নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Ferdous

ferdous

::: I am not what happened to me... I am what I choose to become...

ferdous › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদেশে উচ্চশিক্ষা : এ টু জেড প্রস্তুতি ও পরামর্শ

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

শিক্ষাগত যোগ্যতা নিরূপণ :

▬▬▬▬▬▬

বিদেশে বিশেষ করে উন্নত দেশসমূহের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে আপনাকে অবশ্যই পড়ালেখায় ভালো ফলাফলের অধিকারী হতে হবে এবং ইংরেজিতে দক্ষতা থাকতে হবে। বিদেশে পড়াশুনায় আগ্রহীদের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় আগে থেকেই ভালো ফলাফলের প্রস্তুতি নিতে হবে।



কোন ধরনের কোর্সে আবেদন করবেন :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

সাধারণত তিনটি লেভেলে বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তি হওয়া যায়। যথা-

১. Under Graduate (Bachelor´s Degree)

২. Master´s Degree

৩. Doctor´s Degree



১. Under Graduate (Bachelor´s Degree) :

▬▬▬▬▬▬

বিদেশে Under Graduate (Bachelor´s Degree) কোর্সে ভর্তি হতে কমপক্ষে এইচএসসি বা এর সমমান পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ বা সমমানের ডিগ্রী প্রাপ্ত হতে হবে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিভাগ প্রাপ্তরাও সুযোগ পাবেন। এ কোর্স সম্পন্ন করতে সময় লাগবে চার বছর।



২. Master´s Degree :

▬▬▬▬▬▬

Under Graduate (Bachelor´s Degree) কোর্স সম্পন্ন করার পর Master´s Degree-এর জন্য আবেদন করা যায়। এ ডিগ্রি সম্পন্ন করতে সময় লাগে ২ বছর। তবে মাস্টার্স ও Doctorate Degree একত্রে করতে সময় লাগে চার বছর। Bachelor´s Degree (Hons) যারা কমপ্লিট করেছেন তারা Masters-এর জন্য আবেদন করতে পারবেনর



৩. Doctor´s Degree :

▬▬▬▬▬▬

Master´s Degree সম্পন্নকারীরা Doctor´s Degree-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। Doctor´s Degree সম্পন্ন করতে সময় লাগে দুই বছর। Ph. D বা Doctor´s Degree সম্পন্ন করার পর Part Doctoral Study এবং Research করা যায়। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া উপরিউক্ত নিয়মাবলী সারা বিশ্বের কলেজ ও ইউনিভার্সিটির জন্য গ্রহণযোগ্য।



TOEFL, SAT, GRE, IELTS পরীক্ষায় অংশগ্রহণ :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে পড়ালেখা করতে হয় ইংরেজিতে। তবে কোনো কোনো দেশে তাদের নিজস্ব ভাষায় পড়ালেখা করতে হয়, যেমন- জাপান, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ইত্যাদি। তাই আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে সবার আগে। ইংরেজিতে দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য সাধারণত TOEFL, SAT, GRE এবং IELTS পরীক্ষা নেয়া হয়। আধুনিক বিশ্বের অধিকাংশ দেশে IELTS-এর মাধ্যমে ইংরেজির স্কোর টেস্ট করা হয়। বিশেষত আমেরিকার ক্ষেত্রে TOEFL পরীক্ষা নেয়া হয়। সে হিসেবে IELTS (International English Language Testing System) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ইংরেজি দক্ষতা যাচাই প্রক্রিয়াটাই বেশি গ্রহণযোগ্য। বিদেশের কলেজ, ইনস্টিটিউট ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইংরেজিতে দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য IELTS পরীক্ষায় ন্যূনতম ৬.০ স্কোর দেখাতে হবে। IELTS কোর্স করার জন্য আমাদের দেশে প্রচুর প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্রিটিশ কাউন্সিল। কেননা IELTS পরীক্ষা ব্রিটিশ কাউন্সিলই নিয়ন্ত্রণ করে।



ঠিকানা : ব্রিটিশ কাউন্সিল, ৭৫৪ বি সাত মসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫।

অথবা, ৫ ফুলার রোড, ঢাকা-১০০০।

অথবা, ৭৭/এ পূর্ব নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে—

ঢাকা ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, রোড : ২৯, বাড়ি : ৩৯৫ নিউ ডিওএইচএস, মহাখালী, ঢাকা-১২০৬।

গ্র্যান্ড স্পোকেন ইংলিশ, মৌচাক শাখা, ফার্মগেট শাখা, বনানী শাখা, ঢাকা।

মন্টরস, ৬৪/২ লেকসার্কাস, কলাবাগান, ঢাকা।

আরো আছে সাইফুর´স, ব্রিটিশ আমেরিকান ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট এবং বেটস সেন্টার প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান।



বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপন :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

আপনি আগে ঠিক করুন উচ্চ শিক্ষার্থে আপনার জন্য কোন কোন দেশ ভালো হবে। সব দেশেই মোটামুটি বিখ্যাত কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তবে আপনার কোনো আত্মীয় বা বন্ধু-বান্ধব আগে থেকেই যে দেশে বাস করে সে দেশ নির্বাচন করাই আপনার জন্য ভালো। কারণ বিদেশে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছে অনেক সহযোগিতাই পাওয়া যায়।



কতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ নির্বাচন করবেন :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগের জন্য নির্বাচন করুন। সম্ভব হলে আরো অধিক কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করুন। অধিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের মূল কারণ হচ্ছে সুযোগ-সুবিধা ও শর্ত সম্পর্কে বিস্তর জানা যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের শর্তপূরণ করা অনেক প্রার্থীর পক্ষেই সম্ভব হয় না। সে কারণে অধিক সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ নির্বাচন করে সবগুলোর সুযোগ-সুবিধা ও শর্ত বিশ্লেষণ করে আপনার জন্য সুবিধামূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাই করা অপেক্ষাকৃত সহজ হবে।



যোগাযোগ পদ্ধতি :

▬▬▬▬▬▬

উচ্চশিক্ষার্থে বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগাযোগ দুভাবে হয়ে থাকে :

১. ই-মেইল (ইন্টারনেট) ও

২. By Post (ডাক বা কুরিয়ার)-এর মাধ্যমে।

বিশেষত প্রাথমিক পর্যায়ের যোগাযোগের ক্ষেত্রে ই-মেইল মাধ্যমটি বেশি সাশ্রয়ী ও দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যম। মোটামুটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছলে ডকুমেন্ট আদান-প্রদানের জন্য ডাক বা কুরিয়ারই প্রযোজ্য। যোগাযোগ শুরু করুন ইন্টারনেটে ই-মেইলের মাধ্যমে। বিভিন্ন কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাডমিশন অফিসে ভর্তির জন্য ফরম ও তথ্যাবলী জানতে চেয়ে আবেদন করুন। এক্ষেত্রে কিন্তু নিজেরও একটি ই-মেইল এড্রেস থাকতে হবে। ই-মেইল এড্রেস যাদের নেই, তারা যে কোনো কম্পিউটার বা সাইবার ক্যাফে থেকে বিনামূল্যে একটি জিমেইল বা ইয়াহু এড্রেস খুলে নিন। তখন দেখবেন আপনার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে আপনার ই-মেইল এড্রেসে।



ফরম পূরণ ও প্রয়োজনীয় সনদপত্র প্রস্তুতকরণ :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রেরিত ফরম পূরণ এবং প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র খুব সতর্কতার সাথে প্রস্তুত করতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে-

১. সমাপ্ত কোর্সসমূহের সার্টিফিকেট ও মার্কসিটের সত্যায়িত কপি।

২. ইংরেজিতে দক্ষতার প্রমাণপত্র।

৩. আর্থিক অবস্থা সম্পর্কিত তথ্য।

৪. সর্বশেষ সমাপনকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশপত্র।

৫. আবেদনপত্রের ফি (প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে)।

৬. পৃষ্ঠপোষকের বা স্পন্সর দাতার অঙ্গীকারপত্র।



বিশেষ তথ্য:

▬▬▬▬▬▬

র্টিফিকেটের ক্ষেত্রে আপনাকে যে বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেট বা মার্কসিট প্রদান করেছে ঐ বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট বিভাগ রয়েছে, সেখান থেকে মার্কসিট ও সার্টিফিকেট ইংরেজি মাধ্যমে করে দিবে।



ইংরেজিতে দক্ষতার প্রমাণপত্রের ক্ষেত্রে, ব্রিটিশ কাউন্সিল নিয়ন্ত্রিত IELTS পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং স্কোর পয়েন্ট উল্লেখ করে একটি সার্টিফিকেট দিতে হবে।



আর্থিক অবস্থার ক্ষেত্রে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এমন তথ্য ও প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে যে, পড়ালেখায় যাবতীয় ব্যয় বহন করতে আপনি বা আপনার স্পন্সর সক্ষম আছেন। উল্লেখ্য, যদি আপনার আর্থিক অবস্থা সচ্ছল না হয় এবং আপনি উপরিউক্ত দুটি শর্ত (ইংরেজিতে দক্ষতা এবং ভালো রেজাল্ট) পূরণ করতে সক্ষম হন তাহলে যেসব কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তিমূলক পড়াশুনার সুযোগ দেয় আপনাকে সেসব প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করতে হবে।



সুপারিশপত্রের ক্ষেত্রে আপনি যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানের একটি ইংরেজি মাধ্যমের সুপারিশপত্র সংগ্রহ করুন।



আবেদনের সাথে আপনার অতিরিক্ত যোগ্যতাগুলোও উল্লেখ করুন। যেমন- কম্পিউটার দক্ষতা, বাংলা ব্যতীত অন্য কোনো ভাষাজ্ঞান, খেলাধুলার কৃতিত্ব, সাংস্কৃতিক কৃতিত্ব ইত্যাদি বিষয়ের প্রমাণপত্রও সংযুক্ত করুন।



ভর্তির প্রস্তাবের জন্য অপেক্ষা করুন :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

এ পর্যায়ে আপনার প্রেরিত কাগজপত্র ঐ বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা, যাচাই-বাছাই করবেন। যদি কর্তৃপক্ষ আপনার কাগজপত্র দেখে সন্তুষ্ট হন তাহলে আপনাকে তাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য মনোনীত করবে এবং পত্রের মাধ্যমে আপনাকে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানাবে।



মনোনীত হওয়ার পর করণীয় :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

আপনাকে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তির জন্য মনোনীত করেছে এ সংক্রান্ত পত্র পাওয়ার পর আপনি যদি ঐ কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আগ্রহী হন তাহলে আপনার আগ্রহের কথা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিন।



পাসপোর্ট-এর জন্য আবেদন করুন :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

পাসপোর্টের জন্য আবেদন করুন। পাসপোর্টের আবেদনপত্র পূরণ করার সময় ইংরেজিতে আপনার নামের বানান, পিতার নামের বানান, জন্ম তারিখ, আপনার সার্টিফিকেটে উল্লিখিত নামের বানানের সাথে হুবহু লিখছেন কিনা তা ভালোভাবে লক্ষ্য করুন। পাসপোর্ট, সার্টিফিকেট ও অন্যান্য কাগজপত্রে কোনো অমিল থাকলে আপনার ভিসা পেতে অসুবিধা হবে।



বিদেশ গমনের প্রস্তুতি নিন :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

আপনি ভর্তি হতে ইচ্ছুক এ সংক্রান্ত পত্র পাওয়ার পর কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাকে ভিসা পেতে সহায়ক কাগজপত্র প্রেরণ করবে এবং আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভিসা নিয়ে কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করে আনুষঙ্গিক কর্মকান্ড সমাপ্ত করার জন্য বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেবে। আপনি যদি কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন তাহলে আপনার ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে।

ভিসার জন্য আবেদন করুন : আপনি উচ্চশিক্ষার জন্য যে দেশে যেতে চান, সে দেশের দূতাবাস থেকে একটি ভিসা ফরম সংগ্রহ করুন। ফরমটি ভালোভাবে পড়ুন এবং একটি ফটোকপি করুন। প্রথমে ফটোকপি পূরণ করুন, পরে মূল ফরমে নির্ভুলভাবে সব তথ্য উপস্থাপন করুন। সাধারণত ভিসা ফরম বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়, তবে অনেক দেশের দূতাবাস ফরম জমা নেয়ার সময় নির্দিষ্ট ভিসা ফি আবেদনকারীর নিকট থেকে আদায় করে।



ভিসা অফিসারের সাথে সাক্ষাৎকার পর্ব :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

ভিসার জন্য আবেদনপত্র জমা নেয়ার পর দূতাবাস থেকে আপনাকে সাক্ষাতের সময় ও তারিখ জানিয়ে দিবে। ভিসা ফরম জমা দেয়ার সময় এবং ভিসা অফিসারের সাথে সাক্ষাতের সময় আপনার সকল কাগজপত্র সাথে রাখবেন।



বিশেষ তথ্য:

▬▬▬▬▬▬

ভিসা অফিসারের সাথে সাক্ষাতের সময় কোনো অসত্য বা ভুল তথ্য উপস্থাপন করবেন না।



ভিসা অফিসারের সাথে সাক্ষাৎকারের আগেই ইংরেজিতে কথা বলার চর্চা করুন। ইংরেজিতে সহজভাবে ভিসা অফিসারের সাথে কথা বলতে হবে, যাতে তিনি বুঝতে পারেন যে, আপনার ইংরেজি দক্ষতা ভালো।



ভিসা অফিসার আপনাকে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করবেন। যেমন-

১. কেন আপনি তাদের দেশে যেতে চান?

২. কোন বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজে ভর্তি হচ্ছেন, কেন হচ্ছেন?

৩. নিজ দেশে শিক্ষার সুযোগ থাকতে বিদেশ যেতে চান কেন?

৪. উচ্চশিক্ষা শেষে আপনি দেশে ফিরবেন কিনা?

৫. আপনার পড়ালেখার খরচ কে বহন করবেন? তিনি যথেষ্ট সচ্ছল কিনা?



ভিসা পাওয়ার পর করণীয় :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

ভিসা পাওয়ার পর আপনাকে প্রস্তুতি নিতে হবে বিদেশগমনের জন্য। দেশ ত্যাগ করার সময় আপনার সকল কাগজপত্রের যত বেশি সম্ভব ফটোকপি সত্যায়িত করে সাথে রাখুন। কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আদান-প্রদানকৃত কাগজপত্র, বৈদেশিক মুদ্রা ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সাথে রাখুন। কারণ আপনি যখন কোনো দেশের বিমান বন্দর অতিক্রম করবেন তখন ঐ দেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আপনার কাগজপত্র দেখতে চাইবের মূলত ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষই তাদের দেশে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করে এবং তারা ইচ্ছা করলে আপনার বৈধ কাগজপত্র ও ভিসা থাকা সত্ত্বেও আপনাকে দেশে ফেরত পাঠাতে পারেন। শুধু আচরণের উপর সন্দেহ হলেই কাগজপত্র বৈধ থাকলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ভিসা বাতিল করার ক্ষমতা রাখেন। সুতরাং এ বিষয়েও সতর্কতা জরুরি।



বিদেশে পার্ট টাইম কাজের সুযোগ :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য পার্টটাইম কাজের সুবিধা আছে। এ সুবিধাটি আমাদের মতো গরিব দেশের জন্য খুবই প্রয়োজন। সেসব দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা (ঘণ্টাভিত্তিক পারিশ্রমিক সুবিধায়) কাজ করার সুবিধা আছে। এ সুবিধা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচের একটা বড় অংশের যোগান দেয়। সে দেশে যাওয়ার পরই এসব সুবিধা গ্রহণের পথ খুঁজে পাবেন।



কনসালটেন্সি ফার্মের পরামর্শ :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরে গড়ে উঠেছে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ব্যবস্থাপনার প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসমূহে ভর্তির ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানের পরামর্শও নিতে পারেন। তবে সাবধান থাকা জরুরি যে, এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনেকই প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত। বাজারে আছে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় প্রস্তুতি-পরামর্শ ও বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্যসমৃদ্ধ বই। এসব বই থেকেও ধারণা ও সহায়ক তথ্য পাওয়া যাবে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ভিজিট করে তথ্যের যথার্থতা যাচাই করা যেতে পারে।



ইন্টারনেট হতে সংগ্রহীতশিক্ষাগত যোগ্যতা নিরূপণ :

▬▬▬▬▬▬

বিদেশে বিশেষ করে উন্নত দেশসমূহের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে আপনাকে অবশ্যই পড়ালেখায় ভালো ফলাফলের অধিকারী হতে হবে এবং ইংরেজিতে দক্ষতা থাকতে হবে। বিদেশে পড়াশুনায় আগ্রহীদের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় আগে থেকেই ভালো ফলাফলের প্রস্তুতি নিতে হবে।



কোন ধরনের কোর্সে আবেদন করবেন :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

সাধারণত তিনটি লেভেলে বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় ভর্তি হওয়া যায়। যথা-

১. Under Graduate (Bachelor´s Degree)

২. Master´s Degree

৩. Doctor´s Degree



১. Under Graduate (Bachelor´s Degree) :

▬▬▬▬▬▬

বিদেশে Under Graduate (Bachelor´s Degree) কোর্সে ভর্তি হতে কমপক্ষে এইচএসসি বা এর সমমান পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ বা সমমানের ডিগ্রী প্রাপ্ত হতে হবে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিভাগ প্রাপ্তরাও সুযোগ পাবেন। এ কোর্স সম্পন্ন করতে সময় লাগবে চার বছর।



২. Master´s Degree :

▬▬▬▬▬▬

Under Graduate (Bachelor´s Degree) কোর্স সম্পন্ন করার পর Master´s Degree-এর জন্য আবেদন করা যায়। এ ডিগ্রি সম্পন্ন করতে সময় লাগে ২ বছর। তবে মাস্টার্স ও Doctorate Degree একত্রে করতে সময় লাগে চার বছর। Bachelor´s Degree (Hons) যারা কমপ্লিট করেছেন তারা Masters-এর জন্য আবেদন করতে পারবেনর



৩. Doctor´s Degree :

▬▬▬▬▬▬

Master´s Degree সম্পন্নকারীরা Doctor´s Degree-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। Doctor´s Degree সম্পন্ন করতে সময় লাগে দুই বছর। Ph. D বা Doctor´s Degree সম্পন্ন করার পর Part Doctoral Study এবং Research করা যায়। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া উপরিউক্ত নিয়মাবলী সারা বিশ্বের কলেজ ও ইউনিভার্সিটির জন্য গ্রহণযোগ্য।



TOEFL, SAT, GRE, IELTS পরীক্ষায় অংশগ্রহণ :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে পড়ালেখা করতে হয় ইংরেজিতে। তবে কোনো কোনো দেশে তাদের নিজস্ব ভাষায় পড়ালেখা করতে হয়, যেমন- জাপান, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে ইত্যাদি। তাই আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে সবার আগে। ইংরেজিতে দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য সাধারণত TOEFL, SAT, GRE এবং IELTS পরীক্ষা নেয়া হয়। আধুনিক বিশ্বের অধিকাংশ দেশে IELTS-এর মাধ্যমে ইংরেজির স্কোর টেস্ট করা হয়। বিশেষত আমেরিকার ক্ষেত্রে TOEFL পরীক্ষা নেয়া হয়। সে হিসেবে IELTS (International English Language Testing System) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ইংরেজি দক্ষতা যাচাই প্রক্রিয়াটাই বেশি গ্রহণযোগ্য। বিদেশের কলেজ, ইনস্টিটিউট ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইংরেজিতে দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য IELTS পরীক্ষায় ন্যূনতম ৬.০ স্কোর দেখাতে হবে। IELTS কোর্স করার জন্য আমাদের দেশে প্রচুর প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্রিটিশ কাউন্সিল। কেননা IELTS পরীক্ষা ব্রিটিশ কাউন্সিলই নিয়ন্ত্রণ করে।



ঠিকানা : ব্রিটিশ কাউন্সিল, ৭৫৪ বি সাত মসজিদ রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫।

অথবা, ৫ ফুলার রোড, ঢাকা-১০০০।

অথবা, ৭৭/এ পূর্ব নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে—

ঢাকা ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, রোড : ২৯, বাড়ি : ৩৯৫ নিউ ডিওএইচএস, মহাখালী, ঢাকা-১২০৬।

গ্র্যান্ড স্পোকেন ইংলিশ, মৌচাক শাখা, ফার্মগেট শাখা, বনানী শাখা, ঢাকা।

মন্টরস, ৬৪/২ লেকসার্কাস, কলাবাগান, ঢাকা।

আরো আছে সাইফুর´স, ব্রিটিশ আমেরিকান ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউট এবং বেটস সেন্টার প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান।



বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপন :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

আপনি আগে ঠিক করুন উচ্চ শিক্ষার্থে আপনার জন্য কোন কোন দেশ ভালো হবে। সব দেশেই মোটামুটি বিখ্যাত কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তবে আপনার কোনো আত্মীয় বা বন্ধু-বান্ধব আগে থেকেই যে দেশে বাস করে সে দেশ নির্বাচন করাই আপনার জন্য ভালো। কারণ বিদেশে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছে অনেক সহযোগিতাই পাওয়া যায়।



কতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ নির্বাচন করবেন :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগের জন্য নির্বাচন করুন। সম্ভব হলে আরো অধিক কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করুন। অধিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের মূল কারণ হচ্ছে সুযোগ-সুবিধা ও শর্ত সম্পর্কে বিস্তর জানা যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের শর্তপূরণ করা অনেক প্রার্থীর পক্ষেই সম্ভব হয় না। সে কারণে অধিক সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ নির্বাচন করে সবগুলোর সুযোগ-সুবিধা ও শর্ত বিশ্লেষণ করে আপনার জন্য সুবিধামূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাই করা অপেক্ষাকৃত সহজ হবে।



যোগাযোগ পদ্ধতি :

▬▬▬▬▬▬

উচ্চশিক্ষার্থে বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগাযোগ দুভাবে হয়ে থাকে :

১. ই-মেইল (ইন্টারনেট) ও

২. By Post (ডাক বা কুরিয়ার)-এর মাধ্যমে।

বিশেষত প্রাথমিক পর্যায়ের যোগাযোগের ক্ষেত্রে ই-মেইল মাধ্যমটি বেশি সাশ্রয়ী ও দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যম। মোটামুটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছলে ডকুমেন্ট আদান-প্রদানের জন্য ডাক বা কুরিয়ারই প্রযোজ্য। যোগাযোগ শুরু করুন ইন্টারনেটে ই-মেইলের মাধ্যমে। বিভিন্ন কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অ্যাডমিশন অফিসে ভর্তির জন্য ফরম ও তথ্যাবলী জানতে চেয়ে আবেদন করুন। এক্ষেত্রে কিন্তু নিজেরও একটি ই-মেইল এড্রেস থাকতে হবে। ই-মেইল এড্রেস যাদের নেই, তারা যে কোনো কম্পিউটার বা সাইবার ক্যাফে থেকে বিনামূল্যে একটি জিমেইল বা ইয়াহু এড্রেস খুলে নিন। তখন দেখবেন আপনার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভর্তি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে আপনার ই-মেইল এড্রেসে।



ফরম পূরণ ও প্রয়োজনীয় সনদপত্র প্রস্তুতকরণ :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রেরিত ফরম পূরণ এবং প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র খুব সতর্কতার সাথে প্রস্তুত করতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে-

১. সমাপ্ত কোর্সসমূহের সার্টিফিকেট ও মার্কসিটের সত্যায়িত কপি।

২. ইংরেজিতে দক্ষতার প্রমাণপত্র।

৩. আর্থিক অবস্থা সম্পর্কিত তথ্য।

৪. সর্বশেষ সমাপনকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশপত্র।

৫. আবেদনপত্রের ফি (প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে)।

৬. পৃষ্ঠপোষকের বা স্পন্সর দাতার অঙ্গীকারপত্র।



বিশেষ তথ্য:

▬▬▬▬▬▬

র্টিফিকেটের ক্ষেত্রে আপনাকে যে বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেট বা মার্কসিট প্রদান করেছে ঐ বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট বিভাগ রয়েছে, সেখান থেকে মার্কসিট ও সার্টিফিকেট ইংরেজি মাধ্যমে করে দিবে।



ইংরেজিতে দক্ষতার প্রমাণপত্রের ক্ষেত্রে, ব্রিটিশ কাউন্সিল নিয়ন্ত্রিত IELTS পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং স্কোর পয়েন্ট উল্লেখ করে একটি সার্টিফিকেট দিতে হবে।



আর্থিক অবস্থার ক্ষেত্রে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এমন তথ্য ও প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে যে, পড়ালেখায় যাবতীয় ব্যয় বহন করতে আপনি বা আপনার স্পন্সর সক্ষম আছেন। উল্লেখ্য, যদি আপনার আর্থিক অবস্থা সচ্ছল না হয় এবং আপনি উপরিউক্ত দুটি শর্ত (ইংরেজিতে দক্ষতা এবং ভালো রেজাল্ট) পূরণ করতে সক্ষম হন তাহলে যেসব কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তিমূলক পড়াশুনার সুযোগ দেয় আপনাকে সেসব প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করতে হবে।



সুপারিশপত্রের ক্ষেত্রে আপনি যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানের একটি ইংরেজি মাধ্যমের সুপারিশপত্র সংগ্রহ করুন।



আবেদনের সাথে আপনার অতিরিক্ত যোগ্যতাগুলোও উল্লেখ করুন। যেমন- কম্পিউটার দক্ষতা, বাংলা ব্যতীত অন্য কোনো ভাষাজ্ঞান, খেলাধুলার কৃতিত্ব, সাংস্কৃতিক কৃতিত্ব ইত্যাদি বিষয়ের প্রমাণপত্রও সংযুক্ত করুন।



ভর্তির প্রস্তাবের জন্য অপেক্ষা করুন :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

এ পর্যায়ে আপনার প্রেরিত কাগজপত্র ঐ বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা, যাচাই-বাছাই করবেন। যদি কর্তৃপক্ষ আপনার কাগজপত্র দেখে সন্তুষ্ট হন তাহলে আপনাকে তাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য মনোনীত করবে এবং পত্রের মাধ্যমে আপনাকে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানাবে।



মনোনীত হওয়ার পর করণীয় :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

আপনাকে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তির জন্য মনোনীত করেছে এ সংক্রান্ত পত্র পাওয়ার পর আপনি যদি ঐ কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আগ্রহী হন তাহলে আপনার আগ্রহের কথা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিন।



পাসপোর্ট-এর জন্য আবেদন করুন :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

পাসপোর্টের জন্য আবেদন করুন। পাসপোর্টের আবেদনপত্র পূরণ করার সময় ইংরেজিতে আপনার নামের বানান, পিতার নামের বানান, জন্ম তারিখ, আপনার সার্টিফিকেটে উল্লিখিত নামের বানানের সাথে হুবহু লিখছেন কিনা তা ভালোভাবে লক্ষ্য করুন। পাসপোর্ট, সার্টিফিকেট ও অন্যান্য কাগজপত্রে কোনো অমিল থাকলে আপনার ভিসা পেতে অসুবিধা হবে।



বিদেশ গমনের প্রস্তুতি নিন :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

আপনি ভর্তি হতে ইচ্ছুক এ সংক্রান্ত পত্র পাওয়ার পর কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাকে ভিসা পেতে সহায়ক কাগজপত্র প্রেরণ করবে এবং আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভিসা নিয়ে কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করে আনুষঙ্গিক কর্মকান্ড সমাপ্ত করার জন্য বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেবে। আপনি যদি কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন তাহলে আপনার ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে।

ভিসার জন্য আবেদন করুন : আপনি উচ্চশিক্ষার জন্য যে দেশে যেতে চান, সে দেশের দূতাবাস থেকে একটি ভিসা ফরম সংগ্রহ করুন। ফরমটি ভালোভাবে পড়ুন এবং একটি ফটোকপি করুন। প্রথমে ফটোকপি পূরণ করুন, পরে মূল ফরমে নির্ভুলভাবে সব তথ্য উপস্থাপন করুন। সাধারণত ভিসা ফরম বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়, তবে অনেক দেশের দূতাবাস ফরম জমা নেয়ার সময় নির্দিষ্ট ভিসা ফি আবেদনকারীর নিকট থেকে আদায় করে।



ভিসা অফিসারের সাথে সাক্ষাৎকার পর্ব :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

ভিসার জন্য আবেদনপত্র জমা নেয়ার পর দূতাবাস থেকে আপনাকে সাক্ষাতের সময় ও তারিখ জানিয়ে দিবে। ভিসা ফরম জমা দেয়ার সময় এবং ভিসা অফিসারের সাথে সাক্ষাতের সময় আপনার সকল কাগজপত্র সাথে রাখবেন।



বিশেষ তথ্য:

▬▬▬▬▬▬

ভিসা অফিসারের সাথে সাক্ষাতের সময় কোনো অসত্য বা ভুল তথ্য উপস্থাপন করবেন না।



ভিসা অফিসারের সাথে সাক্ষাৎকারের আগেই ইংরেজিতে কথা বলার চর্চা করুন। ইংরেজিতে সহজভাবে ভিসা অফিসারের সাথে কথা বলতে হবে, যাতে তিনি বুঝতে পারেন যে, আপনার ইংরেজি দক্ষতা ভালো।



ভিসা অফিসার আপনাকে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করবেন। যেমন-

১. কেন আপনি তাদের দেশে যেতে চান?

২. কোন বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজে ভর্তি হচ্ছেন, কেন হচ্ছেন?

৩. নিজ দেশে শিক্ষার সুযোগ থাকতে বিদেশ যেতে চান কেন?

৪. উচ্চশিক্ষা শেষে আপনি দেশে ফিরবেন কিনা?

৫. আপনার পড়ালেখার খরচ কে বহন করবেন? তিনি যথেষ্ট সচ্ছল কিনা?



ভিসা পাওয়ার পর করণীয় :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

ভিসা পাওয়ার পর আপনাকে প্রস্তুতি নিতে হবে বিদেশগমনের জন্য। দেশ ত্যাগ করার সময় আপনার সকল কাগজপত্রের যত বেশি সম্ভব ফটোকপি সত্যায়িত করে সাথে রাখুন। কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আদান-প্রদানকৃত কাগজপত্র, বৈদেশিক মুদ্রা ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সাথে রাখুন। কারণ আপনি যখন কোনো দেশের বিমান বন্দর অতিক্রম করবেন তখন ঐ দেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আপনার কাগজপত্র দেখতে চাইবের মূলত ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষই তাদের দেশে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করে এবং তারা ইচ্ছা করলে আপনার বৈধ কাগজপত্র ও ভিসা থাকা সত্ত্বেও আপনাকে দেশে ফেরত পাঠাতে পারেন। শুধু আচরণের উপর সন্দেহ হলেই কাগজপত্র বৈধ থাকলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ভিসা বাতিল করার ক্ষমতা রাখেন। সুতরাং এ বিষয়েও সতর্কতা জরুরি।



বিদেশে পার্ট টাইম কাজের সুযোগ :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য পার্টটাইম কাজের সুবিধা আছে। এ সুবিধাটি আমাদের মতো গরিব দেশের জন্য খুবই প্রয়োজন। সেসব দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা (ঘণ্টাভিত্তিক পারিশ্রমিক সুবিধায়) কাজ করার সুবিধা আছে। এ সুবিধা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচের একটা বড় অংশের যোগান দেয়। সে দেশে যাওয়ার পরই এসব সুবিধা গ্রহণের পথ খুঁজে পাবেন।



কনসালটেন্সি ফার্মের পরামর্শ :

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরে গড়ে উঠেছে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ব্যবস্থাপনার প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজসমূহে ভর্তির ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানের পরামর্শও নিতে পারেন। তবে সাবধান থাকা জরুরি যে, এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অনেকই প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত। বাজারে আছে বিদেশে উচ্চশিক্ষায় প্রস্তুতি-পরামর্শ ও বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্যসমৃদ্ধ বই। এসব বই থেকেও ধারণা ও সহায়ক তথ্য পাওয়া যাবে। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ভিজিট করে তথ্যের যথার্থতা যাচাই করা যেতে পারে।



ইন্টারনেট হতে সংগ্রহীত

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৬

সুমন কর বলেছেন: কাজের পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.