নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

firefox

দিশার

নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে ।হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে, হৃদয়ে রয়েছ গোপনে।।বাসনার বশে মন অবিরত ধায় দশ দিশে পাগলের মতো,স্থির-আঁখি তুমি মরমে সতত জাগিছ শয়নে স্বপনে ।।সবাই ছেড়েছে, নাই যার কেহ, তুমি আছ তার আছে তব স্নেহ-নিরাশ্রয় জন, পথ যার গেহ, সেও আছে তব ভবনে। তুমি ছাড়া কেহ সাথি নাই আর, সমুখে অনন্ত জীবনবিস্তার-কালপারাবার করিতেছ পার কেহ নাহি জানে কেমনে ।।জানি শুধু তুমি আছ তাই আছি, তুমি প্রাণময় তাই আমি বাঁচি,যত পাই তোমায় আরো তত যাচি, যত জানি তত জানিনে ।জানি আমি তোমায় পাব নিরন্তর লোকলোকান্তরে যুগযুগান্তর-তুমি আর আমি মাঝে কেহ নাই, কোনো বাধা নাই ভুবনে ।।

দিশার › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন ইমাম গাজ্জালি ও মুসলিম বিশ্বের পতন .

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:০৪

আলজেবরা , আলগরিদম।এগুলা আরবি সব্দ . এগুলা থেকে মুসলিম বিশ্ব আজ বহুদূর . কিন্তু ইতিহাস এর পাতা উল্টালে দেখা যায় এক দিন বাগদাদ ছিল , খ্রিস্টান , ইহুদি ও মুসলিম , স্কেপটিক ( সংশয়) বাদী দের আড্ডাখানা . যেখানে আরবীয় বিজ্ঞান চর্চার মেলা বসেছিল . ইউরোপ য়ে তখন চলছে ধর্মের নাম মানুষ খুন এর হলি খেলা . বিজ্ঞান এর পূজারীদের , ডাইনি , জাদুকর আখ্যায়িত করে একের পর এক পুড়িয়ে মারা হচ্ছে . অন্ধকার এর যুগ .



তখন বাগদাদ সহরে অনুবাদিত হচ্ছে গ্রিক সায়েন্টিস্ট , ফিলোসফার দের বই . প্রাকটিস হচ্ছে অঙ্ক , কেমিস্ট্রি , ফিজিক্স , মহাকাশ বিজ্ঞান . একের পর এক আবিস্কার য়ে এগিয়ে যাচ্ছে নতুন এই সম্রাজ্য।



আরবে বিজ্ঞান এর সর্ণ যুগ ( ৮০০ -১১০০ )



কি হলো তারপর ?



গাজ্জালি নামক এক ধর্মান্ধ পুরোহিত একা ঘুরিয়ে দিলেন ইতহাসের পাতা . ইসলামের সেই গৌরবময় বিজ্ঞান অনুশীলন কে বন্ধ করে দিলেন , তার ৭০ এর উপর বই এর সবচেয়ে কুখ্যাত বই, তাহ্তুফাল ফালসিফা তে সরাসরি আক্রমন করলেন ফালসিফা স্কুল অফ থট কে .



ফালসিফা মানে দর্শন কিন্তু এর সাথে যুক্ত ছিল যুক্তিবিদ্যা , পদার্থ বিজ্ঞান এবং অঙ্ক . কারা ছিলেন সেই ঘরনার বিজ্ঞানী? যারা আরিস্ততাল , সক্রেটিস এর গ্রিক ফিলোসফি থেকে জ্ঞান এর সুধা পান করতেন? আল ফারাবী , ইবনে সিনা প্রমুখ .



ইমাম গাজ্জালি সরাসরি বাতিল করে দিলেন , এদের কে, নাস্তিক উপসি দিয়ে . এবং বললেন যারা , এই সব গ্রিক নাস্তিক দের মেথড ফলো করে তারা ইসলাম কে কলুষিত করছে .



এই হলো গাজ্জালি স্কুল অফ থট , এবং অনেকে বলে থাকেন , গাজ্জালির উল্ম আল দিন বই এর থেকে সুরু সাইন্স এবং ইসলামের দুরে সরে যাওয়া। গাজ্জালি সরিয়াহ আইন এর কাঠামো দিলেন . ঘোষণা করলেন যারা সংখা মানিপুলেট করে ( বিজ্ঞানী, অঙ্কবিদ) তারা শয়তান .!!! যারা সংশয়বাদী তারা কাফের!!! প্রশ্ন করা যাবে না , বিনা প্রশ্নে সব মানতে হবে . পলিটিকাল স্পন্সর পেলেন সেলজুক সুলতান নিজাম উল মূলক কে। পড়াতেন তখন কার যুগের হার্ভার্ড , mit , নিজামিয়া মাদ্রাসা বাগদাদ য়ে



যেখানে গাজ্জালি এবং মুসলিম ইমাম রা , নন মুসলিম ফিলোসফার আরিস্তোতল সক্রেটিস কে , ছুড়ে ফেলে দিলেন (কারণ তারা অবিস্সাসী ছিলেন), সেখানে টমাস আকুইন (ইউরোপ) য়ে তাদের আকড়ে ধরলেন .



গাজ্জালির সেই আঘাত থেকে মুসলিম রা আর কখনোই বের হতে পারে নাই , ধীরে ধীরে সরে গেছে বিজ্ঞান, মুসলিম দের কাছ থেকে . গাজ্জালির সেই বিষাক্ত আঘাত থেকে ফাল্সাফা আর কখনোই মুসলিম সমাজে মাথা তুলতে পারেনি। গাজ্জালি নিজেই ছিলেন ফাল্সাফা স্কুল এর একজন মাস্টার , তার অসীম জ্ঞান ছিল ইসলামিক আইন য়ে .



আজও ইতিহাস বিদ রা, চিনিত করে সেলজুক সুলতান নিজাম উল মূলক , আবু আলী আল হাসান আল তুসির শাসন আমল কে, যেখান থেকে মুসলিম রা সরে গেছে বিজ্ঞানীক চিন্তা ভাবনা থেকে .



এখানে তৈরী হলো , নিজামীইয়াহ শিক্ষা বেবস্থা , যেখানে গুরুত্ব দেয়া হলো ধর্মীয় জ্ঞান কে, সাধীন অনুসন্ধান এর উপরে, সুধু তাই নয়, গ্রহণ করা হলো সংকীর্ণ সুন্নি ইসলামিক দর্শন কে তৈরী হলো শাফিই স্কুল অফ থট



তখন কার যুগের , হার্ভার্ড MIT , থেকে বের হতে লাগলো ৪০০ বছর ধরে ধর্মীয় ছাত্র .



গাজ্জালি খেতাব পেলেন, হুজ্জুত আল ইসলাম , বা ইসলামের এর প্রমান . গাজ্জালি হয়ে উঠলেন ইসলামের ধর্মীয় জাগরণ এর প্রতিক। ইসলাম সরে গেল বিজ্ঞান থেকে , মাদ্রাসা গুলা হয়ে উঠলো সুধুই ধর্মের আড্ডাখানা , বিজ্ঞান/যুক্তি/অঙ্ক বিতারিত হলো মাদ্রাসা থেকে .



সেই যে খোড়া হলো ইসলামের এর ঘোড়া , আর আগাতে পারল না, চেঙ্গিস এর মঙ্গল বাহিনীর তলায় পিষ্ট হলো আব্বাসীয় খেলাফত , ইসফাহান (ইরান) , বাগদাদ (ইরাক) এর জ্ঞান তীর্থ ভূমি গুলো ধুলায় মিশিয়ে দেয়া হলো।



কারো কারো মতে , গাজ্জালি আসলে , স্রেফ, দর্শন আর বিজ্ঞান কে আলাদা করতে চেয়ে ছিলেন ফাল্সাফা থেকে . তার প্রথম দিক কার বই গুলাতে কিন্তু ফাল্সাফার জয়্ জয়কার



আজ বিজ্ঞান এর সর্বোচ্চ পুরস্কার নোবেল , এর ২৫% ইহুদি বিজ্ঞানি দের ঘরে।



মুসলিম বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার এর মোট 0.3 ভাগ মাত্র . সালাম এর ভিতর ধর্ম বিসসাশে একজন কাদিয়ানী !!! যা কিনা সুন্নি দের মতে সালাম একজন কাফের !!



খালি চিন্তা করুন, সামান্য সংখ্যক , ইহুদি জনসংখা থেকে আজ বিজ্ঞানের কত কত আবিস্কার বের হয়ে আসছে, ১৩০ কোটি মুসলমান বিজ্ঞান কে আকড়ে ধরলে , বিশ্ব আজ কোথায় এগিয়ে যেত !



ভারত কিন্তু ৫০ বছর আগে ই বেপার তা ধরতে পেরেছে, দেখুন আজ সারা বিশ্বে ভারতীয় বিজ্ঞানী রা . ভারতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরী হয়েছে গবেষণা গর, জ্ঞান চর্চা কেন্দ্র।



কিন্তু আফসোস , আজকে মুসলমান বিশ্ব, মগ্ন কয়টা বিবি বিয়ে করা যাবে, কার্টুন আকলে নবীর মর্যাদার এর খেলাফ হয় কিনা .



মাদ্রাসায় আজকে tota পাখির মত মুখস্ত কিছু, হাদিস আর কোরান এর আয়াত ছাড়া কিছুই শিক্ষা দেয়া হয় না .



মুসলমান আজ একে অন্য কে কাফের , মুরতাদ টাইটেল দিতে অস্থির । কোন পির এর পানি পরায় কাজ হয়, ই তর্কে লাশ পরে যায় .



কোন ফেরকা থাকলে জান্নাত য়ে যাবে সেই চিন্তায় সময় শেষ , ওদিকে দুনিয়াটা হয়ে উটেছে মুসলমান দের জাহান্নাম . ...

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:১৫

রিফাত হোসেন বলেছেন: ফাউল পোষ্ট কেন জানি মনে হচ্ছে,
মানুষ ঈমান থেকে দূরে চলে গিয়েছে বিজ্ঞান থেকে নয়।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:২০

দিশার বলেছেন: ১৩০ কোটি মুসলমান এর তাহলে সবার ইমান চলে গেসে !!!,

দেখেন এটাকে বলে হৃদয়ে সিলমোহর করা , লিখতে সময় না নিল যতটা, তার ১০০ ভাগ এর এক ভাগ সময় ও না নিয়ে পড়লেন, পরে, চিন্তা ভাবনা করলেন না, যুক্তি তর্ক দিলেন না, কমেন্ট করে বসলেন ফাউল বলে। আগাবেন কিভাবে?

মানসিক দাসত্ব থেকে মুক্তি পাবেন আশা করি।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:১৯

ব্লগার রানা বলেছেন: ভাববার বিষয়,,,,

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:১৯

নরাধম বলেছেন:
এইসব বোকাদের কথা। একজন মানুষ কোনদিনই সম্পূর্ণ একটা সভ্যতাকে পিছিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। গাজ্জালির কিছু লেখা আমার পছন্দ না, কিন্তু তাঁকে সম্পূর্ণ মুসলিম উম্মাহর পতনের জন্য দায়ী করা ওভারসিম্প্লিফিকেশান। সভ্যতার উথ্থান-পতন খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, কোন সভ্যতাই চিরস্থায়ী নয়।

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৭

দিশার বলেছেন: নিজামিয়াহ শিক্ষা বেবস্থা, সুন্নি সরিয়াহ আইন , মঙ্গল দের অভিযান , বিজ্ঞান কে ধর্মের মুখ মুখী করে দেয়া, আয় কারণ গুলা লেখা তে আছে, এবং আমি কখনই সিম্প্লিফ্য় করে বলি নাই গাজ্জালি একমাত্র কারণ ..পরে কমেন্ট করসেন নাকি সুধু সুধু ?

৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: পড়ছি ঠিক ই কিন্তু এটা পুরানো ক্যাচাল। তাই চিন্তা করতে সময় নেই নাই। আর আমার উত্তর ও পরিবর্তন হবে না তাতে। আপনার কি মনে হয় ইসলাম বিজ্ঞানের মুখাপেক্ষী! ? আপনি চিন্তা করেন, আল্লাহ যা চাইবেতাই ই হবে , একসময় সূর্য উল্টা দিকে উঠলেও আপনি মানুষের কৃতকর্ম কে দুষে যাবেন! ,এইটা হইল নাকি? আর কয়জন মুস্লিম বিজ্ঞানী আসলেই মসুলিম ছিল তা প্রশ্নের সম্মুখীন, !

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২২

দিশার বলেছেন: ভাই ধন্যবাদ, আমার লেখা টার সাপেক্ষে প্রমান দেবার জন্য . একজন প্রকিত সুন্নি মুসলিম এর মত উত্তর দিয়েছেন। বিজ্ঞান য়ে কি হলো না হলো এটা জেনে মুসলমানের কি লাভ, কাপড় তাখনুর নিচে নামল কিনা, বা নবী নামাজে, বুকে না পেটে হাত বেধেছিল এটার মিমাংসা মুসলমানের বেশি জরুরি ...ভালো থাকবেন

৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৫

ব্লগার রানা বলেছেন: কার্টুন আকলে নবীর মর্যাদার এর খেলাফ হয় কিনা .. eta niye vabbar tahole kono dorkar nai,,, ei jukti kemne ber korlen??? explain kora jay???

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:১৩

দিশার বলেছেন: দরকার আছে কি নাই আপনি নিজেই তো বুঝায়ে দিলেন, মুসলিম বিশ্ব কখন আজকে জ্ঞান বিজ্ঞান এর তলানি তে তে, কেন বা এর কারণ কথা থেকে সুরে হয়েছে, ই লেখায় আপনের টনক নড়ল অই "কার্টুন" নিয়া .

আপনাদের প্রায়োরিটি কোথায় বুঝতে তো পারতেসেন ? অন্ধের মত না থেকে একটু চোখ খুলে দেখেন , ইরান, পাকিস্তান, মালি , সোমালিয়া , এসব জায়গায় সরিয়াহ আইন কি দিয়েছে।? বিজ্ঞান য়ে আজকে মুসলমানদের অবদান সুন্নের কোঠায় বলা যেতে পারে

আজকে মাদ্রাসা শিক্ষা থেকে কি পাচ্ছে দুনিয়া? আর হার্ভার্ড, প্রিন্সটন, সার্ থেকে কি পাচ্ছে?

৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫৮

নরাধম বলেছেন:
দিশার, আপনার লেখা আসলে পড়ার দরকারই নাই, কারন এসব কথা অনলাইনে সবজায়গায় পাওয়া যায়, ইমাম গাজ্জালিকে নিয়ে এসব কথা অনেক আগে থেকেই প্রচলিত, আপনি নতুন কিছু নিয়ে আসেন নি। মানবসভ্যতার উত্থান-পতনের কারনসমূহ সম্পর্কে পড়ে আসুন, তারপর এ ধরণের কন্সপিরেসি থিয়রীমার্কা লেখা বিশ্বাস করার কিছু নেই কেন সেটা বুঝবেন। সভ্যতা অনেক বড় ব্যাপার, এর উত্থান-পতন কোনদিনই একজন ব্যক্তির মাধ্যমে সম্ভব না, পিছিয়ে দেওয়া তো নয়ই। এগিয়ে দেওয়া সম্ভব আইনস্টাইনের মত কারো দ্বারা হয়ত কিছুটা, তাও তর্কসাপেক্ষ। ধরলাম ইমাম গাজ্জালি সভ্যতাকে পিছিয়ে দেওয়ার মত কিছু লিখেছেন, করেছেন, কিন্তু এত কোটি কোটি মুসলিমরা তার কথা শুনে সেভাবেই সব করা শুরু করল সেটা ভাবা বোকামি বই কিছুই নয়। ইমাম গাজালি তো সারা মুসলিম বিশ্বের বাদশা ছিলনা যে তার কথাই সবাইকে শুনতে হবে। এমনকি তিনি সেসময় সারা মুসলিম বিশ্বের একমাত্র বড় স্কলারও ছিলেন তাও না, তবুও এই একজন মানুষ শতবছরের পুরনো একটা সভ্যতাকে পিছিয়ে দিয়েছে?! ইমাম গাজালির ভূমিকা অসাধারণ, কিন্তু সেটা অথডক্স ইসলামের থিয়লজিকাল ফাউন্ডেশানের জন্য, হেলেনিস্টিক ফিলসফিকে তার প্রগঢ় যুক্তি দ্বারা সারব্তুহীন প্রমাণ করার জন্য, মুসলিমদেরকে বিজ্ঞান থেকে পিছিয়ে পড়ার জন্য উনি কিছু বলেননি, বললেও সেটা সারা বিশ্বের মুসলমানডেরকে শুনতে হবে কেন? উনার মৃত্যুর কয়েকশতবছর পরও অনেক বিখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানী এসেছেন, এর পরে আর ৬০০-৭০০ বছর মুসলমানরা রাজত্ব করেছে, তিনি একাই পিছিয়ে দিলে এসব কিভাবে সম্ভব?

যাই হোক, যার যার মতামত নিজের কাছে, আপনার এরকম মত থাকলে সেটা নিয়ে কিছু বলার নেই। এটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু নাও, এখন ইমাম গাজ্জালি নাই, ইমাম গাজ্জালি যা ভুল করেছেন বলে মনে করছেন মুসলমানরা সেসব না করলেই তো ধেই ধেই করে সারা বিশ্বে তারা ব্যাপক উন্নতি করবে! তাই চিন্তা কিসের?

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

দিশার বলেছেন: মূলে কিন্তু এক গাজ্জালি একা নয় ! সেলজুক সুলতান দের শিক্ষা বেবস্থা, যা কিনা প্রশ্ন করা, যুক্তি বাদ এবং অঙ্ক কে, শিক্ষা থেকে দুরে ঠেলে দিয়ে, ধর্মীয় চর্চা কে পলিটিকাল পাওয়ার অর্জন এর একমাত্র পথ করে দিয়েছিল . লেখায় দেখুন বলা আছে, শত বছর ধরে চলে আশা যে পতন শুরু হয়ে ছিল গাজ্জালির হাত ধরে। তিনি একা দায়ী ইটা কথাও বলা হই নি।



আর হা ইন্টারনেট যে পাওয়া যায় বলে কি সেই বিষয় নিয়ে লেখা যাবে না ???? মানুষ জানবে বুজবে কিভাবে? বই পরে, ইন্টারনেট পরে , ব্লগ পরেই তো তাই না ?

৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:১২

নরাধম বলেছেন:


"আজ বিজ্ঞান এর সর্বোচ্চ পুরস্কার নোবেল , এর ২৫% ইহুদি বিজ্ঞানি দের ঘরে।

মুসলিম বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার এর মোট 0.3 ভাগ মাত্র . এর ভিতর আব্দুল কাদির ধর্ম বিসসাশে একজন কাদিয়ানী !!! যা কিনা সুন্নি দের মতে আব্দুল কাদির একজন কাফের !! "




আব্দুল কাদির পাকিস্তানের পরমানু অস্ত্রের জনক, তিনি নোবেল পাননি। প্রফেসর আব্দুস সালামের সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন! আর একজনের নোবেল পাওয়ার সাথে তার ধর্মীয় পরিচয়ের কোন সম্পর্ক নেই। কেউ কাদিয়ানী হলে সে নোবেল পাইলেই তাকে অর্থডক্স মুসলমান স্বীকার করে নেওয়ার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই।

আর নোবেল প্রাইজ মাত্র ১০০ বছরের পুরনো, তাই এইসময়ে জ্ঞানবিজ্ঞানে যারা এগিয়ে আছে তারাই নোবেল পাবে এটাই স্বাভাবিক, জ্ঞান-বিজ্ঞানে একেকসময় একেকজাতি নেতৃত্ব দেয়, একসময় গ্রীকরা, এরপরে আরবরা, অনেকদিন ইউরোপের ক্রিস্টানরা বছর শত ধরে ইহুদীরা, পরে চাইনিজরা আসবে, ভারতীয়দেরও অনেক অবদান আছে এবং সামনে আরো হবে। কিন্তু এইসময়ে ভারতীয়দের সংখয়া ১০০ কোটি, চাইনিজদের সংখ্যা ১৩০ কোটি, তাদের দু জনসংর‌্যার মিলিতভাবেও ইহুদীদের ১০ ভাগ নোবেল প্রাইজও নেই, তাতে কিছুই প্রমাণ হয়না। জ্ঞান-বিজ্ঞান সমস্ত মানবজাতির সম্মিলিত অর্জন, কারন প্রত্যেক জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতি পূর্ববর্তী অগ্রগতির উপর বেইস করে হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম চ্যান্সেলরই কর্ডোবায় মুসলমানদের কাছে উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করেছিল, তেমনি মুসলমান আরবরা গ্রীকদের কাছ থেকে মশাল হতে নিয়েছিল। এভাবেই সভ্যতা এগোয়।


মাদ্রাসা বিষয়ক আপনার পর্যবেক্ষনের সাথে মোটাদাগে একমত।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৩

দিশার বলেছেন: ভুল সংশোধন করে দিলাম . ধন্যবাদ । সালাম কাদিয়ানী ছিলেন।

৯| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

নীলপথিক বলেছেন: বানানের বাপ-মা তো খেয়ে ফেলেছেন ভাই !!! পড়তে কষ্ট হয়েছে খুব।

ইমাম গাজ্জালী সম্পর্কে তো ভালো কিছুই জানতাম, আরও পড়াশুনা করতে হবে দেখা যাচ্ছে। আর একটা কথা, কিছু মনে করবেন না, আপনার কি সুন্নী মুসলিমদের ওপর কোন ক্ষোভ আছে?

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০০

দিশার বলেছেন: বানানের জন্য দুঃক্ষিত , তারাতারি টাইপ করতে গেলে একটু এমন হয়। ক্ষমা করবেন।

"সুন্নি" বা "শিয়া" এমন কোনো আলাদা করে যাননি নবী মোহাম্মদ . সবাই মুসলিম যারা আল্লাহ কে স্বীকার করে এবং মোহাম্মদ কে রাসুল মানে .

১০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৩১

হরিসূধন বলেছেন: কোন মুসলমান বিজ্ঞনী হইলে নিজে কে আর মুসলিম ভাবে না! তদরুপ কোন বাঙালী বিজ্ঞানী দূরে থাক বিজ্ঞানীর কেরানী হ ই লে ভাবে ম্যা ক্যায়া হো গ্যায়া! মুসলিম এবং বাঙালীর মতো না ইয়াহুদী বা জুইশরা। I

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

দিশার বলেছেন: ভাই আপনার কথা বুঝলাম না।মাথার উপর দিয়ে গেল।

১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৪২

আমি কবি নই বলেছেন: আপনি নির্বোধ নাকি ইতিহাস কম জানেন জানিনা, তবে আপনার উচিত মুসলিম মনিষীদের ইতিহাস আবার পড়া। ইবনে ষিনার নাম জানেন বোধহয়, উনার বইকে গ্রিক+খ্রিস্টানরাই চিকিৎসা বিঞ্গানের বাইবেল বলে থাকে। আজকের আধুনিক বিঞ্গানের ভিত উনারাই গড়ে দিয়েছেন।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩১

দিশার বলেছেন: পোস্ট পরে দেখেছেন ? বোকার মত কমেন্ট কেন করেন ?

" ফালসিফা মানে দর্শন কিন্তু এর সাথে যুক্ত ছিল যুক্তিবিদ্যা , পদার্থ বিজ্ঞান এবং অঙ্ক . কারা ছিলেন সেই ঘরনার বিজ্ঞানী? যারা আরিস্ততাল , সক্রেটিস এর গ্রিক ফিলোসফি থেকে জ্ঞান এর সুধা পান করতেন? আল ফারাবী , ইবনে সিনা প্রমুখ ."

এই লাইন গুলা চোখে পরসে? নাকি খালি নাম দেখে মাথার ভিতর প্রি সেট করা কথা ঢেলে দিয়ে আসেন কমেন্ট য়ে ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.