![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
হুজুগে-গুজবে বাংগালী....
"হুজুগে-গুজবে বাংগালী"- বলে আমাদের একটা দুর্নাম প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। গুজব আর হুজুগ যমজ ভাই।
গুজব বা হুজুগের সবকিছু মানুষ কিনতে পারে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্যোতনা দেয় অন্ধ বিশ্বাস। হুজুগ আর বাঙালির পথচলা সমান্তরাল হলেও গুজব-হুজুগের পেছনে কম-বেশি অনেক দেশের মানুষকেই দৌঁড়াতে দেখা যায়। তবে রাজনৈতিক গুজব এবং হুজুগে আমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ। সুশিক্ষার অভাব, ব্যাক্তি ও সামাজিক, রাজনৈতিক অসচেতনতা, নাগরিকদের মৌলিক অধিকার বঞ্চনা, রাজনৈতিক নেতাদের কূটকৌশল তেমনতর বহুবিধ কারণে এমনটা হয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষ রাজনীতির মাধ্যমে সুশাসনের প্রত্যাশা করে এসেছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অধিকাংশ সময়েই রাজনীতি সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। গত ৫৪ বছরে কিছু ব্যতিক্রম বাদ দিলে, দেশের রাজনীতি সাধারণ মানুষের সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। বিশেষ করে গত ১৭ বছরে যে টক্সিক বা বিষাক্ত রাজনীতির চর্চা হয়েছে, তাতে জনগণের মধ্যে রাজনীতি নিয়ে এক ধরনের বিতৃষ্ণা জন্মেছে। ফলে তারা ধীরে ধীরে রাজনীতি বিমুখ হয়ে পড়েছে।
এটা জনগণের দোষ নয়। বরং ইতিহাস বলে, যতবারই দেশে অরাজনৈতিক সরকার এসেছে, জনগণ রাজনৈতিক সরকারের চেয়ে তাদের ওপর বেশি আস্থা রেখেছে। এজন্যই এসব সরকার শুরুতে জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এমনকি বিতর্কিত এক-এগারোর সরকারও শুরুর দিকে প্রশংসা পেয়েছিল। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ ও বিচারপতি লতিফুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো তো এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় অরাজনৈতিক সরকারের উদাহরণ হিসেবে গণ্য হয়।
তবে এটাও সত্য, এসব সরকার কখনোই স্থায়ী হয়নি, হতে পারেনি। কারণ, যতই রাজনীতি বিকৃত বা বিষাক্ত হোক, পৃথিবীর কোনো দেশই রাজনীতিহীনভাবে চলতে পারে না। রাজনীতি হলো রাষ্ট্র পরিচালনার মস্তিষ্ক- যেখানে সমস্যা হলে মাথা কেটে ফেলা নয়, বরং সঠিক চিকিৎসা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। বর্তমানে সেই চিকিৎসার কাজটিই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করবে তেমনটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিলো।
বাংলাদেশে এখন রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকার বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য অরাজনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। পাশাপাশি প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোও নিজেদের সংস্কার প্রস্তাব দিচ্ছে। এসব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এবং একটি ঐক্যমত ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ‘ঐক্যমত কমিশন’ গঠিত হয়েছে। এই প্রক্রিয়া একটি দেশের রাজনীতিতে স্বাস্থ্যকর ও ইতিবাচক অনুশীলন বলেই বিবেচিত হয়। তবে ঐক্যমত্য বাধ্যতামূলক করাও ফ্যাসিস্ট প্রক্রিয়া বললে ভুল বলা যাবেনা।
তবে সমস্যা হলো- এই ‘ট্রানজিশন পিরিয়ড’ বা পরিবর্তনের সময়কে কাজে লাগিয়ে একটি মহল ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। একপক্ষ সংস্কারকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, অন্যপক্ষ সেই ছুতায় ক্ষমতা কুক্ষিগত এবং দীর্ঘায়িত করতে চায়।
"জনগণ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দীর্ঘমেয়াদে দেখতে চায়"- এটা মূলত অতীতের তিক্ত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকেই আসে। তবে এটা বুঝতে হবে- একটি দেশ দীর্ঘ সময় রাজনীতিহীন থাকতে পারে না। বরং এখন প্রয়োজন, জনগণকে বোঝানো- আসন্ন রাজনীতি আর আগের মতো হবে না। যদি এই আশ্বাস ও গ্যারান্টি জনগণকে দেওয়া যায়, তবে তারা রাজনীতির প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনবে। এটা করতে হবে সমাজের সকল মহলকে একযোগে।
রাজনীতি এক বিশাল মহাসমুদ্র। এই সমুদ্রে টিকতে হলে রাজনীতি নামক জাহাজ প্রয়োজন। ছোটখাটো ডিঙি নৌকা দিয়ে এই সমুদ্রে টিকে থাকা সম্ভব নয়, কারণ এতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও স্থিতিশীলতা থাকে না। ফলে সেইসব ছোট যানবাহন দিয়ে যদি মহাসাগরে পাড়ি দেওয়া হয়, পরিণতি কী হবে তা সহজেই অনুমেয়। তাই রাজনীতির সংকট থেকে উত্তরণের জন্য একটি শক্তিশালী, সুগঠিত, টেকসই রাজনৈতিক কাঠামোই একমাত্র পথ।
আমরা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছি। আমরা রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তার পরও কি আমরা ‘হুজুগে-গুজবে বাঙালি’ অপবাদ নিয়ে থাকবো?
নিশ্চয় না।
আসুন আমরা সবাই সজাগ হই।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: এখন পর্যন্ত তারেক রহমানের বক্তব্য, চিন্তাভাবনা এবং কর্মপরিকল্পনায় পরিপক্বতার ছাপ পাচ্ছি। শুধু ক্ষমতায় আসার জন্যই যদি তার রাজনৈতিক দর্শন হতো তাহলে জুলাই আন্দোলনের পরই সেটার সুযোগ ছিলো। কিন্তু তিনি সবার আগে একটা স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন, যেটা ভালো লক্ষ্মণ।
২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:১৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দুঃখজনক বিষয় হল স্বাধীনতার এত বছর পরেও এদেশে কোন রাজনৈতিক দল জনগনের আস্থা অর্জন করতে পারেনি।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর সেই সুযোগ হয়েছে। এবার সেই সুযোগ গ্রহণ করতে না পারলে আবারও অর্ধশতাব্দী অপেক্ষা করতে হবে।
৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৪১
Sulaiman hossain বলেছেন: আমাদের রাজনৈতিকদের জ্ঞান এবং দূরদর্শীতার অভাব রয়েছে। অথচ কয়েকটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল,কিন্তু অতীত হওয়া সরকার প্রধানরা তার একটিও সুষ্ঠু ভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেনি।তারমধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হল১।মানুষের মৌলিক প্রয়োজনগুলো কে প্রাধান্য দেওয়া। ২।যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা,আর যদি সরকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে ব্যার্থ হয়,তাহলে অবশ্যই তাঁদের জন্য কোনো ভাতার ব্যাবস্তা রাখা।৩।অপ্রয়োজনীয় খাত, যেমন খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক খাতে খরচ কিছুটা কমিয়ে অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাতে সেগুলো ব্যায় করা।
রাজনৈতিক দের প্রতি আমার উপদেশ:যদি জনগনের খেদমত করতে না পার,তাহলে আগ বাড়িয়ে রাজনীতি করতে যাও কেন,জনগনকে তোমরা গোলাম মনে কর,কিন্তু বাস্তব তো ছিল তোমরাই জনগনের গোলাম।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: দেশ সবার আগে। কোন দল না। কিংবা, কোন ব্যক্তি নয়। যেমন ধরেন, ড: ইউনুস যিনি এই মুহূর্তে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা দিচ্ছেন - তিনি কি অপরিহার্য? না কেউই অপরিহার্য নয়। এক কথায় কেউই নয়। দেশের সুস্থ, আদর্শিক এবং সিস্টেমেটিক রাজনীতিটা জরুরী। আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামাত, জাসদ, বাসদ - কোন রাজনৈতিক দলই জরুরী নয়। সিস্টেমের মধ্যে চলা রাজনৈতিক দল দরকার। বিশেষ কাউকে দলের প্রধান করা, তাদেরকেই যে কোন মূল্যে দেশের ক্ষমতার শীর্ষ পদে পাঠানো কোন রাজনীতিই হতে পারে না। এটাকে রাজনীতি বলে না।
রাজনৈতিক দলগুলো হবে জনগণের। রাজনৈতিক দলগুলোর পূর্ণ মালিকানা দেশের জনগণের হতে হবে। যদি কোন বিচারেই এটা প্রতিয়মান হয় যে কোন রাজনৈতক দলের মালিকানা জনগণের পরিবর্তে কোন ব্যক্তিবিশেষের কিংবা কোন পরিবারের তাহলে সেই দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে দেয়া উচিত। দেশে রাজনৈতিক দল হবে কিন্তু রাজনীতির সংজ্ঞা মেনে তারা চলবে না, তারা গণতন্ত্রের প্রকৃত সংজ্ঞা জানবে না, রাজতন্ত্র চালু রাখবে, জমিদারী প্রথা জারি থাকবে তারপরও বলা হবে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস, রাষ্ট্রের মালিক জনগণ - এইসব ভাওতাবাজি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে। দেশকে আধুনিক হতে হবে, সভ্য হতে হবে - প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে যাবার নাম রাজনীতি নয়। অনেক হয়েছে। বিবেককে বন্ধক রেখেছি অনেকটা সময়। আর নয়। রাজনীতি কারে বলে, জনগণের শাসন কারে বলে, জনগণের নাগরিক অধিকার বলতে কি বুঝায় - এইসব যারা বুঝে না তাদের তো রাজনীতি থেকে সরে যাওয়া উচিৎ। তারা নিজ থেকে সরে না গেলে আমার আর আপনার উচিৎ হবে তাদেরকে ধাক্কাইয়া সরাইয়া দেয়া। এক্কেবারে চিরতরের জন্য সরাইয়া দেয়া। প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা দিয়ে জনগণকে রাষ্ট্রীয় বা সরকারি সেবা দিতে এদেরকে কখনই দেখি নাই তো!
রাজনীতি রাজার নীতি। রাজ্য/ রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব ও বিকাশের জন্য রাজার স্থায়িত্ব প্রয়োজন। একজন প্রজাবান্ধব রাজা কখনোই স্বৈরাচারী হয় না। তেমনি বিনা কারণে কোন যোগ্যতর দলের নেতৃত্বকে আইনের বেড়াজালে বেঁধে সংকুচিত করা সমীচীন নয়। এটিও অগণতান্ত্রিক।
৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আসল অবস্থা দেখেন :
করিডোর দিচ্ছে সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকে ! একটা ইন্টেরিম সরকার এমন কাজ করার সাহস কই থেকে পায়। জনগণ বুঝতেছে বিএনপি একমাত্র কোনো আন্তর্জাতিক শক্তির দালালি করে না। তাই তাদের কে ক্ষমতায় দেখতে চায় না পশ্চিমা ও ভারত !
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: তিনি যে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে চান তারও কিছু প্রমাণ দেখতে পাচ্ছি। সংস্কারের নাম করে নির্বাচন পেছানোর পায়তারা চলছে এটা প্রায় এখন সবাই বুঝে গেছে। আল জাজীরাকে তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে দেশের মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারকে পছন্দ করে এবং তারা এদের অধীনে থাকতে চায়। সাধারণ মানুষ নির্বাচন চায়না।
দেখতে পাচ্ছি কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে এই প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই দেখবেন সাধারণ মানুষ বলছে যে আমরা ইউনুস সরকারকে চাই। সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রদের নতুন দল এবং অন্যান্য কয়েকটা দলকে মাঠে নামানো হয়েছে বা হচ্ছে। তারা ইউনুস সাহেবের পক্ষে কথা বলছেন এবং দাবি জানাচ্ছেন আমরা আগে সংস্কার চাই। আমার কেন জানি আশঙ্কা হচ্ছে ইউনুস সাহেব এটার উপর ভিত্তি করে বলবেন যে নির্বাচন সংস্কার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ অনির্দিষ্ট কাল অপেক্ষা করতে হবে দেশবাসীকে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৯
নতুন বলেছেন: "জনগণ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দীর্ঘমেয়াদে দেখতে চায়"- এটা মূলত অতীতের তিক্ত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকেই আসে। তবে এটা বুঝতে হবে- একটি দেশ দীর্ঘ সময় রাজনীতিহীন থাকতে পারে না। বরং এখন প্রয়োজন, জনগণকে বোঝানো- আসন্ন রাজনীতি আর আগের মতো হবে না। যদি এই আশ্বাস ও গ্যারান্টি জনগণকে দেওয়া যায়, তবে তারা রাজনীতির প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনবে। এটা করতে হবে সমাজের সকল মহলকে একযোগে।
যদি বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় এসে দেশ ও জনগনের জন্য রাজতিনি করে এবং নিজেদের দলের সন্ত্রাস/দূনিতি বন্ধ করতে পারে।
তবে জনগনই আর কোনদিন আয়ামীলীগ বা জামাতের নাম নেবে না।
আর যদি বিএনপি আয়ামীলীগের মতন দূনুিতি/সন্ত্রাস করতে শুরু করে।
তবে জনগন বলবে আপাই ভালো ছিলো। আপার ফিরে আসার পথও খুলে যাবে।