![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পরিশ্রমে বিশ্বাসী, বিনা পরিশ্রমে একমুঠো অন্নও জোটে না।
মানুষের সবচেয়ে আনন্দের মূহুর্ত হলো, পাওয়া না পাওয়ার মধ্যবর্তী সময়। মানুষ যখন কোন কিছু পেয়ে যায় তখন তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন, আমরা যখন কোন কিছু দেখার অপেক্ষায় থাকি আমাদের মনের মাঝে অন্যরকম ভালোলাগা অনুভূতি কাজ। সেই বিষয় সম্পর্কে মনের মাঝে নানা রকম কৌতুহল জেগে ওঠে , নানান রকমের প্রশ্ন উঁকি দেয়। ঠিক যেই মূহুর্তে আপনি জিনিসটা কে দেখে ফেলবেন বা পেয়ে যাবেন, আস্তে আস্তে তার প্রতি ভালোলাগা কমতে থাকবে, আগ্রহ কমতে থাকবে। একটা সময় দেখা যাবে যে, সেই জিনিস টা একদম মূল্যহীন অবস্থায় আপনার ঘরের কোণে পড়ে আছে, একবারের জন্যও হাত দিয়ে ছুঁতেও মন চাচ্ছে না।
এপর্যায়ে "নোমান আলী খানের" একটি বাস্তব উপলব্ধি বলা যেতে পারে। কোন এক উনষ্ঠানে নোমান আলী খানকে কিছু একটা উপহার দেয়া হয় তার ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য। তিনি যখন সেগুলো বাড়িতে নিয়ে গেলেন, বাচ্চারা সেগুলো দেখার জন্য খুব তাড়াহুড়া করতে লাগলো। কিন্তু নোমান আলী খান তার বাচ্চাদের বললেন তোমরা এগুলো আজ নয়, এক মাস পর দেখতে পাবে। বাচ্চারা অপেক্ষা করতে লাগলো। কিছু দিন পর বাচ্চারা বললো "আব্বু আমরা কি বক্স গুলো ছুঁয়ে দেখতে পারি?" তিনি বললেন হ্যা এখন ছুঁয়ে দেখতে পার। তো বাচ্চার সেই বক্সটাকে পরমানন্দে ছুয়ে দেখল। আর কিছু দিন পর বাচ্চারা বললো "আব্বু, আমরা কি বক্সটাকে জরিয়ে ধরতে পারি?" তিনি বললেন হ্যা, এবার তোমরা এটিকে জরিয়ে ধরতে পার। এভাবে একমাস পর তাদের কে যখন খেলনা গুলো দেয়া হলো তারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে সারাদিন সেগুলো নিয়ে খেলা করলো। সেগুলো দিয়ে তারা ঘর বানালো, গাড়ি বানালো আরো কত কি তারা বানালো। এভাবে আরো কিছু দিন সেটার প্রতি তারা আগ্রহী ছিল। এখন সেটা ছুঁয়েও দেখে না। আলমারিতে পরে আছে, একাবারও হাত দিয়ে দেখে না।
এ ঘটনা থেকে বুঝতে পারি পৃথিবীতে কোন বস্তু হস্তগত হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা, আনন্দ হৃদয়ে বিরাজমান থাকে । পক্ষান্তরে জান্নাতে মানুষ প্রত্যকটি বস্তুর স্বাদ প্রতিটি মূহুর্ত নিত্যনতুন স্বাদে পরিবর্তন হতে থাকবে , যার কারনে মানুষ কখনো কোন বস্তুর প্রতি আগ্রহ হারাবে না। সেখানে কোন বস্তু আপনার বিরক্তির কারণ হবে না। সবসময় নিত্যনতুন কিছু পাবেন। সেখানে আপনার মনে সর্বদা অফুরন্ত ভালোলাগা কাজ করবে। এটা শেষ হওয়ার নয়।
সেখানে ছোট থেকে ছোট কোনো বিষয়েও
জুলুম করা হবেনা। "জুলুম" শব্দটির বহুবিদ অর্থ বহন করে, তার মধ্যে নিম্নতম পর্যায়ে যে অর্থটি পাওয়া যায়, কোন বস্তু নিদৃষ্ট স্হানে না থাকা। মনে করুন আপনার ঘরে নিদৃষ্ট কোন স্হানে পানি পান করার জন্য একটি জগ ও গ্লাস রয়েছে , হঠাৎ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন গ্লাসটি তার জায়গাতে নেই, ফ্লোরে পড়ে আছে। এটাও জুলুম শব্দের অন্তর্ভুক্ত। এমনটা জান্নাতে কখনো হবে না। এজন্য আল্লাহ পাক কোরআনে বলেন । إنّ الله لا يظلم النّاس شيئاً
©somewhere in net ltd.