে আপনার ব্যক্তিগত জীবনের চাইতে চাকরির দক্ষতা যেন বেশী প্রাধান্য পায়। আপনার ক্যারিয়ারের বিকাশ সর্ম্পকে বলুন। পূর্ব চাকুরির অভিজ্ঞতা থেকে কী শিখেছেন বা চাকরি বহিভূর্ত স্বপ্রণোদিত কর্মকান্ডর মাধ্যমে অর্জিত সাংগঠনিক দক্ষতা, সময় ব্যবস্থাপনা ও দক্ষ নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করুন।
আপনার সামর্থ কী ?
কোন সমস্যার সুন্দর সমাধানের জন্য আপনি আপনার সামর্থ নিয়ে কথাবলতে পারেন। কিছু উদাহরন রপ্ত করুন যা প্রশ্ন উত্তরে সাহায্য করবে।
আপনার দূর্বলতা কী ?
এটা খুব কঠিন প্রশ্ন, যদিও সবসময় এটা জিজ্ঞেস করা হয় না। কিন্ত এ জাতীয় প্রশ্নের জন্য আপনাকে প্রস্তত থাকতে হবে। আপনি যদি আপনার মেজাজ, অলসতা বা ধৈর্য্যের দুর্বলতা নিজের ভিতরে রাখুন এবং তা অন্যের নিকট প্রকাশ করবেন না।
চাকরিদাতা তার কোম্পানী সর্ম্পকে আপনার কোন প্রশ্ন আছে কি না তা জানতে চাইতে পারে। তাই এই বিষয়েও প্রস্ততি থাকতে হবে। আপনি কোম্পানীর প্রকৃতি, সাংগঠনিক কাঠামো অথবা উৎপাদিত পন্য সম্পর্কে আলোচনা করতে পারেন। আপনি জিজ্ঞাসা করতে পারেন কোম্পানীর প্রশিক্ষন কর্মসূচী অথবা কাজের পরিবেশ সম্পর্কে।
১০ বছর পর আপনার পেশার অবস্থান কোথায় হবে ?
এইরূপ প্রশ্নের উত্তরে এখানে খুব সাবধান থাকতে হবে। আপনার এমন মনোভাব থাকবে না যে, আপনি শুধুমাত্র ব্যবহৃত হচ্ছেন কোম্পানী বা অন্যের পেশার উন্নতি হিসেবে।নিজেকে কোম্পানীর ব্যবস্থাপক হিসেবে চিন্তা করে কোম্পানীর স্বার্থে কাজ করতে হবে। এখানে বলা যায় যে একজন তরুণ হিসাবরক্ষককে CPA Firm এর সাথে সাক্ষাৎকারের সময় এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। প্রত্যুত্তরে তিনি বলেছিলেন তিনি নিজেকে বড় কর্পোরেশনের মহা-হিসাবরক্ষক হিসেবে দেখেন। তার প্রশ্নের উত্তর অন্যভাবে বলা যায় প্রতিষ্ঠান তাকে প্রশিক্ষন ও সুযোগ দানের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করবে এবং সে চাকরি ছেড়ে দেবে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে। এখানে বলার অপেক্ষা রাখে না তাকে চাকররি জন্য ডাকা হয়নি। প্রতিষ্ঠান জানে ৭৫% লোক আসে ১০ বছরের মধ্যে অন্যত্র সরে যেতে, কিন্ত প্রতিষ্ঠান চায় না কেউ চলে যাক।
আপনার এমন দক্ষতা কি আছে যে, চাকরিদাতা কোম্পানী লাভবান হবে ? আপনি আপনার কি দক্ষতা উল্লেখ করতে পারেন যা যে কোন কোম্পানীর জন্য মূল্যবান।
উদাহরনস্বরূপ :
(১) দীর্ঘমেয়াদী Project পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সামর্থ্য
(২) তথ্যবহুল উপাত্ত সংগঠিত করার সামর্থ্য
(৩) জটিল বিষয় নিয়ে গবেষণা করার সামর্থ্য অথবা দলের ভিতরে থেকে কাজ করার সামর্থ্য। যদি আপনার দক্ষতা কোন নির্দিষ্ট জন্য সঠিক না হয়, তবে উল্লেখ করতে হবে অন্য অবস্থানে থেকেও দ্রুত এগুলোর সাথে মানিয়ে নিতে পারেন বা শিখতে পারেন কিনা। আবার নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে নিয়েও নিজেকে প্রস্তত করতে পারেন।
পূর্বের চাকরি আপনি কেন ছেড়েছিলেন ?
প্রথমেই প্রাক্তন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করবেন না। যেমন কথায় কথায় অভিযুত্ত করা হয় বা সে প্রাক্তন প্রতিষ্ঠানটি আশাপ্রদ অবস্থায় ছিল না। অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলেও প্রাক্তন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মন্তব্য করা যাবে না। আপনি কথা বলতে পারেন প্রতিষ্ঠানের গতিশীলতার অভাব নিয়ে। বলতে পারেন, আপনার কাজের দায়িত্ব, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার লক্ষ্য এর সাথে সামঞ্জস্য ছিল না। আপনার প্রয়োজন আরো প্রতিশ্রুতিশীল চাকরি অথবা অন্যকিছু যা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ববিরোধী নয়। যদি কোন কারনে চাকরি চলে যায়, তবে আপনি অবশ্যই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তা বলবেন। যাই হোক মিথ্যা বলবেন না। আপনি যদি প্রাক্তন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ইতিবাচক কিছু বলতে নাও চান তবে কিছুই না বলাই ভালো।
সংগ্রহীত
একটি শিক্ষামূলক গল্প ............
▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬
চল্লিশ বছর পূর্বে বাগদাদে এক কশাই ছিল। ফজরের আগেই সে দোকানে চলে যেত। সে ছাগল-মেষ যবেহ করে অন্ধকার থাকতেই বাড়ী ফিরে যেত। একদা ছাগল যবেহ করে বাড়ি ফিরছিল। তখনো রাতের আধার কাটেনি। সেদিন অনেক রক্ত লেগেছিল তার জামা-কাপড়ে। পথিমধ্যে সে এক গলির ভিতর থেকে একটা কাতর গোঙানি শুনতে পেল। সে গোঙানিটা লক্ষ্য করে দ্রুত এগিয়ে গেল। হঠাৎ সে একটা দেহের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেল। একজন আহত লোক পড়ে আছে মাটিতে। যখম গুরুতর। বাঁচাতে হ’লে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন। তখনো দরদর করে রক্ত বেরুচ্ছে। তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ছুরিটা তখনো দেহে গেঁথে আছে। দ্রুত সে ছুরিটা ঝটকা টানে বের করে ফেলল। তারপর লোকটিকে কাঁধে তুলে নিল। কিন্তু লোকটি পথে এবং তার কাঁধেই মারা গেল।
এর মধ্যেই লোকজন জড়ো হ’ল। কশাইয়ের হাতে ছুরি। সদ্য মৃত লোকটির গায়ে তাজা রক্ত। এসব দেখে লোকজনের স্থির ধারণা হ’ল যে, সেই ঘাতক। অগত্যা তাকে হন্তারক হিসাবে অভিযুক্ত হ’তে হ’ল এবং তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হ’ল।
যখন তাকে ‘ক্বিছাছ’-এর জায়গায় আনা হ’ল এবং মৃত্যু যখন অবধারিত, তখন সে সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলে উঠল, ‘হে উপস্থিত জনতা! আমি এই লোকটিকে মোটেই হত্যা করিনি। তবে আজ থেকে বিশ বছর আগে আমি অপর একটি হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছিলাম। আজ যদি আমার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়, তাহ’লে এই ব্যক্তির হত্যার কারণে নয়, বরং সেই হত্যাকান্ডের জন্য হ’তে পারে’।
অতঃপর সে বিশ বছর আগের হত্যার ঘটনাটি বলা শুরু করল- আজ থেকে বিশ বছর আগে আমি ছিলাম এক টগবগে যুবক। নৌকা চালাতাম। লোকজনকে পারাপার করতাম। একদিন এক ধনবতী যুবতী তার মাকে নিয়ে আমার নৌকায় পার হ’ল। পরদিন আবার তাদেরকে পার করলাম। এভাবে প্রতিদিনই আমি তাদেরকে আমার নৌকায় পার করতাম।
এ পারাপারের সুবাদে যুবতীটির সাথে আমার আন্তরিকতা গড়ে উঠল। ধীরে ধীরে আমরা একে অপরকে গভীরভাবে ভালবেসে ফেললাম। এক সময় আমি তার পিতার নিকট বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে গেলাম। কিন্তু আমার মত দরিদ্র এক মাঝির কাছে মেয়ে দিতে তিনি অস্বীকার করলেন। এরপর আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। সেও এদিকে আর আসত না। সম্ভবত মেয়েটির বাবা নিষেধ করে দিয়েছিল। আমি অনেক চেষ্টা করেও তাকে ভুলতে পারলাম না। এভাবে কেটে গেল ২/৩ বছর। একদিন আমি নৌকা নিয়ে যাত্রীর অপেক্ষা করছিলাম। এমন সময় এক মহিলা ছোট একটি মেয়েকে নিয়ে ঘাটে উপস্থিত হ’ল এবং আমাকে নদী পার করে দিতে অনুরোধ করল।
আমি তাকে নিয়ে রওয়ানা হ’লাম। মাঝ নদীতে এসে তাকালাম তার চেহারার দিকে। চিনতে দেরী হ’ল না যে, এ আমার সেই প্রেয়সী। এর পিতা আমাদের মাঝে বিচ্ছেদের পর্দা টেনে না দিলে সে আজ আমার স্ত্রী থাকত।
আমি তাকে দেখে খুশি হ’লাম। বিভিন্ন মধুময় স্মৃতির ডালি একে একে তার সামনে মেলে ধরতে লাগলাম। সে প্রতি উত্তর করছিল খুব সতর্কতার সাথে এবং বিনয়ের সাথে। পরক্ষণেই সে জানাল যে, সে বিবাহিতা এবং সঙ্গের শিশুটি তারই সন্তান। আমার মন বড় অস্থির হয়ে গেল। আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম না। একটা অশুভ ইচ্ছা আমাকে তাড়া করল। এক পর্যায়ে যৌন পিপাসা নিবৃত্ত করার জন্য আমি তার উপর চাপাচাপি শুরু করলাম। সে আমাকে মিনতি করে বলল, আল্লাহকে ভয় কর! আমার সর্বনাশ কর, না’।
আমি মানলাম না। আমি ফিরলাম না। তখন অসহায় নারীটি শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে আমাকে প্রতিরোধের চেষ্টা করতে লাগল। তার শিশু কন্যাটি চিৎকার করতে লাগল। আমি তখন তার শিশু কন্যাটিকে শক্ত হাতে ধরে বললাম, তুমি আমার আহবানে সাড়া না দিলে তোমার সন্তানকে আমি পানিতে ডুবিয়ে মারব। তখন সে কেঁদে উঠল। হাত জোড় করে মিনতি জানাতে লাগল। কিন্তু আমি এমনই অমানুষে পরিণত হ’লাম যে, নারীর অশ্রু ও কান্না কিছুই আমার প্রবৃত্তিকে চরিতার্থ করার চেয়ে মূল্যবান মনে হ’ল না। আমি নিষ্ঠুরভাবে শিশু কন্যাটির মাথা পানিতে চেপে ধরলাম। মরার উপক্রম হ’তেই আবার বের করে আনলাম। বললাম, জলদি রাযী হও, নইলে একটু পরই এর লাশ দেখবে। কিন্তু যুগপৎ সন্তানের মায়ায় এবং সতীত্বের ভালবাসায় বিলাপ করে কাঁদতে লাগল, যা আমার কাছে ছিল অর্থহীন, মূল্যহীন।
আমি আবার মেয়েটিকে পানিতে চেপে ধরলাম। শিশুটি হাত-পা নাড়ছিল। জীবনের বেলাভূমিতে আরো অনেক দিন হাঁটার স্বপ্নে দ্রুত হাত-পা ছুঁড়ছিল। কিন্তু ওর জানা ছিল না কেমন হিংস্রের হাতে পড়েছে সে। এবার আমি তার মাথাটা তুলে আনলাম না। ফল যা হবার তাই হ’ল। কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটি নিথর নিস্তব্ধ হয়ে গেল।
আমি এবার তাকালাম তার দিকে। কিন্তু মেয়ের করুণ মৃত্যুও তাকে নরম করতে পারল না। সে তার সিদ্ধান্তে অনড়, অবিচল। তার দৃষ্টি যেন বলছিল ‘সন্তান গেছে, প্রয়োজনে আমিও যাব। জান দেব। তবু মান দেব না’। কিন্তু আমার মানুষ সত্তা হারিয়ে গিয়েছিল। বিবেক-সত্তা ঘুমিয়েছিল গভীর সুপ্তির কোলে। আমার মাঝে রাজত্ব করছিল শুধু আমার পশু-সত্তা। আমি নেকড়ের মতো তার দিকে এগিয়ে গেলাম। চুলকে মুষ্টি বদ্ধ করলাম। তারপর তাকেও পানিতে চেপে ধরলাম। বললাম, ভেবে দেখ জলদি; জীবনের মায়া যদি কর তবে আবার ভাব’। সে ঘৃণাভরে না বলে দিল। আমিও তাকে চেপে ধরে রাখলাম। এক সময় আমার হাত ক্লান্ত হয়ে এল। সাথে সাথে তার দেহটাও নিথর হয়ে গেল। আমি ওকে পানিতে ফেলে দিয়ে ফিরে এলাম। খবর আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানল না। মহান সেই সত্তা, যিনি বান্দাকে সুযোগ দেন। কিন্তু ছুড়ে ফেলে দেন না। এই করুণ কাহিনী শুনে উপস্থিত সবার দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে এল। এরপর তার শিরোশ্ছেদ করা হ’ল।
এ ঘটনা উজ্জ্বল প্রমাণ যে, সতীত্ব ও সম্ভ্রম রক্ষায় সতী-সাধ্বী নারীরা কত আপোষহীন? নিজের মেয়েটা নিজের চোখের সামনে জীবন দিল তবুও সে আপোষ করল না। নিজের জীবন দিল। তবুও নিজের মান সে বিলিয়ে দিল না। তার সতীত্ব ও সম্ভ্রমের গায়ে একটা কাঁটাও ফুটতে দিল না।
সংগ্রহীত
কর্মক্ষেত্রে / জীবনে সাফল্য লাভ করতে হলে কি করা প্রয়োজন ?
একবার হলেও পড়ে দেখুন ... হয়তো এমন কিছু জানতে পারবেন যা সম্পর্কে পূর্বে অবগত ছিলেন না ...
আপনাদের ভালো কিছু জানানোই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য ... আমার আগের পোস্ট গুল দেখলেই আপনারা তা বঝতে পারবেন ...
▬▬▬▬۩۞۩▬▬▬▬
সাফল্য অর্জনে কী গুণাবলী থাকা উচিত:
▬▬▬▬
সাধারণ জ্ঞান
নিজ বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান
আত্মপ্রত্যয়
বুদ্ধিমত্তা
কাজ করার দক্ষতা
নেতৃত্ব
ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার দক্ষতা
সৃজনশীলতা
আত্মবিশ্বাস
যথাযথ বাচনভঙ্গি
অন্যের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থাকা
ভাগ্য
উপরোক্ত গুণাবলী যারা অর্জন করেছেন তারাই সাফল্য লাভ করে থাকেন।
এই গুণগুলো জন্মসূত্রে না থাকলেও কাজের মাধ্যমে অর্জন সম্ভব।
নিজেকে জানুন, দেখুন তো আপনার মধ্যে এই গুণসমূহ আছে কিনা:
▬▬▬▬
সহমর্মিতা
হাস্যরস
সৌজন্যবোধ
বিশ্বাস অর্জন- এর দক্ষতা
ক্যারিয়ার পরিকল্পনা- এর জন্য অবশ্যই আপনাকে লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। এজন্য যা করবেন:
▬▬▬▬▬▬▬▬
আপনার লক্ষ্যগুলি ঠিক করবেন
লক্ষ্যগুলি কাগজে লিখবেন
লক্ষ্যগুলি সুনির্দিষ্ট হতে হবে
লক্ষ্যগুলি গুরুত্ব অনুযায়ী শ্রেণীবদ্ধ করতে হবে
প্রতিদিন লক্ষ্যগুলি স্মরণ করতে হবে
লক্ষ্য ঠিক করার জন্য S M A R T টেকনিক ব্যবহার করা যেতে পারে। এখানে তার ব্যাখ্যা দেয়া হল:
▬▬▬▬
S = Specific বা সুনির্দিষ্ট
M = Measurable বা পরিমাপযোগ্য
A = Achievable বা অর্জনযোগ্য
R = Realistic বা বাস্তবধর্মী
T = Timeframe বা সময়কাঠামো
সাফল্যের জন্য আরও যা জানতে হবে:
▬▬▬▬
SEE Factors
S = Smile বা হাস্যময়
E = Eye Contact বা মনযোগ
E = Enthusiasm বা উদ্যোগ
আরও ৮ টি নির্দেশনা হল:
▬▬▬▬
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা
সময়ানুবর্তী হওয়া
প্রস্তত থাকা
নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা
নিয়ন্ত্রণে রাখা
সঠিকভাবে কাজ করা
পরিপূর্ণভাবে কাজ সম্পন্ন করা
ক্যারিয়ার পরিকল্পনা এবং সাফল্যের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সময় ব্যবস্থাপনা। আপনাকে অবশ্যই সময় ব্যবস্থাপনা জানতে হবে। এর জন্য যা করতে হবে:
▬▬▬▬
আপনার প্রতিদিনের কাজগুলো লিপিবদ্ধ করুন
প্রতিটি কাজে এখন আপনি গড়ে কত সময় ব্যয় করছেন তা নিরূপণ/ ঠিক করুন
প্রতিটি কাজে গড়ে কতটুকু সময় প্রয়োজন তা বের করুন
প্রতিটি কাজে গড়ে আপনি কতটুকু সময় অতিরিক্ত ব্যয় করেন তা বের করুন
এখন সিদ্ধান্ত নিন কীভাবে আপনি আপনার সময় ব্যয় করবেন?
সময় ব্যবস্থাপনা আপনার জীবনের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে, যদি আপনি সঠিকভাবে তা প্রয়োগ করতে পারেন। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে আগামীকাল আপনার করণীয় কাজগুলি একটি কাগজে লিপিবদ্ধ করুন এবং তারপাশে কোন সময়ে তা করবেন তা লিখুন। আপনার হাতের অতিরিক্ত সময় অন্য কোন প্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করুন।
ক্যারিয়ার পরিকল্পনার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কাজের চাপের ব্যবস্থাপনা:
▬▬▬▬
আমাদের দেশে এ বিষয়টিকে খুব কম গুরুত্ব দেয়া হয়। আপনি যদি চাপ কমাতে না পারেন, তবে তা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে। আমরা অনেক নেতিবাচক পরিবেশের মধ্যে বড় হচ্ছি, এর ফলে কাজের চাপ ব্যবস্থাপনা আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। চাপ কমানো ও ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের যা করতে হবে:
নিজের উপর বিশ্বাস রাখা
নেতিবাচক লোকদের এড়িয়ে চলা
সবকিছু সহজে গ্রহণ করা
মাথা ঠান্ডা রাখা
সব সময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখা
নেতিবাচক বিষয়কে ইতিবাচকভাবে দেখা
মেডিটেশন অনেক সময় আমাদের চাপ কমাতে পারে, তাই মেডিটেশন করা যেতে পারে। বাংলাদেশে এখন এর ব্যাপক চর্চা হচ্ছে।
উপরোক্ত বিষয়গুলির প্রতি মনোযোগী হলে আপনি সহজেই আপনার ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করতে পারবেন। কারণ ক্যারিয়ার পরিকল্পনা এর জন্য আপনাকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনি অন্য কারো কাছ থেকে উপদেশ নিলেও নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেবেন। কখনো অন্য কারো সিদ্ধান্ত যেন-আপনার ওপর চাপিয়ে না দেয়া হয়।
▬▬▬▬সংগ্রহীত
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভালো পোস্ট +
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
হারকিউলিস বলেছেন: ঘোড়ার ডিম।
মামু থাকলে কিছুই লাগে না।
গরু ছাগলেও ভালা চাকরি পায়।