নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আড়ালে রাখা কিছু তিক্ত সত্য যা, আমরা কখনো প্রকাশ করি না।

ফেরদৌসী মাসুদ

আমি পরিশ্রমে বিশ্বাসী, বিনা পরিশ্রমে একমুঠো অন্ন‌ও জোটে না।

ফেরদৌসী মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৎ মানুষের সন্ধানে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৬

সত্য সুন্দর। আমাদের লুকানো সত্যও কি সুন্দর? মানুষ মানুষের জন্য, নাকি মানুষের স্বার্থের জন্য মানুষ ?

মানুষ সামাজিক জীব, সমাজ ছাড়া মানুষ সাধারণ জীব। সমাজের ভারসাম্য বজায় রাখতে বহু শ্রেণীতে, বহুজাতিতে আমাদের বিভক্ত করা হয়েছে। মানুষ একে অপরকে সাহায্য সহযোগিতা করবে, বিপদে আপদে একে অপরের পাশে দাঁড়াবে এটাই সমাজের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু আমারা সাহায্য সহযোগিতার নামে মধ্যবিত্ত ও গরিব শোষণ করছি । সহযোগীতার নামে মিথ্যা আশা দিয়ে মধ্যবিত্তদের নিঃশ্ব আর গরীবদের পথের ভিখারি করছি। এ যেন সমাজের উচ্চ শ্রেণী মানুষের নিত্য দিনের কর্মে পরিণত হয়েছে।

দেশ-বিদেশ সর্বত্র ক্ষমতাসীন জাতির ক্ষমতাসীন মানুষের জুলুম,অত্যাচার, নির্যাতন বিরাজমান। যে যেভাবে পারছে শোষণ করছে। আবার একথাও সত্য যে, প্রতিটি মানুষ তার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ শোষণ, দুর্নীতি করছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে , একজন রিকশাচালক পাঁচ টাকার ভাড়া মিথ্যা বাহানা করে ১০ টাকা নিচ্ছে। গোয়াল দুধে পানি মিশ্রন করছে। সাধারণ জেলে মাছে ফরমালিন দিচ্ছে।
কলামিস্ট সত্য কে গোপন করছে। আইনজীবী আইনের অবমূল্যায়ন করছে। আদালত মিথ্যা সাক্ষীর কাছে পরাজয় বরণ করেছে।

আমরা যদি মধ্যোপ্রাচ্যের দিকে দৃষ্টিপাত করি ,যেখান থেকে ভালোবাসার সোনালী সূর্য উদয় হয়েছিল, সেখানের বর্তমান দৃশ্য আরো অমানবিক বর্বর। যেখানে মানবিকতা, দয়া, মায়া যেন অমাবস্যা চাঁদ হয়েছে।
পিরামিড যেমন, হাজার নিরীহ মিশরীয়দের রক্ত শোষণ করে জমিনের বুকে দম্ভের সাথে দাঁড়িয়ে আছে ঠিক তেমনি ভাবে এই মধ্যোপ্রাচ্যের অট্টালিকা গরিব মিসকিন, নিরক্ষর, এশিয়ানদের রক্ত শোষণ ক'রে দানবাকৃতি অট্টালিকা গুলো যুগে যুগে দাঁড়িয়ে থাকবে।
পিরামিড বর্তমানে যেভাবে মিশরিয়দের অর্থনীতি মজবুত ক'রে চলছে, ঠিক তেমনিভাবে মধ্যে প্রাচ্যের দানব অট্টালিকা গুলোও ভবিষ্যতে তাদের অর্থনীতি মজবুত রাখতে সহায়ক হবে।

মানুষের কৃতজ্ঞ হ‌তে হয়। তাদের মনে এক বারের জন্যও এই প্রশ্নগুলো আসে না।
কাদের পরিশ্রমে উত্তপ্ত বালু-পাথরের মাঝে সৌন্দর্যের শোভা পাচ্ছে? কাদের পরিশ্রমে ঘুমানোর জন্য কমল রাত পাচ্ছে? কাদের পরিশ্রমে উত্তপ্ত দিনগুলো মনোমুগ্ধকর হচ্ছে?
ফারাওরা পিরামিড নির্মানে নিরীহ মিশরীয়দের বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ পশুর মত নির্যাতন করে পিরামিড তৈরি করে নিয়েছে। বিনা অপরাধে তাদের হত্যা করেছে। এই পিরামিড কে কেন্দ্র করে ফারাওদের ইচ্ছার বলিদান হয়েছে হাজার হাজার মিশরীয়। তারা ফারাওদের গোলামে পরিণতি হয়েছিল। আর এই আধুনিক যুগে মধ্য প্রাচ্য এশিয়ানদের গোলামে পরিণতি করেছে। "মানবাধিকার সংস্থা" রঙিন চশমা চোখে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে।

মাসের পর মাস কাজ ক'রে শ্রমিকদের বেতন বঞ্চিত হয়ে শহর ত্যাগ করতে হচ্ছে অথবা মধ্যেপ্রাচ্যে ত্যাগ করতে হচ্ছে। শ্রমিকদের সপক্ষে কথা বলার জন্য একজন শ্রমীক‌ও নেই। শ্রমীক শ্রমীকের পাশে দাড়াবে কিভাবে?
হাতে পয়শা নেই,খাবার নেই , সময় নেই। ব্যস্ত মানুষ, ব্যস্ত শহর , ব্যস্ত পথ-ঘাট , উম্মাদের মত ছুটে চলা চাকার শব্দে মিসকিন এশিয়ানদের আর্তনাদ পিষ্ট হছে। মধ্যেপ্রাচ্য এশিয়ানদের জেলখানা।


বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত, গরিব মিসকিন লোকগুলোই ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পেতে অথবা পরিবারের সুখের কথা ভেবে, নতুন স্বপ্ন নিয়ে মধ্যেপ্রাচ্যে পারি দিচ্ছে। পরিবার ফেলে বছরের পর বছর মায়া মমতা ত্যাগ করে সেখানে পড়ে আছে। কিন্তু সেখানেও তাদের হতাশ হতে হচ্ছে। প্রতিটা বছর প্রতিটা দিন একথা ভেবে পার হচ্ছে যে, এবছর ভালো কিছু হবে, কিন্তু সেটা আর হচ্ছে না।

সেখানে তাদের থেকে রেসিডেন্সি পারমিট বাবদ বাৎসরিক আয়ের দুই তৃতীয়াংশ সুকৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে। এবং সেই সাথে স্পন্সরদের (কফিলদের) মানুষিক অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে। যা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন পন্থা মধ্যে প্রাচ্যে নেই। অথচ এই মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলো মানুষের কাছে সততা, ন্যায়পরায়নতার মিষ্টি বাণী প্রচার করছে।

কোন কর্ম‌ই সুখকর নয়, আবার কর্মহীন জীবন‌ও সুখকর নয় ।
আমি একথা বলছি না,তারা অমানবিক পরিশ্রম করায়, বরং মধ্য প্রাচ্যে কাজ তুলনামূলক সহজ পদ্ধতিতেই হয়। ভারী, কঠিন কাজের সুবিধার্থে বেশির ভাগ সময়ই যন্ত্রের ব্যবহার হয়। শারীরিক কষ্টটা হয় তাপমাত্রার জন্য, রেকর্ড পরিমাণ গরমের জন্য কর্মীদের কাজ করতে সমস্যা হয়। সে সমস্যা দূর করার জন্য কাজের সময়ে পরিবর্তন নিয়ে আসে। পরিবর্তন নিয়ে আসেনা কর্মীর পারিশ্রমিক আইনে। যার যে ভাবে ইচ্ছা শ্রমিকদের লুটপাট করছে, আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে। অবস্হাটা এমন যে , এশিয়ানদের তারা দাশ হিসাবে ক্রয় করেছে।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.