নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাদা মানুষ

ফিরোজ সাহেব

একটা অত্যন্ত ভাল ছেলে

ফিরোজ সাহেব › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বার্থপর প্রেমিক

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

পকেটে ম্যাচ না রাখার অভ্যাস টা অনেক পুরোনো। তাই হোটেল থেকে বের হয়েই একটা লাইটারের খোঁজে এদিকওদিক উকি দিচ্ছি। হঠাৎ পাশ থেকে কে জানি ভাই,ভাই বলে ডাকছে। যদিও জানি এই এলাকায় ডাকার মতো আমার পরিচিত কেউ নেই, তাও স্বভাবসরূপ না তাকিয়ে থাকতে পারলাম না। অদ্ভুত বলি আর কাকতালীয় বলি, ডাক টা আমার জন্যই ছিলো। লোকটা আনোয়ার ভাই। আনোয়ার ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় টা খুব বেশি পুরোনো না। সম্পর্কের শুরুটা হয়েছিলো একটা সিগারেট দিয়ে। সেদিন প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিলো। উনি আসার ১৭ সেকেন্ড পূর্বেই দোকানদারের কাছে থাকা শেষ দুইটা সিগারেট আমার কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছিলো। আর এর পর থেকেই আমাদের মধ্যে একটা ছোট্ট সম্পর্কের শুরু। আনোয়ার ভাই রিকশায় বসা। সিগারেট টা ধরিয়ে উনার দিকে হাঁটা দিলাম। কি ভাই, এই এলাকায় যে.? না,তেমন কিছু না, ছোট্ট একটা কাজ ছিলো,তাই। ওওওও, তা কাজ কি শেষ হইছে, না বাকি আছে.? কাজ তো অনেক আগেই শেষ হইছে, ভাবলাম দুপুরের খাওয়া টা আপনাদের এলাকায় করে যাই, তাই একটু হোটেলে ঢুকছিলাম আরকি। এখন সোজা বাসায় যাবো। এটা একটা কথা কইলেন ভাই, আমার এলাকায় আইসা আমার বাড়িতে পা না দিয়া চইলা যাবেন,এইটা কেমনে হয়.? না,না আনোয়ার ভাই,আজ না,অন্য কোনো দিন। আমি কোনো কথাই শুনতে চাই না,আপনি রিকশায় উঠেন। আনোয়ার ভাই কে খুব বেশি জোরজবরদস্তি করতে হলো না,আমি রিকশায় উঠে পড়লাম। গোটা রাস্তাটা আনোয়ার ভাইয়ের ছোটবেলার গল্প শুনতে শুনতে আসলাম। বাসাটা খুব বেশি খারাপ না। সব কিছুই গোছানো গাছানো। আনোয়ার ভাই একটা তেল কম্পানী তে চাকরি করে। বেতন খুব বেশি না, তবে ঠিক কতো সেটাও জানি না। আনোয়ার ভাইয়ের মেয়ে টা টিভিতে হিন্দি গান দেখছে। সাথে আমিও।
ক্ষানিকটা চমকে দিয়ে হঠাৎ ঘরে একটা পরীর আগমন ঘটলো। কালো পরী, সাদা পরী। পোশাকটা কালো, মেয়েটা সাদা। ক্ষানিকটা বিস্মিত আমি। অদ্ভুত একটা হাসি। অতি অদ্ভুত। একটি মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচাতে পারে এই হাসি। আমি তাকিয়ে আছি। হা করে। আনোয়ার ভাই ঘরে ঢুকলো। ও আমার ছোট বোন মুমু। ওর কথাই বলতেছিলাম আপনাকে। আল্লাহ সব দিছে, শুধু জবান টা দেয় নি। ভাবি আর মুমু আমার জন্য নানা রকমের খাবার আনতেছে। একটা ব্যান্সোনের বিনিময়ে যে এতোটা ভালবাসা পাওয়া যায় সেটা নিজে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। খাওয়া শুরু করলাম। মুমুর কথা ভাবতে ভাবতে বেশ খানিকটা খেয়ে ফেলেছি। আমার খাওয়ার সক্ষমতা এতোটা জানা ছিলো না। যাই হোক। আমি ভাবছি মুমুর কথা। সত্যিই কি একটা মেয়ে এতোটা সুন্দর হতে পারে.!! আমার জানা ছিলো না। কিন্তু ওর তো বাকশক্তি নেই। তাতে কি.? জগৎ-য়ের সবাইকে বকবক করতে হবে এমন তো কোনো শর্ত নেই। ভাবছি ও কি জানে, ও কতোটা সুন্দর.? হয়তোবা। আমি কি ওর সৌন্দর্যের ক্ষানিক টা প্রশংসা করবো.? নাহ্। পারবো না আমি। সৃষ্টিকর্তা এতোটা দুঃসাহস দেয়নি আমাকে। বুকটা ধড়ফড় করছে, শ্বাসপ্রশ্বাস ঘন হচ্ছে, চোখ দিয়ে আগুন বের হবে মনেহয়, দম আটকে আসছে আমার। আর একটিমুহূর্তও থাকতে পারবো না আমি এখানে। একটি মুহূর্তও না। আর একটুখানি দেড়ি হলে হয়তো আমি মুমুর প্রেমে পড়ে যাবো। যা আমি চাই না। কোনো ভাবেই না।
বাচ্চাটার হাতে ২০০ টাকা দিয়ে আনোয়ার ভাইয়ের কাছে দ্রুত বিদায় নিলাম। কথা দিলাম আবার আসবো। শিগ্রই আসবো.....

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: প্রেমের ব্যঘাত ঘটলেই মানুষ প্রেমকে দায়ী করে। প্রেম ভাল না প্রেম কুতশিত প্রেম যে জ্বালা।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

মাধব বলেছেন: অসম্পূর্ণ গল্প। চলবে কি ?

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৮

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: সবে মাত্র শুরু হলো আর এর মধ্যেই শেষ ? গল্পের কথা বলছি, অপূর্ণ লাগলো ।

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৩

Nil Nayem বলেছেন: ভালো

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: নামের সাথে গল্প মিলল না| আসতেসে টাইপ শব্দ বাদ দিয়ে আসছি অর্থ্যাৎ প্রমিত বাংলা লিখলে ভাল হত|
অনুগল্প হিসেবে ভাল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.