নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আড়ালে রাখা কিছু তিক্ত সত্য যা, আমরা কখনো প্রকাশ করি না।

ফেরদৌসী মাসুদ

আমি পরিশ্রমে বিশ্বাসী, বিনা পরিশ্রমে একমুঠো অন্ন‌ও জোটে না।

ফেরদৌসী মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে বসন্ত আসবে কবে?

০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১:১২



ইসলামে বসন্ত আসবে কবে?

"সুদ হারাম" সুদের সাথে সম্পৃক্ত সমস্ত লেনদেন পদ্ধতিও হারাম। কথাটি নতুন কিছু নয়। এবং এটা আলোচনার কোনো বিষয়‌ও নয়। যখন
মুসলিম বিশ্ব "হারাম ও না'জায়েজ" পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় তখন স্বাভাবিক ভাবেই তার বিকল্প বৈধ কোন পথ থাকতে হবে যাতে করে কোন মুসলিম হারামের দিকে অগ্রসর না হয়। হালাল বা বৈধ কোন পদ্ধতি থাকার পরেও যদি কোন মুসলিম হারামের দিকে ধাবিত হয় তার জন্য সে নিজেই দায়ী থাকবে। কিছু ইসলামী স্কলারদের মতামত অনুযায়ী আমাদের দেশের সকল ব্যাংকিং পদ্ধতি "সুদের" সাথে সম্পৃক্ত যা ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে হারাম। তাহলে প্রশ্ন আসে আমরা সাধারন মুসলমান এরকম হারাম পদ্ধতি থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসবো ও আমাদের টাকা- পয়সার নিরাপত্তা কে দিবে?

আমরা মাঝে মাঝেই শুনে থাকি নিদৃষ্ট কোন কম্পানি বা দেশের
"পন্য বর্জন করুন" । আমাদের কে যারা এই পন্য বর্জনের বার্তা দেয় তার বিকল্প কোন পন্য কি আমাদের দিতে পেরেছে? যদি দিতে না পারে তাহলে আমাদের কে বলুক নিরাপদ কোন কম্পানি বা দেশের নাম যা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর জন্য নিরাপদ। অথচ সেটাও আমাদের বলা হয় না। কিন্তু কেন? তাহলে কি আমরা অন্য সকল জাতি বা ধর্ম থেকে পিছিয়ে? আসলে কতদূর পিছিয়ে? তার সঠিক উত্তর কি আমাদের জানা আছে?

আধুনিক বিশ্বে শিক্ষা ব্যবস্থায় যে আমূল পরিবর্তন এসেছে যার ফলে নিত্য নতুন আবিষ্কার আমরা দেখে যাচ্ছি। আধুনিক বিজ্ঞানের বহু মতামত ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কিন্তু তাদের কোন আবিষ্কার আমরা অস্বীকার করতে পারি না। যদিও বা তার ভালো বা মন্দ উভয় দিক আছে। আমরা ইতিহাস থেকে বহু মুসলিম বিজ্ঞানী দার্শনিকদের নাম জানতে পারি। যাদের অবদান পৃথিবী কখনোই ভুলবে না। ইবনে সিনা, ইমাম গাজালী, জালাল উদ্দিন রুমী, আল্লামা ইকবাল প্রমুখ। প্রশ্ন আসে অতীত ১০০ বছরে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থায় কতজন গবেষক, আবিষ্কারক, বিজ্ঞানী, দার্শনিক উপহার দিতে পেরেছে? যদি দিতে না পারে তাহলে কেন দিতে পারেনি? নাকি ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন ত্রুটি আছে ?


মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ২:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি কি দার্শনিক?

২| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:০৯

কামাল১৮ বলেছেন: সুদ হারাম এই শব্দটাই ইসলামকে ধ্বংস করবে।সুদ ছাড়া বর্তমান বিশ্বে এক পাও চলা সম্ভব না।সুদ শব্দটা বাদ দিতে পারেন কিন্তু বিষয়টা থাকবে।ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সুদ চালু রাখতেই হবে।নয়ত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাই অচল হয়ে পড়বে।সুদ যখন হারাম ইন্টারেষ্ট চালু করেন।ইন্টারেষ্টতো হারাম না।
ধর্মের এখন পড়ন্ত বেলা।বসন্ত আসার সম্ভাবনা আর নাই।

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৩:১৯

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি দেশে একটি গাড়ীর কারখানা করেন নিজের ক্যাপিটেলে!

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: মহাজনি সুদ আর ব্যাঙ্কিং ব্যাবস্থার সুদে যে ব্যাপক পার্থক্য আছে সেটা- বুঝে শুনেও অনেকে না শোনার ভান করে। এক কথায় তুবড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়- ইসলাম কইছে 'সুদ হারাম তো সুদ হারাম' কাহিনী শেষ।
ধরুন দেশের সরকার আপনার কাছ থেকে লোন নিল; এর বিনিময়ে আপনাকে লাভ দিল সেটা কিভাবে সেই মহাজনি সুদের মত হবে( পোস্ট অফিসের ডিপোজিট- এর পুরোটাই সরকার লোন নেয়)?

আপনার আলোচনা সঠিক; বিকল্প কিছু একটা দরকার। ইমাম গাজ্জালীর মত একজন জ্ঞানী ব্যক্তি তখনই হয়েছে যখন ইতালী বা গ্রীসের লাইব্রেরি থেকে সেরা পুস্তকগুলো হাতে লিখে কপি করে নিজেদের লাইব্রেরি সমৃদ্ধ করেছে - জ্ঞানার্জনের জন্য মুসলমানেরা সারাবিশ্ব চষে বেড়িয়েছে। আর ধর্মের খোলসে মুর্খ লোকের আগমন তখনই হয়েছে যখন শিয়া-সুন্নীর নামে নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে যখন আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্ষিত মহামুল্যবান সব পুস্তক ফোরাত নদীতে নিক্ষেপ করা হয়েছে। এখন কয়খানা হাদিস আর কোরআনের মধ্যে বেশীরভাগ মুর্খ আলেমদের জ্ঞান সীমাবদ্ধ।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:০৬

বিটপি বলেছেন: "কিছু" ইসলামী স্কলার ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে হারাম ঘোষণা করতে পারে, কিন্তু বেশিরভাগ স্কলারের মতেই, মুশারাকা, মুয়াজ্জাল, মুবারাহা পদ্ধতিতে পুঁজির যোগান ইসলাম সম্মত। তাই ইসলামী ব্যাংকগুলো যদি নাম পালটে প্রচলিত ধারার হারাম ব্যবসাও করে, তারপরে তার দায় গ্রাহক বহন করবেনা। এখন ইসলামী এবং কনভেনশনাল ব্যাংকিং ব্যবস্থার মূল পার্থক্য হচ্ছেঃ
- ইসলামী ব্যাংক আপনার সূদী কার্যকলাপের মাধ্যমে সৃষ্ট অপরাধের পুরো দায় দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিচ্ছে, আর
- কনভেনশনাল ব্যাংক এই দায়িত্ব নিচ্ছেনা।

এখন আপনার চয়েস, আপনি কোনটি গ্রহণ করবেন। ইসলামী ব্যাংকে লেনদেন করলে হাশরের মাঠে জবাবদিহিতার সময়ে আপনার হাতে একটি যুক্তি থাকবে, কিন্তু অন্য ব্যাংকে করলে আপনার কোন উপায় থাকবেনা দায় এড়ানোর।

আধুনিক বিজ্ঞানের চাবিকাঠি মুসলিমদের হাতেই ছিল, কিন্তু শিয়াপন্থী আলেমদের ভুল ফতোয়ার কারণে ইরাকের আব্বাসীয় খেলাফত বর্বর মোঙ্গলদের আক্রমণ রুখতে ব্যর্থ হয়। তার ফলশ্রুতিতে বাগদাদের বিখ্যাত আল হিকমাহ পাঠাগার ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় মুসলিম পন্ডিতদের জ্ঞান বিজ্ঞানের অগ্রগতি সেখানেই রুদ্ধ হয়ে পড়ে। সেসময় মঙ্গোল আক্রমণ না হলে জ্ঞান বিজ্ঞান বলুন, আর অর্থনীতি বলুন, কোন কিছুতেই এখন মুসলিম জাতির সাথে কেউ কখনও পেরে উঠত না। এখন বিজ্ঞানের যেসকম মতামত ইসলামের সাথে সাঙ্ঘর্ষিক বলে আপনার কাছে মনে হচ্ছে, সেগুলোরও খুব গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যেত।

ইসলামের ফালগুন মাস বেশ কয়েকবারই এসেছিল, কিন্তু তারপরেই চৈত্রের প্রখর রোদ এবং বৈশাখের ঝড়ো তান্ডবে তা এলোমেলো হয়ে গেছে। মুসলিমগণ এই দুয়ের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার উপায় বের করেনি বলে।

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: ইসলাম মূলত মানুষের ক্ষতি করেছে।

৭| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৩৯

কাঁউটাল বলেছেন: হে জাজমেন্টাল জ্ঞানী, একই রকমের খাদ্য (ঘাঁস) খাওয়ার পরও গরু এবং ঘোড়ার হাগু আলাদা ধরণের কেন? আগে এই প্রশ্নের উত্তর দিন।

৮| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:২১

সোনালি কাবিন বলেছেন: রানুর এই কমেন্ট এখনো ডিলিট হয়নি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.