![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি পরিশ্রমে বিশ্বাসী, বিনা পরিশ্রমে একমুঠো অন্নও জোটে না।
কৃষকের জমিনে আগুন।
আদালত প্রমাণের ভুখা হয়। আপনার কাছে প্রমাণ নেই আদালত আপনার পক্ষে নেই। আপনি আদালতে এক হাজার বার বলুন "আমি জীবিত" আদালত বিশ্বাস করবে না। আদালত মৃত কাগজের জবানবন্দি চায় জিন্দা মানুষ কে জীবিত রায় দেয়ার জন্য। আইন আসলেই অন্ধ হয় , হোক সেটা আদালতের আইন অথবা ব্যক্তি সমাজের আইন। অপরদিকে আমরা সে সময়েও অন্ধ হয়ে যাই যখন আমরা পার্থিব জীবন কে অধিক মূল্যে দিই। আমরা ভালো মন্দের ভেদা-ভেদ বুঝিনা,
ন্যায়-অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য খুঁজে পাইনা। যেখানে আমাদের কথা বলা দরকার সেখানে আমরা কথা বলি না। যে বিষয়ে লেখা লেখি দরকার সে বিষয়ে না লিখে বিভ্রান্ত কিছু বিষয় সামনে নিয়ে এসে একটা জাতির চিন্তা ধারাকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিই।।
ক্ষমতাবানদের কাছে মানুষ নীতিকথা, ধৈর্যের কথা ভুলে যায়। গরিব অসহায় দুর্বলদের কাছে সবর, ধৈর্যের কথা দিয়ে শান্তনা দিতে হয়। এই শিক্ষাটা আমাদের শিরায় শিরায় লেগে আছে। বড়লোকদের ক্ষতি হলে সে বিষয়ে তদন্ত হয় , তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্হা হয় । পত্রিকায় বড় বড় আকারে শিরোনাম হয়। অপর দিকে গরিবদের জন্য শান্তনার বানী, আশার বাণী। গরীব সর্বদাই শোষিত।
কৃষকের জমিনে আগুন লাগার ইতিহাস নতুন কোন ইতিহাস নয়। অতীতেও আগুন লেগেছে বর্তমানেও সেই আগুনের ধারাবাহিকতা বজায় আছে। কৃষকের জমিনের আগুন কে কেন্দ্র করে বহু মানুষের ভাগ্য চাকা সচল হয়েছে, সচল হয়নি শুধু গরিব কৃষকের ভাগ্য চাকা। কৃষক কে কেন্দ্র করে দেশের যত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে সবগুলোই রমরমা হয়েছে, অপর দিকে কৃষক দিনে দিনে পথে বসেছে। কৃষক সোনার ফসল বিক্রি করে রুপার দামে আর সেই ফসল একহাত বদল হ'য়ে বিক্রি হয় হিরার দামে। অথচ সে বিষয়ে সকলেই অন্ধ। গনমাধ্যম অন্ধ। আইন অন্ধ। কৃষকের জমিনের আগুনে পাট পুড়েছে, গম পুড়েছে, শরিষা পুরেছে। ধান পুড়েছে। কোন ফসল পোড়া থেকে বাদ পড়েনি। তবুও দেশের কৃষকের উন্নয়নের পক্ষে কেউ কোন কথা বলেনি , কলম ধরেনি। নিকট ভবিষ্যতে চাষাবাদের জন্য কোন জমিন থাকে কিনা সেটা চিন্তার বিষয়।
এমন বিশ্রী সময় আমরা অতিক্রম করছি যে, অদৃশ্য আগুনে দেশের কৃষক পুড়ে ছাই আর দৃশ্য মান আগুনে বঙ্গবাজার পুরে ছাই। নোংরা মানসিকতার কুফল প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের ভোগ করতে হচ্ছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন সে জায়গাতে পরিকল্পিত ভাবে আগুন দেয়া হয়েছে, যদিও সেই কথার সত্যতা এখনো পাওয়া যায়নি। আর আমরা সাধারন মানুষ গুলোও কতটা নিচে নেমেছি যে, আগুনে পুড়ে সবকিছু চাই হয়ে যাচ্ছে আর কিছু লোক সেখানে চুরি করা নিয়ে ব্যস্ত।
হয়তো প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের প্রতি শুভ দৃষ্টি দিবেন যার ফলে তাদের অনেকের ঋনের বোঝা হালকা হবে , অনেকে আবার নতুন করে নতুন উদ্যমে ঘুরে দারাবে, আবার অনেক কালের গহীন অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।
আমরা গভীর ভাবে মর্মাহত , বঙ্গবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিটি হৃদয়ের জন্য। এমন বঙ্গবাজার যেন আমাদের আর দেখতে না হয়। দেখতে যেন না হয় এমন ক্ষত হৃদয়ের আত্ম চিৎকার।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৫১
ফেরদৌসী মাসুদ বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশে জন্ম নেওয়াটাই পাপ। অন্যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ফেরদৌসী মাসুদ,
দরিদ্র মানুষের কপালটাই আসলে পোড়া!