![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ পহেলা নভেম্বর শুরু হলো জেএসসি পরীক্ষা।এই দশ মাসের মধ্যে তারা প্রায় চারটি পরীক্ষা দিয়েছে, সরকারি ভাবে প্রায় ৬০ দিন ছুটি ভোগ করেছে । তাহলে তারা পড়লো কতদিন ? হাতে গোনা অল্প কিছু শিক্ষার্থী ছাড়া কেউই সিলেবাস শেষ করেনি।
তা ছাড়াও ক্লাস ওয়ানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বাংলায় দরখাস্ত ও ইংরেজিতে প্যারাগ্রাফ লেখা শিখানো হচ্ছে। যা তাদের ক্যারিয়ার ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে।
যে ১০ কেজি ওজন সইতে পারছেনা তাকে আমরা ২০ কেজি ওজন তার মাথায় দিয়ে দিচ্ছি। এতে কি তাকে ধ্বংস করা হচ্ছে না ?
এটা আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা। যা নিয়ে কথা বলছি। আমি জানি এ নিয়ে কথা বলার নিম্নতম যোগ্যতা আমার নেই তারপরও বলছি।
মনে হচ্ছে, তারা লেখাপড়ায় অনেক এগিয়ে যাবে, এমন প্রত্যাশাও আমাদের। তবে বাস্তবে আদৌও কি তারা ক্লাস ওয়ানে দরখাস্ত আর প্যারাগ্রাফ লিখে প্রত্যাশা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে?
গত ৩০ অক্টোবর বিজ্ঞান বিভাগে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সময় ফেসবুকে এক বন্ধুর বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। এক পরীক্ষার্থীর হল Arts Building এ- কিন্তু খুজছে 'Acad. Building, । অনেক খোজাখুজির পর একজন (যে ঘটনাটি শেয়ার করেছে সে) তার মোবাইল ম্যাসেজ খুজে দেখে 'Acad. Building, নয় সেটা Arts Building।
ক্লাস এইট শেষ হলো মাত্র ১০ মাসে। যা বারো মাসে শেষ হবার কথা তা ১০ মাসেই শেষ। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর কোর্সের অনার্স শেষ হচ্ছে ৬ থেকে ৭ বছরে। আর তিন বছর কোর্সের ডিগ্রী শেষ হচ্ছে পাঁচ বছরে।
১২ মাসের বছর ১০ মাসে শেষ করে কার কি লাভ? বাকি দুমাস শিক্ষার্থীরা কি করবে?
এমন শিক্ষানীতি দেশকে কি এগিয়ে নিয়ে যাবে নাকি পিছিয়ে দিবে??????????
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০২
ফেরদাউসুর রহমান বলেছেন: জিপিও-৫ ও শতভাগ পাশই হচ্ছে বর্তমান শিক্ষার মূল বিষয়। কিছু শিখল কিনা সেটার দেখার দরকার কি? আমরা এ প্লাসধারী। এ দ্বারা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সনদধারী মুর্খ্য হবার সম্ভাবনাই বেশি। ধন্যবাদ
২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
শিক্ষকদের মতামত কি?
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৩
ফেরদাউসুর রহমান বলেছেন: শিক্ষকরাই ভালো জানে। ধন্যবাদ।
৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আরে সমস্যা কী? A+ তো বাড়ছেই, পরিসংখ্যানে তো সংখ্যা বেশ সন্তুষ্টিজনকই। হাবাগোবা বানিয়েই বড় করবে এদের। তারপর যারা চালাক, তারা নিজেদের মত করে চলবে - এবং কয়েকদিন পর শোকের মিছিলে যোগ দিবে। আর তৈরিকৃত হাবা-গোবারা ঐটা দেখে চুপ হয়ে সবার ইচ্ছামত চলবে।
এটাই তো এখন দেশের রীতি। কিছু বলতেও তো ভয় লাগে এখন।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৮
ফেরদাউসুর রহমান বলেছেন: এ প্লাস পাইতেই হবে । কিছু জানি আর না জানি। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পরীক্ষার্তী জাহান্নামে যাক! দরকার জিপিএ ৫ এর বণ্যা!
খাতায় না লিখলেও নাকি নাম্বার বেশী দেয়ার নির্দেশনা ছিল! যারা তার বিরোধীতা করেছে তাদের নাকি ব্লাক লিস্টও করেছে! এই যদি হয় শিক্সা মন্ত্রনায় আর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দশা তবে আর কি আশা করবেন!
পিছিয়েতো বটেই- কতটা তা বোঝাও বুঝি দুস্কর!
কথায় কথায বিদেশের উদাহরন টানে তারা- শিক্ষা নিয়া কি তা ভাবতে পারেনা! যেখানে ১৪ বছরের পিচ্ছি ইউনিতে ক্লাশ করায়. পিএচডি কমপ্লিট করেফেলে! মেধার পূর্ণতর বিকাশে তাদের ণীতি গুলো ফলো না করে করে যত খারাপ আর মন্দটার!
দু:খজনক!